আকাশে তারার মেলা সিজন 2 পর্ব-২৮

0
2744

#আকাশে_তারার_মেলা_২
#লেখিকাঃআসরিফা_সুলতানা_জেবা
#পর্ব_২৮

রঙিন কৃত্রিম আলোয় জ্বলজ্বল করছে আদ্র দের বাড়ির চারপাশ। কালো লেহেঙ্গা টা পড়ে তুলি বের হয়ে এলো ওয়াশরুম থেকে। বেশ ভারী লেহেঙ্গা টা। তুলির মনে হচ্ছে তার ওজনের চেয়ে দ্বিগুণ ওজন এই অত্যাধিক সুন্দর লেহেঙ্গার।পায়েল,রিমি,আমরিন,ঝুমু সকলেই বসে বসে তুলির অপেক্ষা করছিল। তুলি বেরোতেই সবার নজর গিয়ে পড়ল তার উপর। পায়েল এগিয়ে গিয়ে হাত টেনে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসিয়ে দিল তাকে। গায়ের গহনা গুলো পড়িয়ে দিল এক এক করে। খুব হালকা মেকআপে ফুটিয়ে তুলল তুলির অন্যরকম এক সৌন্দর্য। রিমি অনেক শুনেছে শ্যামলা বর্ণের মেয়েদের সাজলে অদ্ভুত মুগ্ধতা ফুটে উঠে চেহারায়। তুলি কে না দেখলে কথাটা শুনাই থেকে যেত তার। সবাই একগাল হেসে বলে উঠল- “মাশাল্লাহ।”

তুলি লজ্জা পেল না বরং সবার সাথে তাল মিলিয়ে হাসল। আরশিতে নিজের প্রতিবিম্ব অবলোকন করল এক পলক। আচ্ছা আদ্রর প্রতিক্রিয়া কেমন হবে তুলি কে এই রূপে দেখে?তুলির বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে আজ চিরকালের জন্য আদ্রর হয়ে যাবে। সব সুখ এতো দ্রুত কেন ধরা দিচ্ছে তুলির আঁচলে?তার তো এতো সুখের লোভ নেই। শুধু একটা সুখেই আবদ্ধ থাকতে চায় তুলি, তা হলো আদ্র নামক সুখ। সকালে একবার আদ্র কে দেখেছিল। তারপর আর দেখা হয় নি। তুলির মন টা ভীষণ ছটপট করছে আদ্র কে এক পলক দেখার আকুলতায়। ইচ্ছে করছে এখনই ছুটে গিয়ে দেখে আসুক বর বেশে থাকা আদ্র কে। এই অপেক্ষার প্রহর সইছে না তুলির। সময় টা বেশ দীর্ঘ মনে হচ্ছে তার নিকট। সত্যিই কি সময়টা দীর্ঘ নাকি তুলির অন্তস্থলে প্রিয় মানুষের জন্য উৎপত্তি হওয়া তোলপাড়! অবশেষে অপেক্ষার প্রহরের সমাপ্তি টানল ইনশিতা। দরজা ঠেলে বলে উঠল,

” তুলি কে নিয়ে নিচে আসো সবাই। রেজিস্ট্রির জন্য ডাকছে।”

এতো সময় অব্দি তুলির অপেক্ষা করতে কষ্ট হলেও,এই মুহুর্তে বুক টা ভীষণ ধুকপুক করছে। যেন অশনিপাত হচ্ছে বুকের মাঝে। আমরিন এগিয়ে এসে তুলি কে টেনে দাঁড় করিয়ে হাঁটা ধরল। একেকটা কদম তুলি কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে চিরতরে আদ্রর কাছে।

তুলি কে বসানো হলো সাদা পর্দার একপাশে। আদ্র কে দেখার তেষ্টা ঘিরে ধরলেও মাথা তুলে তাকানোর সাহস হলো না তুলির। উপলব্ধি করতে পারছে সামনে বসা সুদর্শন যুবকের দৃষ্টি তার দিকেই নিবদ্ধ। শত চেষ্টা করেও মন কে আটকাতে পারল না তুলি। মাথা তুলতেই শিরদাঁড়া বেয়ে গড়িয়ে গেল শীতল এক স্রোত। এ কেমন মোহনীয় দৃষ্টি!সাদা পর্দা ভেদ করে আদ্রর মাদকতাময় দৃষ্টি তুলির সর্বাঙ্গ ছুঁয়ে যাচ্ছে অদৃশ্যভাবে। দু’টো হৃদয়ে একসাথেই বয়ে যাচ্ছে ঝড়। রেজিস্ট্রি পেপার এগিয়ে দিতেই বাবা,মা,আহানের দিকে একবার তাকালো তুলি। সবার মুখে হাসির ঝলক। কাঁপা কাঁপা হাতে তুলি কলম তুলে সাইন করে দিল। সবাই আলহামদুলিল্লাহ বলে উঠল সঙ্গে সঙ্গে। তুলির কাঁদতে ইচ্ছে করছে। স্বপ্ন লাগছে সবকিছু। মাথার উপর হাজারো তারা রা ঝলমল করছে আজ। বাগানের এক পাশ হতে এক স্নিগ্ধ হাওয়া ছুঁয়ে গেল দেহে। গুরুজনেরা চলে গেলেন বাড়ির ভিতরে। বাগানে উপস্থিত রয়ে গেল বন্ধুমহল ও আদ্রর কাজিনরা। সেই সাথে এখনও সাদা পাতলা পর্দার দু’পাশে রয়ে গেল দু’টো মানুষ।

সাদা পর্দা সরিয়ে দিল আদ্র। নত মস্তকে থাকা তুলির সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ল। নিজের পায়ের কাছে আদ্র কে দেখে তুলি স্তম্ভিত,অতিশয় বিস্মিত। পা নাড়তে গিয়েও নাড়ল না,যদি বেসামাল আদ্রর গায়ে লেগে যায়। উপস্থিত সবাই উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওদের দু’জনের দিকে। তুলির চিবুকে হাত রেখে মুখ টা নিজের সামনে ধরল আদ্র। নিমিষেই নীল বর্ণের চোখে ধরা দিল এক লজ্জায় রাঙা মুখ। তৃপ্তিতে চোখ বুঁজে আসল আদ্রের। ভ্রুঁ নাচিয়ে প্রশ্ন করল,

” নাম?”

হকচকিয়ে গেল তুলি। এ কেমন অদ্ভুত প্রশ্ন! তার নাম কি আদ্র জানে না?প্রগাঢ়ভাবে আদ্রর দিকে চাইতেই অদ্ভুত মুগ্ধতা খেলে গেল মনের আনাচে-কানাচে। কি সুন্দর হাসি আদ্রর ঠোঁটে!তুলি আলতো স্বরে জবাব দিল,

” ইশতাক তুলি।”

আদ্রর ঠোঁটের হাসি টা বিস্তর হলো। ভ্রুঁ উঁচিয়ে বলে উঠল,

” কুমিল্লার তুলা?”

মৃদু কেঁপে উঠল তুলি। অবাক চোখে তাকালো আদ্রর মুখের দিকে। দু’ ঠোঁট প্রসারিত করে নিচু স্বরে বললো,

” আদ্রের তুলা।”

সবাই হৈচৈ করে উঠল তুলির কথায়। অন্তু তো রীতিমতো শিষ বাজাতে শুরু করে দিয়েছে। তুলির পায়ে একজোড়া পায়েল পড়াতে পড়াতে আদ্র প্রশ্ন করে,

” আপনি আমার প্রাণনাশিনী হয়ে উঠেছেন তা কি আপনি জানেন কুমিল্লার তুলা?”

তুলি থমকালো কয়েক সেকেন্ড। প্রাণনাশিনী? তুলি সমীকরণ মিলাতে চাইল ঠিক কতটা ভালোবাসলে কারো প্রাণনাশিনী হওয়া যায়!
___________

বাগানের এক পাশে খাবার আয়োজন করা হয়েছে। তুলি বসেছে আহানের পাশের চেয়ারে। আজ ভাইয়ের হাতে খাবে বলে পণ করেছে মনে মনে। আহান সম্পর্কে খালাতো ভাই হলেও তুলি কে সর্বদা আপন ভাইয়ের মতো আগলে রেখেছে। বড় টেবিলটায় এক এক করে বসে পড়ল পায়েল,রিমি,অন্তু,নিবিড় সকলে। আদ্র কালো শেরওয়ানির হাতা গুটিয়ে বসল তুলির মুখোমুখি। আহানের হাতে তৃপ্তির সহিত খাবার খেয়ে যাচ্ছে সে। তা দেখে স্মিত হাসল আদ্র। তুলির গলায় ঘামের বিন্দু চোখে পড়তেই বড় টেবিল ফ্যান টা কে ঘুরিয়ে দিল তুলির দিকে। তুলি বিস্ময়কর দৃষ্টিতে চাইল। অতঃপর দেখতে পেল পায়েল,রিমি,অন্তু,নিবিড়, সাগর সবাই প্লেটে খাবার নিয়ে আদ্রর চেয়ারের পাশে গোল হয়ে বসেছে। প্রচন্ড অবাক হলো তুলি। অন্তু, পায়েল,রিমি সবাই একে একে এক লোকমা ভাত আদ্রর দিকে এগিয়ে দিল। স্বাচ্ছন্দ্যে খেয়ে নিল আদ্র। তুলির চোখ জুড়িয়ে গেল এমন দৃশ্য দেখে। আমরিন ক্যামেরা বন্দি করে নিল মুহুর্ত টা।
তুলির কানে কানে বললো,

” জানিস ভাইয়ার বন্ধুগুলো ভাইয়াকে ভীষণ ভালোবাসে। এই মুহুর্ত টার জন্য কতগুলো বছর ধরে অপেক্ষা করছিল ওরা। মেডিক্যালে থাকতে ডিসাইড করেছিল যার বিয়ে হবে তার বিয়েতে পুরো বন্ধুমহল তাকে নিজ হাতে খাইয়ে দিবে। তুই তো শুধু এই দৃশ্য টা দেখছিস। একবার রিমি আপুর জ্বর হয়েছিল। সামান্য জ্বরে কি কান্না টা-ই না করেছিল সাগর ভাইয়া,পায়েল আপু,অন্তু ভাইয়া। ভাইয়া আর নিবিড় তো এক পা-ও নাড়ায় নি রিমি আপুর বাড়ি থেকে। যতদিন না রিমি আপু সুস্থ হয়েছে সবাই রিমি আপুর বাড়িতেই ছিল।”

তুলির ডাগরডাগর আখিঁদ্বয়ে খুশির অশ্রু দেখা দিল। মন থেকে দোয়া বেরিয়ে এল –” অটুট থাকুক বন্ধুত্ব।”
__________

রাত বারোটা বাজে। তুলি কে অপেক্ষা করানো ঠিক হবে না ভেবে ছাদ থেকে নেমে এলো আদ্র। দরজার সামনে নিজের দূরন্ত বাজ বন্ধু বান্ধবদের দেখে ভ্রু কুঁচকে এলো তার। তৎক্ষনাৎ মৃদু হেসে বললো,

“লাভ নাই। দরজা ছেড়ে দাড়া সবগুলো।তোদের কে টাকা দিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ নষ্ট করবো নাকি?ভবিষ্যতের জন্য পই পই করে টাকা জমাতে হবে। ”

নিবিড় আদ্র কে জড়িয়ে ধরে পকেটে কিছু একটা দিয়ে বাঁকা হেসে বললো,

” আমাদের তরফ থেকে মূল্যবান উপহার। ”

সন্দিহান চোখে চকিতে চাইল আদ্র। সবগুলোর মুখে মিটমিট হাসি। অন্তু দাঁত কেলিয়ে বলে উঠল,

” শুন আদ্র এই উপহারে আমি এক পয়সাও দেই নি। আমি এতোটাও খারাপ না। আমি তো উপহার হিসেবে উপদেশ রেখেছি তোর জন্য। ”

চোখ ছোট ছোট করে তাকাল আদ্র। অন্তু শুকনো একটা ঢোক গিলে কিছুটা পালানোর প্রস্তুতি নিয়ে বলে উঠল,

” বউ কিন্তু পিচ্চি। ডাক্তার হয়ে অবিচার করিস না। সামলে,,”

ব্যাস এতটুকুতেই থেমে গেল অন্তু। আদ্র অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। পায়ের জুতা খুলে হাতে তুলে ছুঁড়ে মারল অন্তুর দিকে। তার আগেই অন্তু সিঁড়ি ডিঙ্গিয়ে এক দৌড়ে বাহিরে। পায়েল,রিমি হাসতে হাসতে ধপ করে বসে পড়ল ফ্লোরে। নিবিড়, সাগর অল দ্যা বেস্ট জানিয়ে কেটে পড়ল পায়েল, রিমি কে নিয়ে।

বাহিরের হাসির শব্দে তুলি কান খাড়া করে রেখেছিল। দরজা খোলার শব্দে নিজেকে গুটিয়ে নিল। হুট করেই হৃদস্পন্দন কেমন দ্রুত গতিতে ছুটতে শুরু করল। শ্বাস প্রশ্বাস ভারি হয়ে আসতে লাগল ক্রমাগত। আদ্র তুলির দিকে এক নজর তাকালো। কাবার্ড থেকে একটা কালো রঙের জামদানি শাড়ি বের করে কোমল স্বরে বললো,

” লেহেঙ্গা টা তোমাকে অস্বস্তি দিচ্ছে। খুলে শাড়ি টা পড়ে আসো।”

তুলি দৃঢ় পায়ে হেঁটে এসে বিনা বাক্যে আদ্রর হাত থেকে কাপড়গুলো নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল৷ দরজায় হেলান দিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল কয়েক সেকেন্ড। শাড়ি টা নিতেই তীব্রভাবে হাত টা কাঁপছিল, মনে হচ্ছিল এই বুঝি ছুঁয়ে দিব আদ্র। আর লজ্জায় নেতিয়ে পড়বে তুলি আদ্রর বক্ষে। কিছুক্ষণ বাদে শাড়ি পড়ে বেরোতেই সামনে একটা হাত বাড়িয়ে দিল কেউ। কর্ণকুহরে এলো,

” হাত টা আঁকড়ে ধরে তোমাকে কয়েক কদম আমার সাথে চলতে হবে বউ।”

তুলি থমকালো না। আজ বহু কষ্টে নিজেকে কিছুটা শক্ত রাখার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে ভিতরে ভিতরে। লজ্জায় প্রতিবার দমে যায়। আজ একটুও দমতে ইচ্ছে করছে না তার। আদ্রর বুকে নিবিড়ভাবে লেপ্টে থাকার প্রবল ইচ্ছে জেগেছে মনে। নিঃসংকোচে আদ্রর হাতে হাত রাখল। মুঠোয় পুরে নিল আদ্র হাত টা শক্ত করে। সিঁড়ি বেয়ে দু’জন ছাদের দরজায় উপস্থিত হলো। বিস্ময়ে হতবাক হয়ে পড়ল তুলি। পুরো ছাঁদে জোস্নার আলো ছড়িয়ে আছে। আকাশ জুড়ে হাজারো তারার বিচরণ। তুলির মনে পড়ে গেল আদ্র কোনো এক গভীর রাতে তাকে আকাশে তারার মেলার সঙ্গী হিসেবে চেয়েছিল। ছাদের দরজা লাগিয়ে দিল আদ্র। তুলি অপলক তাকিয়ে রইল বিস্তর আকাশে। শাড়ি ভেদ করে উম্মুক্ত পেটে আকস্মিক হাতের স্পর্শ পেয়ে তুলির ভিতরে উতালপাতাল ঢেউ গর্জে উঠলো। প্রথম বার আদ্রর এতো গভীর স্পর্শে তুলির মন নিজের নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করলো। আদ্র সূক্ষ্ণ একটা নিঃশ্বাস ছাড়ল। তুলির পেটে হাতের বিচরণ গভীর করলো। ভিতর টা অস্থির হয়ে উঠছে তার। কানের পিঠে চুমু খেয়ে ফিচেল স্বরে প্রশ্ন করলো,

“ভয় পাচ্ছো?”

তুলির মুখ থেকে অস্ফুটস্বরে বেরিয়ে এল,

” হু।”

মুহুর্তেই তুলির পেটে বিচরণ করা হাত থেমে গেল। বুক টা ধুক করে উঠল তুলির। আদ্রর আকস্মিক দূরে সরে যাওয়া মেনে নিতে পারল না। তড়িঘড়ি করে পিছু ফিরে আদ্রর বুকে মাথা রাখল। মনে সঞ্চারিত সব লজ্জা জলাঞ্জলি দিয়ে ঠোঁট ছুঁয়ে দিল আদ্রর বুকে। অবিশ্বাস্য চাহনি নিক্ষেপ করল আদ্র। হৃদয়ে শীতল স্রোত অনুভব করল। বেসামাল হয়ে পড়ল মন,অনুভূতি। তুলির খালি কোমরে হাত রেখে উঁচিয়ে তুলল তুলি কে নিজের সম্মুখে। তড়িৎ বেগে কেঁপে উঠল তুলি। চক্ষুদ্বয় আদ্রর নেশাক্ত আঁখিযুগলে রাখতেই ভিতর টা এলোমেলো হয়ে যেতে লাগল। আদ্র গাঢ় স্বরে বলে উঠল,

” এটা কি করলে তুলা?আমার এতো বছরের অপেক্ষার ইতি টেনে দিলে। লাগামহীন করে দিলে নিয়ন্ত্রিত আমি টাকে।”

কিছু কিছু প্রহর এমন হয় নিঃশব্দে নিঃশ্বাস ফেলে পার করতে হয়। তুলির মনে হাজারো কথা জমলেও গলা দিয়ে বেরিয়ে এলো না। লজ্জায় আঁটকে থাকলো হৃদয় গহ্বরে। আদ্রর কপালে মুখ এগিয়ে নরম ওষ্ঠ চেপে ধরল। কোমরের বাঁধন গভীর হলো তুলির। বেসামাল স্পর্শে শিউরে উঠল দেহের সর্বাঙ্গ। আদ্রর চোখের কার্নিশ ছুঁয়ে জল স্পর্শ করলো তুলির ঘাড়। তুলি চমকালো। কিছু বলার আগেই ঠোঁটে স্পর্শ পেল আদ্রর রুক্ষ অধর যুগলের। স্পর্শ গভীর হলো সময় সাপেক্ষে। তীব্র ভয়ংকর রূপ ধারণ করল অনুভূতিরা। নতুন সূচনার স্বাক্ষী হলো আকাশে তারার মেলা।

#চলবে,,,

(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here