#বেখায়ালি_ভালোবাসা,
#পাট_৯
লেখিকা: #সাবেরা_সুলতানা_রসিদ
..
দিন তারিখ ঠিক করে মেঘ চৌধুরী সাহেব কে জানিয়ে দিল। চৌধুরী সাহেব তাদের জন্য সবচেয়ে সেরা দুটো কেবিন বুকিং করে দিলেন।
আজ মেঘ দের সিলেট যাবার দিন।
মেঘ ও ঝিনুক নিজেরদের জিনিস গুছিয়ে রেডি হয়ে হল বসে সৈকতের জন্য অপেক্ষা করছে । নয়টাই ট্রেন ছাড়ার কথা। এখন আটটা বেজে পনেরো মিনিট । বাসা থেকে স্টেষন পৌছাতে বিশ থেকে ত্রিশ মিনিট সময় লাগে।
কিন্তু সৈকতের আর দেখা নেই।
ঝিনুক সকালে সৈকত কে ঘুম থেকে ঢেকে দিয়ছিল রেডি হওয়ার জন্য কিন্তু কি করছে কে জানে। মেঘের মনে মনে খুব রাগ হতে শুরু করলো। না জানি আজ যাওয়াটা কেনসেল করতে হয়।
ঐদিনের পর মেঘ আর সৈকতের সাথে কোন কথা বলেনি। এমনকি খুব বেশী সামনেও যায় নি। মনে মনে ভেবে ছিল সৈকত হয়তো তার ভুল টা বুঝতে পেরে তার কাছে এসে অন্তত আগে কথা বলবে। কিন্তু না। সৈকতের মত মানুষের কাছ থেকে এমনটা আশা করাও ভুল।
মেঘ ঝিনুককে বললো তোমার সে ফ্রেন্ড কোথায় ?
—ভাবি মিতু স্টেশনে ঠিক সময় মত পৌছে যাবে তুমি চিন্তা করো না।
—আর চিন্তা!!চিন্তা তোমার ফ্রেন্ড কে নিয়ে না। তোমার ভাইয়া কে নিয়ে । দেখ আজ নিশ্চিত তার জন্য আমরা ট্রেন টা মিস করবো।
হঠাৎ টমি ঘেউ-ঘেউ করতে করতে উপর থেকে নীচে নেমে এসে মেঘ এর কাছে এসে দাড়াল।
—কি হয়েছে এমন করছিস কেন??
তোর মালিক কই সেকি যাবে না ??
সিড়িঁতে পায়ের আওয়াজ পাওয়া গেল।
মেঘ তাকিয়ে দেখে সৈকত নীচে নামছে। সৈকতের দিকে তাকিয়ে যেন মেঘের চোখ আটকে গেল। একে ফর্সা মানুষ তার উপর কালো শার্ট আর নীল রঙের জিন্স!! উুহঃ সেই রকম মানিয়েছে।
মেঘ সৈকতকে দেখে আবার প্রেমে পড়লো। মেঘের মনে যে লাড্ডু ফুটলো সেটা মেঘ আর বাইরে প্রকাশ করলো না। নিজের মনের মধ্যেই রেখে দিল সঠিক সময় আর স্থানের জন্য।
সৈকত আড় চোখে মেঘকে একনজর দেখে ও না দেখার ভান করে ঝিনুককে বললো কিরে যাবি না বাসায় থাকবি??
রোজি এসে বললো এই দাড়া । শুভ কাজে যাচ্ছিস একটু মিষ্ট মুখ করে যা।
মেঘ অবাক হয়ে বললোঃ
—ভাবি যাচ্ছি ঘুরতে এখানে শুভ কাজ কি করে এলো!!?
—হুম শুভ কাজই তো। শোন এই চার দেয়ালের মধ্যে এতদিন যা হয়েছে সব ভুলে যা। বাইরে যাচ্ছিস দুজন মিলেমিশে থাকবি। ঘুরে বেড়াবি আনন্দ করবি। ওখানে গিয়ে ও যেন এরাকম মন খারাপ করে থাকবি না।
—ভাবি তুমি এমন ভাবে বলছো মনে হচ্ছে সবটাই আমার দোষ ??অন্যে কারো কিছু না!!?
—ধুর পাগলী তা হতে যাবে কেন?
আর শোন।
—হুম বলো।
—জোরে বলা যাবেনা। আস্তে বলতে হবে শুধু তোকে।
মেঘ একটু এগিয়ে এসে বললোঃ
—এবার বলো।
রোজি মেঘের কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে কি জেন বললো।
মেঘ লজ্জা পেয়ে বললো ভাবি তুমি না———-
হঠাৎ সৈকত বললোঃ
— তোমাদের কথা কি শেষ হয়েছে?যদি হয় এবার গাড়িতে উঠতে হবে । সময় অল্প।
রোজি মেঘ আর ঝিনুকের মুখে একটু করে পায়েস দেয়। সৈকতের মুখে দেওয়ার সময় বললো শোন সম্পূর্ণ নতুন জায়গায় যাচ্ছিস। অচেনা সবকিছু ,অজানা পরিবেশ। ওখানে গিয়ে একদম পাগলামি করবি না। ওদের সবার খেয়াল রাখবি, দেখে রাখবি। সবসময় ওদের সাথে সাথে থাকবি।
—আচ্ছা ।
মেঘ আর ঝিনুক বিদায় নিয়ে গাড়িতে উঠে বসলো সাথে টমি ও।
ঝিনুক বললোঃ
— ভাইয়া টমি কি যাবে আমাদের সঙ্গে??
—হ্যা যাবে।
টমিকে গাড়িতে উঠিয়ে
সৈকত এসে সামনে ড্রাইভারের পাশে সিটে বসে আবার কি মনে করে ড্রাইভার কে সরিয়ে নিজের জায়গা দিয়ে নিজে ড্রাইভিং সিটে গিয়ে বসলো।
গাড়ি চলতে শুরু করলো।
মেঘের ফোনটা বেজে উঠলো শ্বশুর ফোন করেছে। ফোনটা রিসিভ করতেইঃ
—কিরে মা কোথায় তোরা?
—এই তো বাবা কেবল গাড়ীতে উঠলাম।
—আচ্ছা তাড়াতাড়ি আয় ।
—চিন্তা করতে হবে না। ঠিক পৌছে যাব।
—আচ্ছা।
গাড়ি যখন স্টেশনে পৌছাল তখন নয় টা বাজতে আর পাচ মিনিট বাকি।
গাড়ি থামানোর সঙ্গে সঙ্গে স্টেষন থেকে দু তিন জন লোক ছুটে এসে গাড়ি থেকে লাগেজ গুলো নিয়ে কেবিনের দিকে এগিয়ে গেল।
মেঘ দেখলো তার শ্বশুর তাদের কেবিনের বাইরে দাড়িয়ে আছে।
মেঘ ছুটে গিয়ে বললোঃ
—মনে মনে খুব খারাপ লাগছিল । যাবার সময় একটা বারের জন্য আপনাকে দেখতে পারলাম না তাই।
চৌধুরী সাহেব মুচকি হেসে বললেনঃ
—মা মনে করবে আর ছেলে এসে হাজির হবে না তা কি কখনও হয় !!?
—মেঘের চোখে আনন্দে পানি এসে গেল।
—কোথাও যাবার আগে কাদতে নেই।
সৈকত কোন কথা না বলে কেবিনে গিয়ে বসলো। ঝিনুক তার বাবার সঙ্গে একটু কথা বলে মিতু কে নিয়ে ওদের কেবিনে চলে গেল।
চৌধুরী সাহেব মেঘের মাথায় হাত রেখে বললেনঃ
— দোয়া করি মা তোর সব ইচ্ছা যেন পূরণ হয়।
—জানিনা বাবা কি হবে?তবে খুব ভয় করছে। জানিনা আপনার ছেলে ওখানে গিয়ে আবার কিছু করে না বসে।
—ভয় নেই । তুই নিশ্চিন্ত মনে যা।
চৌধুরী এদিক ওদিক তাকিয়ে বললেন
—সৈকত কোথায় গেল ?ওকে তো দেখছি না।
—বাবা আপনার ছেলে মনে কেবিনের ভিতরে আছে।
—ঠিক আছে তুই এখানে একটু দাড়া। আমি ওর সঙ্গে কিছু কথা বলে আসি।
—আচ্ছা।
চৌধুরী সাহেব সৈকতের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে এলেন।
ট্রেন হুইসেল বাজালো। এখনি ট্রেন ছাড়বে।
চৌধুরী সাহেব মেঘ ছেলেটার খেয়াল রাখিস জানি আমি না বললেও তুই ওর খেয়াল রাখবি তারপরও বললাম। কিছু হলে আমাকে ফোন করবি বলে বিদায় জানালেন।
মেঘ হ্যা সূচক মাথা নেড়ে ট্রেনে উঠলো।
মেঘ ট্রেনে উঠতেই ট্রেনটা ছেড়ে দিল।
মেঘ হাত নাড়িয়ে শ্বশুর কে বিদায় দিয়ে কিছুক্ষন দরজার কাছেই দাড়িয়ে যতক্ষন তার শ্বশুর কে দেখা গেল। মেঘ মনে মনে ভাবে নিজের বাবা,মা,ভাইয়ের পর মনে হয় এই মানুষটা আমাকে সবচেয়ে বেশী ভালবাসে । নিজের মেয়ের জন্য মনে হয় এতটা ভাবেন না। যতটা আমাকে নিয়ে চিন্তা করে ,আমাকে নিয়ে ভাবে। আমি কি সত্যিই এই মানুষটার কথা রাখতে পারবো। আমি কি সত্যি সৈকত কে আমার ভালবাসায় বেধে রাখতে পারবো। পারবো ওর মনে নিজের জন্য একটু জায়গা করে নিতে !!?
পারবো কি ওর মনে আমার জন্য ভালবাসা জাগাতে।
এগুলো ভাবতেই মেঘের বুক থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে।
নিজর জন্য কিছু না পারলেও আমাকে যে বাবার জন্য কিছু না কিছু পারতেই হবে। তার যে অঘাধ বিশ্বাস আমার উপর।সেই বিশ্বাস টা আমি কিছুতেই ভাঙ্গতে দিব না।
সৈকত আর বাবার মাঝে সৃষ্ট দেওয়াল আমাকে ভাঙ্গতেই হবে। যে করেই হোক সব রহস্যের সমাধান আমাকে করতেই হবে। সিলেট থেকে ফিরে এসে আমাকে কাজে লেগে পড়তে হবে।
#১ম_পর্বের_কথা_মনে_না_থাকলে_বুঝতে_অসুবিধা_হবে।
মেঘ কেবিনে ঢুকে দেখে সৈকত চোখ বন্ধ করে হেলান দিয়ে বসে আছে। আর টমি পাশে শুয়ে ঝিমাচ্ছে।
আচ্ছা ট্রেন টা ছেড়ে দেওয়ার পর ও এতক্ষন পরও যে আমি কেবিনে আসি নি । তাতে কি উনার আমার জন্য একটুও চিন্তা হয়নি!!?
আমি কোথায়?আদেও ট্রেনে উঠতে পারলাম কিনা??
ধুর কাকে নিয়ে কি ভাবছি!!?
এই মানুষটা যে কি দিয়ে তৈরি তা উপরওয়ালা ভাল জানে??
মেঘ কোন কথা না বলে চুপচাপ নিজের সিটে গিয়ে বসে।
হঠাৎ সৈকত বলেঃ
—কোথায় ছিলে এতক্ষন?
মেঘ সৈকতের কথায় অবাক হয়ে ওর মুখের দিকে তাকাই। সৈকত এখনো আগের মত চোখ বন্ধ করেই আছে তাহলে কি করে বুঝলো যে সে এখানে!!?
—আমি কিছু জানতে চেয়েছি।
মেঘ বলেঃ
—দরজার কাছে দাড়িয়ে ছিলাম। কেন!!?
—এমনি। অনেক্ষন তো ট্রেন ছাড়লো কিন্তু তোমাকে দেখছিলাম না তাই।
—তাতে আপনার কি??আমি আসলে কি আর না আসলেই বা কি!!?আপনি কি কখনও আমার জন্য ভাবেন?
—————।
—কি হলো কথা বলেছেন না কেন??নাকি আবার আপমান করবেন তাই খুজচ্ছিলেন। এ কয়দিন নিশ্চয় মনে মনে আরো অনেক কিছুই আমার হজম হবে না তেমন অনেক কথায় জমিয়ে ফেলছেন??
—একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে না??
—বেশি??ও রিয়েলি!!?হা হা হা। আপনার মনে হয় আমি বেশী বলছি??
—এমনটা না করলেও পারতে।
সৈকতের এই ন্যাকামি কথা শুনে
মেঘের রাগ আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করলো।
নিজের সিট থেকে উঠে সৈকতের সামনে এসে বললোঃ
—কি করেছি আমি??
—এই যে শুরু করলে।
—খুব লাগছে না??আর আপনি যখন শুরু করেন তখন!!?
—সেদিন রাতে তোমাকে অনিচ্ছাকৃত ভাবে যা বলে ছিলাম তার জন্য আমি সরি।
—সরি!!জাস্ট সরি!!?
এবার সৈকতের হুট করে রাগ হয়ে গেল। রেগে বললোঃ
—তাহলে কি চাও??আমি তোমার পায়ে ধরি ?পা ধরে ক্ষমা চাই?যদি তাই চাও তাহলে ঠিক আছে এই যে ,বলে সৈকত
উঠে মাথা নিচু করতে গেল।
সৈকতের কান্ড দেখে মেঘের রাগে শরীর জ্বলতে শুরু করলো । দ্রুত ওখান থেকে সরে গিয়ে আবার নিজের সিটে গিয়ে বসলো। মনে মনে ভাবেছে
কথা বলাই ভুল হয়েছে। এই মানুষটার সাথে যত কম কথা বলা যায় ততোই ভাল। তাই দূর দৃষ্টি দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে । আর নিজের ভাগ্যের কথা ভাবছে।
সৈকত তার স্যুটকেস থেকে বোতল বের করে ঢকঢক করে খাওয়া শুরূ করলো।
কিছুক্ষনের মধ্যে পানির বোতলের সব পানি ও শেষ হয়ে গেল।
মেঘের দিকে তাকিয়ে জিঙ্গাসা করলো তার কাছে কোন পানি আছে কিনা?
মেঘ মাথা নাড়িয়ে না বলে দিল।
—এখন কি করি?আমার নেশা টাও তো তেমন হলো না।
—এতই যখন নেশার দরকার তাহলে বসে আছেন কেন?
—তাহলে কি করবো?
—বোতল নিয়ে বাথরুমের ট্যাপ থেকে পানি নিয়ে আসুন।
সৈকত চোখ বড় বড় করে বলে কি বললে তুমি !!?
—কেন শুনতে পান নি? আবার বলবো?
—এই তুমি জানো বাথরুমের পানিতে কত জীবাণু থাকে?
—না জানিনা। আর জানার প্রয়োজনও মনে করি না।
কথা বলতে বলতে ট্রেন টা একটা স্টেশনে এসে দাড়াল।
ট্রেন থামতেই সৈকত বললোঃ
—ঠিক আছে জানতে হবে না। তাহলে একটা কাজ করো।
—কি কাজ!!?
—ঐই যে বাইরে দোকান দেখা যাচ্ছে তুমি দোকানে গিয়ে একটা মিনারেল পানির বোতল নিয়ে আসো।
—কি ??আমি!!হুম। আমি যাবো পানি আনতে??তাও আবার আপনার মদ খাওয়ার জন্যে??মোটেও না। পারবোনা আমি। পারলে নিজে গিয়ে নিয়ে আসুন।
—ওকে ঠিক আছে। তবে আমি না ফিরে আসলে কিন্তু আমার দোষ না।
—মানে??
—মানে কিছু না। আমি গেলাম বলে সৈকত উঠে চলে গেল।
টমি টা এতক্ষন ট্রেন চলার তালে তালে ঘুমাচ্ছিল। ট্রেন থামতেই ওর ঘুমটা ভেঙ্গে গেল।
মেঘ ফোনটা বের করে ওর আম্মুর সাথে আর ভাইয়ের সাথে কথা বলে।
তারপর রোজির নম্বরে ফোন দিয়ে কথা বলতে বলতে হঠাৎ ট্রেন ছাড়ার শব্দ হয় । মেঘ দ্রুত ফোনটা রেখে দরজার কাছে গিয়ে দাড়ায় সৈকত কে দেখার জন্য। ততক্ষনে ট্রেনের গতি বাড়তে শুরু করছে।
মেঘ এখন কি করবে বুঝতে পারছে না।
হতোচ্ছড়া বর টা যে সত্যিসত্যিই এরাকাম করবে মেঘের বিশ্বাস হচ্ছে না।
যা বলে ছিল “যদি আসতি না পারি”
সেটাই করলো। ফোন ও ব্যবহার করে না যে একটা ফোন করবে।
হঠাৎ ইমাজেন্সি চেন টানার কথা মনে পড়ে। চেন টানতে যাবে তখনই পেছন থেকে সৈকতের কন্ঠ শুনতে পায়ঃ
—কি?? তাহলে নিজের স্বামীর থেকে সিকিউরিটি বড় তাইনা???
মেঘ কোন কথা না বলে বিস্ময় ভরা দৃষ্টিতে সৈকতের দিকে চেয়ে থাকে।
—কি হলো মুখে তালা কেন?
—আপনি জানেন আমি কতটা টেনশনে ছিলাম?
—হা হা হা। সেটা কি আমি করতে বলেছি ??
—আমি বুঝতেই পারছিলাম না যে কি করবো। আর আপনার ফোন ও নেই যে ফোন করবো।
—আমার জন্য কিছু না। সব তোমার নিজের জন্য।
—মানে!!?
—এত দুঃশ্চিন্তা হচ্ছিল সেটা আমাকে নিয়ে না। তোমার নিজের জন্য দুঃশ্চিন্তা হচ্ছিল। কারণ এখানে তো আমাকে সিকিউরিটি হিসাবে পাঠানো হয়েছে। তাই হয়তো তুমি——-
—আপনি না আসলেই একটা——–
—জানি তা আর বলার দরকার নেই।
—এরাকম একটা পরিস্থিতিতে পড়লে সেদিন বুঝবেন। তার আগে না।
সৈকত আর মেঘের কোন কথায় কান না দিয়ে নিজের মত করে আবার বোতল আর পানিতে মন দিল।
মেঘ চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষন নিজের ভাবনায় ডুব দিল।
হঠাৎ দুড়ুম করে শব্দ হল। শব্দ টা কানে যেতেই মেঘ চোখ খুলে দেখে সৈকত নীচে পড়ে আছে।
মেঘ উঠে গিয়ে সৈকত কে আস্তে করে আবার সিটে তুলে দিয়ে নিজের জায়গায় এসে বসে।
আরেকটু পরে আবার সৈকত দুড়ুম করে পড়ে যায় ।
মেঘ আর সৈকতকে তুলে না দিয়ে চুপচাপ নিজের জায়গায় বসে থাকে। কারণ সৈকতের এখন যে অবস্থা তাতে তুলে দিলে আবার পড়ে যাবে। আর তখন হাত অথবা ঘাড়ে আঘাত লাগার সম্ভাবনা বেশী।
(চলবে…)