#নাটাই_ঘুড়ি
।।২৩।।
সাবলেট ভাড়াটিয়ার বিজ্ঞাপন দেখে দেখে রূম্পা সব টুকে টুকে তুলেছে।
মায়ায় ভরে গেল ইমরুলের বুকের ভেতরটা। আহারে!
মেয়েটা একটা সংসার চায়। সে মনে মনে ঠিক করে ফেলল, তিথিকে বলবে তার জন্য অপেক্ষা না করতে।
রূম্পা অনেক করেছে তার জন্য। বসে বসে তার দুঃখের গল্পগুলো শুনেছে।
এরকম সহমর্মীই বা কজন হতে পারে!
তবে তাই হোক। রূম্পা যদি তাকে আঁকড়ে ধরে নতুন করে স্বপ্ন সাজাতে চায়, সেও বা খারাপ কী।
—————————————————————————–
অবাক হয়ে সামনে বসা লোকটির দিকে তাকিয়ে রইল নাইমা।
আজকে আব্বাকে পোস্ট অপারেটিভ থেকে কেবিনে শিফট করে দেওয়ার কথা। এই জন্য বড় ভাইয়া, মেজ ভাইয়া সবাই গেছে ঢাকায় আব্বার কাছে।
এ কারণে পাওনাদারদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে নাইমার সাথেই দেখা করতে এসেছে। ভাবীরা কেউই এসব বুঝতে পারবার মত কিংবা চেষ্টা করবার মত আগ্রহ দেখাননি।
“আপনি সত্যি বলছেন?”
“মিথ্যা বলব কেন? বায়ান্ন লক্ষ টাকা আপনাদের জন্য জমা হয়েছে, তাই বাড়িটা আমরা দখল করে নিচ্ছি না। এই যে লেনদেন ক্লিয়ারের ডকুমেন্ট।“
“কে জমা দিয়েছে?”
“স্যরি ম্যাডাম, নাম বলতে পারব না। যিনি জমা দিয়েছেন তিনি আমাদের নিষেধ করেছেন যেন তার নাম আপনাদের না জানানো হয়। তিনি নাম গোপন রেখেই আপনাদের সাহায্য করতে চাইছেন।“
নাইমা মাথা নাড়ল। নেপথ্যের মানুষটিকে বোধ হয় সে চিনতে পেরেছে।
শাহীন! সে ছাড়া আর কেই বা হবে এমন সুজন?
(পরের পর্ব কালকে রাতে বারোটার পর ইন শা আল্লাহ)