মেঘপিয়নের_ডাকে পর্ব ১৮

0
3242

#মেঘপিয়নের_ডাকে
পর্ব ১৮

খোলা চূলগুলো হাত খোপা করেই সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামল অবনী। গ্লাসে পানি ঢেলে এক চুমুক দিতেই জায়েদ রহমান গম্ভীর কণ্ঠে বললেন
–তুমি এখনো ঘুমাওনি মামনি।

নিস্তব্ধ ঘরটায় হুট করেই এমন গম্ভীর আওয়াজের ভারে কিছুটা ভয় পেয়ে গেলো অবনী। গ্লাস রেখে চট করে ঘাড় ফিরিয়ে জায়েদ রহমানকে দেখে সস্তি পেলো। বলল
–না বাবা। আপনার ছেলে এখনো আসেনি। তাই অপেক্ষা করছিলাম।

জায়েদ রহমানের ভ্রু কুচকে এলো। চোখের পলক ফেলে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থেকে বলল
–আসেনি এখনো? কোথায় গেছে জানো?

অবনী মাথা নাড়িয়ে না বলল। জায়েদ রহমান গভীর চিন্তায় ডুবে গেলেন। অনেকটা সময় নিয়ে ভাবলেন জুনায়েদ এতো রাত অব্দি কোথায় যেতে পারে। কিছু একটা ভেবেই মুখটা ফ্যাকাশে হয়ে গেলো। মাথাটা নিচু করে ফেললেন। নরম কণ্ঠে বললেন
–জুনায়েদ কখন আসবে তার কোন ঠিক নেই। তুমি শুয়ে পড়। চিন্তার কিছু নেই। চলে আসবে।

কথা শেষ করে তিনি নিজের ঘরের দিকে পা বাড়ালেন। অবনী পেছন থেকে ডাকল
–বাবা।

থেমে গেলেন তিনি। ঘুরে বললেন
–কিছু বলবে?

–ওনার তো অফিস ছুটি। আর ছুটির দিনে এতো রাত অব্দি বাইরে থাকেন না। দেরি করে ফেরার কারণটা আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। আমার মনে হয় আপনি জানেন উনি কোথায় গেছেন।

অবনীর কথার জবাব দিতে নিজেকে কিছুটা প্রস্তুত করে নিলেন জায়েদ রহমান। মাথা নিচে রেখেই বললেন
–জুনায়েদের জন্মদিন আগামীকাল। ওর মা বেঁ’চে থাকতে এই দিনটা অনেক আয়োজন করে পালন করত। মা মা’রা যাবার পর থেকে এই বাড়িতে জুনায়েদের কোন জন্মদিন পালন হয়নি। সে চায়নি বলেই হয়নি। আজকের রাতটা সে সারারাত বাইরে কাটায়। আর কাল সারাদিন ঘুমিয়ে কাটাবে। আমার ছেলেটা খুব চাপা স্বভাবের। নিজের কষ্ট কাউকে বুঝতে দেয়না। এই দিনটা সে নিজের মতো কাটায়। একদম একা। কারো সাথে কথা বলেনা। ওর মাকে খুব মিস করে এই দিনে। তাই আমিও ওকে ওর মতোই ছেড়ে দেই এই দিনে। এতো বছরে আজ অব্দি জন্মদিনের শুভেচ্ছাটাও জানাতে পারিনি।

জায়েদ রহমান আর দাঁড়াতে পারলেন না। তার নিজেরও খুব কষ্ট হয় এইদিনে। ছেলেকে এভাবে কষ্ট পেতে দেখে তিনি হতাশ হয়ে যান। নিজের ঘরে চলে গেলেন। অবনী স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো কয়েক মুহূর্ত। সে জুনায়েদের কষ্টটা উপলব্ধি করতে পারছে। চোখে পানি টলমল করে উঠলো। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ঘরে গেলো। কয়েকবার ফোনটা হাতে তুলে নিয়েও জুনায়েদকে ফোন করা হলনা। তাকে একা থাকার সুযোগ দিলো। বিছানায় এপাশ ওপাশ করে অর্ধেক রাত কাটিয়ে দিলো অবনী। রাত ২ টায় জুনায়েদ ফিরে এলো। জুনায়েদ এসে অবনীকে বিছানায় দেখে ভাবল সে ঘুমিয়ে আছে। কিন্তু অবনী তখনও জেগে ছিল। জুনায়েদ ফ্রেশ হতে চলে গেলো ওয়াশরুমে। জুনায়েদের কষ্ট উপলব্ধি করতে গিয়ে অবনীর আজ নিজের বাবা মায়ের কথা মনে পড়ে গেছে। কতোটা অসহায় লাগে নিজেকে সেটা সে বুঝতে পারছে। জুনায়েদ ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে অবনীকে বসে থাকতে দেখে অবাক হয়ে গেলো। বলল
–তুমি ঘুমাওনি?

অবনী তখন জুনায়েদকে দেখতেই ব্যস্ত। ভীষণ বিদ্ধ’স্ত আর এলোমেলো লাগছে তাকে। খুব কাছের একজন মানুষের অভাব। অবনীর চুপ করে থাকা দেখে জুনায়েদ বিছানায় বসে পড়লো। অবনীর মাথায় হাত রেখে বলল
–খারাপ লাগছে? উঠে গেলে যে?

–আপনি কোথায় ছিলেন?

কোন ভঙ্গিমা ছাড়াই কাঁপা কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করলো অবনী। জুনায়েদ হাত সরিয়ে ফেললো। আজকের দিনে তাকে কেউ প্রশ্ন করেনা। কিন্তু অবনী যেহেতু এই বাড়িতে নতুন তাই সে কিছুই জানে না। তার প্রশ্ন করা স্বাভাবিক ধরে নিয়েই বলল
–কাজ ছিল।

–কি কাজ?

মন ভালো না থাকায় এখন অবনীর প্রশ্নগুলো জুনায়েদের খুব বিরক্ত লাগতে শুরু করলো। কঠিন গলায় বলল
–সেসব তোমার না জানলেও চলবে। তুমি ঘুমাও। আর হ্যা আজকের দিনে আমাকে কেউ প্রশ্ন করেনা। তুমিও করবে না।

অবনী শ্বাস ছেড়ে বলল
–এতদিন কেউ প্রশ্ন করার জন্য ছিল না তাই করেনি। এখন আমি আছি। আমার সব জানার অধিকার আছে। আমি আপনার স্ত্রী। আপনার মনের সমস্ত কষ্ট জানার অধিকার আমার আছে।

জুনায়েদ চোখ বন্ধ করে ফেললো। কঠিন গলায় বলল
–আমার মন ভালো নেই অবনী। শুয়ে পড়। যা না জানলে নয় সেটা তুমি জানতে পারবে। বাকি আর কিছু জানতে চেও না। আমাকে বিরক্ত করো না।

অবনী নাছোড়বান্দার মতো বলল
–বাকি কিছুই থাকবে না। এতদিন আপনি নিজের ইচ্ছা মতো চলেছেন। আর না। আমাকে বলতে হবে জুনায়েদ সাহেব।

জুনায়েদ এমন জেদের কারণে রেগে গেলো। হাত ধরে বিছানা থেকে নেমে দিয়ে বলল
–এই ঘর থেকে বের হয়ে যাও। আর আমাকে আগামি ২৪ ঘণ্টা বিরক্ত করবেনা। নাহলে আমি রে’গে গেলে খুব খারাপ হবে।

অবনী একটুও রাগ করলো না। ভীষণ অসহায়ের মতো বলল
–আমি বুঝতে পারছি আপনার কষ্ট হচ্ছে। সেটা নিবারন করার ক্ষমতা হয়তো আমার নেই কিন্তু তবুও আমি আপনার কষ্ট সহ্য করতে পারছি না। আমি মেনে নিতে পারছি না আপনি এভাবে কষ্ট পাচ্ছেন। আমার সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছে।

কথাটা বলতে বলতেই অবনী কেদে ফেললো। তার কান্না বাধ মানছে না। হাতের উলটো পিঠ দিয়ে চোখ মুছে নিলো। জুনায়েদ সবটা খেয়াল করলো। এমনিতেই তার কষ্টের শেষ নেই তার উপর আবার অবনী এভাবে কাঁদছে সেটা দেখেই সে অসহায়ের মতো বলল
–কেঁদো না অবনী। আমার অসহ্য য’ন্ত্রণা হচ্ছে।

অবনী জুনায়েদের পাশে দাঁড়ালো। ঘাড়ে আলতো করে হাত রেখে বলল
–সারাজীবন এভাবে কষ্ট পেতেই থাকবেন? এটা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করুন জুনায়েদ সাহেব। জীবনটা অনেক সুন্দর। বেঁচে থাকার জন্য হয়তো অনেক কিছু লাগে। কিন্তু ভালো থাকার জন্য অল্পকিছু সুন্দর মুহূর্তই যথেষ্ট। সেই মুহূর্তগুলোকে উপলব্ধি করতে চেষ্টা করুন। দেখবেন কষ্ট অনেকটা কমে গেছে। মা হয়তো এখন আপনার কাছে নেই। কিন্তু বাবা তো আছেন। আপনাকে এভাবে দেখে বাবা কতোটা কষ্ট পাচ্ছেন সেটা হয়তো আন্দাজ করতে পারছেন না আপনি। জানেন বাবা আজ আফসোস করে বলছিলেন কত বছর আপনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে পারেন নি।

একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার বলল
–আমার বাবা মা কেউ নেই। তবুও যাদেরকে বাবা মা হিসেবে মেনে নিয়েছি তাদের মাঝেই সুখ খুঁজে নিয়েছি।

জুনায়েদ নিজেকে সামলে রাখতে পারলো না। অবনীর কোমর জড়িয়ে কেদে ফেললো। অবনী কয়েক সেকেন্ডের জন্য থমকে গেলেও কিছুই বলল না। কারণ জুনায়েদকে কাঁদতে দিলেই তার ভেতরটা শান্ত হবে। কষ্টটা কমে যাবে। তাই অবনীও তাকে জড়িয়ে নিলো। জুনায়েদ কাঁদতে কাঁদতে এক পর্যায়ে বলল
–ভালোবাসি অবনী। তোমাকে খুব ভালোবাসি। তুমি আমাকে কখনো ছে’ড়ে যেও না প্লিজ। আমি মেনে নিতে পার’বো না।

ভালোবাসার কথা শুনে অবনী থমকে গেলো। এলোমেলো চিন্তা ধারা তার মস্তিস্ক গ্রাস করছে। এর মাঝেই জুনায়েদ তাকে ছেড়ে দিয়ে কোলে বসিয়ে নিলো। দুই হাতে গাল চেপে ধরে বলল
–আমি সত্যিই তোমাকে খুব ভালোবাসি অবনী। আমাকে ফিরিয়ে দিও না। আমার শুন্য জীবনে তোমাকে খুব প্রয়োজন। তোমার ভালোবাসা প্রয়োজন। আমাকে একটু ভালোবাসো। কথা দিচ্ছি তোমাকে কোনদিন আফসোস করার সুযোগ দিব না।

অবনী চোখ বন্ধ করে ফেললো। জুনায়েদ তাকে ছেড়ে দিলো। উঠে দাঁড়িয়ে বলল
–আমি তোমাকে জোর করতে চাইনি। তুমি আমার কাছে থাকবে কিনা সেটা তোমার উপরে ছেড়ে দিলাম। তুমি চাইলেই বাংলাদেশে ফিরে যেতে পারো। আমি আটকাব না।

অবনীর চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো। আজকাল এই মানুষটার কষ্ট সে একদম সহ্য করতে পারেনা। জুনায়েদ সামান্য কষ্ট পেলে অবনীর মনে হয় সে নিজেই তার থেকে বেশী কষ্ট পাচ্ছে। জুনায়েদকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল
–আপনাকে রেখে কোথাও যাবো না।

জুনায়েদ অবনীকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। কিছুটা সময় ওভাবে থেকে ছেড়ে দিয়ে আলতো করে মুখটা তুলে ধরল। অবনী মুচকি হেসে বলল
–শুভ জন্মদিন জুনায়েদ সাহেব। আপনার প্রতিটা জন্মদিন শুভ হোক। সুখে ভরে উঠুক আপনার জীবন।

জুনায়েদ মুচকি হাসল। অবনীর কোমর জড়িয়ে ধরে বলল
–শুধু শুভেচ্ছা? গিফট কোথায়?

চোখের পাতা পিটপিট করে অস্থির পলক ফেললো অবনী। কৌতূহলী কণ্ঠে বলল
–কি চাই আপনার?

জুনায়েদ বাকা হেসে বলল
–যা চাই তা পাবো তো?

অবনী কোন কিছু না ভেবেই চমৎকার হেসে বলল
–আমার সাধ্যের মধ্যে থাকলে অবশ্যই পাবেন। বলুন কি চাই আপনার?

–আমার মন ভালো করার দায়িত্ব নিতে হবে যে।

অবনী হেসে বলল
–আপনার মন ভালো করার দায়িত্ব আজ আমি নিলাম জুনায়েদ সাহেব। আপনার মন ভালো করার জন্য আমি সব করতে প্রস্তুত। বলেই দেখুন একবার।

অবনীর চোখের মাঝে নিজের দৃষ্টি স্থির করে বলল
–ভেবে বলছ তো?

অবনী অপ্রস্তুত হয়ে তাকাল। জুনায়েদের গলার স্বর আর কথা বলার ভঙ্গী সবটাই কেমন অদ্ভুত ঠেকল। কিছু বলার আগেই জুনায়েদ বলল
–আর ভাবার দরকার নাই। একবার যখন বলেই ফেলেছ তাই আর ভাবার সময় দিতে পারছি না। আমি আবার বড় নি’ষ্ঠুর।

অবনী পিটপিট করে তাকাল। জুনায়েদ আরেক হাত অবনীর গালে আলতো করে রেখে তার দিকে ঝুঁকে গেলো। অবনীর হৃদপিণ্ডের গতি বেড়ে গেলো। বুঝতে বাকি থাকলো না জুনায়েদের ইঙ্গিত। জুনায়েদের গভীর দৃষ্টির কারণে লজ্জায় হার মেনে চোখ বন্ধ করে ফেললো। অবনীর অঘোষিত সম্মতি বুঝেই জুনায়েদ মুচকি হাসল। সর্বত্র ছড়িয়ে দিলো গভীর প্রণয়ের রেশ।

————-
এয়ারকন্ডিশনের হাওয়াটা পরিবেশ শীতল করে দিলেও তীব্রভাবে ঘামছে তৈয়বা নাজনিন। ভয়ে তার গলা শুকিয়ে আসছে। বারবার তিনি শুকনো ঢোক গিলে নিজেকে শান্ত করার বৃথা চেষ্টা করছেন। কিন্তু কোন লাভ হচ্ছে না। টেবিলে পড়ে থাকা ছু’রিটা তার ভয় বাড়িয়ে দিচ্ছে। আশরাফ সাহেব বেশ শান্ত ভাবেই ছু’রিটা হাতে তুলে নিলেন। এদিক সেদিক নাড়াতে নাড়াতে বললেন
–বলেছিলাম কোনভাবে যদি আমি জানতে পারি যে আমাকে র‍্যা’বের হে’ড কোয়ার্টারে ডাকার পেছনে তোমার কোন হাত আছে তাহলে তোমার নিস্তার নেই। তারপরেও এমন সাহ’স করলে কিভাবে?

তৈয়বা কেঁপে উঠলো। এই লোকটাকে সে আর বিশ্বা’স করতে পারেনা। এক সময় এই লোকটার কথাই তার জন্য সবটা ছিল। কিন্তু এখন সে এটা অন্তত বুঝে এই মানুষটা অত্যন্ত স্বার্থপ’র। নিজেকে ছাড়া আর কারো কথা ভাবে না। এই মুহূর্তে হাতে ধরে থাকা ছু’রি তার গলায় চা’লিয়ে দিতেও দুবার ভাববে না। কিন্তু এটা ভয় পাবার সময় নয়। তার মে’য়েকে এই লোকের হাত থেকে বাঁ’চাতেই হবে। নিজেকে শক্ত রাখার চেষ্টা করে বলল
–তোমাকে আমি আর ভ’য় পাইনা। কি ভেবেছ এসব করে আমাকে ভ’য় দেখাবার চেষ্টা করলেই আমি তোমার ভ’য়ে সব স্বী’কার করে নেবো? অসম্ভব। হ্যা। তুমি ঠিক ধরেছ আমিই জুনায়েদকে তোমার সব কী’র্তিকলা’পের কথা জানিয়েছি। আর সেই র‍্যা’বে’র কাছে তোমার সব ই’নফর’মেশন পাঠায়।

আশরাফ উঠে এসে তৈয়বার গলা’য় ছু’রি চে’পে ধরলেন। দাঁতে দাঁত চেপে বললেন
–তোমাদের এই ষ’ড়য’ন্ত্র আমার কোন ক্ষ’তি করতে পারবে না। উপযুক্ত কোন প্রমা’ন তাদের কাছে নেই। পারেনি আমাকে আট’কে রাখতে। ছেড়ে দিয়েছে। আমি ঠিকই চলে এসেছি বাসায়।

তৈয়বা ভ’য় পেয়ে গেলো। কিন্তু আশরাফের সামনে সেটা প্রকাশ করলো না। আশরাফ তৈয়বাকে ছেড়ে দিলেন। আবার চেয়ারে এসে বসে বললেন
–ভ’য় পেও’না। আমি তোমাকে মা’রব না। বাঁ’চিয়ে’ই রাখবো। তুমিই তো আমার তু’রু’পের তাস। তোমাকে দিয়েই বাকিটা হাসি’ল করতে হবে।

ফোনটা এগিয়ে দিয়ে বলল
–ফোন করো তোমার জামাইকে। বল মেয়েকে নিয়ে তাড়াতাড়ি চলে আসতে।

তৈয়বা কয়েক সেকেন্ড চুপ করে থেকে বলল
–আমি অবনীকে বলেছি। আসবে। সামনে সপ্তাহে।

আশরাফ গভীর ভাবে ভাবল। ভীষণ অসহায় কণ্ঠে বলল
–এতো দেরি কেন? আমি যে তাকে দেখার জন্য অস্থির হয়ে আছি। সে কি বুঝতে পারছে না তার বাপি তাকে কতোটা মিস করছে। এখনই আসতে বল।

তৈয়বা অদ্ভুতভাবে তাকাল। আশরাফ কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থেকে বলল
–ফোন করো এখনই।

পরিস্থিতি বেগতিক বুঝেই তৈয়বা একটা শ্বাস ছেড়ে ফোনটা হাতে তুলে নিলো। অপেক্ষা না করেই জুনায়েদের নাম্বারে ডায়াল করলো। প্রথমবারে ফোনটা কেটে গেলো। তৈয়বা হতাশ হয়ে আবারো ফোন করলো জুনায়েদের নাম্বারে। দ্বিতীয়বার জুনায়েদ ফোনটা ধরল কিন্তু কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়েই তৈয়বা ভীত কণ্ঠে বলল
–জুনায়েদ অবনীকে নিয়ে তুমি চলে এসো তাড়াতাড়ি।

চলবে……

(রিচেক করা হয়নি। ভুল থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here