পবিত্র ভালোবাসা❣️পর্ব-১৮

0
1549

#পবিত্র_ভালোবাসা ❣️
#Writer_ইসরাত_জাহান_মাওয়া
#পর্ব_১৮

অর্ণিল: ঈশান মেরি তোকে ভালোবাসে না জাস্ট টাইম পাস করে কজ আমি গতকাল মেরি কে একটা ছেলের সাথে ঘুরতে দেখেছি।

ঈশান: হতে পারে ওই ছেলে ওর ফ্রেন্ড।

অর্নিল: ফ্রেন্ডের সাথে কি ঐভাবে চলা যায়?

ঈশান: তুই কি বলতে চাস ?

অর্ণিল: মেরি শুধু তোর সাথে না অনেক ছেলের সাথেই রিলেশনে আছে এমনকি ছেলেদের সাথে ডেই….(বলার আগেই)

ঠাস ঠাস

অর্নিল সামনে তাকিয়ে দেখে মেরি….

মেরি: তোমার সাহস কি করে হয় আমার নামে খারাপ কথা বলার তাও ঈশান কে। তুমি ঈশানের চোখে আমায় খারাপ বানাতে চাচ্ছো? কিন্তু কেনো?ওহহ বুঝছি গতকাল তুমি আমাকে প্রপোজ করেছিলে আমি একসেপ্ট করি নাই বলে আজ ঈশানের সামনে আমাকে খারাপ বানাচ্ছো।

ঈশান তো মেরির কথা শুনে অবাক হয়ে অর্ণিলের দিকে তাকালো….

অর্ণিল: কি বলছো কি মেরি? কবে আমি প্রপোজ করেছি তাও তোমার মতো মেয়েকে। তোমার সাথে তো কথা বলতে আমার ঘৃনা হচ্ছে ভালোবাসবো কিভাবে হাউ ফানি?!
ঈশান দেখ তোর সামনে আজ এই মেয়ের মুখোশ খুলে গেছে। এই মেয়ে যে কত বড় মিথ্যাবাদী তার প্রমাণ তো তুই পেয়ে গেছিস ভাই।

মেরি: ঈশান বেবি তুমি আমাকে ট্রাস্ট করো না । তোমার এই ফ্রেন্ড গতকাল আমার সাথে খুব খারাপ বিহেভ করেছে(বলেই ন্যাকা কান্না করতে লাগলো)

অর্নিল: তোকে কি ট্রাস্ট করবে আমার বন্ধু জানে ওর এই ফ্রেন্ড কখনো ওর সাথে মিথ্যা বলতে পারে না। আর তুই তো গতকাল ওই ছেলের সাথে(বলতেই আরেকটা চড় বসলো অর্নীলের গালে এই এইবার চড় যে দিয়েছে তাকে দেখে অনেক বড় একটা শক খেলো অর্নিল কেননা চড় টা ঈশান মেরেছে) দোস্ত(গালে হাত দিয়ে অবাক হয়ে তাকিয়ে) তুই আমাকে….

ঈশান: আর একটা কথা বলবি না তুই আমার সাথে। তোকে এখন নিজের বন্ধু ভাবতেও ঘৃনা হচ্ছে আমার। তুই শেষমেশ এই বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারলি আমার সাথে।

অর্নিল: ঈশান এই মেয়ে কে বিশ্বাস করে তুই তোর ছোটো কালের বন্ধু কে অবিশ্বাস করলি । আরেহ এই মেয়ে হচ্ছে কালনাগিনী আর তোর বউ মানে ভাবি হলো একজন ঈমানদার ধার্মিক মেয়ে । তোর ভাগ্য ভালো ভাবির মতো একজন স্ত্রী পেয়ে কিন্তু তুই সেই মর্মটা বুঝতে পারছিস না। আমার মনে হচ্ছে তুই এখনও অন্ধ এই কালনাগিনীর (মেরি কে দেখিয়ে) রূপে অন্ধ কিন্তু বুঝতে পারছিস না এইটা রূপ না এইটা বিষ যা তোকে শেষ করে দিবে।

ঈশান: স্টপপপপপপপপপ আর একটা কথা বলবি না। আর শুন আজ থেকে তোর সাথে আমার সব সম্পর্ক শেষ। তোর মতো ফ্রেন্ড থাকার চেয়ে না থাকা ভালো।

অর্নিল ঈশানের এই কথাটা শুনে অনেক্ষণ ঈশানের তাকিয়ে যখন চলে আসতে নিলো তখন মেরি তাকে চোখ টিপ দিলো আর বুঝালো যে আমি যা চাই তাই পাই আর মুখে শয়তানি হাসি ।

তিয়াস: অর্নিল শুন….(অর্নিলের পিছনে যেতে যেতে) এই অর্ণিল শুন….

অর্ণিল: তুই ও কি ঈশানের মতো বলতে এসেছিস যে ফ্রেডন্ডশিপ শেষ ।

তিয়াস: মাইর খাবি তুই । ঈশান হইতো এখন ড্রিঙ্কস অবস্থায় আছে তাই হইতো এইসব বলেছে সিরিয়াসলী নিস না ।

অর্ণিল: কোনটা সেরিয়াস আর কোনটা মাতাল অবস্থা এইটুকু বুঝার মতো ক্ষমতা মহান আল্লাহ তায়ালা আমাকে দিয়েছে। আর বুঝাতে আছিস না।

তিয়াস: যাহ কিছুই বুঝাবো না বাট আমার একটা কথা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।

অর্নিল: কি কথা?

তিয়াস: তুই আজ ঈশানের বউ নিয়ে এতো কিছু বলেছিস বাট জানলি কিভাবে কজ ওনার সাথে তো আমাদের কথা হয় নাই।

অর্নিল: হাহাহা। আচ্ছা চল হাটতে হাটতে বলি।

তিয়াস: হুম।

অর্ণিল: ঈশানের বৌভাতে ঈশান বলছিলো না যে জান্নাত নতুন আইডি খুলেছে।

তিয়াস: হুম। তো কি হয়েছে?

অর্নিল: তো আমি ঈশানের কাছ থেকে জান্নাতের আইডির নাম জানি পরে সার্চ দেই আর ওর আইডি পাই। বিশ্বাস করবি কিনা জানি না যে মেয়ে প্রতিদিন কতো পিক আপলোড দিতো আর কত কত আজেবাজে পোষ্ট দিতো সেই মেয়ে যা লিখছে সব ইসলামিক স্টোরি বা অনুগল্প বা কোনো সুরার আয়াত কোথা থেকে কি এইসব। প্রতিটি পোস্ট পড়ে আমার মনে একটা ভয় চলে আসে। আর সেই ভয় হলো মৃত্যুর ভয়। আমাদের তো একদিন না একদিন মরতেই হবে। মৃত্যুর পর যে আমাদের আবার জীবিত করা হবে হিসাব নিকাশ করা হবে পাপ পুণ্যের খাতা খুলা হবে আর জাহান্নামের বিবরণ ও বলা হয়েছে। জাহান্নামের আগুন আমাদের পৃথিবীর আগুনের থেকে ৭০ গুন তীব্র পৃথিবীতে এর এক ভাগ। চল তোকে দেখায় জান্নাতের আইডি টা আর চল আমরা জান্নাত জাহান্নাম সম্পর্কে আরেকটু জানি।

তিয়াস: ওকে ব্রো….

পরে ওরা জান্নাতের আইডি তে ঢুকলো এবং জাহান্নাম ও জান্নাত নিয়ে একটা পোষ্ট খুঁজলো আর টা পেয়ে ও গেলো।

পোষ্ট টি ছিলো…..

#জান্নাত_ও_জাহান্নাম

জান্নাত ও জাহান্নাম। দুই পথ। দুই পরিণাম। দুই বাসস্থান। নেককারদের জান্নাতের বিপরীতে অসৎ কর্মশীলদের জন্যে রয়েছে জাহান্নাম।

জাহান্নামের স্তর সাতটি। অন্যায় ও জুলুমের স্তর বিবেচনা করে অপরাধীদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে উপযুক্ত স্থানে। টেনে নেওয়া হবে মাথার চুল ধরে। পুলসিরাতের ওপর চলতে গিয়ে জাহান্নামিরা একে একে পরতে থাকবে ক্বারার তথা স্বীয় অবস্থানস্থলে। তন্মধ্যে যাদের অন্তরে বিন্দু পরিমাণ ঈমান আছে, নির্দিষ্ট পরিমাণে শাস্তি ভোগ করার পর তারা আসবেন জান্নাতে। আর নাস্তিক, মুরতাদ কিংবা অবিশ্বাসীরা অনন্তকালের জন্যে থেকে যাবে ওখানেই। আল্লাহতায়ালা আগুনের থাম দিয়ে তাদের বাসস্থানকে এমনভাবে চারদিক থেকে আবদ্ধ করে দেবেন, যেন তিনি তাদের ভুলে গেছেন। কিন্তু অভ্যন্তরে যথারীতি চলতে থাকবে তাদের কৃতকর্মের ফলাফল।

জাহান্নামিদের শাস্তির বর্ণনা দিতে গিয়ে কোরআনে কারিমে বারবার বলা হয়েছে- ‘নার’ তথা আগুন। যে আগুনের তীব্রতা গায়ের চামড়া খসিয়ে দেবে পুরোপুরি, পরক্ষণেই তা আবার পুনরায় পূর্বের রূপে ফিরে যাবে। আবারও আগুন তা খসিয়ে দেবে। তাদের আঘাত করা হবে আগুনের মুগুর দিয়ে।

এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘কখনও না! তারা নিক্ষিপ্ত হবে হুতামায়। তুমি কি জানো হুতামা কি? (তা তো হলো) আল্লাহর প্রজ্বলিত আগুন। যা অন্তরসমূহকে গ্রাস করে। তা তাদেরকে বেষ্টন করে রাখবে। অতি উঁচু স্তম্ভসমূহে।’ -সূরা হুমাযাহ: ৪-৯

কোরআনে জাহান্নামের পানি আর ছায়ার বর্ণনাও রয়েছে। তার ধরণ হলো- তারা পানি চাইলে দেওয়া হবে গলিত সীসা আর ছায়া হবে উত্তপ্ত। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তারা থাকবে অতি উষ্ণ বাতাস ও গরম পানিতে। ছায়া হবে উত্তপ্ত।’ -সূরা ওয়াকিয়া: ৪২-৪৩

কোরআনের বর্ণনায় উঠে এসেছে এমন আরও বহুবিধ শাস্তির কথা। আর এসব বর্ণনার মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা চেয়েছেন প্রিয় বান্দাদের সতর্ক করতে। জাহান্নামের এতসব বর্ণনা থাকলেও কিন্তু কোথাও আসেনি শীতল শাস্তির বর্ণনা। তাই বলে কি শীতল কোনো শাস্তি আখেরাতে হবে না?

এ প্রশ্নের উত্তর জানতে আসুন শুনে নেই কোরআনের একটি আয়াত। ওই আয়াতে আল্লাহতায়ালা জান্নাতিদের নিয়ামতের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘তারা সেখানে আস্বাদন করবে না শামস (উত্তপ্ততা) এবং যামহারির (শীতলতা)।’ -সূরা দাহর: ১৩

কোরআনের কারিমের ব্যাখ্যাকাররা এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন- গরমও নয়, ঠান্ডাও নয়। -তাফসিরে জালালাইন, সফওয়াতুত তাফাসির

আর যামহারির শব্দের অর্থ হলো- প্রচণ্ড ঠান্ডা। -আল মুজাম আল ওয়াসিত, হাশিয়ায়ে বোখারি

তীব্র গরম এবং তীব্র শীত অনুভূত না হওয়াকে জান্নাতিদের নিয়ামত বলা হয়েছে। এর দ্বারা বুঝা যায়, উভয় অনুভূতি জাহান্নামিদের শাস্তি হবে, যা না থাকাটা জান্নাতিদের কাছে নিয়ামত মনে হবে।

এবার আসি হাদিসের দিকে। সহিহ বোখারি ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করলো- আমার এক অংশকে অপর অংশ খেয়ে ফেলছে। তখন রাব্বে কারিম তাকে দু’বার শ্বাস নেওয়া অনুমতি দিলেন। একবার গ্রীষ্মকালে, আরেকবার শীতকালে। তোমরা গরমের যেই প্রচণ্ডতা অনুভব করো- তা জাহান্নামের উত্তপ্ততা থেকে আর শীতের যে তীব্রতা অনুভব করো; তা জাহান্নামের শীতলতা (যামহারির) থেকে।’ –সহিহ বোখারি ও মুসলিম

বর্ণিত হাদিস দ্বারা বুঝা যায়- জাহান্নামের শাস্তিসমূহ থেকে শীতলতাও এক ধরণের শাস্তি। কিন্তু জান্নাতের আনন্দদায়ক অনুভূতি যেমন শোনেনি কোনো কান, দেখেনি কোনো চোখ, কল্পনা করেনি কোনো অন্তর, তেমনি জাহান্নামের শাস্তির কণা পরিমাণও দুনিয়াতে আমরা অনুভব করতে পারবো না। বস্তুত জাহান্নামের শাস্তির ভয়াবহতা মানুষের ধারনার বাইরে।

এখন প্রশ্ন হতে পারে, তবে কোরআনের কোথাও কেন শীতল কোনো শাস্তির বর্ণনা আসেনি?

এর উত্তরে আরেকটি আয়াত উল্লেখ করা যায়- ‘অবাধ্যদের জন্যে রয়েছে নিকৃষ্ট বাসস্থান। তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে, তা কতই না নিকৃষ্ট স্থান। সে আস্বাদন করুক- গাসসাক্ব (পুঁজ) এবং হামিম (গরম পানি)-এর স্বাদ এবং একই আকৃতির আরও অনেক।’ সূরা সোয়াদ: ৫৫-৫৮

আয়াতে ‘একই আকৃতির আরও অনেক’ অংশের ব্যাখ্যায় মুফাসসিররা বলেন, উল্লেখিত আজাবের অনুরূপ অন্যান্য আজাব। যেমন- প্রচণ্ড ঠান্ডা। অতি উষ্ণ বাতাস, জাক্কুম ভক্ষণ ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার শাস্তি। -সফওয়াতুত তাফসির

সুতরাং আয়াতে শীতলতার নেতিবাচক কোনো কিছু তো নেই-ই বরং পরোক্ষভাবে এর উল্লেখ রয়েছে।

আল্লামা ইবনুস সুন্নি (রহ.) ‘আমালুল লাইল ওয়াল ইয়াওম’ কিতাবে এক দুর্বল হাদিস উল্লেখ করেছেন। তা এই- সাহাবি হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রচন্ড গরমের দিনে যখন বান্দা বলে- ‘আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত আর কেউ নেই। আজ কি গরম! হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিন।’ তখন আল্লাহ জাহান্নামকে বলেন, আমার এক বান্দা তোমার উত্তপ্ততা থেকে মুক্তি চেয়েছে। তুমি তোমাকে সাক্ষী রাখছি, আমি তাকে তা থেকে মুক্তি দিলাম।’ প্রচন্ড শীতের দিনে যখন বান্দা বলে- আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত আর কেউ নেই। আজ কি শীত! হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের যামহারির (শীতলতা) থেকে মুক্তি দিন। আল্লাহ জাহান্নামকে বলেন- আমার এক বান্দা তোমার শীতলতা থেকে মুক্তি চেয়েছে। আমি তোমাকে সাক্ষী রাখছি, আমি তাকে তা থেকে মুক্তি দিলাম।

সাহাবায়ে কেরাম জানতে চাইলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যামহারির কি? তিনি বললেন, একটি ঘর, যাতে কাফেরদের নিক্ষেপ করা হবে। তা দেহের এক অংশকে আরেক অংশ থেকে পৃথক করে ফেলবে।’

আল্লাহ প্রত্যেক মুসলমানকে জাহান্নামের আগুন ও কষ্টদায়ক শীতলতা ইত্যাদি শাস্তি থেকে মুক্তি দিন। আমিন।

জাহান্নাম হলো আজাব তথা শাস্তির নিবাস। ইহা আল্লাহ তাআলা কাফের ও পাপিষ্ঠদের জন্য আখেরাতের প্রতিদান হিসাবে তৈরি করে রেখেছেন। কুরআনে আল্লাহ তাআলা জাহান্নামের ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁর বিধি-বিধান পালন করা মুসলিম উম্মাহর জন্য আবশ্যক।যারা আল্লাহ তাআলার বিধি-বিধান পালনে ব্যর্থ হবে। তাঁর বিধি-নিষেধ ইচ্ছাকৃতভাবে অমান্য করবে। তাদেরকে তাদের কর্ম অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করবেন। কুরআনের বিভিন্ন স্থানে আল্লাহ তাআলা জাহান্নামের বর্ণনা দিয়েছেন। সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হলো-১. ‘নার’ তথা আগুনএ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে কেউ আল্লাহ ও রাসুলের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা অতি„ম করে তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন। সে সেখানে চিরকাল থাকবে। তার জন্যে রয়েছে অপমানজনক শাস্তি।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১৪)২. ‘জাহান্নাম’ তথা দোজখএ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ জাহান্নামে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১৪০)৩. ‘জাহিম’ তথা প্রচণ্ড উত্তপ্ত আগুন।এ সম্পর্কে কুরআনে এসেছে, ‘যারা অবিশ্বাস করে এবং আমার নিদর্শনাবলীকে মিথ্যা বলে, তারা জাহিমবাসী।’ (সুরা মায়িদা : আয়াত ১০)৪. ‘সাঈর’ তথা প্রজ্জ্বলিত (অগ্নি) শিখা আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফেরদের প্রতি অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্যে সাঈর তথা প্রজ্জ্বলিত (অগ্নি) শিখা তৈরি করে রেখেছেন।’ (সুরা আহযাব : আয়াত ৬৪)৫. ‘সাকার’ তথা ঝলসানো আগুনএ সম্পর্কে আল্লাহর বাণী হলো- ‘যেদিন তাদের মখু হেঁচড়ে টেনে নেয়া হবে সাকারে (ঝলসানীয় আগুনে), বলা হবে- অগ্নির খাদ্য আস্বাদন কর।’ (সুরা কামার : আয়াত ৪৮)৬. ‘হুত্বামাহ’ তথা পিষ্টকারীহুত্বামাহ সম্পর্কে আল্লাহর বাণী- ‘কখনও না, সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে পিষ্টকারীর মধ্যে। আপনি কি জানেন, পিষ্টকারী কি? এটা আল্লাহর প্রজ্জ্বলিত অগ্নি।’ (সুরা হুমাযাহ : আয়াত ৪-৬)৭. ‘লাযা’ তথা লেলিহান অগ্নি শিখালাযা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কখনই নয়। নিশ্চয় এটা লেলিহান অগ্নি, যা চামড়া তুলে দিবে। সে (লেলিহান অগ্নি) সেই ব্যক্তিকে ডাকবে যে সত্যের প্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছিল ও বিমখু হয়েছিল।’ (সুরা মাআ’রিজ : আয়াত ১৫-১৭)৮. ‘দারুল বাওয়ার’ তথা ধ্বংসের ঘরএ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা আল্লাহর নিয়ামতকে কুফরিতে পরিণত করেছে এবং স্বজাতিকে সম্মুখীন করেছে ধ্বংসের আলয়ে-দোযখের? তারা তাতে প্রবেশ করবে, সেটা কতই না মন্দ আবাস।’ (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ২৮-২৯)আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জাহান্নামের ভয়াবহতা থেকে হিফাজত করে জান্নাত লাভে আল্লাহ তাআলা বিধি-বিধান যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এইটুকু পড়ে ওদের গায়ের লোম গুলো দাড়িয়ে যায়। আর একজন আরেকজনের মুখের দিকে তাকিয়ে পরে খুঁজতে লাগলো জাহান্নাম থেকে মুক্তির উপায় কি তখন তারা দেখলো…..

আরেকটি পোষ্ট যাতে লিখা আছে…..

আল্লাহ তাআলার অসংখ্য কুদরত ও নিদর্শনে ভরা এ সৃষ্টি জগত। যা নিয়ে সামান্য চিন্তা-ভাবনা করলেই তা অনুমিত হয়। আর এ সব সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা ভাবনায় বান্দার প্রতি আল্লাহ তাআলা সন্তুষ্ট হন। যাতে আল্লাহ তাআলার অনেক হিকমত রয়েছে।সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা ও গবেষণা মানুষকে অন্যায় পথ পরিহারে অনুপ্রাণিত করে। তারপরও মানুষ ইচ্ছা-অনিচ্ছায় আল্লাহর বিধান লংঘন করে এবং আল্লাহর বিধানের অবাধ্য হয়ে বেপরোয়া জীবন-যাপন করে।বান্দা যাতে আল্লাহর অবাধ্য হয়ে জাহান্নামে যেতে না হয়, তার জন্য প্রার্থনা করা ঈমানদারগণের কর্তব্য। ঈমানদারগণ যাতে অন্যায় ও পাপাচার থেকে মুক্তি পায়, হাশরের ময়দানে লাঞ্ছিত না হয় এবং ঈমানের সহিত মৃত্যু হয়। সে ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়টি শিক্ষা দিয়ে কুরআনে উল্লেখ করেছেন-উচ্চারণ : রাব্বানা মা খালাক্বতা হা-জা বাত্বিলান, সুব্‌হানাকা ফাক্বিনা আ’জাবান নার। রাব্বানা ইন্নাকা মান তুদখিলিন নারা ফাক্বাদ্ আখ্‌ঝাইতাহু, ওয়া মা লিজজ্বালিমীনা মিন্ আনছার। রাব্বানা ইন্নানা সামি’না মুনাদিয়াই ইউনাদি লিলঈমানি আন আমিনু বিরাব্বিকুম, ফা আমান্না, রাব্বানা, ফাগ্‌ফিরলানা, জুনুবানা ওয়া কাফ্‌ফির আ’ন্না সায়্যিআতিনা ওয়া তাওয়াফ্‌ফানা মাআ’ল আবরার। (সুরা আনআম : আয়াত ১৯১-৯৩)অর্থ : ‘হে আমাদের প্রতিপালক! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। পবিত্রতা তোমারই জন্য। আমাদেরকে তুমি জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচাও। হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই তুমি যাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ কর; তাকে অপমানিত কর; আর জালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের প্রভু! আমরা ঈমান আনার জন্য একজন আহবানকারীকে আহবান করতে শুনে ঈমান এনেছি। হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি আমাদের সব গোনাহ মাফ করে দাও। আমাদের সব দোষ-ত্রুটি দূর করে দাও। আর নেক লোকদের সঙ্গে আমাদের মৃত্যু দাও।’ (সুরা আনআম : আয়াত ১৯১-১৯৩)আমলের উৎসরাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য রাতে ওঠে এ আয়াত সহ সুরা আল-ইমরানের শেষ পর্যন্ত পড়তেন। যা পড়া সুন্নাত। (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ আয়াতের মাধ্যমে তাঁর কাছে দোয়া করে জাহান্নামের ভয়াবহ আজাব থেকে মুক্তি লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

তখন জোহরের আযান শুনে ওরা পড়া বন্ধ করলো…

অর্নিল: এই চল নামাজ টা আদায় করে আয়….

তিয়াস: আমার একটা দরকারি কাজ আছে পরে ওই কাজ করতে পারবো না আজ না কাল পড়বো বায়….(যেতে নিলেই)

অর্নিল: দাড়া তোকে কিছু কথা বলছি (যেতে যেতে)

তিয়াস: হুম বল….

অর্নিল: হুম… একজন চাষী বা লোক ছিলো । সে মাঠের কাজ করে বাসায় ফিরতেই…..

চলবে….

বানান ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here