#হুজুরের_বউ_যখন ডক্টর
রাইটার : রাকিবুল ইসলাম
#১ম_পর্ব
কয় টাকা বেতন পাও তুমি যে আমার মেয়েকে
বিয়ে করতে এসেছো।
তুমি সাধারণ একটা মসজিদের মুয়াজ্জিন।
আর আমার মেয়ে একজন মেডিকাল সিক্ষার্থী
তোমার কি যোগ্যতা আছে….!!!
ছেলেটা : আংকেল আসলে আমি পেশাদার মুয়াজ্জিন না আমি মাদ্রাসার ছাত্র
মেয়ের বাবা : তাহলে আমার মেয়েকে বিয়ে করতে
এসেছো কেন।আগে যোগ্যতা অর্জণ করো।
এই বলে ছেলেটার প্রস্তাব প্রত্যাখান করে দিলো
মেয়ের বাবা।সাধারণ মসজিদে মুয়াজ্জিনি করে
কয়টাকা বা বেতন পাবে।
কিন্তু মেয়েটিকে বিয়ে দেবে বড়লোক পরিবারের
কোন এক ছেলের সাথে
কিন্তু মেয়েটা রাজি নয়,বিয়ের দিনে মেয়েটি
পালিয়ে গেল,
আগেই বলে রাখি মেয়েটার নাম জাফরী
আর মুয়াজ্জিন ছেলেটার নাম মেহেদী
মেহেদী বাসায় দুপুরে খাবার খেয়ে একটু শুয়ে আছে এমন সময় বাহিরে মা যেন কার সাথে কথা
বলছে।
মেহেদী ঘর থেকে বের হয়ে দেখে ওই মেয়েটা
যার বাবাকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম
(লম্বা ঘটনা সংক্ষিপ্ত)
চোখে পানি নিয়ে মেয়েটি দাড়িয়ে আছে
মেহেদিও মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে
মা দুজনের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখছে
মা বললো মেহেদি তুই এই মেয়েটিকে চিনিস
মেহেদি জবাব দিলো জ্বী আম্মু
জাফরী : আন্টি আমি আপনার ছেলেকে ছাড়া থাকতে পারব নাহ।আমি সবকিছু ছেড়ে আপনার ছেলের কাছে এসেছি।
মেহেদী : এটা আপনার ঠিক হয় নি।আর আপনি ভাবলেন কি করে আমি আপনাকে নেব।
আপনি চলে যান, বেরিয়ে যান আমার বাড়ি থেকে।
এই কথা বলাতেই মা রেগে গিয়ে মেহেদির গালে
ঠাস করে থাপ্পড় লাগিয়ে দিলো।
চুপ কোন কথা নয় আমি এই মেয়েটিকে ছেলের
বউ হিসেবে দেখতে চাই
মেহেদী : মা তুমি
মেহেদীর মা : কোন কথা নাহ।আজকেই তোদের বিয়ে দেব।
গ্রামের কিছু লোকের সামনে লিখিত মাধ্যমে
হুজুর এনে তাদের বিয়ে দেয়া হলো।
একমাস অতিবাহিত হবার পর
একদিন মেহেদি তাকিয়ে দেখছে জাফরীর চোখে
টপ টপ করে পানি পড়ছে।
মেহেদি বললেন কি ব্যাপার তুমি কান্না করছো কেন কি হয়েছে তোমার
জাফরী : হুজুর আব্বু আম্মুর কথা মনে পড়ছে। জানি ওরা আমাকে কোনদিনও মেনে
নেবে না। কিন্তু আমি কী করব বলুন বার বার বাবাকে বলছি হাফেজ ছেলে বিয়ে করব
কিন্তু বাবা কোন কথা শুনে নাই।বাধ্য হয়ে পালিয়ে
আপনার কাছে এসেছি।
হুজুর ডাক্তার হবার খুব ইচ্ছা ছিলো।
কিন্তু তা আর হলো নাহ
মেহেদি বললো তুমি কি সত্যি ডাক্তার হতে চাও
জাফরী : হুমমমমম
মেহেদি : আমি আপনার পড়ালেখার খরচ চালাবো
জাফরী : তা কি করে হবে আপনি যা বেতন পান তা দিয়ে খুব কষ্ট করে চলতে হবে। নাহ আমার ডাক্তার হতে লাগবে নাহ।
মেহেদি : হবে ইনশাআল্লাহ ভরসা রাখুন
(লম্বা ঘটনা সংক্ষিপ্ত)
বান্ধবী : হ্যারে জাফরী তোর বর কে দেখলাম নাহ
তো
জাফরী : কেন প্রতি মাসে যে অল্প বয়সী একটা ছেলে দাড়ি টুপি জুব্বাহ পরা ছেলেটা আসে
ওটাই আমার বর।
বান্ধবী : ওহ,,,তোর বর পড়াশোনা করে তো তাইনা
জাফরী : হুমমমম এবার আলিম ফাস্ট ইয়ার
বান্ধবী : আলিম ফাস্ট ইয়ার মানে
জাফরী : মানে ইন্টার ফাস্ট ইয়ার
বান্ধবী : এই বয়সে কেবল ইন্টারে
জ্ফরী : ক্বওমী মাদ্রাসায় দাওরাহ পড়ছে তো
তাই জেনারেল লাইনে বেশি দূর যায় নি।
বান্ধবী : ওহ,,তবে তোর বর হেব্বি
জাফরী : শেষে আমার বরকে নজর দিচ্ছিস
আচ্ছা শোন না
বান্ধবী : কিহ
জাফরী : কয়েকটা আমির হামজার ওয়াজ
আর হাফিজুর রহমান সিদ্দিকির ওয়াজ
তোর ফোন দিয়ে ডাউনলোড করে দিবি দোস
আমার ফোন দিয়ে লোড করলেই ফোন হ্যাং
হয়ে যাই।গরীব মানুষ তো
বান্ধবী : বরকে বলবি একটা ফোন কিনে দেবে
জাফরী : ওমন করে বলিস না রে,, আমার হুজুরটা খুবই কষ্ট করে, আমার পড়াশোনার টাকা জোগাড় করার জন্য।
বান্ধবী : কপাল গুনে বর পাইছিস।এই তোর ফোন জ্বলছে
জাফরী : ওহ বুঝতে পারি। বর ফোন দিছে।
বান্ধবী : কথা বল ম্যাচে দেখা হবে তোর সাথে
জাফরী : ওকে
জফরী ফোনটা রিসিভ করেই জাফরী সালাম
দিলো।
মেহেদি : ওয়ালাইকুমুস্সালাম কেমন আছো
জাফরী : আলহামদুলিল্লাহ ভাল হুজুর
আপনি কবে আসবেন
মেহেদি : কেন ১৭ তারিখে
জাফরী : নাহ ১৩ তারিখে আসতে হবে।কলেজে একটা কাজ আছে।
মেহেদি : হুম ইনশাআল্লাহ।
জাফরী : আচ্ছা আপনাকে ফেসবুকে অ্যাক্টিভ
দেখি না কেন
মেহেদি : সময় পাইনা গো প্রাইভেট পড়াতে পড়াতে সময় হয় নাহ
জাফরী : ওহ তাই।ভিডিও কলে আপনার মুখটা দেখতাম কিন্তু ফোন তো হ্যাং মারে বার বার
মেহেদি : ওহ।আরে পাগলী আর কয়েকদিন এর ভিতরেই তো দেখা হবে।
জাফরী : আপনাকে ছাড়া থাকতে কষ্ট হয়
মেহেদি : আমারো তো হয় কিন্তু আপনাকে ডাক্তার হতেই হবে।এতটুকু কষ্ট তো মানতেই হবে তাইনা
জাফরী : তা ঠিক,হুজুর একটা কথা বলব
মেহেদি : হুম বলো
জাফরী : লজ্জা করছে
মেহেদি : বলুন সমস্যা নাই
জাফরী : আই লাভ ইউ সোনা
মেহেদি : নায়ুযুবিল্লাহ
জাফরী : কেন
মেহেদি : আমি ছোট বাচ্চা নাহ যে সোনা হতে যাবো
জাফরী : ধ্যাত পাগল একটা
মেহেদী : আচ্ছা রাখি এখন ব্যাস্ত
তেরো তারিখে মেহেদি,, জাফরীর কাছে গেল
গেইটের সামনে দাড়িয়ে ফোন দিচ্ছে
মেহেদি।
মেহেদি : কই
জাফরী : আসছি দাড়ান একটু
মেহেদি দাড়িয়ে আছে এমন সময় জাফরী
দৌড়ে এসে মেহেদির সামনে দাড়ালো।
জাফরী তাকিয়ে দেখছে মাথার চুল গুলো কেমন যেন এলোমেলো।মেহেদির পান্জাবীতে ময়লা।
জুতা গুলো ছেড়া।
যেন সবটাই ফকিরি হালত,
জাফরী : আপনার এমন অবস্থা কেন হুজুর
চলবে………
ভাইয়া গল্পটা যদি একটু ইমেইলে পাঠাইয়া দিতেন তাহলে অনেক ভালো হতো ❤️✔️