হুজুরের বউ যখন ডক্টর
রাইটার : রাকিবুল ইসলাম
পর্বঃ ০৪
জাফরী : এই শুনুন আমি আপনার বউ,আপনার গায়ের পান্জাবী খোলার অধিকার আমার আছে।
এখানে চুপ করে দাড়িয়ে থাকুন
আমি একটু আসতেছি চুপ করে দাড়িয়ে থাকুন কেমন।
জাফরী অন্য ঘরে গেল অনেক দেরি হচ্ছে কিন্তু
জাফরী আসতেছে না।
মেহেদি বলছে আহ কি হলো এখনো আসতেছো না কই গেলে তুমি।
জাফরী অন্য ঘর থেকে চিৎকার দিয়ে বললো
হুজুর দাড়ান আমি আসতেছি চোখ টা খুলবেন নাহ কিন্তু।
উফ এতক্ষন চোখ বন্ধ করে থাকা যায় নাকি
কিচুক্ষণ পর জাফরি আসলো এসে মেহেদীর গায়ে একটা কাপড় পরিয়ে দিলো।
হুম এইতো আমার বরটাকে সেই কিউটের ডিব্বাহ
লাগতেছে।
এবার চোখ খুলুন তো,মেহেদি চোখ খুলে অবাক হয়ে গেল।আরেহ এটাতো আমার সেই পছন্দের পান্জাবীটা।যেটা টাকার জন্য কিন্তে পারিনি।
কিন্তু জাফরী কি করে জানলো এটা আমার পছন্দ
জাফরী : হুজুর কি ভাবছেন
মেহেদী : নাহ কিছু নাহ তো।কিন্তু এই পান্জাবীটা
জাফরী : অবাক হচ্ছেন তাইতো আপনার পছন্দ কি করে বুঝলাম।
আসলে হুজুর আপনি যখন বোরখা নিয়ে দেয়ার জন্য আমাকে নিয়ে মার্কেটে গিয়েছিলেন
তখন আমি নজর করে দেখেছি আপনি ওই পান্জাবীটার দিকে বার বার তাকাচ্ছিলেন।
মেহেদি : কিন্তু এই কাপড়টার তো দাম বেশি তুমি টাকা পেলে কই
জাফরী : না মানে
মেহেদি : কি মানে মানে করছো
জাফরী : সত্যি বলব কিছু মনে করবেন নাতো
মেহেদি : নাহ কিছু মনে করব নাহ বলো তুমি
জাফরী : আপনি আমাকে প্রতি মাসে হাত খরচের জন্য আলাদা কিছু টাকা দিতেন। সেই টাকা গুলো জমিয়ে ছিলাম।
মোট আঠারো শত টাকা জমিয়েছি হুজুর।
কেন আমি বুঝি আমার স্বামীকে কিছু উপহার দিতে পারি নাহ।
আমি যখন Dr. হবো তখন অনেক কিছু আপনাকে উপহার দেব।
আর শুনুন কালকে বাজারে যাবো আপনার পায়ের জুতা কিনতে হবে।
আমি ঠিক বুঝেছি আমার পড়াশোনার খরচ চালাতে গিয়ে ভালো জুতা কিনতে পারেন নি।
যেই লোক ফেসবুক না চালিয়ে থাকতে পারে নাহ
সেই লোক অনেকদিন ধরে ফেসবুকে ঢুকতে পারেন নাহ।শুধু মোবাইলের জন্য।
মেহেদী : আমার ফেসবুক এবং টাস মোবাইলের দরকার নাই গো।তুমি কি করে ভালো থেকো সেটাতেই আমার খুশি।
জাফরী : হুমমমম হুজুর একটা কথা কথা বলি
মেহেদি : হুমমম বলেন
জাফরী : স্বরম লাগে
মেহেদি : আরে বলুন
জাফরী : আপনাকে একটা কিস করব
মেহেদি : নাহ দরকার নাই
জাফরী : কোন কথা নাহ
মেহেদি : প্লিজ এগোবেন নাহ
জাফরী : না কোন কথা নয় একদম চুপ করে থাকুন
মেহেদি : আমার ভয় লাগে
জাফরী : হুজুর মানুষদের কিসের ভয় তা আবার নিজের বউয়ের কাছে।
মেহেদি : প্লিজ প্লিজ
জাফরী : উম্মাহ………!!!!!
মেহেদি : ইশ এতো জোরে কেউ টোঠে কামড় দেয় নাকি। বাপরে পুরো ঠোট লাল হয়ে গেল
জাফরী : এতে কি আমার কোন গুনাহ হয়েছে হুজুর।নিজের বরের ঠোট কামড় দিয়েছি।
কোন পর পুরুষের না।
মেহেদি : আমাকে ভয় লাগে তো তাই
জাফরী : আচ্ছা শুনি কিসের ভয় লাগে আপনার?(কাধে হাত রেখে)
মেহেদি : নাহ কিছু না
জাফরী : আপনার পান্জাবীর বোতাম টা খুলুন একটু দরকার আছে।
মেহেদি : কেন,,,,,,, আবার কি করবেন দরকার নাই
জাফরী : নাহ বেশি কিছু করব না খুলুন তো
মেহেদি আসতে করে পান্জাবীর বোতামটা খুলে
দাড়িয়ে রইলো।জাফরী মেহেদির কাছে গেল।
ঠিক বুক বরাবর জাফরী তার মুখ টা লাগিয়ে দিয়ে
কি যেন আসতে আসতে পড়তেছে।
কয়েকবার পড়ার পর মেহেদির বুকে ফু দিয়ে
বাম পার্শে হার্ড এর উপর একটা চুমু দিলো।
মেহেদি জিগ্গেস করলো কি এমন দোয়া পড়ে ফু দিলেন শুনি।
জাফরী বললো হুজুর আমাদের মেডিকেলে একটা হাফেজা আপু আছে।তার সাথে খুব ভাল সম্পর্ক
তার কাছে অনেক দোয়া শিখেছি।
আমার হুজুরের দিকে কোন মাইয়া যেন কু নজর না দেয় হি হি হি।
মেহেদি : আমি এতোটাই সুন্দর নাহ যে মেয়েরা আমাকে বদ নজর দেবে
জাফরী : বিপদ কি বলে আসে হুজুর। যদি কারো বদ নজর লেগে যায়?
– হুম,কিন্তু আমার উপর কার বদ নজর লাগবে শুনি?
– ঠিক আছে তাহলে শুনুন,
হাদিসে রয়েছে যে…
কারো উপর যদি বদ নজর লাগে তাহলে সূরা নাসও সূরা ফালাক পড়ে ফু দিয়ে দিবেন।
কেননা আমাসের রাসুল (সা.)এর উপর একবার জাদু করা হয়েছিল,আর এর কিছুদিন পর জিবরাইল (আ.) এই দুইটা সুরা নাজিল করেন এবং ওনার উপর প্রয়গ করতে বলেন,ফলে কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সুস্থ হয়ে যান।
তাছাড়া বদনজরের লক্ষন সমুহ ও বাছার কিছু উপায় আছে,.. যেমন….
ইবনে কাসির রহ. বলেন- বদনজর এর প্রতিক্রিয়া সত্য,। (তাফসিরে কাসির, ৪/৪১০)
ইবনে হাজার রহ. বদনজরের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন, “বদনজর বলতে বুঝায়, কোন উত্তম বস্তুকে খারাপ কোনো লোক হিংসার নজরে দেখে, যার কারণে উক্ত বস্তুর ক্ষতিসাধন হয়!” (ফাতহুল বারি, ১০/২০০)
.
জিনের বদনজর মানুষকে লাগতে পারে, উদাহরণ হিসেবে দুটি হাদিস খেয়াল করুন।
১. আবু সাঈদ খুদরি রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগে দু’আ করার সময় প্রথমে জিনের বদনজর থেকে পানাহ চাইতে বলতেন, তারপর মানুষের নজর থেকে পানাহ চাইতে বলেছেন। পরে সুরা নাস ফালাক নাযিল হওয়ার পর এই দুটি দিয়ে দুয়া করতেন। (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)
২. উম্মে সালামা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. উনার ঘরে এক বালিকাকে দেখলেন যার চেহারায় বদনজরের আলামত ছিলো। রাসূল সা. বললেন- এর জন্য রুকয়া করো, একে জিনের বদনজর লেগেছে। (বুখারি, মুসলিম)
>।বদনজর লাগার কিছু আলামত :-
.
১। শরীরে জ্বর থাকা, কিন্তু থার্মোমিটারে ধরা না পড়া।
২। কোনো কারণ ছাড়াই কান্না আসা..
৩। প্রায়সময় কাজে মন না বসা, নামায ,যিকর, ক্লাসে মন না বসা।
৪। প্রায়শই শরীর দুর্বল থাকা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি লাগা।
৫। চেহারা ধুসর/হলুদ হয়ে যাওয়া।
৬। বুক ধড়পড় করা, দমবন্ধ অস্বস্তি লাগা।
৭। অহেতুক মেজাজ বিগড়ে থাকা।
৮। আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের সাথে দেখা হলেই ভালো না লাগা।
৯। মেয়েদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চুল পড়া। চেহরার মাঝে পরিবর্তন চলে আসা।
১০। পেটে বারবার সমস্যা হওয়া।
১১। বিভিন্ন সব অসুখ লেগে থাকা যা দীর্ঘদিন চিকিৎসাতেও ভালো হয় না।
১২। হাত-পায়ে মাঝেমধ্যেই ব্যাথা করা, পুরো শরীরে ব্যাথা দৌড়ে বেড়ানো।
১৩। ব্যবসায় ঝামেলা লেগে থাকা।
১৪। আপনি যে কাজে অভিজ্ঞ সেটা করতে গেলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়া।
১৫| কিটমিটে মেজাজ থাকা। (ইত্যাদি)
.
এবার বদনজরের চিকিৎসা জেনে নিন..
#১ম পদ্ধতিঃ রোগীর মাথায় হাত রেখে এই দুয়া গুলো পড়বে, পড়া শেষে রোগীর গায়ে ফুঁ দিবে.. এরকম কয়েকবার করবে।
১।
بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ يُؤْذِيكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اللَّهُ يَشْفِيكَ بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ
২।
بِاسْمِ اللَّهِ يُبْرِيكَ وَمِنْ كُلِّ دَاءٍ يَشْفِيكَ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ وَشَرِّ كُلِّ ذِي عَيْنٍ
৩।
اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبِ الْبَاسَ، اشْفِهِ وَأَنْتَ الشَّافِي، لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا
.
প্রথম দুটি দু’আ মুসলিম শরিফের দুই হাদিস থেকে নেয়া, রাসূল সা. অসুস্থ হলে জিবরীল আ. এসব দুয়া পড়ে ঝাড়ফুঁক করতেন। তৃতীয় দু’আটি বুখারি মুসলিম উভয়টাতে আছে, দুয়ার শব্দগুলো বুখারি থেকে নেয়া। রাসূল সা. এটা পড়ে অসুস্থদের ফুঁ দিতেন। রাসুল সা. অসুস্থ হলে আয়েশা রা. এটা পড়েছেন।
.
#২য় পদ্ধতিঃ ব্যাথা থাকলে সেই যায়গায় হাত রেখে, অথবা মাথায় হাত রেখে ৩ বার করে সুরা ফাতিহা, ইখলাস, ফালাক, নাস পড়বেন এরপর সেখানে ফুঁ দিবেন। সমস্যা বেশি হলে এভাবে রুকয়া করা শেষে, এই সুরাগুলো পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে গোসল করবেন। সমস্যা ভালো হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন করা উচিত। ব্যাথা থাকলে এসব সুরা পড়ে তেলে ফুঁ দিয়ে প্রতিদিন মালিশ করতে পারেন।
.
#৩য় পদ্ধতিঃ যদি কোনো গাছ, গৃহপালিত পশু, দোকান অথবা বাড়িতে নজর লাগে তাহলে উপরের সুরা এবং তার ওপরের দু’আগুলো পড়ে পানিতে ফুঁ দিবেন, এরপর ওই পানিটা (গাছে/ঘরে/পশুর গায়ে) ছিটিয়ে দিবেন।
.
#৪র্থ:-
1. আয়াতগুলো সমস্যা ভালো না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন তিলাওয়াত করবেন অথবা শুনবেন, সরাসরি শোনা সম্ভব না হলে অডিও রেকর্ড শুনবেন। এভাবে প্রতিদিন কমপক্ষে ১/২বার শুনুন, আরও বেশি শুনলে বেশি ফায়দা।
—
2. আর সম্ভব হলে প্রতিদিন, নইলে একদিন পরপর পড়া পানি দিয়ে গোসল করবেন। একদম সুস্থ হওয়া পর্যন্ত।
গোসলের নিয়ম পদ্ধতি হচ্ছে-
“একটা বালতিতে পানি নিবেন, তারপর ওই পানিতে দুইহাত ডুবিয়ে নিচের জিনিশগুলো পড়বেন (যদি টয়লেট আর গোসলখানা একসাথে হয় তখন এসব অবশ্যই বাহিরে এনে পড়তে হবে) –
“কোন দরুদ শরিফ ৭বার, ফাতিহা ৭বার, আয়াতুল কুরসি ৭বার, তিনকুল (ইখলাস, ফালাক্ব, নাস) প্রত্যেকটা ৭বার, শেষে আবার দরুদ শরিফ ৭বার”
পড়ার পর হাত উঠাবেন, এবং পানি দিয়ে গোসল করবেন।
প্রথমে এই পানি দিয়ে গোসল করলেন পরে অন্য পানি দিয়ে ভালোমতো করবেন, সমস্যা নাই। যার সমস্যা সে যদি পড়তে না পারে, তাহলে অন্যজন পানিতে হাত রেখে পড়ে দিবে, এরপর গোসল করবেন।
.
বদনজর থেকে বাঁচার জন্য কি করবো?
১। সর্বদা আল্লাহর জিকির করবে, উদাহরণ আগের পর্বে দেয়া হয়েছে।
২। হাদিসে বর্ণিত সকাল সন্ধ্যার দোয়াগুলো পড়বে, বিশেষতঃ “বিসমিল্লাহিল্লাযি….” এটা আর তিন ক্বুল তিনবার।
৩। মেয়ে হলে অবশ্যই পর্দার অভ্যাস করবে।
৪। আর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে উচিত হলো, মাঝেমধ্যেই সুরা ফালাক নাস পড়ে বাচ্চাদেরকে ফুঁ দিবেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনটা করেছেন।
৫। এই দু’আ সকাল-সন্ধ্যায় কয়েকবার পড়ে বাচ্চাদের ফুঁ দিয়ে দিবেন, নিজের জন্যও পড়বেন –
.
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ
…..
আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন।
– আমিন,,(মেহেদি বলল)
হঠাৎ জাফরীর ফোনটা বেজে উঠলো
জাফরী ফোন হাতে নিয়ে আছে বাট রিসিভ
করছে নাহ।
মেহেদি বললো কি হলো ফোনটা রিসিভ করো
জাফরী সংকোচ ভাবে ফোনটা রিসিভ করলো
নয়ন : হাই সোনা
জাফরী : কেন ফোন দিছেন আপনি
নয়ন : তোমাকে ভালবাসি তাই
জাফরী : পরে কথা বলব
নয়ন : তোমার সেই ভিকেরী বরটা আছে তাইনা
আরে ওরা হুজুর,,,, মসজিদ মাদ্রাসায় ভিক্ষা করেই ওদের দিন শেষ।
জাফরী : এই শুনেন যা বলার আমাকে বলেন আমার বরকে নিয়ে কিছু বলবেন নাহ
নয়ন : প্লিজ সোনা এমন করিয়োনা
জাফরী রাগ করে ফোনটা কেটে দিলো
মেহেদী : ওই ছেলেটা ফোন দিয়েছিল তাইনা
জাফরী : জ্বালিয়ে মারছে
মেহেদী : ভয় পেওনা,আমি তোমাকে বিশ্বাস করি।
ওকে নো প্রবলেম।
_______________
নয়নের বন্ধু : কিরে তোর ফোনটা মুখের উপর কেটে দিলো
নয়ন : কেটে দিবে দিক।একদিন ঠিক ও আমার হবে।হতেই হবে।পারলে ওই ভিকারি টাকে মেরে
ফেলব।
নয়নের বন্ধু : দোস যা করবি দেখে শুনে কর
আমার মতে কারো ক্ষতি না করাই ভালো
নয়ন : বেশি কথা বলিস নাহ।এমনভাবে মেরে দেব কেউ বলতেও পারবে নাহ বুঝলি।
আর যতোদূর জানি ছেলেটা অনেক গরীব
নয়তো দশ লাখ টাকা দেব, জাফরীকে ছেড়ে দেয়ার জন্য।
নয়নের বন্ধু : সব কিছু কি টাকা দিয়ে হয়?যদি ছেলেটা রাজি না হয়।
নয়ন : রাজি না হলেই খালাস করে দেব
_________
জাফরী একটা বড়লোকের মেয়ে, গরীব স্বামীর বাড়িতে আছে সে।
খাবারের সময় হয়েছে,জাফরী তাকিয়ে দেখছে আলু ভর্তা আর শুটকির ভর্তা।
কিন্তু জাফরী এসব খেতে পারে নাহ….!!!!
জাফরী তাকিয়ে দেখছে তার শ্বাশুড়ী ডিম ভাজি করতেছে।
জাফরী : মা কি করছো
মেহেদীর মা : এইতো মা তোমার জন্য একটু ডিম ভাজি করছি
জাফরী : তো আমার জন্য ভাজতেছো তোমার আর হুজুরের কই
মেহেদীর মা : আসলে আমরা যে কোন জিনিস দিয়েই খাবার খেতে পারি।তুমি কি শুধু ভর্তা শুটকি দিয়ে খেতে পারবে।
আমি মেহেদীর মুখে শুনেছি তুমি সব কিছু দিয়ে খাবার খেতে পারো নাহ
এই কথা শোনার পর জাফরী পিছন দিয়ে শ্বাশুড়ী মায়ের গলা জড়িয়ে ধরে বলছে
মা ঠিক আছে আমি খেতে পারি নাহ।কিন্তু আমাকে পারতেই হবে মা।
তবুও আমি আপনার ছেলেকে ছাড়তে পারব না
আপনার ছেলেকে আমি খুব ভালোবাসি।
মেহেদীর মা : তা তো জানি মা,কিন্তু এখানে তোমার খুব কষ্ট হয় তাইনা।
তোমার বাবা মা কি একবারো ফোন দেয় না তোমাকে।
জাফরী : নাহ মা ওরা আমাকে ফোন দেয় না,,, আমি ফোন দিলে বাবা মা কেউ কথা বলে নাহ।
কি করব মা বলো,,,এখন তুমিই আমার একমাত্র মা।হুজুর আর তুমি ছাড়া আমার কেউ নাই।
মেহেদী : একা একা আম্মুর আদর খাচ্ছেন
মাগো তুমি তো দেখছি আমার থেকে জাফরীকে
বেশি ভালোবেসে ফেলেছো।
জাফরী : কিহ আপনার হিংসে হয়
মেহেদি : হুম, খুব হিংসে হচ্ছে
জাফরী : সত্যি?
মেহেদি : হুমমমম
মেহেদীর মা : মেহেদী তুই কিন্তু বউমার সাথে খুব অন্যায় করছিস।তুইতো সারা মাস আমার কাছেই থাকিস।আর বউমা তো কয়েকটা দিনের জন্য এসেছে আবার কলেজে চলে যাবে
জাফরী : ঠিক বলেছো মা,,, ও আমায় একদম সয্য করতে পারে না।শুধু হিংসে করে।
মেহেদী : মা তুমিও
মেহেদীর মা : এখন কথা বাদ সবাই খেয়ে নাও
খাওয়া দাওয়ার শেষ হবার পর
জাফরী ঘরে বসে হা করে আছে,,,,,, কারণ মেয়েটাকে ঝাল লেগেছে।
মেহেদী জাফরীর দিকে তাকিয়ে হাসতেছে
জাফরী- ওই পটল আমাকে দেখে হাসছেন কেন
আমাকে প্রচন্ড ঝাল লেগেছে।
জাফরী কিছু বুঝে উঠার আগেই মেহেদি জাফরীর হাত ধরে টান দিয়ে
মুখে একটু কিস করলো,, আসতে করে জাফরীর জিব্বাহ টা কামড় দিয়ে ধরলো।
জাফরী একটু চিৎকার দিয়ে উঠলো
জাফরী : লুচু লোক কোথাকার,,, ঝাল লাগতেছে আর আপনি আমার জিব্বায় কামড় দিচ্ছেন
মেহেদী : এবার ঝাল কমেছে কি হা হা হা
জাফরী : ধ্যাত
মেহেদী : ওমা,,,,,, নিজের বউকে কি একটু
কিস দিতে পারবো নাহ নাকি
জাফরী : ধ্যাত ভাল্লাগেনা।
চলবে……..?🥰🥰