#হুজুরের_বউ যখন ডক্টর
রাইটার :রাকিবুল ইসলাম
পর্বঃ১৩
বান্ধবী : জাফরী চলনা রে একটু মার্কেটে যাই
বাবা মায়ের জন্য কিছু কিনতে লাগবে
নাসরিন : কথা কিন্তু মন্দ বলিস নাই কিরে জাফরী কি বলিস
জাফরী : মন্দ বলিস নি।বাবা মায়ের জন্য আমাকেও কিছু নিতে হবে।
নাসরিন : তাহলে দেরি কেন চল যাই
জাফরী : হুমমম তাড়াতাড়ি বোরখা আর হাত মোজা পরে নেই।
বান্ধবী : তোকে গরম লাগেনা রে,,,গরমের সময় যখন বোরখা পরিস।
জাফরী : কিসের গরম পর্দা ফরজ বিধান।
পর্দা আমার অহংকার।এই পর্দা ছাড়া কোথাও বের হতে পারিনা।
তোরা যদি বুঝতিস পর্দার ভিতরে কি শান্তি তাহলে ঠিকই পর্দা করতিস।
আর তাছাড়া আল্লাহ তায়ালা পরদার ব্যাপারে কুরআন ও হাদিসে ওনেক জোর দিয়েছেন,
যেমন…..
প্রথমত: করআন থেকে দলীল
নিম্নে বর্ণিত দীললসমূহ পর্দা ফরযের উজ্জল প্রমাণ এবং যারা মনে করে যে, পর্দা একটি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অভ্যাস বা ইসলামের প্রাথমিক যুগের জন্যই মানানসই ছিল, তাদের জন্য দাঁত ভাঙ্গা জবাব।
প্রথম দলীল: আল্লাহ তা‘আলার বাণী:
﴿وَقُل لِّلۡمُؤۡمِنَٰتِ يَغۡضُضۡنَ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِنَّ وَيَحۡفَظۡنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبۡدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنۡهَاۖ وَلۡيَضۡرِبۡنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّۖ وَلَا يُبۡدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوۡ ءَابَآئِهِنَّ أَوۡ ءَابَآءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوۡ أَبۡنَآئِهِنَّ أَوۡ أَبۡنَآءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوۡ إِخۡوَٰنِهِنَّ أَوۡ بَنِيٓ إِخۡوَٰنِهِنَّ أَوۡ بَنِيٓ أَخَوَٰتِهِنَّ أَوۡ نِسَآئِهِنَّ أَوۡ مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُهُنَّ أَوِ ٱلتَّٰبِعِينَ غَيۡرِ أُوْلِي ٱلۡإِرۡبَةِ مِنَ ٱلرِّجَالِ أَوِ ٱلطِّفۡلِ ٱلَّذِينَ لَمۡ يَظۡهَرُواْ عَلَىٰ عَوۡرَٰتِ ٱلنِّسَآءِۖ وَلَا يَضۡرِبۡنَ بِأَرۡجُلِهِنَّ لِيُعۡلَمَ مَا يُخۡفِينَ مِن زِينَتِهِنَّۚ وَتُوبُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ ٣١ ﴾ [النور: ٣١]
“(হে নবী!) ঈমানদার নারীদেরকে বল: তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে, তারা যেন যা সাধারণত; প্রকাশ থাকে তা ব্যতীত তাদের শোভা প্রদর্শন না করে, তাদের গলদেশ ও বক্ষদেশ যেন মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে, তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা (দাদা-নানাসহ), শশুর (দাদা শশুর-নানা শশুরসহ), পুত্র (ও নাতি), স্বামীর পুত্র (নাতিসহ), ভাই (সহোদর ও সৎভাই), ভাতিজা, ভাগ্নে, আপন (মুসলিম) নারীগণ, তাদের মালিকানাধীন দাস- দাসী, এমন অধিনস্থ পুরুষ যাদের মধ্যে পৌরুষত্ব বিলুপ্ত এবং নারীদের গোপন অঙ্গ সম্বন্ধে অজ্ঞ বালক ব্যতীত কারো নিকট তাদের শোভা প্রকাশ না করে। তারা যেন সজোরে পদক্ষেপ না নেয় যাতে তাদের গোপন শোভা প্রকাশ পায়। হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো। [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩১]
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আল্লাহ প্রথম পর্যায়ের হিজরতকারী মহিলাদের প্রতি অনুগ্রহ করুন: যখন আল্লাহ তা‘আলা অবতীর্ণ করেন:
﴿وَلۡيَضۡرِبۡنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ﴾ [النور: ٣١]
“(তাদের গলদেশ ও বক্ষদেশ যেন মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে) সাথে সাথে তারা স্বীয় চাদরসমূহ চিরে টুকরা করে তা দ্বারা আবৃত করেন।” (সহীহ বুখারী)
দ্বিতীয় দলীল: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَٱلۡقَوَٰعِدُ مِنَ ٱلنِّسَآءِ ٱلَّٰتِي لَا يَرۡجُونَ نِكَاحٗا فَلَيۡسَ عَلَيۡهِنَّ جُنَاحٌ أَن يَضَعۡنَ ثِيَابَهُنَّ غَيۡرَ مُتَبَرِّجَٰتِۢ بِزِينَةٖۖ وَأَن يَسۡتَعۡفِفۡنَ خَيۡرٞ لَّهُنَّۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٞ ٦٠﴾ [النور: ٦٠]
“আর এমন বৃদ্ধ নারীগণ যারা বিবাহের আশা রাখে না, তাদের জন্য দোষ নেই যদি তারা তাদের শোভা প্রদর্শন না করে তাদের (বাহ্যিক অতিরিক্ত চাদর উড়না) বস্ত্র খুলে রাখে, তবে সংযমী হয়ে বিরত থাকলে তা তাদের জন্য উত্তম। আল্লাহ সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৬০]
তৃতীয় দলীল: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِيُّ قُل لِّأَزۡوَٰجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَآءِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ يُدۡنِينَ عَلَيۡهِنَّ مِن جَلَٰبِيبِهِنَّۚ ذَٰلِكَ أَدۡنَىٰٓ أَن يُعۡرَفۡنَ فَلَا يُؤۡذَيۡنَۗ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورٗا رَّحِيمٗا ٥٩﴾ [الاحزاب: ٥٩]
“হে নবী তুমি তোমার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিনদের নারীগণকে বল, তারা যেন তাদের উড়না বা চাদরের কিছু অংশ নিজেদের (চেহারা ও বুকের) উপর টেনে দেয়, এতে তাদের চেনা সহজতর হবে, (বুঝা যাবে যে তারা স্বাধীন ও সম্ভ্রান্ত) ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৫৯]
চতুর্থ দলীল: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَقَرۡنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجۡنَ تَبَرُّجَ ٱلۡجَٰهِلِيَّةِ ٱلۡأُولَىٰ﴾ [الاحزاب: ٣٣]
“আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে, প্রাচীন জাহেলী যুগের মতো তোমরা সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বেড়াবে না।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৩৩]
পঞ্চম দলীল: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿فَسَۡٔلُوهُنَّ مِن وَرَآءِ حِجَابٖۚ ذَٰلِكُمۡ أَطۡهَرُ لِقُلُوبِكُمۡ وَقُلُوبِهِنَّۚ﴾ [الاحزاب: ٥٣]
“আর যখন তোমরা তাদের নিকট কিছু চাইবে পর্দার অন্তরাল থেকে চাইবে, এ বিধান তোমাদের ও তাদের হৃদয়ের জন্য অধিকতর পবিত্র।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৫৩]
দ্বিতীয়তঃ হাদীস থেকে পর্দার দলীল:
প্রথম দলীল: সহীহ বুখারী ও মুসলিমে রয়েছে উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার স্ত্রীদেরকে পর্দা করতে বলুন, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, এরপর আল্লাহ পর্দার আয়াত অবতীর্ণ করেন। সহীহ বুখারী ও মুসলিমে এ বর্ণনাও রয়েছে যে, উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, যদি আপনি মুমিনদের জননীদেরকে পর্দার আদেশ দিতেন; এরপর আল্লাহ পর্দার আয়াত অবতীর্ণ করেন।
দ্বিতীয় দলীল: ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করে বলেন, “নারীরা হলো গোপনীয় বস্তু।” (তিরমিযী এবং এটিকে আলাবনী সহীহ বলেছেন)
তৃতীয় দলীল: ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি অহংকারবশতঃ স্বীয় কাপড় টাখনুর নিচে রাখলো কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না। অতঃপর উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, তবে মহিলারা তাদের নিম্নাংশের ঝালরের ব্যাপারে কী করবে? তিনি বলেন, এক বিঘত (গোছার নিচে) ঝুলিয়ে দিবে, উম্মে সালামা বলেন, তবে এতে তাদের পা বেরিয়ে থাকবে, তিনি বলেন, তবে তা (গোছার নিচে) এক হাত ঝুলিয়ে দিবে এর বেশি করবে না।” (আবু দাউদ ও তিরমিযী এবং তিনি বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ)।
আর আমার বরকে কথা দিয়েছিলাম সব সময়
পর্দা করে চলব
নাসরিন : আমাকেও পর্দা ছাড়া এখন বাহিরে যেতে কেমন যেন লাগে।
জাফরীর সাথে মিশে মিশে এখন আমিও পর্দা
করা শিখে গেছি।
________________________
স্ত্রী : আমাকে একটু বাজারে নিয়ে যাবা
স্বামী : কেন….
স্ত্রী : বোরখা কেনা লাগবে।হাত মোজা পা মোজা
এসব কিনতে হবে বুঝলেন
স্বামী : তুমি যাও আমি পারব না
স্ত্রী : আচ্ছা মানুষ তো আপনি
স্বামী : কেন…!!
স্ত্রী : আপনি বাড়িতে বসে থেকে বউকে মার্কেটে পাঠাবেন তাইনা।
স্বামী : যাও না,,, কে নিষেধ করছে তোমাকে
স্ত্রী : আমি জানি হুজুরেরা বউকে মার্কেটে পাঠিয়ে
কখনোই ঘরে বসে থাকে না আর আপনি।
স্বামী : আমি কি
স্ত্রী : জাবেন কিনা বলেন…..
স্বামী : এই ভাগুনতো ভাই আপনি শুধু কানের কাছে ঘ্যান ঘ্যান করেন।
স্ত্রী : কিহ বললেন আমি ভাই…আপনার আমি কোন জন্মের ভাই শুনি
স্বামী : কোন জন্মের ভাই না।আমাকে আরেকটা বিয়ের অনুমতি দাও।তাহলে তোমার খুব ভাল হবে
সব কিছু করে দেব
স্ত্রী : লুচ্চা লোক একটা বউ দিয়ে সখ মিটেনা তাইনা
স্বামী : যাই হোক আপু আমার পক্ষে যাওয়া সম্ভব না
স্ত্রী : মাথা ঠিক আছে আপনার আমি আপু…
স্বামী : হুমমমমম
স্ত্রী : এবার রাগ উঠছে কিন্তু
স্বামী : না যাবোনা এইযে আমি বিছানায় কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়ে পড়লাম।
খাদিজার মা আর কিছু বললনা চুপ করে
দাড়িয়ে আছে।
খাদিজার আব্বু কম্বল দিয়ে নাকে মুখে
ঢাকা দিয়ে আছে,যাক বাবা জেদ থেমেছে
আর মাকর্টে যেতে হবেনা।
এখন একটু নাক ঢেকে ঘুম পাড়ি…..!!!!
(১০ মিনিট পর)
স্ত্রী : উহ দশ মিনিটে ডাক ডাকা শুরু হয়ে গেল
দুষ্টু লোক কোথাকার। একেবারে আন স্মার্ট
একটা লোক।বউকে নিয়ে তো বছরেও ঘুরতে যায়না আজ একটু মার্কেটে যেতে চাচ্ছি
নাক ডাকতে শুরু করেছে।মনটা বলছে হাত পা
বেধে নদীতে ফেলে দেই ফাজিল একটা…!!!
নাহ ঘুম পাড়তে দেয়া যাবেনা,
_____________________
এইদিকে নয়ন খবর পেয়ে গেছে জাফরী আজ মার্কেটে আসবে।নয়ন চক্রান্ত করছে কিভাবে জাফরীকে তার কাছে আনা যায়।
ওই জাফরীর জন্য আমার লাইফ টা বরবাত হয়ে গেছে।ওর সর্বনাশ না করা পর্যন্ত শান্তি নাই।
যদি আমাকে বিয়ে করে তাহলে তো ওর ভাগ্য ভাল
আর যদি না করে জীবন নরক করে দেব….!!!!
নয়নের বন্ধু : কিন্তু কিভাবে করবি,ওখানে তো
নাসরিন আছে।ভুলে যাস না,,, ও কিন্তু যা ইচ্ছা করতে পারবে তোর সাথে।কিন্তু তুই কিছুই করতে পারবিনা।
নয়ন : আহ (রাগি) নাসরিন নাসরিন নাসরিন।
এর জন্যই তো ডাইরেক্ট কিছু করতে পারি না
নয়তো এতোদিনে জাফরীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করে ফেলতাম।
নয়নের বন্ধু : তাহলে তুই কি করতে চাচ্ছিস
নয়ন : দেখি একটা বার শেষ চেষ্টা করে কিছু করতে পারি কিনা।
আমার মাথায় একটা প্লান আছে…..!!!!
________________
খাদিজার আম্মু এক বালতি পানি নিয়ে
স্বামীর গায়ে ঢেলে দিলো…!!!
এমন সময় খপ করে ঘুমন্ত মানুষ উঠে বসলো
স্বামী : এই কি করছো, এই কি করছো, পানি ঢেলে দিলা।
স্ত্রী : এবার যাবে কিনা বলো
স্বামী : ধ্যাত তোমাকে নিয়ে আর পারব না।
আচ্ছা ঠিক আছে পান্জাবী বের করে দাও
স্ত্রী : হি হি হি এইতো আমার টুকটুকে বর।
কি সুন্দর রাজি হলে,কিন্তু পানি ঢালার পরে।
স্বামী স্ত্রী দুজন রেডি হয়েছে মার্কেটে যাবে..!!!!
_____________________
জাফরী নাসরিন সহ সতেরো জন ডাক্তার তিনটা
কার নিয়ে বের হলো মার্কেটে।
সবার উদ্দেশ্য কেনাকাটা করা, তাই জাফরীর
নিয়ত বাবা মায়ের জন্য কিছু নেবে।
মার্কেটের সামনে গাড়ি পার্কিং করে রেখে দিয়ে
শপিং মলে ঢুকলো।
সবাই মার্কেটে ঢুকেছে,আর এইদিকে নয়ন আর কয়েজন ছেলে তাদের পিছু পিছু এসেছে।
তাদের নিয়ত জাফরীকে কিডন্যাপ করবে…!!!
সুযোগ পেলেই তারা কিডন্যাপ করবে….!!!
আর একদিকে খাদিজার আব্বু আম্মু মার্কেটে আসছে খাদিজাকে বাসায় রেখে…,,,।
তারাও মার্কেটে মধ্যে ঢুকলো…!!!
নয়ন চারদিকে ছেলেদের সেট করে রাখলো
নাসরিন : এই দেখ জাফরী শাড়ি টা কত সুন্দর তাইনা।কেমন হবে বলতো।
জাফরী : তুই শাড়ি কি করবি
নাসরিন : কেন বরকে পরে দেখাবো
জাফরী : বাপরে এতো ভাল কবে থেকে হইলি
সারাদিন তো তোর বরের সাথে মোবাইলে ঝগড়া করিস তুই।
নাসরিন : আরে পাগলী ঝগড়া করব না কেন বলতো।এতোবার বলছি বরকে দাড়ি রাখতে
কিন্তু আমার বর তো কথাই শুনছেনা,
তোর মতো কি আমার ভাগ্য কি এতো ভাল,,,,
যে হুজুর জামাই পাবো।
আমার কপালে এই টাকলা জুটছে।তবুও আলহামদুলিল্লাহ।আমার টাকিলা খুব ভাল
শুধু দাড়ি রাখতে একটু টাল বাহানা করে।
এইজন্য ঝগড়া লাগে…..!!!
জাফরী : ওইযে দেখ নীল কালারের শাড়ি ওটা খুব ভাল লাগবে,, নিতে পারিস।
নাসরিন : কই দেখি
জাফরী : এই দেখ কতো সুন্দর একবার গায়ের সাথে লাগিয়ে দেখতে(একদম পারফেক্ট)
তোর জন্য এটা নে…..!!!
তুই শাড়ি দেখ আমি একটু চাদর দেখি আম্মুর জন্য,এই কথা বলে জাফরি একটু নাসরিনের থেকে দূরে সরে গেল।
_________________
স্ত্রী : এই রেডিমেড বোরখা কেমন লাগবে গো
স্বামী : ভাল লাগবে খুব…..
স্ত্রী : নাহ এটা বোরখার মডেলিং বেশি এটা দিয়ে পর্দার হক আদায় হবেনা।
স্বামী : তাহলে নিও না রেখে দাও।
স্ত্রী : এই,,,,, এইটা কেমন বানাবে
স্বামী : খুব ভাল মানাবে
স্ত্রী : এটা যে একটু টাইট মনে হচ্ছে
স্বামী : তাহলে নিও না
স্ত্রী : ফাজিল একটা….
স্ত্রী বোরখার কালার পছন্দ করতেছে।
হঠাৎ খাদিজার আব্বু তাকিয়ে দেখছে
সেদিন আমার পিছু নেয়া নয়ন ছেলেটি
ও শমিং মলে কি করছে আবার চুরি করার মতলব
করছে না তো।খাদিজার আম্মুকে বললেন
তুমি একটু বোরখা পছন্দ করো আমি আসতেছি।
আর জাফরী চাদর দেখছে এক পাশে দাড়িয়ে
আর নয়ন জাফরীর পিছন দিক দিয়ে এক পা দুপা করে এগোচ্ছে।হঠাৎ নয়নের কাধে কে যেন হাত রাখলো। নয়ন মাথা ঘুরিয়ে দেখছে সেই
হুবহু মেহেদির মতো লোকটা।
নয়ন : ওহ হুজুর (আসসালামুআলাইকুম)
খাদিজার আব্বু : ওয়ালাইকুম আসসালাম কি ব্যাপার এখানে কেন
নয়ন : এইতো হুজুর একটু দেখতেছি কি নেয়া যায়
খাদিজার আব্বু : আমি নিজের চোখে দেখছি তুমি চোরের মতো চুপি চুপি হেটে বেড়াচ্ছো।
সেদিন যে তোমাদের দুজনকে পাচশত করে টাকা দিলাম তারপরও চুরির ধান্দা গেলোনা বুঝি।
নয়ন : এই সালা সেদিন থেকে আমাকে চোর মনে করতেছে।মনেহয় নাক ঘুসি মেরে ফাটিয়ে দেই
(মনে মনে)
খাদিজার আব্বু : কিছু বললে তুমি
নয়ন : নাহ হুজুর কিছু বলি নাই
খাদিজার আব্বু : এই নাও পাচ হাজার টাকা কখনো চুরি করবে না কেমন।
আর এখনি এখান থেকে বের হয়ে যাও…!!!
নয়ন : কিন্তু
খাদিজার আব্বু : এখানে তোমার থাকা হবেনা
আমি নজর করে দেখছি চাদরের দোকানে বোরখা মেয়েটা ওই দিকে মুখ করে দাড়িয়ে আছে।
তুমি তার দিকে এগোচ্ছিলে।
একদম থাকা হবেনা নয়তো পুলিশে দেব
নয়ন : নাহ হুজুর সমস্যা নাই আমি বের হয়ে
চলে যাচ্ছি।পুলিশ ডেকে আনার দরকার নাই।
নয়ন ওখান থেকে বের হয়ে চলে গেল…..!!!
খাদিজার আব্বু জাফরীর পিছনে দাড়িয়ে
এক নজর
চলবে…..