ভুলের মাশুল পর্ব: ১৮

0
1665

গল্প: ভুলের মাশুল
পর্ব: ১৮
লেখক: হানিফ আহমেদ

ইশিতা: কি হইছে অর্ণব কাঁদছো কেন?
অর্ণব কান্না করছেই কিছু বলছে না।
ইশিতা: কান্না না করে বলবে তো কি হয়েছে? (রেগেই বললো)
অর্ণব: মৌ, (বলে আবার কান্নায় ভেঙে পরলো)
ইশিতা: কি হয়েছে মৌ’য়ের?
অর্ণব: এক্সিডেন্ট করেছে, আর কিছু জানি না আমি, হানিফ ফোন দিয়ে বললো। ( কান্না করছে, আর বলছে)
ইশিতা: কান্না করবে না, রিফাত তুমি গাড়ি ড্রাইভ করো?, তাড়াতাড়ি যেতে হবে আমাদের।
রিফাত: হুম।

গাড়িতে বসে আছে, অর্ণবকে বুঝাচ্ছে ইশিতা।
কান্না না করতে, অথচ ইশিতা নিজেই কান্না করছে।
রিফাতের মা এসব দেখে সত্যিই অবাক, এমন বন্ধুত্বও এখনো হয় পৃথিবীতে।
অর্ণব: কি থেকে কি হয়ে গেলো।
আমার পাশে থেকে সব সময় সাপোর্ট দিতো।
একটা খারাপ কাজ করতে গেলে, আগে ওর কথাই ভাবতাম, শুনলে যদি আমায় ভুল বুঝে।
আমার সাথেই সব হয় কেন?
(কান্না করছে আর বলছে)
ইশিতা: কান্না করবে না। মৌ’র কিছুই হবে না।
গিয়ে দেখবে সব ঠিক।
মৌ আমায় দেখে দৌড়ে এসে ঝাপটে ধরবে।
অর্ণব: তোর সাথে দেখা করার আগে ওদের কিছুই বলিনি, ভাবছিলাম ওদের সারপ্রাইজ দেবো।
কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেলো। ( কান্না করছে)
ইশিতা: কান্না করবে না বলার পরেও কান্না করছো?
রিফাতের মা: বাবা কান্না করবে না।
তোমায় দেখে সত্যিই আমি অনে অবাক হচ্ছি। এই যুগে এমন বন্ধুত্ব হয়। সত্যি তোমায় আর ইশিতাকে দেখলে বুঝতামি না।
ইশিতার মুখে সব সময় তোমাদের কথা শুনতাম।
ভাবতাম মেয়েটা একটু বেশিই বলে তোমাদের নিয়ে।
কিন্তু তোমায় দেখার পর মনে হচ্ছে, ইশিতা তোমাদের নিয়ে যা বলছে, তা কম’ই।
তার চেয়ে অধিক ভালো তোমরা।
রিফাতের মা’র কথা শুনে, অর্ণব কান্না ভরা চোখে ইশিতার দিকে থাকালো।

গাড়িটা এসে হসপিটাল এর সামনে থামলো।
অর্ণব ওদের নিচে রেখেই, দৌড়ে উপরে চলে যায়।
ইশিতা পিছু ডাকলেও অর্ণবের কানে ওর ডাক যায় নি।
রিফাত ইশিতাকে ধরে ধরে হসপিটাল এর তিন তলায় নিয়ে যায়।

আইসিইউ এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে অর্ণব।
হানিফ একা পাশে দাঁড়িয়ে কান্না করছে।
মৌ এর সব মা বাবা কান্নায় ভেঙে পরেছে।
মৌ এর মা দুই বার জ্ঞান হারিয়েছেন, রাতুল মৌ’র মা কে বুঝাচ্ছে।
আজ হসপিটালটা যেন কান্নার শহরে পরিণত হলো,

সবাই আইসিইউ এর সামনে দাঁড়িয়ে।
ইশিতাকে ধরে ধরে আইসিইউ এর সামনে নিয়ে আসলো রিফাত আর ওর মা।
অর্ণি অর্ণবকে কান্না না করতে বুঝাচ্ছিলো।

অর্ণবের চোখ ইশিতার দিকে পরতেই।
অর্ণব: হানিফ, (অর্ণবের ডাক শুনে পিছন দিকে তাকালো।)
হানিফ ইশিতাকে দেখে দৌড়ে ঝাপটে ধরলো।
রাতুল, দিপু, সজিব, রনি, ওরাও ইশিতাকে দেখে অবাক হলো।
আজ দিনটা খুশিতে ভরপুর হতো।
কিন্তু?

হানিফ: ইশু পাখি কোথায় ছিলি এতো দিন।
একবারো কি আমাদের কথা মনে পরে নি।
কি হাল করেছিস শরীরের।
আর ইশু তোর বা’পা ( দৃষ্টি পা’য়ে পরতেই।)
ইশিতা: ঘাতকদের জন্য আমার পা টা হারিয়েছি। কান্না করছিস কেন? তোর জামায় রক্ত কেন?
হানিফ: মৌ’কে হসপিটাল নিয়ে আসার সময় লেগেছে।
কোথায় ছিলি এতো দিন?
ইশিতা: পরে জানবি সব, মৌ’ কেমন আছে রে এখন।
আর এসব কিভাবে হলো?
হানিফ চুপ করে আছে ওর প্রশ্নে।
কি উত্তর দিবে সে?

ইশিতা একে এজে ওর সব ফ্রেন্ডস এর সাথে কথা বলে,

রিফাত আর ওর মা, ওদের দেখে শুধু অবাকি হচ্ছে, একজনকে পেয়ে অনেক খুশি ওরা, আবার অন্য একজনের এক্সিডেন্টে এরাই দুঃখী।
সত্যি এদের বন্ধুত্বের কোনো নাম’ই হয় না।

ইশিতা মৌ এর মা বাবার কাছে যায়।
হয়তো ওরা ইশিতাকে দেখে আজ অনেক খুশি হতো, কিন্তু সব যে আজ বেমিল হয়ে গেছে।

অর্ণি ইশিতাকে দেখে সত্যিই অনেক অবাক।
একটা মেয়ে এতোটা সুন্দর আর মায়াবী কিভাবে হয়।
আর সত্যিই যে কেউ প্রেমে পড়বে।
ইশিতার সাথে পরে কথা বলবে।
মৌ’র জন্য ওর অনেক কষ্ট হচ্ছে।
মৌ’র জন্যেই অর্ণবকে পেয়েছে।

সন্ধ্যা হয়ে এলো।
ডক্টর আইসিইউ থেকে বের হলো।
অর্ণব আর হানিফ দৌড়ে ডক্টরের কাছে যায়।

হানিফ: ডক্টর মৌ এর অবস্থা এখন কেমন?
ডক্টর: অবস্থা ভালো না, আঘাতটা অনেক বেশিই।
মাথার পেছন দিয়ে গাড়ির গ্লাস ডুকেছে, সে গুলো আমরা বের করে দিয়েছি।
আর ওর ডান কাদ এর পেছন দিক একবারে তেতলে গেছে। রক্তও অনেক পরেছে।
আর হ্যাঁ আঘাতটা যদি শরীরের যে কোনো জায়গায় হলে তেমন কিছু হতো না। কিন্তু মাথার আঘাতটা ভাবাচ্ছে খুব।
বেঁচে যাওয়ার আশাটা ২০% ও দিতে পারছি না।
বাকিটা আল্লাহ্‌ এর হাতে।

ডক্টর চলে যায়,

হানিফ কান্না করছে, অর্ণব: হানিফ এসব কিভাবে হলো?
আর তুই কি ওর সাথেই ছিলি?
হানিফ চুপ করে আছে,
অর্ণব আবারো প্রশ্ন করতে গিয়েও থেমে যায়।

অর্ণব: আন্টি কান্না করবে না, দেখবে মৌ ঠিক ভালো হয়ে যাবে,
কান্না থামান, নইলে অসুস্থ হয়ে যাবে।
মৌ’র মা: বাবা আমার একটা মাত্রই মেয়ে, আর কোনো সন্তান নেই আমার,
শরীরে একটাই কলিজা থাকে, জানো আমার আর ওর বাবার একটাই কলিজা, আর সেটা হলো মৌ। (কান্নার জন্য কথা বুঝা যাচ্ছে না,)
অর্ণব মৌ এর মায়ের কাদে হাত রেখে কিছুক্ষণ বসে সেখান থেকে উঠে আসলো।

রাত ৭ টা বাজে, ডক্টর আবার ডুকেছে,
শুধু বলেছে আল্লাহ আল্লাহ করতে।

হানিফ এক পাশে বসে কান্না করছে, কিছু ভুলের জন্য আজ মৌ এর এমন অবস্থা।
অর্ণবকে অর্ণি বুঝাচ্ছে কান্না না করে আল্লাহ্‌ এর কাছে দোয়া করতে।
ইশিতা এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
এক পায়ে দাঁড়াতে ওর অনেক কষ্ট হচ্ছে।
কিন্তু তার চেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে, ডক্টর এর কথা শুনে,
মৌ এর এমন অবস্থা হবে কেউ কি কখনো আশা করেছিলো।

ইশিতা কাল রাতে কতো স্বপ্নই দেখেছে,
অর্ণব হানিফ বাকিরা কতোই না খুশি হবে তাকে পেয়ে।
মৌ কুত্তী বলে এসে জড়িয়ে ধরে এত্ত এত্ত বকা দিবে। আর কান্না করবে, কিন্তু সব যেন উল্টো হয়ে গেলো।
ইশিতা অর্ণিকে দেখছে।
মেয়েটা মায়াবী আছে।
আমার অতীত ভালো হলে হয়তো আজ অর্ণির জায়গায় আমি থাকতাম।
কিন্তু কিছু ভুল আমাদের এক হতে দিলো না। কেরে নিলো আমার সুখের ফ্যামিলি।
কিছু ঘাতক লোকের জন্য হারালাম আমার পা।

রাত ৯টা বেজে গেছে। ডক্টর এখনো বের হয় নি।
সবাই চেয়ে আছে দরজার দিকে,
অর্ণব ভাবছে হঠাৎ মৌ এক্সিডেন্ট করবে কেন।
আর হানিফ ওর সাথে ছিলো কিভাবে, কি এমন হয়েছিলো তখন।

অর্ণব একবার আইসিইউ এর দরজার দিকে তাকাচ্ছে, আর একবার মৌ’র মাবাবার দিকে, দুজনের চোখের পানি শুকিয়ে গেছে। হয়তো সব পানি শেষ হয়ে গেছে।
কি হবে মৌ’র
ডক্টর এতক্ষণ কি করছে।

অর্ণব এর মা বাবা আসলো।
হানিফের বাবামা ও আসলো।

বন্ধুত্বটা গভীর ছিলো।
ফাটল ধরেনি কখনো।
ওদের ৮ জনের বন্ধুত্বে আরো ৮ ফ্যামিলির মিলন হয়েছিলো।

সত্যিই এমন বন্ধুত্ব কয়জনের হয়।
কয়জনি বা পায় এমন বন্ধু।

রাত ১০টা তে ডক্টর আইসিইউ থেকে দরজা খুলে বের হয়।
সবার প্রথম হানিফ দৌড়ে যায় ডক্টরের কাছে।
অর্ণব সহ মৌ এর বাবামা সবাই যায় ডক্টর এর কাছে।

হানিফ: কেমন আছে আমার মৌ? ডক্টর আমার মৌকে তাড়াতাড়ি আমার কাছে ফিরিয়ে দাও।

( অর্ণবের কানে একটা শব্দই আসছে, আমার মৌ, আমার মৌ, তাহলে কি হানিফের সেই প্রান পাখি আর কেউ না, মৌ’ই ছিলো হানিফের প্রাণ পাখি।
হানিফের কথাটা শুনে, এখানে থাকা সবাই অবাক হয়।
কিন্তু ইশিতা আগেই জানতো এসব, কারণ হানিফেত জীবন্ত ডাইরি ছিলো ইশিতা)

ডক্টর: এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না, আমরা যত সাধ্য চেষ্টা করছি।
কিন্তু রোগির কোনো রেসপন্স আসছে না, ১২টার আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি।
(এই বলে ডক্টর আবার কেবিনে ডুকলো)

মৌ এর বাবামা এসব শুনে আবার কান্নায় ভেঙে পরে।
শুধু আল্লাহ্‌ এর কাছে একটাই পার্থনা।
মৌ’কে ফিরিয়ে দাও।

অর্ণব হানিফকে নিয়ে, হসপিটালের এক পাশে গেলো। ১২টার আগে আর ডক্টর বের হবে না।

অর্ণব: হানিফ সত্যি করে বলতো, তুই কি মৌ’কেই ভালোবাসিস।
আর মৌ’ই কি তোর প্রাণ পাখি?
হানিফ: হুম,
কিন্তু আমার ভুলের কারণে ও আজ মরতে বসছে। (কাঁদছে)
অর্ণব: মানে, কি করেছিস তুই?

হানিফ: তোকে বলছিলাম না একটা সারপ্রাইজ দেবো?
অর্ণব: হুম কিন্তু এটাই কি তোর সারপ্রাইজ ছিলো? মৌ’র এই অবস্থা।
হানিফ: না রে, আমার একটা ভুলেই মৌ’র এই অবস্থা করেছে।
অর্ণব: কান্না না করে বলতো কি হয়েছে?
হানিফ হুম বলে
অর্ণবকে বলা শুরু করলো।

হানিফ: তোকে বলার পর একটা রেস্টুরেন্টে যাই, মৌ আগ থেকেই এসছিলো।
মৌ খুব সুন্দর করে সেজেছিলো রে।
জানিস আমি মৌ’কে প্রপোজ করতেই ডেকেছিলাম ওই যায়গাতে।
তারপর আমি আর মৌ কিছু খাবার খাই।

জানিস মৌ বললো হানিফ চল রেস্টুরেন্ট এর বাগানে যাই।
আমিও ওর কথা মতোন যাই।
কিন্তু,

অর্ণব: কিন্তু কি?

হানিফ: কিন্তু মৌ অবাক করে আমায় হাটু ঘেরে প্রপোজ করে ফেলে,

হানিফ আমি তোকে ভালোবাসি, জানি তুইও হয়তো আমায় ভালোবাসিস, কিন্তু বলতে পারছিস না।
আমি তোকে সেই কবে থেকে ভালোবাসি। ভাবছিলাম তুই প্রপোজ করবি। কিন্তু তুই করলি না।
~দিবি কি তুই আমায়
তুই থেকে তুমি বলার অধিকার।
করবি কি আপন আমায় তোর মনের পিঞ্জিরায়।~

হানিফ এই টুকু বলে কেঁদে দেয়।

অর্ণব: কাঁদছিস কেন।
ভালোই তো তোর প্রপোজ করতে হয় নি। তোর প্রাণ পাখি তোকেই ভালো বাসতো।
কিন্তু এসব হলো কিভাবে?

হানিফ: আমি একটা ভুল করেছিলাম রে।

অর্ণব: কি ভুল?
একবারে বলতো?

হানিফ: আমি মজা করে বলছিলাম।

মৌ তোকে এখানে কেন ডেকেছি জানিস?

আগে আমার উত্তর দে?( মৌ বললো)
দেবো ত।
আমি তোকে এখানে ডেকে আনছি একটা হ্যাল্প করার জন্য।
মানে,,?
আমি এক মেয়েরে ভালো বাসি রে। ওরে তুই আমার হয়ে প্রপোজ করবি।
দে না রে প্রেম লাগিয়ে।

ধুর মজা করবি না, আমি জানি তুই আমায় ভালোবাসিস।

নারে আমি তোকে ভালোবাসি না। আর বাসিও নি কখনো।
আমি অন্য একটা মেয়েকে ভালোবাসি।

হানিফ কি বলছিস এসব, এমন মজা করিস না।
আমি সিরিয়াসলি বলছি।
তোকে আমি ভালোবাসি।

হানিফ আমি ভাবীনি তুই এমেন।
আমি তোকে ফ্রেন্ড ভাবতাম। আর কিছুই না। কিন্তু তুই এমন করতে লারলি।

মৌ কেঁদে দেয়,
বিশ্বাস কর অর্ণব আমি চাইছিলাম ও রাগ করে যখন পিছন ফিরে যাবার জন্য পা দেবে তখনি আমি হাটু ঘেরে বসে ওরে প্রপোজ করবো।
কিন্তু ও আমায় বললো।

হানিফ সত্যিই আমি তোকে ভালোবাসতাম।
আমার ভালোবাসাটা ভুল ছিলো না।

ধুর যা তো সামন থেকে, আমি তোকে ভালোবাসি না।

মৌ বললো,
হানিফ তোর সামনে আর কখনো আসব না
ভালোবাসার ধাবি নিয়ে।
ভালোবাসি আমি তোকে নীরবেই বেসে যাবো।

এই বলে মৌ দৌড় দেয়।

জানিস অর্ণব আমার খুশি লাগছিলো।
কারণ আমি ওরে প্রপোজ করবো।

আমি সাথে সাথে হাটু ঘেরে বসে ডাক দেই মৌ’কে।
কিন্তু মৌ পিছন ফিরে তাকায় নিরে।

আমি উঠে ওকে আটকানোর জন্য দৌড় দেই।
সত্যি সত্যি রাগ করেছে তাই।

কিন্তু আমি যাওয়ার আগেই
মৌ আমার গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে দেয়।
চাবিটা গাড়িতেই ছিলো।
আমি গাড়ির পিছনে দৌড়ে ওকে থামানোর চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু ও থামেনি,
আমি তখন পাশে আরেকজনের গাড়ির চাবি নিয়ে মৌ এর পিছু যাই।
কিন্তু মৌ এতো স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছিলো কি বলবো।
আমি ফোন দেই ওর ফোনে কিন্তু ও ফোন তুলে নি।

হঠাৎ মৌ এর গাড়ির সামনে একটা বাস এসে যায় অন্য রাস্তা দিয়ে, গাড়ির এতো স্পীড ছিলো যে, গাড়ি ব্যাক করতে পারেনি। তার আগেই
(হানিফ কেঁদে উঠে হু হু করে।)
অর্ণব রেগে লাল হয়ে গেছে।

তখনি একটা শব্দ হলো ঠাস করে।
শব্দ শুনে সবাই অর্ণব আর হানিফের দিকে তাকালো।
একটু দূরেই ছিলো ওরা।
রাতুল আর সজিব দৌড়ে আসে
পেছন পেছন অর্ণিও আসে।

হুম অর্ণব হানিফকে দুটু থাপ্পড় মেরেছে।
এই প্রথম অর্ণব হানিফের গায়ে হাত তুলে,
ওদের ফ্রেন্ডস ক্লাবে শুধু মৌ অর্ণবকে কয়েকদিন থাপ্পড় মেরেছে। আর কেউ কাওকে মারে নি।

অর্ণব থাপ্পড় দিয়ে বলতে লাগলো।

অর্ণব: তোর একটা ভুলের জন্য আজ মৌ কে হারাতে বসেছি আমরা সবাই।

তোর জন্যই সব হয়েছে।
তুই যদি মৌ কে ভালোই বাসতি তাহলে কেন এমন করলি।
এই ভুলটা কি তোর না করলেই হতো না।
কি দরকার ছিলো এমন মজা করার।

হানিফ মাথা নিচু করে কান্না করছে।

চলবে,,,,,

(কালকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
আজকের পার্টটা ছোট হয়েগেছে।
আজ ভাইয়া এসেছিলেন।
ভাইয়ার করোনাভাইরাস ছিলো।
আড্ডা দিচ্ছিলাম মাগরিবের পর থেকেই।

গল্পের ভুল গুলো ক্ষমা করে দিবেন।
আর গল্পের সাথেই থাকেন।)

ভালো থাকবেন
ঘরেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here