#যদি_বলি_ভালোবাসি♥
#PART_20
#FABIYAH_MOMO
–বেশ্যার মুখে চরিত্রের কথা মানায় না..মেয়ে! সাত বাজারে চরিত্র বেচে ভালো ঘরের ছেলে ধরলেই মানুষ তোমাকে নমঃ নমঃ করবে না!!
রূপার কথা শুনে দুইমিনিটের জন্য থমকে গিয়েছিলাম। ও নিজেও একটা মেয়ে, অপর মেয়ের চরিত্রের লানত মুখে কিভাবে বলে? প্রতিকুলতার উত্তর আমি পাল্টা করে জিজ্ঞেস করিনি। খুব করে ডাকছিলাম মনে মুগ্ধকে, পাশে চাচ্ছিলাম আমি।
–তোমার মতো মেয়েদের কারনে ভালোর জিনিসে ভেল্যূ থাকেনা। তোমরা বড়ই নিচুশ্রেণীর মেয়ে। তোমাদের মনের কথা বলতে গেলেই লজ্জার শিকার হতে হবে আমার। মুগ্ধ তোমাকে কি দেখে যাচাই করলো, স্টিল বুঝে উঠতে পারছিনা!
–আপনি আমাকে অসহায় অবলা ভাববেন না আপু! আমি ধৈর্য ধরে চুপ করে আছি আপনি আমাকে সুন্দর বয়ানে চরিত্রের লান্ঞ্চনা বোঝাচ্ছেন! ধিক্কার ছি! আপনি কি একজন মেয়ে না? আপনাকে ‘আপনি’ বলে তূল্য করছি আপনি আপনাকে পতিতা মেয়ের বেশ্যাস্থানে পদচ্যুত করছেন?
রূপার মাথায় কোন্ চিন্তার বিদ্যাসাগর চলছে জানি না, ও আমার দিকে আরেক চড় দেওয়ার জন্য তেড়ে এলো। থামলাম না আমি। হাত ঘুরিয়ে ওকেই দিয়ে বসি থাপ্পর। সহ্য কেন করবো? আমি মেয়ে বলে নিজের আত্ম সম্মানবোধ নেই? মানি! আমি মুগ্ধকে জোরপূর্বক বিয়ে করেছি তাই বলে নিজের আত্মসংযম নরম করে চড় খাওয়ার মতো কাজ করিনি। আমি চাইলে প্রেম জমাতে পারতাম। হোটেলে যেয়ে একরাত মুগ্ধের বুকে থাকতে পারতাম। আমি সেসব কিচ্ছু করিনি। সবাইকে প্রশ্নের জবাব প্রস্তুত করে বিয়ে করেছি উনাকে। হ্যা বিয়ে করেছি এবং আমি উনার সহধর্মিনী। জাদুটোনা করে নিজের বশে আনিনি। অথবা রূপের লাবন্য দেখিয়ে শরীর বেচে চলিনি।
রূপাকে মনের স্বাদ মিটিয়ে দু চারটা আরো থাপ্পর বসালাম, ও আমার দিকে নানা ভাবে বাধা দিয়ে হাওমাও করে চিৎকার চেচামেচি করছে। ব্যাপারটা মাঝারি থেকে বড় আকারে স্থায়িত্ব নিলো, সবাই ওর কাদো গলার নাট্যকার কান্নায় ছুটে এলো। এসে দেখলো, আমি রূপাকে থাপ্পর দিয়ে ফ্লোরে ছিটকে কাদিয়ে দিয়েছি। আন্টি রূপাকে কাধ ধরে দাড় করিয়ে নিলেন। বড় ফুপি আমার বাহু ধরে বসা থেকে দাড় করালেন। পায়ের ব্যান্ডেজে আমি ঠোট চেপে কুকড়ে আছি, ব্যথার প্রকোপ বুঝতে দিচ্ছিনা। আমার উহআহ ব্যথার প্রকটে উপস্থিত জনতার কেউ মাথায় সুতো পরিমান ঢুকাবেনা।
–তুই বাড়ির বউ না দজ্জাল! আমার মেয়েকে থাপ্পর দিলি কিভাবে! বেহুদা রাস্তার বাজে মেয়ে তুই! কোন হাত দিয়ে আমার মেয়ের গায়ে হাত তুললি?
–আন্টি এক সপ্তাহ আগেও আপনি আমার প্রশংসায় পন্ঞ্চমুখ ছিলেন, বাসায় যেই আসতো ধরে বসে আমার সুনাম গাইতেন। কি এমন করলাম, রাস্তার বাজে মেয়ে হয়ে গেলাম?আপনাদের মতো সুশীল পরিবারের শিক্ষিত মানুষের মুখে এসব কথা মানায়?
বড়জন ফুপি হেচকে ঠেলে মুগ্ধের ডেস্কের কোনায় ধাক্কা খাওয়ালেন, কনুইয়ের গোল হাড্ডিটায় বিদ্যুতের সমীক্ষায় ব্যাথা পেলাম। আন্টি রূপাকে বুকে গুজে মিথ্যা অভিনয়ের টানাপোড়নে ফাসলেন, অপরাধী যাচালেন আমায়। রাফিয়া বড়দের সামনে মাথানিচু করে থাকে, গুরুদের মুখের উপর কথা বলতে নেই ছোট থেকে শিষ্যবানী পালন করে চলছে। আমি সবার চড়-ধাক্কাতে একা হয়ে কাদছিলাম, আমার কান্নার অজুহাত নেই। নৈমিত্তিক ন্যাকা কান্না বটে উনাদের জন্য। মুগ্ধ আসলেন। খাবারের প্যাকেট নিয়েই রুমের দরজায় দাড়িয়ে বরফ বনে গেলেন। রূপা মুগ্ধকে দেখে কান্নার পরিনতি দুই ধাপ বাড়িয়ে দিল, এতে সুবিধা হলো এই, রূপা দুধে ধোয়া তুলসিপাতা বৈপরীত্যে আমি শত নষ্টের মূল। বড় ফুপি মুগ্ধের কাছে অভিমানের সুর বাজিয়ে বললেন-
–বাবা রে, ছোট থেকে বড় করেছি, আমার রূপুর উপর ভুলেও হাতের টোকা লাগাইনি। তোর বউ আমার মেয়েটাকে মারলো রে রাদিফ, তুই কিছু কর বাবা। কালকের আসা মেয়ের কাছে দীর্ঘদিনের সম্পর্কে ইতি টানিস না….
মুগ্ধ আমার কান্নায় জর্জরিত চেহারার গ্লানি দেখলেন, চোখে কান্না থাকলেও প্রতিবাদী একজন নিরাপরাধ হিসেবে তাকিয়ে আছি। রূপা শোকের মাতম মানানোর মতো কাদছিলো, এরই ধারাক্রমে বলে উঠলো
–মুগ্ধ আমাকে তুমি বিশ্বাস করবে না…তুমি এখন তোমার বউকেই মান্য করবে….আমি আর আমার থাপ্পরের ইনসাল্ট তোমার কাছে পর….
আন্টিকে ধরে কেদে দিলো রূপা। রাফিয়াকে সত্যের প্রত্যক্ষদর্শী ভেবে মুগ্ধে চোখ ঘুরালেন, আমার সত্য বলা ভাগ্যের লিখনি স্রোতের বিপরীতে নৌকা ঘুরলো সেটা আন্টির চিপা চিমটিতে দেখে ফেললাম। রাফিয়াকে মিথ্যা বলতে চিমটিকাটা হয়েছে,
–রূপা আপুকে মম ভাবী মারধর করেছে রাদিফ ভাইয়া। রূপা আপুকে নিয়ে ভাবীর হিংসুটে স্বভাবের জন্য আপু মার খেয়েছে।
–আমারই ভুল হয়েছে আপা। আমারই ভুল! আমি যদি সাহানার মেয়েকে ঘাড়ে না চড়াতাম, পানি এতদূর আসতো না! রাদিফ ! তুই বউয়ের আচঁলের নিচে গোলামি করলে আমাকে আম্মু বলতে আসবিনা!
সত্যের সব দরজা বন্ধ হয়ে গেল, আস্থা রাখলাম নিজের ভালোবাসার উপর। মনের টান তো উনি বুঝে নিতে পারবেন। চোখ বন্ধ করলে আমাকে অনুভব করে সত্য-মিথ্যার পার্থক্য করতে পারবেন, বলবেন উনি- “আমার বউ কখনো মিথ্যা বলে না ফুপি”। মুগ্ধ কাছে আসলেন, দ্বিতীয়বারের মতো সবার সামনে চড় গিফট করলেন উনি। আমাদের বিয়ের প্রথম দিনে রাতের পূর্নিমায় চড়ের উপঢোকন। বেশ না? ছোট মনের হৃৎপিন্ডটায় মোচড় দিয়ে উঠলো। লজ্জা করছিল আমার। আমি সবার হাতে চড় খেলেও উনার হাতের চড় খাওয়াটা মরে যাওয়ার সমান মনে করি। বিশ্বাস করুন…উনার দিকে তাকানোর জো পাচ্ছিলাম না। গালে হাত দিয়ে কাটা পা ঠকেই চলে গেলাম বাইরে। খুড়িয়ে খুড়িয়ে নিচে নেমে বাসার বাইরে পরিত্যক্ত জায়গায় চলে গেলাম যেখানে মুগ্ধ নামক আপন মানুষটাকে হরন করে নিয়েছিলাম গতকাল। বাসা থেকে পাচ মিনিটের দূরবর্তী পরিত্যক্ত অন্ধকার জায়গা। ঝিঝিপোকার তাক লাগানো শব্দে মুখরিত অন্ধকার পরিবেশ। বসার জায়গা নেই, মাটিতেই বসে পড়লাম। একটা গান মনে পড়ে গেলো তারাভরা উপরের আকাশ দেখে,
জানি একদিন আমি চলে যাবো,
সবই ছেড়ে যত বুকভরা দুঃখ কষ্ট নিয়ে…
ফিরবো না কোনোদিন এ পৃথিবীতে,
কোনো কিছুর বিনিময়ে এ পৃথিবীতে,
একদিন চলে যাব।
জানি একদিন ভুলে যাবে সবাই, আমায় আমার স্মৃতি মুছে যাবে ধরা
জানি একদিন এক মূহুর্ত আরো মনে পড়বে না আমার কথা
জানি একদিন দূর থেকে দেখবো সবার এই ভুলা যাওয়া
জানি একদিন চোখ থেকে পড়বে শুধু অশ্রু দিয়ে ধরা,
কি গানের লাইনের সাথে জীবনের মিল পান? গানটা আমার খুবই প্রিয়। মন খারাপ হলে শুনতাম কিন্তু বড় হওয়ার পর ভুলে গিয়েছিলাম। আমি একদিন চলেই যাব। চলে যাবো, যখন আপনি চাইলেই আসতে পারবো না। আমাকে নিয়ে টেনশন করলেও আমি মরলে আপনাকে নিয়ে টেনশন করবো না। আপনি ম্যাচিউর। আরেকটা বিয়ে করে থাকতে পারবেন। আমি পারবো না। পায়ের নিচে স্যাতস্যাতে ভিজা লাগছিলো হাত দিয়ে দেখি তরল কিছু আমার পা থেকে পড়ছে। রক্তই হবে আর কি হবে। নির্জন অন্ধকার উপরে রাতের কালো আকাশের নিচে কেদে কেপে ভালোই যাচ্ছে। চিৎকার করে না কাদলেও শব্দযোগে কাদতে পারছি। আমার প্রথমস্থান ছিলো মায়ের কোল শেষ স্থান হবে মাটি। মাঝের পথটুকুতে আমি উনাকে চেয়েছি, আমি সবসময় চাইবো। মেয়েলি মনের সুপ্ত সিন্দুকে ভালোবাসার মানুষ থাকেই একটা, জন্মেই একটা, দুই তিনটা আপন বলার মানুষ থাকেনা আমাদের। আমি উনাকে ছাড়া শ্বাস নিয়ে থাকতে পারবো, মরে যাবো না কিন্তু। বেচেই থাকব। প্রিয় মানুষকে না পেলে মানুষ মরে নাকি আজব? মরেনা বেচে থাকে। জীবনের নিয়মে, প্রকৃতির কানুনে বেচে থাকে….মরে যায় লোক লুকানো নিজসত্ত্বা।
হুরহুর করে তিন-চার ঘন্টা পারি দিয়ে আমাকে একা রেখে চলে গেল। কেউ আসলো না। আকাশে তাকিয়ে বলেই ফেললাম, সকালে এলাকা ছেড়ে চলে যাব। থেকে লাভ কি আমার? কেউ নেই।
ঘড়ির কাটায় আরো সময় পেরুলো, কান্না করছিলাম তখনো, উনি আসেননি। ব্যান্ডেজের নিচের পার্টটা তরল রক্তে মাটির সাথে পিচ্ছিল হচ্ছিলো। দুপুরের পর পানিও গিলিনি। শো শো বাতাসের আলোড়ন জাগানো রাতের আধারে পিছন থেকে কেউ আসছিলো। হয়তো উনি আসছিলেন। হাটুতে মাথা লাগিয়ে কান্নারত ছিলাম আমি। উনি পিঠের পিছনে বসলেন, আমি মাথা তুলে তাকাইনি উনার দিকে। অভিমান না। বিশ্বাসের ঝিলিক পানির সাথে মিশে গিয়ে চক্ষুলজ্জা করে দিয়েছে।তাকাতে পারছিলাম না আমি। পিঠে উনি মাথা ঠেকিয়ে দিলেন। আমি সংযত হয়ে বসে আছি। সিক্ত স্পর্শের টানা গলা কানে আসলো-
–আমার ভুল হয়ে গেছে, আমি তোর উপর হাত তুলতে চাইনি…আমাকে ক্ষমা কর প্লিজ….আমি বড্ড ভুল করে ফেলেছি।।
কেউ ভুলের জন্য মাফ চাইছে, মাফ করে দেওয়া উচিত। মহৎ গুন। ভেতরে যে ক্ষতহৃদয় হয়ে আছে কোনো চিকিৎসা টোটকা জানা আছে প্লিজ? জানা থাকলে আশপাশের হাসি মুখের মুখোশ পরিহিত মানুষগুলো কথা বিবেকে আনুন। অপমান, রোস্টিং, গালিগালাজ – এগুলো বলে সামনের মানুষকে আহত করলেও সে আপনার কাছে আঘাতের কথা বলবেনা। আপনি কেন? ওরা কথাগুলো কাউকেই বলে না। বলার মানুষ যে বড় অভাব।।
ঘুরলাম পিছনে, উনার সম্মুখ দিকে ঘুরলাম। চোখের অবস্থার উন্নয়ন হয়নি, এখনো চোখে চোখ রাখতে গা শিউরে উঠছে। নিচু চোখেই আছি। উনি কানের দুই দিকে হাত দিয়ে এলোপাথাড়ি ঠোট ছোয়াতে লাগলেন। চড় দেওয়া গালটায় বেশি দিচ্ছেন। আরেকটা চুমু একেঁ বলে উঠলেন-
–গালটায় খুব জোরে দিয়েছি না….ব্যাথা করছে তোর…আমি কক্ষনো হাত তুলবো না, আর হাত তুলবো না, আমি ভুল করে ফেলেছি, আর করবো না..একটামাত্র বউ আমার, আমি ওকেই থাপ্পর দিলাম? নিজেকে কি শাস্তি দিবো?? কেমন শাস্তি দিলে আমি লাইনে আসবো??একটু সাহায্য কর,
কান থেকে উনার হাত সরিয়ে আমার হাতের ভাজে নিলাম।
–আমার ব্যথা লাগেনি, মেয়েদের ব্যথা লাগলে বলতে নেই। হ্যা আমাদের মন খুব নরম। সময় আসলে কঠিনরূপও ধারন করতে পারি। আপনি আমাকে চড় দেননি মুগ্ধ, ক্লাস বুঝিয়ে দিয়েছেন। কখনো যদি আমার উপর বিরক্তি এসে পড়ে বলে দিবেন। আমি লিখিত কাগজে বলে দিব আপনি দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেন। আমি মুখ ফুটে বাধার কারন হবো না। চলে যাব।
উনি আমার হাতের উপর থেকে হাতটা সরিয়ে নিলেন। আলোক উৎস কম, উনার মুখশ্রীর অন্তরালে কি চলছে কম দেখতে পাচ্ছি। পিনপতন নিরবলম্বন চলছে, ঝিঝিপোকার ঝি ঝি শব্দ ছাড়া কোনো শব্দ নেই। পায়ের ব্যথা থেকে মনের ব্যথার প্রবনতা বেশি। আমি নিজের ভালোবাসাকে অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার বাক্য উচ্চারন করবো কল্পনার জগতে এসব কিছু আদৌ ভাবিনি। উনাকে নিজের কাছে রাখার জন্য সমাজের কাছে মাটিতে মিশে গেলাম, সব ছেড়ে নিজেকে নরম মানসিকতায় পরিবর্তন করলাম। এমন দিনও দেখতে হলো!! উনি আমার কথাগুলো এখনো নিতে পারেননি হয়তোবা।
–মুগ্ধ আপনি কখনো পরিবার এবং আমার মধ্যে নির্বাচন করতে আসলে বহুদিনের সম্পর্কটা নির্ধারণ করবেন। ও সম্পর্কের মূল্য বেশি। ইতি টানলে আপনার ও আমার সম্পর্কে টানবেন, পরিবার ও আপনার সম্পর্ক না।
একদমে কথাগুলো বলে নিঃশ্বাস ছাড়লাম। চোখের অশ্রু দু ফোটা একসাথে পড়লো। হঠাৎ উনি খুব জোরে জড়িয়ে ধরলেন, শরীরের হাড্ডি একত্রে গুটি পাকিয়ে যাচ্ছে এমন ভাবে চেপে ধরেছেন। সিনেমায় দেখেছি, নায়িকা বুকে আছড়ে পড়লে নায়কের শার্ট খামচে ধরে, বাস্তব ঘটনায় ঘটলো বিপরীত কর্ম। উনি আমার পিঠের অংশে খামচে ধরে আছেন। জামার সোল্ডার ভিজে ঠেকতে লাগলো, বৃষ্টির পানি ছাড়া জামার সোল্ডার ভিজছে। আশাকরি বুঝে গিয়েছেন ডাক্তার সাহেবও কেদে দিয়েছেন। আমি উনাকে জড়িয়ে ধরিনি। তবে কাদছিলাম, আকাশে তাকিয়ে ডুকরে ডুকরে কাদছিলাম। বিয়ে করলেই জগতের সব সুখ এসে আমাদের সংসার সাজিয়ে দিবে – এ ধারনা ভুল প্রমাণিত হলো। ভালোবেসে বিয়ে করলেই সুখ নীড়ে-ভিড়ে আসেনা, ভালোবাসার মধ্যেও বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দিতে পারে। হলুদের রাতে ডায়েরীর সাদা কাগজে লিখেছিলাম কিছু, চলে যাওয়ার আগে দিয়ে যাব উনাকে, দেখবেন উনি একসময়….
🍁ভালো রাখার জন্য ভালোবাসি, ক্ষতি করার জন্য না,
ভালো বোঝার জন্য ভালোবাসি, চুপ থেকে নিরবে কাদার জন্য না,
ভালো করার জন্য ভালোবাসি, কষ্ট দিয়ে নিজে সুখী থাকার জন্য না,
ভালো থাকার জন্য ভালোবাসি, লোকলজ্জার ভয়ে গুটিয়ে থাকার জন্য না,
ভালোবাসি বলে অভিনয় করিনি, করবো না আদৌ অভিযোগ, তবুও এক চিলতে স্তদ্ধ হাসি ফুটিয়ে পাগল করে রেখো তুমি আমার এই ভালোবাসাময়।🥀♥
-চলবে
-Fabiyah_Momo