#যদি_বলি_ভালোবাসি♥
#PART_35
#FABIYAH_MOMO🍁
পিনপিতন স্তব্ধ ঘুমন্তপুরীর অবস্থা! কাথা সরিয়ে উঠার আগেই কেউ আমার উপর ঝুঁকে ভর ছেড়ে দিলো! কাথার ভেতরে আমি থ! কোনো নড়াচড়া করতে পারছি না! পাথরের মতো কষ্টিফলক হয়ে আছি!! একাত-ওকাত কোনোকাতই ঘুরতে পারছিনা। মুখের কাথা সরাবো কেউ পেচিয়ে ধরলো!শ্বাস আটকে উপরনিচ হচ্ছে কাথা সরাতে পারছিনা। মুখ দিয়ে একপ্রকার হট্টশব্দে চিৎকার দিয়ে বললাম,
–কে আপনি! ছাড়ুন! আমার উপর থেকে সরুন!!
ভেজিটেবল রোলের মতো কাথা দিয়ে পেচিয়ে আছি। আমার উপর সমস্ত ভর ছেড়ে দিয়ে কেউ ঝুকে আছে। কাথার উপর দিয়েই সে আমার কপাল বরাবর উষ্ণ স্পর্শ করলো। গা শিউরে উঠলো.. হিতাহিত জ্ঞানের ঠিক নেই আমার! আকাশ নাকি রাফিন ভেবে ভয়ে জমে আসছে বারবার। হঠাৎই হুহা করে হাসির আওয়াজ পাচ্ছি। খিলখিল করে হাসছে। অজান্তেই তীব্রযোগে বলে উঠলাম– “মুগ্ধ!”। উনি যেন হাসির জোয়ার বাড়িয়ে দিয়েছেন। একটু থেমে বলে উঠলেন,
–এখনো আমাকে ধরতে পারিস না পাকনি!! আমাকে চিনতে এতো দেরি?? দুঃখ পেলাম।।
আমি নড়াচড়া করার চেষ্টা করছি কাথা সরাবো তাও উনি ছাড়ছেন না। আমি উনাকে দেখবো! কতদিন পর এলেন আমি দেখতে পাইনা! আমি আপনাকে দেখবো!!
–আপনি উঠুন না! আমি কাথার ভেতরে শ্বাস আটকে মরে যাব। আপনি পেচিয়ে ধরেছেন মুগ্ধ!
পিঠের নিচে উনার হাতের বাধন শক্ত হয়ে আসলো আরো। উনি বললেন,
–কাথা দিয়ে ঘুমাতে আমি না করেছিলাম। বদ অভ্যাস এটা। অক্সিজেন লেভেলটা ব্লাড সার্কুলেশনে কমে যায়, এনি চান্স তুই মরেও যেতে পারিস। আমি তো এখন শাস্তি দিচ্ছি!! ছাড়বো না।
–আল্লাহ্!! ছাড়ন মুগ্ধ প্লিজ! শাস্তি তো দিয়েছেনই ! জানেন, আপনি নিজেকে না দেখিয়ে ইতিমধ্যে শাস্তি দিয়ে দিয়েছেন। এখন উঠুন! আমি দেখবো।
–আমার কল কাটবি আরো? রাগারাগী করবি?ফার্দার আমার সাথে ত্যাড়ামি করবি না।
–কসম! আর না। কানে ধরছি আর না। ছাড়ুন প্লিজ!!
উনি উপর থেকে সরে গিয়ে বসলেন। আমি ছাড়া পেয়ে কাথা সরিয়ে চোখ খুললাম। হালকা নীলের শার্ট, ইন করা। বেল্ট কোমরে, প্যান্ট পড়নে। উনি গাড়ি থেকে নেমেই আমার কাছে এসেছেন পড়নের পোশাকই বলে দিচ্ছে। মুচকি হাসছেন উনি। পাতলা চুলগুলো ফ্যানের বাতাসে উড়ছে। সেই পুরনো চোখ, সেই পুরনো ঠোট। আগের মতোই আছে। উনি ভ্রু কুচকে হাসি দিয়ে বললেন,
–আমাকে একটা মেয়ে কিভাবে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে!! উহু… লজ্জা করে আমার।। চোখ নামা তো!!
ফিক করে হেসে দিলাম। উনি লজ্জাবতী মেয়ের মতো চেহারার ভঙ্গিমা করলেন।হাসি ছাড়া উপায় আছে!! আমার হাসিতে উনি হেসে দিয়ে বললেন,
–পাকনি তিনটা মাস দূরে ছিলাম, এই অভাগাকে একটু আদর যত্ন করবি না? সারপ্রাইজ দিবো ভেবেছি তুই আমাকে ভুল বুঝে কল কেটে দিলি। যতবার কল করি কি একটা শ্যালিকার হাতে ফোন ধরিয়ে দিস সারাদিন পেক পেক করতে থাকে। ভাল্লাগে না!!
উনার কথা শেষ করতেই মিনিট সেকেন্ড অপেক্ষা করলাম না ঝাপিয়ে উনাকে জাপটে ধরলাম। উনি পিছনে উল্টে বিছানায় পিঠ লাগিয়ে শুয়ে পড়লেন। উনার বুকে গুটিশুটি মেরে জাপটে ধরেছি। উনি চুপ করে আছেন।মাথার চুলগুলোতে উনার হাতের স্পর্শ অনুভব হচ্ছে। আলতো চুমু মাথায় থেমে থেমে দিচ্ছেন। উনি বললেন,
–খুব মিস করেছিস পাকনি? তোর কষ্ট হয়েছে না? সরি পাকনি। একা রেখে চিটাগাং গেলাম আবার সাথেও নেইনি। একটা সত্যি বলি? আমি চাইলে তোকে সাথে নিতে পারতাম, নেইনি। আমার ওরকম অপরচুনেটি একচুয়েলি ছিলো। আ’ম সরি। আমি তোকে ইচ্ছা করেই একা রেখে যাই। সরি পাকনি। সাথে নিয়ে গেলে তুই প্রেজেন্ট সিচুয়েশনের সাথে এডজাস্ট করে থাকতে পারতি না.. এখন যেটা শিখে গেছিস। নাও.. তুই একা একাই সব করতে পারবি। সব মানে পুরো দুনিয়া উল্টে ভেজে খেতে পারবি!! বুঝলি!!
আমি উনার সত্য শুনে কেন যেন রাগ না করে প্রশান্তিময় লুকোনো হাসি দিলাম। আমার রাগ করে কথা বলা বন্ধ করা উচিত, চড় মেরে দেওয়া উচিত, পারলে খুন করে দেওয়া উচিত….আমি বিনা কারনে বুকে মাথা দিয়ে শান্তির ছোয়া পাচ্ছিলাম। আমাকে সর্বগূনসম্পন্ন বানিয়ে দিলেন। রাগ, অভিমান, নিয়ন্ত্রণ, কান্না, সবকিছুতেই ঠিক করে দিয়েছেন। এখন আমি বোরখা পড়ে বের হলেও মুখ লুকিয়ে ভয়ে থাকিনা। শান উচিয়ে নিজের মতো করে চলি। ইন্জিনিয়ারিংয়ে পড়তে পারিনি তো কি হয়েছে? আমি ইংরেজি বিভাগে অনার্স করছি। আল্লাহ চাইলে একসময় সরকারি চাকুরীতে আবেদন করবো। পড়াশোনা আমার থেমে যায় নি। উনি সাপোর্ট করেছেন, সামনেও করবেন বিশ্বাস। আমি চোখের সামনে নিজের কষ্ট থেকে সুখী হওয়ার পথচলাটা একবার ফ্ল্যাশব্যাক করলাম। চোখের দুকোনা থেকে দুই ফোটা পানি গড়িয়ে পড়লো। কত কত বাধা, কত কত বিপদ, কত কত আশা ভেঙ্গে আমরা নতুন করে আবারো একসাথে। আমাদের দুই জনের দুই পরিবার ভুলে গিয়েছে, দুজনের দুইটা পরিবার ত্যাগ করে সম্পর্কে ইতি টেনে দিয়েছে। আফসোস নেই…কোত্থাও আফসোস নেই। আমিও জায়গা পেয়েছি, উনিও পেয়েছেন। হঠাৎ মুগ্ধ বুক থেকে আমার মাথা উঠিয়ে গালের দুদিকে হাত দিয়ে বললেন,
–আমরা খুব দূরে যাবো…অনেক দূর…অতীতের সবকিছু মাটি চাপা দিয়ে দিবো পাকনি। অতীতকে অতীতের খামে এটেঁ দিবো। কখনো ভবিষ্যৎ এবং বর্তমানের মাঝে আসতে দিবো না। আমার ওয়াদা।
উনি মাথা উচিয়ে আমার কপালে চুমু একে দিলেন। বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে চোখের সিক্ত ফোটা মুছে দিয়ে ঠোট ঠেলে হাসি দিয়ে বললেন,
–সাজেক যাবো তো কান্না কিসের? ঘুরতে যাবো। প্রকৃতির অদ্ভুত সৌন্দর্য দেখবো। আমি ডাক্তারী পেশায় কিছুদিন ছুটি নিবো, তুই নিজের পড়াশোনায় ছুটি দিবি। অবশ্য তোর পুরো সময়টা আমার জন্য থাকতে হবে কিন্তু!! নাহলে মনে আছে তো? হোস্টেলে কি করেছি? কথা না মানলে আবারো টাইট অপশনে ক্লিক করবো!!
উনি গালে ছোট্ট পরশ ছুয়িয়ে ঠোটে ঠোট ডুবিয়ে দিলেন। কিছুক্ষণ পর ছেড়ে নাকের ডগায় নাক লাগিয়ে বললেন,
–বাইরে থেকে এসেছি, হাতমুখ ধুয়ে নেই তারপর নিচে যাবো কেমন?? আচ্ছা রেস্টুরেন্টে গেলে কেমন হয়?
–বাইরে বৃষ্টি। ঢাকাশহরের রাস্তায় কাদা পানি জমে জলাবদ্ধতা হয়ে গেছে। আরেকদিন প্লিজ।
–শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছিস! খাওয়া দাওয়া লাটে উঠিয়ে শরীরের কি রোগা ভাব করেছিস….দেখতে বাজে লাগে!
–মনিরা বলল আমি শুকিয়ে নাকি স্লিমবডি নায়িকাদের মতো হয়ে গেছি। বিউটি বন্স, গলার হাড্ডিও দেখা যায়। হাও কিউট!!
মুগ্ধ একটা চড় দিলেন। আমি বিদুৎপৃষ্টের মতো হা হয়ে আছি। একটু আগে আদর করতেই জানে বাচেননা এখন একটা চড় দিলেন?? কত খারাপ!! আমি উনার উপর থেকে উঠে বসলাম। অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে চোখ নিচু করে আছি। মুগ্ধ শুধুশুধু চড় দিলেন! কি কারনে? উনি মেজাজ দেখিয়ে বললেন,
–বাসায় তোকে নায়িকাদের মতো বডি বানাতে বলেছি! আমি বলেছি কখনো!! গাল শুকিয়ে বডি চ্যাপ্টা করছিস আয়নায় খেয়াল দেখছিস কেমন থার্ড ক্লাস লাগে!! মুগ্ধ আসলে তোকে সাইজ করবে জানিস না! হাতে পায়ে লম্বা হয়েছিস ঠিকই বুদ্ধির বিকাশ তোর হয়নি ! লুকিং লাইক এ্যা থার্ড ক্লাস!
চেচিয়ে উনি বিছানা থেকে উঠে গেলেন। ওয়ারড্রব থেকে উনার কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমের ক্লথ হ্যাঙ্কারে রাখলেন। আমি বিছানায় বসে উনার রাগী রাগী ভাব দেখছি। দেখতে কিন্তু সুন্দর লাগছে। আমি বুঝতে দিচ্ছি না আমি যে মোহিত হয়ে উনাকে পাগলের মতো দেখছি। উনি আমায় পাশ কাটিয়ে চোখ এড়িয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাড়ালেন। কোমরের বেল্ট খুলে বিছানায় ছুড়ে মারলেন। শার্টের ইন টেনে নিলেন। আমি বিছানায় বসে গালে হাত রেখে বাকা হেসে দেখছি। উনি আমার স্থিতি খেয়াল করেছেন বলে মনে হয়না। নাহলে এইভাবে দাড়িয়ে দাড়িয়ে বেল্ট খুলে শার্ট খুলতেন না। আমি শুকিয়ে গেছি উনার আরো খুশি হওয়া দরকার। ওজন কমিয়ে আমি কিউট বালিকা হয়ে গেছি। এটাই না ছেলেরা পছন্দ করে? উনি কেন চেতলেন?উনি শার্টের বোতাম খুলতেই বললেন,
–বেপরোয়ার মতো তাকিয়ে থাকলে ছেলেদের লজ্জা হয়। চোখ নিচু রাখার জন্য আবেদন করছি।
আমি উনাকে দেখবো না? হোস্টেলে সেদিন পান্জাবী বৃষ্টির পানিতে ভিজিয়ে আমার সামনে আসতে লাজ শরম কাজ করেনি এখন মুগ্ধ সাহেবের ফুরুৎ করে লজ্জা চলে এসেছে। উনি শার্টের শেষ বোতামটাও খুলে ফেলেছেন। আয়নার দিকে তাকিয়ে উনি বললেন,
–কাউকে বলেছিলাম চোখটা নিচু করতে। আমার কথা যে শোনে না…তার কথা মানার আমার কোনো প্রয়োজন নেই। চোখ নিচে!
আমি বিছানা থেকে নেমে উনার শার্ট খুলতে সাহায্য করলাম। উনি এক নজর আমার দিকে তাকিয়ে স্ট্যাচু হয়ে গেলেন। আমাকে বাধা দিলেন না।
–হুম কি যেন বলছিলেন? আমি কথা মানি না? আমি কথা না মানলে “গুড গার্ল” উপাধি পেলাম কি করে? শুনুন ডাক্তার সাহেব বিষয়টা খুলে বলছি। খাবার আমাকে খাইয়ে দিলে বেশী খাই…না খাইয়ে দিলে নিজের হাতে কম খাই। আপনি তো জানেন…ভাইয়ু আমাকে খাইয়ে দিতো। এরপর আপনি আসলেন আপনি খাইয়ে দিতেন। আপনি ছিলেন না আমিও কম খেয়েছি। তাই শুকিয়ে গিয়েছি।। সিম্পল!!
উনি পকেট থেকে ফোন, ওয়ালেট, আইডি কার্ড বের করে টেবিলের উপর রেখে বললেন,
–সবসময় আমি তোর পাশে থাকবো না। চব্বিশ ঘন্টার প্রতিটা ঘন্টায় আমার পক্ষে তোর দেখভাল করা পসিবল হয়ে উঠবে না। তোকে বুঝতে হবে। তোর নিজের প্রতি কেয়ারফুল থাকতে হবে। ট্রায় টু আন্ডারস্টেন্ড! এভ্রি পার্সন ইজ বিজি ইন দেয়ার ওউন ওয়ার্ল্ড। তোকে মানতে হবে, আমিও এতে সেলফিসের মতো পেশেন্ট নিয়ে বিজি থাকবো।
উনি গলায় টাওয়েল ঝুলিয়ে আমার দিকে ফিরলেন। আমার কাধে হাতে রেখে বললেন,
–আমি টুয়েন্টিফোর আওর্য়াস এভেইএবেল থাকবো না পাকনি। ইউ হেভ টু একসেপ্ট ইট।
উনি ওয়াশরুমে চলে গেলেন। আমি কথাটায় ভালোভাবে গড় করে নিলাম। ঠিক…উনি সকাল হলেই চলে যান রাতের আটটায় বাড়ি ফিরেন। কখনো চাপ বেশি থাকলে লেট করেও আসবেন… আমার নিজের দিকেও আলাদাভাবে কেয়ার রাখতে হবে। জানি ব্যাপারটায় আলসেমি প্রচুর। চুলের খোপা পেচিয়ে রুমের দরজা টেনে বাইরে যেতেই মনে পড়লো…মনিরা না গোঙাচ্ছিলো!!! কেমন যেন আওয়াজ করছিলো!! আমি খোপা করেই রুমের বাইরে গিয়ে পাশের রুমে গেলাম…মনিরা বিছানায় জবুথবু হয়ে কাথা মুড়ি দিয়ে বসে আছে। উটকো লাগছে প্রচুর! হিটলার মেয়ে এভাবে এ অবস্থায়? ভাবা যায় এগ্লা? মনিরার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
–ওই বজ্জাত! মুগ্ধ এসেছে তুই গোঙাচ্ছিলি কেন! বজ্জাত বেশশরম !
নড়লো না চড়লোও না। বসেই রইলো। আমিও ডান পা-টা টানটান করে নিলাম। দিবো এক লাত্থি! ব্যস! এক লাত্থি দিলাম মনিরা ধুরুম করে ফ্লোরে যেয়ে পড়লো! “আমারে মাইরা লাইসে লো…আমারে মাইরা লাইসে”।
ফ্লোরে ভূমিকম্পের মতো ধপাস করে পড়েছে মনিরা। আমি হেসে কুটিকুটি। মনিরা মুখ থেকে কাথা সরিয়ে দেখে আমি। তন্মধ্যে মুগ্ধ ধিরিম করে শব্দ হওয়াতে গোসলের দরজা খুলে চেচিয়ে বলল,
–পাকনি তুই ফ্লোরে কোমর ভেঙ্গে পড়লি নাকি?? সর্বনাশ করলি!! এই দাড়া আমি কাপড় পাল্টে আসছি!
মুগ্ধের কথা শুনে আমি হাসতে হাসতে পেট চেপে আছি। মনিরা লাত্থি খেয়ে বিছানা টু ফ্লোরে ছিটকে পড়েছে!! ওদিকে উল্টো বুঝে উনি আমার পড়াতে আহাজারি প্রকাশ করছেন। আহা বিনোদন!! মনিরা কালোজিরার মতো মুখটা কালো করে কোমর হাতড়াতে হাতড়াতে বিছানায় বসলো। আমাকে এক দলা গালি ছুড়ে বলল,
–**** !.******! তুই লাত্থি দিছোত কেন বান্দি!আমি ব্যাথা পাই না! আমার শরীরে কি ব্যহাথা লাগে না!লোহা দিয়া তৈরী!
আমি হাসতে হাসতে হয়রান হয়ে মনিরাকে বললাম,
–তোর বাসর ঘরের সিন দেখলাম দোস্ত!! তুই তো পুরাই খেলে দিছোস! তোর জামাইরে তুই এমনে ধোকা দিবি?? কাথার তলে ঢুকে ন ডরাই দেখাবি??
-চলবে🍁
-Fabiyah_Momo🍁