শুভ বিবাহ পর্ব-৩৩

0
2400

#শুভ_বিবাহ
লেখা #AbiarMaria

পর্ব ৩৩

আইটেম দিতে দিতে মাথার চুল ছেঁড়ার মতো অবস্থা। এক সপ্তাহ ধরে চুলে তেল দেয়ার সুযোগও পাচ্ছি না। ভাগ্যিস, আমার একটা বেকার আম্মু আছে। সে আমাকে পাগলের মতো পড়তে দেখে বকতে বকতে আঠালো চুলে তেল দিয়ে জট ছাড়িয়ে দেয়। আমি এক মনে পড়েই যাই, আম্মুর বকা আমার কানের আশেপাশেও আসে না। চুলে তেল মাখা শেষে বেকার আম্মুটা আমার জন্য আমার পছন্দের খাবার সাজিয়ে নিয়ে আসে। আমি সেদিকে না চেয়ে বইয়ের দিকে চোখ রেখে প্লেট থেকে খাবার নিয়ে গপ গপ করে খাই। এই যে আম্মু এত কষ্ট করলো, এটা যেন দুধভাত। মাথায় কাজ করে, সব তো পেটেই যাবে এক সাথে। এত ঢং করে লাভ কি! আম্মু বকে তার একটা কথাই বেশি কানে বাজে, “আমি মরে গেলে কে তোকে সামলাবে? এখনো বড় হইলি না!”

আজকে পরীক্ষা দিয়ে শরীরটাকে কোনো মতে টেনে রিকশায় তুললাম। বাসা পর্যন্ত রিকশায় আসতে আসতে মনে হচ্ছিল রিকশাতেই এক চোট ঘুমিয়ে নেব। অনেক কষ্টে কার্টুন টমের মত নিজের চোখ দুটো যেন টুথপিক দিয়ে খুলে রেখে বাসায় পৌঁছালাম। কলিং বেল বাজিয়ে যে অপেক্ষা করবো দরজায়, সেই শক্তিও বোধহয় নেই। কলিং বেল চেপে ধরে দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আম্মু এসে দরজা খুলে আমার ঢুলুঢুলু চোখ দেখে বলল,
❝এ কি অবস্থা তোর! এখানেই ঘুমাবি নাকি? এদিকে আয়!❞
আম্মু আমাকে ধরে ভেতরে নিয়ে আসলো। আম্মুর সাহায্য আমার লাগবে না, তবুও আম্মুর হাত ধরে ড্রইংরুমে এসে রীতিমতো চমকে উঠলাম। এতক্ষণ যে ঘুমে ঢলে পড়া ভাব ছিল, সেটা মুহূর্তেই উড়ে গেল। এই প্রাণি এইখানে কি করছে?!

আমার দিকে প্রাণিটা তাকিয়ে ভালো মানুষের মতো হাসার চেষ্টা করলো। তার মুখ দেখে আমার ঘুম তো গেলোই, মেজাজও গরম হয়ে গেল। একে আমি সম্ভাব্য সব যায়গা থেকে ব্লক করে দিয়েছি। আব্বু আম্মুকে বুঝিয়ে বলেছি তার সমস্যা আছে। সে একজন চরিত্রের দিক থেকে নড়বড়ে পুরুষ মানুষ। আব্বু আম্মু খুব অবাক হয়েছে। সম্ভবত বিশ্বাস করেনি। আমি জোরও করেনি। বিয়ে আটকানো গেলেই হলো। আম্মুও আপাতত সেসব নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে না। আমার বড় দুই ভাই বিদেশে বিয়ে করে বসে আছে। ওদের বউদের নিয়ে ঘুরে গিয়েছিল বছর খানেক আগে। আম্মু আব্বু ওদের এমন কাজে খুব আফসোস। মানুষ বাবা মা ছাড়া বিয়ে করে ফেলে এভাবে? উনারা মেনে নিতে পারেননি। আমারও বুকের ভেতর হাজার হাজার অভিমান। চারটি নয়, পাঁচটি নয়, একটি মাত্র বোন। একে কি গুরুত্ব দেয়া যায় না? আমার মন ভেঙে গেছে তাই। আব্বু আম্মু তাই আমাকে জোর করে বিয়ে দিতে চান না। ছেলেরা এমনিতেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে, মেয়েও যদি যায়? বিয়ে দিলে তো এমনিতেও অন্যের বাড়ি চলে যাবে। তার উপর জোরাজোরি করলে যদি দূরত্ব আরও বাড়ে? তারা আমাকে তাই স্বাধীনতা দিয়েছে।

সমস্যা হলো, যার জন্য এত কাহিনী করলাম, সে চোখের সামনে এসে বসে আছে। এই লোকের কত সাহস যে সে আমার সামনে আসে?! লজ্জা কি একেবারেই নেই তার? আর কত তাড়াবো? কুকুর বিড়াল হলেও তো আর আসতো না, আর সে তো জ্বলজ্যান্ত মানুষ! আমি আম্মুর দিকে তাকালাম। আম্মু কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে বলল,
❝শুভ দুপুরের দিকে এসেছে। কি একটা কাজে নাকি দিনাজপুর এসেছিল। আমাদের সাথে দেখা করে যাচ্ছে। তুই ভেতরে যা। হাত মুখ ধো, যা❞

আমি ঘরে গিয়ে ব্যাগ রাখলাম। পেটে তেমন একটা কিছু পড়েনি, তার উপর অশুভ ভাইয়াকে দেখে আরও অস্থির লাগছে। এখন আর গোসলের সময় নেই। এই আপদ কেন এসেছে আগে জানতে হবে। একে বিদায় না করে আমি স্থির হয়ে বসতে পারবো না। ওয়াশরুমে ঢুকে হাত মুখ ধুতে গিয়ে খেয়াল করলাম গা থেকে গন্ধ আসছে। কাপড় পালটে হাত মুখ ভালো করে ধুলাম। ঘর থেকে বের হতেই আম্মু মুখে ভাত গুঁজে দিল। আমি চোখ বড় বড় করে তাকাতেই বললেন,
❝সারাদিন না খাওয়া। আমি জানি না? ডাক্তার হয়েও গ্যাস্টিক বানাইতেছিস না খেয়ে না খেয়ে! পরে তো ভুগবি। আমি আজীবন থাকবো তোর মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য? নিজেরটা নিজের বোঝা লাগবে না? কি দরকার না খেয়ে এত কিছু করার? খেয়ে খেয়ে করা যায় না? ফাঁক ফোকরে সুযোগে কিচ্ছু কি খাওয়া যায় না? তোরা ডাক্তাররাই যদি এমন করস, রোগীরে কি করতে বলবি?❞

আমি মুখের লোকমা গিলে বললাম,
❝আমি বিস্কুট খাই। আর বেশি খেলে মানে পেট ভরা থাকলে ঘুম আসে❞
❝সুযোগ করে পেটটা কাইটা ফালায় দিস!❞
আমি ষড়যন্ত্রীর মতো মুখ করে বললাম,
❝ওকে!❞
আম্মু রাগ করে এরপরের লোকমাটা আরও বড় করে মুখে ঠেসে দিল। কয়েক লোকমা খাবার অত্যাচার সহ্য করে আমি জোর করে পানি খেয়ে মুখ ধুয়ে নিলাম৷ আম্মুর অভ্যাস হলো বিরাট বিরাট করে লোকমা বানিয়ে কয়েক লোকমায় এক প্লেট ভাত শেষ করে আমাকে বকাঝকা করা। এত অল্প খেয়ে লাফাচ্ছিস কেন? মাত্র কয়েক লোকমা নিছিস! এই হলো আম্মুর খাদ্যময় অত্যাচার। আমি আজকে সেই অত্যাচার মেনে নেব না। আম্মুকে ইশারা করলাম, শুভ ভাইয়ার সাথে কথা বলতে যাবো।

ড্রইং রুমে ঢুকে দেখলাম সে চা শেষ করে বসে আছে। আমার উপস্থিতি টের পেয়ে আমার দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে বলল,
❝বসো❞
❝আমার বাসায় আমাক্র বসতে বলছেন?❞
❝তাহলে কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলবা?❞

আমি পেছনে দেখলাম। আম্মু রান্না ঘরে খুটখুট করছে। এই ঘরে কথা বলা নিরাপদ না, আম্মু যেকোনো সময় চলে আসবে। উনার দিকে ফিরে বললাম,
❝ছাদে চলেন। কথা আছে আপনার সাথে❞
ঘুরে দরজা খুলে বেরিয়ে আসলাম। দিনাজপুরের বাসা গুলো ঢাকার মত ইয়া বিশাল বিশাল হয়নি এখনো। তিনতলাতেই আমাদের ছাদ। ছাদে কেউ নেই। ছাদে উঠে সরাসরি উনার মুখের দিকে তাকালাম।
❝কি সমস্যা আপনার? কি চাইতে বারবার আসেন? সব যায়গা থেকে ব্লক দিলাম। এরপরও কি বুঝেন না আমি আপনাকে অপছন্দ করি?❞
শুভ ভাইয়ার হাসি মলিন হয়ে গেছে। তবুও মুখে হাসি ধরে রেখে বললেন,
❝তোমাকে প্রমাণ দিতে এসেছি❞
আমার ভ্রু কুঁচকে গেল।
❝কিসের প্রমাণ?❞
উনি পকেট থেকে ফোন বের করলেন। কি যেন একটা বের করে হেডফোন লাগালেন। তারপর আমার হাতে দিলেন।
❝এইটা দেখো❞

উনার হাত থেকে ফোন নিয়ে দেখলাম। একটা ভিডিও প্লে হয়েছে। সেখানে কণা আপুকে দেখা যাচ্ছে। তাদের দুজনের মাঝে কথা হচ্ছে। শুভ ভাইয়া মাফ চাচ্ছে। আমি প্রশ্ন নিয়ে তার দিকে তাকালাম।
❝কণাপু?❞
সে মাথা নাড়লো। আমি ভিডিওর দিকে মনোযোগ দিলাম। সেখানে শুভ ভাইয়া বলছে আমাকে সত্য বলার জন্য। কণাপু শেষ পর্যন্ত নিষেধ করে দিল। সে আমাকে সত্য জানাবে না। সে বিশ্বাস ভাঙবে না। হঠাৎ করে আমার দুচোখ ঝাপসা হয়ে আসলো। আমি অশ্রুসিক্ত নয়নে শুভ ভাইয়ার দিকে ফোন এগিয়ে দিলাম। শুভ ভাইয়া বলল,
❝কণার কাছে তুমি ক্ষমা চাইতে বলেছিলে। চেয়েছি। কণা ক্ষমা করেছে কিনা জানি না। কিন্তু সে তোমাকে সত্য বলতে রাজী হয়নি। কণা আসলে তোমাকে আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চেয়েছে যেন তুমি আমাকে ঘৃণা করো। শি ইউজড ইউ এগেইন্সট মি। তাও আবার মিথ্যা বলে। দেখছ, আমি কখনো মিথ্যা বলিনি। এটাই প্রমাণ❞

আমার চোখ উপচে পানি পড়তে শুরু করেছে। সবাই এমন কেন? আমাকে কেবল ব্যবহার করতে আসে? মানুষ এত অভিনয় জানে? এত খারাপ? আমার কান্না থামানো যাবে না। কাঁদতে কাঁদতে আমি দৌড়ে নিচে চলে আসলাম। দৌড়ে ঘরে ঢুকে আরেকটু হলে আম্মুর সাথে ধাক্কা খেতাম। নিজেকে সামলে নিয়ে দ্রুত ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দিলাম।হাঁটু মুড়ে হাঁটুতে মুখ গুঁজে কাঁদছি। এতদিন শুভ ভাইয়া আমাকে বলত, কণাপু মিথ্যা বলেছে। আমি বিশ্বাস করিনি। অথচ কণাপুই আমাকে মিথ্যা বলেছে নিজের জন্য! সে রিভেঞ্জ নিতে চেয়েছে আমার মাধ্যমে! আমি তো এমনিতেই শুভ ভাইয়াকে অপছন্দ করি। তবুও কেন? কণাপুও সবার মতোই…?

আমি নীরব কান্নায় ভেঙে পড়লাম। বয়স বেড়ে গেল, ভেতর থেকে একটা বাচ্চা মেয়েই রয়ে গেলাম আমি। চোখ বুঁজে সবাইকে বিশ্বাস করি। আর কান্নায় ভেঙে পড়ি কিছু হলেই। এত দুর্বল কেন আমি? আমার কান্না কিছুতেই থামছে না। ওপাশে আম্মু ডাকাডাকি করছে। আমি কিভাবে দরজা খুলবো? না জানি আম্মু কি ভাববে! কোনোমতে বললাম,
❝মাথাব্যথা করছে আম্মু। তুমি যাও! আমি ঘুমাবো!❞

বিছানায় শুয়ে বালিশ জড়িয়ে কাঁদছি আর ওড়না দিয়ে নাকের পানি মুছছি। মানুষ এমনও হয়? আমি তো অনেক আগেই আপুকে বলেছিলাম শুভ ভাইয়ার কথা। শুভ ভাইয়া বারবার বলছে, আপু মিথ্যা বলেছে। অথচ আপু জোর দিয়ে বলেছে, সে নাকি মিথ্যা বলেনি। মানুষ এমন জোর দিয়ে অকপটে মিথ্যা বলতে পারে? এমন বছরের পর বছর? হায় আল্লাহ! আমি কোন দুনিয়ায় আছি! এত বোকা আমি?! এত্ত বোকা?!

কাঁদতে কাঁদতে কখন ঘুমিয়েছি জানি না। ঘুম ভেঙে প্রথমেই মনে হলো, ভীষণ ক্ষুধা লেগেছে। বাইরে তখন অন্ধকার। তারমানে রাত হয়েছে। কটা বাজে? বিছানা থেকে নামলাম। হাতড়ে হাতড়ে আলো জ্বালালাম। পৌনে দশটা বাজে। আমাদের বাসায় সকালে আর রাতে তিন জন এক সাথে ভাত খাওয়ার চেষ্টা করি। আব্বু আম্মু মনে হয় আমাকে ছাড়া না খেয়ে বসে আছে। চোখে মুখে পানি দিয়ে ভাত খেতে বসলাম। আম্মু গম্ভীর হয়ে আব্বুকে কি যেন বলছে। দুজনেই বারবার আমার দিকে তাকাচ্ছে। আমি কিছুক্ষণ চুপচাপ খেয়ে বললাম,
❝তোমরা কিছু বলবা?❞
আব্বু নরম স্বরে বললেন,
❝মা রে! তোর কি কোনো সমস্যা হইছে?❞
❝কি সমস্যা হবে?❞
আম্মু বললেন,
❝শুভ কি কিছু বলছে তোকে? এরকম দৌড়ে আসলি কেন বাইরে থেকে? বাইরে গেছিলি কেন?❞
❝একটু দরকার ছিল❞
❝কানছিস কেন?❞
❝উনাকে অনেক বার বলছি, বিয়ে করবো না। শুধু বিয়ে বিয়ে করে। ভাল্লাগে না। এজন্য কান্না চলে আসছে❞

আব্বু আম্মু আর কিছু বললো না। খাওয়া শেষে হাত ধুয়ে ঘরে আসলাম। ফোন বের করে কণাপুকে নক দিলাম।
❝বাংলাদেশে তুমি?❞

তার নামের পাশে সবুজ বাতি জ্বলছিল। কিছুক্ষণ পরে রিপ্লাই আসলো।
❝হ্যাঁ। কেমন আছিস?❞
আমি পালটা প্রশ্ন করলাম,
❝একটা কথা বলবে?❞
❝হ্যাঁ, বল?❞
❝শুভ ভাইয়াকে যেন আমি কখনো বিয়ে না করি, তুমি যেন প্রতিশোধ নিতে পারো, এজন্য ভাইয়ার নামে মিথ্যা বলে আমাকে ব্যবহার করছ তুমি। তাই না?❞
আপু মেসেজ সিন করলো। কিন্তু রিপ্লাই দিল না। কিছু একটা বার বার টাইপ করতে দিয়ে শুধু মুছে দিচ্ছে। সেন্ড করছে না। একটু পরে লিখলো,
❝কি বলছিস না বলছিস! মিথ্যা কেন বলবো? ব্যবহার কেন করবো? কে বলল তোকে এসব? শুভ?❞
আমার মুখে তাচ্ছিল্যের হাসি ফুটলো। তাকে শেষ মেসেজ পাঠালাম।
❝তোমরা সবাই মুখোশধারী, ছলনাকারী, স্বার্থপর। আমিই কেবল বোকা রয়ে গেলাম। আর পৃথিবী কত এগিয়ে গেল!❞

এরপর কণাপুকে ব্লক করে দিলাম। এমন মানুষদের আমার প্রয়োজন নেই। এরপর শুভ ভাইয়ার নাম্বার আনব্লক করলাম। উনাকে কল দিলাম। ওপাশে রিঙ হচ্ছে। একটু পর উনি ফোন রিসিভ করলেন।
❝সরি তুতুন, একটু ওয়াশরুমে গিয়েছিলাম❞
❝অহ❞
❝আমি জানতাম তুমি ফোন করবে। সরি তোমাকে কাঁদানোর জন্য। এছাড়া উপায় ছিল না। আমি মানুষটা খারাপ। কিন্তু তাই বলে একটা মিথ্যা অপবাদ তো মেনে নিতে পারিনা। তোমাকে সত্যিটা বলেছি। কিচ্ছু লুকাইনি। অনেস্ট থাকতে চেয়েছি। এখনো আছি। তুমি যা বলেছ, সব শুনেছি। এখন কি আমার জন্য একটু সহানুভূতি হবে?❞
আমি কিছুটা নীরব থেকে বললাম,
❝এখনো দিনাজপুরে আছেন?❞
❝হ্যাঁ, আছি তো❞
❝কাল বিকালে সময় হবে?❞
❝আমি তো তোমার জন্যই এসেছি! নিশ্চয়ই সময় হবে❞
❝ঠিক আছে। আগামীকাল কলেজের গেইটের সামনে থাকবেন। চারটায়। তারপর এক যায়গায় যাবো❞
ওপাশে শুভ ভাইয়া খুব খুশি হয়েছে বোধহয়। আমি চুপচাপ ফোন কেটে হাতে নিয়ে বসে আছি। জীবনটা এমন কেন? এত কনফিউজিং কেন? এত ঘোলাটে এত জটিল কেন?

চলবে…

আগামী পর্বে সমাপ্য

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here