অগত্যা তুলকালাম।’পর্ব-৩৭

0
545

#অগত্যা_তুলকালাম
নাফীছাহ ইফফাত

পর্ব ৩৭

মায়ের অসুস্থতা দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে। বাবার মতে, ঘরে একা থাকতে থাকতে মায়ের এই অবস্থা হয়েছে। আমি মতামত দিলাম, নানুবাড়ি থেকে ঘুরে এলে হয়তো মায়ের মন ভালো হবে। মা আমার মতামতকে বয়কট করে দিলেন৷ নানা-নানু নেই কি হবে ওখানে গিয়ে? নাকীব জানালো, তাহলে খালামণির বাড়ি থেকে ঘুরে এসো। নাকীবের সিদ্ধান্ত মায়ের মনে ধরলো। মা বললেন,
“ঘুরে এসো নয়, তোরাসহ যাবি। খালার চেহারা তো ভুলতে বসেছিস। কতদিন যাস না।”

আমি দোনোমোনো করে বললাম, “মা, অনেক কাজ তো…”
“তোর কাজের আমি গুল্লি মারি।” খালার বাড়ি যাওয়ার কথা শুনে যেন মায়ের শরীরে দ্বিগুণ শক্তি ফিরে এলো। মা সটান উঠে বসলেন।

“কাজ-টাজ ফেলে রাখ। যা, গোছগাছ শুরু কর।”
“মা!” আহত স্বরে ডাকলাম।
“কোনো কথা না, যা বলছি। নাকীব, যা তোর বাবাকে বল আজ রাতের টিকেট কাটতে।”
“আজ রাতেই? মা, সত্যিই আমাদের কাজ আছে।” সুর যথেষ্ট কোমল করে বলে নাকীব।
“আবার তুই শুরু করেছিস? সর তো সামনে থেকে। শুনছো, তুমি কোথায়?” বলতে বলতে উঠে চলে গেলেন মা। আমরা দুজন তাজ্জব হয়ে মায়ের যাওয়ার পানে তাকিয়ে রইলাম শুধু। বোনের বাড়ি যাবে শুনেই এতটা সুস্থ, গেলে না জানি কি হয়!

“আপু, মা তো সুস্থ হয়েই গেছে। আমরা তো মায়ের অসুস্থতার কথা ভেবে যেতে চেয়েছিলাম। তো এখন আর যাওয়ার কি প্রয়োজন?”
“সেটাই তো।”

ড্রইংরুমে গিয়ে দেখি বাবা অনলাইনে টিকেট কাটর তোড়জোড় করছেন। জিজ্ঞেস করলাম,
“কয়টা টিকেট কেটেছো বাবা?”
“কাটিনি এখনও। আগে কে কে যাচ্ছে কনফার্ম কর।”
“কিসের কনফার্ম আবার? সবাই যাচ্ছে।” মা চেঁচিয়ে উঠলেন।
“আচ্ছা মা, দাদু কিভাবে যাবে অতদূর ভেবেছো?”
“দাদুকে ফোন দিয়েই জিজ্ঞেস কর।”

নাকীব সত্যি সত্যিই ফোন দিলো দাদুকে। দাদু সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি যাবেন না। দাদুর দেখাদেখি বাকিরাও না করে দিলো। আজব ব্যাপার! ওদেরকে রেখে আমরা যাই কি করে? আমিও না করলাম। আমার দেখাদেখি নাকীবও৷ মা গর্জে উঠলেন,
“থাপ্পড় মেরে সবক’টার দাঁত ফেলে দিবো আমি। কেউ না গেলেও তোরা দুটো যাচ্ছিস এটা কনফার্ম। তুমি আগে এই দুটোর টিকেট কনফার্ম করো তো।”
“আরে আজব! আমাদের নিয়ে পড়লে কেন?”
“তোদের নিয়ে না পড়ে কাকে নিয়ে পড়বো? যা রেডি হ, নাহয় সবকটা দাঁত ভেঙ্গে দেবো।”
“মা, একবারও ভেবে দেখেছো দাঁতগুলো কিন্তু তুমি গজিয়ে দাওনি৷ এগুলো আল্লাহ তাঁর নিপুণ কৌশলে গজিয়ে দিয়েছেন। সো, এগুলো তুমি কথায় কথায় ভেঙ্গে দিতে পারো না। কথায় আছে না, দাঁত থাকিতে দাঁতের মর্ম…” গম্ভীর স্বরে বললো নাকীব।
“চুপ কর হতচ্ছাড়া!”

আমরা কেউই বুঝলাম না, মা হঠাৎ করে এত রিয়্যাক্ট করছে কেন। কথা না বাড়িয়ে নিজেদের রুমে চলে এলাম। এসেই নাকীবের মাথায় সজোরে একটা গাট্টা মারলাম।
“তোর জন্য হয়েছে সব। তুই বলেছিস খালার বাড়ির কথা। এখন অতদূর যা।”
“আমি কি জানতাম?”
“তুই কিছুই জানতি না। যা এখন কাজ সামলে নে। ক’দিনের ঝক্কি আল্লাহ ভালো জানে।”
“তুমি আমায় দোষারোপ করছো কেন? আমি একবারও বলেছি আমি যাব?”
“যাবি না তাও তো বলিসনি।”
“এ্যাঁই, যাবো না বলেছি আমি। মিথ্যে বলবে না একদম।” সটান দাঁড়িয়ে আমার দিকে আঙ্গুল তাক করে নাকীব বললো।
“চুপ থাক।”
“উফ আপু! আমরা কেন ঝগড়া করছি?”
“জানি না৷ আচ্ছা যা গিয়ে রেডি হ।”
“হুহ অগত্যা…”
“তুলকালাম।”

আজ রাতে আমরা রওনা হওয়ার কথা। রওনা দেওয়ার আগে আমরা দুজন একবার শান্তি কুঠিরে এলাম। দাদুকে বারবার করে বলে দিয়েছি, যেন সাবধানে থাকে। এই প্রথম ওদেরকে ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি। বুকের ভেতর অজানা আশঙ্কায় দুরুদুরু করে কাঁপছে। ঝিলিকে আসতে বললাম সাথে, এলো না৷ আমার অবর্তমানে নাকি সে অসংখ্য গল্প শুনে ফেলবে দাদুর কাছ থেকে। বিচ্ছুগুলো শুধুমাত্র দাদুর কাছে গল্প শুনবে বলে যাচ্ছে না। আসার ঠিক আগমুহূর্তে ব্যাপারটা জানলাম৷ মাহফুজ আবরারকে ফিসফিস করে বলছে,
“আপু চলে গেলে সারারাত জেগে গল্প শোনা যাবে। আর কেউ বকবে না আমাদের।”
নাকীবকে বললাম, “যা এক্ষুনি গিয়ে ঠাস করে একটা দিয়ে আয় ওকে।”
নাকীব ভ্রু কুঁচকে তাকালো আমার দিকে। মারামারি ওর স্বভাবে নেই। আমি নিজেই একটা চটকানা মারলাম নাকীবকে। ও বিরক্ত নিয়ে তাকিয়ে থাকলো আমার দিকে।

শান্তি কুঠির থেকে ফিরে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে স্টেশনে চলে এলাম। প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় ডায়েরিটা নিতে আমার ভুল হলো না। রাত দশটায় ট্রেন ছাড়লো। আলাদা একটা কেবিনে শুধু আমরা চারজন। জানালার সিটটা বরাবরই আমার জন্য বরাদ্দ। যদিও এখানে চারজনই জানালার পাশেই বসেছে। যেহেতু দু’পাশে দুটো করে জানালা৷

খালার বাড়ি গ্রামাঞ্চলে। ট্রেনে করে যেতে হয়। রেলস্টেশনে পৌঁছাতেই লেগে যায় ছয় ঘন্টা৷ ওখান থেকে আরও তিনঘন্টা স্থলপথে ঝক্কিঝামেলা সামলে তারপর নৌপথে আধঘন্টা যাত্রার পর খালার বাড়ি৷ যতই গ্রামাঞ্চলে হোক না কেন খালার বাড়ি কিন্তু বেশ বিলাসবহুল। খালার দুই ছেলে, রানভীর ও তানভীর। বড় ছেলে বিদেশ থাকে পরিবারসহ। ছোট ছেলের এখনও বিয়ে হয়নি। সে মায়ের সাথেই থাকে। খালার বাড়ি যেতে আপত্তি করার প্রধান কারন হলো তানভীর ভাইয়া। জানি না ওখানে পর্দা রক্ষা করতে পারবো কিনা। তানভীর ভাইয়া, খালু প্রত্যেকেই আমার নন-মাহরাম। অথচ দেখা হলে কথা না বলে পারবো না৷ তানভীর ভাইয়াকে যতদূর চিনি সে যথেষ্ট ভালো মনের একজন মানুষ৷ তবুও ভয় হচ্ছে কি হবে এই ভেবে।

রাতের আঁধারে ট্রেন ছুটছে সাঁই সাঁই করে। প্রকৃতির কিচ্ছুটি দেখতে পাচ্ছি না। রাতের ভ্রমণ যদিও আরামদায়ক তবুও যাত্রাপথে যদি সুন্দর প্রকৃতিই দেখা না যায় তাহলে সেই যাত্রা বিফল। বগিতে মৃদু আলো জ্বলছে। বাবা-মা কিছুক্ষণ জানালার বাইরে চোখ রেখে গল্প করেছিলেন। এরপর একটা সময় ঘুমিয়ে পড়লেন। নাকীব মোবাইল টিপছে। আমারই করার কিছু নেই শুধু। জানালা দিয়ে হু হু করে বাতাস ঢুকছে। বাইরে তাকিয়ে আছি নিষ্পলক। পেছনে ফেলে আসছি চেনা শহর। হঠাৎ থমকে গেলাম। কাশবনের মাঝখান দিয়ে ছুটছে ট্রেন। নাকীব হাত দিয়ে দেখালো, ঐ যে আপু নতুন শেইপের বিল্ডিংটা। আমি তাকালাম। মুহুর্তেই আঁধারে অদৃশ্য হয়ে গেল। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে জানালায় হেলান দিয়ে তাকিয়ে রইলাম বাইরে। বাবা ঘুমঘুম কন্ঠে ডাকলেন,
“হৃদি, মা জানালা লাগিয়ে দে। বাতাস আসছে, ঠান্ডা লেগে যাবে।”
“আচ্ছা বাবা।” জানালা টেনে দিলাম।
বাবা আবার বললেন, “নাকীব, ঘুমিয়ে পড় বাবা। সকালে অনেক ধকল সামলাতে হবে।”
“অকে বাবা।”

কেবিনের মাঝখানে পর্দা টেনে দিয়ে আমরা নিজেদের কাজ করতে লাগলাম। ঘুম আসবে না জানা আছে। ডায়েরিটা বের করলাম। এটাই পড়ি বসে বসে। ডায়েরি বের করতেই নাকীব তাচ্ছিল্যের সুরে বললো,
“ছেঁড়া ডায়েরিটা এখানেও নিয়ে আসতে হলো?”
”ছেঁড়া কই?”
“অন্যের ডায়েরি একটা পড়ছো মাসের পর মাস ধরে। আমার হলে একদিনে শেষ হয়ে যেত। আবরারকে দিয়ে দেখতে সে একঘন্টায় শেষ করে ফেলতো।”
“বকবক করিস না৷ বাবা-মা ঘুমাচ্ছে। তুইও ঘুমা।”
“হাহ! ভালো বললে খারাপ হয়।” বড় করে হাই তুলে সিটে হেলান দিয়ে বসলো নাকীব।

আমি চোখেমুখে রাজ্যের বিরক্তি ভাব এনে বলি,
“হাই তুললে যে আসতাগফিরুল্লাহ পড়তে হয় সেটাও ভুলে গেছিস?”
তাৎক্ষণিক হাই গিলে বললো, “উপস স্যরি!”
“আর হাই শয়তানের কাছ থেকে আসে। পারতপক্ষে না তোলাই ভালো।”
“হুম। অকে গুড নাইট।”
“হুম।”

ডায়েরির পাতায় মনোযোগ দিলাম। “ভালোবাসার আরেক নাম অসহায়ত্ব”। অজান্তেই বুক ফুঁড়ে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো। রবকে ভালোবাসলে কোনো অসহায়ত্ব কাউকে কাবু করতে পারে না। বরং সমস্ত অসহায়ত্ব দূর হয়ে যায়৷

প্রেয়সীকে ফোনে না পেয়ে শলাবাবুকে ফোন করলাম। সে গিয়ে ফোনটা দিয়ে এলো। কল করতেই থাকলাম দেখি ফোন রিসিভ হচ্ছে না। বুঝতে বাকি রইলো না ফোনটা কার কাছে। অনেকক্ষণ পর রিসিভ হলো। রিসিভ হতেই সমস্ত রাগ উগড়ে দিলাম ওর ওপর।

“কি সমস্যা তোমার? এত দাম বেড়ে গেছে? কি মনে হয় তোমার সাথে কথা বলার জন্য আমি কান পেতে আছি? আমার টাইমের ভ্যালু নেই?”
“কি আশ্চর্য! আমি বলেছি তোমাকে ফোন করতে? আর একজন স্ক্রু ঢিলা মানুষের সাথে তোমার মতো ভালো মানুষ কেন কথা বলবে? হোয়াই? নো নিড!”

আগের দিন রাগের মাথায় ওকে যাচ্ছেতাই বলেছি। তারই ফল ভুগতে হচ্ছে আজ। কন্ঠ মোলায়েম করে বললাম, স্যরি! এরপর দেখা করতে বলায় তার দাম যেন আরও বেড়ে গেল। সে আমাকে আল্লাহ-রাসূলের ভয় দেখাতে লাগলো। আজব! প্রেম করার সময় আল্লাহ-রাসূল কই ছিল? স্বার্থে আঘাত লাগলেই আল্লাহ-রাসূল না? ওর প্রতি তাৎক্ষণিক আমার খুব ঘৃণা জন্মালো ইসলামকে স্বার্থের জন্য ব্যবহার করছে ভেবে। কিন্তু ওর সাথে সাক্ষাৎ এর পর ভুলটা ভাঙলো। ও আসলেই মনে হয় দ্বীনের পথে ফিরছে।

দ্বীনের পথে ফিরছে খুবই ভালো কথা। কিন্তু আমার সাথে দেখা করার পর এমন সব বিষয়ে সে কথা বলতে লাগলো যে আমার মেজাজ তুঙ্গে চড়ে বসলো। পরপর দুটো দিন ওর সাথে আমার ঝগড়া, আমার মতো কার সাথে যেন ওর দেখা হয়েছে সেই ভাবনা, সাথে সেই স্বপ্নটা। আমার মাথার সব চুল ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে করছিলো। এরমধ্যে বাবা উঠেপড়ে লেগেছে আমায় মাদরাসায় পাঠাবে নয়তো বিজনেসে ঢুকিয়ে দিবে বলে। আবার এখানে এসে ওর মুখেও সেইম কথা। সে নাকি আমায় বিয়ে করতে চায় আর তার জন্য আমার বিজনেস করতে হবে। এতদিনকার সমস্ত সমস্যা যেন রাগ হয়ে ওর সামনেই ফেটে পড়লো৷ একেকটা সমস্যা যেন একেকটা কথার বোম্ হয়ে ওর ওপর গিয়ে ফেটেছে। প্রচন্ড রাগারাগি হলো ওর সাথে। রাগের চোটে ওর বাবা-মাকে নিয়ে পর্যন্ত খারাপ কথা বলে ফেলেছি আমি। এককথায়, আমার নিজের জীবনের সমস্ত রাগ আমি ওর ওপর ঝেড়েছি৷ জানি না সেদিন কি পরিমাণ কষ্ট পেয়েছিলো। আর একটা কথাও না বলে সে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলো। ও চলে যাওয়ার পর মাথায় হাত দিয়ে অনেকক্ষণ বসেছিলাম কাশবনে। ওকে দেওয়া কষ্টে আমি নিজেও মুষড়ে পড়েছি বারংবার। সম্পর্কে ফাটল ধরলো। মানুষ সব সহ্য করতে পারে কিন্তু বাবা-মায়ের অপমান কেউই মেনে নেয় না। আমার নিজেরও বড্ড অহংকার চলে এসেছিলো মনে। ও আমার সব কথা শুনে তো তাই ওকেই যেন রাগ ঝাড়ার জন্য পাই সবসময়। নিজেকে ধিক্কার দেওয়ার সীমা অতিক্রম করলাম। কিচ্ছু ভালো লাগছিলো না। এরমধ্যে বাবা তার এক বন্ধুর ছেলের সাথে আমাকে যেতে বললেন। ছেলে পাত্রী দেখতে যাচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যে। ছেলে আবার আমারও বন্ধু। আমার এখন মোটেও সেসবের মুড নেই। তবু বাবার কথা রাখতে যাওয়ার সম্মতি দিলাম সেখানে। আদৌ জানা নেই যাবো কিনা।”

ডায়েরি পড়তে পড়তেই হঠাৎ হাত থেকে ডায়েরি উল্টে পড়ে গেল। ট্রেনে অদ্ভুত একটা শব্দ হচ্ছে। হুড়মুড় করে জেগে উঠছে সবাই। জানালা দিয়ে মাথা বের করে দেখলাম পেছনের বগিতে আগুন লেগেছে। আগুন লেগেছে তারও পেছনের আরও দুই বগিতে। মূলত পেছন দিক থেকে আগুন লাগতে লাগতে তিনটি বগিতেই আগুন লেগে গেছে। আগুনের হলকা আমাদের বগির দিকেই ছুটে আসছে। বুক ধড়ফড় বেড়ে গেল। কি করা উচিত ভেবে পেলাম না। তিন তিনটে বগি পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে চোখের সামনে। তবে কি এই যাত্রাই জীবনের শেষ যাত্রা? ঝাঁকুনিতে বাবা-মা জেগে আমাদের দুজনকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে রেখেছেন। মরলে একসাথে পুরো পরিবার চলে যাবো। জীবনের পাপের অধ্যায়গুলো উল্টেপাল্টে দেখছিলাম। মৃত্যু এত কাছে কখনো ভাবিইনি। আর কিছু ভাবতে পারলাম না প্রচন্ড বিস্ফোরণে কান ঝালাপালা হয়ে গেল।

#Be_Continued_In_Sha_Allah 🥀

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here