# ছায়াকরী
# পর্বঃ২৭
লেখনীতেঃ তাজরিয়ান খান তানভি
নুয়ায়াম নিশ্চেতন। তার শিয়রে দাঁড়িয়ে আছে ছায়াকরী। চিন্তিত চোখের পাল্লা স্থির। নুয়ায়ামের কপালের কা/টা দাগ মুছে গেছে। ছায়াকরী তার হাতের জাদুকরী স্পর্শে তা গায়েব করে দেয়। কিন্তু সে অনুতপ্ত। অস্পষ্ট আওয়াজে বলল—
“ক্ষমা করবেন যুবরাজ। আমি আপনাকে আ/ঘা/ত করতে চাইনি।”
আরইয়াজ সামনেই দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি নির্মল গলায় বললেন—
“ভয় পাচ্ছ?”
ছায়াকরী সরল গলায় বলল—
“তাঁকে আ/ঘা/ত করার অধিকার আমার নেই। আমি বাধ্য হয়েছি। যদি তিঁনি জেগে উঠেন, তাহলে সব মন পড়বে তাঁর। যুবরাজ তাঁর ক্ষমতা সম্পর্কে ধীরে ধীরে অবগত হচ্ছেন। তিঁনি হয়তো আমাকে দেখেও ফেলেছেন!”
আরইয়াজ বিভ্রম নিয়ে বললেন—
“আমি কী করতে পারি?”
“আপনি তাঁকে ভোলাবেন। বিশ্বাস করতে বাধ্য করবেন, যা হয়েছে তা শুধুই তাঁর অবচেতন চিত্তের ভ্রম। তাছাড়া আর কিছুই নয়।”
আরইয়াজ হালকা মাথা ঝুঁকিয়ে সম্মতি দিলেন।
,
,
,
ঘণ্টা খানিক পর নুয়ায়ামের হুশ ফিরে। সে চোখ পিটপিট করে তাকায়। আচানক তড়িৎ বেগে উঠে বসে। আশেপাশে তাকাতেই তার চোখের পাল্লা প্রস্ফুটিত হয়। নুয়ায়াম ভীতসন্ত্রস্ত। সে যেখানে শুয়ে আছে তা একটা কাঠের নড়বড়ে চৌকি। তার পা যেই মেঝেতে তাও কাঠের পাটাতন। নুয়ায়াম অবাক দৃষ্টিতে সব দেখতে লাগল। তার মাথার দিকটায় ছিল জানালা। কপাট খোলা। ফুরফুরে, তীক্ষ্ম শীতল সমীরণ। নুয়ায়াম উঠে জানালার কাছে দাঁড়ায়। বিস্তীর্ণ প্রান্তর জুড়ে ঘন জঙ্গল। কিছু লতাপাতার আচ্ছাদনে ছাওয়া বাড়িটির পেছন দিকটা। নুয়ায়াম আরেকটু এগিয়ে গেল। জানালার সাথে নেপ্টে বেড়ে ওঠা বুনো লতাটায় পানের পাতার মতো দেখতে এক ধরনের পাতা। কিন্তু আকৃতিতে তা ছোটো ছোটো। পাতার সাথে ফুটে আছে ছোটো ছোটো সাদা ফুল। কী মিষ্টি ঘ্রাণ! নুয়ায়াম বিমোহিত হয়। সে তার পায়ের দিকে তাকায়। অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে। কাঠের বাড়িটির সৌন্দর্য যেন তাদের মহলকে হার মানায়। কক্ষের মেঝের দিকটাতে গাঢ় বাদামী আর কালো রঙের কাঠ। দেয়ালের কাঠের রং ফিকে বাদামী। তার মাঝে ধূসর রঙের সন্নিবেশ। একটি চৌকি, দুটো বেতের চেয়ারের সাথে ছোট্ট গোল টেবিল আর একটি কাঠের তৈরি শো-কেস আছে কক্ষটিতে। দেয়ালে লাগানো কৃত্তিম ফুলদানি। তাতে ঝুলে আছে তাজা ফুল। কক্ষের একপাশে একটা বড়ো ফুলদানিতে লম্বা ডাঁটাওয়ালা জঙ্গলী ফুল রাখা। কক্ষটির সিলিং ততটা উঁচু নয়। নুয়ায়াম ওপরের দিকে তাকিয়ে আবার স্বাভাবিক হয়।
চকিতে চোখ বুজে ফেলে নুয়ায়াম। অচিরেই হাত চলে যায় কপালে। তার চোখের দর্পণে কিছু একটা ভেসে উঠতেই ডাক পড়ে।
“নুয়ায়াম!”
নুয়ায়াম গা ঝাড়া দিয়ে তাকায়। ডক্টর আরইয়াজকে দেখে পুলকিত হাসে। ঝলমলে গলায় বলল—
“ডক্টর আপনি? আমি এখানে? আসলে…..।”
“রিল্যাক্স, রিল্যাক্স। আমি জানি তুমি কী বলতে চাইছ।”
আরইয়াজ ধীর পায়ে হেঁটে নুয়ায়ামের কাছে এসে দাঁড়ালেন। তার কাঁধে দুর্বল হাতের চাপড় বসিয়ে বললেন—
” এখন কেমন বোধ করছ?”
নুয়ায়াম সহজ ভঙ্গিতে বলল—
“জি, ভালো। আমি এখানে কী করে এলাম? আর আপনি তো অশীতপুরে থাকেন! তাহলে এখানে?”
নুয়ায়ামের কণ্ঠে প্রশ্নের ঝাঁক আকুলিবিকুলি করছে। সে তটস্থ! আরইয়াজ আলতো গলায় বললেন—
“এসো আমার সাথে।”
নুয়ায়াম প্রশ্নের ঝাঁপি বন্ধ করে আরইয়াজের সাথে কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসে। কক্ষের বাইরে ঝুলন্ত বারান্দা। বাড়িটির সীমানা থেকে তা সামনের দিকে বাড়ানো। করিডোরও বলা চলে। এই বারান্দার শেষের দিকটায় নিচে যাওয়ার সিঁড়ি। ছোট্ট, সংকীর্ণ এই কাঠের তৈরি বাড়িটি দোতালা। ঘন জঙ্গলের বুক চিরে গড়ে ওঠা বাড়িটিকে ঘিরে আছে অসংখ্য গাছপালা। বারান্দার মাঝেই কাণ্ড ফুড়ে আছে নিমগাছের। তার মোটা ডাল ছোঁয়া যায় বারান্দায় দাঁড়িয়ে। বারান্দা থেকে একটু দূরে আছে বছর পুরোনো রেইনট্রি। তাতে একটা ছোট্ট ঘর আছে। নুয়ায়াম সেদিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল মুগ্ধ দৃষ্টিতে। চারপাশের বিকেলের নির্জনতা হারিয়ে পাখির কূজনে আলোড়ন তৈরি হলো। কিচিরমিচির আওয়াজ আর স্নিগ্ধ, শীতল, মোহিত বাতায়নে দীর্ঘ একটা শ্বাস টেনে নিল নুয়ায়াম। বারান্দার এক কোণে ফুলের টব রাখা। তাতে ফুটে আছে নানা রঙের ফুল। খোলা বারান্দার একদম কিণারে এসে দাঁড়িয়েছে নুয়ায়াম। সে এই নৈসর্গিক সৌন্দর্যে যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলছে। বাড়ির সামনের দিকে তাকাতেই দেখে হেঁটে যাওয়ার রাস্তায় নরম ঘাসের আস্তরণ। তার পাশেই ছোটো-বড়ো ঝোঁপঝাড়। নিচের তলার দাওয়া দেখা যাচ্ছে এখান থেকে। নুয়ায়াম একটু ঝুঁকে দেখল। সেই দাওয়া থেকে সমতল ভূমিতে নেমেছে চার ধাপের সিঁড়ি। সিঁড়ির দুইপাশে ছোটো ছোটো উদ্ভিদ। নুয়ায়াম সম্মোহিতের ন্যায় বারান্দার কোণা ঘেঁষে দাঁড়ায়। বারান্দার সামনের দিকের দুই কোণায় দুটো কাঠের পিলার, যাকে বারান্দার ভিত হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। লতানো গাছ জড়িয়ে আছে পিলার দুটিতে। নুয়ায়াম উত্তর দিকের পিলারের গায়ে হাত দিয়ে দেখতে থাকে। আরইয়াজ এতক্ষণে বলে উঠলেন—
“তুমি ঠিক আছ নুয়ায়াম?”
নুয়ায়াম যেন শুনতে পেল না। সে চোখ ঘুরিয়ে জঙ্গলের দিকে তাকাল। পিলারের সাথে বারান্দার তিনপাশে কাঠের তৈরি বেড় লাগানো। প্রতিটি সাড়ে তিন ফুট উচ্চতা ও তিন ইঞ্চি প্রস্থের কাঠের গোলাকার দন্ডগুলোর মাঝে বিশ ইঞ্চি করে ফাঁকা রাখা। তা দিয়েই বাউন্ডারি দেওয়া বারান্দায়। আরইয়াজ কিঞ্চিৎ উচ্চ গলায় বললেন—
“নুয়ায়াম! তুমি কী আমাকে শুনতে পাচ্ছ?”
“এটা অশীতপুর?”
নুয়ায়ামের প্রশ্নে থতমত গলায় বললেন আরইয়াজ—
“হ্যাঁ।”
“কিন্তু আমি তো এখানে আসিনি। আমি তো….।”
নুয়ায়াম বলতে পারল না। আসলে তার গাড়ি কোথায় থেমেছে সে তা মনে করতে পারছে না। পশ্চিম দিকে সূর্য হেলে পড়েছে। পূর্বাদেশ নীলাভ মায়া কাটিয়ে ধূসরে রূপ নিচ্ছে। আরইয়াজ নুয়ায়ামকে বসতে বলল। বারান্দার ঠিক মাঝখানটায় চারটে চেয়ার গোল করে রাখা। মাঝে গোলাকাকৃতির টি-টেবিল। নুয়ায়াম বসল। আরইয়াজ তার সামনের চেয়ারে বসে বললেন—
“তুমি ভ্রমের স্বীকার।”
নুয়ায়াম বিক্ষিপ্ত কণ্ঠে বলল—
“কী?”
আরইয়াজ হেসে ফেললেন। গাঢ় স্বরে অনুরক্তি নিয়ে বললেন—
“তোমার হয়তো আমার কথা বিশ্বাস হবে না। তবুও বলছি। শোনো মনোযোগ দিয়ে।”
নুয়ায়াম আগ্রহী হলো। উৎকর্ণ হয়ে চোখ জোড়া স্থির করে চেয়ে রইল। আরইয়াজ বলতে শুরু করলেন—
“বহু বছর আগে আমি শহর থেকে যখন অশীতপুর গাড়ি করে আসছিলাম, হঠাৎ আমার গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। গাড়ি থেকে নেমে যখন দাঁড়ালাম তখন আমি দূরে একটা কুটির দেখতে পেলাম। আমি অবাক হলাম। এই ঘন জঙ্গলে কুটির! গাড়ি কিছুতেই স্টার্ট নিচ্ছিল না। তখন সাহায্যের আশায় আমি রাস্তা থেকে নেমে সেই কুটিরের দিকে হাঁটতে লাগলাম। যখনই আমি সেই কুটিরের কাছে পৌঁছাই……।”
আরইয়াজ সেই কাহিনি বর্ণনা করছেন যা একটু আগে নুয়ায়ামের সাথে ঘটে গেছে। নুয়ায়াম বিস্ফোরিত কণ্ঠে আরইয়াজের কথা শেষ হতেই বলে উঠে—
“এ কী করে সম্ভব? আজ আমার সাথেও একই ঘটনা ঘটেছে!”
আরইয়াজ ঠান্ডা হেসে বললেন—
“শুধু তুমি নও, অনেকের সাথেই এই ঘটনা ঘটেছে। তাদের মধ্যে যারা ভাগ্যবান তারাই শুধু বেঁচে যায়। সেই হিসেবে তুমিও ভাগ্যবান!”
নুয়ায়াম বিচলিত গলায় বলল—
“এসব কী করে হতে পারে? আমি বিশ্বাস করি না।”
গা দুলিয়ে হেসে উঠলেন আরইয়াজ। তিনি পূনরায় দৃঢ় কণ্ঠে বললেন—
” এটা সত্যি।”
নুয়ায়ামের কলিজা লাফাচ্ছে। ঘামতে শুরু করল সে। চোখের পল্লব অস্থির। সে অবিশ্বাস্য গলায় বলল—
“আপনার কথার সত্যতা কী? আমি কাউকে দেখেছি সেখানে।”
আরইয়াজ বেতের চেয়ারে শরীর ছেড়ে দিলেন। ভুবন ভোলানো অকৃত্রিম হেসে বললেন—
“তোমার কপালের কা/টা দাগ। মনে আছে, পড়ে গিয়েছিলে তুমি?”
নুয়ায়াম বিশ্বাস নিয়ে তার কপালে হাত রাখে। কিন্তু সে পরাজিত হয়। তার কপাল মসৃণ। একটা মৃদু হাওয়া নুয়ায়ামের কর্ণকুহর হলো। কিছু ছিল সেই হাওয়ার দমকে। নুয়ায়াম সামনে গ্রীবাভঙ্গি বদলালো। ঘন জঙ্গলকে এক মায়াবী প্রকৃতি কন্যা মনে হচ্ছে তার। নুয়ায়াম ব্যতিব্যস্ত গলায় বলল—
” আমি এসবে বিশ্বাস করি না।”
আরইয়াজ চমৎকার করে হাসলেন। তিনি নরম ভঙ্গিতে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালেন। মেরুদণ্ড সোজা করে দীর্ঘ তপ্ত শ্বাস ফেলে তাকালেন জঙ্গলের দিকে। আঁধার নামবে বলে! আরইয়াজ বলতে শুরু করলেন।
“আজ থেকে প্রায় তিনশত বছর আগের কথা। এক সাধক তার সাধনার পূর্তিতে মায়াজাদু প্রাপ্ত হন। তিঁনি একদিন তাঁর শক্তির পরীক্ষার জন্য সা/পের রূপ ধারণ করে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তৎকালীন রাজার একমাত্র কন্যা সেদিন শিকারে বের হয়েছিলেন। সা/প রূপধারী সাধক কোনোভাবে রাজকুমারীর সামনে পড়ে যায়। তিনি কাল বিলম্ব না করেই সা/পটিকে বধ করে। কথিত আছে সেই সাধকের অতৃপ্ত আত্মা আজও তার জাদুর প্রয়োগে মানুষকে বিভ্রমে ফেলেন। আর যেই নারীটি সেই বিভ্রান্ত মানুষদের রক্ষা করে, সেই নারীটি হলো সেই রাজকন্যা। শোনা যায়, রাজকন্যাকে সাধকের অতৃপ্ত আত্মাই হ/ত্যা করেন। সেই থেকে তাদের এই লড়াই চলছে। কেউ শি/কা/রী তো কেউ উদ্ধারকারী।”
নুয়ায়াম কুহক মায়ায় আচ্ছন্ন হয়ে কখন যে আরইয়াজের পাশে এসে দাড়িয়েছে তা সে নিজেই জানে না। আরইয়াজ মুচকি হেসে তাকাল নুয়ায়ামের দিকে। নুয়ায়াম কী অধীর, উদ্বেলিত! আরইয়াজ কাঠের রেলিং এ হাত রেখে ঝুঁকে গিয়ে বললেন—
“তোমার আমার কথা বিশ্বাস হচ্ছে না?”
নুয়ায়াম ধ্যানমগ্ন কণ্ঠে শুধাল—
“এমনটা আদৌ সম্ভব?”
“কেউ এসেছিল তোমাকে বাঁচাতে?”
নুয়ায়াম উদ্দীপনা নিয়ে বলল—
“আরে হ্যাঁ, ছায়াকরী! ছায়াকরী এসেছিল। যদি সব আমার ভ্রম হয় তাহলে ছায়াকরী কেন এসেছিল?”
আরইয়াজ স্মিতহাস্য অধরে বললেন—
“কারণ, তুমি তাকে আশা করেছ।”
নুয়ায়াম লজ্জিত হলো। চট করেই বলল—
” আপনি কী করে জানলেন?”
তিনি পূনরায় হেসে জবাব দিলেন–
“তোমার মতো আমিও কাউকে আশা করেছিলাম। ”
“সে কী এসেছিল?”
“না। কারণ, সে মৃত ছিল।”
নুয়ায়াম ছোট্ট শ্বাস ফেলল। তার মনে একটা উত্তেজনাপূর্ণ প্রশ্নের সৃষ্টি হলো। সে ব্যগ্রতা নিয়ে বলল—
“আমাকে কে বাঁচিয়েছে? আমি এখানে কী করে এলাম?”
সন্ধ্যার তিমির ঘিরে ধরল প্রকৃতিকে। ধূসর আকাশ রূপ নিল কালচে নীলাভ আকাশে। ভূতগ্রস্তের মতো দাঁড়িয়ে থাকা জঙ্গল গা ছমছম আভাস ছড়াতে লাগল। চট করেই বারান্দার লাইট জ্বলে ওঠে। চাপা উত্তেজনা হলকে উঠে নুয়ায়ামের। সে চেয়ে রইল আরইয়াজের দিকে। আরইয়াজ সোজা হয়ে দাঁড়ালেন। নুয়ায়ামের সুক্ষ্ম চাহনি নিবদ্ধ আরইয়াজের দিকে। আরইয়াজ মৌনব্রত ভেঙ্গে বললেন—
“আরওয়া। আরওয়া নিয়ে এসেছে তোমাকে এখানে। ”
নুয়ায়াম চমকে উঠল। চকিতে তার কর্ণরন্ধ্রে রিনঝিন আওয়াজের সুর উঠল। সে উশপিশ দৃষ্টিতে শব্দের উৎস খুঁজতে লাগল। অকস্মাৎ সিঁড়ির দিকের শুভ্র, ফিনফিনে পর্দা উড়ে ওপরের দিকে ওঠে। নুয়ায়াম তার দৃষ্টি স্থির করে সেইদিকে। আরইয়াজ একটু সরে দাঁড়ান। নুয়ায়াম দেখতে পেল শুভ্র বসনে আবৃত এক নীলনয়নাকে। যার সুগঠিত দেহপিঞ্জর থেকে অদ্ভুত দ্যুতি ছড়াচ্ছে। আরওয়ার হাতের ট্রে। সে একটু একটু করে নুয়ামের কাছে এগিয়ে আসছে। তার এই অপার্থিব সৌন্দর্যে দিশেহারা নুয়ায়াম স্বগতোক্তি করল—
“থেমে যাক সময়, আঁধারে ঢেকে যাক ধরণী, লাস্যময়ীর অপার্থিব অভিরামে থমকে যাক মানবের হৃদকাহিনি।”
চলবে,,,