#অজানা_আলোর_খোঁজে
#লেখিকা-শারমিন আঁচল নিপা
#পর্ব-৩
কারণ খেয়াল করলো রাস্তায় হাঁটু পরিমাণ পানি জমেছে। নামবে কি নামবে না বেশ দোটানায় পড়ল। এর মধ্যেই হেল্পার চেঁচিয়ে বলল
– মামা নামছেন না কেন? কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছেন।
তানভীর আর কোনো কথা না বলে নেমে গেল পেছন পেছন রুকও নামল। পানিটা বেশ ভালোই জমেছে। পানিতে হাঁটতে গেলে ইট কাঁকরে পায়ে বেশ আঘাত লাগছে। জুতা নিয়ে হাঁটতে বেশ ঝামেলায় হচ্ছে। তানভীর কোনো কিছু না ভেবেই জুতা গুলো খুলে হাতে নিয়ে হাঁটা শুরু করল। তবে রুকুর জুতা গুলো খুলতে ইচ্ছা করছে না। মেয়েরা খুব সৌখিন প্রজাতির হয় তাদের মনে রুচিশীলতা আগে কাজ করে তারপর প্রয়োজনীয়তা। মূলত এ কারণের জন্যই রুকু জুতাটা খুলে হাতে নিয়ে হাঁটতে পারছে না। কিন্তু এদিকে এ পানিতে জুতা নিয়ে হাঁটাও বেশ বিপত্তির কারণ। দিশা না পেয়ে একটা পর্যায়ে জুতাগুলো খুলে হাতে নিয়ে হাঁটতে লাগল। তানভীর রুকুর কান্ড দেখে মুচকি মুচকি হাসতে লাগল। তানভীরের রহস্যময় হাসি দেখে রুকু কর্কশ গলায় বলল
– আপনি হাসছেন কেন?
তানভীর মোলায়েম কন্ঠে জবাব দিল
– তাহলে কি কাঁদব?
তানভীরের এমন জবাবে রুকুর শরীরটা যেন রাগে গিজগিজ করতে লাগল। তবুও রাগটাকে থামিয়ে নিয়ে বলল
– আপনার টাকাটা নেবেন না। ঐ যে সামনে একটা দোকান আছে ঐখানে থেকে কিছু নিয়ে টাকা ভাংতি করে আপনাকে দিয়ে দেবো।
কথাটা শোনে চট করে তানভীর বলে উঠল
– টাকা লাগবে না দোকান থেকে দুটো মালভোরো সিগারেট কিনে নেব। প্রতি সিগারেটের দাম পনের টাকা। দুটা সিগারেট নিলে হবে ত্রিশ টাকা। আর বাকি পাঁচ টাকা দিয়ে পাঁচটা চকলেট কিনে নেব। তাহলেই হয়ে যাবে।
রুকু ভ্রুটা কুঁচকে কপালটা ভাজ করে তানভীরের দিকে তাকিয়ে বলল
– আপনি সিগারেট খান?
তানভীর হাসি মাখা মুখে জবাব দিল
– একদম না। সিগারেটের ধোঁয়াও সহ্য করতে পারি না।
রুকু অবাক হয়ে বলল
– তাহলে সিগারেট কিনতে চাচ্ছেন কেন?
– সেটা আমার মামাতো ভাই এর জন্য। কুয়াকাটা যাব তো ঘুরতে আমার মামাত ভাই পটকাও সেখানে গিয়েছে। তাকে সিগারেট দুটো ধরিয়ে দিলে বেশ খুশি হবে।
রুকু মুখটা বাঁকিয়ে জবাব দিল
– পটকা কারও নাম হয় নাকি?
– কেন হবে না?
– নাহ এরকম নাম রাখতে কাউকে শোনি নি তো তাই।
তানভীর থুতুনির নীচে হাত দিয়ে ভাবনার ভাব করে বলল
– তা ঠিক বলেছেন। আমার মামাত ভাই এর নাম সাইরিন। তবে তাকে এ নামে কেউ ডাকে না। ছোটবেলা থেকে নাদুসনুদুস হওয়ার কারণে তাকে সবাই পটকা বলেই সম্বোধন করে। আমার কী মনে হয় জানেন?
– কী মনে হয়?
– আমার মনে হয় ওর নামটা সাইরিন না রেখে পটকা রাখলেই যথার্থ হতো।
– কেন?
– কারণ সারাটা দিন দেখবেন খাওয়ার মধ্যে আছে। মনে হয় খেতে খেতে পেট টা ফুটে যাবে। তবুও বান্দা খাওয়া বন্ধ করবে না।
– যার যেটাতে ভালো লাগে। এটা নিয়ে আমাদের নাক না গলালেও চলবে।
রুকুর কথা শোনে তানভীরের মনে হলো রুকু হয়তো চাচ্ছে না ওর সাথে বেশি কথা হোক তাই এমন গা ছাড়া জবাব দিয়েছে। তাই কথাটা জমাতে না পেরে চুপ করে হাঁটতে হাঁটতে দোকানের সামনে আসতেই রুকু দোকানদারের কাছ থেকে দুটোর জায়গায় তিনটি সিগারেট নিল। তানভীর একটু অবাক হয়ে রুকুকে বলল
– তিনটি কেন নিচ্ছেন দুটো নিতে বলেছি।
রুকু কথার জবাব না দিয়ে তিনটি সিগারেট আর পাঁচটি চকলেট আর একটি দিয়াশলাই নিয়ে দোকানদারকে একশ টাকার নোট দিল। দোকানদার বাকি টাকা ফেরত দিল। রুকু দুটো সিগারেট আর পাঁচটা চকলেট তানভীরের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল
– এ নিন আপনার দেনা শোধ হয়ে গেল।
তানভীর সিগারেট আর চকলেটটা নিয়ে পকেটে পুরে নিল। এদিকে রুকু দিয়াশলাই এর কাঠিটা জ্বালিয়ে সিগারেটটা ধরানোর চেষ্টা করলো। তানভীর অবাক হয়ে রুকুর দিকে তাকিয়ে রইল। খেয়াল করল রুকুর মুখে সিগারেটটা নিয়ে বারবার জ্বালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে। বিষয়টা দেখে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে থেকে তারপর রুকুকে বলল
– আপনাকে তো দেখে মনে হচ্ছে না আপনি কখনো সিগারেট খেয়েছন।
তানভীরের কথা শোনে রুকুর কপালে কপট রাগের পরিমাণ চক্ষুগোচর হলো। রুকু সিগারেটটা মুখ থেকে সরিয়ে জমে থাকা পানিতে ফেলে দিল। রুকুকে সিগারেটটা পানিতে ফেলে দিতে দেখে তানভীর চেঁচিয়ে বলল
– আরে আরে কি করছেন কি পনের টাকার সিগারেটটা ফেলে না দিয়ে আমাকে দিয়ে দিন। পটকাকে দিলে বেশি খুশি হবে।
তানভীরের কথা শোনে রুকুর রাগটা যেন দ্বিগুণ হয়ে গেল। গজগজ করে বলল
– আপনাকে কেন দেব? আমার টাকায় কিনেছি আমি ফেলব নাকি রেখে দেবো সেটা আমার ব্যপার। আর আপনাকে কে বলল আমি এর আগে সিগারেট খাইনি?
তানভীর হালকা হেসে বলল
– সিগারেট খেলে এতক্ষণে সিগারেটটা ধরিয়ে টানতে শুরু করতেন। খান না বলেই ধরে টানতে পারছেন না।
রুকু তানভীরের কথার কোনো জবাব দিল না। এদিকে তানভীর ঘঁড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল আট টা বাজে লঞ্চ ছাড়তে আরও ঘন্টাখানেক বাকি। এ সময় এক কাপ চা খেলে মন্দ হয় না। চায়ের দোকানের ছোট পিচ্চিটাকে ডাক দিল
– এ পিচ্চি এদিকে আস তো একটু।
পিচ্চিটা কপালটা ভাঁজ করে তানভীরের কাছে এসে বলল
– পিচ্চি বলছেন কেন? কোন দিক দিয়ে আমাকে পিচ্চি মনে হলো?
তানভীর পিচ্চিটার কথা শোনে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে বলল
– ওরে….. পিচ্চিরে পিচ্চি বলব না তো বুড়ো বলব?
পিচ্ছি বুক ফুলিয়ে গর্ব নিয়ে বলল
– আমি সুলতান। আমাকে সুলতান বলে ডাকবেন।কিং মাস্টার ও বলতে পারেন।
কথাটা শোনো তানভীর হেসে লুটোপুটো খেয়ে বলল
– আইছে আমার কিং মাস্টার। যা এক কাপ চা নিয়া আস তো।
– আচ্ছা আনতেছি।
বলেই পিচ্চিটা যেতে লাগল। তানভীর পিচ্চিটাকে পেছন ডেকে বলল
– শোন চায়ে চিনি বেশি দিস।
– আচ্ছা।
এর মধ্যে রুকুর দিকে তাকিয়ে দেখল। রুকু চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। বাইরে হালকা বৃষ্টি পড়ছে। রুকু হাতটা বাড়িয়ে বৃষ্টির ফোঁটা ধরার চেষ্টা করেছে। প্রশস্ত হাতটা গড়িয়ে গড়িয়ে বৃষ্টি পড়ছে। মনে মনে ভাবতে লাগল রুকুর হাতে নীল কাঁচের চুড়ি থাকলে মন্দ হত না। কাঁচের চুড়ির মধ্যে বৃষ্টির বিন্দু বিন্দু কণা জমত, হাতে যেন কাঁচের চুড়ি গুলো অনেক ফুটন্ত নীল পদ্মের মতো লাগত। তানভীরের জীবনে নীল পদ্ম দেখার ভাগ্য একবারেই হয়েছিল তাও আবার পটকার সাথে গিয়েছিল। পটকা আবার এসব খুঁজে বের করাতে ওস্তাদ। তবে পটকাকে তেমন কষ্ট করতে হয়নি। মিরপুর -১ বোটানিক্যালে গার্ডেনে নীল পদ্মের দেখা মিলে। সেই একবারের দেখার সুযোগ পেয়েছিল। তারপর সময় সুযোগ করে আর যাওয়া হয়নি। তবে আজকে তার মনে হচ্ছে নীলপদ্মটা চোখের সামনে আবার ফুটন্ত হয়ে ফুঁটে আছে। বেশ ভালোই লাগছে হাতটা দেখতে। হাতটা দেখে ভালোবাসার সাগরে ডুব দিতে মন চাইলে সেটাতে পা বাড়াচ্ছে না তানভীর। কারণ মেয়েদের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হওয়াটা তার কাছে বোকামি মনে হয়৷ কিন্তু সে নিজেকে এত বোকা মনে করে না। এর মধ্যে সুলতান চা নিয়ে এসে ডাকতে ডাকতে বলল
– ভাইজান আপনার চা।
তানভীর চা টা হাতে নিয়ে একটা চুমুক দিয়ে ওয়াক করে উঠে পাশে তাকিয়ে দেখল সুলতান রুকুর দিকে চা বাড়িয়ে দিয়েছে। রুকু চায়ে একটা চুমুক দিয়েই তানভীরের মতো ওয়াক থু করে কপালটা কুঁচকে বড় বড় করে তাকাল। তানভীর বুঝতে পেরেছিল হয়তো রুকুর চায়েও কোনো গন্ডগোল হয়েছে। এ মুহুর্তে দুজন চেঁচিয়ে উঠাটা তার কাছে একটু বেমানান মনে হচ্ছিল। তাই সে চুপ করে রুকুর মুখের দিকে হা করে রইল রুকু কি বলে শোনার জন্য। রুকু রাগে সুলতানের দিকে তাকিয়ে বলল-
-কিরে আমি তোকে বলেছিলাম চায়ে চিনি না দিতে আর তুই এত চিনি দিলি কেন?
তানভীর বেশ ভালোই বুঝতে পেরেছিল তানভীরের চায়ের কাপের সাথে রুকুর কাপটা পাল্টে গিয়েছে। বরাবরেই তানভীর চিনি বেশি খায় তাই চিনি ছাড়া চা যেন তানভীরের কাছে অনেকটা পানশে আপেল কূল বড়ইয়ের মতো মনে হয়। বিস্বাদময় পানশে টাইপ খেতে। না টক না মিষ্টি। তানভীর নিজের কাপটা রুকুর দিকে বাড়িয়ে বলল
– পিচ্চিটার উপর রাগ দেখাবেন না। এই যে আমার চা টা খেয়ে নিন।
রাগটা বাড়িয়ে কর্কশ গলায় রুকু জবাব দিল
– ভারি বজ্জাত তো আপনি। আপনার এঁটো চা আমি কেন খাব?
তানভীর হালকা হেসে বলল
– এভাবে না বললেও পারতেন। আমি আপনার ভালোর জন্যই বলেছিলাম।
– এতে ভালোর কী দেখলেন শোনি?
– কারণ সুলতান ভুল করে আপনার চা টা আমাকে দিয়ে দিছে। আমি বেশি চিনি দিয়ে চা খাই আর আপনি চিনি ছাড়া। আপনার চা টা আমার হাতে আর আমার চা টা আপনার হাতে। এজন্য বলেছিলাম এ চা টা নিতে। বাচ্চা ছেলে ইচ্ছা করে তো ভুল করেনি ওকে বকে লাভ নেই।
রুকু আর কোনো কথার জবাব দিল। চা টা চা স্টলের বেঞ্চিতে রেখে চুপ হয়ে গেল। চা টা বেঞ্চির উপর রাখতেই তানভীর চা টা নিয়ে খেতে লাগল। এঁটো চা টা এভাবে খেতে রুকু হালকা অবাক হলেও অবাক হওয়ার ছাঁপটা মুখে প্রকাশ না করে চলে গেল। এদিকে তানভীর চা টা শেষ করে পাশে তাকাতেই দেখল রুকু পাশে নেই। রুকুকে দেখতে না পেরে তার ভেতরটা কেন জানি শূন্যতায় হাহাকার করছিল। বেশ খারাপ লাগছিল বটে। তবে এত খারাপ লাগানোটা উচিত না। তাই সুলতানকে চায়ের বিলটা দিয়ে দিল এদিকে প্রায় নয়টা বেজে গেছে।এখন লঞ্চ এ উঠার পালা।সময় নষ্ট না করেই এভি মনামী লঞ্চে উঠে গেল। দোতলায় একটা সিনগেল কেবিন ভাড়া নিয়েছে। কেবিন নম্বর 201s।
কেবিনে ঢুকে ছোট আয়নাটায় নিজেকে দেখে নিল। তারপর চুলগুলো হাত দিয়ে ঠিক করে খাটে শুয়ে পড়ল। করিডোরে যেতে ইচ্ছা করলেও এখন তানভীরের শরীরে তেমন শক্তি নেই যে করিডোরে যাবে। শুয়ে থাকতেই বেশ ভালো লাগছে। লঞ্চ ছাড়তে ছাড়তে আরও আধ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। হালকা মাথা ব্যথাটা বেশ অস্বস্থি লাগছে তার। তাই মনে মনে ভাবল এখন একটু চোখটা বুজে নিলে খারাপ হয় না। খানিক ক্ষণের জন্য চোখটা বন্ধ করতেই রুকুর মুখটা ভেসে উঠল। কিন্তু এখন রুকুকে ভেবে আবেগে হাবুডুবু খেয়ে বোকামি করার ইচ্ছা জাগছে না তানভীরের তাই রুকুর মুখটা বারবার সরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু কল্পনার চোখ থেকে যেন তা সরছেই না। একটু তাকালে হয়তো ভেসে উঠা রুকুর মুখটা চলে যাবে। তবে এখন তানভীরের তাকাতেই ইচ্ছা করছে না। কারণ মাথা ব্যথাটা ভালোই চেপেছে তার। এর মধ্যেই মনে হলো কেউ তার কেবিনের দরজাটা ধাক্কা দিচ্ছে। তবে এখন উঠে খুলতে ইচ্ছা করছে না। আর কেই বা ধাক্কা দিবে। ঘাপটি মেরে শুয়েই রইল। ধাক্কাতে ধাক্কাতে এমনিই চলে যাবে। কিন্তু তানভীরের ধারণাটা ভুল অনবরত ধাক্কাচ্ছে। তানভীর কোনোরকমে যুদ্ধ করে চোখটা খুলে বিছানা থেকে উঠে দরজাটা খুলল। দরজাটা খুলার পর নিজের চোখকেই যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না। খেয়াল করে দেখল রুকু দাঁড়িয়ে আছে। প্রথমে তানভীরের এটা কল্পনা মনে হতে লাগল। মনে মনে ভাবল হয়তো মেয়েটাকে বেশি কল্পনা করে ফেলেছে তাই দরজার সামনে এমন দেখছে। এটা নিছকেই কল্পনা। এটা ভেবে দরজা লাগাতে নিলেই পেছন থেকে রুকু বলে উঠল
– কী ব্যপার আপনি আমার কেবিনে কী করছেন? এটা তো আমার কেবিন। আর আমাকে দেখে পাত্তা না দিয়ে কোথায় যাচ্ছেন? দরজাটায় বা লাগাচ্ছেন কেন?
রুকুর কথায় চমকে গেল। বুঝতে পারল এটা তার কল্পনা না এটা তার বাস্তব।তাই দাঁতটা কেলিয়ে বলল
– আমি আপনার কেবিনে আসব কেন?
রুকু কাচুমাচু করে মুখটা গম্ভীর করে বলল
– দয়াকরে আপনার কেবিনে থাকার সুযোগ করে দিন। বড্ড অসহায় আমি। অনেক যন্ত্রণায় আছি।
– কী যন্ত্রণায় আছেন জানতে পারে কি।
রুকু ঢুক গিলতে গিলতে বলল
– আগে দরজাটা লাগিয়ে নিন। বাইরে বাবার লোকজন আছে আমাকে শেষ করে দিবে। দয়াকরে কিছু একটা করুন।
তানভীর রুকুর কথা শোনে হেসে বলল
– ব্যাপর কি বলুন তো কারও সাথে পালাবেন?
– তেমন কিছুই না দরজাটা লাগান প্লিজ।
বলেই রুকু সশব্দে কেঁদে দিল। তানভীর বেশ শক্ত মনের হলেও মেয়ে মানুষের কান্না একদম সহ্য করতে পারে না। তাই ধুম করে দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে বলল
– এবার বলুন ঘটনা কী? কেনই বা এমন করছেন। আর সবচেয়ে বড় কথা আপনার পরিচয়েই তো জানি না।
রুকু চোখের জল বাম হাতের উল্টা পিঠ দিয়ে মুছতে মুছতে বলল
– আমার নাম রুকাইয়া। সবাই রুকু বলে ডাকে।
এর মধ্যেই কেবিনের দরজায় কেউ খটখট করতে লাগল। দরজার খটখটানো শোনে রুকু ভয়ে কুকরে গেল। তানভীর দরজা খুলতে গেলেও রুকুর তানভীরকে ঝাঁপটে ধরে ভয়ার্ত গলায় বলল
– দরজা খুলবেন না প্লিজ। এটা নিশ্চয় আমার বাবার লোক।
তানভীর কী করবে বুঝতে পারছিল না। রুকুরে ধরে বলল
– আপনি ভয় পাবেন না আমি দেখতেছি বিষয়টা।
বলেই দরজা খুলতে গেল। আর রুকু ভয়ে কুকরে যেতে লাগল। যখনই দরজা খুলল ঠিক তখনেই রুকু ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে দেখে চিৎকার দিয়ে উঠে বলল…
চলবে?
(কপি করা নিষেধ)
সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করলে আপনার নাম ও হয়ে যেতে পারে আমার পরবর্তী গল্পের একটা চরিত্রের নাম।গল্প সম্পর্কিত কোনো আপডেট পেতে কমেন্টে দেওয়া গ্রূপ লিংকে ঢুকে জয়েন করে নিন।