#অজানা_আলোর_খোঁজে
#লেখিকা-শারমিন আঁচল নিপা
#পর্ব-৪
রুকু ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে চিৎকার দিয়ে উঠল আবার চুপ হয়ে গেল। রুকুর চিৎকার শোনে ওপাশে থাকা লিয়াকত সাহেব চমকে উঠে বলল
– বাবা এটা কী তোমার বউ নাকি এভাবে চিৎকার দিল যে?
তানভীর লিয়াকত সাহেবের দিকে মনোযোগ সহকারে তাকিয়ে লোকটার কিছু বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার করল। খেয়াল করল লিয়াকত সাহেবের চুলগুলো কাঁচা পাঁকার মিশ্রণে মিশ্রিত অবস্থায় আছে। মুখে পান চিবাতে দাঁতের সাথে ঠোঁট টাও বেশ লাল করে ফেলেছে। বয়স আনুমানি ৪৫-৫৫ হবে। কিছুক্ষণ লিয়াকত সাহেবের বৈশিষ্ট্য নিরুপণ করে বলল
– উনি আমার বউ নাকি কে, সেটা নাহয় পরেই বললাম। তবে আপনি কে? এ কেবিনে কেন?
লিয়াকত সাহেব খিক করে হেঁসে দিয়ে বলল
– আমি লিায়াকত আলী। যাত্রাবাড়ী এসেছিলাম মেয়ের বাসায়। মেয়ের একটা কন্যা সন্তান হয়েছে দেখার জন্য। আজকে বরিশাল নিজের বাড়িতে যাব।
– তা নাহয় বুঝলাম তবে এ কেবিনে কেন?
– আমার কাছে মনে হলো এটা আমার কেবিন। ভুলক্রমে দরজায় শব্দ করে ফেলেছি। পরে বুঝতে পারলাম এটা আমার কেবিন না। তাই শব্দ করে চলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু চলে যাওয়ার পর দরজা খুলে কাউকে না দেখে আপনারা যদি ভূত ভেবে ভয় পান সেজন্য দাঁড়িয়েছিলাম।
তানভীর চোখগুলো কপালে তুলে বলল
– ওহ তাই বলুন। আপনার কেবিন নম্বর কত?
– আমার কেবিন নম্বর হলো 202s.
– ওহ আচ্ছা। পাশের কেবিনেই তাহলে। আচ্ছা একটা কথা জানতে পারে কি?
লিয়াকত সাহেব পানটা ভালো করে চিবিয়ে বলল
– কী জানতে চান?
– বরিশালের হয়েও এত শুদ্ধ উচ্চারণে কথা কীভাবে বলছেন? আমি তো জানতাম বরিশালের লোকেদের কথায় একটা বরিশাল ভাষার টান থাকে। মানে বরিশাল বরিশাল ভাব থাকে। তবে এটা আমার একান্ত ব্যাক্তিগত ধারণা। সেই ধারণা থেকে বলছি আপনার কথায় তো মনে হয়না আপনি বরিশালের কেউ।
লিয়াকত সাহেব একটু হেসে বলল
– আমি আগের দিনের বি এ পাস। তাই শুদ্ধ করে কথা বলতে সমস্যা হয় না। আর আমি আর আমার বিবি বিবাহের পর থেকেই ঢাকায় থাকি। এখন ছেলে মেয়ে বিয়ে দেওয়ার পর নিজের ভিটায় থাকি। তাই আমার কথায় বরিশালের কোনো টান নেই আর আমার বিবির ক্ষেত্রেও একই। যাইহোক পাশের কেবিনে গেলাম। তুমি তোমার বউকে সামলাও।
বলেই অরন্যে কাধেঁর দিকে হেলে পড়ে রুকুর দিকে তাকিয়ে বলল
– মৃগি বেরাম আছে নাকি তোমার বউয়ের।
তানভীরের ভেতরে ভেতরে বেশ অস্বস্থি হচ্ছিল বারবার রুকুকে তানভীরের বউ বলে সম্বোধন করায়। তবে এখন রুকুকে অন্য পরিচয় দিলে বিষয়টা বেশ গোলমেল হয়ে জটলা পাকিয়ে যাবে। তাই লিয়াকত সাহেবের কথায় জবাব দিয়ে বলল
– মৃগি বেরাম থাকবে কেন?
লিয়াকত সাহেব রুকুর দিকে হাতটা ইশারা করে বলল
– তাহলে তোমার বউ মেঝেতে পড়ে এভাবে কাপাঁকাঁপি করছে কন?
লিয়াকত সাহেবের কথা শোনে তানভীর রুকুর দিকে তাকিয়ে চমকে গেল। খেয়াল করল রুকু মেঝেতে শুয়ে খিঁচুনি দিতেছে। কথা না বাড়িয়ে দৌঁড়ে রুকুর কাছে গেল। হাতটা ধরতেই খেয়াল করল বেশ ঠান্ডা হয়ে আছে। কোলে নিয়ে খাটে শুইয়ে হাত পা গরম করতে লাগল। এদিকে লিয়াকত সাহেব বেগতিক অবস্থা দেখে তার বিবি মধুমতিকে ডেকে আনে। মধুমতি রুকুর পাশে বসেই বলল
– আরে পানি দাও কেউ। এ মেয়ে তো হুঁশ হারিয়েছে।
তানভীর পানির বোতলটা এগিয়ে দিয়ে বলল
– এই নিন।
মধুমতি বোতলটা নিয়ে রুকুর মুখে পানির ছিটা দিতে থাকল।আর হাত পা ক্রমাগত মালিশ করতে থাকল। মিনেট দশেক এরকম করার পর রুকু স্বাভাবিক হলো। রুকুর কপালটা হালকা কুচকাঁতে লাগল তারপর হালকা করে তাকিয়ে ঢুক গিলতে লাগল। রুকুকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে দেখে তানভীর রুকুকে ধরে শুয়া থেলে বসাল।মধুমতি একটু হাসি দিয়ে বলল
– এইতো এখন বেশ ঠিক আছে। আমার মনে হচ্ছে অতিরিক্ত চিন্তার কারণে এমন হয়েছে। চিন্তা করো না তেমন। নিজেদের মধ্যে কোনো ঝামেলা থাকলে মিটিয়ে নিও। সংসার জীবনটায় এমন। টানা পূরাণ নিয়েই জীবন। এগুলো ভেবে এমন করলে হবে? আচ্ছা তোমরা থাকো আমি গেলাম।
তানভীর মধুমতির কথা শোনে মনে মনে বিড়বিড় করে বলতে লাগল বাঙ্গালি মানুষ সুযোগ পেলেই জ্ঞান দিবে।তানভীরের বিড়বিড় শোনে লিয়াকত সাহেব তানভীরের কাঁধে হাত রেখে বলল
– কি ব্যপার বাবা কী বিড়বিড় করতেছ?
তানভীর হতচকিয়ে বলল
– নাহ তেমন কিছু না।
পাশ থেকে মধুমতি লিয়াকত সাহেবের দিকে কটমটিয়ে তাকিয়ে বলল
– তুমি কথা থামিয়ে যাবে নাকি এখানেই বসে থাকবে। আর আক্কেল হলো না তোমার ওদের একটু কথা বলার সুযোগ দিবে তানা বসে আছ এখনো।
মধুমতির রাগী স্বরটা শোনে লিয়াকত সাহেব মুখটাকে বাংলার পাঁচ করে দুহাত পেছন দিকে দিয়ে হাত দুটো মুঠো করে কেবিন থেকে প্রস্থান নিল।
এদিকে তানভীর রুকুর দিকে তাকিয়ে দেখল রুকু বিষন্ন অবস্থায় বসে আছে। রুকুর বিষন্নতাটা যেন তানভীরের মাইগ্রেনের ব্যাথা বাড়ার কারণ হয়ে গেল। বিষন্ন মুখের দিকে তাকিয়ে বলল
– এখন কেমন লাগছে। আর হুট করে এভাবে হালকা চেঁচিয়ে উঠেছিলেন কেন?
রুকুর গলাটা তখন শুকিয়ে খরখর হয়ে গেছিল মনে হচ্ছিল। গলা দিয়ে কথা আসছিল না। তানভীর ব্যপারটা বুঝতে পেরে রুকুর দিকে পানি এগিয়ে দিল। রুকু তানভীরের হাত থেকে পানিটা নিয়ে গদগদ করে খেয়ে সশব্দ নিঃশ্বাস নিয়ে বলল
– ভেবেছিলাম বাবার লোক তাই ভয়ে চেঁচিয়ে উঠেছিলাম।
– তা নাহয় বুঝলাম। কিন্তু একটু আগে এভাবে খিঁচুনি দিতেছিলেন কেন? মৃগি রোগ আছে আপনার? শোনেছিলাম মৃগি রোগীদের নাকি জুতা শুকালে ভালো হয়ে যায়। আপনার অবস্থা দেখে একবার ভেবেছিলাম জুতা এনে নাকে শুকিয়ে দিই।
কথাটা শোনে রুকু রাগে কপালের ভাঁজগুলো প্রখর করে বলল
– মৃগি বেরাম মানে? এটা থাকবে কেন?
– আপনি যেভাবে কাঁপতেছিলেন লিয়াকত সাহেব এটাই ভেবেছিল।
– এই লিয়াকত সাহেবটা কে?
– ঐ যে যার বিবি আপনাকে মালিশ করতেছিল উনার স্বামী।
রুকু বিরক্ত গলায় বলল
– আমার কোনো মৃগি রোগ নেই। আমার অতিরিক্ত ঠান্ডা থেকে এমন হয়। একটু আগে বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম তো তাই। এখন ভেজা কাপড়ে থেকে এমনটা হয়েছে।
তানভীর খেয়াল করল রুকু কারুকাজ বিহীন একটা সুতি সাদা কাপড় পরিধান করে আছে। রুকুর শাড়িটার দিকে তানভীরের এতক্ষণ নজর কেন গেল না ভাবতে লাগল। রুকুর বেশ দেখে তানভীরের মনে হচ্ছে রুকু হয়তো বিধবা। তাই হালকা গম্ভীর হয়ে আস্তে আওয়াজে বলল
– আপনি এ সাদা কাপড় পরে আছেন কেন?কেমন জানি বিধবা লাগছে।
রুকুর দুহাত দিয়ে মাথার দুপাশ চেপে ধরে বলল
– সে এক লম্বা কাহিনি এখন বলার মতো কোনো শক্তি নেই। আপনি একটু করিডোরে যাবেন আমি একটু কাপড়টা পাল্টে নিতাম। বেশ ঠান্ডা লাগছে। নাহয় আবার খিঁচুনি শুরু হতে পারে।
তানভীর কথা না বাড়িয়ে করিডোরের দিকে চলে গেল। রুকু দরজা আটকিয়ে একটা সালোয়ার কামিজ পরে নিল। তারপর দরজা খুলে দেখল তানভীর করিডোরে দাঁড়িয়ে আছে। করিডোরে তখন লাল নীল আলোর জ্বলকানী দিচ্ছিল। মনে হচ্ছিল কোনো লাল নীল জোনাকি পোকার রাজ্যে চলে এসেছে রুকু। জীবনে কখনো লঞ্চে উঠেনি রুকু। টিভির পর্দায় এক দুবার লঞ্চ দেখছিল শুধু। আজকে লঞ্চের মনোরম পরিবেশে রুকুর চোখ যেন ধাঁধিয়ে যাচ্ছে।এদিক ওদিক শুধু হা করে তাকাচ্ছে। তানভীর রুকুর দিকে তাকাতেই দেখল রুকু হালকা নীল বর্ণের একটা সালোয়ার কামিজ পড়ে আছে। ফর্সা সাদা মুখটা নীলের মধ্যে একদম ফুটে উঠেছে। রুকুর এ চেহারাটা তানভীরের কাছে অনেকটা নীল অপরাজিতা ফুলের মতো লাগছে। তানভীর রুকুর কাছে গিয়ে হালকা গলায় বলল
– কাজ শেষ আপনার? এবার কী কেবিনে ঢুকতে পারি? নাহ মানে এক কাপ চা খাব। আমার আবার কতক্ষণ পরপর চা খাওয়ার একটা অদ্ভূত অভ্যাস আছে তো তাই।
তানভীরের ডাকে রুকু থতমত খেয়ে তাকিয়ে বলল
– হ্যাঁ কাজ শেষ।
বলে রুকু দাঁড়িয়ে রইল। তানভীর কেবিনের দরজা পর্যন্ত গিয়ে আবার আটকে গিয়ে পিছন দিকে একটু পিছিয়ে রুকুকে বলল
– আপনি চাইলেও এক কাপ চা খেতে পারেন। এতে মাথাটা ফ্রেশ লাগবে। আর কেন এখানে এসেছেন? কোথায় যাবেন? সোটাও তো আমার জানতে হবে। এ দুনিয়ায় পরিচিতদের ভরসা নেই আর আপনি তো একদম অপরিচিত। বিশ্বাস করা খুব কঠিন। কখন কী হয়ে যায় বলা যায় না। সুন্দর একটা মিষ্টি চেহারার আড়ালে যে কিছু লুুকানো নেই কে বলতে পারে।
তানভীরের অবশ্য এ কথাটা বলার আরেকটা পরোক্ষ কারণ হলো রুকুর সৌন্দর্যের প্রশংসা করা। অপরিচিত মেয়ে মানুষকে সরাসরি সুন্দর লাগছে বললে বিষয়টা অন্য চোখে নিতে পারে তাই তানভীর পরোক্ষভাবে রুকুকে প্রশংসার জন্য এ পদ্ধতি অবলম্বন করেছে। এদিকে তানভীরের কথা শোনে রুকু হালকা নিঃশ্বাস ফেলে কেবিনের দিকে এগিয়ে গেল। রুকুকে কেবিনের দিকে আগাতে দেখে তানভীর চট করে কেবিনে ঢুকে খাটে বসে পড়ল। তারপর পাশ থেকে ব্যাগটা নিয়ে চায়ের ফ্লাস্কটা বের করে একটা অনটাইম কাপ বের করে তাতে চা ঢেলে রুকুর দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল
– এই যে আপনার চা তবে চিনি বেশি করে দেওয়া। কারণ আমি চিনি ছাড়া চা খেতে পারি না।
রুকু কথার কোনো প্রতি উত্তর না দিয়ে চা টা হাতে নিয়ে নিজের কোমরে গুজে রাখা মোবাইলটা বের করে অন করতে করতে চায়ে চুমুক দিল। এদিকে তানভীর ফ্লাস্কের মুখে চা ঢেলে খেতে খেতে বলল
– এবার বলুন কী হয়েছে? আর কেনই বা বাড়ি থেকে পালিয়েছেন৷ কারণটা কী?
রুকু চায়ে আরেক চুমুক দিয়ে বিষন্ন গলায় কিছু বলতে নিবে এর মধ্যে মোবাইলটা ভাইবার্ট হতে লাগল। মোবাইলের কাঁপাকাঁপি দেখে রুকু চা টা পাশের ডেস্কে রেখে কলটা ধরার দশ সেকেন্ড পর হালকা চেঁচিয়ে বলল
– তুমি কি আমাকে শান্তিতে থাকতে দিবে না? কতবার বলেছি কল দিও না। তোমার যা ইচ্ছা করো। আমাকে আর জ্বালিও না। আমার এসব পেইন একদম ভালো লাগে না। খুব কষ্ট হয় আমার। তোমার এসব হুমকিতে আমার কিছু যাবে আসবে না। তোমার যা করার করে নিও। নিজের প্রয়োজনে কখনো তোমাকে কাছে পাইনি। তোমার কাছে তো আমি কিছুই না। আমি শুধু পরগাছার মতো তোমার কাছে ছিলাম। দয়াকরে আমাকে কল দিবে না। আমি অনেক সমস্যায় আছি। আমার সাথে এমন করো না। আমাকে আমার মতো থাকতে দাও। আমি নাহয় আত্নহনন করতে বাধ্য হব। আশাকরি এটা তুমি চাইবে না।
বলেই রুকু কিছুক্ষণ চুপ হয়ে গেল। ওপাশ থেকে কি বলছে তানভীর তা শোনতে পারছে না তবে রুকুর কাপালে থাকা বিন্দু বিন্দু ঘাম বলে দিচ্ছে ওপাশ থেকে হয়তো জটিল কিছুই বলছে। রুকু হালকা চুপ থেকে চেঁচিয়ে উঠে বলল
– তোর যা ইচ্ছা কর। আমাকে ফোন দিলে তোর খবর আছে।
বলেই ফোনটা পুনরায় বন্ধ করে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগল। নিঃশ্বাস নিতে নিতে খাটে বসে হাঁটু মুড়ি দিয়ে মাথাটা হাঁটুতে ঠেক দিয়ে কাঁদতে লাগল। বেশ জোরে জোরেই হেঁচকি তুলে তুলে কাঁদতে লাগল। মেয়ে মানুষের কান্না তানভীরের কাছে বেশ অসহ্যকর লাগে। রুকুর কান্নাটা দেখে যেন তানভীরের বাম বুকটা চিনচিন করে ব্যাথা শুরু হতে লাগল। হাতে থাকা চা টা পাশে রেখে রুকুর দিকে হাতটা বাড়িয়ে দিয়েও যেন ধরতে পারছিল না। কোথায় থেকে যেন অজানা বাঁধা তানভীরকে ঘিরে ধরতেছিল। তবুও সব বাঁধা অতিক্রম করে কাঁপতে কাঁপতে রুকুর মাথায় হাত দিতেই রুকু মাথা তুলে তানভীরের দিকে তাকাল। তানভীর খেয়াল করলো রুকুর চোখ দিয়ে আষাঢ়ের ঝড় বইছে। চোখ গুলো বেশ ফুলে গেছে আর লাল রক্তবর্ণ হয়ে আছে। এটা দেখার পর তানভীরের বুকের ব্যাথাটা যেন আরও বাড়তে লাগল। তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে বলল
– কী হয়েছে বলবেন? হুট করে এভাবে কাঁদছেন যে? আর কে ফোন দিয়েছিল জানতে পারে কি।
রুকু দুহাত দিয়ে চোখ দুটো কচলাতে কচলাতে উড়নার এক কোণা দিয়ে চোখ দুটো মুছে বলল
– আবির কল দিয়েছিল।
তানভীর উৎসুক গলায় বলল
– এ আবিরটা কে? আর এভাবেই বা কাঁদছেন কেন?
রুকু আস্তে গলায় জবাব দিল
– আবির হলো…
চলবে?
(কপি করা নিষেধ)
যারা এখনো পেইজ লাইক ফলো দেননি লাইক ফলো দিয়ে দিন।
সবাই শুধু রুকুর পরিবারের কথা জানতে চাচ্ছেন। এ বিষয়টা আরও পরে উন্মোচন করা হবে। এর মধ্যে অনেক কাহিনি আসবে অনেক রহস্য টুইস্ট উদঘাটন হবে।পুরো গল্প না পড়লে বুঝা সম্ভব না।
গল্পসম্পর্কিত আপডেট জানতে কমেন্টে দেওয়া লিংকে ঢুকে গ্রূপে জয়েন করুন। আর প্রতি পর্বে সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করলে আপনার নামও হয়ে যেতে পারে আমার পরবর্তী গল্পের একটা চরিত্রের নাম।