অন্তরালের অনুরাগ ❤ পর্বঃ৩৮

0
4618

গল্পঃ #অন্তরালের_অনুরাগ
লেখনীতেঃ #নাহিদা_নীলা
#পর্বঃ ৩৮

পদ্মলয়ার ডাইনিং টেবিলে আজ উৎসবমুখর পরিবেশ। কেননা দুইপরিবারের প্রত্যেকটি সদস্য যে আজ এখানে উপস্থিত। নরমালি খাবার টেবিলে কথা বলা নিষেধ হলেও তারা যেন আজ সেটাই বেশি করে করছে।

— ‘ বুঝলেন বিয়াইসাব, নিজেকে একপ্রকার ভিলেন ভিলেন মনে হয়েছিল। সব জায়গায় বাপ গিয়ে ছেলের বিয়ের তদারকি করলেও আমার ক্ষেত্রে আমি-ই ছেলের বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। তাই তো সবকিছু কোনোভাবে মিটিয়ে দিয়ে দেশে আসলাম। আহ্ এখন শান্তি। ‘

আরিফ মাহমুদ ঠোঁটের কোণ সরু করে নিঃশব্দে তার কথাতে সম্মতি জানালেন। এই মানুষগুলোকে তার বড্ড পছন্দ। কেমন অল্পতেই আপন মনে করে অকপটে সব বলে দেয়।

— ‘ এটা তুমি একেবারে ঠিক করেছো শাহেদের বাবা। নতুবা ছেলের বউকে ঘরে তুলতে পারছি না। আমার কি আর এভাবে ভালো লাগে? ‘

কথাটুকু বলেই শায়লা রহমান যেন মুখে এক আকাশ হতাশা ঢেলে নিয়ে এলেন। আর অপরদিকে নীলা পারছে না এখান থেকে দৌড়ে পালাতে। আগে যদি জানতো এখানে আসলে এইরকম লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে পরতে হবে তাহলে সে এখানে আসার থেকে দশহাত দূরত্ব বজায় রাখত। সে আড়চোখে একবার সামনে বসা সাদিদের দিকে তাকালো।
কেমন নির্লজ্জের মতো ঠোঁটের কোণে হাসি ঝুলিয়ে গাপুসগুপুস খেয়ে যাচ্ছে! আর এদিকে নীলার হাল পুরোপুরি বেহাল

— ‘ পাপা, ঐটা খাব। ‘
— ‘ বাবা এটা তুমি খেতে পারবে না৷ একটু ঝাল। ‘
— ‘ না খাব। ‘
— ‘ জেদ করে না বাবা। পরে ঝালের চুটে কান্না করবে। ‘
— ‘ না খাব। ‘

শাহেদ কিছুটা অসহায় দৃষ্টিতে ছেলের মুখপানে তাকিয়ে রয়েছে। আর শাদমান ইতিমধ্যে গুলুমলু গালগুলো ফুলিয়ে বেঁটে চোখে চিকেন রেজালার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তার ভাবভঙ্গিতে পুরোপুরি স্পষ্ট সে এটা খাবেই। নিধির চোখের চাহনিতেও অসহায়ত্ব ভরপুর। এই ছেলে যে পরিমাণ জেদি একবার যেহেতু বলেছে এটা খাবে মানে এটাই খাবে। এখন সমস্ত পৃথিবীর সবকিছু তার সামনে এনে দিলেও সে ঐটা ছুঁয়েও দেখবে না। কিন্তু নিধির যে দিতে সমস্যা নেই। সমস্যা তো সৃষ্টি হবে খাওয়ার পরে। ঝাল এই ছেলে মোটেই খায় না৷ সাদিদ দুইজনের অবস্থা দেখে ঈষৎ হাসল। মা-বাবা যতই স্ট্রং হোক না কেন সন্তানের সামনে আসলেই যেন তারা ফিকে পরে যায়।

— ‘ বাবা এটাই খাবে? ‘
— ‘ হ্যাঁ এই লালটা। ‘
— ‘ তাহলে আর কি করার, ভাবীমণি তাহলে এককাজ করো। একটু পোলায়ের সাথে মাখিয়ে ঝুলগুলো মুছিয়ে তারপর দিয়ে দাও। তাহলে হয়তো আর ততটা ঝাল লাগবে না৷ ‘

সাদিদের কথাতে যেন নিধির প্রাণ ফিরে এলো৷ এই ছেলে সামনে থাকলে তার সবকিছু কমে আসে। এমনকি বুদ্ধিটাও৷ সে চটজলদি ভালো করে ভাতের সাথে মাখিয়ে ঝোলছাড়া চিকেনটা শাদমানকে দিয়ে দিলো। কিন্তু বেচারা একটু খেয়েই প্লেট দূরে ঠেলে দিলো।

— ‘ আহ্ মজা না৷ মা ঐটা খাব৷ ‘

টেবিলের সবাই এবার একত্রে হেসে ফেলল। শাদমান তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে রয়েছে। তার ভাবভঙ্গিতে প্রবল জিজ্ঞাসাবোধ দৃষ্টি। নিধি এবার ফালুদার প্লেট থেকে অল্প একটু নিয়ে তাকে দিলো। এটাও দুই চামচ খেয়ে সে আর খাবে না। সে এবার মিষ্টি দই খাবে।
নিধি হাসিমুখেই অল্প একটু দিলো৷ এই ছেলেটা খাওয়া নিয়ে বরাবরই এমন করে। এমন একটা ভাব নিয়ে খাবার চায়বে যেন সে এটা মহাখুশিতে খেয়ে ফেলবে৷ কিন্তু খাওয়ার সময় ঠুস।
সবার টুকটাক কথাবার্তা আর হাসাহাসির মধ্যেই খাওয়ার পর্ব শেষ হলো। সবাই এবার বসার ঘরে এসেছে। গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাগুলো করার জন্য। যার কারণেই আজ নীলাদের এমন তাড়া দিয়ে পদ্মালয়ায় আনা হয়েছে।

— ‘ তাহলে যা বলার জন্য এতো তাড়াহুড়ো। বেয়াই, এবার যতদ্রুত সম্ভব সাদি আর নীলা মায়ের বিয়েটা সম্পূর্ণ করতে চাই। আমিতো আজ বললে আজ-ই রাজি৷ ‘
— ‘ ভাই এমনটা তো আর হয় না৷ ছোট মেয়ে আমার, বড্ড আদরের। অনেক আশা রয়েছে। ‘
— ‘ আরে আরে, বেয়াই দেখি মন খারাপ করে বসলেন৷ আমিতো একটু ঠাট্টা করছিলাম। বিয়ে বাড়িতে যদি হাসি-ঠাট্টা না হয় সেটা কেমন বিয়ে বাড়ি? কিন্তু তাই বলে কিন্তু বেশি দেরি করতে পারব না৷ ছেলের বউকে যতদ্রুত সম্ভব বাড়িতে তুলতে চাই। কি রে মামনি, তুই কি বলিস? ‘
— ‘ না মানে, আমি যাই। একটু রান্না ঘরে কাজ আছে আরকি৷ ‘

নীলা দ্রুতপায়ে স্থান ত্যাগ করলো। সাদিদ সেদিকে তাকিয়ে ঠোঁট কামড়ে ধরল। তার প্রাণপাখি যে লজ্জায় মরে যাচ্ছে সেটা সে ভালোই বুঝতে পারছে। উপস্থিত সবাইও নীলার এমন পালিয়ে যাওয়া ধরতে পারল। তারা হাসতে হাসতেই বাদবাকি কথাবার্তা এগিয়ে নিতে লাগল।

____________

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার পথে। কিন্তু এখনও বসার ঘরে আলোচনা চলছে। নিধি এতক্ষণ সেখানে উপস্থিত থাকলেও এবার উঠে কিচেনে চলে আসলো। তার পিছুপিছু নীলাও চলে আসলো। সে যতই তাদের মধ্যে থেকে দূরে থাকতে চায় তাকে যেন ততই এনে টেনে বসিয়ে রাখা হয়। এটা কি ঠিক? তারা কি বুঝে না নীলা এসবে প্রচুর লজ্জা পাচ্ছে?
নীলাকে কিচেনে দেখে নিধি হালকা হাসল৷ হাসিমুখেই বলে উঠল,

— ‘ তুইও চলে এলি যে? ‘
— ‘ তাহলে আর কি করব? সেখানে বসে থাকতে থাকতে আমার কান গরম হয়ে যাচ্ছিল। কিসব বলে যাচ্ছে তারা! ‘

নিধি তার কথায় আবারও হাসল। তারপর চুলায় পাতিল বসিয়ে সবার জন্য কফি বসালো। আর সাথে হালকা নাস্তার আয়োজন। নীলাও তাকে টুকিটাকি হেল্প করল।
তারা কফি আর নাস্তা নিয়ে বসার ঘরে আসতেই নীলা সাদিদের জায়গাটা ফাঁকা দেখল। এইটুকু সময়ের মধ্যে আবার কোথায় গেল। নীলার দৃষ্টি অনুসরণ করে শায়লা রহমান হাস্যরত কন্ঠে বলল,

— ‘ তার ইম্পরট্যান্ট কল এসেছে। তুই বরং কফিটা নিয়ে উপরে চলে যা। সাদি হয়তো রুমেই আছে। ‘

ইশশ সবাই মিলে আজ কি শুরু করেছে? নীলাকে বারবার এমন সব পরিস্থিতিতে ফেলে তারা কি মজা পাচ্ছে তারা-ই ভালো জানে। নীলা মাথা নিচু করে মা-বাবার দিকে তাকালো। তারাও মিটমিটিয়ে হাসছে।
নীলাকে এখনও ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে শায়লা রহমান আবারও বলে উঠলেন,

— ‘ কিরে, ঠান্ডা হয়ে গেলে যাবি না-কি? যা। ‘

নীলা আর কথা বাড়ালো না। চুপচাপ কফি মগটা আর সামান্য পিঁয়াজু, চিকেনচপ নিয়ে দুইতলায় হাঁটা ধরল। সাদিদের রুমের সামনে আসতেই তার নাগাল পাওয়া গেল। সে ফোনো ব্যস্ত।
নীলা কিছু মুহূর্ত চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকল। কিন্তু সাদিদের অবস্থার পরিবর্তন না দেখে দরজায় হালকা আওয়াজে নক করল।

— ‘ কাম ইন৷ ‘

সাদিদ আরও কিছু মুহূর্ত ফোনে ব্যয় করে ফোনটা রাখল। নীলাকে এখনও দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভ্রুজোড়া কুঁচকে নিলো।

— ‘ এটা কি অন্যকারো বাড়ি? ‘
— ‘ মানে? ‘
— ‘ অন্যকারো রুম? ‘
— ‘ মানে? ‘
— ‘ ধুর, খালি মানে মানে করে৷ ‘
— ‘ তাহলে কি করব? না বুঝলে তো প্রশ্ন করতেই হবে। ‘

সাদিদ এবার ফোনটা টাওজারের পকেটে ঢুকিয়ে নীলার দিকে এগিয়ে আসলো। কফি মোটামোটি ঠান্ডার দিকে চলে যাচ্ছে। আর একটু পরে খেলে হয়তো কোল্ড কফি হিসেবে খেতে হবে৷ তাই সাদিদ ট্রে থেকে কফি মগটা নিয়ে তাতে চুমুক বসাল। তারপর বলে উঠল,

— ‘ আরে বোকা মেয়ে এটাতো তোমার বাড়ি-ই। আর এই রুমটাও তোমার। তাহলে নিজের ঘরে এসে দরজায় নক করতে হয়? আর কখনও যেন এমনটা না দেখি৷ ‘
— ‘ এখনও তো হয়নি৷ ‘
— ‘ মানে? ‘
— ‘ এখন কিন্তু আপনি মানে করছেন। ‘
— ‘ কেননা তোমার বোকা মাথাতে সারাক্ষণ বোকা বোকা প্রশ্ন ঘুরঘুর করে। তাই মানে বলতেই হয়। এখন বলো তখন কি যেন বলছিলে? ‘
— ‘ মানে এখনও হয়নি। বিয়ের পর থেকে না এমনটা বললে ঠিক হবে৷ ‘
— ‘ বেশি না, শুধু একটা থাপ্পড় দিব। তাহলেই সব হুর হুর করে মাথায় চলে আসবে৷ আর মাথাটাও ঠিকঠাক কাজ করবে। ‘
— ‘ খুব খারাপ আপনি৷ প্রচন্ড খারাপ। ‘

নীলাকে গাল ফুলাতে দেখে সাদিদ তার কাঁধে হাত রাখল। টেনে বুকে নিয়ে এসে বলল,

— ‘ এতো অভিমান কই থেকে আসে? ‘
— ‘ জানি না৷ ‘
— ‘ তাহলে কি জানো? ‘
— ‘ কিছু জানি না। ‘

সাদিদ নিঃশব্দে মৃদু হাসল। নিজে কফি মগে এক চুমুক দিয়ে সেটা নীলার মুখের সামনে ধরল। নীলা অভিমানিনীর রূপ ধারণ করে সাথে সাথেই নাকচ করল।

— ‘ নাও। ‘
— ‘ আপনি খান। আমি খাব না। ‘
— ‘ পাখি, ভালোই ভালোই লাস্ট বার বলছি। এরপর কিন্তু অন্যভাবে খাওয়াব। ‘

নীলা বিস্ফোরিত চোখে তাকালো। সাদিদের ঠোঁট কামড়ানো দেখে তার আর বুঝার বাকি নেই এই ছেলের দুষ্টুমি ফন্দি।

— ‘ খারাপ লোক একটা। রাগ-ক্ষোভ কিছুই দেখাতে দেয় না। ‘

নীলার বিড়বিড়িয়ে বলাটা সাদিদ অল্প-সল্প শুনে নিলো৷ তারপরও কিছু বলল না। চুপচাপ নীলার মুখের সামনে কফি মগটা ধরল। নীলা এবার আর না করলো না৷ খানিকটা অভিমান নিয়েই কফি মগে ঠোঁট স্পর্শ করল। নতুবা এই ছেলের বিশ্বাস নেই৷ একেবারে অসভ্যের একশেষ।
দুইজনে কফিটুকু শেষ করতেই সাদিদ নীলাকে টেনে কাছে আনলো। চিবুকে হাত রেখে মুখটা উপরে তুলে বলল,

— ‘ অল্পতেই এতো অভিমান করলে চলে? সন্তানেরা নাকি মা-বাবার জিন পায়৷ অর্থাৎ আমাদের আচার-আচরণ সবকিছু তাদের মধ্যে প্রতিফলিত হবে। আমিতো ভীষণ টেনশনে রয়েছি। তোমার এই বদঅভ্যেস না জানি আমাদের ছেলে-মেয়েদের উপরে কি প্রভাব ফেলবে? ‘

নীলা কনুই দিয়ে জোরে সাদিদের বুকে খোঁচা দিলো। উঠে আসতে নিলেই সাদিদ তাকে টান দিলো৷ নীলা তারপরও ছুটে চলে আসতে চাইলে সাদিদ এবার তাকে বিছানার সাথে চেপে ধরে তার উপর আধশোয়া হলো।

— ‘ ইশশ ছোট্ট একটা শরীরে কি জোর! কিন্তু যখন জোরের প্রয়োজন হয় তখন এসব কোথায় থাকে? তখন তো পুরো চুপসে যাও৷ ‘
— ‘ ছিঃ অসভ্য লোক। ছাড়ুন বলছি, সবসময় যত অশ্লীল কথাবার্তা। ‘
— ‘ অশ্লীলের কি দেখলে? সত্যিটাই তো বললাম৷ ‘
— ‘ আসছে আমার সত্যবাদী। ছাড়ুন বলছি নতুবা কামড়ে দিব। ‘

নীলা তারপরও জোর দেখাতে চাইলে সাদিদ ঠোঁট চেপে ধরে হাসল। সে ভালো করে-ই জানে নীলাকে কিভাবে একমিনিটে আয়ত্তে আনিয়ে নেওয়া যায়। সে নীলার হাতদুটো আরেকটু শক্ত করে বিছানায় ধরে তার মুখোমুখি হলো। একপলক নীলার লাল নাকটার দিকে তাকিয়ে গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো। গলায় সাদিদের রুক্ষ ঠোঁটের ছুঁয়া পরতেই নীলা দমে যেতে লাগল। একসময় তার নড়াচড়া একদমই বন্ধ হয়ে গেল৷ শুধু থেকে থেকে কেঁপে উঠতে লাগল।
সাদিদ নীলার অবস্থা বুঝতে পেরে গলায় মুখ রেখে ঠোঁটের কোণ সরু করলো৷ তারপর আরও একবার দীর্ঘ একটা চুমু খেয়ে মুখ সরিয়ে আনলো। নীলার লাল নাকটা হালকা টিপে দিয়ে বলল,

— ‘ যা পারো না, তা কেন দেখাতে চাও? ‘
— ‘ খারা..প লোক৷ ‘
— ‘ সমস্যা নেই। তোমার বর-ই। ‘

সাদিদ বালিশ ছাড়াই বিছানায় মাথা রেখে নীলাকে তার বুকের ডানপাশে আনলো। অতঃপর সামান্য গম্ভীর কন্ঠে বলল,

— ‘ তোমার কি কোনোভাবে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে? না-কি আমাদের বিয়েটা তোামার কাছে পুরোপুরি স্বীকৃতি পায়নি? লোক দেখানো বিয়েই কি আসল বিয়ে? ‘
— ‘ কি বলছেন আপনি এসব? আমি কখন এমনটা মনে করলাম? ‘
— ‘ তাহলে কিছুক্ষণ আগে কেন বললে আগে বিয়েটা হোক। তারপরে সবকিছু। ‘
— ‘ আরে আমি কি একটা বললাম আর আপনি কোথায় থেকে কোথায় নিয়ে গেলেন? ‘
— ‘ জানি না পাখি৷ কিন্তু তোমার এই কথাটা আমি মানতে পারিনি৷ ‘
— ‘ বিশ্বাস করুন, আমি এতসব চিন্তা করে বলিনি৷ শুধু বলার সময়ে বলে ফেলেছি৷ আর আমি বললেই কি আমাদের সম্পর্কের নাম পরিবর্তন হয়ে যাবে? আমাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে এটা যেমন সত্য, তেমনিভাবে আমি আপনাকে ভালোবাসি এটাও চরম সত্য। কিন্তু কেউ বুঝে না। ‘

সাদিদের ঠোঁটের কোণ এবার বিস্তৃত হলো। নীলার কপালের একপাশে ভালোবাসার আদর দিয়ে নিজেও বলে উঠল,

— ‘ কিন্তু আমি কিন্তু বাসি না। ‘

নীলা সঙ্গে সঙ্গেই চোখ তুলে উপরে তাকাতেই সাদিদ নিজের নাকটা তার নাকে ঘষা দিয়ে বলে উঠল,

— ‘ বরং অনেকটা-ই বেশি ভালোবাসি। হয়তো বা সমুদ্রের চেয়েও গভীর। আকাশের থেকেও বিশাল যার দৈর্ঘ্য-প্রস্থ। ‘

#চলবে…

[ পাঠকগণ আপনাদের পাঠপ্রতিক্রিয়াগুলো আমাকে জানাবেন। আমি আপনাদের ভালোলাগা-মন্দলাগাগুলো জানতে আগ্রহী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here