#আনকোরা
#রূবাইবা_মেহউইশ
৬.
“চৈতী! আমি অভ্র বলছি।”
” আমি চৈতী না দিহান।” নির্লিপ্ত ভাব দিহানের কন্ঠে।
“চৈতী কে দাও ফোনটা। চৈতীর ফোন তোমার কাছে কেন?” অনেকটা চেঁচিয়ে বলল অভ্র। দিহান চোখ, মুখ কুঁচকে কানের কাছ থেকে ফোনটা একটু সরিয়ে নিলো। তারপরই আবার বলতে শুরু করলো, “ফর ইউর কাইন্ড ইনফরমেশন, ফোনটা চৈতীর না আমার। আর মাস দুয়েক আগে চৈতী তোকে ফোন করেছিলো আমার ফোন থেকে।” স্পষ্ট তুই তুকারি করে কথা বলছে দিহান৷ অভ্র যেন ভড়কালো কিছুটা কিন্তু দিহানের সাথে তর্কে জড়াতে চাইলো না। ফোন কাটতে উদ্যত হতেই ওপাশ থেকে শোনা গেল, “ভালো করেছিস ফোন করে৷ চৈতীর সাথে আমি তোকে কথা বলার ব্যবস্থা করে দিবো বাড়ি গিয়ে। আর চাইলে চৈতীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও করে দেবো৷”
দিহানের কথায় বিষ্ময়ে হতবাক হলো অভ্র৷ যে ছেলে তার বোনের সাথে পার্কে দেখে তাকে বেদম পেটালো দু মাস ভাঙা হাড় নিয়ে তাকে সেজন্য হাসপাতালে থাকতে হলো সেই ছেলেই আবার বলছে তাকে পালিয়ে যেত সাহায্য করবে! তারপরই মনে হলো এটা দিহানের চালাকি। অভ্র ফোন করেছে বলে বুঝে গেছে অভ্র চৈতীর সাথে যোগাযোগ করতে চাচ্ছে৷ তাই নিশ্চয়ই এবার অন্যকোন ভাবে অভ্রকে আঘাত করবে।
“ফাইজলামি করছো আমার সাথে? তোমার কি মনে হয় তুমি আমাকে পেটালেই আমাদের ভালোবাসা শেষ হয়ে যাবে? সেদিন তো হুট করে এসে এমন করলে। জীবনে আর দ্বিতীয় বার এসো আমার সামনে তারপর বোঝাবো অভ্রের গায়ে হাত তোলার মজা।”
“দেখ ব্যাটা তোর সাথে ফাইজলামি করার কোন সম্পর্ক আমার নাই। যদি সম্পর্ক হয়ও তাহলে সুমুন্দি, বোন জামাই সম্পর্ক হবে মশকরা কেমনে করবো! সেদিন তোরে পিটাইয়া নিজের কপালে ঝামেলা আনছি এখন তুই-ই পারিস ঝামেলা নিতে।” দিহানের কন্ঠস্বর একদমই নিরুত্তেজ শোনালো। অভ্র আবারও কিছু বলতে যাচ্ছিলো কিন্তু তার আগেই অভ্রের মায়ের চেঁচানো গলা শোনা গেল। তিনি ছেলেকে নানা রকম কসম কেটে অভ্রকে শাসাচ্ছেন যেন ভুল করেও চৈতীর নাম না নেয় মুখে। দিহান সবটা শুনে নিজেই বলল, “তোর আম্মায় কি বাংলা সিনেমা দেখে আসছে! সব সস্তা ডায়লগ; ময়েরা এমনই করে শুনিস না তুই। এখন কসম দিতাছে একটু পরই তোর কথা মানবো৷ তুই চৈতীরে নিয়ে যা আমি তোদের বিয়ের ব্যবস্থা করে দিবো। দরকার পড়লে তোর সংসারও সাজিয়ে দিবো।”
অভ্র চৈতীর নাম মুখে নিয়ে কিছু বলতে যাচ্ছিলো আবারও অভ্রের মা শুরু করলেন, “তুই আমার মরা মুখ দেখবি৷ ওই মেয়ের লগে সম্পর্ক রাখলে আমাগো লগে তোর কোন সম্পর্ক থাকবো না।”
এপাশ থেকে দিহান শুনে আবারও বিরক্ত হলো আর এবার সেও চেঁচিয়েই বলল, “ওই তোর মাও আমার মায়ের মত ড্রামা করতেছে শুনিস না।আমি বাড়ি ফিরেই চৈতীরে বলতেছি তোরে কল দিতে বাকিটা আমি দেখব।” ফোন কেটে দিলো দিহান আর দ্রুতই অফিস থেকে বের হয়ে গেল।নিজের কেবিন থেকে বের হওয়ার সময় গেইটের কাছে এসে তার ধাক্কা লাগলো অফিসের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার এর সাথে। সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করেই এগিয়ে চলছে সে আর বিড় বিড় করছে, “এ চাকরি গেলে যাক আরও কত চাকরি পাবো।কিন্তু চৈতীরে ঘাড় থেকে এখন না নামাইলে পরে সম্ভব না।”
দুপুর বেলায় রান্না শেষ করে দিলশাদ চা হাতে বসলেন নিজের ঘরে। চৈতী তা দেখে নিজেও এক কাপ চা নিয়ে ফুপুর ঘরে এসে বসলো খাটে ফুপুরই সামনে। কপাল কুঁচকে দিলশাদ তাকালেন।
“কি চাই?”
“তোমার সাথে বসে গল্প করবো।”
“ঘেমে একাকার হয়ে আছিস গোসল কর গিয়ে।”
চৈতী শুনলো না। সে চা হাতে বসেই রইলো ফুপুর সামনে। মনে মনে কয়েকটা প্রশ্ন গুছিয়ে তবেই এসেছে সে। এবার পা দুটো মুড়ে বসলো।
“আচ্ছা বলো তো তুমি কেন তোমার ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার জন্য আমাকে বাছাই করলে?”
দিলশাদ কানেই তুললেন না চৈতীর প্রশ্ন। তিনি প্রসন্ন চিত্তে চায়ে চুমুক দিচ্ছেন। চৈতী বুঝলো সহজ ভাষায় উত্তর সে পাবে না। তাই এবার কথায় পরিবর্তন আনলো।
“দিহান ভাই কোনো এক মরণ ব্যাধিতে ভুগছে তাই তুমি চালাকি করে আমার গলায় বাঁধলে তোমার ছেলেকে তাই না!” চৈতীর কথা শেষ হতেই বিষ্ফোরিত নজরে তাকালেন দিলশাদ। মুহূর্তেই মাথার ভেতরে আগুন জ্বলে উঠলো তাঁর। পারলে হয়তো চোখ দিয়েই ভষ্ম করে দিতেন চৈতীকে এমন একটা কথা বলার দোষে।
“ঝলসে যাক তোর ওই মুখ কু-লক্ষী মেয়ে।আমার ছেলের কেন অমন রোগ হতে যাবে! এ্যাই তুই বেরিয়ে যা আমার সামনে থেকে।”
চৈতী অনড় তার জায়গায়। সে বুঝলো এমন আরেকটু রাগালে ফুপু হয়তো তাকে বের করে দিবে কিন্তু সেই সাথে সত্যিটাও বলে দিবে।
“সত্যি শুনলে মানুষ এমনই রাগ দেখায়। থাক ফুপু আমার আপত্তি নেই দিহান ভাইয়ের শেষ সময় পর্যন্ত আমি পাশে,,,,,
” তুই বেরিয়ে যা এখান থেকে। আমার ছেলে মরবে কেন তার কোন রোগ নেই হারামী।দূর হ তুই এখান থেকে। রোগ তো তোর হইছিলো প্রেমিক ধরার তাই ভাইয়ের মুখের দিকে তাকাইয়া তোরে আনতে চাইছি। আমার ছেলেটাও হয়তো বিয়ে হয়ে গেলে ওই মেয়েরে,,,,” দিলশাদ থেমে গেলেন। রাগে তার সারা শরীর কাঁপছে। উচ্চ রক্তচাপ থাকায় শরীরটা দ্রুতই অসুস্থ হয়ে পড়ছিলো তা দেখে চৈতী বিছানা থেকে নেমে ফুপুকে ধরে বসালো। বাথরুম থেকে এক মগ পানি এনে ঘরেই তার মাথা কাত করে ঢালল। ততক্ষণে ফ্লোর আর চৈতীর গা পুরো ভিজে জবজবে হয়ে গেছে। মনে মনে হতাশ হলো সে নিজের কৃতকর্মের জন্য কিন্তু এতটুকু পরিষ্কার দিহান ভাই কেন এতদিন ধরে বিয়ে আর মেয়েদের থেকে দূর দূর থাকতেন!
বাড়ি ফিরে দিহান মা’কে অসুস্থ দেখে ভুলে গেল অভ্রের ফোনকলের কথা। চৈতীকেই বার কয়েক ধমকে সে রাতের খাবারে মা’কে নিজের হাতে খাইয়ে এলো। দিশান অফিস থেকে এসেছিলো বিকেলেই কিন্তু ঘরে আসেনি সোজা দোতলায় গোডাউনে চলে গিয়েছিলো তাই বাড়ির হাল হাকিকত কিছু জানতো না। সন্ধ্যার পর ঘরে এসে থমথমে পরিবেশ দেখে চোখের ইশারায় চৈতীকে জিজ্ঞেস করলে সে বলল, “সব দোষ দিহাইন্নার।”
“এ্যাই কি বললি!” দিশান চোখ রাঙালো।
“আমার কপালের দোষ সব।” মুখটাকে ফ্যাকাশে করে ফেলল চৈতী।
দু’দিন পর চৈতী হঠাৎ করেই আবার ফুপুর সামনে গেল চা হাতে।
” তোকে বলেছি না আমার সামনে আসবি না।”
“কোথায় যাবো তাহলে?”
“জাহান্নামে।”
“ঠিক আছে চলে যাবো তার আগে বলো আমাকে কি পড়াশোনা করাবে?”
সময়টা বিকেল গড়ািয়ে সন্ধ্যা নামবে ক্ষণ। পশ্চিম আকাশে সোনালি রঙ ফিকে হয়ে গেছে। কমলাভ সূর্যটা ঢলে পড়ছে সমুদ্রের ওপারে। চৈতীর দৃষ্টি বাড়ির সীমানা ছাড়িয়ে অদূরে থাকা শিমুল গাছে। পাশেই একটা বেতের চেয়ারে বসে আছে দিলশাদ। তার দৃষ্টিও বড্ড উদাসীন আজ। চৈতীর কথা কানে পৌছেছে তবুও আজ আর রাগ দেখালেন না। বিয়ে কি হেলাফেলা করার মত জিনিস! আজকাল ছেলে মেয়েরা প্রেম করে, পালিয়ে বিয়ে করে আরও কত কি সব ঘটে। চৈতীর যে বয়স তাতে সে যা করেছে তাতে পড়াশোনা বন্ধ করে বসে থেকে কিছুই হওয়ার নয়। বিয়েটাকে মেনে ছেলেমেয়ে দুটো সামনে বাড়ুক এটাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু কি দিয়ে কি করবেন বুঝতে পারছেন না দিলশাদ। ছেচল্লিশ পেরনো মুখটা তার বর্ষার আকাশে পলকা পলকা ছাইরঙা মেঘের মত হয়ে আছে। দিহান কিংবা চৈতী কারোরই মন্দ চান না তিনি হ্যাঁ প্রথমে চৈতীর কথা বাদ দিয়ে শুধু দিহানেরটা ভেবেছিলেন। কিন্তু কি করবেন তিনি তো মা সন্তানের মঙ্গল যেদিকে নজরে পড়বে দৌড় তো সেদিকেই দেবেন৷ কিন্তু চৈতীও তাঁর পর নয়। আপন রক্ত সে কি করে তাকেই বা দূরছাই করবেন। একবার রাগলে পরক্ষণেই মায়া হয়। আরো কিছু সময় চৈতীর কথার জবাব না দিয়ে দিলশাদ ভাবলেন। এবং তারপরই মনে হলো প্রথমবার ভাইয়ের কথায় সায় দিয়ে রাগ দেখিয়ে বিয়েটা দিয়েছেন এবার কি আদরে, আহ্লাদে সংসারে বাঁধতে পারবেন না! গা ঝাড়া দিয়ে নিজেকে একটু সতেজ করলেন যেন দিলশাদ। তারপরই হাসি হাসি মুখে বললেন, “পড়াশোনা শুরু কর চৈতী। আজই ড্রাইভারকে পাঠাচ্ছি তোর সব বইপত্র নিয়ে আসবে। কাল থেকে কলেজেও যাস কেমন!”
” কলেজে যাবো কেন আমি কি কলেজে পড়ি এখনও!” মুখ বাঁকিয়ে বলল চৈতী। দিলশাদ নিজেকে সব অবস্থাতেই এখন শান্ত রাখবেন বলে ঠিক করলেন।
“না বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িস সেখানেই যাস।”
“ড্রাইভার না ফুপি আমিই যাবো। দেখেশুনে জরুরি সব জিনিস নিয়ে আসবো।”
অফিসে আজ খুব ঝামেলা বাঁধিয়েছেন এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার স্যার। দিহানের চাকরি যায় যায় অবস্থায়। পরশু দিনের ধাক্কার কথা লোকটা ভোলেনি। কালই কিছু করতো কিন্তু কাল তো দিহান অফিসেই আসেনি। আজ ঝামেলা বাঁধতেই দিহানের মনে পড়লো অভ্রের ফোনের কথা সে আজও সকল কথার মাঝে হুট করে তার অফিস ব্যাগটা নিয়ে বেরিয়ে গেল সবার সামনে থেকে। দিহানের বস, এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার এমনকি তার কলিগরা সবাই হা হয়ে গেল তার কান্ড দেখে। এটা কেমন বেয়াদবি বস রেগে গেলেন। এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারও হায় হায় করে উঠলেন, “দেখলেন স্যার এই ছেলে কেমন? একে চাকরিতে রাখা বিপদজনক কিন্তু । অফিসের একজন স্টাফ কম নিজেকে বসই বেশি মনে করে সে ” এই বলে আরো কত কি যুক্ত করলেন ম্যানেজার৷ সত্যিই দিহান চাকরিটাকে তেমন আমলে নেয়নি। সে তো অনেকটা বাড়ি থেকে দূর থাকতে এই চাকরিটা জোগাড় করেছিলো। এর চেয়ে ভালো পজিশনের চাকরি তো তার চট্টগ্রামে সে বার হয়েই গিয়েছিলো আবার নিজেদের ব্যবসাও রয়েছে। দিহান বাড়ির উদ্দেশ্যে বাইক ছোটালো। পনেরো মিনিটের রাস্তা যেন সে পাঁচ মিনিটে শেষ করলো। বাড়ি ফিরে প্রথমেই ডাইনিংয়ের দিকে তাকালো। চৈতী নেই সেদিকে। হাতের ব্যাগটা সোফায় রেখে চৈতীর নাম ধরে ডাকলো। ডাক শুনে কাজের মহিলা জানালো চৈতী আর তার ফুপু দুজনে লনেই তো বসে আছে। তড়িঘড়ি ভেতরে আসায় দিহান বাড়ির ডানদিকে লনের দিকে তাকায়নি। আবার বেরিয়ে সে লনে গেল। রঙ্গনের ঝাড়ের পাশেই বেতের দুটি চেয়ারে বসে আছে চৈতী আর দিলশাদ৷ দিহান চমক পেল তাদের একসাথে দেখে। কি করে সম্ভব আল্লাহ! বলল অস্পষ্ট স্বরে।
“তুই কখন এলি?” দিলশাদ ছেলেকে দেখে প্রশ্ন করলেন।
“মাত্রই তো এলাম। বাইকের আওয়াজ পাওনি।”
“কই নাতো! আমরা শুনিনি বাইকের শব্দ। দিহান ভাই তুমিও কি চা খাবে আমাদের সঙ্গে?” দিহানের চমক যেন এবার বিষ্ময়ে আকাশ ছুঁলো চৈতীর মুখের ভদ্র উচ্চারণ শুনে। সেই সাথে বিষ্মিত হলেন দিলশাদ চৈতীর মুখে ভাই শব্দ শুনে। কিন্তু কেউই নিজেদের বিষ্ময় প্রকাশ করলো না। দিহান চৈতীকে উদ্দেশ্য করে বলল, “দরকার ছিলো তোকে একটু ঘরে আয় তো! ”
“কি দরকার!” চৈতী প্রশ্ন করতেই দিলশাদ তাকে বলল, “গিয়ে শুনে আসো।”
দিহান একবার তার মা আরেকবার চৈতীর দিকে তাকালো। কি হচ্ছে এখানে!
চৈতী উঠে দিহানের পিছে ঘরে যেতেই দিহান দরজা বন্ধ করে দিলো।
“দরজা বন্ধ করলে কেন?” খেঁকিয়ে উঠলো চৈতী।
“ঢং করিস না। দরজা বন্ধ করলেই আমি তোকে ছুঁয়ে দেখবো না। অভ্র ফোন করেছিলো সেদিন যেদিন তুই মা” র সাথে ঝগড়া করলি।”
“আমি ঝগড়া করলাম ওটাতো ফুপি কথায় কথায় উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলো।”
“যাইহোক, অভ্রের সাথে যোগাযোগ কর। তোর ফোন কই কথা বলে সব ঠিক কর আমি তোকে তার কাছে পৌঁছে দিয়ে আসবো।”
চৈতী প্রথমে দিহানের কথা খেয়াল করেনি সে অভ্রের কথা বলেছে। এবার খেয়াল হতেই অস্থির হয়ে উঠলো অভ্রের জন্য । দিহানকে বলল একটু কথা বলিয়ে দিতে। কত দিনের পিপাসিত তার অন্তর অভ্রের মুখে একটু কথা শোনার জন্য। অভ্র তার জন্য ফোন করেছিলো শুনতেই যেন শ্রাবণের ঢল নামলো বুকে। অন্তর জুড়িয়ে শীতল হয়ে আসছে। দিহানকে অনুরোধ করলো একটিবার ফোন করতে। দিহানও ফোন পকেট থেকে বের করলো কল দিতে কিন্তু বিধিবাম ফোনটা চার্জের অভাবে কখন যে বন্ধ হয়ে গেছে দেখেইনি সে। মুহূর্তেই এক পশলা বৃষ্টির মত ঝরে পড়লো অশ্রু।
“কান্না শুরু করলি ক্যান? চার্জ দিয়ে নেই পরে কল দিস।”
দিলশাদ লন থেকে ফিরে ঘরে পা দিতেই দেখেছেন দিহান চৈতীকে নিয়ে ঘরে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। তা দেখে তার মনের ভেতর অজান্তেই এক খুশি দানা বাঁধলো।
চলবে
(কেমন আছেন সবাই? গল্পটা কেমন লাগছে আপনাদের দয়া করে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার লেখার ভুলত্রুটি শুধরানোর সুযোগ হবে।)