ওরা মনের গোপন চেনে না পর্ব-৪

0
2289

#ওরা_মনের_গোপন_চেনে_না
#পর্ব_০৪
#সিলিভিয়া_ফারাশ

(৮)

ফাঁকা রুমের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে তুর। রুমটা বেশ অন্ধকার। আজ ভার্সিটি আসার পর একটা মেয়ে জরুরী কথা বলবে বলে এখানে ডেকে নিয়ে এসেছে তাকে। এখানে আনার পর অপেক্ষা করতে বলে বাইরে চলে গিয়েছে মেয়েটা। সেই যে গিয়েছে এখনও আসার নাম গন্ধ নেই। রুম থেকে বের হতে উদ্যত হতেই রুমের দরজা অফ হয়ে যায়। তুর একটুও ভয় পাচ্ছে না। বরং ক্লাসে পৌঁছুতে দেরি হবে বলে চিন্তিত সে। পেছনে কারো উপস্থিতি টের পেলো। ঘাড়ে গরম নিঃশ্বাস পড়ছে। তুর পেছনে ফিরে তাকাতেই কারো পুরুষালি দেহের সাথে ধাক্কা খেলো। তখনি লাইট জ্বলে উঠলো। তুর সামনে তাকিয়ে দেখলো জুবান তার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। সে সরে যেতে নিলে দেয়ালে হাত রেখে আটকালো জুবান। তুর নিজেকে যথাসম্ভব শান্ত রাখার চেষ্টা করছে। জুবানকে কিছু বলতে নিলে জুবান বলে উঠলো,

” ভয় পাচ্ছো রসগোল্লা??”

তুর দৃঢ় গলায় বলল,
” নাহ্”

” তোমার কাছ থেকে এই উত্তরটাই আশা করেছিলাম। যে মেয়ে ভার্সিটিতে আসার পর থেকেই সিনিয়রদের গায়ে হাত তুলছে সে মেয়ের জন্য ভয় একটা হাস্যকর বস্তু।”

” সরে দাঁড়ান জুবান। ছলনা করে এখানে ডেকেছেন কেন? আপনাকে তো বলেছিলাম আমার কাছ থেকে দূরে থাকতে। তাহলে বার বার কেন এমন করছেন?”

“সবসময় এতো দূর দূর করো কেনো বলো তো? নাকি আমার প্রেমে পড়ে যাবে বলে ভয় পাও?”

জুবান কৌতুক করে হাসলো। তুর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালো জুবানের দিকে। ফিসফিস করে বলল,

” আপনাকে দূরে থাকতে বলি কারণ আমি খারাপ লোকদের অপছন্দ করি। ঘৃণা করি তাদের। খারাপ লোকদের দেখলেই আমার হাত নিশপিশ করে। ইচ্ছে করে খুন করে ফেলি।”

জুবান আহত চোখে তাকালো।

“আমাকে তোমার খারাপ লোক মনে হয় রসগোল্লা? ঘৃণা করো আমায়?”

” কি রসগোল্লা রসগোল্লা করছেন?? আমাকে এইসব উদ্ভট নামে ডাকা বন্ধ করুন।”

হুট করেই জুবান রেগে গেল। দেয়ালে একটা ঘুষি মেরে বলল,

” আমার বন্ধুদের গাঁয়ে হাত তুলেছ তার শাস্তি পাওয়ার জন্য প্রস্তুত হও। আজ এই মূহুর্ত থেকে তোমার শাস্তি স্টার্ট।”

” সিরিয়াসলি জুবান? কোন দেশের রাজা আপনি যে আপনার হুকুম মানতে হবে? আমি আপনার শাস্তি মানতে বাধ্য নই।”

জুবান তার বিখ্যাত গা জ্বালানো হাসিটা হাসলো।
রাগে তুরের মুখ লাল হয়ে গেছে। সে জুবানকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরাতে চেষ্টা করলো তবে জুবান নিজের জায়গা থেকে এক চুলও নড়ল। তুরের নরম হাতের ধাক্কা জুবানের কাছে আরামদায়ক ম্যাসাজের মতো লাগল। জুবান দেয়াল থেকে হাত সরিয়ে তুরকে মুক্ত করল। অন্য দিকে তাকিয়ে ঠোঁট চেপে হাসলো সে। তুর ছাড়া পেয়ে এক ছুট লাগালো তবে বেশি দূর যেতে পারলো না। আবারও জুবানের বাহু বন্ধনে আবদ্ধ হলো। জুবান তুরের মাথার পাশ দিয়ে দেয়ালে হাত রেখে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে তার রসগোল্লার মতো নরম তুলতুলে গালের দিকে। তুর নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করছে। কেমন হাঁসফাঁস লাগছে তার।

” দেখুন।”

” দেখাও। আমি তো দেখার জন্যই দাঁড়িয়ে আছি।”

জুবানের ঠোঁটের কোণে শয়তানি হাসি লেপ্টে আছে। তুর এই অসভ্য লোকটার দিকে দাঁত কটমট করে তাকালো।

” এভাবে তাকিয়ো না রসগোল্লা। হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাবে। এভাবে তাকালে দেখবে একদিন তোমার হাতেই আমার মরন হবে।”

তুর জুবানের গায়ে চাপর মারল। চিবিয়ে চিবিয়ে বলল,

” একদম ন্যাকামো করবেন না আর আমাকে অন্যদের মতো দূর্বল ভাববেন না জুবান। আমি আত্মরক্ষা করতে জানি। আপনি আমার সাথে উল্টা পাল্টা কিছু করার চেষ্টা করলে আপনার হাত পা ভেঙ্গে গলায় ঝুলিয়ে দেব বলে দিলাম।”

“জানো তো রসগোল্লা, রসগোল্লা কিন্তু আমার অনেক পছন্দের। রসগোল্লার এতো কাছে থেকেও তার স্বাদ নেব না তা কি করে হয় বলো?”

” ফালতু কথা বন্ধ করুন জুবান। আমার সময়ের অনেক মূল্য। আপনার সময়ের মতো অতো সস্তা সময় আমার নেই।”

“তোমার সময়ের অনেক মূল্য আর আমার সময় সস্তা সময়? এটা ঠিক নয় রসগোল্লা? তোমাকে যদিও আমি রসগোল্লা বলি কিন্তু তোমার মুখ থেকে আজ পর্যন্ত একটাও মিষ্টি কথা শুনলাম না।”

জুবান টুপ করে তুরের রসগোল্লার মতো গোল গালটায় চুমু খেলো। পকেটে হাত গুঁজে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ঠোঁট চেপে হাসতে লাগলো। তুরের চেহারার দিকে তাকিয়ে আর হাসিটা চেপে রাখতে পারলো না সে। মেয়েটার চেহারা এখন দেখার মতো। ও হয়তো ভাবতেও পারেনি যে জুবান এমন কিছু করবে। তুরের চুপসে যাওয়া চেহারার দিকে তাকিয়েৎ হু হা করে হেসে উঠলো জুবান। হাসতে হাসতেই বলল,

” ওফ রসগোল্লা তুমি ভয়ও পাও? আমার তো বিশ্বাস হচ্ছে না। ইস্ তুমি কি জানো রাগলে তোমাকে পুরাই কাঁচা মরিচের রসগোল্লার মতো লাগে কিন্তু ভয় পেলে তোমাকে আরো বেশি আকর্ষণীয় লাগে ঠিক যেন কালো জাম। টুপ করে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে।”

তুরের থিতিয়ে যাওয়া রাগটা আবার ধপ করে জ্বলে উঠলো। জুবানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো সে। এক হাতে জুবানের গলা জড়িয়ে ধরলো তুর।

” আমার মুখ থেকে রসগোল্লার মতো মিষ্টি কথা শুনার খুব শখ আপনার তাই না জুবান?”

জুবান বিষ্ময় নিয়ে তুরের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। রক্ত জবার মতো লাল টকটকে মুখটায় অদ্ভুত রহস্যময় হাসি খেলা করছে তার। তুর হুট করেই নিজের হাঁটু দিয়ে জুবানের দুপায়ের মাঝে আঘাত করল। জুবান যন্তণায় মেঝেতে বসে পরলো। ফর্সা মুখটা মুহূর্তেই লাল বর্ণ ধারন করেছে। তুরের ঠোঁটের হাসি চওড়া হলো। সে হাঁটু মুরে জুবানের সামনে বসল। জুবানের কানের কাছে ফিসফিস করে বলল,

” এতো রসগোল্লা রসগোল্লা করেন। কালো জামও খেলেন এবার বলুন কাঁচা মরিচের রসগোল্লার ঝাঁঝটা ঠিক ছিল তো জুবান? এটাতো শুধু ডেমো ছিল। আমার পেছনে লাগার শাস্তি আরও ভয়াবহ হবে। সময় থাকতে নিজেকে সামলে নিন। আপনি আমার থেকে দূরে থাকুন আর আমি আপনার থেকে।”

(৯)

লিফটের দরজা অফ হওয়ার আগ মুহূর্তে লিফটে প্রবেশ করল মেয়েটা। রোদের মধ্যে দৌড়ে আসায় হাফাচ্ছে সে। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম। চেহারা রক্তজবার মতো লাল। মেয়েটাকে চিনতে ভুল হলো না সায়নের। হাতের ঠান্ডা মিনারেল ওয়াটারের বোতলটা এগিয়ে দিল মেয়েটার দিকে।

“পানি নিন রক্তজবা।”

তুর মুখ তুলে তাকালো। সায়নকে দেখে সোজা হয়ে দাঁড়ালো সে। পানির বোতলটা নিয়ে ঢকঢক করে পুরোটা পানি খেয়ে ফেলল। বোতলটা এগিয়ে দিয়ে ধন্যবাদ জানালো। সায়ন খালি বোতলটার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। ঠান্ডা পানিতে গলা ভেজানোর জন্য মাত্রই বোতলটা কিনেছিল সায়ন। বোতল থেকে এক ঢুক পানিও পান করেনি সে। মেয়েটার কি একটুও কমন সেন্স নেই? সব পানি খাওয়া লাগে?

” আপনার শরীর ভালো রক্তজবা? ব্যস্ততার কারণে আপনার খোঁজ নেওয়া হয়নি।”

তুরের সবচেয়ে অপছন্দের ফুলটিই রক্তজবা। আর তাকে কেউ এই নামটিতে ডাকছে এটা ভালো লাগলো না তার। তুর একটা জিনিস বুঝল না তার এতো সুন্দর একটা নাম থাকতে মানুষ কেন তাকে এমন অদ্ভুত নামে ডাকবে? রক্তজবা, রসগোল্লা এগুলো কেমন ধরনের নাম? রসগোল্লা মনে পরতেই জুবানের চেহারাটা ভেসে ওঠলো চোখের সামনে। আবারও মেজাজ গরম হয়ে গেলো তার। নিজেকে শান্ত করার বৃথা চেষ্টা করে বলল,

” আলহামদুলিল্লাহ ভালো। শুনুন আমার নাম রক্তজবা নয়। আমার সুন্দর একটা নাম রয়েছে। তুর নাম আমার। আমাকে তুর বললেই বেশি খুশি হবো।”

সায়ন কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,

” আপনার চেহারা সবসময় রক্ত জবার মতো লাল হয়ে থাকে। তুর পাহাড়ের চেয়ে রক্তজবা ফুল বেশি মানানসই আপনার সাথে।”

তুর পাঁচ তলায় এসে লিফট থেকে নেমে যায়। কলিং বেল বাজানোর সাথে সাথেই দরজা খুলে যায়। তোয়ার মলিন মুখের দিকে তাকিয়ে নিরব দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভেতরে আসে সে। নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য বাবা মায়ের থেকে দূরে থাকছে তারা। মাঝে মাঝে মেয়েটার জন্য মন খারাপ লাগে তুরের। বাবা মায়ের থেকে কখনও দূরে থাকেনি তোয়া। তুরকেও প্রচন্ড ভালোবাসে মেয়েটা। ছোটো থেকেই তুরের প্রতি আলাদা টান তার। এর জন্যই তো বাবা-মা বন্ধু-বান্ধব ছেড়ে তুরের সাথে এই অচেনা শহরে পারি জমিয়েছে। ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে বসে আছে তুর তোয়া। রান্নাসহ ঘরের যাবতীয় সব কাজ তোয়াই করে। তোয়ার রান্নার হাত বেশ ভালো। যে একবার খাবে সে দ্বিতীয়বার খেতে চাইবে। খাবারের স্বাদ অনেকদিন মনে রাখবে। সরষে ইলিশটা বেশ মজা হয়েছে। তুর তৃপ্তি সহকারে খাচ্ছে। তোয়া খাবার নাড়াচাড়া করছে। গলা দিয়ে খাবার নামছে না। একটা কথা বোনকে বলবে কি বলবে না ভেবে অস্থির হচ্ছে সে। তুর ব্যপারটা খেয়াল করলো। খাবার শেষে তোয়াকে বলল কফি নিয়ে বারান্দায় আসতে।

তোয়া অনেক শৌখিন। বারান্দাটা বেশ সুন্দর করে সাজিয়েছে সে। বারান্দার গাছগুলোই বলে দেয় তোয়া কতটা গাছ প্রেমী‌। দেশি বিদেশি অনেক রকম গাছ দিয়ে ভরপুর বারান্দাটা। তুর সবগুলো গাছের নাম জানে না। কিছু কিছু গাছ তো আগে কখনো দেখেনি। বারান্দার গ্রিলে অপরাজিতা আর কুঞ্জলতা গাছ সবুজ চাদর বিছিয়ে রেখেছে। সেখানে লাল আর নীলচে বেগুনী ফুলের সমারোহ। বারান্দার একপাশে গোলাপী বাগানবিলাসের ঝাড়। বাগান বিলাসের পাশেই বেশ বড় আকারের একটা বাবুই পাখির বাসা। বাসাটা অনলাইন থেকে অর্ডার করে এনেছে তোয়া। তার বিশ্বাস ছিল এখানে বাবুই পাখি এসে ডিম পারবে। বাবুই পাখি ডিম না পারলেও একজোড়া বুনো পাখি এসে ঠিকই বাসা বেঁধেছে। দুটো ডিমও পেরেছে।তুর বারান্দায় রাখা বেতের চেয়ার দুটোর একটায় বসল। তোয়া কফি হাতে বারান্দায় আসলো। কফি কাপগুলো ছোট গোল টেবিলটায় রেখে অপর চেয়ারটায় বসল সে। তুর মনোযোগ দিয়ে তোয়ার দিকে তাকালো। ইদানিং মেয়েটার সাথে কথা বলারও সময় পায় না। সকালে ঘুম থেকে উঠে তাড়াহুড়ো করে ভার্সিটি যায় সেখান থেকে কোচিং করে দুটো টিউশন করিয়ে বাসায় ফিরে প্রচুর ক্লান্ত হয়ে যায়। তারপর ফ্রেশ হয়ে খেয়ে দেয়ে পড়তে বসে। মধ্যরাত অবধি পড়ালেখা করে আর কথা বলার মতো ইচ্ছে বা এনার্জি কোনটাই থাকে না। তোয়াকে চুপ থাকতে দেখে তুর নিজেই বলা শুরু করলো,

” তোয়া তুই গত পাঁচ দিন ধরে কোচিংয়ে যাস না কেন? সবুর ভাইয়া কল করেছিল।”

সবুরের নাম শুনেই ঘাবড়ে যায় তোয়া। তুর ব্যপারটা লক্ষ করে। তোয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় সে। তোয়া নিচের দিকে তাকিয়ে মিনমিনে গলায় বলল,

“আমি আর ওখানে পড়ব না আপু।”

” কোনো সমস্যা হয়েছে তোয়া? কেউ তোকে কিছু বলেছে? উল্টা পাল্টা কিছু করেছে তোর সাথে?”

তোয়ার চোখ ফেটে কান্না আসে। উঠে তুরকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দেয় সে। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলে,

” সবুর ভাইয়া আমার সাথে বাজে আচরণ করে আপু। আমাকে বাজে ভাবে টাচ করতে চেষ্টা করে।”

তোয়ার কথা শুনে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে তুরের। এখানে আসার পর সবুর ভাইয়াই একমাত্র মানুষ যে সবকিছুতে তুরকে সাহায্য করেছে এমনকি এই ফ্লাটটাও সবুর ভাইয়াই ঠিক করে দিয়েছে তাদের। উনি তো ছোট বোনের মতোই স্নেহ করে তুরদের। তুরের যেন একটা বড় ভাইয়ের অভাব পূরণ হয়েছে এটাই ভেবেছিল সে। সবুরের এমন ঘৃণ্য কাজের কথা শুনে মাথা ব্যথা শুরু করে তুরের। মাইগ্রেনের ব্যথাটা চট করেই বেড়ে গেলো। তরতর করে বাড়তেই লাগলো।

(১০)

নিষিদ্ধ পল্লি থেকে বেরিয়ে গুন গুন করে গান গাইতে গাইতে হেলেদুলে ফাঁকা রাস্তায় হাঁটছে মৈনাক। তার গা দিয়ে মদের বোটকা গন্ধ ভেসে আসছে। হঠাৎ থেমে গেলো মৈনাক। তার মনে হলো কেউ তার পিছু করছে। মৈনাক সচেতন চোখে পেছনে তাকালো। নেশা চড়ে আছে তাই সবকিছু ঘোলা দেখছে সে। কাউকে না দেখে ভয়ঙ্কর একটা গালি দিল সে। তারপর আবার হাঁটতে শুরু করল। লোহার শিকল টানার আওয়াজ পেয়ে পেছনে ফিরে তাকালো সে। ঝাপসা ঝাপসা দেখল ওভারকোট পরা একটা লোক তার দিকে এগিয়ে আসছে। মাথায় টুপি আর মুখে মাক্স। হাতে মোটা একটা লোহার শেকল যেটা টানতে টানতে এগিয়ে আসছে লোকটা। ভয়ে শিউরে উঠলো মৈনাক। বিপদ বুঝে দৌড় দিল কিন্তু বেশিদূর যেতে পারলো না। নেশার কারণে মুখ থুবড়ে পড়ল রাস্তায়। হঠাৎ মাথায় তীব্র যন্ত্রনা অনুভব করল সে। ধীরে ধীরে চোখের সামনে অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। মৈনাক অনুভব করতে পারছে কেউ তার গলায় লোহার শেকল পড়িয়ে রাস্তা দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here