ধূসর অনুভূতি পর্ব-০৯

0
1174

#ধূসর_অনুভূতি
পর্ব:০৯
মালিহা সবকিছু ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করতে চাইছে। তার মা তাকে বুঝিয়েছে,কোনো কিছুর জন্যই জীবন থেমে থাকেনা।মালিহাও ভাবে একটা ভুল করে সেটার জন্য যদি সারাজীবন আফসোস করে কাটে তাহলে আর জীবনের কি বাকি থাকে।
ফারহান যদিও তার সাথে তেমন ভালো ব্যবহার করে না। তবুও মালিহা সবটা মেনে নিয়েছে। মেনে না নেওয়া ছাড়া আসলে তার করার কিছু ছিলও না।সকালে আর বিকালে রান্না-বান্না করে।ঘরের মেঝে পরিষ্কার থাকলেও আবার মোছে। অর্থাৎ,কোনো কাজ করে নিজেকে ব্যস্ত রাখা আরকি। সবশেষে বারান্দায় বসে থাকে।অলস-ক্লান্তিকর একেকটা দিন।কথা বলার কেউ নেই।মালিহার ফোন নষ্ট হয়ে গেছে।একটা ফোন কিনবে;এই কথা সে ফারহানকে বলতে পারে না ভয়ে।
দিনের বেলা তার ঘুমও আসে না। ফারহান অনেক রাত করে বাড়িতে আসে।এতো রাত পর্যন্ত তো অফিস থাকে না।ও কোথায় থাকে কে জানে, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয় হয়তো।মালিহা জিজ্ঞেসও করে না। ফারহান বলেও না।তবে,কোনো কোনো দিন বাসায় এসে গল্প করে মন ভালো থাকলে।মালিহার ভীষণ ভালো লাগে।
আর, বেশিরভাগ দিনই কোনো কথা বলে না দরকার ছাড়া।
এইতো এভাবেই একটা অদ্ভুত জীবন কাটাচ্ছে মালিহা।
ইদানিং মালিহা একটা জিনিস লক্ষ্য করেছে,কারো কাছাকাছি থাকলে সেই মানুষটার দোষগুলোই শুধু আমাদের চোখে পড়ে। কিন্তু,যখন দূরত্ব সৃষ্টি হয় তখন অনেক সুন্দর স্মৃতি মনে পড়ে,গুন গুলো মনে পড়ে।মনে হয়,মানুষটা তো এতোটাও খারাপ ছিল না।
যেমন: ইদানীং যেই ঝিনুক,যুথিকে মালিহার অনেক অসহ্য লাগতো তাদের কথাও খুব মনে পড়ে।ওরা, ক্লাস থেকে এসেই ভাবী ভাবী করে মাথা ব্যথা বানিয়ে ফেলতো। সারাদিন কলেজে কি কি করেছে সব তার সাথে গল্প করতো। কোনো কোনো দিন হয়তো মালিহার মন থাকতো না এইসব গল্প শোনার।তাই,মালিহা বলতো, এখন ভাল্লাগছে না।পরে শুনবো।
ওরা বলতো,না…না দুই লাইন শোনো আর।
এইভাবে কত কথাই না বলে ফেলতো।কেমন অদ্ভুত ধরণের ছিল ওরা।কিছু কিনলেই ভাগ বসাতো।আমাকে দাও-বলার জন্য এক মূহুর্ত ভাবতে হতো না ওদের।
যখন তিতলি হবে তখন তার শ্বাশুড়ি আরো কয়েকজন বয়স্ক মহিলাকে নিয়ে আসলো,বললো,ঘরেই বাচ্চা হবে কোনো হাসপাতাল যাওয়া যাওয়ির দরকার নেই। আমাদের সব বাচ্চা তো ঘরেই হইছে।আমরা কি মরে গেছি।মালিহার তখন কি অসহ্য যন্ত্রনা।মনে মনে ভয়ও লাগছে;মৃত্যুভয়…. কিন্তু, তার শ্বাশুড়ি তো হাসপাতালে যাওয়ার ঘোর বিরোধী।গেলেই বস্তা বস্তা টাকা দিতে হবে।
তখন, ঝিনুক আর যুথির সেকি কান্না।ভাবীকে হাসপাতালে নিতেই হবে।নাহলে ভাবী মরে যাবে।
ওদের কান্নাকাটির জন্য অবশেষে হাসপাতালেই তিতলি হলো।
ওরা সম্ভবত খারাপ ছিল না। হিংসুটে তো আরো আগে ছিল না। তবুও ওদের তখন কেনো ভালো লাগতো না?মালিহা ভালো লাগা-না লাগার কারণগুলো বের করে ঘরে বসে বসে।তার তো অফুরান সময় এখন,ভাবনা-চিন্তা ছাড়া কিইবা করার আছে।
যুথি মেয়েটা অনেক ভালো ছিল।মালিহা কত বার যে যুথির কাছে, বাদশার নামে আজেবাজে কথা বলেছে।বলেছে, তোমার ভাই অমানুষ, জানোয়ার আরো কত দূর্নাম। কিন্তু,যুথি কখনোই এসব কথা তার ভাই বা মাকে বলে ঝগড়া বাঁধাতো না। চুপ করে শুনতো।
ঝিনুক অবশ্য এতোটাও সহনশীল ছিল না।খালি কথায় কথায় ভুল ধরতো,ভাবী তোমার এই কাজটা ভুল….
তবে,মালিহা ঘুরিয়ে জবাব দিলে ঝগড়া করতো না।
এটা ভালো অভ্যাস ছিল। ওদের ভালো না লাগার কারণ হলো,ওরা মালিহার সব জিনিস নিজের ভাবতো।মালিহার কত শখের জিনিস যে ওরা নষ্ট করে ফেলেছে হিসাব নেই।এতো সুন্দর আয়না যেটা মালিহার মামা মালদ্বীপ থেকে এনে দিয়েছে সেটা দুই দিনের মধ্যে ওরা ভেঙে ফেললো।”কি সুন্দর..কি সুন্দর”- বলে দেখতে গিয়ে হাত থেকে ফেলে দিলো।
ইচ্ছা করে তো আর ভাঙে নি তাই কিছু বলাও যায় না। ভেঙেই স্যরি স্যরি বলতে লাগলো।মালিহা দাঁতে দাঁত চেপে বলেছিল,স্যরি বললেই কি এখন আমার জিনিস টা ফেরত আসবে?
ওরা মুখ চাওয়াচাওয়ি করে অবাক হয়ে বললো,ভাবী তুমি কি রাগ করেছো?
যেন রাগ করাটাই অনুচিত।মালিহা দীর্ঘশ্বাস গোপন করে বলেছিল,নাহ করিনি।
এরপর, ওদের মধ্যে একজন বলে উঠল, চিন্তা করো না ভাবী… তোমাকে নিউ মার্কেট থেকে এর চেয়ে সুন্দর একটা এনে দিবো।
মালিহার যে কি রাগ লেগেছিল তখন।এরা এমন নির্বোধ কেন?মন চাইছিল চড় মেরে দাঁত ফেলে দিতে।
কি পরিমান অধিকার যে এরা ফলাতো।রাত ১২টার সময় বলতো,ভাবী একটু চা বানিয়ে দেও তো।
মালিহা বিরক্ত হয়ে বাদশাহকে বলতো, তোমার বোন কি সামান্য একটু চা-ও বানিয়ে খেতে পারেনা?
বাদশাহ বলতো, সামান্য চা ইতো।বানিয়ে দিলেই পারো।আর নাহয় বলে দেও নিজেই যেন বানায়।এটা নিয়ে এতো কথা বাড়াও কেন?
মালিহা বলতো,কোন আক্কেলে এতো রাতে চা বানাতে বলে?
বাদশাহ বলতো,ওরা এমনই। ছোট তো ,বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে।
মালিহার কি প্রচন্ড বিরক্তি লাগতো।এরা নাকি ছোট….
অবশ্য মালিহা না বানিয়ে দিলে কোনো অভিযোগ করতো না। কিন্তু,বানাতে বলবেই বা কেন? নিজের কি হাত নেই….
মালিহা পুরানো কথা আর ভাবতে চায় না। কিন্তু, তবুও মনে পরে।মালিহার শ্বশুর অবশ্য ভালোই ছিল। মাটির মানুষ।কোনো কিছুতেই থাকতেন না।
মালিহাকে তুই করে বলতো।ঠিক যেভাবে ঝিনুক,যুথিকে বলে সেভাবে।”এই মালিহা এদিকে আয়।” “তোর মা কই? জাঁদরেল মহিলাকে কোথাও দেখছি না যে আজ..” “একটু পত্রিকা টা পড়ে শোনাবি? ঝিনুক কে বললাম, ফাজিল মেয়ে বলে, তুমি কি নিরক্ষর?নিজে পড়ো।”
লোকটা একদম সহজ সরল ছিলো। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হতো শ্বাশুড়ি কে নিয়ে।এই মহিলা সর্বক্ষন শুধু ভুল ধরতো। ভুল ধরে যে কি আনন্দ পেতো।খালি কথা শোনাতো।এটা করোনা,ওটা করোনা। এখানে যেও না, সেখানে যেও না।
আর, বাদশাহ কে বললে তো কোনো লাভ নেই। তার বউ আরো অপমানিত হলেও সে বলবে,মা একটু এমনই।রাগ বেশি।দেখো না, আমাকে,ঝিনুক-যুথিকেই সারাক্ষন ধোলাই এর উপর রাখে।তাও তো তোমাকে কমই বলে।আমাকে কলেজে পড়াকালীনও ঝাড়ুর বারি দিতো…হাহা!
মালিহার রাগে শরীর জ্বালা করতো।এ কেমন কথা… তিনি রাগী বলে যা নয় তাই বলবে,আর সেটাকে সহ্য করতে হবে?
বাদশাহ বলতো, তোমাদের বউ, শ্বাশুড়ির বিষয় তোমরা মিটাও।আমি যদি ইন্টারফেয়ার করি মা ভুল বুঝবে।ভাববে,ছেলে তাকে পছন্দ করে না।বউয়ের পক্ষ নেয়। মায়েরা এইসব বিষয়ে খুব সেন্সিটিভ। তুমি ই ভালোর সময় বুঝিয়ে বইলো যে,মা আপনি যে আমাকে এতো কথা শোনান, আমার কষ্ট হয়।
মালিহা বিরক্ত হতো।এই কথা বললে তার শ্বাশুড়ি আরো বেশি কথা শোনায় দিবে।
অন্য সবাই যেমনই ছিল এই মহিলা একটু বেশি ই ছিল।
কিন্তু,সবার কথা ভুলা গেলেও তিতলিকে তো ভোলা যায় না কিছুতেই। গোলগাল মুখ,নরম তুলতুলে গাল। সবসময় গালে আঙুল দিয়ে ইশারা করে বুঝাতো তাকে চুমু খাওয়ার জন্য।
ইশ কতদিন মেয়েটাকে চুমু খাওয়া হয় না! গল্প বলার সময় চোখ গোল গোল করে তাকিয়ে থাকতো।কি তার মনোযোগ….
ছোট্ট ছোট্ট হাত দিয়ে মাকে ঝাপটে ধরে রাখতো।একটা পুতুলের মতোই লাগতো মেয়েটাকে।
মালিহা চলে আসার দশ-পনেরো দিন আগে তিতলি একদিন রাতে জেগে ওঠে।তাকে ডেকে বলে,মা আমি স্বপ্নে দেখলাম তুমি আমাকে ফেলে চলে গেলা।
সেকি কান্না মেয়েটার। এরপর, ঘুমানোর সময়ও মায়ের লম্বা চুল ধরে ঘুমায়।তার ধারণা, চুল ধরে থাকলে মা আর যেতে পারবে না। ঘুম ভেঙে সকালে উঠেই মাকে খুঁজতো।
মালিহার বুকটা ফেটে যায়।ইশ! সে কিভাবে পারলো তিতলিকে ফেলে চলে আসতে।
মালিহা চিৎকার করে কেঁদে ওঠে।তিতলি রে….তিতলি। তুই কই মা?
তিতলি কিছু কিছু শব্দ ঠিক ভাবে বলতে পারতো না।আঙুর কে বলতো আংগুল।বলতো,মামনি আংগুল খাবা?
মালিহার খুব হাসি আসতো।সে সত্যিই আস্তে করে তিতলির ছোট্ট আঙুলে কামড় দিয়ে দিতো।
তিতলি চেঁচিয়ে উঠতো,আরে এই আংগুল না গাছের আংগুল।
আর, মোমবাতি কে বলতো বোমবাতি।এমনি ম উচ্চারণ করতে পারতো। শুধু মোমবাতি পারতো না। অন্ধকার খুব ভয় পেতো। কারেন্ট গেলেই চেঁচাতো,বোম জ্বালাও….বোম জ্বালাও।
বাদশাও অন্ধকার ভয় পেতো। ওদের রুমে রাতেও বাতি জ্বলতো।একটু কম পাওয়ারের।মালিহার ভালো লাগতো না।সে সবসময় নিকষ অন্ধকারে ঘুমিয়েছে।
গরম কালে ঘনঘন ইলেকট্রিসিটি চলে যেতো, বিশেষ করে রাতে।এই প্রচুর গরমের মধ্যেও বাদশাহ তাকে জড়িয়ে ধরে রাখতো।মালিহা বিরক্ত হলে বলতো, ইলেকট্রিসিটি আসুক। আমার অন্ধকার ভয় লাগে।
এক সাইড দিয়ে বাদশাহ আরেক সাইড দিয়ে তিতলি জড়িয়ে ধরে রাখতো। কাউকেই ছাড়ানো যেতো না এমন শক্ত করে ধরতো….!!
এখন কই সেই শক্ত বাঁধন?

……..
……..
আমি ইউনিভার্সিটি থেকে ফিরে দেখি ঝিনুক আপু কোথাও নেই।
মা কেমন থমথমে মুখে ঘরের কাজ করছে ‌।
মাকে জিজ্ঞেস করায় মা বললো, ঝিনুক আপুর নাকি এক্সট্রা ক্লাস আছে,যাওয়ার সময় বলে গেছে।
মা অবাক হয়ে তাকিয়ে বললো,কেন তুই জানিস না।ও তো তোর গুরু…
আমি বললাম,ইয়ে মানে জানতাম, ভুলে গেছি।
এরপর ভাবতে লাগলাম আপু কই গেল? বাসায় যদি না আসে। হঠাৎ মনে পড়ল,ছাদে?এই রোদের মধ্যে।
ছাদে উঠে মেহেদী ভাইয়ার রুমের জানলা দিয়ে তাকিয়ে দেখি আপু উনার রুমে। খাটের উপর বসে বসে কি যেন খাচ্ছে।
আমি বললাম,আপু তুমি এইখানে?
ঝিনুক আপু বললো, ভালো লাগছে না রে তাই এসে বসে আছি।গাধাটা এখন ঘরের চাবি ঐ গাছটার টবের নিচে রেখে যায়।
আমি বললাম, কিন্তু তুমি এখন এখানে বসে আছো কেন?
ঝিনুক আপু বললো,ঘরে গিয়ে মায়ের চেঁচামেচি শুনতে ভাল্লাগে না।
আমিও রুমে ঢুকে আপুর পাশে বসলাম।আপুকে কেমন বিষন্ন দেখাচ্ছে।
আমি বললাম,কি হইছে তোমার আপু?
আপু কোনো উত্তর না দিয়ে বললো,আচার খাবি?
বলেই তার হাতে থাকা কাঁচের শিশিটা আমার দিকে বাড়িয়ে ধরলো।
আমি বললাম,আপু তুমি এটা মেহেদী ভাইয়ার ঘর থেকে নিছো?উনি তো বুঝে যাবে কেউ উনার ঘরে ঢুকছে।
ঝিনুক আপু বললো,জানিস আমি ওকে অনেক গুলো চিঠি দিয়েছি ডাকিনী সেজে।ঐ যে ও আমার স্কেচ আঁকলো।এরপর আমি ওকে আরেকটা চিঠি দিছিলাম। তোদের কে বলিনি।ঐ চিঠিতে লিখছিলাম,আমি আসলেই ভূত… কেন সে এই শামুক-ঝিনুক মেয়ের ছবি আঁকছে এর জন্য আমি রাগ করছি।
এরপর,ও আমাকে একটা চিঠি লিখছে।আর, অনেক গুলো চকলেট ঘরে রেখে গেছে আমার জন্য।আর,লিখছে এরপর থেকে রুমের চাবি গোলাপ গাছের টবের নিচে রাখবে। খাটের উপর চাবি রাখা সেইফ না।
আর, আমি প্রতিদিন এই রুমে আসি। তোদের কে বলিনি।
আমি অবাক হয়ে বললাম,কি করতে আসো আপু?
আপু যেন আমার প্রশ্ন শুনতেই পেলো না।বলতে লাগলো,
– আমি প্রতিদিন ওকে ডাকিনী সেজে চিঠি লেখি….লিখি, আঁমাঁর জঁন্য চকঁলেটঁ আনঁবিঁ….
আর,ও সত্যি সত্যি আমি যা লিখি তাই এনে ঘরে রেখে যায়। যেমন,কালকে লিখেছি আচার আনতে।ও এই আচারের শিশিগুলো কই থেকে যোগাড় করেছে কে জানে?
আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। বললাম, রুমে আসো আপু।
ঝিনুক আপু বললো,দাড়া যাওয়ার আগে ওর রুমটা অগোছালো করে দিয়ে যাই।তাহলে ভাববে আমি আসলেই ভূত।
সত্যি সত্যিই আপু বিছানাটা অগোছালো করে ফেললো।বইগুলো এনে খাটের উপর রেখে দিলো।
আমি বললাম,আপু তুমি কেন এসব করো? তুমি নিজেও বুঝছো মেহেদী ভাইয়া জানে তুমি ই ভূত সেজেছিলে ‌।আর,এখনো যে তুমি উনার ঘরে আসো সেটাও উনি জানে।এবং, উনি যে সব জানে সেটা তুমিও জানো।তাহলে, কেন সবকিছু অগোছালো করলে?
ঝিনুক আপু হেসে ফেললো।বললো,ওকে জ্বালাতে আমার ভাল্লাগে…
এরপর, রুম থেকে বের হওয়ার সময় হঠাৎ পরে যাচ্ছিল।
আমি আপুকে ধরলাম। দেখলাম আপুর গায়ে জ্বর।
আমি বললাম , তোমার কি হইছে আপু?
আপু বললো, আমাদের অনেক দুঃখ রে!
– কি হয়েছে বলো না…
– জানবি সবই। দুঃখের খবর যত দেরীতে জানা যায় ততই ভালো। একটা কাজ করতে পারবি যুথি…
– কি আপু?
– তুই তোর মেহেদী ভাইয়া কে বলবি কাল যেন ও ক্লাস না করে আর আমাকে নিয়ে ঘুরে সারাদিন। আমার বলতে লজ্জা লাগে। তুই বলিস। আবার,এটা বলে দিস না যে আমি তোকে শিখিয়ে দিছি।এমন ভাবে বলবি যেন আমার মন খারাপ দেখে তুই নিজে থেকেই উনাকে বলছিস কেমন?ক্লাস তো সারাজীবন করতে পারবে,আমাকে নিয়ে কি আর সারাজীবন ঘুরতে পারবে বল…..
বাসায় ফিরে আপু ঘুমিয়ে পরলো।
মা আজকে একদম চেঁচামেচি করছে না।কেমন যেন হয়ে আছে। হঠাৎ বললো,জানিস যুথি বাদশার চাকরিটা চলে গেছে।

#চলবে।
.
লেখক-শাপলা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here