অবশেষে তোমাকে পাওয়া পর্ব-৩

0
4743

#অবশেষে_তোমাকে_পাওয়া
#পর্ব_তিন
#লেখিকা_তারা_ইসলাম

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হবে হবে ভাব।তবে এখনো পুরোপুরি ভাবে সূর্যের তেজ কমে’নি।আমি এখনো রুদ্র মির্জার রুমে বসে আছি।আমাকে তখন অগোছালো অবস্থায় দেখে উনি রাগি চোখে তাকালেও কিছু না বলে ওয়াশরুমে চলে গিয়েছিলেন।আর আমিও জ্ঞান হারাতে হারাতে বেঁচে গিয়েছিলাম।

“নিজেকে এখন গুছিয়ে নিয়ে বিছানাতে বসে আছি।কিছুক্ষণ পর উনি বের হলেন তারপর আলমারি থেকে কাপড় নিতে গিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রেগে বললেন- আলমারির এই অবস্থা কেন?এখানে কি গ*রু-ছা*গ*ল থাকে?

“উনার রাগের কারণ বুঝতে না পেরে আমি কাঁপা কাঁপা পায়ে বিছানা থেকে নেমে আলমারির একটু কাছে গিয়ে দেখলাম- আমার সব জামা-কাপড় রাখা তবে এলোমেলো ভাবে ভাজ-করা।আমি আবারও ভয় পেলাম।এখন নিশ্চয় উনি আমাকে চ*ড় লাগাবেন।

“আমি ভয়ে ভয়ে মুখে হাত দিয়ে আস্তে করে বললাম- আমি এক্ষুণি গুছিয়ে দিচ্ছি।

“উনি আমার কথা শুনে আরও রেগে গেলেন কঠোর কন্ঠে বললেন- আমার এলোমেলো একদমই পছন্দ না।নিজেকেও গুছিয়ে রাখবে তার সাথে নিজের জিনিস ও! আর হ্যা রুম সব সময় পরিষ্কার রাখবে।চুল এলোমেলো যেন না দেখি।আর আজকে যেভাবে ছিলে সেভাবে থাকার আগে দরজা লক করেছো কি’না ভালোভাবে দেখে নিবে।আর শুনো ওয়াশরুমে আমার কাপড় রাখা আছে সেগুলা ধুয়ে দিবে।বউ থাকতে কাজের লোক কাপড় ধুয়ে দিক সেটা আমি চাইনা।আর মাঝে মাঝে আমি ধুয়ে নিবো।এখন আমার লেট হচ্ছে তাই তুমি ধুয়ে দিবে।

“উনার সব কথা শুনে আমার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো।আর মনে মনে ভাবতে লাগলাম- আমার মতো এলোমেলো, অগোছালো,এই দুনিয়াতে আর আছে কি’না আমার সন্দেহ।কি থেকে কি হয়ে যাচ্ছে আমার জীবনে।এমন জামাই কপালে ছিলো কেন?তারপর কি বললেন উনার কাপড় ধুয়ে দিতে।আমার নিজের কাপড়ও ওয়াশরুমে তিন-চার দিন পরে থাকে আর আমি কি’না উনার কাপড় ধুয়ে দিবো।মনে মনে উনাকে হাজারো বকা দিলেও ভয়ে মুখে টু শব্দ করি’নি।আমার খুব কান্না পাচ্ছে জীবনটা আমার তেজপাতা হয়ে গেলো শুধুমাত্র ওই রানি মির্জা মানে মারিয়ার দাদির জন্য।বুড়িটাকে একটা উচিত শিক্ষা দিতে মন চাচ্ছে।

“উনি আমার এমন চিন্তা-ভাবনার মধ্যে ধমকে উঠে বললেন- এই যে রো*গী কি বলেছি কানে গেছে?

“উনার ধমকে আমি ভয়ে কিছুটা পিছিয়ে গেলাম।তারপর জোরে জোরে মাথা ঝাঁকিয়ে বললাম- হ্যা হ্যা কানে গিয়েছে।আমি এক্ষুণি সব করছি বলতে বলতেই কাজে লেগে পরলাম।উনি আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে নিজের কাজের জন্য রুম ত্যাগ করলেন।
————————————-
ভাইয়া রুদ্র মির্জা নাকি বিয়ে করে ফেলেছে?

“রেয়ান চৌধুরি চোখ মুখ শক্ত করে বললেন- হ্যা খবরটা আমিও শুনেছি।

“ফারিয়া চৌধুরি কেঁদে কেঁদে বললো- কিন্তু ভাইয়া তুমি না বলেছিলে ওর বাবার সাথে আমার আর তার বিয়ের কথা বলবে?আমি বলে দিচ্ছি ওর সাথে আমার বিয়ে না হলে আমি সু*ইসা*ইড ক’রবো।

“রেয়ান দ্রুত বোনের কাছে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে বললেন- আমি যখন বলেছি বিয়ে তোর সাথেই হবে।আর রুদ্রর বিয়েটা একটা ভুল-বুঝাবুঝির কারণে হয়েছে।আমি যতটুক খবর পেয়েছি মেয়েটাকে রুদ্র ভালোবাসা তো দূর পছন্দও করে না।

“ফারিয়া ফুঁপিয়ে উঠে বললো- সত্যি তো?আমি কিন্তু কখনো তোমার কাছে কিছু চাইনি।শুধুমাত্র রুদ্রকে ছাড়া।আমি ওকে ভালোবাসি ভাইয়া।

“রেয়ান আদুরে হাতে বোনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন- আমার পুতুল যা চাইবে আমি তাকে তাই দিবো।দরকার পরলে ওই মেয়েটাকে ওর জীবন থেকে সরিয়ে দিবো।তাও তুই কষ্ট পাস’না।

~ রেয়ান চৌধুরি আর ফারিয়া চৌধুরি তারা আপন-ভাই-বোন।ছোট বেলায় তাদের মা-বাবা মা’রা যান কিভাবে মা’রা যান কেউ জানে না।তখন থেকেই রেয়ান ফারিয়াকে আগলে রেখেছেন।নিজে অনেক কষ্ট করে এত কিছু করেছে।তার বোন ছাড়া এই দুনিয়াতে আর কেউ নেই।আর তার চাচা মামারা ছোট বেলায় তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেম।তাই এখন সেও তাদের খুঁজ-খবর রাখে’না।রেয়ান পলিটিক্স করার পাশাপাশি নিজের ব্যবসা সামলায়।রেয়ান অনেক আগেই পড়ালেখা শেষ করেছে।আর ফারিয়া এবার অর্নাস ফাইনাল ইয়ারে।বাসায় একবার রহিম মির্জাকে দাওয়াত করেছিলেন তাও ব্যবসার পার্টনারশিপ করার জন্য।তখন উনার সাথে এসেছিলো রুদ্র মির্জা আর সেদিন তাকে দেখে তার বোনের পছন্দ হয়।সেখান থেকে আস্তে আস্তে ভালোবেসে ফেলে।এখন যেভাবে হুক রুদ্র আর তার বোনের বিয়ে দিবেই দিবে।তার একটা-মাত্র বোন।সে বোনের জন্য সব করতে পারে।
———————————–
তুমি এত নিষ্টুর হবে আমি ভাবি’নি নূরের মা?

“একদম নূরের মা বলে ডাকবে না বলেদিলাম!আমি শুধুমাত্র লিয়নের মা ব্যস।আর কারো মা না।না হতে চাই।নিষ্টুর কেন হবো না নূর কার মতো হয়েছে তুমি বুঝতে পারছো না?

“লেয়ান জামান বললেন- তুমি বড় নিষ্টুর মা!তুমি এমন হবে আমি জীবনেও ভাবি’নি।নূরের না তুমি খবর নিচ্ছো না আমাকে নিতে দিচ্ছো।

“দেখবে এই নূরই একদিন তোমার কাজে আসবে।এইযে ছেলেকে নিয়ে এত অহংকার করছো।সে অহংকার একদিন ভেঙ্গে চু*ড়-মা*র হয়ে যাবে।কথাটা মিলিয়ে নিও।

“রেহেলা খান চিল্লিয়ে উঠে বললেন- খবরদার আমার ছেলেকে নিয়ে বাজে কথা বলবে না!ওই মেয়েটার জন্য।নূরকে আমার জীবনেও লাগবে না বলেই উনি রুমে চলে গেলেন।

“লেয়ান জামান উনার যাওয়ার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন।উনার নূরের কথা ভীষণ মনে পড়ছে।মেয়েটা যে সহজ-সরল কেমন আছে সেটা ভাবতেই উনার চোখ ভিজে উঠলো।
—————————————–
আজ বিয়ের পাঁচ দিন হয়ে গেলো।এখন উনার দেখা মেলে শুধু রাতেই।এর আগে কোথায় থাকেন কই যান?আমার জানা নেই।না আমি জানতে চাই।উনার থেকে যে দূরে দূরে আছি সেটাই অনেক।এই কয়েক-দিনে শাড়িটা আমি বেশ ভালোভাবে পড়তে পারি+সামলাতেও পারি।ঘরের কাজ গুলা এখনো ঠিক ভাবে করতে পারিনা তবে চেষ্টা করি।আর এর মধ্যে ভাবি আমি আর মারিয়া প্রচুর আড্ডা দিয়েছি।অবশ্য সেখানেও দাদি শাশুড়ি নাক গলিয়েছিলেন তবে পাত্তা পান’নি।

“ডিনার করেই রুমে আসলাম ঘুমাতে।উনি নাকি বাইরে থেকে খেয়ে আসবেন!তাই কাউকে অপেক্ষা করতে মানা করেছেন।রুমে আসতে আব্বুর কথা খুব ভাবে মনে পরলো।সব-সময় মনে পরে তবে আমি নিজেকে এটা সেটাই ব্যবস্থা রেখেছিলাম।কিন্তু ওই যে দিনশেষে আবার মনে পরে।আচ্ছা উনারা কি আমাকে আর দেখতে আসবেন না।সত্যি কি আম্মু আমার সাথে আর কোনো সম্পর্ক রাখবেন না।এসব ভাবতেই চোখ ছল-ছল করে উঠলো।তাই আমি এতদিন বন্ধ থাকা ফোনটা অন করলাম!তারপর আব্বুকে কল দিলাম।কিন্তু ফোন বন্ধ।আমি অনেক বার ট্রাই করলাম কিন্তু বন্ধ!ভয়ে ভয়ে আর আম্মুর ফোনে কল’দিনি হয়তো উনি রেগে যাবেন।আর আমার মুডটাই নষ্ট হয়ে যাবে।

“তাই আমি দ্রুত শাড়ি বদলিয়ে ঘুমানোর জন্য আরাম দায়ক কাপড় গায়ে জড়িয়ে ফোনে ফেসবুক স্ক্রল করতে লাগলাম।

“পা একটা বিছানায় উঠানো আরেকটা নিচে রেখে দোল দিচ্ছি আর এলোমেলো ভাবে শুয়ে ক্রিম আপার ভিডিও দেখছি।আমি মোবাইলে একবার মন দিলে আশে-পাশে কি হচ্ছে না হচ্ছে বুঝতেই পারি না।আমি পাক্কা মোবাইল প্রেমি।

“ক্রিম আপার উল্টা-পাল্টা ইংরেজী শুনে হাসতে হাসতে আমি সারা-বিছানায় গড়াগড়ি খাচ্ছিলাম এক-প্রকার। কিন্তু হুট করে দরজার দিকে চোখ যেতেই আমি থমকে গেলাম।কারণ দরজার সাথে পিঠ ঠেকিয়ে রুদ্র মির্জা এক মনে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।উনার এমন তাকানো দেখে ভয়ে আমি বসে পড়লাম।হাত-পা অলরেডি কাঁপতে শুরু করে দিয়েছে।মনে মনে ভাবছি উনি কখন এলেন।

“উনি আস্তে আস্তে আমার দিকে হেটে আসলেন তারপর অনেকটা আমার কাছে এসে এক ভ্রু উঁচিয়ে বললেন- তোমার মোবাইল আছে আগে জানতাম নাতো?আর এসব কি ফা*উ*ল ভিডিও দেখছো?এত যখন আজাইরা সময় পেয়েছো তখন পড়তে বসতেমোবাইল দেখার মানে কি?

“ব্যস উনার এই শান্ত গলায় শাসানোটা যথেষ্ট ছিলো আমার সারা-শরীর কাঁপাতে।আমি কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে বললাম- আসলে আমার ঘুম আসছিলো না।আর এখন পড়ার ও ইচ্ছা হচ্ছিলো না।তাই একটু ক্রিম আপার চমলক্ক ওয়ালা ভিডিও দেখছিলাম বলেই তাড়াতাড়ি মুখে হাত দিয়ে ফেললাম।কি বলতে কি বলে ফেললাম।এই জন্যই মারিয়া আমাকে হা*দা উপাধি দিয়েছে।

“আমার কথা শুনে উনার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো তারপর চেহেরা গম্ভীর করে বললেন- তুমি যেমন ফা*উ*ল দেখোও তেমন ফা*উ*ল ভিডিও!বলেই উনি ফ্রেশ হতে চলে গেলেন।আর আমি লম্বা একটা শ্বাস নিলাম।আরেকটু হলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলতাম।মনে মনে ক্রিম-আপাকে কয়েকটা গা*লিও দিলাম।আস্তে আস্তে উনার প্রতি ভয়টা আমার কমে যাচ্ছে হয়তো পবিএ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি তাই।তবে পুরোপুরি ভাবে ভয়টা যায়’নি উনার রাম-ধমককে এখনো আমি ভয় পায়।এসব ভেবেই ফোনটা বন্ধ করে পাশে রেখে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম।

“কিছুক্ষণ পর উনিও ঘুমাতে আসলেন তবে হাতে অনেক গুলা ফাইল নিয়ে।উনি বিছানায় বসে সেসব নিয়ে কি হিজিবিজি কাজ করছেন।আমি সেদিকে পাত্তা না দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।

~~~~ রাত একটার দিকে রুদ্র সব কাজ শেষ করে ফাইল গুলা গুছিয়ে রাখতে যাবে তার আগেই চোখ যায় নূরের দিকে।কেমন এলোমেলো ভাবে ঘুমাচ্ছে।মাথাটা বালিশে নেই পা দুটো তার কয়েকটা ফাইলের ওপর।চুল গুলা সব সারা-বিছানায় ছড়ানো।রুদ্র বেশ বিরক্ত হলো তার মতো একজন গুছানো পারফেক্ট,স্ট্রোং পারসোনালিটির,মানুষের এমন একটা আধ-পা*গ*ল রো*গী অগোছালো মেয়ে তার জীবনসঙ্গী হবে সেটা সে জীবনেও ভাবি’নি।সে সব সময় শান্ত,ভদ্র,চুপ-চাপ স্বভাবের মেয়ে চেয়েছিলো নিজের লাইফে।যাকে সে সব বলতে পারবে!যাকে কিছু না বললেও সে বুঝে যাবে।কিন্তু ভাগ্য তা সহায় হলো না।এসব ভেবেই নূরকে ভালোভাবে শুয়ে দিয়ে নিজের সব ফাইল গুছিয়ে রেখে ঘুমাতে চলে আসলো।
———————————–
সকালের দিকে সবাই ব্রেকফাস্ট করতে বসলাম।আজকে শুক্রবার তাই সব বন্ধ বলে সব পুরুষরা ঘরে আছেন।আমি কোনো কাজ ভালোভাবে না পারায় আমাকে- খাবার টেবিলে আনা-নেওয়ার কাজ দেওয়া হয়েছে।এক তো শাড়ি পড়ে আছি আর দ্বিতীয়ত হাতের বালা।বিরক্তিতে সারা-শরীর রি-রি করতে লাগলো।তাও বাধ্য হয়ে পড়তে হচ্ছে।খাবার সব টেবিলে আনার পর এক এক করে সবাই এসে বসে পড়লো।

“শশুড় বাবাকে যতটুক কঠোর ভেবেছিলাম ততটুক উনি নন।উনি অনেক ভালো মনের মানুষ শুধু চেয়ারম্যান হিসেবে একটু রাগি।উনি বসলেন দাদি শাশুড়ির পাশে আর উনার পাশে শাশুড়ি মা।তারপর বড় ভাই মাহিন মির্জা তারপর উনার দুই-বছরের ছেলে আফ্রান মির্জা।তারপর বসলেন তানিয়া ভাবি।আর অন্য-পাশে আমি আর রুদ্র মির্জা।খাবার সব সময় শাশুড়ি মা সবাইকে নিয়ে নিয়ে দেন।এটা উনার একটা ইচ্ছা।

“তারপর শশুড় বাবা আর বড় ভাই রুদ্র মির্জা কথা বলছেন।আমরা মেয়েরা খেয়ে চলছি চুপ-চাপ।

“উনাদের কথার শেষে দাদি হটাৎ আমাকে বলে উঠলেন- এই জ্ঞান হারানো মাইয়া শুনো আমাগো এখানে তাড়াতাড়ি বা*চ্চা লইতে হয় তুমি আবার মর্ডান মাইয়াগো মতন বছর-খানিক পর নিতে যায়ও না।বড় নাতবউ ও পড়ালেহা করছে কিন্তু বা*চ্চাও সামলায়ছে।যতদিন জী*বি*ত আছি ততদিন না*তী*ন ঘরের পু*তি*ন পালতে চাই।

“উনার কথা শুনে রুদ্র বিষ্ময় খেলেন।

“দাদির কথা শুনে রাগ হলো তাই এক-প্রকার মুখ ফসকে বলে ফেললাম- আমি কেন এখন বা*চ্চা পালবো?আমি নিজে এখনো বা*চ্চা।

“আর উনার প্রতি আগেও রাগ ছিলো তাই হালকা রেগে বললাম- আপনার এত বা*চ্চা পালার ইচ্ছা হলে আপনিই বরং বা*চ্চা পয়দা করুন।

“ব্যস কথাটা বলে বুঝতে পারলাম কেলেঙ্কারি আমি করে ফেলেছি।ভয়ে ভয়ে রুদ্রের দিকে তাকালাম উনি আ*গু*ন চোখে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে।যার মানে আমার আজ তোমার খবর আছে।

“আমি আরও ভয়ে ভয়ে সবার দিকে তাকালাম শশুড় বাবা থেকে শুরু করে সবাই মিটিমিটি হাসছেন।তবে দাদি আমার দিকে তাকিয়ে ভেংচি কাটলেন।আর এক-প্রকার লজ্জা নিয়ে আমি ব্রেকফাস্ট শেষ করলাম……

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here