অসুস্থ_ভালোবাসা
লেখিকা: তিয়ানা তিথি
পার্ট_20(অন্তিম পর্ব)
.
সেদিনের পর আর কেউ ই কারো সাথে তেমন কথা বলেনি দরকার ছারা। তিথি কথা বলেনি অভিমান থেকে আর অয়ন অপরাধ বোধ থেকে। অয়ন বেশ কয়েকবার চেয়েছিল সম্পর্কটা ঠিক করে নিতে কিন্তু কোনো এক অজানা কারনে আর সেইটা হয়ে উঠেনি।
.
অয়ন অফিস থেকে ফিরে রুমে ঢুকতেই দেখে তিথি হাতে একটি কাগজ নিয়ে বসে আছে। অয়ন ভাবছে আবার কি হলো। অয়ন তিথির দিকে আড়চোখে তাঁকিয়েই হাতের ব্যাগটা রাখলো। ড্রেসিং টেবিলের সামন গিয়ে হাতের ঘড়িটা খুলছে তখনি তিথি বলে উঠলো…..
“” আমি মা হচ্ছি……
অয়নের হাত থেকে ঘড়িটা পরে গেলো তিথির দিকে ঘুরে দাঁড়ালো এখনো ঠিক বুঝে উঠতে পারলো না তিথি কি বলেছে…..
“” কি???
“” আমি মা হবো…
অয়ন কয়েক সেকেন্ড তিথির দিকে তাঁকিয়ে থেকে বেড়িয়ে গেলো গাড়ি নিয়ে। তিথি অয়নের এই ব্যবহারে বেশ বড় একটা ধাক্কা খেলো। ভেবেছিলো আজ হয়তো অয়ন আর রাগ করে থাকতে পারবেনা ওদের বেবি হবে এইটা শুনে হয়তো তিথি কে কাছে টেনে নিবে। কিন্তু অয়ন খুশি হলো কিনা সেইটাই ঠিক বুঝতে পারলো না তিথি। অয়নের এইভাবে বেড়িয়ে যাওয়াটা ঠিক মানতে পারছে না তিথি…
.
অয়ন গিয়েই রায়হানকে জরিয়ে ধরে কেঁদে দিলো। রায়হান অয়নের এই কান্ড দেখে হতোভম্ব হয়ে গেলো আবার কাঁদতে দেখে বেশ ভয় পেয়ে গেলো…
“” অয়ন.. অয়ন কি হয়েছে দোস্ত????
অয়ন কেঁদেই যাচ্ছে…
“” অয়ন প্লিজ দোস্ত বল কি হয়েছে। আবার তোর এই খারাপ ব্যবহার নিতে না পেরে ভাবি কিছু করে বসেনি তো???? প্লিজ দোস্ত টেনশন হচ্ছে খুব…
অয়ন কাঁদতে কাঁদতে বলল…
“” আমি বাবা হচ্ছি দোস্ত…
রায়হান অয়নের এই কথা শুনে হাসবে না কাঁদবে সেইটাই বুঝতে পারছে না। বেশ বিরক্ত নিয়ে বলল..
“” বাবা হবি তো খুশির খবর কিন্তু তুই এমন রাম ছাগলের মত কাঁদছিস কেনো????
“” দোস্ত খুশিতে। এই কথা শুনার পর মনে হচ্ছে দুনিয়ার সব সুখ আমি পেয়ে গেছি। অবশ্য আরেকটা করনেও কাঁদছি….
রায়হান অবাক হয়ে জিঙ্গাসা করলো…
“” আবার আরেকটা কারন কি???
“” তিথি আজ আমাকে সবথেকে খুশির খবরটা শুনালো আর আমি ওর সাথে এতোদিন যা তা ব্যবহার করে গিয়েছি। খুব অপরাধ বোধ হচ্ছে…
অয়ন মাথা নিঁচু করে দাঁড়িয়ে রইলো। রায়হান বলল..
“” আমি তো তোকে আগেই বলেছি ভাবি একটা ভুল করে ফেলেছিলো কিন্তু শেষে ঠিকই বুঝতে পেরেছে যে ভাবি তোকেই ভালোবাসে। কিন্তু তখন কিছু করার ছিল না বলেই বিয়েটা করতে বাধ্য হয়েছে আর বিয়েটা তো অন্য কারোর সাথে হয়নি তোর সাথেই হয়েছে তাই না। কিন্তু তুই ওই কথাটা মনে রেখে ভাবিকে কষ্ট দিলি..
“” সত্যি আমিও ভুল করে ফেলেছি আমার এইটা করা উচিৎ হয়নি।
“” আচ্ছা তুই এখানে কেনো?? এইসময় তোর ভাবিকে সময় দেওয়া উচিৎ এক্সট্রা কেয়ার নেওয়া দরকার।
“” আসলে তিথির মুখে এই কথা শুনার পর খুশিতে কি করবো বুঝতে পারছিলাম না তাই তখনি তিথি কে কিছু না বলে তোর কাছে চলে আসলাম।
“” তোর কি মাথা খারাপ অয়ন?? তুই এমনটা কীভাবে করলি??? ভাবি নিশ্চই উল্টা পাল্টা ভেবে বসে আছে। তুই আর এখানে গাধার মতো দাঁড়িয়ে না থেকে ভাবির কাছে যা।
“” আসলে প্রথমবার বাবা হচ্ছি তো তাই কিছু মাথায় আসছিলো না। স্যরি দোস্ত।
“” স্যরিটা আমাকে না বলে ভাবিকে গিয়ে বল…
“” আচ্ছা বাই এখন আসি।
অয়ন চলে যেতে নিলেই রায়হান অয়নকে ডাক দিয়ে বলল…
“” ভাবির জন্য কোনো গিফট নিয়ে যাস আবার খালি হাতে চলে যাস না।
“” থ্যাংকস দোস্ত আমার মাথায় এইটা একদমই ছিলনা। আসি এখন বাই……
.
.
.
অয়ন বাড়িতে ঢুকেই শান্তা কে সামনে পেয়ে গেলো..
“” এই তিথি কোথায়রে??
“” স্যার ম্যাডাম রে অনেক্ষন হলো দেখিনা আজকে আমার সাথে আইসা কোনো গল্পও করলো না…
“” আচ্ছা আমি দেখছি তুই যা…
শান্তা কিছু দূর যেতেই আবার অয়ন ডাক দিলো..
“” শুন…
“” জ্বি স্যার।
অয়ন শান্তার হাতে দুটো এক হাজার টাকার নোট দিয়ে বলল…
“” এই টাকা দিয়ে দারোয়ানকে দিয়ে মিষ্টি আনিয়ে তোরা মিষ্টি মুখ করে নিস।
“” মিষ্টি ক্যান স্যার????
“” আমি বাবা হবো বলে কথা….
অয়ন শান্তা কে আর কিছু বলতে না দিয়ে উপরে চলে গেলো। শান্তা টাকা নিয়ে বিষ্ময়ের সাথে ওখানেই দাঁড়িয়ে রইলো কিছুক্ষন তারপর একটা লাজুক হাসি দিয়ে দারোয়ানের কাছে ছুটে গেলো….
.
.
অয়ন রুমে ঢুকে দেখে তিথি নেই। অয়নের বুকটা ধুক ধুক করে উঠলো। ওয়াশরুম,বেলকোনি কোথাও নেই আচ্ছা তিথি অয়নকে ফেলে চলে গেলো নাতো? ভাবতেই অয়নের মুখ থেকে না শব্দটা বেড়িয়ে এলো। অয়ন এখন কি করবে সেইটাই ভাবছে। তিথি কে হাড়িয়ে ফেললে অয়ন পাগলই হয়ে যাবে। অয়ন আর কিছু উপায় না পেয়ে রায়হান কে কল করলো…
ওই পাশ থেকে হ্যালো বলার আগেই অয়ন বলতে লাগলো….
“” দোস্ত আমি এইটা কি করলাম??
“” ক্যান কি হইছে???
“” তিথি…….
“” তিথি কি!!!?
“” তিথি কে খুঁজে পাচ্ছিনা কোথাও….
“” আমি তোকে আগেই বলেছিলাম অয়ন
“” তুই প্লিজ একটু দেখ…
“” ওকে আমি দেখছি বাট তুই মাথা ঠান্ডা রাখ উল্টা পাল্টা কিছু করিস না….
রায়হান ফোন রেখেই সব জায়গায় খুঁজা শুরু করে দিল এমন কি হাসপাতাল গুলাও বাকি রাখলো না বলা তো যায় না কখন কি হয়…..
অয়ন ও সাথে সাথে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পরেছে। ড্রাইভ করছে আর পাগলের মত আশেপাশে খুঁজছে। কিন্তু তিথি!!!!!!! না কোথাও তিথিকে খুঁজে পাওয়া গেলো না অয়ন ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাড়ি ফিরলো। ঘড়ির কাটা ১০ টা ছুই ছুই অয়ন বালিশে হেলান দিয়ে বসে আছে। তিথির সাথে যতই মিসবিহেভ করুক না কেনো তিথি সব সময় অয়নের সাথে সাথেই থাকতো। এই সময়টা তে তিথি অয়নের পাশেই বসে থাকতো। আজকে সব থেকে খুশির খবরটা পেয়েছে অয়ন। আর তার সাথে যে এটাও ওয়েট করছিল একবারো ভাবতে পারেনি অয়ন। নিজেকে খুব অসহায় লাগছে আজ নিজের ভুলের কারনেই সব থেকে সুখের দিনটা দুঃখের কারন হয়ে গেলো। অয়নের কিছুই ভালো লাগছে না কি করবে এখন সে তিথিই ছিল ওর একমাত্র বেঁচে থাকার প্রেরণা। আর সেই বেঁচে থাকার প্রেরণাই যেনো হারিয়ে গেছে। রায়হান একটু আগে কল করে জানিয়েছে কোথাও পাওয়া যায়নি তিথিকে তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অয়ন মোবাইলটা বিছানায় ছুরে ফেলে ছাদে চলে গেলো….
.
.
.
অয়ন ছাদে উঠতেই দেখলো কেউ বসে আছে দোলনায়। অয়নের আর বুঝতে বাকি রইলো না ওইটা কে দৌড়ে সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।
তিথি সামনে তাঁকাতেই দেখতে পেলো অয়ন দাঁড়িয়ে আছে। তিথি অয়ন কে দেখে আৎকে উঠলো এ কি হাল করেছে মুখের এক সন্ধার মধ্যে। পুরো বিদ্ধস্ত লাগছে অয়নকে। তিথি দাঁড়িয়ে গেলো অয়নের দিকে জিঙ্গাসা ভরা চোখে তাঁকালো….
অয়ন কিছু না বলেই তিথিকে খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরে কান্না করে দিলো। তিথি অয়নকে এভাবে কাঁদতে দেখে ভয় পেয়ে গেলো। কি হয়েছে সেইটাই ভাবছে তবে অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে এই প্রথম অয়ন তিথিকে জরিয়ে ধরলো। তিথি অয়নের কাধে মাথা হেলিয়ে দিলো মনের অজান্তেই খুব শান্তি অনুভব করছে আজ তিথি….
তিথি জরিয়ে ধরতেই অয়ন কাঁদতে কাঁদতে বলল….
“” প্লিজ তিথি তুমি কখনো আমাকে ছেরে যেও না। আমার রাগটা একটু বেশি তুমি তো জানো বলো কিন্তু আমাকে কখনো ছেরে যাবার চিন্তাও করোনা।
তিথি অয়নের এই রিয়াকশন কীভাবে নিবে সেইটাই ভাবছে। আজ যেনো এক অন্য অয়নকে দেখছে তিথি কিন্তু অয়ন হঠাৎ কাঁদছে কেনো অয়নের কান্না যে তিথি সহ্য করতে পারছে না। অয়নের কান্নার প্রতিটা শব্দ তিথির বুকে গিয়ে বিধছে….
“” অয়ন…..
তিথিকে থামিয়ে দিয়ে আবার বলতে লাগলো….
“” আমার ভুল হয়ে গেছে প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও তুমি তো জানো বলো আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি। আসলে সেইদিনেত ঘটনা কিছুতেই মন থেকে সরাতে পারছিলাম না তাই তোমার কাছে আসতে চেয়েও আসতে পারিনি আর ইগোটা বড্ড সার্থপর কিছু তেই সরাতে পারছিলাম না। কিন্তু তুমি আমাকে কথা দাও যাই হয়ে যাক না কেনো তুমি কখনো আমাকে ছেরে যাবেনা।
“” অয়ন ছারো আমাকে…
“” না আমি ছারবো না তুমি আগে বলো তুমি আমাকে কখনো ছেরে যাবেনা।
“” আচ্ছা বাবা যাবো না। কিন্তু তুমি আগে বলো তোমার এই অবস্থা কেনো?? আর তুমি কাঁদছোই বা কেনো?
“” তুমি আমাকে ছেরে চলে গিয়েছিলে কেনো? আমি তোমাকে কত্ত জায়গায় খুঁজেছি তুমি সেইটা জানো? আমার পাগলের মত লাগছিল সবকিছু..
এতক্ষন জরিয়েই ছিল দুজনে তিথি নিজেকে অয়নের বাহুডোর থেকে ছারিয়ে বলল…
“” আমাকে খুঁজেছো মানে!!! আমি কোথায় যাবো?? তোমাকে এত বড় নিউস দিলাম বাট তুমি তো কোনো রিয়াকশনই দিলানা তাই খুব মন খারাপ লাগছিল তাই এখানে এসে বসেছিলাম কখন যে এতো রাত হয়ে গেছে বুঝতে পারিনি।
তিথি কথা গুলো বলে সামনে তাঁকাতেই দেখে অয়ন নেই। তিথি হাতে কারো স্পর্শ পেয়ে নিচে তাঁকালো। অয়ন এক হাটু গেরে তিথির সামনে বসে আছে আর এক হাতে তিথির একটা হাত ধরে আছে আরেক হাতে একটা রিং…..
“” স্যরি আমার জানকুরবান। আমাকে কি আরেকটা সুযোগ দেওয়া যায়?? কথা দিচ্ছি আর কখনো কষ্ট দিবনা। পৃথিবীর সমস্ত সুখ তোমার পায়ের কাছে হাজির করব। প্লিজ সুইটহার্ট লাস্ট চাঞ্জ….
তিথি একটু দুষ্টুমি করে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলো। অয়ন আবার বলতে শুরু করলো….
“” আমাদের পুচকুটার হতভাগ্য পিতা টা কে কি একটা বারের জন্য ক্ষমা করে দেওয়া যায়না??
তিথি এবার হেসেই দিলো….
“” পুচকুর পিতা টা এতো বোকা কেনো? হাতের রিং টা কি আমাকে পড়াবে না শুধু দেখানোর জন্যই নিয়ে আসছে …..হুম?
অয়ন একটু মুচকি হেসে তিথির আঙ্গুলে রিং টা পরিয়ে দিয়ে উঠে দাড়ালো। এখন দুজনেরই চোখে মুখে ভালোবাসার পূর্ণতার হাসি। তিথি দুই হাতে অয়নের চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে বলল….
“” পুচকুর পিতা যে এইভাবে কাঁদতে পারে মেয়েদের মতো আগে জানতাম নাতো???
“” পুচকুর মায়ের জন্য পুচকুর পিতা অনেক কিছুই করতে পারে….
“” তা মিঃ অয়ন সাহেব আমি কি একটু আপনাকে জরিয়ে ধরতে পারি?? এই বুকে মাথা রাখতে পারি?? এই বুকে আমার পৃথিবীর সমস্ত সুখ খুঁজে পাই সেইটা কি আপনি জানেন?…
তিথির কথা শেষ হওয়ার আগেই অয়ন তিথিকে জরিয়ে ধরলো তিথিও শক্ত করে জরিয়ে ধরেছে। এইভাবে বেশ কিছুক্ষন থাকার পর অয়ন তিথিকে ছেরে দুই গালে হাত রেখে দুষ্টু হাসি দিয়ে বলল…
“” আমি ভালোবাসার পিপাসায় তৃষ্ণার্থ। এখন তো আর সেইভাবে তোমাতে ডুব দিয়ে তৃষ্ণা মিটানো যাবেনা তা তোমার এই মিষ্টি ঠোটের শীতল উষ্ণতা কি পেতে পারি?????
তিথি অয়নের কথার মানে বুঝতে না পেরে জিঙ্গাসা করলো….
“” সেইভাবে বলতে কোন ভাবে???
“” ওই যে ওইভাবে সেইরাতে যেভাবে আমাকে তুমি পূর্ণ করেছিলে। আমি তো রাগ না করলে জানতেই পারতাম না আমার বউটা এত্ত রোমান্স জানে…
তিথি অয়নের বুকে আলতো করে ধাক্কা দিয়ে লজ্জা মাখা সুরে বলল….
“” যাও তো তুমি অনেক ফাজিল….
“” যা বাব্বাহ এখন আমি ফাজিল হয়ে গেলাম আর সেদিন? সেদিন তো আমার পুরো মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছিলে….
“” অয়ন……..
তিথি রাগি লুক নিয়ে তাঁকালো অয়নের দিকে…
“” আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে আর বলব না কিন্তু এখন এইটা চাই(অয়ন তিথির ঠোটে আঙ্গুল দিয়ে বলল)
তিথি আস্তে আস্তে অয়নের দিকে এগিয়ে আসছে অয়ন তিথির দিকে এক দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে। তিথি পায়ের বুড়ো আঙ্গুলে দাঁড়িয়ে একটু উঁচু হয়ে এক হাতে অয়নের চুল মুষ্ঠিবদ্ধ করে ধরে আরেক হাতে অয়নের বাহু আকরে ধরে অয়নের ঠোটের কাছে ঠোট নিয়ে গিয়ে তাঁকিয়ে রইলো অয়নের ঠোটের দিকে। দুজনের নিশ্বাসই ভারী হয়ে এসেছে অয়ন আর একটুও দেরী না করে দুই হাতে তিথির কোমড় জরিয়ে ধরে তিথির ঠোটে ঠোট ডুবিয়ে দিলো…
(সমাপ্তি)….………
বিঃদ্রঃ অনেকেই বলেছিলো যেনো আমি আরেকটু বড় করি গল্পটা তাদেরকে স্যরি। আমাকে শেষ করতে হলো গল্পটা আমার আপনাদেরকে অপেক্ষায় রাখতে খুবই অপরাধ বোধ হয় তাই ঠিক করেছি এরপরের গল্পটা সম্পূর্ন শেষ করে পোস্ট করব। আর সামনে আমার স্টাডির ও খুব চাপ রয়েছে আগামীকাল থেকে কলেজ শুরু হয়ে যাবে তাই বাধ্য হয়ে এক প্রকার শেষ করে দিলাম। আমি আবারো সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এতোদিন অপেক্ষা করানোর জন্য। আর হ্যাঁ কেমন লাগলো আমার ফার্স্ট লেখা সবার গঠনমূলক ফীডব্যাক চাই অবশ্যই অবশ্যই…..সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই প্রত্যাশাই রইলো। আর আমার প্রাণঢালা ভালোবাসা আপনাদের জন্য……
…………….আল্লাহ হাফেজ……………