মন চায় তোকে পর্ব-২

0
4302

#মন_চায়_তোকে
#পার্ট_২
#নিশাত_জাহান_নিশি

—–“এই আদেশটা মানতে পারব না আম্মু। ক্ষমা করো আমায়।”

—-“অন্তর প্লিজ আমাকে রাগিও না। তোমার আব্বু শুনলে খুব কষ্ট পাবে। তোমার এসব আচরণ এই মুহূর্তে একদম শোভনীয় নয়। তোমার ভদ্র আচরণের সাথে তোমার আব্বুর সম্মান জড়িয়ে আছে। আই থিংক তুমি বুঝতে পেরেছ আমি কি বলতে চাইছি?”

অন্তর রাগ দেখিয়ে মিসেস অরুনিমার দিকে তাকিয়ে বলল,,,,,,

—–“ওকে আম্মু। আমি তোমার আদেশ মানব। তবে এক্টা শর্তে।”

মিসেস অরুনিমা ভ্রু যুগল কুঁচকে বলল,,,,,

—–“কি শর্ত?”

অন্তর এক নিশ্বাসে বলে উঠল,,,,,,

—–“কালই আমাকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পারমিশন দিতে হবে।”

মিসেস অরুনীমা খানিক চেঁচিয়ে বলল,,,,,

—–“তুমি কি করে ভাবলে অন্তর? আমি তোমার এমন অন্যায় আবদার রাখব? তোমার সাহস কিন্তু দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তুমি যদি চট্টগ্রাম যাওয়ার আবদারটা না করে মল্লিকাকে নিয়ে অন্য কোথাও ঘুড়তে যাওয়ার আবদার করতে তবেই আমি তোমার শর্ত মেনে নিতাম। কজ এই শর্তটাই আজকের দিনের জন্য শোভনীয় ছিলো। বাট এই মুহূর্তে অন্য নারীকে দেখার জন্য তোমার চট্টগ্রাম যাওয়ার শর্তটা একদমই বেমানান।”

অন্তর খানিক মৃদ্যু চিৎকার দিয়ে বলল,,,,,

—-“তুমি আমাকে আটকে রাখতে পারবে না আম্মু। আমি কাল ভোরেই চট্টগ্রাম রওনা দেবো।”

কথাগুলো বলেই অন্তর হনহনিয়ে ছাঁদ থেকে প্রস্থান নিয়ে সোজা ওর রুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে পড়ল। অন্তর কোমড়ে এক হাত গুজে সামনের চুল গুলো টানছে আর বিড়বিড় করে রাগ দেখিয়ে বলছে,,,,,,,,

—–“এক্টা অজানা, অচেনা মেয়ের সাথে একই রুমে রাত কাটাতে হবে। ভাবতেই কেমন বিচ্ছিরি লাগছে। ওহ্ গড কেনো যে বিয়ে টা করতে গেলাম। শুধুমাএ আব্বুর সম্মানের কথা ভেবে বিয়েটা করতে হলো। রুমে ঢুকেই প্রথমে মেয়েটাকে কয়েকটা শর্ত দিতে হবে। প্রথম শর্ত হলোঃ মেয়েটা যেনো আমার ধারে কাছে ও না ঘেঁষে। ২য় শর্ত হলোঃ নাটক করে যেনো আমাকে বর বর বলে গলায় না ঝুলে। ৩য় শর্তঃ স্ত্রীর অধিকার চেয়ে যেনো কানের কাছে এসে ঘ্যান ঘ্যান না করে। ৪র্থ শর্ত হলোঃ আমার দিকে যেনো প্রেম নজরে না তাকায়, চোখ দুটো যথেষ্ট সংযত করে রাখতে হবে। ব্যাস… আপাতত এই শর্ত গুলোই এনাফ। পরে না হয় পরিস্থিতি বুঝে আরো কয়েক দফা শর্ত চাঁপিয়ে দেওয়া যাবে। যাই বাবা, আল্লাহ্ র নাম নিয়ে রুমে ঢুকে পড়ি।”

কথাগুলো বলেই অন্তর দরজাটা ধাক্কা দিলো। প্রথম ধাক্কাতেই অন্তর বুঝে গেছে দরজাটা ভেতর থেকে খিল দেওয়া। অন্তর বেশ রেগে দরজায় কয়েকটা টোকা দিলো। মল্লিকা সাথে সাথেই ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে নিচে পড়ে থাকা লাঠিটা নিয়ে দরজার সামনে দাঁড়ালো। মনে মনে অজস্র সাহস নিয়ে মল্লিকা দরজাটা খুলে চোখ দুটো বন্ধ করে অন্তরের মাথায় দিলো এক আঘাত। সাথে সাথেই অন্তর মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। মল্লিকা দাঁত বের করে হেসে অন্তরকে টানতে টানতে রুমের ভিতর ঢুকিয়ে দরজাটা ঠাস করে বন্ধ করে দিলো।

দরজার খিলটা লাগিয়ে মল্লিকা লাঠিটা হাত থেকে ছুড়ে ফেলে বিশাল লেহেঙ্গাটার এক প্রান্ত ধরে পুরো রুম ঘুরে নাচছে আর লা লা লা লা লা করছে। অন্তর মাথায় হাত দিয়ে এক চোখ খুলে সব দেখছে। মল্লিকার লাঠির আঘাতে অন্তরের মাথায় তেমন চোট লাগে নি। তবে কপালের কিছু অংশ ফুলে গেছে। হুট করে এমন অঘটন হওয়াকে অন্তরের মাথাটা ঘুরে গেছিলো। তাই সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার ভান ধরেছে। অন্তর মাথায় হাত দিয়ে মল্লিকার কান্ড দেখছে আর মনে মনে বিড়বিড় করে বলছে,,,,,,,,,

—–“নিশ্চয়ই মেয়েটা ও আমার মতো বাধ্য হয়ে বিয়ে করেছে। তাই আমার মাথা ফাটানোর প্ল্যান করেছে। যাই হোকক, মেয়েটা আমার জন্য সুবিধেই করে দিলো। কাল সকালে পুরো বাড়িতে হাঙ্গামা মাঁচিয়ে এই মেয়ের গুন কীর্তন ফাঁস করে তেজ দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে সোজা চট্টগ্রাম চলে যাবো। তখন নিশ্চয়ই কেউ আমাকে আটকাতে আসবে না। কজ দোষ তো মেয়েটার ই। মেয়েটাই তো এমন অঘটন ঘটালো। মেয়েটার উপর সব দোষ চাপিয়ে আমি বাড়ি থেকে লাপাওা হয়ে যাবে। এখন আপাতত আমাকে অভিনয়টা চালিয়ে যেতে হবে। এভাবেই ফ্লোরে চিৎ হয়ে পড়ে থাকি। সেন্সলেস হওয়ার ভান ধরে।”

অন্তর কথাগুলো বলছে আর এক চোখ দিয়ে মল্লিকাকে দেখছে। কালারিং লাইটের ঝাপসা আলোয় মল্লিকার চেহেরাটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। তবে মল্লিকাকে ঝাপসা আলোয় দেখতে খারাপ ও লাগছে না। যেমন হাইট, তেমনি স্লিম আর সুন্দুরী। অন্তর আড়চোখে জাস্ট এটুকুই পরখ করতে পারল।

মল্লিকা লেহেঙ্গা ধরে নাচতে নাচতে কিছুটা হাফিয়ে গেলো। বেশ ক্লান্ত হয়ে মল্লিকা ফ্লোরে অন্তরের পাশে ধপ করে বসে পড়ল। মল্লিকা শয়তানী হাসি দিয়ে অন্তরের চুলে বিলি কাটছে আর বলছে,,,,,,,,

—–“কেমন লেগেছে আমার পিটুনি, মিঃ হোযাটএভার? নিশ্চয়ই ফুলসজ্জার শখ মিটে গেছে?”

কথাগুলো বলে মল্লিকা এক্টু ঝুঁকে অন্তরকে ভালো করে পরখ করে বলল,,,,,,

—-“দেখো দেখো ঢং করে আমার শাড়ীর সাথে মেচিং করে লাল পান্জ্ঞাবী ও পড়েছে! বডিতে আবার পারফিউম ও মেখেছে। ভেবেছে পারফিউমের ঘ্রাণে আমি মাতাতাতাল হয়ে উনার শরীরে হামলে পড়ব। বয়ে গেছে আমার তোর মতো মাথা মোটার গায়ে হামলে পড়তে। আমার এতো শখ নেই বাপু তোর সাথে ফুলসজ্জা করার।”

কথা গুলো বলেই মল্লিকা অন্তরের মুখটা দেখার জন্য উঁকু চুকি মেরে বলছে,,,,,

—-“হতচ্ছেড়াটাকে এমনভাবে মেরেছি ফ্লোরে শটান করে চিৎ হয়ে পড়ে গেছে। চেহারাটা ও দেখছি না। কেবল মাথাটা দেখা যাচ্ছে। দেখতে নিশ্চয়ই হিরো আলমের মতো হবে।”

মল্লিকা কিছুটা ভাব নিয়ে আবার বলল,,,,,

—–“আমার মতো সুন্দুরী আর চিকনি চামেলী মেয়ের সাথে এই হিরো আলম একদমই যায় না। আমাকে বিয়ে করবে আমাদের এলাকার সবচেয়ে হ্যান্ডসাম ছেলে, যার নাম নীল। উফফ আমার ড্রিম বয়। নীলের সাথে আমার ভীষণ যায়। ব্যাপার না, দ্বিতীয়বার বিয়ে করলে আমি নীলকেই বিয়ে করব।”

মল্লিকা এক্টা স্বস্তির শ্বাস ফেলে বলল,,,,,,

—–“যাক বাবা আমার কাজ শেষ। এবার নিশ্চিন্তে শাড়ী, গহনা খুলে ফ্রেশ ফ্রুশ হয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দেই। সাংঘাতিক টায়ার্ড আমি।”

কথাগুলো বলেই মল্লিকা যেই না সোজা দাঁড়িয়ে সামনের দিকে পা বাড়াতে যাবে অমনি লেহেঙ্গায় পা জড়িয়ে ধপ করে অন্তরের পিঠের উপর লেপ্টে গেলো। অন্তর ব্যাথায় ছটফট করছে। দাঁতের উপর দাঁত চেঁপে অন্তর ব্যাথা সহ্য করে নিচ্ছে। ব্যাথায় চিৎকার করে আর্তনাদ প্রকাশ করত ইচ্ছে করছে তার। এরপরে ও সে মুখ খুলছে না। না হয় তাকে ধরা পড়ে যেতে হবে। আর মল্লিকার সাথে ও রেষারেষিতে জড়িয়ে যেতে হবে। সে আপাতত এসব উটকো ঝামেলায় পড়তে চাইছে না। মল্লিকার মনের খবর জানতে চাইছে সে। অন্তর মুখ চেঁপে ধরে রেখেছে আর মিনমিন করে বলছে,,,,,,,

—–“আল্লাহ্ গো এই উগান্ডার হাতিনীর খবল থেকে আমাকে বাঁচাও। আমাকে পুরো পাউডার বানিয়ে দিচ্ছে। নড়তে ও পারছি না চড়তে ও পারছি না। মাথার সাথে সাথে পুরো শরীরটা ও অসাড় হয়ে আসছে। কিভাবে এই হাতিনীকে আমার উপর থেকে সরাবো। আল্লাহ্ প্লিজ কোনো এক্টা পথ দেখাও। কোনো রকমে আজকের রাতটা কাটাতে পারলেই হলো। কাল সকালেই আমি মানে মানে কেটে পড়ব।”

মল্লিকা অন্তরের পিঠের উপর শুয়ে থুতনীতে এক হাত ঠেকিয়ে কিছু এক্টা ভেবে মিনমিন করে বলছে,,,,,,,

—–“ছেলেটার শরীরটা তো বেশ নরম। ঠিক বিছানার জাজিমের মতো। পিঠটাই এতো নরম তাহলে বুকটা নিশ্চয়ই শিমুল তুলোর মতো নরম হবে।”

মল্লিকা এবার থুতনীর থেকে হাত সরিয়ে অন্তরের পিঠের উপর বসে পড়ল। পিঠের উপর বসে মল্লিকা অন্তরের পুরো শরীরকে ঝাকাচ্ছে। ঐ দিকে অন্তরের যায় যায় অবস্থা। শেষ পর্যন্ত মল্লিকা খিলখিল করে হেসে অন্তরের পিঠে খুব জোরে জোরে উঠ বস করছে আর বলছে,,,,,,,

—–“আহা কি আনন্দ। খুব ইচ্ছে ছিলো সেন্স থাকা অবস্থায় ঠিক এমনভাবে ছেলেদের পিঠের উপর উঠে লাফাতে। আর নাকানী চুবানী খাওয়াতে। যাক বাবা, মাথা মোটা বরটা আমার ইচ্ছেটা ষোলো আনায় পূরণ করে দিলো।”

কথাগুলো বলেই মল্লিকা প্রায় অনেকবার অন্তরের পিঠের উপর উঠ বস করে সোজা দাঁড়িয়ে পড়ল। অন্তর এতক্ষনে কয়েকটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে দাঁত গিজগিজ করে মনে মনে বলল,,,,,

—–“দাঁড়া চুকলী। আজকের রাতটাই আমাকে যতো পারিস জ্বালা। কাল সকালের মধ্যেই তোর এক্টা বিহীত করব। এই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করব তোকে। ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করব। তোকে ঠিক মতো হেনস্তা করে এরপর আমি বাড়ি ছাড়ব।”

মল্লিকা ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে মিটিমিটি হেসে গলার গহনা, হাতের বালা, কানের দুল, মাথার রাউন্ড টিকলিটা খুলে কাবার্ডের উপর রাখল। লেহেঙ্গার উপরের দোপাট্টা টা খুলে মল্লিকা খোঁপা খুলে যেই না চুলের ক্লিপ গুলো সড়াতে যাবে এমন সময় দরজায় কেউ কড়া নাড়ল। মল্লিকা কয়েকটা শুকনো ঢোক গিলে মনে মনে বিড়বিড় করে বলল,,,,,,,

—-“আ’ম ডেম সিউর দরজার ঐপাশে শ্বাশুড়ী মা দাঁড়িয়ে আছে। নিশ্চয়ই দেখতে এসেছে ছেলেটা ঠিকঠাক মতো রুমে পৌঁছেছে কিনা! ওমা গো এবার কি হবে আমার? আমি যে ভিতরে ভিতের কুকর্ম করে রেখেছি এখন তো সব ফাস হয়ে যাবে। উনি যদি উনার ছেলেকে দেখতে চায় তবে কি বুঝ দিবো উনাকে? না না এভাবে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। কিছু এক্টা ভাবতে হবে। যে করেই হোক শ্বাশুড়ী মা কে এই রুমে ঢুকা থেকে আটকাতে হবে।”

কথাগুলো বলেই মল্লিকা আয়নার দিকে তাকিয়ে কিছু এক্টা ভেবে মুহূর্তেই মুখে ডেবিল হাসি ফুটিয়ে চুল গুলো এলোমেলো করে, ঠোঁটের লিপস্টিকটা মুখে লেপ্টে দিলো, চোখের কাজল গুলো এদিক সেদিক ছড়িয়ে মাথায় ছোট্ট এক্টা ঘোমটা টেনে ফ্লোরে পড়ে থাকা অন্তরকে ক্রস করে লাজুক ভঙ্গিতে দরজা খুলে মিসেস অরুনিমার দিকে তাকালো। মিসেস অরুনীমা মল্লিকার দিকে একবার তাকিয়ে কিছুটা সাই ফিল করে মিটিমিটি হেসে নিচের দিকে তাকিয়ে বলল,,,,,

—-“মল্লিকা আমার ছেলেটাকে গ্লাসের দুধটা খাইয়েছো তো?”

মল্লিকা মুখটা বেঁকিয়ে ঢং করে বলল,,,,,,

—–“জ্বি শ্বাশুড়ী আম্মু। দুধের গ্লাস পেয়ে তো আপনার ছেলে গড়গড় করে পুরো গ্লাস দুধ সাবার করে নিলো। তলানীতে আমার জন্য এক ফোঁটা দুধ ও অবশিষ্ট রাখল না।”

মিসেস অরুনীমা হু হা করে হেসে বলল,,,,,,

—-“কাল সকালেই আমি তোমাকে দুই গ্লাস দুধ খাওয়াবো কেমন? এখন যাও। রুমে গিয়ে আমার ছেলেটাকে ধন্য করো।”

কথাগুলো বলেই মিসেস অরুনীমা নিজের রুমের দিকে যাচ্ছে আর মিটমিট করে হেসে মনে মনে বলছে,,,,,,,

—-“যাক বাবা। এখন আমার শান্তি। আমার গম্ভাট ছেলেটা ঠিক মল্লিকার চোখ ধাঁধানো রূপে কাত হয়েছে।”

ঐদিকে মল্লিকা ঠাস করে রুমের দরজা বন্ধ করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মাথার ঘোমটা টা সরিয়ে মুখটা কালো করে মিনমিন করে বলল,,,,,,,,

—–“দেখতে এসেছে ছেলে দুধ খেয়েছে কিনা। যতো সব ন্যাকামো। এতো বড় দামড়া ছেলের গ্লাস ভর্তি দুধ খেতে হবে না। উনার ছেলের চেয়ে বয়সে আমি যথেষ্ট ছোট। তাই দুধটা আমিই খাবো।”

কথাগুলো বলেই মল্লিকা বেডের পাশে থাকা ডেস্কের উপর থেকে দুধের গ্লাসটা হাতে নিয়ে গড়গড় করে পুরো গ্লাস দুধ শেষ করে এক্টা বড় ঢেকুর তুলে বলল,,,,,,

—–“আহ বাবা শান্তি। পেটটা এক্টু পুড়েছে। এবার ওয়াশরুমে গিয়ে লেহেঙ্গাটা চেইন্জ্ঞ করে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ি।”

কথাগুলো বলেই মল্লিকা কাবার্ড থেকে নীল রঙ্গের এক্টা শাড়ী বের করে সোজা ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো। অন্তর মাথার ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে প্রায় দশ থেকে পনেরো মিনিট আগেই ঘুমিয়ে পড়েছে। মিসেস অরুনিমা এসে যে মল্লিকার সাথে কথা বলে গেছে এসবের কিছুই অন্তর শুনে নি।

প্রায় বিশ মিনিট পর মল্লিকা ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে টাওয়াল নিয়ে মুখ মুছতে মুছতে রুমে ঢুকে ধপাস করে বিছানায় গাঁ এলিয়ে দিলো।

#চলবে,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here