উড়ো পাতার ঢেউ পর্ব: ১৩

0
732

#উড়ো_পাতার_ঢেউ
#লেখা: ইফরাত মিলি
#পর্ব: ১৩
_________________

বদ্ধ একটা ঘরে ইরতিজাকে নিয়ে এসে দরজা বন্ধ করে দিলো আততায়ী লোকটা। ইরতিজা সমানপণে নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল লোকটার থেকে। লোকটার শক্তি খানিক দুর্বল হয়ে পড়লেই ইরতিজা সুযোগটা হাত ছাড়া করলো না। মুখে চেপে ধরে হাতটা সরিয়ে দিয়ে পিছন ঘুরেই আকস্মিক লোকটার পেটে খুব জোরে একটা ঘু/সি মারলো। লোকটা ব্যথায় কুকিয়ে গেল। পেট চেপে নুয়ে পড়লো হাঁটুর দিকে।
ইরতিজা কয়েক পা পিছিয়ে দূরে সরে এলো। উষ্ণ ভারী শ্বাস আতঙ্ক নিয়ে বেরিয়ে আসছে। মুখটা মলিন, ভয়ার্ত! সে চাইলে এখান থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু কী যেন একটা তাকে ঠাঁয় দাঁড় করিয়ে রাখছে।
নুয়ে পড়া লোকটা পেট চেপে রেখেই চোখ তুলে সামনে ইরতিজাকে দেখলো। তার মুখে লেগে আছে অদ্ভুত হাসি।
হাসিমাখা পরিচিত মুখটা দেখে ইরতিজার চোখে-মুখে খুব যত্ন সহকারে বিস্ময় খচিত হলো। হৃদয়ের স্পন্দন থেমে গেল যেন। সম্মুখের মানুষটা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলো,
“হাউ আর ইউ টিজা?”

ইরতিজার ওষ্ঠাধর একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন। সামনের দৃশ্যটাকে সে দৃষ্টি ভ্রম ব্যতীত অন্য কিছু ভাবতে পারলো না। তার দুর্বোধ্য মন ইদানিং কি চোখের উপরও প্রভাব ফেলছে? ইরতিজা দৃষ্টি সরিয়ে নিয়ে চোখ খিঁচে ধরলো। মস্তিষ্কেও হালকা ব্যথার উপস্থিতি উপলব্ধি করছে। দুই হাতের আঙুলের ডগা দিয়ে মাথা চেপে ধরলো সে। সহসা গালে অনুভব করলো কারো আলতো অঙ্গুলি স্পর্শ। চোখের পাতা কম্পমান হয়ে খুলে গেল তার। পরিচিত নীল চোখে চোখ পড়লো প্রথমেই। থমকে যাওয়া হৃদয়ের স্পন্দন এবার উন্মাদিনী ঝড়ের মতো বয়ে চললো নিজ গতিতে। আননে অবিশ্বাসের গাঢ় লেপন প্রভাব ফেলে আছে। সামনের মানুষটা তা অবলোকন করে শান্ত সুরে বললো,
“কী ভাবছো টিজা? এটা আমি, জোনাস। এটা আমি, তোমাকে লুকিয়ে-চুরিয়ে যাকে ভালোবাসে তোমার মন! ইটস মি টিজা, ইটস মি…”

ইরতিজা বাকরুদ্ধ, অভিভূত! জোনাসের শীতল হাতদুটি তার উষ্ণ কপোল জড়িয়ে রেখেছে। হৃদয় ক্রন্দনের সুরে মেতে ওঠার র‍্যালিতে যোগদানের জন্য তীব্র প্রয়াস চালাচ্ছে। তার সামনে কি সত্যিই জোনাস দাঁড়িয়ে আছে? কাদঁতে ইচ্ছা করছে ইরতিজার। ইচ্ছা করছে হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দেয় জোনাসের নরম গালখানি। কিন্তু আবেগ সরে গিয়ে বিবেকের বস্তুটি নড়ে উঠলো। জোনাসের হাত সরিয়ে দিয়ে পিছিয়ে গেল সে।

“তুমি এখানে কেন? কীভাবে এসেছো?”

জোনাস এক পা এগিয়ে এসে শুধালো,
“এর জন্য পুরোপুরি তুমি দায়ী। আমাকে এত স্মরণ কর যে, ওই স্মরণের টানে আমি না এসে থাকতে পারলাম না। তাই ছুটে এলাম, তোমায় দেখতে এলাম সুইটহার্ট!”

জোনাসের কথায় ভুল মিশে আছে। না, ইরতিজা তাকে খুব বেশি স্মরণ তো করেনি। আজ এবং গতকাল সময়টার এক অংশেও তার জোনাসের কথা মনে পড়েনি। সেই যে জোনাস ড্রিংকস করে কল দিয়েছিল, সেদিন কল কেটে দেওয়ার পর সকাল হতেই আর জোনাসের কথা মনে আসেনি তার। এর মানে জোনাস ভুল। সব সময়ই জোনাস ভুল ছিল! ইরতিজা তাকে ভালোবাসে এ ভাবনা তার ভুল। মনে বিরাজমান কথাটুকু মুখে ফুঁটে উঠলো ইরতিজার,
“তুমি ভুল জন। সব সময়ই তুমি ভুল!”

ইরতিজার আর ধৈর্য হলো না এখানে থাকার। হৃদয় মোচড়ানো কষ্টের তিক্ত অনুভূতি সহ্য করার শক্তি তার মাঝে বিদ্যমান নেই। জোনাস নামের ঘৃণিত মানুষটার কাছ থেকে যত দূরে সরে যাবে ততই সে শান্ত নিঃশ্বাস নিতে পারবে। ইরতিজা পিছন ঘুরলো স্থান ত্যাগের জন্য। দুই পা সামনে এগিয়েছে কি এর মাঝেই জোনাস এসে সামনে দাঁড়ালো। দরজার সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে বললো,
“তুমি কোথাও যেতে পারবে না।”

“আমাকে আটকানোর শক্তি তোমার নেই।”

জোনাস ইরতিজার হাত ধরে টেনে ওকে কাছে নিয়ে এলো। ইরতিজার চোখে কিছু একটা হাতড়ে বেড়ালো নিপুণ ভাবে। ধীরে ধীরে তার চোখের কার্নিশে পানি জমলো। নীল চোখের উপর ভাসতে লাগলো স্বচ্ছ জল। ঠোঁট টেনে হাসলো সে। বললো,
“আমি তোমাকে কেন ভালোবাসি টিজা?”

নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে এলো ইরতিজার। স্তব্ধ নয়নে তাকিয়ে রইল সে। কারণহীন অশ্রু জমলো তার চোখেও। দুই জোড়া অশ্রুসিক্ত চোখ তাকিয়ে রইল একে অপরের দিকে নির্নিমেষ। কিছু সময় গড়িয়ে যাওয়ার পর ইরতিজা বললো,
“ভালোবাসা নয়, তুমি আমাকে ঘৃণা করো।”

জোনাস শব্দ করে হেসে বললো,
“ঠিক বলেছো টিজা, আমি তোমাকে ঘৃণা করি। প্রচণ্ড ঘৃণা করি! এত ঘৃণা আর কাউকে করি না, করিনি।”

‘ঘৃণা’ শব্দ জড়িত কথাগুলো শুনতে ইরতিজার হৃদয় ক্ষয় হলো। সত্যিই জোনাস তাকে এতটা ঘৃণা করে? এটা কি শুধু মুখেই বলছে? না কি আসলেই সে জোনাসের মনে ঘৃণার সর্বোচ্চ বৃহৎ স্তর জুড়ে আছে?
ভাবনার মাঝেই শুনতে পেল জোনাসের কণ্ঠস্বর,
“শুধু তোমার জন্য নিউ ইয়র্ক থেকে রেডমন্ড ছুটে এসেছি আমি। আর তুমি আমার কাছ থেকে ছুটে যেতে চাইলেই তো আমি তোমাকে যেতে দেবো না। আগামীকাল সকাল পর্যন্ত এখানে আছি আমি। এখন থেকে ঠিক সকাল পর্যন্ত আমার সাথে থাকা উচিত তোমার। না হলে যে ছুটে দেখতে আসার যথোপযুক্ত মর্যাদা অর্জিত হবে না।”

জোনাসের কথার প্রত্যুত্তর করলো না ইরতিজা। ঘরটার উপর চোখ বুলিয়ে বললো,
“এটা কোথায়?”

“তোমাদের এরিয়ারই একটা বাসা এটা। আজ রাত এখানেই থাকবো।”

“রেডমন্ড আসা উচিত হয়নি তোমার। সরো সামনে থেকে।”

“তোমাকে আটকে রাখতে চাইলেও আমি আটকাতে পারি না।”
জোনাস সরে গেল দরজার সামনে থেকে,
“যাও।”

ইরতিজা পা বাড়ালো। দরজা অতিক্রম করতে নিলে জোনাস বললো,
“সকালে একবার দেখা করতে আসবে। সেটাই হবে আমাদের শেষ দেখা। তুমি তো জানো টিজা, তোমায় আমি প্রচণ্ড ঘৃণা করি!”

জোনাস ঘরের ওদিকটায় অগ্রসর হলো। ইরতিজা তাকিয়ে রইল অনিমেষ। হৃদয় ভারী বিষাক্ত মনে হলো তার। বেরিয়ে এলো বাসা থেকে। বাইরের পরিবেশটা তার পরিচিত। তাদের বাসা থেকে এই জায়গাটা কিছুটা দূরে।

_______________

প্রকৃতি তিমিরাছন্ন। জ্বলে গিয়েছে শহরের বুকে থাকা সকল কৃত্রিম আলোর উৎস। মানুষের ব্যস্ততা এখনও চলছে। কেউ একটু সময় বসে নেই। চালিয়ে যাচ্ছে নিজ নিজ কাজ। ক্যানিয়ল মিরান্ডার এপার্টমেন্টের পার্কিং লটে আছে। মিরান্ডাকে নিয়ে বাড়িতে যাবে। ড্যাড স্বয়ং নিজে আদেশ দিয়েছেন যেন সে মিরান্ডাকে নিয়ে বাড়িতে আসে। খানা-পিনার ব্যবস্থা আছে। মিরান্ডার ড্যাড এলজেকেও তাদের বাড়িতে নিমন্ত্রন করা হয়েছে। সে এতক্ষণে চলে গিয়েছে বোধহয়। মিরান্ডা কখন গাড়িতে এসে বসেছে খেয়াল করেনি ক্যানিয়ল। মিরান্ডার কণ্ঠে তার আনমনা কাটলো,
“লেট’স গো।”

ক্যানিয়ল পাশ ফিরে তাকালো। মিরান্ডাকে দেখে ভ্রু কুঞ্চিত করলো সে। মিরান্ডার মুখে গাঢ় মেকআপ। পরনে ব্যালে ড্যান্স ড্রেস। ক্যানিয়ল প্রশ্ন করলো,
“কোথাও শো ছিল? এমন সাজসজ্জায় আছো কেন?”

“ছিল শো। সেখান থেকে ফেরার পথেই তোমার কল পেয়েছিলাম। বাসায় এসে চেঞ্জ করার সময় হয়নি।”

“তো এখন তুমি এই পোশাকে যাবে?”

“কেন সুন্দর লাগছে না?”

ক্যানিয়ল হেসে বললো,
“ফেইরি!”

“কী?”

ক্যানিয়ল গাড়ি স্টার্ট করে বের হলো পার্কিং লট থেকে। মিরান্ডার মুখ কালো থেকে অধিক কালো হয়ে চললো। এক সময় গম্ভীর স্বরে বললো,
“নেক্সট উইকে ইংল্যান্ড যেতে হবে আমার।”

“কেন?”

“ওখানে বিরাট আয়োজন করা হবে। পার্টিসিপেট করতে হবে। কয়েক মাস গিয়ে থাকতে হবে ওখানে।”

“ভালো।”

“ভালো? আমি কয়েক মাসের জন্য ইংল্যান্ড চলে যাচ্ছি তোমার খারাপ লাগছে না?”

“খারাপ কেন লাগবে? আমার ফেমাস উডবি ওয়াইফ আরও ফেমাস হয়ে দেশে ফিরবে, আমার তো খুশি হওয়া উচিত।”
ক্যানিয়ল হাসতে লাগলো।
মিরান্ডা তাতে সঙ্গ দিলো না। তার যেতে ইচ্ছা করছে না ইংল্যান্ড। কিন্তু না গিয়ে উপায় নেই।

খাবার টেবিলে সবাই বসলেও ক্যানিয়ল বসলো না। সে বাড়ির সামনে লনে এসে হাঁটাহাঁটি করতে লাগলো। আজ বিকেলে বৃষ্টি হয়েছিল, শীত আংশিক বেশি নামিয়ে দিয়ে গিয়েছে। তার হাতে সফট ড্রিঙ্কসের বোতল। হাঁটতে হাঁটতে চুমুক দিচ্ছে বোতলে। বেলা লিমাস! মহিলাটা আজ মি. হেনরির কাছে তার জন্য বার্থডে গিফট পাঠিয়েছিল। আজ তার বার্থডে কথাটা হয়তো অনেকেই ভুলে গিয়েছে। এ বাড়িতে বার্থডে পালিত হয় না বলে সবাই-ই কথাটা ভুলে বসেছে। সবাই যেখানে ভুলে বসেছে, সেখানে বেলা লিমাস কীভাবে কথাটা মনে রাখছে এখনও? হয়তো ছেলেটা তার মাধ্যমে পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল বলে সে দিনটার কথা অতি যত্ন সহকারে মনে রেখেছে। গিফট বক্সটা হাতে পেয়েছিল বিকালে। গিফটটার সাথে জড়িয়ে আছে তার অতীত। ছোটো বেলায় তার মম তার এবং নিজের একটা ছবি পেইন্টিং করতে নিয়েছিল। কিন্তু সেই ছবি আঁকা ছিল অসমাপ্ত। ছবিটা আঁকা সম্পূর্ণ করার আগেই তার মম চলে গিয়েছিল! আজ বহু বছর পর সেই অসমাপ্ত ছবিটা তার কাছে সম্পূর্ণ রূপে এসে পৌঁছালো। ছবিটার সাথে একটা ছোটো চিরকুটও দিয়েছে বেলা লিমাস।

‘হ্যাপি বার্থডে ক্যানিয়ল! তুমি সুখী একটা জীবনে আছো। দোয়া করি সারা জীবন তোমার জীবন এমনই কাটুক। ভালোবাসা মাই ডিয়ার!
ছবিটা অনেক বছর আগেই আঁকা সম্পন্ন হয়েছিল। তোমাকে দেবো দেবো করে দেওয়া হয় ওঠেনি। আজ দিলাম। মনে হলো ছবিটা তোমার কাছেই থাকা উচিত। মমকে ঘৃণা করো না। মম তোমায় ভালোবাসে!’

ক্যানিয়লের চোখে বিন্দু বিন্দু পানিকণা জমে উঠলো। শ্লেষাত্মক হেসে বললো,
“তুমি ভালোবাসার যোগ্য নও মিস বেলা লিমাস!”

এক চুমুকে পুরো বোতল শেষ করে ফেললো ক্যানিয়ল। লনে থাকা চেয়ারে বসে চোখ বুজলো। বন্ধ চোখের কোণে জল চিকচিক করছিল। খানিকক্ষণ বাদে বাবার ডাকে চোখ খুললো সে,
“উমরান!”

মুহাম্মদ ইসহাক ক্যানিয়লের ঠিক পাশেই দাঁড়িয়ে আছে। বাবাকে দেখে হেলিয়ে দেওয়া মাথা সোজা করে বসলো ক্যানিয়ল। মুহাম্মদ ইসহাক ছেলের পাশে বসলেন। মানুষটার চুল এবং দাঁড়িতে কালো-সাদার সংমিশ্রণ। গায়ের রং ধবধবে ফর্সা। সুঠাম দেহের অধিকারী। শান্ত বিনীত কণ্ঠে বললেন,
“কিছু হয়েছে?”

“কী হবে?” বাবার চোখে চোখ রেখে বললো ক্যানিয়ল।

“কেউ কি তোমার দ্বারা গুরুতর আঘাত পেয়েছে আজকে?”

“না।”

“তাহলে এরকম বসে আছো কেন?”

“আমার কিছুই হয়নি ড্যাড।”

বাবার চোখে চোখ রেখে থাকতে পারলো না ক্যানিয়ল। চোখ জ্বালা করছিল জল ঝরানোর জন্য।

“তোমার মমের সাথে আজ দেখা হয়েছিল তোমার? জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে?”

ক্যানিয়ল বসা থেকে দ্রুত দাঁড়িয়ে বললো,
“আমার কোনো মম নেই! কখনও ছিলও না! কারো শুভেচ্ছা চাই না আমি।”

ক্যানিয়ল ঘরের দিকে পা বাড়ালো। কতক দূর গিয়ে থামলো আবার। বললো,
“একটা পেইন্টিং দিয়েছিল, ছুরি দিয়ে কেটে ফেলেছি!”

দ্রুত পদে হেঁটে ঘরের অভ্যন্তরে ঢুকে গেল ক্যানিয়ল।

মুহাম্মদ ইসহাক দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।

________________

ইরতিজার মন ভালো নেই। পরনে সবুজ শাড়ি। উদাসী দৃষ্টি মেলে আছে আকাশে। হিমেল হাওয়া পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে যত্ন করে। গায়ে কোনো শীতবস্ত্র নেই। ঠান্ডা লাগছে বৈ কি, তবুও শীত পোশাক পরবে না। তার মনে জোনাসের চিন্তা বিরাজ করছে। জোনাস সত্যি সত্যি রেডমন্ড এলো? কাল কি সত্যিই চলে যাবে?

“টেইক ইট।” পাশ থেকে সাজিদের কণ্ঠ শুনতে পেয়ে তাকালো ইরতিজা।

স্টারবাক্স থেকে কফি নিয়ে এসেছে সাজিদ। জোনাসের ওখান থেকে বাসায় আসার পর সাজিদকে উপস্থিত দেখতে পেয়েছে।
সাজিদ বাইরে ঘুরতে নিয়ে আসবে বললো। বাস, মা একটা শাড়ি পরিয়ে পাঠিয়ে দিলো।
ইরতিজা কফি নিলো। সাজিদ বললো,
“শীত লাগছে তোমার?”

“লাগছে বললে কি আপনার গায়ের কোট খুলে আমাকে দেবেন?”

“এটা কখনোই করবো না।”

সাজিদ গাড়ির দরজা খুলে ভিতর থেকে ইরতিজার ওভার কোটটা বের করলো। ইরতিজার মাথায় দিয়ে বললো,
“রোবট মেয়ে আপনি, শীতও লাগে না আপনার।”

ইরতিজা কোট পরে নিলো। এতক্ষণের শীত থেকে নিস্তার পেল শরীর। কফির মগে চুমুক দেওয়াকালীন শুনলো সাজিদ বলছে,
“আপনার প্রেমিক রেডমন্ড এসেছে দেখলাম!”

ইরতিজা ভীষণ রকম চমকে উঠলো।

(চলবে)

গ্রুপ লিংক―
https://facebook.com/groups/3087162301558677/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here