#মেঘে ঢাকা চাঁদ (পর্ব ২২)
সায়লা সুলতানা লাকী
“তুমি? তুমি আসছো? কি মনে করে? অদ্ভুত ব্যাপারতো! তুমি এই সময়তে এই বাসায় আসছো, আমারতো বিশ্বাস হচ্ছে না।” লাবন্য প্রচন্ড রকমের একটা ধাক্কা খেলো মনে হল দরজাটা খোলে।
“দরজা পুরোটা দখল করে দাঁড়িয়েছিস কেন? সরে দাঁড়া, ঢুকতে দে। আর শোন লাগেজটা সাবধানে ভেতরে আনিস গার্ড ছেলেটা একটা চরম বেয়াদব বাসা পর্যন্ত দিয়ে যাওয়াটা যেনো এদের দায়িত্বে পড়ে না। দিন দিন মানুষের আক্কেল বুদ্ধি শূন্যের কোটায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। দেখতেছে একজন বয়স্ক মহিলা তারপরও এতটুকু বোধ এদের ভিতরে কাজ করল না।” বলতে বলতে লাবন্যকে ঠেলে ভেতরে ঢুকলেন ওর নানি।
লাবন্য লাগেজ ভেতরে এনে দরজাটা আটকিয়ে সামনে আসতেই শুনতে পেল ওর নানি চিৎকার করে ডাকছে।
“এই তাসলিমা, তাসলিমা কইরে তুই? নে এইটাকে নিয়ে রুমে রাখ। সাবধানে রাখিস। ভেতরে কোরআন শরীফ আছে। তোদের ইন্টারকম নাই নাকি নষ্টরে।”
“নানি আগে মাথা ঠান্ডা কর। এখানে তাসলিমা নামে কেউ থাকে না।”
“তুই চুপ থাক। তুই জানিস কি? আমাকে শিখাতে আসবি না বুঝলি!”
“আশ্চর্য! কি বলছো তুমি ? ভালো কথাইতো বললাম। তাসলিমা কে? এই বাসায় তুমি তাসলিমাকে পেলে কোথায়? আমাদের বাসা আর আমি জানবো না?”
“মানে কি লাবু? এত বছর যাবৎ ও তোদের এত সেবা যত্ন করছে আর তুই ওর নামটাই জানিস না? এটা কোন ধরনের অসভ্যতা হয় বলতো আমাকে? এগুলাই শিখেছিস জীবনে? অবাক হচ্ছি আমি।”
“খালাম্মা আমি বিছানায় চাদর বিছাইয়া রাখছি। সব পরিস্কারও করছি। আপনে এহন রেস্ট নিতে পারবেন? কোনু অসুবিধা হইব না। ”
“বুয়া খালার নাম তাসলিমা? ও মাই গড। এটাতো জানাই ছিলো না। কেউতো খালাকে নাম ধরে ডাকতো না। জানবো কীভাবে?”
“বুঝি না রেশমা এই বাসায় এসে কি সব আদব কায়দা ভুলে গিয়েছিল? ওও কি বুয়া বলে ডাকতো নাকি? আশ্চর্য, তোরা আর কত সভ্য হবিরে? বুয়া কোন নাম হল? মেয়েটা একেবারে বদলে গিয়েছিলো দেখছি। আচ্ছা বাদ দে, রুশ কোথায়? আমার নানা ভাই রুশ, এই রুশ।”
” আহ! এভাবে ডেকো না। ও তো এখনও ঘুমায়।”
“এখনও ঘুমায়? বলি এখন বাজে কয়টা? এটা কোনো ঘুমের সময় হলো? বাসায়তো দেখি কোন নিয়ম কানুনের বালাই নাই। ডেকে তোল ওকে।”
“স্কুল আর কোচিং শেষে বাসায় এসে খুব টায়ার্ড হয়ে যায়। খাওয়া দাওয়া করে ঘুমাতে একটু লেট হয় তাই আর সময় মেইনটেইন হয় না।” লাবন্য কথাটা বলতে বলতেই দেখলো রুশ এসে দাঁড়িয়েছে ড্রয়িং রুমে। হঠাৎ এমন চিৎকার চেঁচামেচিতে কিছুটা ভয় পেয়ে গেছে ছেলেটা। চোখ ডলতে ডলতে সমনে আসতেই নানি হেঁচকা টানে ওকে বুকে নিয়ে জড়িয়ে ধরলেন । মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে গালে কপালে চুমু খেলেন। রুশ আকস্মিক এমন আদরে বিগলিত হয়ে পড়ল। মা মারা যাওয়ার পর এমন আদর আর কেউ করেনি। ওর কেনো জানি একটু চোখ ভিজে উঠল । খুব কষ্টে আবেগ চেপে রেখে বলল
“নানুমনি, তুমি? কখন আসছো?”
“হুমম, নানুমনি আমি, আমিই আমার নানা ভাই রুশের কাছে চলে এসেছি। আমার যাদুমনি রুশ সোনার কাছেই থাকব এখন থেকে । এই যে আমার যাদুর গায়ে কি সুন্দর আমি আমার মেয়ের গায়ের গন্ধটা পাচ্ছি। এই গন্ধের টানেইতো চলে এলাম। ” রুশের গায়ে নাক লাগিয়ে ওর নানু বললেন।
“নানুমনি আমিও তোমার গায়ে আম্মুর ঘ্রাণ পাচ্ছি।” রুশ একটু হাসি দিয়ে কথাটা বলল।
“পাবিইতো, আমরা যে সব একনাড়েই বাঁধারে ভাই।”
“এক মিনিট এক মিনিট, নানি শোনো আমি কিছু বুঝতে পারছি না। আমার মাথাটা খুব ডিজিডিজি লাগছে। আমাকে একটু খুলে বলোতো ব্যাপারটা! তুমি আসলে এখানে কেন আসছো? তুমিতো এখানে আসার কথা না! আম্মু থাকতেই আসো নাই আর এখনতো….. কেমন যেনো হিসাব গরমিল লাগছে।”
“কি বলবো? কি শুনতে চাস? কিসের এত হিসাব মিলাতে চাস?”
“আগে বলো, তুমি কেন আসছো?”
“এখন থেকে এখানেই থাকব, আমার রেশমার আমানত লাবন্য আর রুশের পাশে থাকতে এসেছি।”
“কিন্তু কেন?”
“কারন আমার মেয়ের মৃত্যুতে তার আমানতগুলো যে বড় একা হয়ে গেছে, বড় এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে সব, তাই।”
“নানি তোমার হঠাৎ মৃত মেয়ের জন্য এত দরদ উথলে ওঠলো কেন? এই দরদটা আগে উঠল না কেন? তখন যদি মানে মেয়েটা বেঁচে থাকতে উঠতো……”
“ও বেঁচে থাকতে এই দরদটা না ওঠে যে পাপ করেছিল, এই সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে দরদটা এখন এখানে এসেছে সেটাই ধরেনে। হিসাব সহজেই মিলে যাবে।””
“নানি সব কিছু এমন কেন? আমার মা’কে যারা কষ্ট দিয়েছে আমি তাদের কাউকেই সহ্য করতে পারছি না। সেই মোতাবেক তোমাকেও না।
“কে বলেছে তোকে আমাকে সহ্য করতে? আমিতো একবারও বলি নাই। বলছি? শুধু শুধু এত কথা বাড়াস কেন? খুব মুখ চালাতে শিখেছিস দেখছি! এগুলা কিন্তু আমার সাথে একদমই চলবে না। আমি কিন্তু রেশমা না। রেশমার মা। আমার সাথে কোন ওতুবুতু চলবে না। সব কিছু পারফেক্ট হতে হবে। টাইম মতো সব কিছু। বোঝাতে পেরেছি? এখন থেকে নিজের পড়াশোনায় মন দিবি। সেমিস্টারের খবর কি? খোঁজ খবর কিছু রাখিস? রেশমা থাকলে তোর অবস্থা দেখে ঘরের কোনে বসে কাঁদতো আর বলতো “আমি হেরে গেছি, লাবু তুই আমাকে সবার চোখে হারিয়ে দিল।”
“আমি কখনোই আম্মুকে হারতে দেইনি কারো কাছে।”
“কীভাবে বিশ্বাস করি, এখন তো দেখছি তুই ইচ্ছে করেই ওকে হারিয়ে দিচ্ছিস। বলতে পারবি এই এক মাসে একদিনও নিজের পড়াশোনা নিয়ে বসছিস! মেয়েটা নিজের ভুলে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিলো। আর তুই মা’কে সবার চেখে হারিয়ে দিতে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিস।”
“এই তুমি বারবার একই কথা বলছো কেন? আমি কখন আম্মুকে লুজার দেখাতে চেয়েছি? আমি একা লড়ে যাচ্ছি আম্মুর জন্য। বাসা সামলানো, রুশকে ঠিক মতো চালানো এগুলা কি সহজ কথা?”
“হুমম খুব ভালো দায়িত্ব পালন করছো কিন্তু তুমিও যে তোমার মায়ের মতো পড়াশোনার ইস্তফা দিয়ে বসে আছো সেদিকটা কে দেখবে?”
“এক মিনিট, আমি কখন বললাম আমি ইস্তফা দিয়েছি। সময় সুযোগ মতো করবতো।”
“সময় আর সুযোগ কারো জন্য বসে থাকে না। আর এগুলো এমনি এমনি আসে না। সময়ের কাজ সময়েই করতে হয়।এই যে কথায় কথায় এক মিনিট এক মিনিট করছিস সেই এক মিনিটও তোর জন্য অপেক্ষা করবে না। তাই বলি কি তুইও তোর পড়াশোনাটা সময়ের সাথেই চালিয়েনে।কোনো গ্যাপে পড়িস না নানু আপু। বুঝিস না কেন, তোদের সফলতাই যে আমার মেয়েটার জয়। আগামীকাল থেকে আমি রুশকে নিয়ে ছুটবো আর তুই নিজের জন্য ছুটবি। ভালো কিছু করে রেশমাকে তাক লাগিয়ে দিবি। তোর ভালো কিছু দেখে যেনো রেশমার চোখগুলো জ্বলজ্বল করে উঠে আনন্দে। কি পারবি না লাবু?”
“নানি তুমি এমন কেন? তুমি কেন আগে আসো নাই? কেন আম্মুকে এমন করে আগলে রাখো নাই? আম্মুযে একটা আশ্রয়ের অভাবে নিরবে সবার অত্যাচার সহ্য করতে করতে চলে গেল।” কথাটা বলতে বলতে কেঁদে ফেলল লাবন্য
“আল্লাহর হুকুম হয়েছে তাই চলে গিয়েছে। ওর ভাগ্যে যা ছিল তাই হয়েছে। পেছনের কথা মনে করে বর্তমানকে নষ্ট করার নাম বোকামি। আমরা কেউ বোকা না। ” লাবন্যকে বুকে টেনে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন তিনি।
“খালাম্মা আপনের লেইগ্যা দুইটা রুটিও বানাইছি। আইজকা পেঁপে নাই কাইল আইন্যা সবজি কইরা দিমুনে।
লাগবেনারে তাসলিমা, তুই এত ব্যস্ত হইস না। এখন অযু করে নামাজ পড়ব। যাও তোমরা দুই ভাইবোন ফ্রেশ হয়ে আসো। একসাথে খাবো। এরপর পড়তে বসবা ঠিক আছে?
“খালা তুমি জানতা নানি এখন আসবে? আমাকে বলো নাই কেন?”
“হ,আমারে বাসায় দিয়া আপনে স্কুলে যাওয়ার পরই খালাম্মা ফোন দিছিলো। আমগো সব খবর টবর নিসে। তহনই কইছে। আপনেরে কই নাই। আপনে আবার যদি রাইগ্যা উঠেন তহন কে সামলাইবো আপনেরে। তাই আর কই নাই।” বলে বুয়া খালা একটা হাসি দিয়ে চলে গেল।
নানিও নামাজ পড়তে উঠে গেলেন নিজের রুমে। লাবন্যের দাদির থাকার রুমেই বুয়াখালা তার সব কিছু গুছিয়ে দিলেন।
রুশও হঠাৎ করেই একটু একটিভ হয়ে গেল। ফ্রেশ হতে ওয়াসরুমে ঢুকে গেল। আজ আর ঘুম থেকে উঠে চুপচাপ সোফায় বসে থাকল না ঝিমা মুরগির মতো। লাবন্যের মনটায় হঠাৎ করেই কেমন জানি একটা ভালো লাগার আবেশ ছেয়ে গেল। অনেক দিন পর নিজেকে খুব হালকা লাগল। মনে হল বুকের উপর চেপে থাকা একটা বড় বোঝা বুঝি নেমে গেল। শান্তি শান্তি একটা মন নিয়ে নিজেও পারফেক্ট হতে উঠে নিজের রুমে ঢুকল। এই ওল্ড লেডি বেশি সুবিধার না তা আম্মুর কাছে আগেই শুনেছে।তাই আর তাকে রাগাতে ইচ্ছে করল না।
রাতে ডাইনিং টেবিলে আসতেই চোখে পড়ল টেবিলের উপর রাখা হিমেলের পাসপোর্টটার উপর। হিমেল ওটা তুলে নিল, মনে পড়ল এটা হোমায়রার কাছে ছিল এতদিন। বুঝল ওই এটা এখানে ফেলে রেখেছে। ইচ্ছে করেই কোন বাড়তি কথা না বলে খেতে বসল। আজ দুলাভাই তার বন্ধুদের সাথে ডিনার করতে গিয়েছেন। আপা তার মোবাইল হাতে টেবিলেই বসা কিন্তু কোন কথা বলছে না।একটু পরই ওর আব্বু এসে বসল। রেহেনা বেগম খাবার সার্ভ করতে নিলে তিনি হাত উঠিয়ে থামিয়ে দিয়ে নিজেই নিজের প্লেটে ভাত বেড়ে নিলেন। হোমা একবার আব্বুর দিকে একবার ওর আম্মুর দিকে তাকাল বুঝলো পরিবেশ বেশ উত্তপ্ত। একটু স্বাভাবিক করতে নিজের প্লেটটা এগিয়ে দিয়ে বলল
“আম্মু তুমি আমাকে খাবার দাও। আর তোমার নাতনিকে আজ তুমি খাইয়ে দিও। আমি খেয়ে একটা সিনেমা দেখব।” কথাটা বেশ আহ্লাদী স্বরে বলল সবসময়ের মতো।
“হোমা বাংলাদেশে এসেছিস আজ কতদিন হল, অথচ এখনও তোর শ্বশুরবাড়িতে যাসনি। কাজটা কি ঠিক হল? ”
“আব্বু বড় ভাইয়ার বাসায়তো গেলাম গত পরশু। ওখানে আমার ছোট দেবরও ছিল।সবার সাথে দেখাতো হল।”
“ওটাতো আর শ্বশুরবাড়ি না। আমি বলছি ওদের গ্রামের বাড়ির কথা। ওখানে তোর শাশুড়ি আছেন আরও দেবর ননাসরা আছেন, ওখানে যাবি কবে?”
“আব্বু আমার বাচ্চারা গ্রামে গিয়ে থাকতে পারে না। আর আমারও খুব অসুবিধা হয় ওদের সাথে এডজাস্ট করতে।”
“আমরা গ্রামে থাকলে কি তুই ওখানে যেয়ে থাকতি না? আমাদের সাথে দেখা করতি না?”
“তোমরা কেন গ্রামে যাবে? ঢাকায় এত সুন্দর থাকার জায়গা থাকতে?”
“কেন যাবো না? হিমেলকে ফ্ল্যাটটা দিয়ে আমার শেষ সময়টা গ্রামে চলে যাবো ভাবছি।”
“আব্বু প্লিজ বোকার মতো এমন কাজ জীবনও করো না। পরের মেয়েকে দিয়ে কোন বিশ্বাস নাই। শেষ জীবনে পরে তোমরা দুজন শুধু কষ্টই করবে। এমনটা এযুগে কেউ করে? আর তুমিতো বলেছিলে আমি…..
“ভরসা হারিয়েছিস। প্রথমে ভেবেছিলাম তুই বড়, তাই তোর উপর ছেড়ে দিব ছোট দুইজন কে। এখন দেখলাম তুই নিজ স্বার্থে বেশ পোক্ত। তাই আর কারউ উপর ভরসা নয়, নিজেই সব গোছাচ্ছি। আর পরের মেয়ের কথা বলছিস? পরের মেয়ে কি মেয়ে না? তার উপর বিশ্বাস কেন করবো না। আচ্ছা ওসব রাখ তুই তোর দায়িত্ব পালন কর। গ্রামে যা, শাশুড়ির খোঁজ খবর নে।ওখানে কিছুদিন থাক। এটা তাদের হক। ছেলের সংসারটা কাছ থেকে দেখার, নাতি নাতনির সংস্পর্শ পাওয়াটা।”
“আব্বু প্লিজ আমাকে এসব করতে বলো না। আমার ওখানে গিয়ে থাকতে ভালো লাগে না। তোমাদের জামাই যাবে টাকা পয়সা যা লাগবে তা সবইতো দিয়ে আসবে।”
“ভালো না লাগলেও তোকে যেতে হবে। তোর ননদ ননাসদের সাথে মিশতে হবে। তুই যদি এসব না করিস তবে কীভাবে তোর ভাইয়ের বৌয়ের কাছে এসব পাওয়ার আশা করবি বল? তোর ভাইয়ের বৌ এসে তোর আব্বু আম্মুর সেবা করবে এমনটা কি তুই কখনও চাইতে পারিস পরের মেয়ের কাছ থেকে? সেই অধিকার কি তোর থাকে?”
“সেই জন্যইতো আমার ননদকে বৌ করে আনতে চেয়েছিলাম। ও ঠিকই আমার কথা শুনতো, আমাকে ভয় পেত। কিন্তু তোমরাতো শুনলেই না আমার কথাটা।”
“তোর ননদ তেমনটা কেন করবে? ও তো তোকে দেখে শিখেছে এসব এভয়ড করে চলা, তাই না? সেজন্যই ওই মেয়ে আমি আনব না। তুই আগামীকাল শ্বশুরবাড়ি যাবি জামাই বাচ্চাদের নিয়ে। তোদের মায়ের উচিৎ ছিলো তোকে আগেই এই শিক্ষাটা দেওয়ার। কিন্তু সে উল্টো তোর থেকে উলটা পালটা শিক্ষা নিয়ে এতোদিন অপকর্ম করে বেড়িয়েছে। কি আর বলব, সবই ভাগ্য। তোরা নিজেরা কিছু করবি না আর অন্যের মেয়ের কাছে এটা সেটা পেতে শুধু আশা করবি। এসব দেখে কেবল শুধু হাসিই পায় আমার।”
হিমেল চুপচাপ খেয়ে নিল। ওর আব্বুর কথাগুলো শুনে বেশ মজাই লাগছিল। হোমার চেহারার রংটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। মনে মনে বলল ” অনেকদিন পর রাতে ঘুমটা বেশ ভালোই হবেরে হিমেল তোর।”
চলবে