#মেঘে_ঢাকা_চাঁদ (পর্ব ২৩)
সায়লা সুলতানা লাকী
সকালে রুশকে নিয়ে বের হতেই লাবন্য পড়ল দোতলার ওই আংকেলের সামনে। লোকটা ইদানীং খুব বেশি বাড়ছে বলে মনে হল লাবন্যের। একটা পঞ্চাশার্ধ বয়স্ক লোক এতটা হ্যাংলা প্রকৃতির হয় কী ভাবে তাই ওর মাথায় আসে না। দাঁত মুখ খিঁচে একটা গালি দিতে ইচ্ছে করছে ঠিক সেই সময়তেই লোকটা দাত ক্যালিয়ে হাসতে হাসতে বলে উঠল
” জানতাম ইয়াং লেডি তুমি এখনই নামবা! তা কেমন আছো তুমি?”
লাবন্য উত্তরে কিছু একটা বলতে যাবে ঠিক তখনই পেছন থেকে ওর নানি চিৎকার করে উঠলেন। তিনিও পেছন পেছন নামছিলেন। ঝাঁঝালো কণ্ঠে বললেন
“এই তোরা এখনও এখানে দাঁড়িয়ে আছিস? কি আশ্চর্য, এখনও রিকশা ডাকিসনি কেন? এভাবে চললেতো লেট করবি, সেই জ্ঞান আছে কি ইডিয়টগুলোর?”
“ইয়ে মানে নানি উনি, ইয়ে..” লাবন্য একটু হতচকিয়ে আংকেলকে দেখিয়ে এটুকুই বলল, হঠাৎ নানির স্বরের এমন পরিবর্তনের কারনটা বুঝতে পারছিলো না।
“উনি? উনি কে? কে আপনি” বেশ শক্তভাবেই বিরক্ত চোখেমুখে ফুটিয়ে লোকটার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন নানি।
“জি, মানে আমি একরাম, একরামুল হক। ”
“কোথায় থাকেন?”
“নানি উনি… ”
“চুপ, একদম চুপ বেয়াদব মেয়ে।দেখছিস না দুইজন মুরুব্বি কথা বলছি, তুই মাঝখানে কথা বলছিস কেন? ”
নানির ধমকে লাবন্য একেবারে চুপ হয়ে গেল। এত জোরে ধমকের স্বরে এর আগে কখনও দেখে নাই নানিকে। চুপ করে দাঁড়িয়ে বেশ আগ্রহ নিয়ে দেখতে লাগল নানি কি করেন লোকটার সাথে। কারন ততক্ষণে একরাম মিয়ার চেহারাটা দেখার মত হয়েছিল।
“জি মানে খালাম্মা, আমি দোতলায় থাকি।”
” এই বিল্ডিং এর দোতলায়। তা কি করেন আপনি?”
“বিজনেস, মানে টাইসের বিজনেস আছে আমার। ”
“ওওও, একা থাকেন না কি ওয়াইফ আছে? ”
“জি আছে।”
“ছেলেমেয়ে?”
“জি আছে।”
“কয়টা?”
“এক মেয়ে আর এক ছেলে আআআ…”
“তা এই সাতসকালে ওদের কাছে আপনার কি কাজ?”
“না মানে এমনি কুশলাদি জানতে চাইছিলাম আর কি।”
“আপনার ওয়াইফ জানে যে আপনি সিড়ির চিপায় চাপায় দাঁড়িয়ে বিভিন্ন জনের কুশলাদি জিজ্ঞেস করেন?”
“ইয়ে মানে…”
“মেয়ে কত বড় আপনার ?”
“ইয়ে মানে.. খালাম্মা…আমার একটা কাজ…”
“নানি একটা কথা….” লাবন্য হাত উঠিয়ে বলল
আবার? কি কথা তোর? নানি চোখ পাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন।
“আংকেল কিন্তু খুব পরোপকারী। আমাকে বলেছিলেন রাতে বাসায় আসবেন, বাজারের কি কি লাগবে তা জানতে। আংকেল পরে বাজারটা করে দিবেন বলেছিলেন। তাই না আংকেল?” একরাম সাহেবের দিকে তাকিয়ে লাবন্য হাসতে হাসতেই বলল।
“তাই নাকি? খুব ভালো, কি নাম যেনো বললেন? একরাম, হ্যা একরাম সাহেব আপনার নাম্বার বা কার্ডটা দিয়েন আমাকে আমি দরকার হলেই ডেকে নিব। আর নয়তো দোতলায় খবর পাঠাবো। আপনাকে আর কষ্ট করে খবর নিতে আসতে হবে না।”
“না মানে খালাম্মা আমিতো অধিকাংশ সময় বাসায় থাকি না। খবর পাঠানোর …..”
“অসুবিধা কি আপনার ওয়াইফকে জানাবো। আপনি এতো পরোপকারী, নিশ্চয়ই আপনার ওয়াইফও ভালোই হবেন। সমস্যা নাই এখন যাই তাড়া আছে। দরকারে ডাকবো তখন রেডি থাকবেন কাজের জন্য ।” কথাটা শেষ করেই রুশের হাত ধরে টেনে টেনে এগিয়ে গেলেন আর লাবন্যকে জোরে ধমকের স্বরে বলতে লাগলেন
“অযথা সময়টা নষ্ট করলি এখানে বকবক করে, যা অটো বা সিএনজি ডাক। ওকে স্কুলে দিয়ে তোর সাথে যাব।”
আড় চোখে গার্ডকে একবার দেখে নিলেন নানি। একরাম সাহেবকে যখন একহাত নিচ্ছিলেন তখন গার্ড জায়গায় বসে সবটা গিলছিল। যখনই নানি ওদের সাথে গেইটের কাছে আসলেন সাথে সাথে গার্ড দাঁড়িয়ে সালাম ঠুকে গেইট খুলে দিয়ে নিজেই রাস্তায় বেড়িয়ে গিয়ে একটা সিএনজি ডেকে আনল। লাবন্য পুরো বিষয়টা খুব মজা নিয়ে উপভোগ করতে লাগল কিন্তু কোন রিয়েক্ট করল না গার্ডের সামনে। সিএনজিতে উঠে একটু এগিয়ে যেতেই লাবন্য ফিক করে হেসে উঠল। ওর হাসি দেখে ওর নানি একটু আড় চোখে ওর দিকে তাকালেন। এরপর বললেন
“বোকার মতো হাসছিস কেন?”
“ঠিকই বলছো আমি বোকা। বস আমিতো তোমার কাছে পুরাই বাচ্চা। ওরে আল্লাহ তুমি এত সব কীভাবে কি করলা? এত এনার্জি কোথা থেকে পাও? কি দারুন পার্ফরমেন্স ছিল তা তুমি বুঝতেও পারবে না বস। অসাম নানি অসাম। ইউ রক। জিনিয়াস। ব্যাটার চেহারাটা ছিল দেখার মতো। ওয়াও অমেকদিন পর একটা উপভোগ্য বিনোদন পেলাম।” লাবন্য হাসতে হাসতে কথাগুলো বলল।রুশ এতক্ষণ চুপ ছিলো।এবার সরব হলো, “নানুমনি আমিও কিন্তু তখন তোমাকে দেখে ভয় পাচ্ছিলাম ওই আংকেলের মতো।”
“চুপকর তোরা৷ আর হাসি বন্ধ কর। এই যে তুই যতসব ঢং করে বেড়াস, এগুলো কি এমন এমনি বের হয় তোর থেকে? মোটেও না। এগুলো তুই পেয়েছিস তোর মায়ের কাছ থেকে। আর তোর মা পেয়েছে আমার থেকে। তাহলে বল আমার ক্ষমতা নিয়ে তোর এত প্রশ্ন কেন?”
“ইশশশশশ আমার এখন তোমার মা, নানিকে দেখতে ইচ্ছে করছে, না জানি তারা কেমন বারুদ ছিলেন। আর তার চারপাশে অন্য সব কেমন ছিলো?” বলে আরও জোরে হাসতে লাগল।ওর সাথে বুজেই হোক আর না বুঝেই হোক রুশও হাসতে শুরু করল।
রুশকে স্কুলে ঢুকিয়ে দিয়ে আবার লাবন্যের সাথে ওর ইউনিভার্সিটিতেও চলে যান ওর নানি। লাবন্যের ডিপার্টমেন্ট ঘুরে ফিরে দেখে আবার ফিরে আসবেন রুশের স্কুলে তেমনটাই কথা হল। যদিও তার লাবন্যের সাথে যাওয়ার কোন দরকার ছিলো না। কিন্তু না গিয়েও তেমন একটা উপায় ছিলো না। লাবন্যের বর্তমান যে মানসিক অবস্থা তাতে ওকে পুরোপুরি গাইড করা ছাড়া আর কোন উপায় নাই বলেই তার বিশ্বাস । নানি যখন ফিরছিলো তখন লাবন্য প্রচন্ড টেনশনে পড়ে গেল এইভেবে যে নানি ঠিকঠাক মতো ফিরতে পারবেনতো! কিন্তু নানি বারবার আশ্বস্ত করলেন তিনি পারবেন আর ফিরে কল দিয়ে জানাবেনও । তার কনফিডেন্স লেভেল দেখে লাবন্য আর বাঁধা দিলো না। নিজে বন্ধুদের সাথে পড়াশোনা নিয়ে আলাপ আলোচনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ল আর নানি বেড়িয়ে এল রাস্তায়।
একটু পরই একটা রিকশা নিয়ে এগিয়ে এসে থামলো নানির সামনে।
“আসো উঠো। ”
“কতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলি?”
“বেশিক্ষণ না। কি বুঝলা? পাগল লাইনে আসবেতো?”
“পাগল বলছিস কেন? ওর জায়গায় দাঁড়িয়ে দেখ। এই বয়সে কত কিছুর যে সম্মুখীন হতে হচ্ছে ওর।”
“কোনকিছু পজেটিভ দেখতে চাচ্ছে না। সব কিছুই ওর কাছে এখন নেগেটিভ। এটা কি স্বাভাবিক কোনো আচরন হলো বলোতো ? ”
“হইছে, যারটা শুধু সেই বোঝে। তুই ওরটা বুঝবি না।”
“ওও কিন্তু আমারটা বুঝতে চায় না। বুঝবে কি শুনতেইতো চাইলো না একবার, কীভাবে যে এত বড় একটা ধাক্কা আমি একা একা মোকাবিলা করলাম তা আমি জানি আর জানে আল্লাহ।”
“এখন এসব ওর কাছে আশা করাটা কিন্তু বড়ই অমানবিক। আজ দোতলার ওই ব্যাটারে শুধু জুতা পেটাটাই বাকি রেখেছি। রাগে গা জ্বলতেছিলো। একা একটা মেয়ে পেয়ে যা ইচ্ছে তাই আচরণ করছে। বাপ বয়সি একজন লোকের এমন আচরন সহ্য করা কিন্তু সহজ না।”
“নানু ইউ আর দা রক”।
“হুমম রক, আরও কিছু বল।”
“কি বলবো, বাসার অবস্থা দিনদিন খারাপের দিকেই যাচ্ছে। কত কষ্টে একটু ভালো করেছিলাম আবার যা ছিলো তাই বুঝি হয়ে গেল।”
“মন খারাপ করিস না। সময়ের হাতে ছেড়ে দে। তোর মায়ের কানে যে বিষ ঢালা হয়েছে তার রেশ কাটতে সময় লাগবে। আগে ওর ভুলটা ও নিজেই উপলব্ধি করুক।তাহলে দেখবি সমস্যা সমাধান হতে সময় লাগবে কম। আশা ছাড়িস না।”
“না ছাড়ছি না। বড়পু আজ শ্বশুর বাড়ি গেল। দুলাভাইকে দেখলাম খুব খুশি। এত খুশি মুখ তার এর আগে দেখেছি বলে মনে করতে পারলাম না।”
“এই রকম মেন্দা মার্কা পুরুষ আমার দুই চোক্ষের বিষ। শ্বশুরকে কেন এসব বলতে হলো, নিজে কেন শক্ত হয়নি আগে? নিজের মেরুদণ্ড শক্ত না, এটা কোন দোষ না। দোষ সব বৌয়ের, এক কথা- বৌ ভালো না। হোমার শশুর বাড়িতেতো সবাই একডাকে বলবে হোমা খারাপ।কেউ তো আর বলবে না, ভাই নিজেই ভালো না। সে নিজেই বৌয়ের ভয়ে কাপড়ে প্রসাব করে।”
“উফফ নানু তুমি এসব কি বলছো? এসব কি ভাষা তোমার ?”
“হুমম, সত্য বললাম। সত্য এমন কঠিনই হয় অপ্রিয় হয়, তিত হয়। তুইও কান খাঁড়া করে শুনেনে। নিজের ঘর ঠিক না করে ঘরে বৌ তোলার কথা আমাকে বলবি না। তোর বৌ শুধু তোর সাথে থাকবে না তোর পুরো পরিবারের সাথেই থাকতে যাবে। কথাটা মনে রাখিস। আমার বড় মেয়ে যেনো কখনওই ওর ছেলেকে না হারায়। ছেলে যেনো কখনোই মা’কে কষ্ট না দেয়।”
“তাহলে ধরে নাও, এ জীবনে আর বিয়ে করতে হবে না নানু। অবশ্য আমিও চাই না আম্মুকে কষ্ট দিতে, আর বৌকে কষ্ট পেতে দেখতে। আম্মুকে ছাড়া থাকতে আমিও পারব না। আর….. ওকে ছেড়ে অন্য কিছু চিন্তাও করিনি কখনো। ”
“এসব এখন বাদ দে। নিজের পায়ের নিচের মাটি শক্ত কর। সব কিছুর একটা সময় আছে। এসবের জন্য এটা কোন ভালো সময়, না।”
“হুমম, তুমি এখন ওর পাশে আছো এখন আমি নিশ্চিন্ত। দেখো এই বিয়েটা যখন থামাতে পেরেছি তখন বাকি যুদ্ধটাও পারব। তবে আমি একা লড়ব এই যুদ্ধ এটাই কষ্ট ।”
“নাজমুল আছে তোর সাথে। তুই একা না। শুধু লাবুকে ডাকবি না এসবে। ওকে ওর মতো করে গোছাতে দে নিজেকে। এখন তুই যা। রুশের সামনে এখনই পড়িস না। লাবু একটু স্থির হোক পরে দেখা যাবে সবটা।”
“আচ্ছা বাই। টেক কেয়ার। কিছু লাগলে আমাকে জানিও।” বলে হিমেল চলে এল নানুকে স্কুলের গেইটের কাছে রেখে।
লাবন্য বাসায় ফিরতে ফিরতে বিকেল হয়ে গেল। বুয়াখালা দরজা খুলে দিতেই দেখল বাসাটা একেবারে স্তব্ধ হয়ে আছে। কারো কোন সাড়া নাই। ব্যাগটা রেখেই জিজ্ঞেস করল
“রুশ কোথায় খালা?”
ঘুমায়, খালাম্মার রুমে।
লাবন্য কিছুটা অবাক হয়ে গেল। এই সময়তে রুশ বসে ভিডিও গেইমস খেলে এরপর আসরের শেষে যায় ঘুমাতে। আজ এত টাইম মেইনটেইন করছে তাও আবার নিজের রুম রেখে নানির পাশে যেয়ে ঘুমাচ্ছে শুনে একটু কৌতুহল হল দেখার। তাই দৌড়ে গিয়ে উঁকি দিল নানির রুমে। দুচোখ যেনো জুড়িয়ে গেল। রুশ নানির গলা জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে। যেমনটা ও আম্মুর পাশে ঘুমাতো। ভাইটা আবার ওর আগের আদর ভালোবাসার দেখা পাচ্ছে এটা ভাবতেই চোখদুটো ঝাপায় হয়ে উঠল। নজর লাগার ভয়ে সরে এল। ঢুকে গেল নিজের রুমে ফ্রেশ হতে। খসলাকে বলে হেল খাবার দিতে টেবিলে। এই ওল্ড লেডিকে না রাগিয়ে, তার তালে তালেই চলতে চাচ্ছে যে ওর মন।
রাতে লাবন্য পড়ছিলো ঠিক তখন ওর মোবাইলটা বেজে উঠল। স্ক্রিনে নাম্বারটা দেখল ওর আব্বুর। সাথে সাথে সুইস বন্ধ করে দিল। এর আগেও বিভিন্ন সময় কল দিয়েছে কিন্তু ও ধরেনি। শুধু শুধু সম্পর্কের তিক্ততা ও চায় না। যে গেছে সে গেছেই তাকে নিয়ে আর ভাববে না। এমনটাই ভাবছিলো এরই মধ্যে লেন্ড ফোন বেঝে উঠল।
একটু পর বুয়া খালা কলটা ধরল।
লাবন্য ওর এটেনশন সরাতে পারলো না ফোন থেকে। অপর প্রান্তে কে কি বলছে তা শুনতে পাচ্ছে না।কিন্তু খালার কথা শুনছিলো ঠিকই।
“রুশ বাবা তার নানির সাথে টিভি দেখে।”
“হ, গতকাইল রাইতে আইছে।”
“আমাগো কত কত সমস্যা হয় তা আপনে জানেননি?”
লাবন্য বুঝলো অপর প্রান্তে যে আছে সে কোন পক্ষ। হঠাৎ করেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। বিরবির করে বলে উঠল, “আমাদের বাসায় কে আসবে কে থাকবে তা নিয়ে তাদের এত সমস্যা কি? কি পাইছে তারা?” বলতে বলতে রেগে ডাইনিংএ আসল তখনই দেখল খালা রিসিভার টা নামিয়ে রাখল।
“কে ছিলো খালা?”
“ভাইয়ের ছোড বইন”।
“কি বলে সে?”
“বাদ দেন খালাম্মা। হেগো কথা শুইন্যা নিজেগো সময় নষ্ট করনের কাম নাই। আপনে পড়তে যান। কতদিন পর আবার বাসাডা আগের মতো হইছে এর মধ্যে আর ঝামেলা বাড়ানের দরকার নাই। ” খালা কথাটা বলে কিচেনে চলে গেল।
লাবন্য নিজেকে একটু স্থির করে ড্রয়িং রুমের দিকে এগিয়ে গেল।
নানি নাতি মিলে বেশ মজা করে টিভি দেখছিলো। লাবন্যের কেনজানি এই দৃশ্য দেখে মনটা নরম হয়ে এল।
“কিরে রুশ তুই এখন টিভি দেখছিস? পড়া কখন করবি?”
“পড়া শেষ।” রুশ জলদি করেই উত্তর দিল।
“তুই উঠে এলি কেন? খবরদার বলছি এখন টিভির সামনে বসবিতো তোর কপালে খারাপ আছে অনেক।”
“রিল্যাক্স ডিয়ার। আমি টিভি দেখতে আসিনি। আসলাম রুশের খবর নিতে।”
“রুশকে আমিই দেখব তুই তোর কাজে যা। এমন রুশকে দেখতে দেখতেই চুল পাকিয়েছি”।
“না মানে যদি কিছুর দরকার পড়ে…”
“সমস্যা কি দোতলায় খবর পাঠাবো, একরাম সাহেবকে বলব, তার মতো হেল্পকারী প্রতিবেশী থাকতে চিন্তা কি?”
নানির কথাটা শেষ হতেই লাবন্য হোহোহো করে হেসে উঠল। রুশও যোগ দিল সেই হাসিতে। আর ওর নানি ওদের সেই হাসি তৃপ্তি সহকারে দেখতে লাগলেন।
চলবে