মেঘে ঢাকা চাঁদ পর্ব-২৬

0
1191

#মেঘে_ঢাকা_চাঁদ (পর্ব ২৬)
সায়লা সুলতানা লাকী

বেশ ভালোই কাটতে লাগল দিনগুলো । নানির ছায়ায় একটা সময় ওরা নিজেদেরকে অনেকটাই অভ্যস্ত করে নিল। ওদের আব্বু বাসায় এসেই মাসকভারি টাকা দিয়ে গেল চলতি মাসের জন্য । আসার সময় রুশের জন্য অনেক চকলেট পিৎজা নিয়ে এসেছিল। যখন এসেছিলো তখন লাবন্য বাসায় ছিলো না। বেশ অনেকক্ষন সময় ধরে রুশের পাশে বসে ছিল। নতুন ভিডিও গেইমস নিয়ে আসবে নেক্সট টাইম এমনটাই আশ্বাস দিয়ে গেল, যদিও রুশ হ্যা না কিছুই বলেনি তখন।

লাবন্য বাসায় ফেরার পর ওর আব্বু এসেছিলো শুনে কিছুক্ষণ একা একাই চিল্লাপাল্লা করল এরপর নিজে নিজেই থেমে গেল। ও খুব অবাক হল এই দেখে যে ও যখন চিল্লাপাল্লা করছিলো তখন ওর নানি খুব ঠান্ডা মাথায় নিজের রুমে বসে নিজের কাজ করছিলেন, একবারও ওকে থামতে বললেন না কিংবা ওর সুরের সাথে সুরও মিলালেন না। বিষয়টা একটু ভাবালো ঠিকই কিন্তু সরাসরি কিছু জিজ্ঞেস করার সাহসটা পেলো না।

বেশ কিছুদিন পর একদিন হঠাৎ করেই লাবন্যের মোবাইলে কল আসল হোমায়রার নাম্বার থেকে। লাবন্য রিসিভ করতেই হোমা বলল
“হ্যালো লাবন্য, আছিস কেমন?”

“এইতো আপু, ভালোই আছি। তুমি এখনও দেশে আছো?”

” হুমম, আছি। চলে যাব নেক্সট ওয়িকে। শুনলাম তুই আবার পড়াশোনা শুরু করেছিস?”

“আবার বলতে কি বোঝাচ্ছো? বন্ধ করলে না আবার শুরু করার প্রশ্ন আসে।”

“না মানে খালামনির মৃত্যুর পর বন্ধ করেছিলি না তাই বললাম। কি আর করতি বন্ধ না করে তখন, খালুজিতো আর তোদের দায়িত্ব নিলো না। ভালোই করেছিস আবার শুরু করে, না হলে পরে গিয়ে বিপদে পড়তি। শুধু মাত্র একটা ফ্ল্যাট দিয়ে কি আর জীবন চলবে তোদের? তোর আব্বু আবার বিয়ে করছে, নতুন ঘরে বাচ্চাকাচ্চা হলে পরে দেখবি আর তোদেরকে টাকা পয়সা দিবে না। তখন চলবি কীভাবে? তাছাড়া রুশ বড় হলে তখন এই ফ্ল্যাটটা ওর নামেও চলে যাবে, তখন তুই চলবি কী দিয়ে ? পড়াশোনা করা থাকলে একটা চাকরি বাকরি যোগাড় করতে পারবি জীবন চালানোর জন্য। যে এক অপকর্ম করেছিস তোর বাবার কাছ থেকে ধাপ্পা মেরে জোর করে ফ্ল্যাট লিখিয়ে নিয়ে তাতে অন্য আর কেউ যে তোকে বিশ্বাস করে বিয়ে করতে রাজী হবে না তা শতভাগ নিশ্চিত থাক। পড়াশোনা ছাড়া তোর আর কোন গতিই ছিলো নারে।”

“তাই নাকি আপু?”

” হুমম, তাইতো, দেখলি না তোর বাপ খালামনি মরতে না মরতেই একমাসের মাথায় আরেকটা বৌ নিয়ে হাজির হলো। এখন কি আর তোদের প্রতি তার কোন টান থাকবে? একটুও থাকবে না। আর তোর যে অবস্থা তাতে তোরও কোন ভালো বিয়ে শাদি হবে না। যে মেয়ের বাপ দুইটা বিয়ে করে তেমন মেয়েকে ভদ্র ঘরের ছেলেরা বিয়ে করতে চায় না তার উপর মাও নেই তোর।”

“কেন আপু মা থাকলে সুবিধাটা কি হত বর সাহেবের?”

“মেয়ের মা না থাকলে কি আর শ্বশুর বাড়ির আদর আপ্যায়ন, সেবা যত্ন ঠিক মতো পাওয়া যায় নাকি? শাশুড়ির আদর ছাড়া শশুর বাড়ি জমে নারে?”

“ওওওওওও আচ্ছা এতক্ষণে বুঝলাম। এবার শোনো আমার কথা এতক্ষণ তো তুমি বললা,
এক নাম্বার হলো, যেই ব্যাটা শ্বশুর বাড়ির আদর পাওয়ার জন্য বিয়ে করে অমন বরকে দিয়ে আমি কি করব? খাট্টা বানাবো? উঁহু এসব খাট্টা খেতে আমি রাজি না। অমন বিয়ে করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে আমার নাই। দ্বিতীয়তঃ দুই বিয়ে ওয়ালা বাপের মেয়েদেরকে ভদ্র ঘরের ছেলেরা বিয়ে করতে চায় না। কথাটা শুনে হাসি পাচ্ছে কেবল। কারন আমি ভদ্র ঘরের চেয়ে একটা ভদ্র ছেলেকে বেশি প্রাধান্য দিলাম এখানে। আর দুঃখের বিষয় ভদ্র ছেলের বড় অভাব। ভদ্র মানে বুঝছোতো? যার ভেতরে কোন লোভ থাকবে না, লোভে জিব সবসময় লকলক করবে না। শ্বশুরবাড়ির লোভ, আদর আপ্যায়নের লোভ, শশুরের সম্পদের লোভ ইত্যাদি ইত্যাদি বুঝছোতো! লোভীরা আবার কখনও ভদ্র হয় নাকি?”

“লোভী বলছিস কেন? এখানে লোভের কি দেখলি?”

“ও মাই গড আপু তুমি এতটাই অন্ধ হয়ে গেছো যে লোভ দেখছো না? যে আমাকে বিয়ে করবে সে শুধু আমাকে ভালোবেসে বিয়ে করবে, আমার বাবা কি করল আমার মা আছে কি নাই এসব তার মনে কোন সমস্যা করবে না। শ্বশুর বাড়ি থেকে এটা সেটা পাবে বলে সে আমাকে বিয়ে করবে এমন বরের সাথে প্রতিরাতে এক বিছানায় থাকব এটা ভাবতেইতো গা ঘিনঘিন করছে আমার। যে সম্পর্কে ভালোবাসা থাকবে না সেখানেতো তখন রীতিমতো রেপ হবে, এছাড়া অন্য কিছু না। না আপু আমি কখনও রেপ হতে চাই না। আচ্ছা আপু দুলাভাইতো লোভী না তাই না? দুলাভাইতো তোমাকে ভালোবাসে, তাই তো? না মানে তুমিতো আর রেপ হও না, তাই না? সেই কথাটাই বললাম এবার বুঝছো? খেয়াল করে দেখোতো দুলাভাইয়ের শ্বশুরবাড়ির সম্পদের উপর কোন লোভ আছে কি না! ”

“ছি ছি কি সব কথা বলছিস তুই, তুই একটা ইঁচড়েপাকা মেয়ে, ঠোঁট কাটা মেয়ে।লজ্জা করে না এমন বেফাস কথা বলতে? কোন মা’ই তোকে বৌ করতে চাইবে না। কোন বোনই তোকে তার ভাইয়ের বৌ করতে চাইবে না।”

“গুড, আমি ও চাই না। আসলে কি জানো আপু, বিয়ের প্রতি আমার এখন বিশ্বাস উঠে গেছে। ধর একটা সাধারণ ঐকিক নিয়মের অঙ্ক যদি করি তবে কি দাঁড়ায় বিষয়টা– আমার আম্মু তার মন প্রান উজাড় করে আব্বুকে ভালোবেসে গেছে, আব্বুর মায়ের সেবাযত্ন করেছে, তার ভাইবোনদের মনরক্ষা করে চলেছে। আব্বুর সেবাযত্ন মনোরঞ্জন সবই করেছে। সেখানে আমার আম্মু মারা যাওয়ার একমাসের মধ্যেই আব্বু আরেকটা বৌ নিয়ে আসছে। তাহলে দেখোতো তোমার হিসাবটা কেমন দাঁড়ায়? আমারতো মনে হয় তুমি মরার তিনদিনের মাথায় আরেক বৌ নিয়া আসবে তোমার বর। ” বলেই হিহিহি করে হেসে উঠল লাবন্য।

“চুপ, চুপ বদমাশ। তুই বেশি জানিস? বদমায়েশ একটা মেয়ে হইছিস তুই।”

“আপু তুমি আগে মরেই দেখো! তিনদিন, আমি লিখে দিতে পারি তিনদিন অপেক্ষা করবে হয়তো। কারন তুমি দুলাভাইয়ের মা’কে একটুও দেখো না। তার ভাই বোনদেরকে সহ্য করো না। দুলাভাইকে সারাক্ষণ জ্বালাতন কর। মাঝে মাঝে নাকি ইচ্ছে করেই রাঁধতে যাও না। দুলাভাইয়ের কোন সেবাযত্ন করো না। সেসব হিসাব মাথায় রেখে বড়জোর তিনদিন বেচারা চক্ষু লজ্জায় পড়ে অপেক্ষা করবে, এর বেশি একদিন কেন এক ঘন্টাও না।”

“হ্যা, তুই বেশি জানিস। তুই বেশি বোঝিস। তুই একটা শয়তান।তুই…..”

“আরে আপু আপু আপু, তুমি বিশ্বাস না করলে আগে একবার মরেতো দেখো……. যাহ কলটা কেটে দিলা? ”

“কি হচ্ছিলো এই সব লাবু? এতক্ষণ এগুলো কি হাবিজাবি বললি?” পেছনে বসা ছিলেন ওর নানি, তিনি এতক্ষণ ওর কথাগুলো সবই শুনছিলেন। এবার একটু শক্ত গলায় বিষয়টা জানতে চাইলেন তিনি।

“কিছুই না ফাপোরের উপর ফাপোর এপ্লাই করলাম একটু।”

“মানে কি?”

“ভেরি সিম্পল! তোমার বড় নাতনি আসছিলো আমার উপর কিছু ফাপোর দিতে, আমি উলটা তারে কিছু দিয়া দিলাম। ” বলেই হিহিহি করে হেসে উঠল লাবন্য ।

“এসবের কোনো মানে হয়?”

“কেন হবে না? তুমি কি ভাবছো সে আমাকে বলবে আমার মা নাই তাই কেউ আমাকে বিয়ে করবে না শ্বশুর বাড়ির আদর পাবে না বলে। আমার বাপে দুই বিয়ে করেছে, তাই কোন ভদ্র ঘরের ছেলে আমাকে বিয়ে করবে না। আমি ফ্ল্যাট লিখিয়ে নিয়ে সবার পিন্ডি চটকিয়ে ফেলছি, এসব বলে খোঁটা দিবে আর আমি তা শুনে কেঁদে কেটে বুক ভাসাবো! নেভার, আমি ওই টাইপের মেয়ে না৷ অত নরম না। আমার সাথে কেউ ফাপোর দিতে আসলে আমি উলটা তাকে তা ফেরত দেই৷ এখন সে নিজেই থাকবে সারাদিন চরম ফাঁপরে। আগে মরতে হবে পরে বুঝতে হবে যা বললাম তা সত্য কি না।হা হা হা। দারুন হইছে, কাজ টা। ওয়েল ডান লাবু ওয়েল ডান।” বলে হাসতে হাসতে নিজের রুমে চলে গেল।

নানি ভীষন রকমের চিন্তায় পড়ে গেলেন ওকে নিয়ে।
চারপাশের বিচিত্র মানুষের বিচিত্র আচরন মোকাবেলা করা খুব কঠিন। সেখানে নিজেকে সংযত করে না রাখতে পারাটাইতো বিপদ।

সন্ধ্যার চা নাস্তা নিয়ে বসেছে সবাই। তখনই নানির মোবাইলে কল এল রেহেনা বেগমের। নানি কলটা রিসিভ করলেন
“হ্যালো আম্মা। ”
“হুমম বলছি।”
“আম্মা লাবন্য কি বলছে হোমাকে? ওতো অস্থির হয়ে আছে এখন। কি সব আবোলতাবোল বলতেছে। জামাইয়ের সাথে মোবাইলে তুলকালাম কান্ড বাঁধাইতেছে একটু পর পর । আমিতো কিছুই বুঝতেছি না। আমারতো এখন লাবন্যকে ধরে পিটাইতে ইচ্ছা করতাছে। এই মেয়েতো মেয়ে না এতো একটা…..”

“রেহেনা মুখে লাগাম দে। তুই কচি খুকি না। নানি হয়ে গেছিস, কি কথা তোর মুখে সাজে তা বোঝার মতো যথেষ্ট বয়স হইছে। কি হয় নাই?”

“আম্মা আপনে আমারেই বকতাছেন? ওই বদমাশটারে কিছু বলেন! হোমা দুদিন পর চলে যাবে আর এখন কি একটা অবস্থা হচ্ছে। ”

“কাকে কি বলতে হবে তা আমি জানি। হোমা ওকে কি বলছে, আর কেন বলছে তা জেনে তারপর তুই আমাকে জানাবি। তারপর আমি ওর সাথে কথা বলবো। হোমার কথা না শুনে আমি ওকে কিছু বলতে পারবো না। তুই অবশ্যই শুনবি, ও কি কি বলছে আর লাবু ওর কথার উত্তরে কি কি বলছে, বুঝছিস? মিথ্যা বলবি না আর কিছু পেটে কিছু মুখে এভাবে বলবি না। সবটা সত্য বলবি লুকাবি না কিছু । ঠিক আছে?”

“আম্মা আমি কি মিথ্যা বলি আপনার সাথে?”

“কিছু পেটে রেখে দিস। সেটাও বিপদজনক বিচারের ক্ষেত্রে। ”

“আম্মা রেশমাতো ওকে আদব কায়দা কিচ্ছুই শিখায় নাই। এখন আপনে একটু শিখান।”

“তোদেরকেই শেখাতে পারলাম না কখন কোথায় কি বলতে হবে আর এখন ওকে শিখাতে বলছিস? ভালোই বলছিস। আচ্ছা রাখ এখন চা খাব। ভালো থাকিস।” বলে কলটা কেটে দিলেন তিনি ।

লাবন্য পাশে বসে থেকে থেকে ফিক ফিক করে হাসতে লাগল। একবার দুইবার দেখে এরপর ননি রেগে গেলেন
“সবসময় ফাজলামো করবি না। এমন বদের মতে হাসছিস কেন?”
“বা রে, কেউ আমাকে কাঁদাতে চেয়েছিল এখন সে উলটা ঝামেলায় আছে তা শুনে বুঝি আমার আনন্দ হবে না? হওয়াটাইতো স্বাভাবিক। আমিতো আর ফেরেশতা না, জলজ্যান্ত একজন মানুষ। আমারতো এই ক্ষেত্রে একটু আনন্দ লাগতেই পারে তাই না?”

“তুই কি এভাবে রেশমাকেও জ্বালাতি?”
“হুমম”
“তাহলে জ্বালা আমাকেও জ্বালা।” বলে চায়ে চুমুক দিলেন তিনি।
লাবন্য আড়চোখে একবার নানিকে দেখে নিল। না তার চোখেমুখে বিরক্তের কোন ছাপ দেখতে পেলো না।আর তাতেই মনটা ভালো হয়ে গেল ওর।

রাতে এলেন বাসায় ফ্ল্যাট মালিক সমিতির সভাপতি। বিল্ডিংয়ে থার্টি-ফাস্টের আয়োজন করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা করতে। লাবন্য ওনাকে দেখে অবাক হয়ে গেল কারন এর আগে আর কখনও তিনি বাসায় আসেননি। আজ এতরাতে এভাবে আসাতে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়েগেল। ইচ্ছে ছিল দরজা খুলবে না। কিন্তু ওর নানি বললেন খুলতে। তিনি তখনও এশার নামাজ পড়ছিলেন জায়নামাজে বসে।
ভদ্রলোক ভেতরে এসে বসেই লাবন্যের সাথে কথা বলতে চাইলেন আর তাই ও নিজেও অন্য একটা সোফায় বসল। ফ্ল্যাটটার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে ওর আব্বু সম্পর্কে দু এক কথা বলতে শুরু করতেই ওর নানি এসে থামিয়ে দিলেন। লাবন্যকে ভিতরে পাঠিয়ে দিয়ে নিজেই কথা বলতে শুরু করলেন
“জি বলুন কি বলবেন? আমিই এখন ওদের অভিভাবক। ওদের নানু। ”

“জি আসসালামু আলাইকুম খালা। না মানে ওর আব্বুকে ইদানীং এখানে দেখি নাতো তাই সেই বিষয়ে জানতে চাচ্ছিলাম।”

“লিখনের নাম্বারটা নাই আপনার কাছে? আপনিতো সভাপতি তাইতো বললেন, তাই না? তবেতো আপনার কাছে ওর নাম্বার থাকার কথা। কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা থাকলে আপনি সরাসরি ওর সাথে কথা বলতে পারেন। শুধু শুধু এই বাচ্চাদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলারতো আমি কোনো দরকার মনে করছি না।”
“না মানে ভাইতো এখন আর এখানে থাকছেন না। তাই আর তাকে ডিস্টার্ব করতে চাইনি।”

“ও থাকুক আর না থাকুক। ওর প্রতিনিধিতো আছে। ওর সন্তানরা আছে, বাচ্চাদুটোর মা মারা গেছো কিন্তু এখনও ওদের আব্বু বেঁচে আছে। ওরা কিন্তু অভিভাবকহীন না কথাটা খেয়ালে রাখবেন। ওদের প্রতি ওদের আব্বুর অবশ্যই একটা দায়িত্ব আছে৷ আপনাদের কোন কথা থাকলে ওকেই জানাবেন।”

“না মানে আমরা একটা অনুষ্ঠান করব। সেখানে কি আপনারা থাকবেন কি না…”
” বিল্ডিংএর অনুষ্ঠান হলে অবশ্যই থাকব। থাকবো না কেন?”
“না মানে এখানে কিছু চাঁদা… ”
“হুমম চাদাতো থাকবেই, আপনি চাদার রশিদ পাঠিয়ে দিয়েন আমি দিয়ে দিব। ”
“জি খালা, ঠিক আছে আমি তাহলে আসি।”
“জি আসুন, আর একটা কথা বড়দের আলাপ আলোচনা বড়দের সাথেই হওয়া উচিৎ ওখানে ছোটদেরকে না টানাই ভালো।মনে রাখবেন বিষয়টা।”

“জি, জি খালা।” আসি বলে ভদ্রলোক মানে মানে বের হয়ে গেলেন বলে মনে হল তার।

লাবন্য নিজের রুমে বসে নিজের উপরই হাসলো একটু। মনে মনে বলল দুনিয়ার আর কত রং রুপ তুমি দেখাবা আল্লাহ তা তুমিই ভালো জানো।

চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here