#মেঘে_ঢাকা_চাঁদ (পর্ব ৪২)
সায়লা সুলতানা লাকী
“ইন্না-লিল্লাহ, লাবু তুই এইটা কি করলি? রুশ নানুভাই আমার, ব্যথা পাইছো তুমি?” লাবন্যের নানি চিৎকার দিয়ে উঠলেন। আর তখনই মনে হল লাবন্যের হুশ হল ও এই মাত্র কি কাজটা করেছে তার। ওর ভেতরে জমিয়ে রাখা ভয় যে ওকে এতটা আচ্ছন্ন করে রেখেছে তা ও বুঝতেই পারেনি। হঠাৎ করেই অপরাধ বোধ উদয় হল ভেতরে। রুশের দিকে তাকাতেই ওর অসহায় চোখগুলো মনের মধ্যে হাতুড়ি পেটানো শুরু করল। আচমকা রুশের হাতটা ধরে টেনে নিজের রুমে ছুটে গেল। ভেতরে ঢুকে দরজাটা আটকিয়ে দিয়ে ভাইকে বুকে জড়িয়ে ধরে হুহু করে কেঁদে উঠল। রুশ পুরোপুরি কলের পুতুল হয়ে গেল। লাবন্য যেভাবে টানছে সেভাবেই দুলছে। নিজে অনেকটা স্তব্ধ হয়ে গেছে। কোনো রকম রিয়েক্ট করতে ভুলে গেছে বলে মনে হল। চড়টা খেয়েও কাঁদছে না শুধু অবাক চোখে বোনের অস্থিরতা দেখছে।
রুশকে নিয়ে রুমে যেতেই লিখন ভয় পেয়ে গেল। কি করে আবার রুশের সাথে? এমন চিন্তায় নিয়ে বসে থাকতে পারল না উঠে দরজায় নক করতে লাগলো “লাবু, লাবু মা আমার দরজাটা খোল। আমার কথা শোন। পুরো কথাটাতো একবার শুনবিতো! পুরোটা শোনা উচিৎ তোর, তাই না? মা লাবু দরজাটা খোল। মারে মাথাটা একটু ঠান্ডা কর। আমি তোদের বাবা বেঁচে আছি এখনও, তোরা এতিম না। মা শোন দরজাটা খোল।”
লাবন্য তখনও রুশকে বুকে চেপে ধরে হাউমাউ করে কাঁদছে। লিখনের কোনো কথাই ওর কান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছে না। আস্তে করে রুশ বোনের বুক থেকে মাথাটা উঠিয়ে বলল
“আপু, আব্বুু দরজাটা খুলতে বলছে, আমি খুলে দেই?”
“রুশ ভাইরে , তুইতো আব্বুর ভাগ কাউকে দিতে চাইতি না। এখন দেখ আব্বুই তোর আব্বুর ভাগ অন্যকে দিয়ে দিচ্ছে। আমাদের আব্বু আর শুধু আমাদের রইল না।”
“লাবু মা আমার কথাটা শোন, একটু দরজাটা খোল।”
এবার রুশ লাবন্যের বাহুবন্ধনী খুলে বের হয়ে দরজাটা আস্তে করে খুলে দিল।
লিখন এগিয়ে এসে লাবন্যকে জড়িয়ে ধরতে চাইলো কিন্তু ও ওর আব্বুর হাতটা সরিয়ে দিল ধাক্কা দিয়ে। তারপরও লিখন জোর করে মেয়ের হাত ধরে পাশে নিয়ে বসালো
“লাবু, মাই লাভ। আগে আমার কথাটা শোন তারপর কষ্ট নিস। কথা না শুনেই শুধু শুধু কেন কষ্ট পাচ্ছিস বোকা মেয়ে। আমি লিখন তোর আব্বু এখনও বেঁচে আছি। তারপরও কেন নিজেকে এতিম ভাবছিস? মানলাম আমি নির্বোধের মতো একটা ভুল করে ফেলছি। তাই বলে কি আমি বারবার ভুল করব? তুই আর রুশই যে আমার জীবনের সব। তোরা ছাড়া যে আমি একেবারে শূন্য। তোরা আমার সন্তান, তোদের প্রতি আমার যেমন দায়িত্ব আছে ঠিক তেমনি আমার মা আমার গর্ভধারিনীর প্রতিও দায়িত্ব আছে। মা শুধু আমার একা না অন্যদের ও। তাই বলে অন্য কেউ দেখছে না এই ভেবেতো আমি আমার দায়িত্ব ভুলতে পারি না। বরং তখন আরও বেশি দায়িত্ব বেড়ে যায় যখন দেখি আমি ছাড়া আর কেউ দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে না । আমি বিয়েটা করেছিলাম সংসারটাকে আবার আগের মতো সচল করতে। সবাই মিলে চাপ দিলো বলল তোরাও একসময় মেনে নিবি। আম্মার কষ্টটাই তখন খুব বেশি ভোগাচ্ছিল মনে। নিজের পেটের সন্তানদের আচরন তার মায়ের প্রতি এতটা যে খারাপ হতে পারে তা সামনে থেকে না দেখলে বোঝা যায় না। আমি বিয়েটাতো করলাম কিন্তু তার আগে বেশ কিছু শর্ত দিয়েছিলাম মেয়ে পক্ষকে। ওরা সব শর্ত মেনে নিল। তাদেরও কোন উপায় ছিলো না। যাকে বিয়ে করলাম তার বয়স চল্লিশ। তার বিবরন আর তোকে না’ই দেই। বিয়ের পর আমার জীবনটা যে এমন হয়ে যাবে তা বুঝতে পারিনি। তোদের প্রতিই যখন আমার পুরো ধ্যান তখন ওই দিকটায় আবার সেই পুরোনো ধাঁচে চলতে শুরু করে দিল সেদিকটায় আর তাকাইনি ফিরে । সবাইতো আর রেশমা হয় না যে মুখ বুঝে সহ্য করবে। সমস্যা একটু একটু করে বড় হতে শুরু করল। আমি রেশমার প্রতি সত্যি সত্যিই বড় অবিচার করেছি। এই পাপ আমাকে দুনিয়া আর আখেরাতে ভোগাবে তা নিশ্চিত। তাই নতুন করে আর পাপ করতে চাইলাম না। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সরিয়ে দিলাম দুই গ্রুপকে দুইদিকে।
এতদিন আমি এখানে থেকে দুজনকেই এভয়ড করেছি সমানতালে। তাদেরকে তাদের প্রয়োজন আর অবস্থান ঠিক করতে সময় দিয়েছি। এসব কথা কেন তোকে বলছি হয়ত তোর ভেতরে এমনই প্রশ্ন উঠছে তুই খুব বিরক্ত হচ্ছিস, হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমি হলেও তাই হতাম। কিন্তু মা তোর বাবা একটা ভুল করছে সত্য এখন সেই ভুলটাকেতো আর অস্বীকার করা যাবে না। এগুলোর মধ্যেই চলতে হবে।”
“কি বলতে চাও তুমি? তোমার ভুল নিয়ে তুমি থাকো। এসব নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নাই। আমরা কেন এগুলোকে সাথে নিয়ে চলবো?”
“তোদের মাথা ব্যথা হোক তা’ও আমি চাই না। তোরা ভালো থাক সেটাই আমার কাম্য। তোদের মাঝে যাতে আমার ভুল কখনও না আসে সেই ব্যবস্থা করতেই গিয়েছিলাম। আমি সেই সুখবরটাই দিতে এসেছিলাম। মা তার বৌয়ের সাথে মিলেমিশে থাকতে সম্মতি দিয়েছেন, দুজনই দুজনের সাথে মিলেমিশে থাকতে চাচ্ছেন এটা আমার জন্য একটা সুখের খবর। আমাকে আর মা বা সংসার নিয়ে চিন্তা করতে হব না। আমি আমার সন্তানদের সময় দিতে পারব নিশ্চিন্তে। আমি তাই বলতে চাচ্চ্ছিলাম। কিন্তু তুই কি বুঝতে কি বুঝলি…..”
“এসব কথা আমাকে শোনানোর কোনো প্রয়োজন নাই। কে কোথায় থাকবে তা দিয়ে আমি কি করব? আমরা আমাদের অধিকারে কারো হস্তক্ষেপ মেনে নিতে পারব না, পারি না। ”
“না তুই কিছুই করবি না। তবে…..”
“লিখন তুমি তোমার রুমে যাও আমি লাবুর পাশে আছি। তুমি যাও রুশকে নিয়ে যাও।” লিখনকে থামিয়ে দিয়ে বললেন লাবন্যের নানি।
“জি আম্মা।” বলে লিখন রুশকে জড়িয়ে ধরে চলে গেল নিজের রুমে।
“লাবু এইটা তুই কি করলি? পুরো ঘটনাটাতো একবার জানার দরকার ছিলো। ছিলো না?
হুট করেই মাথাটা এমন গরম হয়ে উঠলো কেন তোর? কোনো কিছুই কি ইতিবাচকভাবে চিন্তা করতে পারিস না?”
“নানি আব্বু যেদিনই বিয়েটা করেছে সেদিন থেকেই আমি ভয়ে আছি, কবে আব্বু তার সুখবর শোনায়। তার নতুন কোনো বেবি আসবে পৃথিবীতে তার প্রতিনিধিত্ব করতে। আমরা তখন তার জীবন থেকে আউট হয়ে যাবো আস্তে আস্তে । আমাকে নিয়েতো ভাবি না, তবে এমন হলে রুশ অনেক কষ্ট পাবে। এমন কষ্ট কি ও সহ্য করতে পারবে? ওযে ছোট থেকেই আব্বুর নেওটা। আব্বু হলে ওর আর কিছু লাগে না। একবার ভাবোতো আব্বুর যদি এখন একটা ছেলে হয় তখন আব্বু কি আর রুশকে এইভাবে সময় দিবে?”
“না দিবে না, দিতে চাইলেও পারবে না। এটাই স্বাভাবিক, এটাই জীবন। এগুলোকে যত সহজে মেনে নিতে পারবি ততটাই ভালো থাকবি। রুশের জন্য তুই আছিস, আমি আছি, হিমেল আছে। সবাই মিলে চেষ্টা করব ওর অপূর্ণতাকে আদর ভালেবাসা দিয়ে ভরে দিতে। জীবন থেমে থাকে না। এই যে রেশমা চলে গেছে তাতে কি কারো জীবন থেমে আছে? সাময়িক কিছু অসুবিধা শুধু সৃষ্টি হয়েছে, এইটুকুই। এটাই জীবন এটাই বাস্তবতা। লিখনের বৌ মরেছে ও বিয়ে করে বৌ নিয়ে পূর্ণ করেছে ওর জীবন। তোর দাদিও সেইম। তোদের মা নেই তাই হয়ত সে জায়গারায় নানিকে এনে দিয়েছেন। কিন্তু কোনো কিছুতো থামিয়ে রাখেননি আল্লাহ । রেখেছেন কি?”
“আমরা আমার আব্বুর পাশে আমার মা ছাড়া আর কাউকে চিন্তা করতে পারি না। আমাদের আব্বুকে আমরা ছাড়া আর কেউ আব্বু ডাকবে তা ভাবতে পারি না। এরজন্য যদি কেউ আমাকে স্বার্থপর বলে বলুক। আমি এতটা উদার না। আমি আমার জিনিস শুধু আমারই হবে তাই চাই।”
“এই ঝামেলা হওয়ার পর লিখন চেয়েছিলো ডিভোর্স দিবে। আমি মানা করেছি। আমার মেয়েটার সাথে অন্যায় হয়েছে, অন্য কোন মেয়ের সাথেও হোক তা আমি চাই না। যে মেয়েটার সাথে লিখনের বিয়ে হয়েছে সে এখন লিখনের স্ত্রী। তার পূর্ণ হক আছে লিখনের সাথে সুখে থাকার। তার হককে নষ্ট করার অধিকার কারো নাই। তোরও নাই। একটা সময় তুই বিয়ে করবি, রুশ নিজের জগতে ব্যস্ত হবে তখন লিখন একা হয়ে পড়বে। সেই সময়টাতে ওর সঙ্গী দরকার হবে। তখন যদি ওর সঙ্গীর কথা ভাবি তবে এখন কেনো নয়। এখন হওয়ায় ও ওর মা’কে নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকছে এটাতো সত্য। তবে কেন আমরা বাঁধা দিব?
লিখন থাক ওর জীবন নিয়ে হাসিখুশি। এতে আমাদের কোনো সমস্যা নাই। আমরা যা হারিয়েছি তা হারিয়েছিই। তা আর ফিরে পাবো না। এখন যা আছে তার মধ্যেই নিজেদেরকে ভালো রাখার চেষ্টা করব। ভালো রাখার মালিক আল্লাহ। নিশ্চয়ই আল্লাহ উত্তম প্রতিদান কারি। পরের মেয়ের সুখ নষ্ট হোক, হক নষ্ট হোক তা যখন চাইলাম না তখন নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার মেয়ের সুখ, হকও ঠিক রাখবেন। সেই বিশ্বাস আমার আছে। সব কিছু ভালো ভালো চিন্তা কর। শুধু নাই নাই ভাবিস না। কি আছে তা খুঁজে দেখ। যা আছে তার যত্ন কর।”
“আব্বু মরে গেলে কি আমাদের জীবন এমন হতো?”
“মায়েরা হচ্ছে ঘরের স্তম্ভ। বাবারা ছাঁদ। ছাঁদ সরে গেলে স্তম্ভ তার উপরেই ঘরটাকে দাঁড় করিয়ে রাখে। ঘরটা উড়ে যায় না। কিন্তু স্তম্ভ ভেঙে গেলে ছাদ আর কোনো কাজেই লাগে নারে লাবু।”
“নানি রুশকে যে আজ আমি মারলাম…..”
“হুমম, তুই বড় বেশি ডিপ্রেশনে আছিস।হিমুকে বলব তোকে নিয়ে কোনো কাউন্সিলরের সাথে কথা বলার জন্য। ”
“মানে?”
“হুমম ওতো এমনই কিছু বলল।”
“কে তোমার হিমু? ও কি আমাকে অসুস্থ ভাবে?”
“উঁহু , ও না আমি। আমি তোর চোখেমুখে মাঝে মাঝে এতটা বিষাদ দেখি যে আমি ভয় পাই।”
“জানো নানি, আম্মু ছিলো আমার শক্তির আদার, আমার খুশির খনি, ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাসের স্তম্ভ। আম্মুর এমন করে চলে যাওয়াটা আমি মন থেকে মানতে পারি না। আমার শুধু মনে হয় আম্মু মরে নাই আম্মুকে হত্যা করা হয়েছে। প্রথমে আম্মুর হাসিখুশি জীবনটাকে, তারপর বিশ্বাসকে, তারপর ভালোবাসাকে তারপর……”
“চুপ কর, আর বলিস না। এসব ভুলে যা। এসব বলে কি তুই আমাকেও খুনি বানাতে চাস? আমরা যে সবাই ওর আসামি ছিলাম। আয়নায় দাঁড়াতে পারি না। নিজের চেহারা নিজে চোখই যেনো আমার বড় শত্রু। তাই এখন চোখ বুজে মনকে বলি, রেশমা তুই তোর মা’কে ক্ষমা করে দিস। আমার আকাশে একদিন একটা চাঁদ হয়ে এসেছিল ও, যে কি না অসময়েই মেঘে ঢেকে গেছে। এই মেঘ ঘন কালো মেঘ। এই আকাশে বাতাস নেই তাই এই মেঘ স্থির, চারপাশ সব বরফ শীতল হয়ে আছে। তাইতো আমি তোদের মাঝে শুধু সূর্য খুঁজে ফিরি। যদি তোদের মাঝে একটু আলোর দেখা পাই, যদি একটু উত্তাপ পাই। হয়তো খুঁজতে খুঁজতে একদিন আমিও মেয়ের মতো বরফ শীতল হয়ে যাবো কোন মেঘের আড়ালে ডুবে। হয়তো তখন রেশমা আমাকে কাছে টেনে নিবে। আমাকে ক্ষমা করবে।”
“প্লিজ নানি এবার তুমি থামো। আর কিছু বলো না। আমি আর কখনওই এসব কথা বলবো না। তুমি অন্তত আমাদের পাশে থাকো। তুমি অন্তত চলে যাওয়ার কথা বলো না।”
“অন্তিম আলে যাওয়াটা কারউ হাতে নাইরে। ডাক আসলেই যেতে হবে। তাই চাই না আমাকে দিয়ে কোন খারাপ কাজ হোক। সব ডিসিশন আবেগ দিয়ে নিতে পারি না, বিবেক বাঁধা দেয়।”
“তুমি তাই করো যা তোমার বিবেক বলে। আমি আর কোনো কথা বলবো না। এখন থেকে তোমার সব কথা মেনে চলব। তুমি যা বলবে তাই মেনে নিব।”
“তবে এখন থেকে শুরু কর। পারবি? লিখনের সাথে স্বাভাবিক আচরন করতে পারবি? রুশকে সরি বলবি৷ লিখনকেও বলবি। হুট করেই মাথা গরম করবি না। যা তোর তার হেফাজত করবি কিন্তু অন্যের জিনিসে হাত দিবি না। ”
“না দিবো না।”
“কোনো একদিন যদি শুনিস লিখনের বাচ্চা হবে তখন কোনো সিনক্রিয়েট করবি না। ওটা ওর বৌয়ের অধিকার এটা মনে করে নিজে সংযত থাকবি।”
“হুমম থাকব। থাকতে হবে।” বলে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।
“ঠিকই বলেছো এসব ভেবে মনটাকে ভারি করাটা বোকামি। এখন মনটাকে অনেক হালকা লাগছে।”
“জীবন একটাই জীবনকে সহজ কর।”
“ও কে ডার্লিং লাইফটা ভেরি ইজি।” বলে হা হা হা করে হাসতে লাগল।
রাতে হিমেলের কল আসল লাবন্যের মোবাইলে। লাবন্য রিসিভ করে চিৎকার করে উঠল
“এই তুমি নানিকে কি বলছো? হ্যে আমাকে কোন কাউন্সিলের কাছে নিতে চাইছে?”
“হুমম নিতে চাইছি, যাতে যে কোনো বিষয়কে নিয়ে ইতিবাচক চিন্তা করতে পারোছ।”
“আমি ইতিবাচকই চিন্তা করি। তোমার মতো না।”
“হুমম, আমার মতো না। আমার মতো ঝামেলায় পড়ে দেখ তখন বুঝবি কেমন অবস্থায় আছি।”
“কেন আবার নতুন কি হল?”
“ছোট আপুর ফ্যামেলিতে খুব ঝামেলা হচ্ছে। যৌথ পরিবারের ঝামেলা লাগলে সব যৌথ ভাবেই লাগে। ছোট আপু মনে হয় খুব একটা ভালো নাই। আপুর ননাস ননদরা ওখানে যাওয়ার পর থেকেই নাকি ঝামেলা শুরু হইছে। আম্মুকে দেখলাম খুব কাঁদতেছে। বাসায় খুব থমথমে আবহাওয়া বিরাজ করছে।”
“ইন্না লিল্লাহি ! একি অশান্তি আবার শুরু হল ছোটাপুর সাথে, আল্লাহ রহম কর। তুমি এখন আমার সাথে কথা না বলে যাও খালামনিকে স্বান্তনা দাও। খালামনিকে কাঁদতে মানা কর।” কথাটা বলে কলটা কেটে দিল লাবন্য।
চলবে