অভ্রভেদী_প্রণয় পর্ব_১৮

গল্পের_নাম : অভ্রভেদী_প্রণয় পর্ব_১৮ ( #crazy_for_you )
লেখনিতে :#মিমি_মুসকান

নিশি ঘরে এসেই সোজা বেডরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকে। তার মাথায় কিছুই ঢুকছে না কি হচ্ছে এইসব তার সাথে। এরকম’টা কি আসলেই হওয়া উচিত ছিল তার সাথে।‌

ফোন’টা হাতে নিয়ে একবার ভাবে জিসান’কে কল করবে, বলবে সব। ‌আমার কি মনে করে কল করে না। থাক দরকার কি এইসব ঝামেলা’র কথা ওকে বলা’র । হয়তো কিছু দিন এভাবেই ঠিক হয়ে যাবে।‌ তাই আর কিছু বললো না জিসান’কে।

মা এসে কতোবার দরজা ধাক্কাল কিন্তু নিশি খুলল না কিছু ভালো লাগছে না তার। খেতে ডাকলেও খেতে গেলো না। চুপচাপ শুয়ে ছিল খানিকক্ষণ।
হঠাৎ করেই ফোনের স্কিন’টা জ্বলে ওঠল। তা দেখেই হাসি ফুটে উঠল নিশি ‘র মুখে। জিসান কল করেছে বোধহয়।‌হ্যাঁ কল’টা জিসানের’ই ..
বেশি কিছু না ভেবে চট করেই কল’টা রিসিভ করে নিশি। ওপাশ থেকে শুধু প্রিয় মানুষ’টা গলার আওয়াজ শোনার অপেক্ষা।

“জিসান : উহুম উহুম..

“নিশি : এই উহুম উহুম এর মানে কি?

“জিসান : কল রিসিভ করে কথা বলছিস না ভাবলাম মরে গেছিস তাই

“নিশি : ওহ্ আমি মরে গেলে তুই বরং অনেক খুশি হবি..

“জিসান : দেবো না তোকে একটা! আমি কি এই কথা বলেছি নাকি!

“নিশি : তাহলে..

“জিসান : কিছু না তোর ওই গোবর ভরা মাথায় ওইসব ঢুকবে না!

“নিশি ‌: ঠিকই বলেছিস! আমার মাথায় তোদের সব বড় বড় মানুষের কথা ঢুকবে না!

“জিসান : উফ বোর ফিল করছি!

“নিশি : কেন?

“জিসান : তুই আমার গফ! কোথায় একটু প্রেমালাপ করবো তা না করে কি করছি!

“নিশি : কি করছি?

“জিসান : কিছু না! এইজন্য বলে বেস্ট ফ্রেন্ডদের সাথে রিলেশন করতে নেই!

“নিশি : তা তুই কেন করলি! না করলেই পারতি..
বলেই কল’টা কেটে দেয় নিশি। জিসান বুঝতে পারে ওর অভিমান হয়েছে তাই বেশি কিছু না ভেবে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে যায় নিশি’র বাসায়।
.
বিকাল ৫ টা…
ঘুমিয়ে আছে নিশি, বিছানার পাশে ফোন’টা কখন থেকে বেজেই যাচ্ছে কিন্তু রিসিভ করছে না সে। কারন ফোন’টা জিসানের..
অভিমান হয়েছে ওর ওপর তাই আজ আর কথা বলবে না। অনেকক্ষণ ফোন বাজার‌ পর রিসিভ করল নিশি!

“জিসান : দু’মিনিট দিচ্ছি! তাড়াতাড়ি বের হয়ে নিচে আয়..
বলেই কল’টা কেটে দেয়। নিশি বিরক্ত মাখা মুখ দিয়ে একটু আয়নায় তাকায় ঠিকঠাক আছে সব আর কি করবে।
নিচে নেমে এসে দেখে জিসান গাড়িতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নিশি’কে দেখেই জিসান এক হাত ধরে গাড়িতে বসায়। তারপর নিজেও গাড়িতে বসে গাড়ি ড্রাইভ করতে থাকে।‌ দুজনেই চুপ, কারো মুখে কোনো কথা নেই।
নিশি নিরবতা ভেঙ্গে বলে..

“নিশি : কোথায় যাচ্ছি!

“জিসান : মরতে..

“নিশি : তা‌ মরার পর কোথায় যাবো বলে ঠিক করলি জান্নাতে না জাহান্নামে!

“জিসান : যেখানে দুই চোখ যায়.. ( দাঁতে দাঁত চেপে )

“নিশি : আচ্ছা…
পুরো কথা বলার আগেই জিসান ‌বলে..

“জিসান : আর একটা কথা বললে তোর মাথা ফাটাবো.. চুপ একদম চুপ!
.
নিশি জিসানের ধমকানি শুনে আর কিছু বলে না। চুপচাপ‌ বসে থাকে। খানিকক্ষণ পর গাড়ি’টা থামে। জিসান গাড়ি থেকে নেমে নিশি’কে গাড়ি থেকে নামতে বলে।‌ নিশি গাড়ি থেকে নেমে তাকিয়ে দেখে একটা শপিং মল। নিশি একটু অবাক হয়ে জিসানের দিকে তাকাতেই জিসান হাত ধরে নিশি’কে শপিং মলে নিয়ে যায়।

“নিশি : এখানে কেন আমরা!

“জিসান : আমরা নতুন কাপল না তাই ভাবলাম তোকে শপিং করাই তাই!

“নিশি : ওহ্ ।
.
জিসান প্রতিউওরে আর কিছু বলে না। দুইজন মিলে শপিং করে। কিন্তু নিশি’র যেন মোটেও এইসব ভালো লাগে না। নিশি চেয়েছিল জিসানের সাথে একটু নিরব পরিবেশে থাকতে। যেখানে শুধু প্রকৃতি থাকবে আর থাকবে তাদের ভালোবাসা। এই এরকম একটা পরিবেশে তার ভালো লাগছে না কিন্তু সে কথা বলতে পারছে না নিশি জিসান’কে।
হঠাৎ করেই আর্বিভাব হয় ওদের তিন ফ্রেন্ড দের মানে মেহেদী,রোদ্দুর আর আরিফা।
এখন সবাই মিলে আবারও ঘুরতে থাকে।

“আরিফা : তা আজ অফিসে গেলি না কেন? কি মনে করে ছুটি নিলি!

“মেহেদী : হ্যাঁ সেদিন তো বলেছিলি আসতেই পারবি না নবীন বরণ’এ । কতো কষ্ট করে সেদিন আনলো তোকে?!

“রোদ্দুর : আর সে নাকি সকালে নাকি ভুলেই গেছে কেন ভার্সিটিতে আসবে..

“আরিফা : আমাকে দেখে তো বলেছিলো পালিয়ে বিয়ে করতে যাচ্ছি!

“মেহেদী : বইন এগুলা তোর দ্বারাই সম্ভব!
বলেই সবাই জোরে হেসে দিলো। এতে নিশি অনেক’টা লজ্জা পেলো । আসলেই লজ্জা পাবার’ই কথা। যাই হোক অনেক ভালো একটা সময় কাটলো সবার সাথে। সকালের ঘটনা’র পর এরকম একটা ভালো মূহুর্ত আসলেই মন’টা ভালো করে দেয়।‌ নিশি চাইলো সবাইকে একবার সকালের কথা বলতে কিন্তু সবার এতো ভালো একটা মূহুর্ত সে কোনোভাবেই খারাপ করতে চায় নি তাই আর কিছু বলে নি।

শপিং শেষ করে সবাই বের হতে নেয় এমন সময় নিশি লক্ষ্য করে আরিয়ান আর ইশা এক সাথে শপিং মলে! ইশা আরিয়ান এর হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছে ( নিশি কিন্তু আগে থেকেই আরিয়ান’কে চেনে )
নিশি অনেকটা অবাক হয়। অবাক হয়েই আরিফা’র দিকে তাকায় আর আরিফা দিকে তাকায়।
তখন খেয়াল করে আরিফা আরিয়ান এর দিকে তাকিয়ে আছে। আরিয়ান আর আরিফা’র দু’জন চোখাচোখি হয়ে যায়। আরিয়ান আরিফা’র দিকে তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নেয়। আরিফা নিশি’র দিকে তাকাতেই আরিফা চোখ নামিয়ে নেয়। ওর আর চোখ তোলার সাহস নেই কারন এই চোখের ভাষা আর কেউ না বুঝলেও নিশি ঠিক’ই বুঝবে। আরিফা’র চোখ ছল ছল করছে, কষ্টে তার চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে কিন্তু সে নিরুপায় কিছু করার নেই তার। নিশি আরিফা’র কাঁধে হাত রেখে বলে..
“নিশি : চল আইসক্রিম খেয়ে আসি!

“আরিফা : ( কোনোমতে হাসি দিয়ে ) চল..

“মেহেদী : ( আরিয়ান এর দিকে ইশারা করে ) আরে ওইটা আরিয়ান স্যার না!

“রোদ্দুর : দেখি দেখি হ্যাঁ তাই তো! আরিফা তোর math teacher দেখ একবার!

“জিসান : এই তোরা ফাজলামি করা বন্ধ করবি!

“নিশি : এই‌ math teacher এর কেস টা কি?

“রোদ্দুর : শোন…. ( সব বললো )
.
নিশি সব শুনে হা হয়ে গেল। আরিফা’র দিকে তাকাতেই আরিফা মুচকি হাসি দিয়ে বলল..

“আরিফা : ইন্টারেস্টিং নাহ!

“নিশি : তুই এতো কিছু’র পর ও হাসছিস কিভাবে?

“আরিফা : বাদ দে না ইয়ার এইসব পুরোনো ঘটনা!

“নিশি : কিন্তু…

“আরিফা : বললি না আইসক্রিম খাওয়ার কথা চল খাবো!
.
আরিফা নিশি’কে টেনে নিয়ে আইসক্রিমের দোকানে চলে গেলো । তারপর সবাই মিলে আইসক্রিম খেলো কিছুক্ষণ আড্ডা ও দিলো।‌ সন্ধ্যার আগেই জিসান নিশি’কে বাসায় দিয়ে আসে।‌
.
নিশি বাসায় এসে এখন অনেকটাই ভালো লাগছে তার। বাসায় এসেই প্রথমে শাওয়ার নিতে যায় নিশি।
শাওয়ার নিয়ে এসে ঘরে ঢুকে অবাক হয়ে যায় নিশি। নিশান তার বিছানায় পা টান হয়ে উপর হয়ে শুয়ে আছে আর তার হাতে নিশি’র টেডি বিয়ার। টেডি বিয়ার এর গাল ধরে টানাটানি করছে।‌
.
নিশি কতোক্ষণ নিশানের দিকে হা হয়ে তাকিয়ে থাকে তখনই ফারহানা বেগম এর আওয়াজ আসে। নিশি’র এবার হুশ‌ ফিরে রুমের দরজা খোলা। যদি মা রুমে এসে নিশান’কে দেখে নেয় তো!
নিশি দৌড়ে দরজার লক করে কিন্তু নিশানের এতে কোনো ভাবান্তর নেই। সে আগের মতোই শুয়ে আছে টেডি বিয়ার নিয়ে। নিশি কোমরে হাত রেখে নিশানের সামনে দাঁড়াল ।

“নিশি : কি হচ্ছে কি? আপনি এখানে কি করছেন আমার ঘরে! আর আসলেন কিভাবে আর এসেছেন কেন বলুন?
.
নিশান এবার নিশি’র দিকে তাকাল।
মাত্র শাওয়ার নিয়ে বেড়িয়েছে নিশি। বেগুনি রঙের একটা লং টপস আর জিন্স করা নিশি। শরীরে এখনো বিন্দু বিন্দু পানি জমে আছে । মাথা’র চুল থেকে এখনও টুপ টুপ করে পানি পরছে। নিশান নিশি ‘র দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু নিশি তো কোমরে হাত রেখে বকবক করছি যাচ্ছে উনি এখানে কেন?

নিশান চট করে উঠে নিশি’কে খাটে বসিয়ে দেয় আর নিজে উঠে দাঁড়ায়। নিশি অনেকটা ভয় পেয়ে যায়। নিশান তোয়ালে নিয়ে এসে নিশি’র সামনে দাঁড়িয়ে ওর মাথা মুছতে থাকে। নিশি মাথা উঁচু করে নিশান’কে দেখতে গেলে নিশান নিশি’র মাথা আবার নিচু করে দিয়ে বলে..

“নিশান : আমাকে দেখার অনেক সময় পাবে। পালিয়ে যাচ্ছি না আমি!

“নিশি : ….. ( নিশ্চুপ )

“নিশান : এতো রাত করে শাওয়ার নিলে যে সারাদিন কি করলে? ( নিশি’র চুল মুছতে মুছতে )

“নিশি : ( নিশানের কথা শুনে নিশি”র হার্টবিট বেড়ে যায়। মনে পরে যায় গাড়ি থেকে নামবার আগে’র কথা। নিশান ওকে মানা করেছিল জিসান’র কথা ভাবতে। আজ আর সারাদিন সে জিসানের সাথে’ই ছিলো। এখন যদি কিছু করে তার সাথে )

“নিশান : মাথা’টা ঠিক মতো মুছনি কেন? বাচ্চাদের মতো ভেজা চুল নিয়ে ঘুরবে শেষে ঠান্ডা লেগে যাবে। ( নিশি’র চুল মুছা শেষ করে )

“নিশি : আমি বাচ্চা না।

“নিশান : হ্যাঁ জানি আপনি বাচ্চা না তার চেয়েও বড়ো’টা! ( নিশি’র নাক টেনে )

“নিশি : আপনি ওইসব কথা বাদ দিয়ে আমাকে বলুন এখানে কি করছেন! ( নিশানের সামনে দাঁড়িয়ে )

“নিশান : ( তোয়ালে টা রেখে নিশি’র দিকে তাকিয়ে ) সাহস আছে বলতে হবে তোমার! আমাকে আবার প্রশ্ন করছো তুমি?

“নিশি : দেখুন এটা আমার বাসা তাই এখানে আমার মর্জি চলবে আর কারো না।

“নিশান : ( নিশি’কে এক টানে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়ে ) তাই নাকি জান পাখি! ( নিশি’র ঘাড়ে মুখ গুজে দিয়ে )

“নিশি : ( নিশানের হঠাৎ এভাবে ছোঁয়াতে তার কাঁপা কাঁপি লেগে যায়। শরীর জমে যাচ্ছে পুরো। কোনো শক্তিই পাচ্ছে না যে নিশান’কে সরাবে সে। তার মধ্যে নিশানের সেই নেশা ভরা জান পাখি ডাকটা নিশি’কে আরো অস্থির করে তুলছে )
.
নিশি ধাক্কাতে থাকে নিশান’কে কিন্তু একটু সরাতে পারেনি তাকে।
“নিশি : ক..কি..ক.. করছেন কি সরুন এখান থেকে, নাহলে কিন্তু আমি চিৎকার করবো!
.
নিশান এবার মুখ তুলে নিশি’র দিকে তাকিয়ে ওকে ধপাস করে বিছানায় ফেলে দেয়। হঠাৎ এমন কিছু হওয়াতে নিশি কিছু’ই বুঝতে ওঠার আগেই নিশান নিশি’র ওপর আধশোয়া অবস্থায় শুয়ে পরে।‌তার নিশি”র ঘাড়ে নাক দিয়ে স্লাইড করতে করতে বলে..

“নিশান : চিৎকার করো! আমার ভালোই হবে সবাই ধরে বেঁধে তোমার সাথে আমার বিয়ে দিয়ে দেবে।

“নিশি : আপনি এমন কেন করছেন? ছাড়ুন আমাকে..

“নিশান : জানো জান পাখি কাল সারারাত আমি ঘুমাই নি প্লিজ এখন আমাকে একটু ঘুমাতে দাও ( নিশি’র ঘাড়ে মুখ গুজে )

“নিশি : স্যার শুনুন!! ( নিশি’র পুরো কথা শেষ হওয়ার আগেই নিশান ঘুম )
.
নিশি’র কথার কোনো লাভ’ই হয় না কারন নিশান এর আগেই ঘুমিয়ে গেছে। নিশি অনেক কষ্টে নিশান’কে সরিয়ে বেরিয়ে আসল। নিশান এখন ও ঘুমাচ্ছে।
“নিশি : কি ঘুম রে বাবা! এখনও ঘুমাচ্ছে.. ( একটু ধাক্কা দিয়ে ) উঠছেও তো না। আর না ওঠাই ভালো নাহলে আবার আমার সাথে কিছু করে ফেলবে।
নিশি মেঝেতে বসে খাটে মাথা রেখে তাকিয়ে আছে নিশানের দিকে। এভাবে তাকিয়ে থাকতে থাকতে একসময় ঘুমিয়ে পরে নিশি।
.
সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের বিছানায় নিজেকে আবিষ্কার করে নিশি। ঘুম থেকে ওঠেই আশপাশ দেখছে কিন্তু কাউকে খুঁজে পাচ্ছে না। তার মানে কি এটা স্বপ্ন ছিলো। কিন্তু কাল তো আমি মেঝেতে শুয়েছিলাম এখন খাটে আসলাম কিভাবে?
আবারও আশপাশ তাকাল নিশি। বেলকনির দরজা খুলা তার মানে কি নিশান চলে গেছে। নিশান বিছানা থেকে উঠতেই পাশে থাকা টেবিলে চোখ যায় তার। সেখানে একটা চিরকুট আছে। নিশি সেটা নিয়ে পড়তে শুরু করে..

” গুড মর্নিং জান পাখি! ঘুমিয়ে ছিলে তুমি তাই তোমাকে আর ডাকলাম না। জানো তোমার সেই ঘুমন্ত মুখ’টা অনেক ভালো লাগে আমার কাছে। আজ মন ভরে দেখছিলাম তোমায়। যাই হোক আমাকে খুঁজো না আমি চলে এসেছি। তুমিও রেডি হয়ে অফিসে চলে আসো তোমার অপেক্ষায় আছি আমি। টা টা জান পাখি! ”
.
নিশি চিরকুট দেখে কতোক্ষণ থম মেরে বসে রইল।
“নিশি : আচ্ছা লোক’টা কি পাগল নাকি! এরকম পাগলামি কেন করছে আমার সাথে। উনি কি বুঝতে চাইছেন না আমি জিসান’কে ভালোবাসি! কেন করছেন উনি এরকম..
আর ভাবতে পারে না নিশি। বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হতে চলে যায় সে। যাই হোক এখন তো অফিসে যেতে হবে কিন্তু অফিসে শান্তিতে থাকতে দেবে তো তাকে নিশান।

চলবে…..
আগের পর্বের লিংক
https://www.facebook.com/groups/371586494563129/permalink/389343252787453/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here