#ইসলামিক_গল্প #ISLAMIC_STORY
===========================
❝ ফিরে_আসা ❞
———————-
লেখিকা- Umma Hurayra Jahan
পর্ব- ৩২
ফাতেমা, মেহেঘ আর জান্নাত বেগম আরো কিছুক্ষন আলাপ করলো।
জান্নাত বেগম আর উনার স্বামী আলাপ করে এশার আযানের আগে চলে গেল।
ফাতেমা হেন্সিকে ফোন দিলো।
ফাতেমা – আস সালামুআলাইকুম।হেন্সি কেমন আছিস?
হেন্সি- আলহামদুলিল্লাহ ভালো।তুই ??
ফাতেমা – আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।আচ্ছা আন্টি কী তোর সাথে আছেন??
হেন্সি- হ্যা।কিন্তু কেন???
ফাতেমা – তুই আন্টিকে ফোনটা দে তারপর বলছি।
হেন্সি- দাড়া দিচ্ছি।
রাবেয়া- আস সালামুআলাইকুম ফাতেমা ।কেমন আছ মা??
ফাতেমা -ওয়া আলাইকুমুস সালাম আন্টি ।আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আন্টি আপনারা কেমন আছেন??
রাবেয়া- তুমি হয়তো জানো হেন্সি হয়তো তোমাকে বলেছে যে তোমার আংকেল অসুস্থ।উনি অসুস্থ থাকলে কি আর আমি ভালো থাকতে পারি??
ফাতেমা – হতাশ হবেন না আন্টি।কারন আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।হয়তো আংকেলের অসুস্থ হওয়ার পিছনেও ভালো কোন কারন রয়েছে।
রাবেয়া- এক মাত্র আল্লাহর ভরসাতেই তো আছি ।
ফাতেমা – আন্টি একটা দরকারি কথা জানানোর জন্য ফোন দিয়েছিলাম।
রাবেয়া – কি কথা? ?
ফাতেমা – আন্টি শুনেছি আপনারা নাকি হেন্সির বিয়ের কথা বলছেন??
রাবেয়া- হে মা।তোমার আংকেল চাইছে হেন্সির এখুনি বিয়ে দিয়ে দিতে।কারন তোমার আংকেলের শরীরের অবস্থা বেশি ভালো না।যে কোন সময় যে কোন কিছু ঘটতে পারে।তাই উনি চাইছেন যে উনি বেঁচে থাকতেই যেন হেন্সির বিয়েটা হয়ে যায়।
এই বলে রাবেয়া বেগম কেদে দিলেন।
ফাতেমা – আন্টি আপনি কাঁদবেন না দয়া করে।যা হবে ভালো হবে।
রাবেয়া – কিন্তু মা এতো তাড়াতাড়ি একটা ভালো পাত্র কোথায় পাবো??
ফাতেমা – আন্টি আমি তো এই জন্যই ফোন দিয়েছি।আমার জানা মতে একজন ভালো পাত্র আছে।একদম হেন্সির মনের মতো।পাত্র আমার চাচা শ্বশুড়ের ছোট ছেলে ।পাত্ররা দুই ভাই বোন।বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে।পাত্র বর্তমানে লেখাপড়া করছে ।লেখাপড়া প্রায় শেষের পথেই। আজকে আমার চাচি শ্বাশুড়ি আর চাচা শ্বশুড় আমাদের বাসায় এসেছিলেন।চাচির সাথে আমার কথা হয়েছে।আমি চাচিকে হেন্সির কথাও বলেছি।উনি বলেছেন আপনারা যদি অনুমতি দেন তাহলে হেন্সিকে দেখতে যাবে।
রাবেয়া- সব তো ঠিক আছে ।কিন্তু ছেলে তো এখনো লেখাপড়া করছে। কোন চাকরি বাকরি করে না।তাহলে বিয়ে হলে সংসার চালাবে কি করে??আমার মেয়েকে ভরন পোষন দিবে কি করে??
ফাতেমা – না আন্টি আপনি ভুল করছেন।বিয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে আগে ছেলেদের যে দিক দেখতে হয় তা হলো দ্বীনদারতা।অার আপনি ভরন পোষনের কথা বলছেন?সেটা তো আল্লাহই ঠিক করে দিবেন।কারন বিয়ের মধ্যে রয়েছে বরকত।বিয়ের মাধ্যমে আল্লাহ রিযিক বৃদ্ধি করে দেয়
।আর ছেলেটা যথেষ্ট দ্বীনদার আন্টি।আপনি একবার ভেবে দেখেন কি করবেন।
রাবেয়া- তুমি হয়তো ঠিকি বলেছো।আর ছেলে যেহেতু তোমার পরিচিত আর তুমি নিজে যেহেতু বলছো তাহলে নিশ্চই ভালোই হবে।আচ্ছা আমি হেন্সির বাবার সাথে কথা বলে তোমাকে কালকে জানাচ্ছি।
ফাতেমা – ঠিক আছে আন্টি।আমি অপেক্ষায় থাকবো।
আন্টি একটু হেন্সিকে ফোনটা দিন তো।
রাবেয়া বেগম হেন্সিকে ফোনটা দিলো।
হেন্সি- হে বল ফাতেমা।
ফাতেমা – হেন্সি তুই কোন চিন্তা করিস না দেখিস আল্লাহ তোর মনের আশা অবশ্যই পূরন করবেন।
হেন্সি- আমিও তো সেই আশাতেই আছি রে।
ফাতেমা – আচ্ছা আমি এখন রাখি কালকে কথা হবে।
দুজনে সালাম বিনিময় করে ফোন রেখে দিলো।
ফাতেমা নিজের ঘরে সোফায় বসে আছে। মাহিন ঘরে এলো কিন্তু ফাতেমা মাহিনের সাথে কোন কথাই বলছে না।ওদিকে মাহিন ফাতেমা কথা না বলায়. কেমন জানি ছটফট করছে।
কারন কয়েকদিন ফাতেমার সাথে ঝগড়া করে এটা যেন মাহিনের অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে।তাই ফাতেমা দুই দিন ধরে তেমন কোন কথা না বলায় মাহিনের সেটা ভালো লাগছে না।মাহিনের মন চাইছে ফাতেমার সাথে একটু ঝগড়া করতে।
মাহিন- কি হলো বক বকের রানী বোবা হয়ে গেছ নাকি????হুম?????দুইদিন ধরে কোন ঝগড়া করছো না ব্যাপার কি???
ফাতেমা কোন কথাই বলছে না ।মনে মনে শুধু হাসছে ফাতেমা।
মাহিন- বাহ্ এতো দেমাগ???হু……।
ফাতেমা এবারো কিছু বললো না।
মাহিন- ঠিক আছে কথা না বললেই আমার শান্তি।
পরদিন
ফাতেমা তাহজ্জতের জন্য উঠলো।
ফাতেমা তাহাজ্জতের নামায পড়ে মাহিনকে ফজরের নামাযের জন্য ডাকবে চিন্তা করছে।
ফাতেমা মনে মনে বলছে “ও আমার রাগি মশাই আপনি কি মনে করেছিলেন যে আমি আপনাকে আর জ্বালাবো না??আপনার সাথে আর কথা বলবো না???আপনাকে আর নামাযের জন্য ডাকবো না????কিন্তু মশাই আমি তো এতো সহজে আপনাকে ছেড়ে দেওয়ার পাত্রি না।আমি যখন বলেছি আপনাকে হেদায়াতের পথে আনবো ,তখন তো এনেই ছাড়বো। আমি দুই দিন চুপ ছিলাম আপনার মতি গতি বুঝার জন্য।জানি আপনিও আমার সাথে কথা না বলে থাকতে পারেন না।ভালো কথা না হোক ঝগড়া তো করতে মন চায় আমার সাথে।আজ থেকে আমার মিশন শুরু মশাই।
এই বলে ফাতেমা তাহাজ্জতের নামায পড়ে নিলো। তাহাজ্জতের নামায শেষ করে ফাতেমা মাহিনকে ডাকতে গেল
ফাতেমা – এই যে আমার রাগি মশাই ।উঠুন ।ফজরের সময় হয়ে গেছে ।উঠুন ,উঠুন ,উঠুন ,উঠুন।
এই বলে ফাতেমা মাহিনকে জোরে জোরে ডাকছে।
অনেকক্ষন ডাকলো কিন্তু মাহিন কোন পাত্তা দিলো না।মাহিনের উঠার নাম গন্ধই নেই।
ফাতেমা – উঠবেন না তো??দাড়ান।
এই বলে ফাতেমা বিছানার পাশের গ্লাস থেকে পানি নিয়ে মাহিনের মুখে ছিটিয়ে দিলো
ফাতেমা – এবার দেখি কিভাবে না উঠেন ।হিহিহি
মুখে পানি ছিটা দেওয়ায় মাহিন তো রেগে গিয়ে উঠে ঠাস করে শরীরের সব শক্তি দিয়ে দিলো এক চড় ফাতেমার গালে ……..ঠাস……
মাহিন এমন জোরে ফাতেমাকে চড় মেরেছে যে, মাহিন নিজেই নিজের হাতে ব্যাথা পেয়েছে ।
ফাতেমা চড়ের ধাক্কা সামলাতে না পেরে নিচে পড়ে গেছে।
মাহিন- কি মনে করেছো কি তুমি হে??????
ধমক দিয়ে বললো মাহিন।
আর নিজের হাত ঝাড়ছে।কারন মাহিন ফাতেমাকে এমন জোরে চড় মেরেছে যে নিজেই হাতে ব্যাথা পেয়েছে।
ফাতেমা তো কথা বলার মতো অবস্থাতে নেই।চড় খেয়ে নিচেই বসে আছে।মাথা ভন ভন করছে ফাতেমার।দুনিয়াটা যেন ঘুরছে ফাতেমার।
মাহিন- কি মনে করেছো তোমার এসব ফালতু আল্লাদ আমি মুখ বুজে সহ্য করবো???তুমি প্রতিদিন আমাকে ডিস্টার্ব করবে আর আমি সব মেনে নিব??ঐ দিন তোমার নিজের বাবার বাড়ি ছিলো বলে গায়ে পানি ঢেলে দেওয়া সত্তেও আমি কিছু বলি নি। কিন্তু এটা তোমার বাবার বাড়ি না ।আমার বাড়ি এটা।বুঝলে???????
ধমক দিয়ে কথা গুলো বললো মাহিন।
ফাতেমা উঠে দাড়ালো। গালটা লাল টুকটুকে হয়ে গেছে পাঁচ আঙুলের ছাপ পড়ে।সাদা গালটায় যেন কেউ রং দিয়ে হাতের ছাপ একে দিয়েছে। কিন্তু এতো ব্যাথা পাওয়া সত্তেও আজ ফাতেমার চোখে একফোটা পানি নেই।ফাতেমা শুধু চেয়ে আছে মাহিনের দিকে করুন দৃষ্টিতে।
মাহিন রেগে গিয়ে আলমারি থেকে একটি শার্ট বের করে আর তার ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে এতো সকালে ঘর থেকে হনহন করে বেড়িয়ে চলে গেল।কোথায় গেল কিছু বলে যায় নি।
ফাতেমা মাহিনের চলে যাওয়ার দিকে শুধু চেয়ে রইলো।কারন কিছুই করার নেই আজ তার।আজ ফাতেমা মাহিনের এক ভয়ংকর রূপ দেখল।
ফাতেমা আস্ত আস্তে ফজরের নামাযটা পড়ে নিলো। নামায শেষে কোরআনও পড়লো।
গালটা খুব ব্যাথা করছে ফাতেমার।গালের দাগ এখনো মিলায় নি।ফাতেমার ভয় হচ্ছে যে, বাড়ির সবাই যদি গালে দাগ দেখে তাহলে সবাইকে সে কি জবাব দিবে।মিথ্যেও তো বলা যাবে না।কারন মিথ্যা বলা মহাপাপ।মহানবী সা: আমাদেরকে মিথ্যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।কারন তিনি তাঁর জীবনে একটি মিথ্যা কথাও বলেন নি।
ফাতেমা নামায পড়ে ঘরেই বসে আছে।আজ নামায শেষ করে আর কারো ঘরে যায় নি।কারন যদি গালের দাগ দেখে সবাই তাকে হাজারটা প্রশ্ন করবে।
কিছুক্ষন পর মহিমা ফাতেমার ঘরে আসলো।
মহিমা – আস সালামু আলাইকুম ভাবি।আসি??
মহিমাকে দেখে ফাতেমা তাড়াতাড়ি ওরনা দিয়ে গালটা ঢেকে নিলো।
ফাতেমা – ওয়া আলাইকুমুস সালাম।আরে মহিমা এসো।
মহিমা – কি ব্যাপার ভাবি আজ তো তুমি নামাযের জন্য ডাকতে এলে না?কিন্তু সমস্যা নেই আমি এলার্ম দিয়ে রেখেছিলাম।তাই সময় মতো উঠতে পেরেছি।আমি নুরিকেও ডেকে দিয়েছিলাম নামাযের জন্য।
ফাতেমা – আমি দু:খিত আজ তোমাদেরকে ডাকতে যাই নি।
মহিমা – সমস্যা নেই ।কি হলো ভাবি তুমি ওড়না দিয়ে এভাবে মুখ ঢেকে রেখেছো কেন??
ফাতেমা – কিছু না বোন ।
মাহিমা – আর ভাইয়া কোথায়???ওকে তো দেখতে পাচ্ছি না।জীবনেও তো এতো সকালে ঘুম থেকে উঠে নি।কোথায় ও??
ফাতেমা – আমি তো জানি না।উনি আমাকে কিছু না বলেই ঘর থেকে বেরিয়ে গেছেন।
মহিমা- ভাবি কোন সমস্যা হয়েছে কি??ভাইয়া কি তোমার সাথে ঝগড়া করেছে???
ফাতেমা – না মানে…………
মহিমা – আর তুমি ওড়না দিয়ে আমার সামনে কেন মুখ ঢাকছো।খুল মুখ টা খুল তো।
এই বলে মহিমা জোর করে ফাতেমার মুখ থেকে ওড়নাটা সরিয়ে দিলো।
মহিমা ফাতেমার মুখে দাগ দেখে চকমে গেল।
মহিমা – তোমার গালে এটা কিসের দাগ????সত্যি করে বলো কি হয়েছে???
ফাতেমা – না মানে ……
মহিমা – তুমি না বললেও আমি সব বুঝতে পেরেছি।ঐ বদের হাড্ডি ভাইয়া তোমাকে মেরেছে।তাই না????দাড়াও আমি এক্ষুনি বাবা আর মাকে বলছি।মা…..
ফাতেমা – চুপ কর বোন আমার ।দয়া করে বাবা আর মাকে কিছু বলো না।প্লিজ প্লিজ প্লিজ।
উনারা যদি জানতে পারেন তাহলে খুব মন খারাপ করবে।আর তোমার ভাইয়েকেও বকাবকি করবে।আমি চাই না ঘরে কোন অশান্তি হোক।
মহিনা – তুমি কি রকমের মানুষ বলো তো????ভাইয়া তোমাকে চড় মেরেছে তবুও তুমি ভাইয়ার কথাই ভাবছো।বাবা যাতে ওকে না বকে তাই কিছু বলছো না।আমি হলে তো নিজেই উল্টা আরেকটা চড় মেরে দিতাম আমার জামাইকে।
ফাতেমা – না না বোন।এগুলো ঠিক না।একজন যদি রেগে গিয়ে ভুল করে তাহলে আরেক জনের উচিত শান্ত থেকে তাকে বুঝানো আর সেই পরিস্থিতির মোকাবেলা করা।আর যে ঘরে পুরুষের থেকে নারীর গলার আওযাজ বেশি সে ঘরে রহমন নাযিল হয় না।তাই আমার স্বামি আমাকে মেরেছে তাই আমার উচিত এখন চুপ থেকে পড়ে তাকে সুন্দর করে বুঝানো।কিন্তু যখন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কেউ একজন রেগে যায় তখন অপর জনের চুপ থাকা উচিত।কিন্তু সে সময় যদি দুজনি রেগে যায় আর তর্কা তর্কি করে তাহলে আরো অশান্তি সৃষ্টি হয়।
মহিমা – তাই বলে ও তোমাকে অন্যায় ভাবে মারবে আর তুমি চুপ থাকবে???
ফাতেমা – পরিস্থিতি অনুযায়ি চুপ থাকাটাই বুদ্ধি মানের কাজ ।কিছুক্ষন পর যখন সে বুঝতে পারবে যে আমার কোন দোষ ছিলো না তবুও আমায় সে বিনা দোষে মেরেছে তখন সে নিজেই অনুতপ্ত হবে।আর তুমি একটা কথা ঠিক বলো নি বোন।
মহিমা – কোনটা??
ফাতেমা – ঐ যে বললে তোমার স্বামী যদি এমন করতো তাহলে তুমিও উল্টা আরেকটা চড় মারতে।কোন নারীর এমন করা উচিত না ।স্বামীর গায়ে হাত তুলা কোন ভাবেই ঠিক না।
মহিমা – হুম বুঝতে পেরেছি।কিন্তু বাবা মা যখন তোমাকে এই দাগ দেখে প্রশ্ন করবে এটা কিসের দাগ তখন কি বলবে???
ফাতেমা – গালের দাগ কমা না পর্যন্ত আমি আজ এ ঘর থেকে বের হবে না।দয়া করে তুমি কিছু বলো না মা বাবাকে।
মহিমা – You are great ভাবি।নিজে মার খাবে কিন্তু নিজের স্বামীকে বকা শুনতে দিবে না।
তোমার কাছে অনেক কিছু শিখার আছে।
মহিমা ফাতেমার সাথে কথা বলে চলে গেলো।
সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলো ।মাহিনের কোন খবর নেই।
ফাতেমার এবার খুব টেনশান হচ্ছে।মনটা কেমন ছটফট করছে।
ফাতেমার গালের দাগ প্রায় সবটা কমে গেছে।ফাতেমা মেহেঘ বেগমের কাছে গেল।
ফাতেমা – মা উনি তো সকালে কিছু না বলে বেরিয়ে গেছিলেন।কিন্তু এখনো তো ফিরেন নি।কিছু খেয়েছেন কিনা তাও তো জানি না। আমার খুব টেনশান হচ্ছে।
মেহেঘ- মাহিন সকালে বাইরে গেছিলো???
ফাতেমা – হুম মা।কিন্তু কিছু বলে যান নাই আমাকে।
মেহেঘ- তুমি চিন্তা করো না।হয়তো বন্ধুদের সাথে আছে।আর বাইরে হয়তো খেয়ে নিয়েছে।একটু পর তো আজান পড়ে যাবে যাও মা নামাযের জন্য প্রস্তুতি নাও।আমিও যাচ্ছি।আর হে কোন চিন্তা করো না মাহিনের জন্য।ও সময় হলে ঠিক বাসায় চলে আসবে।
ফাতেমা – ঠিক আছে মা।
যতই হোক ফাতেমার মন মানছে না।কেমন জানি মাহিনের জন্য মনটা ছটফট করছে।হাজার হোক মাহিনকে ফাতেমা ভালোবেসে ফেলেছে।মায়ায় পড়ে গেছে মাহিনের ।
ফাতেমা যোহরের নামাযের জন্য ওযু গোসল করে নামাযের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এর মধ্যেই মহিমা মা বলে জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলো।
মহিমা – মা……………
চলবে ইনশাআল্লাহ……
,,,, কমেন্ট করে জানাবেন ””’