ফিরে আসা পর্ব-৩৪

0
552

#ইসলামিক_গল্প #ISLAMIC_STORY
===========================

❝ ফিরে_আসা ❞
———————-

লেখিকা- Umma Hurayra Jahan

পর্ব- ৩৪

হিরা সাহেব- হ্যালো আরমান?

আরমান- আস সালামু আলাইকুম।হ্যা বল

হিরা সাহেব- ওয়া আলাইকুমুস সালাম।মাহিনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।কিছু ফর্মালিটিস পূরন করে আমরা মাহিনকে ছেড়ে দেব।তুই এসে ওকে নিয়ে যেতে পারিস।

আরমান- আলহামদুলিল্লাহ।আচ্ছা ঠিক আছে।

হিরা সাহেব- আচ্ছা আমি তাহলে রাখছি।

আরমান- ঠিক আছে।
আরমান সাহেব ফোন রেখে দিয়ে বাসার সবাইকে ডাকলো।

ফাতেমা ,মহিমা,নুরি,মেহেঘ বেগম সবাই একসাথে ড্রয়িং রুমে এলো।

আরমান- আলহামদুলিল্লাহ মাহিনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।ওরা মাহিনকে ছেড়ে দিবে।আমাকে যেতে বলেছে মাহিনকে আনার জন্য।

মেহেঘ- আলহামদুলিল্লাহ।যাও আমার ছেলেটাকে নিয়ে এসো গিয়ে।সারাটা দিন কত কষ্টই না করেছে আমার ছেলেটা।

আরমান- হুম যাচ্ছি।আজ ফাতেমার জন্য আমাদের মাহিন তাড়াতাড়ি মুক্তি পেলো।

ফাতেমা – আমার জন্য না বাবা।সবকিছু আল্লাহর জন্য।উনি না চাইলে কিছুই সম্ভব না।উনি রহমত করেছেন বলেই আজ এটা সম্ভব হয়েছে।তাই বিপদের সময় ধৈর্য হারা না হয়ে আল্লাহকে ডাকা উচিত ,আল্লাহর সাহায্য চাওয়া উচিত।

মহিমা – হুম ঠিক বলেছো ভাবি।

মেহেঘ- আচ্ছা তুমি দেরি করো না তাড়াতাড়ি বেরিয়ে পড় ।মাহিনকে নিয়ে এসো।

আরমান- হুম।আমি এক্ষুনি রেডি হয়ে যাচ্ছি।

কিছুক্ষন পরেই আরমান সাহেব রেডি হয়ে পুলিশ স্টেশনে গেল।

ওখানে কিছু কাগজে সই করে দিলো আরমান সাহেব।মাহিনকে লকাপ থেকে হিরা সাহেবের কেবিনে নেওয়া হলো।আরমান সাহেবও সেখানেই ছিলেন।

হিরারসাহেব- এই যে মাহিন বাবা আজ তো তোমার বউয়ের বুদ্ধিমত্তার কারনে নির্দোষ প্রমানিত হলে।কিন্তু বাবা তুমি যাদের সাথে মেলামেশা করো তারা তোমার প্রকৃত বন্ধু না।তারা ভালো লোকও না।তাই বলছি বাবা ঐ সব বাজে লোকদের সাথে মেলামেশা বন্ধ করো।ওরা তোমাকে একা ফাসিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে।অবশ্য ওদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা করা হবে।আর খুব জলদি আইনের অাওতায় আনা হবে।তাই ওদের. সাথে আর সম্পর্ক রেখো না।যেকোন দিন আরো বড় কোন অপরাধে তোমাকে ফাসিয়ে দিতে পারে বাবা।বুঝেছো???

মাহিন- জ্বী আংকেল বুঝেছি।

হিরা সাহেব- মনে রাখবে সৎ সঙ্গে সর্গ বাস আর অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।

মাহিন- জ্বী আংকেল মনে থাকবে।

হিরা সাহেব- আরমান তোর ছেলেকে একটু সামলে রাখিস বন্ধু।

আরমান- ঠিক আছে।আজ তাহলে আসি।

হিরা সাহেব- হুম ঠিক আছে।

আরমান সাহেব মাহিনকে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো ।আরমান সাহেব মাহিনকে গাড়িতে অনেক কিছু বুঝালো।
কিছুক্ষন পর আরমান সাহেব আর মাহিন বাসায় এসে পৌছালো।

মেহেঘ বেগম মাহিনকে দেখে তো এমন আচরন করলো যে মনে হচ্ছে হারানো রতন ফিরে পেয়েছে।

মাহিনের সাথে সবার কথা বার্তা শেষে মাহিন নিজের রুমে গেলো।

ফাতেমা এশার নামায পড়ে ঘরটা একটু গুছাচ্ছিলো।

মাহিন ফাতেমাকে দেখতে পেলো।
ফাতেমা মাহিনকে দেখে সালাম দিয়ে আবার নিজের কাজে ব্যাস্ত হয়ে গেল।

মাহিন- ওয়া আলাইকুমুস সালাম।
Thank you

ফাতেমা – কী??কিছু বললেন??
মাহিন- হুম।Thank you বললাম।

ফাতেমা – আমি তো আমার কানকে বিশ্বাস করতে পারছি না।আমি কি কিছু ভুল শুনেছি???নাকি অন্য কিছু?

মাহিন- এতো ঢং করতে হবে না।আমি তোমাকেই Thank you বলেছি।আর সকালের ঘটনার জন্য sorry.

ফাতেমা – আলহামদুলিল্লাহ।বুঝতে পেরেছেন এটাই বেশি।আর আমি সকালের ঘটনা কিছু মনে রাখি নি।

ফাতেমা মাহিনের এমন কথায় খুবি অানন্দিত হলো।মনে মনে আজ ফাতেমা অনেক খুশি।কারন বিয়ের পর মাহিন আজ প্রথম ফাতেমার সাথে নরম গলায় মিষ্টি ভাবে কথা বললো।
খুশিতে ফাতেমার চোখে পানি আসার মতো অবস্থা।

মাহিন- সত্যি মাফ করেছো তো??

ফাতেমা – আরে হ্যা মশাই হ্যা।আমি তো বললাম আমি সকালের ঘটনা মনে রাখি নি।
আচ্ছা এবার ফ্রেশ হয়ে আসুন।সারাদিন তো অনেক ধখল গেছে।তাই ফ্রেশ হয়ে আসুন আমি জামা কাপড় দিচ্ছি।আর ফ্রেশ হয়ে খেতে আসুন।

মাহিন- ঠিক আছে।
এই বলে মাহিন ওয়াশ রুমে গেলো।

ফাতেমা তো খুশিতে কেদেই দিলো।কারন তার প্রিয় মানুষটা তার সাথে আজ প্রথম ভালো ভাবে কথা বলেছে।
ফাতেমা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলো।

মাহিন ফ্রেশ হয়ে নিচে খেতে গেলো।সবাই একসাথে বসে খাবার খাওয়ার পর যে যার ঘরে চলে এলো।মাহিন আর ফাতেমাও নিজেদের ঘরে চলে এলো।
মাহিন ঘরে এসে বেলকনিতে গেলো।এই মুহুর্তে মিমি মাহিনকে ফোন দিলো।
ফাতেমা কি যেন একটা দরকারে নিচে গেছিলো আবার।

মিমি- হ্যালো বেবি আজ সারাদিন ফোন দাও নি কেন???

মাহিন- তুমি কিছু জানো না??

মিমি- নাতো ।কি হয়েছিলো???

মাহিন- সত্যি কিছু জানো না? ?আমাকে তো আজ পুলিশ বিনা অপরাধে ধরে নিয়ে গেছিলো।সারা দিন লকাপে ছিলাম আজ রাতে বাসায় এসেছি।

এই কথা শুনে মিমি ন্যাকা কান্না শুরু করে দিলো।আর মিমি সেই ন্যাকা কান্না শুনে মাহিনও সব ভুলে গেলো।মাহিন আবার মিমির প্রতি দুর্বল হয়ে গেলো ।ভুলে গেলো ফাতেমার কথা ।ভুলে গেলো ফাতেমা কিভাবে তাকে নিরপরাধ প্রমান করে জেল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এলো।এই সব কিছু হলো শয়তানের কারসাজি।কারন যখন দুজন বেগানা নারী পুরুষ নির্জনে কথা বলে তখন সেখানে তৃতীয় ব্যাক্তি থাকে ।আর সেই তৃতীয় ব্যক্তি হলো শয়তান।
মিমির ন্যাকা কান্নায় মাহিন আবার গলে গেলো।শয়তান আবার মাহিনের মনকে মিমির প্রতি ,বেগানা নারীর প্রতি দুর্বল করে দিলো।

মাহিন- তুমি কান্না করো না মিমি।আমি এখন ঠিক আছি।জানো মিমি ফাতেমা আমাকে নিরপরাধ প্রমান করে এনেছে।

মিমি- কী????ঐ গাইয়্যা মেয়েটা??

মাহিন- হুম।

মিমি- কি বোকা তুমি মাহিন।এই সব কিছু ঐ ফাতেমার চাল।তোমার কাছে ভালো সাজতে চায় ও।তোমার কাছে আসতে চায়।দেখবে কিছুক্ষন পরেই তোমার সাথে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে তোমাকে ভুলানোর চেষ্টা করবে।তোমার কাছে স্ত্রীর অধিকার চাইবে ঐ ফাতেমা।কিন্তু সাবধান মাহিন তুমি ওকে তোমার কাছে আসতে দিয়ো না।ওর থেকে দুরে দুরে থাকবে বলে দিলাম।না হলে কিন্তু আমি মরে যাবো।

মাহিন- না না মিমি তুমি এ কথা বলো না।আমি তো তোমাকে ছাড়া বাচবো না।আর আমি তোমার সব কথা শুনবো।তুমি মরার কথা বলো না প্লিজ।

মিমি- ঠিক আছে।ঐ মেয়ের থেকে দুরে থাকবে বলে দিলাম।এখন রাখছি।bye

মাহিন- আচ্ছা ঠিক আছে।LOVE YOU।

সবকিছু যখন ঠিক হতে যাচ্ছিলো তখন মিমি ফোন দিয়ে ফাতেমার প্রতি মাহিনের মনটাকে আবার বিষিয়ে দিলো।

ফাতেমা তো আজ অনেক খুশি ।ও ভাবছে সব ঠিক হয়ে গেছে হয়তো।মাহিন মনে হয় এখন থেকে ওকে ভালোবাসবে।কিন্তু সেই আশাতে জল ঢেলে দিলো মিমি।

ফাতেমা ঘরে এলো।ঘরে এসে ফাতেমা বিছানা গোছাতে লাগলো শোবার জন্য।ফাতেমা ভেবেছে আজ থেকে হয়তো মাহিন আর সে এক সাথেই থাকবে।

মাহিন বেলকনি থেকে ঘরে এলো।মাহিন দেখলো ফাতেমা দুজনের জন্য বিছানা গুছাচ্ছে।ফাতেমার চোখে মুখে খুশির ছায়া।

ফাতেমা মাহিনে দেখে গিয়ে মাহিনে জড়িয়ে ধরে বলতে লাগলো

ফাতেমা – আজ থেকে তো আপনি আর আমাকে ভুল বুঝবেন না??আমাকে আজ থেকে ভালোবাসবেন তো,??আমি আপনাকে খুব ভালোবাসি।

তখনি মিমির কথা গুলো মাহিনের মনে পড়ে গেলো।

মাহিন মনে মনে বলছে “মিমি তাহলে ঠিকি বলেছে ।এই সবকিছু ফাতেমার চাল।যাতে আমি ওকে ভালোবাসি।ও যাতে আমার কাছে আসতে পারে। কিন্তু আমি এটা কিছুতেই হতে দিবো না।আমি শুধু মিমিকেই ভালোবাসি।
এই বলে মাহিন ফাতেমাকে ধাক্কা দিয়ে নিজের কাছ থেকে সরিয়ে দিলো।
ফাতেমা ধাক্কা সামলাতে না পেরে নিচে পড়ে গেল।

মাহিন- ও এতো ক্ষনে বুঝতে পেরেছি ,আমাকে নিরপরাধ প্রমান করা তোমার একটা চাল ছিলো।যাতে তুমি আমার কাছে ভালো সাজতে পারো।আমি যাতে তোমাকে মেনে নিই তাইতো???কিন্তু তোমার মতো চালবাজ মেয়ের চাল আমি কিছুতেই সফল হতে দিবো না।আমার কাছে ভালো সাজতে চাও তাই না???

ফাতেমা উঠে দাড়ালো।মাহিনের এমন কথা শুনে ফাতেমার পায়ের নিচের মাটি যেন সরে গেল।

ফাতেমা এসব আপনি কি বলছে??আমার চাল মানে?আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।আপনি আমার স্বামী ।আপনার সব বিপদে আপদে আপনার পাশে থাকা আমার দায়িত্ব।এখানে আপনি চালের কি দেখলেন।আপনার কি হলো বলুন তো? একটু আগেও তো ভালো ব্যবহার করছিলেন।হঠাৎ কি এমন হলো???

মাহিন- আমি তোমার কোন প্রশ্নের জবাব দিতে বাধ্য নই।আমার কাছে আসবে না তুমি।দুরে থাকো আমার থেকে।

এক নিমিশেষ সব কিছু যেন তছনছ হয়ে গেলো ফাতেমার।একটু সময়ের জন্য যে আশার প্রদীপ জ্বলেছিলো সেটাও কয়েক মুহূর্তে নিভে গেলো।মাহিন আবার আগের মতো হয়ে গেল।

মাহিন গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো।

মাহিন- এই বিছানায় আমার সাথে শোবার কোন অধিকার নেই তোমার।যেখানে ছিলে সেখানেই থাকো।

ফাতেমা যেন মুর্তি হয়ে গেলে মাহিনের এমন আচরনে।কিছুতেই হিসাব মিলাতে পারছে না কেন হঠাৎ এমন করলো মাহিন।

মাহিন- শুনো আমাকে সকালে ডিস্টার্ব করবে না বলে দিলাম।আজ একটা চড় মেরেছি।ডিস্টার্ব করলে আরো দুইটা চড় বেশি পাবে বলে দিলাম।যত্তসব।

ফাতেমা কোন কিছু বলার সুযোগ পেলো না।মাহিন ঘুমিয়ে পড়লো।

ফাতেমাও ঘুমিয়ে পড়লো।

পরদিন সকাল ৯ টায় রাবেয়া বেগম মানে হেন্সির মা ফোন দিলো ফাতেমাকে।

ফাতেমা – আস সালামু আলাইকুম আন্টি।কেমন আছেন?

রাবেয়া – ওয়া আলাইকুমুস সালাম মা।ভালো আছি।

ফাতেমা – কিছু কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন???

রাবেয়া- হুম মা।সেই জন্যই তো ফোন করলাম।তোমার আংকেলের সাথে আমি কথা বলেছি।প্রথমে ছেলে চাকরি করে না বলে রাজি হয় নি।কিন্তু তারপর রাজি হয়েছে।

ফাতেমা – কিভাবে রাজি করালেন??
রাবেয়া – ঐ যে তুমি আমাকে যে কথা গুলো বলে বুঝিয়েছ আমিও সেগুলুই বলেছি তোমার আংকেল কে।তারপর উনি রাজি হয়েছেন।

ফাতেমা – আলহামদুলিল্লাহ।তাহলে কি আমি আমার চাচি শ্বাশুড়িকে বলবো যাতে উনারা হেন্সিকে দেখতে যায়??

রাবেয়া- হুম মা বলো।আমরা তৈরি থাকবো।

ফাতেমা – ঠিক আছে আন্টি।আমি উনাদের সাথে কথা বলে আপনাকে কিছুক্ষন পর জানাচ্ছি।
আস সালামু আলাইকু।

রাবেয়া- ওয়া আলাইকুমুস সালাম।

ফাতেমা ফোন রেখে দিয়ে মেহেঘ বেগমের কাছে গেলেন।

ফাতেমা সালাম দিয়ে মেহেঘ বেগমের ঘরে ঢুকলো।
মেহেঘ বেগম সালামের জবাব দিলেন।

ফাতেমা – মা একটা কথা বলার ছিলো।

মেহেঘ- হুম বল।

ফাতেমা – মা হেন্সির বাবা মা রাজি হয়েছেন।উনারা চাচি আর চাচিকে হেন্সিকে দেখতে যেতে বলেছেন।তুমি এই খবরটা চাচিকে একটু ফোন করে জানিয়ে দাও।

মেহেঘ- আচ্ছা ঠিক আছে।আমি এক্ষুনি ভাবিকে ফোন দিচ্ছি।

মেহেঘ বেগম জান্নাত বেগম কে ফোন দিলেন।

মেহেঘ- আস সালামু আলাইকুম ভাবি।

জান্নাত- ওয়া আলাইকুমুস সালাম।

মেহেঘ- ভাবি হেন্সির বাবা মা আপনাদেরকে হেন্সিকে দেখতে যেতে বলেছে।

জান্নাত- আলহামদুলিল্লাহ।আমিও ইমন আর ওর বাবার সাথে কথা বলে রেখেছি ।ইমন আর ওর বাবাও রাজি হয়েছেন।তাহলে আমরা আর দুই দিন পরেই ময়মনসিংহ যাবো হেন্সিকে দেখতে।উনাদেরকে ফোন দিয়ে বলে দিয়ো।

মেহেঘ- জী ভাবি অবশ্যই বলে দিবো।আচ্ছা তাহলে রাখছি।

দুজনে সালাম বিনিময় করে ফোন রেখে দিলেন।

মেহেঘ- ফাতেমা ভাবি বলেছে ২দিন পর উনারা হেন্সিকে দেখতে যাবে।তুমি তোমার বান্ধবির মা কে জানিয়ে দাও।

ফাতেমা – আলহামদুলিল্লাহ ।ঠিক আছে মা।আমি তাহলে আমার ঘরে যাই।

ফাতেমা নিজের ঘরে গিয়ে দেখে মাহিন এখনো ঘুমাচ্ছে।মাহিনকে দেখে আর কালকে রাতের ঘটনা মনে করে দীর্ঘ শ্বাস ফেললো ফাতেমা।
কারন ধৈর্য্য ধরা ছাড়া আর কিছু করার নেই ফাতেমার।এত কিছুর পরেও ধৈর্য হারায় নি ফাতেমা।

ফাতেমা রাবেয়া বেগমকে ফোন দিয়ে সংবাদটা জানিয়ে দিলো যে ২ দিন পর ইমন আর ওর বাবা মা হেন্সিকে দেখতে যাবে।
রাবেয়া বেগম খুব খুশি হলেন।ঐ দিকে হেন্সি অনেক টেনশনে আছে ।হেন্সিকে ওদের পছন্দ হয় কিনা কে জানে।তাই হেন্সি টেনশনে আছে।

এভাবে ২ দিন কেটে গেলো ।ইমন ,হিরন সাহেব ,জান্নাত বেগম আর ইমনের বড় বোন হিয়া ময়মনসিংহে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে ।কারন তারা আজ হেন্সিকে দেখতে যাবে।

ও দিকে হেন্সির বাড়িতে মেহমানদারির তোরজোর চলছে।

হেন্সির বাসায় আজ রিয়াও এসেছে।সকাল থেকে ফাতেমা একটু পর পর হেন্সিকে ফোন দিয়ে খোজ খবর নিচ্ছে।

জান্নাত বেগম আগে থেকেই রাবেয়া বেগমকে কম আয়োজন করার কথা বলে দিয়েছিলেন।
কারন জান্নাত বেগম চান সবকিছু যেন সুন্নত মোতাবেক হয়।

অবশেষে কলিং বেল বেজে উঠলো।

ক্রিং…ক্রিং………..

চলবে ইনশাআল্লাহ……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here