ফিরে আসা পর্ব-৩৮

0
498

#ইসলামিক_গল্প #ISLAMIC_STORY
===========================

❝ ফিরে_আসা ❞
———————-

লেখিকা- Umma Hurayra Jahan

পর্ব-৩৮

ফাতেমা ওযু করে তাহাজ্জতের নামাযে বসে গেলো।নামাযের মুনাজাতে প্রাণ মন খুলে কাদলো ফাতেমা।
মাহিন ফাতেমার কান্নার অাওয়াজ শুনলো ।কিন্তু পাশান মাহিনের মনে একটুকুও মায়া হলো না।মায়া হবেব বা কি করে সে তো এখন শয়তানের ধোকার স্বীকার।
ফাতেমা আজ সারাটা রাত জায়নামাজে বসেই কাটিয়ে দিলো।ফজরের নামাযের ওয়াক্ত হয়ে গেলো।চারদিকে হালকা হালকা আলো দেখা যাচ্ছে।ফাতেমা ফজরের নামাযটাও পড়ে নিলো।সাথে কোরআনও পড়ে নিলো।
সারা রাত কিছু খায় নি আর চোখের পাতা একও করেনি বেচারি ফাতেমা।করবেই বা কি করে??যার স্বামী অন্য নারীর জন্য „হারাম সম্পর্কের জন্য তাদের পবিত্র সম্পর্কটা চির দিনের মতো ছিন্ন করে দিতে চায়।পবিত্র বাধন ছিড়ে ফেলতে চায়।তার কি আর চোখে ঘুম আসে??
ওদিকে মাহিন নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে।তার কোন চিন্তাই নেই।
ফাতেমা তার সেই প্রিয় ডায়েরিটা ড্রয়ার থেকে বের করলো।কত কথা জমে আছে ফাতেমার মনে।সে তার ডায়েরিকে আজ সব বলবে।ফাতেমা ডায়েরিটা হাতে নিয়ে স্টাডি টেবিলটায় বসলো।একবার ডায়েরির আগের লেখাগুলুতেও চোখ বুলালো ফাতেমা।যখনি ফাতেমার মন খারাপ হতো তখনি ফাতেমা ডায়েরিতে সব লিখে রাখতো।শুধু মন খারাপ না মন যখন বেশি ভালো থাকতো সেই ভালো লাগার কারনটাও লিখে রাখতো সে।আরো টুকটাক কবিতা আর গল্পও লিখতো সে।
আজ ফাতেমা তার সব কষ্টের কথা লিখবে তার সেই ডায়েরিতে।
ফাতেমা আস্তে আস্তে লিখা শুরু করলো।সেই বিয়ের তার থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত মাহিনের দেওয়া কষ্ট আর অপমানের কথা লিখতে থাকলো ফাতেমা।মাহিনের প্রতি তার অভিমানের কথাও লিখলো ফাতেমা।কিন্তু মাহিনকে সেই সব অভিমানের কথা ফাতেমা বলতে পারে না।বলবেই বা কি করে ?মাহিন যে তাকে ভালোইবাসে না।অভিমানের কথা তো তার কাছেই বলা যায় যে ভালোবাসে ।ভালোবেসে অভিমান ভাঙানোর পাত্র তো মাহিন না।তাই মাহিনকে না বলে ডায়েরিটাকেই সব অভিমানের কথা বললো ফাতেমা।আরো অনেক কিছুই লিখলো ফাতেমা ।লিখার সময় টপ টপ করে পানি পড়ছিলো গাল বেয়ে ফাতেমার।চোখের পানিতে ডায়েরির পাতা ভিজে গেছে।ডায়েরির পাতায় চোখের পানির ফোটার দাগ পড়ে গেছে।
অবশেষে সব কষ্টের কথা লিখে ডায়েরিটা বন্ধ করে ড্রয়ারেই রেখে দিলো ফাতেমা
সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলো ফাতেমা এখনো কিছু খায় নি।মহিমা কলেজে গেছে।আরমান সাহেব অফিসে আর মাহিন এখনো পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে।কারন কাল অনেক রাতে ঘুমিয়েছে।মেহেঘ বেগম নিজের ঘরে নামাযের প্রস্তুতি নিচ্ছে ।আর নুরি রান্না করছে।ফাতেমা রান্নার ঘরে গিয়ে রান্নার কাজে নুরিকে সাহায্য করে দিলো।
নুরি- ভাবি আইজকা আফনারে এমন শুকনা শুকনা লাগতাছে কেন??কি হইছে আফনার??
ফাতেমা – কিছু হয়নি বোন।
নুরি- আফনার কি মন খারাপ??
দীর্ঘশ্বাস ফেললো ফাতেমা।
ফাতেমা – হুম বোন ।একটু মনটা খারাপ।
নুরি- কি হইছে এই ছোট বোনডারে বলেন ভাবি।
ফাতেমা – তুমি ছোট মানুষ বুঝবে না বোন।আচ্ছা একটু পরেই তো আযান দিয়ে দিবে।আমি নামায পড়তে গেলাম।তুমিও এগুলো গুছিয়ে নামায পড়ে নাও।
নুরি- আইচ্চা ভাবি।
ফাতেমা নিজের ঘরে গেলো।গিয়ে গোসল করে নামাযের প্রস্তুতি নিলো।তারপর নামায পড়ে নিলো।
ওদিকে মহিমা কলেজ থেকে এসে ফ্রেশ হয়ে নামায পড়ে নিলো।মাহিনও ঘুম থেকে উঠে পড়লো।
দুপুরের খাবারের সময় হয়ে গেলো।সবাই খাবার টেবিলে ।কিন্তু ফাতেমা নেই।
মেহেঘ- কি ব্যাপার ফাতেমা কোথায়??ও এখনো খাবার খেতে এলো না কেন মাহিন??
মাহিন- আমি কি করে বলবো??আমি জানি না।
মেহেঘ- যা ফাতেমাকে ডেকে নিয়ে আয়।
মাহিন- আমি পারবো না মা।আমার খুব ক্ষিদে পেয়েছে।আমি এখন ওকে ডাকতে যেত. পারবো না।আমাকে তাড়াতাড়ি খাবার দাও।
মেহেঘ- এটা তুই কি বলছিস??কাল রাতে মেয়েটা তোর জন্য না খেয়ে বসে ছিলো।আর আজ তুই ওকে না নিয়েই খেয়ে ফেলবি??
মহিমা- দাড়াও মা আমি ভাবিকে ডেকে নিয়ে আসছি।
মেহেঘ- আচ্ছা তাড়াতাড়ি যা।
মহিমা ফাতেমাকে ডাকতে গেলো।ফাতেমা বেলকনির গ্রিল ধরে দাড়িয়ে আছে।হালকা বাতাস বইছিলো তখন ।
মহিমা – আস সালামু আলাইকুম ভাবি।আসবো??
ফাতেমা – ওয়া আলাইকুমুস সালাম।আরে মহিমা এসো এসো।
মহিমা – কি ব্যাপার ভাবি?তুমি খেতে আসছো না কেন??সবাই তো তোমার জন্য বসে আছে।চলো খেতে চলো।
এই বলে মহিমা ফাতেমার হাত ধরে টান দিলো।
ফাতেমা – দাড়াও বোন।আমার না খেতে ইচ্ছে করছে না এখন।তোমরা গিয়ে খেয়ে নাও।
মহিমা – খেতে ইচ্ছে করছে না মানে??কেন কি হয়েছে??
ফাতেমা – জানি না ।এমনিতেই ত
কেন জানি খেতে ইচ্ছে করছে না।পেট ভরা ভরা মনে হচ্ছে।তোমরা খেয়ে নাও ।খিদে পেলে আমি এমনিতেই খেয়ে নেবো।
মহিমা – ঠিক তো??পরে খেয়ে নিবে তো??
ফাতেমা – হুম।
মহিমা – আচ্ছা ঠিক আছে।
মহিমা নিচে চলে গেলো।ফাতেমা গ্রিল ধরেই দাড়িয়ে আছে
মহিমা- মা ভাবির নাকি এখন খেতে ইচ্ছে করছে না।পড়ে নাকি খেয়ে নিবে।
মাহিন- যত্তসব ঢং।
মেহেঘ- এসব তুই কি বলছিস মাহিন।
মাহিন- না মানে কিছু না।
সবাই খেয়ে নিলো।
দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলো।ফাতেমা এখনো কিছু খায় নি।এক ফোটা পানিও খায় নি।
মাগরিবের নামাযের পর ফাতেমা নুরির সাথে সন্ধার নাস্তা তৈরি করছিলো।এসময় ফাতেমার মাথাটা একটু একটু ঘুরছিলো।সারাদিন কিছু না খাওয়ায় দুর্বল লাগছিলো।
নুরি- কি হইছে ভাবি??আফনি এমন করতাছেন কেন??আর আফনারে দেইখা তো অনেক দুর্বল মতে হইতাছে।কি হইছে আফনার??
ফাতেমা – কেমন যেন মাথাটা ঘুরছে।দাড়াতে পারছি না।
এটা বলতে বলতে ফাতেমা ঠাস করে নিচে পড়ে গেলো।
নুরি- আরে ভাবি ও ভাবি ,ভাবি গো কি হইছে, কি হইছে আফনার??হায় আল্লাহ ভাবি কতা কয় না কেন??হায় আল্লাহ এহন কি করি??
নুরি চিৎকার করে মেহেঘ বেগমকে ডাক দিলো।
নুরি- খালাম্মা……….খালাম্মা গো. …..।ভাবির জানি কি হইলো হো………
নুরির চিৎকার শুনে মেহেঘ বেগম আর মহিমা দৌড়ে রান্না ঘরে এসে দেখে ফাতেমা নিচে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।
মেহেঘ- হে আল্লাহ এটা কি হলো??ফাতেমা …এ ফাতেমা ।এই মা তোর কি হলো।হে আল্লাহ কি হলো মেয়েটার??
মহিমা –ভাবি ও ভাবি কি হলো তোমার???মা ভাবিকে তাড়াতাড়ি ঘরে নিতে হবে।
মেহেঘ- কিন্তু আমি কিভাবে নিবো।
মাহিনকে ডাক জলদি মাহিনকে ডাক।
মহিমা জোরে চিৎকার করে মাহিন কে ডাকলো।মাহিন মহিমার চিৎকার শুনে তাড়াতাড়ি রান্নাঘরে এলো।
মাহিন- কি হয়েছে???
মেহেঘ- দেখছিস না ফাতেমা অজ্ঞান হয়ে গেছে।ওকে তাড়াতাড়ি ঘরে নিয়ে যা।
মাহিন- কি আমি নিয়ে যাবো???আমি পারবো না।
মহিমা মাহিনকে একটা চিমটি দিয়ে ইশারা দিয়ে ভয় দেখালো ।মাহিনকে ফাতেমাকে ঘরে নিয়ে যেতে বললো।
মাহিন- আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে নিয়ে যাচ্ছি।
মাহিন ফাতেমাকে কোলে করে সিড়ি বেয়ে নিজের ঘরে নিয়ে গেলো।মাহিনের পিছে পিছে মেহেঘ বেগম আর মহিমা ,নুরি গেলো।
মাহিন ফাতেমাকে খাটে নিয়ে শুয়ালো ।এখনো ফাতেমার জ্ঞান ফিরে নি।
মেহেঘ বেগম ফাতেমার চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে দিলো।তবুও জ্ঞান ফিরলো না।
মেহেঘ বেগম ভয় পেয়ে গেলেন।তাই তারাতারি আরমান সাহেবকে ফোন দিলেন।আর ডাক্তার আনার কথা বললেন।
মহিমা- মা বাবাকে আবার ফোন দাও।
মেহেঘ- কেন?
মহিমা – মা তুমি বাবাকে বলো কোন মহিলা ডাক্তার আনতে।
মেহেঘ- কেন রে??
মহিমা – যদি কোন পুরুষ ডাক্তার আসে আর ভাবিকে দেখে তাহলে ভাবির পর্দা নষ্ট হবে।তাই বাবাকে বলো যাতে কোন মহিলা ডাক্তার নিয়ে আসে।
মেহেঘ- তুই তো ঠিক বলেছিস! আমার তো মনেই ছিলো না।
মেহেঘ বেগম আরমান সাহেবকে ফোন দিয়ে মহিলা ডাক্তার আনার কথা বলে দিলেন।
মাহিন এক কোনে দাড়িয়ে সব দেখছিলো।আর ফাতেমার এমন অবস্থা দেখে খুব আনন্দিত হয়েছিলো।কারন ফাতেমা কষ্ট পেলে মাহিনের খুব আনন্দ হয়।
কিছুক্ষন পড় ফাতেমার জ্ঞান ফিরলো।ফাতেমা তার চারপাশে সবাইকে দেখে অবাক হয়ে গেলো।
আর এর থেকে আরো বেশি অবাক হলো কারন সে এখন মাহিনের বিছানায় শুয়ে আছে।কারন এই বিছানায় শোয়ার কোন অধিকার মাহিন তাকে দেয় নি।
ফাতেমা – আমার কি হয়েছে??আমি তো রান্না ঘরে ছিলাম।
মহিমা- ভাবি তুমি অজ্ঞান হয়ে গেছিলে।চিন্তা করো না বাবা ডাক্তার নিয়ে আসছে।
ফাতেমা – আরে আরে ডাক্তার লাগবে না।আমি এমনিতেই ভালো হয়ে যাবো।
মেহেঘ- বুঝতে পেরেছি ডাক্তারকে কেন আসতে না করছিস।কিন্তু চিন্তা করিস না তোর শ্বশুড়কে আমি মহিলা ডাক্তার নিয়ে আসতে বলেছি।
একটু পড়েই আরমান সাহেব একজন মহিলা ডাক্তার নিয়ে আসলেন।আর ফাতেমার জন্য অস্থির হয়ে পড়লেন।
আরমান- কি হলো আমার ফাতেমা মায়ের কি হলো??ওর এমন অবস্থা কেন??কি হয়েছে??

ডাক্তার- আপনি এভাবে ব্যস্ত হবেন না ।আমি দেখছি কি হয়েছে?
এই বলে ডাক্তার ফাতেমার প্রেসারটা মেপে নিলো।সারাদিন না খেয়ে প্রেসার লো হয়ে গেছে।
ডাক্তার- সারা দিন মনে হয় কিছু খাওয়া হয় নি।তাই দুর্বলতা থেকে অজ্ঞান হয়ে গেছিলো।আর একটা ব্লাড টেস্ট করতে হবে।
ডাক্তার ব্যাগ থেকে একটা ইনজেকশন বের করলেন।
ফাতেমা তো ইনজেকশন দেখে ভয়ে মরি মরি অবস্থা।কারন ফাতেমা ইনজেকশন দেখে সবচেয়ে বেশি ভয় পায়।
ফাতেমা – আমি আপনার পায়ে পড়ি ডাক্তার সাহেবা দয়া করে আমাকে ইনজেকশন দিয়ে রক্ত নিবেন না।আমি মরতে রাজি আছি তবুও ইনজেকশন লাগাবো না।প্লিজ প্লিজ আমাকে ইনজেকশন লাগাবেন না।আমার এটা দেখলেই ভয় করে।আমি পারবো না।
এই বলে ফাতেমা ভয়ে কাথার নিচে লুকিয়ে পড়লো।
ফাতেমার এমন ছেলেমানুষি দেখে সবাই মিটিমিটি হাসছে।
মেহেঘ- দেখো বোকা মেয়ের কান্ড।ইনজেকশন দেখে কি কেউ ভয় পায়??
ফাতেমা – মা আমার খুব ভয় করে।আমি ছোট বেলায় একবার এক সিরিঞ্জ রক্ত দিয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছিলাম।মা প্লিজ আমি এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবো।এটা আমার দরকার নাই।
ডাক্তার- এটা বললে তো হবে না।ব্লাড টেস্ট করে আমাকে তারপর ওষুধ লিখতে হবে ।না হলে হবে না।আপনারা কেউ একজন উনাকে ধরুন ।আমি এক সিরিঞ্জ রক্ত নিবো।
আরমান- আরে মা একটুকুও ব্যাথা পাবি না।পিপড়ার কামড়ের মতো।বুঝতেও পারবি না।
মাহিন তোকে ধরুক।তাহলে বুঝতেও পারবি না।মাহিন তুই ফাতেমাকে ধর।
মাহিন- বাবা আমি কেন??মহিমা ধরুক না।তাহলেই তো হবে।
মহিমা – আমি পারবো না।তোর বউ তুই ধর।যা ধর গিয়ে।
মাহিন ফাতেমা হাতে জড়িয়ে ধরলো।
ফাতেমা – না না প্লিজ ইনজেকশন না।
ডাক্তার সাহেবা ঐ দিকে ইনজেকশন ফাতেমার কাছে নিতেই ফাতেমা চোখ বন্ধ করে নিলো।ডাক্তার হাতে ইনজেকশন ঢুকাতেই ফাতেমা জোরে একটা চিৎকার করে মাহিনের হাতে এমন ভাবে শক্ত করে ধরলো যে মাহিনের হাতে ফাতেমার নখ গুলো বিধে গেলে
ইনজেকশন দিতেই
ফাতেমা – আ………ও আল্লাহ……
ওদিকে মাহিন ফাতেমার নখের আচড় খয়ে
মাহিন- ও মা গো…………
সবাই দুজনের কাহিনি দেখে হাসছে
নুরি- ইশ ভাইজান ভাবিরে কত্ত ভালোবাসে ।ভাবি ব্যাথা পাইছে বইলা ভাইজানও ব্যাথা পাইলো।ইশ কি ভালোবাসা।
মাহিন মনে মনে বলছে “ভালোবাসা না ছাই।ইশ কি জোরে চিমটি মারলো এই মিচকা শয়তান টা।
ডাক্তার- রক্ত নেওয়া হয়ে গেছে।এবার আপনি চোখ খুলতে পারেন।
ফাতেমা- হে আল্লাহ আমার মাথাটা কেমন জানি করছে।মনে হচ্ছে আবার অজ্ঞান হয়ে যাবো।পানি.. পানি ..একটু পানি খাবো।
মহিমা – এই নাও পানি।
মাহিন ফাতেমাকে ছেড়ে দিয়ে আবার এক কোনায় দাড়িয়ে পড়লো।
ডাক্তার- রিপোর্ট আসলে আমি ফোন করে বলে দিবো।তারপর যে ওষুধ গুলো দিবে সে ওষুধগুলো ঠিক মতো খাবেন।আমি এবার তাহলে আসি।
ডাক্তার সাহেবা চলে গেলেন।
এবার সবাই ফাতেমাকে একটাই প্রশ্ন করলো।কেন ফাতেমা সারাদিন খায় নি।
ফাতেমার কাছে কোন জবাব নেই।চুপ করে বসে আছে।ওদিকে মাহিন বুঝতে পেরেছে ফাতেমা কেন খায় নি।এবার মাহিন ভয় পাচ্ছে ।যদি ফাতেমা কালকের ঘটনা সবাইবে বলে দেয় তাহলে তো মাহিনের রক্ষা নেই ওর বাবার হাত থেকে।
কিন্তু ফাতেমা কাউকে কিছু বলে নি।কারন ফাতেমা জানে, যদি সে সবাইকে কালকের ঘটনা বলে দেয় তাহলে আরমান সাহেব মাহিকে আস্ত রাখবে না।তার ফাতেমা সেটা চায় না।
মেহেঘ- কিরে মা কিছু বলছিস না কেন??
ফাতেমা- আর এমন হবে না মা।আমি এখন থেকে ঠিক করে খাবার খাবো।
মেহেঘ- নুরি যা তো ফাতেমার জন্য খাবার নিয়ে আয়। আমি নিজ হাতে ওকে খাইয়ে দিবো।
নুরি- আচ্ছা খালাম্মা যাইতাছি।
নুরি ফাতেমার জন্য খাবার নিয়ে আসলো।আর মেহেঘ বেগম নিজ হাতে ফাতেমাকে খাইয়ে দিলেন।
ফাতেমা – আচ্ছা মা আমি আজ মহিমার সাথে থাকতে চাই।কি গো মহিমা তোমার সাথে আমাকে আজ একটু থাকতে দেবে??
মহিমা – এতে আবার বলার কি আছে??অবশ্যই।আজ দুই ননদ ভাবি একসাথে থাকবো।কি মজা।
মেহেঘ- আচ্ছা আজ মহিমার সাথেই থাকিস।
ফাতেমা মহিমার সাথে থাকার পিছনে একটা কারন আছে।কারন মহিমার থেকে অনেক কিছু জানার আছে ফাতেমার।
রাতে এশার নামায পড়ে খাবার খেয়ে মহিমাআর ফাতেমা দুজনেই মহিমার রুমে গেলো।
ফাতেমা- আজ তোমার সাথে অনেক কথা বলবো মহিমা।তুমি আমি ঐ কথাগুলোর ঠিক ঠিক জবাব দিয়ো বোন।
মহিমা – ঠিক আছে ভাবি।
ফাতেমা – আচ্ছা তুমি মিমি নামে কাউকে চিনো???
মহিমা- হুম চিনি তো।

  • চলবে ইনশাআল্লাহ……….
    কমেন্ট প্লিজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here