#ইসলামিক_গল্প #ISLAMIC_STORY
===========================
❝ ফিরে_আসা ❞
———————-
লেখিকা -Umma Hurayra Jahan
পর্ব-৪২
এখন মাহিন পড়েছে মহা সমস্যায়।একদিকে ফাতেমা চলে যাওয়ায় খুব খুশি হয়েছে অপরদিকে বাবা মা আর বাড়ির সবাই তাকে একঘরে করে দিয়েছে।এবার সে কোথায় যাবে??মাহিন কিছুই ভেবে পাচ্ছে না।আর আরমান সাহেব বেল্ট দিয়ে এমন মার মেরেছে বেচারা ব্যাথায় ছটফট করছে।পিঠে দাগ হয়ে গেছে।ব্যাথা গুলোতে মলম লাগানো দরকার।কিন্তু কে লাগাবে??কেউ তো তার সাথে কথা বলতেই ইচ্ছুক না।
মাহিন কিছু ভেবে পাচ্ছে না।এবার মাহিন মিমিকে সব ঘটনা খুলে বলার জন্য মিমিকে ফোন দিলো।অনেকক্ষন ফোন দিলো কিন্তু মিমি ফোন ধরছে না।কারন মিমি নবাবের বেটি এখনো ঘুমাচ্ছে।অবশেষে বার বার মাহিন ফোন দেওয়ায় বিরক্ত হয়ে ফোনটা ধরলো।
মিমি- হ্যালো কি ব্যাপার এতো সকাল সকাল ফোন দিয়ে ডিস্টার্ব করছো কেন??? বিরক্ত হয়ে মিমি কথাগুলো বললো।
মাহিন- হ্যালো মিমি।আমি তো কাল রাতে ফাতেমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি।
মিমি- খুব ভালো করেছো।এখন কি এটার জন্য তোমাকে মাথায় নিয়ে নাচবো???এই কথার জন্য এতো সকালে ফোন দিয়েছো??যত্তসব।
মাহিন- তুমি এভাবে কথা বলছো কেন??আরো একটা কথা বলার জন্য তোমাকে ফোন দিয়েছিলাম।
মিমি- শুনো আমার এখন অনেক ঘুম পাচ্ছে ।আমি তোমার সাথে এখন কথা বলতে পারবো না।আর শুনো,আজ বিকেলে তুমি আমার সাথে দেখা করবে।আমার একটু দরকার আছে।আমি এখন রাখছি।
এই বলে মিমি ফোন কেটে দিলো।
মাহিন কিছুই জানাতে পারলো না মিমিকে।
এদিকে মাহিনের প্রচুর ব্যাথা করছে।মাহিন আজ আর ঘুমায় নি।ফ্রেশ হয়ে মাহিন নিচে গেলো।
ডাইনিং টেবিলে সবাই সকালের নাস্তা করছে।আজ মাহিনকে নাস্তার জন্য ডাকা তো দূরের কথা পাত্তাই দিলো না কেউ।
অন্যদিন সবাই নাস্তা নিয়ে বসে থাকে মাহিনের জন্য।ফাতেমাও বসে থাকে মাহিনের জন্য।কিন্তু আজ ফাতেমাও নেই।কেউ তাকে ডাকছেই না।
মাহিনের কিছুটা রাগ হলো।তাই মাহিন ঘরে খাবার না খেয়ে বাহিরে চলে গেলো।আজ সে বাহিরেই খাবে।
তাই বাহিরে চলে গেলো।
বাহিরে গিয়ে বন্ধুদের সাথে দেখা করলো মাহিন।মাহিনের পকেটে আজ এতো বেশি টাকা নেই।অন্যদিন পকেটে তো তার হাজার দশেক টাকা থাকেই।আজ তার পকেটে মাত্র কয়েক হাজার টাকা।যদি বেশি খরচ করে তাহলে এগুলোও শেষ হয়ে যাবে।তাই তাকে আজ হিসাব করে টাকা খরচ করতে হবে।কারন বর্তমানে এগুলোই তার শেষ সম্বল।কারন তার বাবা তাকে আর টাকা দিবে না।
রিমন- কিরে মাহিন তোকে আজ এমন দেখাচ্ছে কেন??কি হয়েছে তোর??
মাহিন- তেমন কিছু না।
রিমন- শোন বেটা অনেকদিন ধরে তুই কোন ট্রিট দিস না।আজ তুই আমাদেরকে ট্রিট দিবি।তুই আজকে আমাদেরকর ৫তাঁরা হোটেলে নিয়ে খাওয়াবি।চল।
রিমনের কথায় বাকিরাও মাহিনকে ট্রিট দিতে বললো।
এবার মাহিন কোথায় যাবে??এতো জনকে ৫তাঁরা হোটেলে নিয়ে খাওয়ালে কম করে হলেও ৫হাজার টাকা বিল হবে।আর মাহিনের কাছে আজ এতো টাকা নেই।
মাহিন তাই বিপদে পরে গেলো।ভাবছে কি করে এদের এই আবদার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মাহিন- সরি রে।আজ আমি বাসা থেকে টাকা আনতে ভুলে গেছি।তাড়াহুড়া করে এসেছি তো তাই।
রানা- কি বলছিস রে মাহিন??তোর পকেটে তো এমনিতেই সবসময় হাজার দশেক টাকা পড়ে থাকে।আর আজ বলছিস তুই টাকা আনতে ভুলে গেছিস।
মাহিন- সত্যি বলছি রে।
আচ্ছা ঠিক আছে আমি তোদেরকে আরেকদিন ট্রিট দিবো।
রিমন- তুই বড়লোকের ছেলে ।তোর বাবাকে ফোন দিলে এক্ষুনি তোর জন্য টাকা বিকাশে পেঠিয়ে দিবে ।তোর বাবাকে ফোন দে।
মাহিন মনে মনে বলছে“ এমনিতেই বাবা আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে ।আর টাকাও দিবে না বলেছে।এবার তোদের জন্য আমি বাবাকে ফোন দিবো।শখ কতো।”””
মাহিন- বাবাকে এখন ফোন দেওয়া যাবে না।বাবা মিটিং এ আছে।
রানা- তাহলে কি আর করা।আরেকদিন ট্রিট দিবি কিন্তু ।মনে থাকে যেন।
মাহিন – ঠিক আছে মনে থাকবে।
যাক বাবা বাচা গেলো।হু…
এদিকে ফাতেমা মনমরা হয়ে বসে আছে।বেলকনিতে গ্রিলের মধ্যে মাথা হেলিয়ে বসে আছে।চেয়ে রয়েছে সেই দুর আকাশের দিকে। নীল আকাশে এখন সাদা মেঘেরা ছুটোছুটি করে খেলা করছে।কতো আনন্দ মেঘেদের মনে।শুধু আজ কোন আনন্দ অনুভুতি নেই ফাতেমার মনে।কিন্তু সে আসা ছাড়ে নি।সে আল্লাহর উপর ভরসা রেখে অপেক্ষায় আছে মাহিনের।কিন্তু এবার ফাতেমার বড্ড অভিমান হয়েছে মাহিনের উপর।বড্ড অভিমান।
কিছুক্ষন পরেই ফাতেমার ফোনটা বেজে উঠলো।ফাতেমা ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে তার শ্বাশুড়ি মেহেঘ বেগম ফোন করেছে।
ফাতেমা ফোনটা ধরলো।
ফাতেমা – আস সালামু আলাইমুক ।মা কেমন আছো।??
মেহেঘ- ওয়া আলাইকুমুস সালাম।তোর এমন অবস্থায় আমি কি ভালো থাকতে পারি রে মা।আমি দু:খিত রে মা।আমার ছেলে এতো দিন তোর সাথে এতো খারাপ ব্যবহার করেছে আর তুই সব সহ্য করে গেছিস চুপচাপ।কাউকে কিছু বলিস নি।মা রে আমি দু:খিত।আমরা জানতাম না রে এতো দিন মাহিন তোকে এতো অত্যাচার করেছে।আমাদের মাফ করে দিস রে মা।
ফাতেমা মেহেঘ বেগমের কথা শুনে কাদছে।
ফাতেমা -এটা কি করছো তুমি কেন মাফ চাইছো মা??এখানে তোমাদের তো কোন দোষ নেই।
মেহেঘ – দোষ আমাদেরই রে মা।আমরা ব্যার্থ মা বাবা।আমরা আমাদের সন্তনকে ছোট থেকে দ্বীনি শিক্ষা দিই নি।ছোট থেকে শাসন করি নি।যখন যা চেয়েছে তাই দিয়েছি।কোন দিন না করি নি।তাই আজ আমাদের ছেলেটা বিপথে গেছে।আর তোকেও তার অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে রে মা।
ফাতেমা – চিন্তা করো না মা।উনি ঠিক একদিন সব বুঝতে পারবেন।নিশ্চই তিনি একদিন হেদায়েত প্রাপ্ত হবেন।মা তুমি জানো আল্লাহ যখন যাকে ইচ্ছা তখন তাকে হেদায়েত দান করেন।তাই নিশ্চই একদিন না একদিন উনি হেদায়েত পাবেন ইনশাআল্লাহ।
মেহেঘ- তাই যেন হয় রে মা।জানিস রে মা তোকে ছাড়া বাড়িটা কেমন জানি খালি খালি লাগছে।কিছুতেই ভালো লাগছে না।তোর শ্বশুড় মশাইও একটু আগে তোর জন্য কেদেছে।খুব আফসোস করেছে তোর জন্য।আর নিজেকে খুব দোষেছে।তুই চলে আয় রে মা।
ফাতেমা – মা আমার একটা অনুরোধ রাখবে????
মেহেঘ- বল রে মা।
ফাতেমা – মা তুমি আমাকে এখন ও বাড়িতে ফিরে যেতে বলো না।আমি সেদিন ঐ বাড়িতে যেদিন ওনি আমাকে নিজে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে মন থেকে।যেদিন আমাকে উনি মন থেকে ভালোবেসে নিয়ে যাবে।সেদিন আমি ঐ বাড়িতে ফিরে যাবো।
এখন তুমি আমাকে ওবাড়িতে যেতে বলো না।
মেহেঘ- ঠিক আছে রে মা।তোর শ্বশুড় মশাইও বলেছেন যতদিন না তোকে মাহিন এ বাড়িতে ফিরিয়ে না আনবে ততদিন ও মাহিনের সাথে কথা বলবে না।
ফাতেমা – না না মা বাবাকে তুমি এমন কাজ করতে বারন করো।কারন কোন মুসলমান যদি অন্য কোন মুসলমানের উপর রাগ করে তিন দিনের বেশি কথা না বলে তাহলে সে কোনদিন জান্নাতে যেতে পারবে না।এটা অনেক বড় গুনাহ।তাই তুমি বাবাকে এমন করতে না করো।আমি চাই না আমার পরিবারের কেউ যাতে জেনেশুনে গুনাহ না করে।
মেহেঘ- কিন্তু তোর শ্বশুড় তো মাহিনের প্রতি খুব রেগে আছে।
ফাতেমা – তুমি বাবাকে বুঝাও মা।বলো আমি বলেছি।তাহলেই বাবা বুঝবে।
মেহেঘ- ঠিক আছে রে মা।কিন্তু তোকে খুব মিস করবো তুই আসা না পর্যন্ত।
ফাতেমা – মা প্রতিদিন তো ফোনে কথা হবেই।আর তুমি আমার জন্য দোয়া করো ।
মেহেঘ- হুম অবশ্যই রে মা।তোর বাবা মায়ের সাথে কথা বলার কোন মুখ রাখে নি মাহিন আমাদের।কোন মুখে উনাদের সাথে কথা বলবো??তুই বলিস আমরা খুব লজ্জিত তোর বাবা মায়ের কাছে।
ফাতেমা – এভাবে বলো না মা।তোমাদের তো কোন দোষ নেই।
মেহেঘ- নিজের খেয়াল রাখিস রে মা।আমি এখন রাখি।
ফাতেমা সালাম বিনিময় করে ফোন রেখে দিলো।
সকাল গড়িয়ে বিকাল হয়ে গেলো।
মাহিন আজ সারাদিন বাইরেই রয়েছে।বাসায় যায় নি।
মাহিন মিমির জন্য আগের জায়গায় যেখানে তারা প্রতিবার দেখা করে সেখানে অপেক্ষা করছে।একটু পরেই মিমি এলো।
মিমি- Hi মাহিন!
মাহিন- এতো দেরি করলে কেন??
মিমি- আর বলো না যা জ্যাম রাস্তায়।আচ্ছা এসব কথা বাদ দাও।জানো আমি আজ খুব খুশি ।
মাহিন- কেন মিমি??
মিমি- ওমা কেন আবার ঐ যে তুমি যে ফাতেমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছো সেজন্য।
মাহিন- ও আচ্ছা।কিন্তু মিমি একটা সমস্যা হয়েছে ।
মিমি- আরে এই খুশির দিনে কোন সমস্যার কথা শুনতে চাই না।আমি যে জন্য তোমাকে এখানে আসতে বলেছি সেটা আগে শুনো।
মাহিন- কি??
মিমি- আমার ২০ হাজার টাকা লাগবে ।টাকা দাও।
মাহিন- কী????২০ হাজার??এতো টাকা দিয়ে কি করবে??
মিমি- কি করবো মানে???শপিং করবো।আমার এক বান্ধবির বিয়ে।তাই আমি আমার জন্য শপিং করবো।জলদি টাকা দাও।
মাহিন- আমার কাছে তো এতো টাকা নেই এখন।কিভাবে দিবো??
মিমি- আমি এতো কিছু জানি না।টাকা লাগবে মানে আমার এখনি লাগবে।টাকা দাও।
মাহিন মনে মনে বলছে “এখন এতো টাকা আমি কোথায় পাবো??”
মিমি- কি হলো কি ভাবছো??টাকা দিবে কিনা বলো।না হলে কিন্তু আমি তোমার সাথে আর কথা বলবো না।
মাহিন – দাড়াও আমি ব্যবস্থা করছি।
এই বলে কিছুক্ষন পর মাহিন তার এক বন্ধুর কাছ থেকে ফোন করে ২০ হাজার টাকা ধার নেয়।
তার বন্ধু বিকাশে তাকে টাকাটা দেয়।
মাহিন- মিমি আমি তোমার বিকাশ একাউন্টে টাকাটা পিঠিয়ে দিয়েছি।চেক করে নাও।
মিমি- হুম পেয়েছি।Love you baby.আচ্ছা আমি এখন শপিং এ যাবো।আজ আসি।
মাহিন- আমিও তোমার সাথে যাবো শপিং এ।
মিমি- না না ।তোমাকে যেতে হবে না।আমি আমার আরেক বন্ধুর সাথে যাবো।
মাহিন- ছেলে নাকি মেয়ে বন্ধু??
মিমি- তুমি কি আমাকে সন্দেহ করছো নাকি??
মাহিন- না না সন্দেহ করবো কেন??
মিমি- আচ্ছা আমি যাচ্ছি।Bye
এই বলে মিমি চলে গেলো।
মাহিন ওখানেই বসে রইলো
।মাহিন- আচ্ছা মিমি কি শুধু আমার টাকাকেই ভালোবাসে??শুধু টাকা টাকা করে ।
না না এমনটা না ।হয়তো আমি ভুল ভাবছি।মিমি আমাকেও ভালোবাসে।আমিও মিমিকে খুব ভালোবাসি।
রাতের বেলা ফাতেমা তার মোবাইলাট নিয়ে বসেছে।অনেক দিন ভালো করে মোবাইলটাও ধরা হয় না।তাই ফাতেমা মোবাইলটা নিয়ে একটু ফেসবুকে ঢুকলো।স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ একটা পোস্টে ফাতেমার চোখ আটকে গেলো।
পোস্ট টা যে বিষয় নিয়ে সেটা হলো “ মানুষের নামের বিকৃতি ওর এর গুনাহ”
ফাতেমা পোস্টটা ভালো করে পড়লো।পোস্ট টা ছিলো যে,কেউ যদি কারো নামের বিকৃতি করে বা তাকে নামের বিকৃতি করে উপহাস করে তাহলে গুনাহ হয়।আবু জুবায়রা ইবনুদ দাহহাক রা: থেকে বর্নিত“আমাদের অর্থাত বনু সালামার লোকদের ব্যাপারে নাযিল হয় -তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডাকবে না{সুরা হুজুরাত} তিনি বলেন ,যখন নবি সা: আমাদের এখানে আসলেন আমাদের প্রত্যেকের দুটি করে নাম ছিলো নবি সা: বলতেন,“হে অমুক ।সাহাবি গন বলতে“ইয়া রাসুল্লাহ এই নামে ডাকলে সে অসন্তুষ্ট হয়।{আবু দাউদ, তিরমিযি,নাসাঈ,আহমাদ,ইবনে মাযাহ,হাকিম}
আদাবুন মুফরাদ ,হাদিস নং ৩৩০,সহিহ বুখারি।
আর মানুষ অনেক কে নামের শর্ট ফর্ম করে ডাকে।এতে আসল নামের বিকৃতি হয়।যেমন কেউ যদি হুসনাকে হুসু ,রহিমাকে রহি বলে ডাকে তাহলে গুনাহ হবে।””
ফাতেমার তখন একটা কথা মনে হলো যে, খাদিজা বেগম তারপর ফাতেমার বান্ধবিরা তাকে ফাতু বলে ডাকে।তাহলে তো এটা নামের বিকৃতি হবে।যারা ডাকে তাদের গুনাহ হবে।আর ইমনও তো হেন্সিকে নুসু বলে ডাকে।
ফাতেমা – এ বিষয়টা মা ,হেন্সি আর বাকিদেরকে জানাতে হবে।
এই বলে ফাতেমা তার মাকে গিয়ে সম্পুর্ন পোস্টটা পড়ে শুনালো।
ফাতেমা – মা আমার আগে জানা ছিলো না এটা।যে ,নামকে ছোট করে ডাকলে অর্থের বিকৃতি হয় আর গুনাহ হয়।তাই তুমি আজ থেকে আমাকে আর ফাতু ডেকো না।
খাদিজা- কিন্তু তোকে তো এটা আমি আদর করে ডাকি।
ফাতেমা – তবুও মা না ডাকাই উত্তম ।যদি গুনাহ হয়।তাই সতর্ক থাকাই ভালো।
খাদিজা- ঠিক আছে রে মা।
ফাতেমা নিজের ঘরে গিয়ে হেন্সিকে ফোন দিলো।
ফাতেমা – আস সালামু আলাইকুম হেন্সি।কেমন আছিস??
হেন্সি- ওয়া আলাইকুমুস সালাম।আলহামদুলিল্লাহ ভালো।তুই কেমন আছিস??
ফাতেমা – ভালো আলহামদুলিল্লাহ।তোকে এতটা বিষয় জানানোর জন্য ফোন দিয়েছি।তুই তোর ফেসবুক আইডি এক্টিভ হ।তারপর আমি তোকে একটি পোস্টে মেনশন দিচ্ছি।পোস্টা পড়লেই তুই বুঝতে পারবি আমি তোকে কি বলতে চাইছি।
হেন্সি- আচ্ছা ঠিক আছে।তুই এখন কোথায় রে??
ফাতেমা – ময়মনসিংহ আমার বাবাড়িতে।
হেন্সি- এই সময় তুই ওখানে কেন গেছিস??
ফাতেমা – অনেক লম্বা কাহিনি।তোকে পড়ে বলবো।আগে তুই পোস্টটা পড় আমার ফোনটা কেটে দিয়ে।আর পোস্টটা পড়া শেষ হলে আমাকে আবার ফোন দিবি।
হেন্সি- আচ্ছা ঠিক আছে।
হেন্সি ফোন কেটে দিয়ে পোস্টা পড়ে নিলো।পোস্টটা পড়ে হেন্সি ভালো করেই বুঝতে পেরেছে ফাতেমা কেন তাকে এটা পড়তে বলেছে।
হেন্সি আবার ফাতেমাকে ফোন দিলো।
হেন্সি- বুঝতে পেরেছি রে ফাতেমা তুই কেন এটা পড়তে বলেছিস।আজ থেকে তোকে আর ফাতু ডাকবো না।এখন থেকে ফাতেমা বলেই ডাকবো
ফাতেমা – হুম।আর তোর বরকেউ এ বিষয়ে জানিয়ে দিস তোকে যাতে নুসু বলে না ডাকে।
হেন্সি – ঠিক আছে।জাযাকিল্লাহু খয়রান রে ফাতু।ও সরি সরি ফাতেমা।এতো দিনের অভ্যাস তো তাই ভুল হয়ে গেছে।
ফাতেমা – ঠিক আছে কোন সমস্যা নেই।আমি এখন রাখছি।
ফাতেমা আর হেন্সি সালাম বিনিময় করে ফোন রেখে দিলো।
ওদিকে মাহিন রাতে বাড়ি ফিরলো।কেউ মাহিনের কোন খোজ খবর নেয় না।মাহিন খেলো নাকি খেলো না কেউ কোন খোজ খবর নেয় না।ফাতেমা চলে যাওয়াতে মাহিন অনেক খুশি।কিন্তু এ খুশি মাহিনের কপালে বেশি ;দিন টিকবে না।
একলা ঘরেে মাহিন খুব শান্তিতেই আছে ফাতেমাকে ছাড়া।
এভাবেই কয়েকদিন কেটে গেলো।
ওদিকে ফাতেমা বেচারি মাহিনের শোকে দিন দিন দূর্বল হয়ে যাচ্ছে।আর অাল্লাহর কাছে কাদতে কাদতে চোখগুলোরও বেহাল দশা হয়ে গেছে।
এভাবেই কাটছে দিন।
একদিন বিকালে যা ঘটলো তার জন্য বেটা মাহিন প্রস্তুত ছিলো না।
চলবে ইনশাআল্লাহ………