#ইসলামিক_গল্প #ISLAMIC_STORY
===========================
❝ ফিরে_আসা ❞
———————-
লেখিকা- Umma Hurayra Jahan
পর্ব-৪৩
একদিন বিকালে যা ঘটলো তার জন্য বেটা মাহিন প্রস্তুত ছিলো না।
রানা – হ্যালো মাহিন তুই কোথায় রে????
মাহিন- কেন ??আমি তো একটু বাড়ির বাইরে আছি।
রানা- তাহলে আমি যে ঠিকানাটা দিচ্ছি তাড়াতাড়ি সেখানে চলে আয়। তোর জন্য এক মহা ধামাকা অপেক্ষা করছে।যা দেখলে হয়তো তুই নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারবি না।
মাহিন- এভাবে না বলে সোজাসোজি বল না কি হয়েছে??
রানা- আগে তুই আয়। তারপর বলছি।
মাহিন- আগে বল না হলে আমি আসবো না।
রানা- ওকে।কিছু বলবো না।আমি তোর ফোনে একটা ছবি দিচ্ছি সেটা দেখলেই তুই বুঝতে পারবি।
রানা মাহিনের ফোনে একটা ছবি পাঠালো।ছবিটাতে মিমি অন্য ছেলের সাথে হাত ধরে হেসে কথা বলছিলো।
মাহিন এ ছবি দেখে তো মনে হলো যেন আকাশ ভেঙে পড়লো।মাহিন কিছুতেই তার নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না।মাহিন আবার রানাকে ফোন দিলো।
মাহিন- তুই এই ছবি কোথায় পেলি??এটা ইডিট করা ছবি ।আমি কিছুতেই বিশ্বাস করি না।মিমি শুধু আমাকেই ভালোবাসে।ও অন্যকারো হাত ধরে কথা বলতে পারে না।
রানা- ইডিট করা নাকি বাস্তব তা এখানে আসলেই বুঝতে পারবি।আর একটা কথা তোকে বলে দিই মাহিন এই মিমি মেয়েটা একদম ভালো না।তোকে শুধু টাকার জন্য ভালোবাসে।আর তুই এই খারাপ মেয়েটার জন্য একটা ফুলের মতো পবিত্র জান্নাতের টুকরা বউকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিস।এর জন্য কিন্তু তোকে পস্তাতে হবে।
মাহিন–তোর এসব ফালতু কথা রাখ তো।আমার তো মাথা কাজ করছে না।
রানা- তুই তাড়াতাড়ি এখানে চলে আয়। আমি ওদের কাছাকাছিই আছি।আজ তুই মিমিকে হাতেনাতে ধরতে পারবি।
মাহিন- আমি এক্ষুনি আসছি।কিন্তু এ ঘটনা যদি মিথ্যা হয় আমি কিন্তু তোকে মাফ করবো না।
রানা- আগে আয় তারপর দেখা যাবে ।
মাহিন তাড়াতাড়ি করে সেই জায়গা অর্থাত একটা রেস্টুরেন্টে যেখানে রানা ওকে যেতে বলেছে সেখানে গেলো।
সেখানে গিয়ে মাহিন রানাকে দেখতে পেলো।
মাহিন- কিরে কোথায় ওরা???
রানা – চল আমার সাথে।
এই বলে রানা মিমি আর ঐ ছেলেকে দেখিয়ে দিলো।
এটা দেখে তো মাহিনের পায়ের তলের মাটি সরে গেলো।মাহিন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না।
মাহিন রেগে গিয়ে মিমির সাথে থাকা ছেলেটাকে গিয়ে কলারে ধরে উঠিয়ে সবার সামনে মারতে লাগলো।
মাহিন- তোর এতো বড় সাহস তুই আমার মিমির হাত ধরে কথা বলেছিস।এতো বড় সাহস তোর???
মিমি মাহিনকে দেখে ভয় পেয়ে গেলো।কারন এবার তো ওর আসল রুপ মাহিন হয়তো দেখে ফেলেছে।তাই মিমি খুব ভয় পেয়ে গেলো।
মিমি- মাহিন ওকে তুমি ছেড়ে দাও।প্লিজ ছেড়ে দাও।
মাহিন- ওকে তো আমি মেরেই ফেলবো।
রানা- আরে কি করছিস মাহিন??ছাড় ,ছাড় ওকে।দোষ কি শুধু এই ছেলের একার নাকি??তোর মিমির কোন দোষ নেই??ও যদি এর সাথে কথা না বলতো তাহলে এই ছেলে কি এমনিতেই সাহস পেয়েছে হাত ধরার??
মাহিন ছেলেটাকে ছেড়ে দিলো।
মাহিন- মিমি ও তোমার হাত ধরার সাহস কোথা থেকে পেলো??তুমি যদি ওকে অনুমতি না দিতে ও তো তোমার হাত ধরতে পারতো না।
মিমি- আমার কথাটা একটু শুনো।একটু শান্ত হও ।দেখো চারিদিকে লোকজন দেখছে ।আমরা একটু বসে কথা বলি।
মাহিন- এই ঘটনার পর তুমি আমাকে শান্ত হতে বলছো।আর দেখুক লোকজনে ।তাতে আমার কিছু আসে যায় না।
মাহিন চিৎকার করে কথা গুলো বলছে।
মিমি- একটু বুঝার চেষ্টা করো।
মাহিন চিৎকার করছে
মাহিন- Answer me dam. .তুমি এটা কেন করলে।কেন???কেন??
মিমি- আ..আ..আমি..
মাহিন- কি আ..আ..করছো আগে জবাব দাও।তোমার জন্য আমি ফাতেমাকে পর্যন্ত রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি।আর এর জন্য আমার পরিবারের সবাই আমার সাথে কথা বলা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে।বাবা আমাকে টাকা দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে।ঐ দিন আমি আমার বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে তোমাকে শপিং এর জন্য টাকা দিয়েছি।এ সব কিছু আমি করেছি শুধু মাত্র তোমার জন্য।যাতে তুমি খুশি থাকো।আর সেই তুমি কিনা অন্য ছেলের সাথে……।।ছি…
যদি আমাকে ভালোবাসো তাহলে আজি আমরা বিয়ে করবো।আর আজকের সব ঘটনা আমি ভুলে যাবো।চলো আজি আমরা বিয়ে করবো।
এই বলে মাহিন মিমির হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলো।
মিমি – O mister wait wait…..কি বললে তুমি ???তোমার বাবা তোমাকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে??বাড়ির সবাই কথা বলে না??
মাহিন- হে ।আর এসব কিছু আমি তোমার জন্য সহ্য করছি।
মিমি- তাহলে তুমি আমাকে বিয়ে করে কোথায় নিয়ে যাবে।আর বিয়ের পর আমাকে শপিংএর টাকা শাড়ি ,দামি গয়না এগুলো কি দিয়ে কিনে দিবে???আমার সব শখ টাকা ছাড়া কিভাবে পুরন করবে???হুমম!!!মিস্টার আমার কাছে টাকা ছাড়া তোমার কোন মূল্যইর নেই।যেদিন নিজে অনেক টাকার মালিক হবে সেদিন এসো আমাকে বিয়ে করতে।
এই বলে মিমি মাহিনের হাতটা ঝাড়া মেরে ফেলে দিলো।
মিমির এমন কথা শুনে মাহিন তো বোকা বনে গেলো।হা করে মিমির দিকে তাকিয়ে আছে।
মিমির এমন কথা শুনে মাহিন আর নিজেকে সামলে রাখতে পারে নি।ঠাস করে এক চড় বসিয়ে দিলো মিমির গালে।
মাহিন- তাহলে এই তোর আসল চেহারা??এতোদিন তুই আমাকে টাকার জন্য ব্যবহার করতি??
এই বলে আরেকটা চড় মারলো মাহিন।
তোর জন্য শুধু মাত্র তোর জন্য আজ আমার এ অবস্থা।তুই যখন যেটা আবদার করেছিস সেই জিনিস যতই দামি হোক না কেন আমি তোকে সেটা কিনে দিয়েছি।কোনদিন না করি নি।জন্মদিনে আইফোন চেয়েছিস সেটাও দিয়েছি।তোর জন্য আমি ফাতেমার মতো নিশ্পাপ মেয়েটাকে আমি রাতের আধারে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি।বিয়ের পর একটা বারের জন্যও যার সাথে আমি ভালো করে কথা পর্যন্ত বলিনি সে আমার নিস্বার্থ ভাবে ভালোবেসেছে।তোকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিল দিয়েছি কিন্তু জানিস বেচারি ফাতেমাকে বিয়ের পরে আর ৫ টাকার পর্যন্ত একটা জিনিস কিনে দিই নি।যাদি মেয়েটা কোন দিন আমার কাছে কিছু চায়নি শুধু একটু ভালোবাসা আর ভালো ব্যবহার চেয়েছিলো।মেয়েটাকে আমি কতই অপমান করেছি তোর জন্য।শুধু মাত্র তোর জন্য রে নোংরা মেয়ে।তোর জন্য আজ আমার পরিবার আমার উপর রেগে আছে।তোর জন্য আজ আমি ওদের কাছে অপরাধী।
সবাই বার বার নিশেধ করেছিলো তোর পাল্লায় না পড়ার জন্য।বেচারি ফাতেমা আমাকে পায়ে ধরে পর্যন্ত বোঝানোর চেষ্টা করেছে কিন্তু আমি তা শুনি নি।এই জন্যই হয়তো আল্লাহ আমাকে আজ এতো বড় শাস্তি দিয়েছে।আমি আজ ফাতেমার কাছে বড় অপরাধী শুধু মাত্র তোর জন্য।
এই বলে মাহিন মিমিকে আরেকটা চড় মারলো।
মিমি – আর একবার গায়ে হাত দিলে কিন্তু ভালো হবে না।
মাহিন- তোকে তো আমি শেষ করে দিবো আজ।
এই বলে মাহিন মিমিকে মারতে গেলো।
রানা মাহিনকে আটকে দিলো।
রানা — মাথা ঠান্ডা কর মাহিন।এসব নোংরা নর্দমার কীট মেরে হাত নষ্ট করিস না।এদের জন্য হাজার হাজার সুখী পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়।এরা সব ডাইনি।এদের জন্য সহজ সরল মেয়েদের জীবনে কষ্ট নেমে আসে।এদের একটা ছেলে দিয়ে চলে না।এরা তোর মতো হাজারো বড়লোকের ছেলেদেরকে ওদের জালে ফাসিয়ে স্বার্থ হাসিল করে।কিন্তু মনে রাখিস এদের বিচার আল্লাহ নিজে করবেন।এদের কোনদিন ভালো হবে না।কোন একদিন দেখবি এদের মতো মেয়েদের লাশ মানুষ রুপী পশুগুলো ছিড়ে খেয়ে রাস্তায় ফেলে দিয়ে গেছে।তাহলেই এদের প্রাপ্য শাস্তি পাবে।
মাহিন – এখন আমি কোন মুখ নিয়ে বাবার সামনে দাড়াবো?কোন মুখ নিয়ে ফাতেমার সামনে যাবো??আমি আমার ফুলের মতো নিশ্পাপ বউটাকে আমার জান্নাতের টুকরাটাকে অপমান করে অত্যাচার করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি।বেচারি কত অনুরোধ করেছিলো কিন্তু আমি শুনি নি ।আর তাই হয়তো আল্লাহ আমাকে নিঃস করে দিয়েছে।
মিমি- তোমাকে আমি দেখে নেবো মাহিন।এই অপমানের বদলা আমি নিয়েই ছাড়বো।
এই বলে মিমি ওখান থেকে ড্যাং ড্যাং করে চলে গেলো।
মাহিন এখন কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না।কারন এতো বড় ধোকা দিয়েছে মিমি মাহিনকে যেটা মাহিন কিছুতেই মানতে পারছে না।
রানা – মাহিন তুই মাথাটা ঠান্ডা করে বাড়ি যা।বাড়ি গিয়ে আংকেলের পায়ে ধরে মাফ চা।সবার কাছে গিয়ে মাফ চা।আল্লাহর কাছে গিয়ে মাফ চা।দেখবি আল্লাহ সব ঠিক করে দিবেন ইনশাআল্লাহ।
মাহিন – আমি তো ফাতেমার সাথে অনেক অন্যায় করেছি।কি মুখ নিয়ে আমি ওর কাছে যাবো???
রানা- এটা তুই অনেক বড় আন্যায় করেছিস।এমন একটা বউ কেউ আল্লাহর কাছে সাধনা করেওে পায় না।আর তুই না চাইতেই এমন একটা জান্নাতের টুকরা পেয়েছিলি।কিন্তু তুই এক দাম দিলি না একটা নর্দমার কীটের জন্য।আমি হলে তো এমন একটা বউকে মাথায় করে রাখতাম। অন্তরের ভিতর ভরে রাখতাম।আর তুই কিনা………
মাহিন- আমি তো অনেক বড় অন্যায় করে ফেলেছি।এখন কি করবো???
রানা- দেরীতে হলেও তুই বুঝতে পেরেছিস।তাই এখন আল্লাহই একমাত্র ভরসা।উনি তোকে উপায় বের করে দিবেন।তুই এখন বাড়ি যা মাহিন।
মাহিন -আমি এখন বাড়ি যাচ্ছি।তুই দোয়া করিস যাতে সব ঠিক হয়ে যায়।
মাহিন সন্ধ্যায় বাড়ি চলে এলো।কলিংবেল বাজাতেই নুরি দরজা খুলে দিলো।আজ মাহিনের চেহারায় অনুতাপের ছাপ দেখা যাচ্ছে।মুখটা মলিন হয়ে আছে।
মাহিন সোজা ঘরে চলে গেলো।ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে ফ্লোরে বসে পড়লো মাথা নিচু করে।
আজ মাহিন সত্যিই অনুতপ্ত।এতো দিন ফাতেমাকে সে কাঁদিয়েছে।আজ তার নিজের কাঁদার পালা।
মাহিনের চোখে আজ অনুতাপের পানি।বার বার ফাতেমার মুখটা ভেসে উঠছে তার চোখে।মায়াবি মুখটা ফাতেমার।আজ বড্ড মনে পড়ছে মাহিনের।
হাউমাউ করে কাদলো মাহিন।মন খুলে কাদলো।আজ সে ফাতেমাকে বড্ড মিস করছে।হয়তো যদি ফাতেমা কাছে থাকতো তাহলে ফাতেমাকে জড়িয়ে ধরে কাদতো।বার বার মনে পড়ছে নিশ্পাপ চেহারাটা।কত কষ্ট পেয়েছে মেয়েটা তবুও একবারের জন্য কাউকে কোন অভিযোগ করে নি।হাসিমুখে সব সহ্য করেছে।
আজ বুক ফেটে কান্না আসছে মাহিনের ।এমন কান্না সে কোন দিন কাদে নি।
রাতের বেলা আরমান সাহেব যখন বাসায় ফিরলো মাহিন তখন সোজা আরমান সাহেবের রুমে গিয়ে পায়ে পড়ে গেলো।মেহেঘ বেগম আর মহিমাও তখন সেখানেই ছিলো।
মাহিন বাবার পায়ে ধরে কান্না করে দিলো।
মাহিন- বাবা তোমরা আমাকে মাফ করে দাও।আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।আমি আর কোন দিন এমন করবো না।ঐ মিমি আমাকে ঠকিয়েছে।আমি আজ ওর আসল রূপ জানতে পেরেছি।ও এতোদিন আমার টাকার জন্য ভালোবাসার অভিনয় করেছে।ও আমাকে ঠকিয়েছে।আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।আমি আমার ফাতেমাকে চাই।ওকে আমার কাছে এনে দাও।প্লিজ বাবা আমার ফাতেমাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও।
আরমান- এখন আমার পায়ে ধরছিস কেন??আগে মনে ছিলো না যখন মেয়েটাকে কষ্ট দিয়েছিলি???
আমি ফিরিয়ে আনতে পারবো না।রফিক না করেছে আর কোন দিন ফাতেমাকে এবাড়িতে পাঠাবে না।তুই যদি আনতে পারিস তাহলে গিয়ে নিয়ে আসিস।
মহিমা- কিরে ভাইয়া এতো দিন তো তুই বলতি যে ভাবি তোর যোগ্য না।আসলে কি জানিস?তুই ভাবির যোগ্য না।যেদিন নিজেকে ভাবির যোগ্য বর হিসেবে গড়ে তুলতে পারবি সেদিন গিয়ে ভাবিকে নিয়ে আসিস।এর আগে তোর এই পাপি মুখটা ভাবিকে দেখাস না।
মেহেঘ- যেহেতু তুই তোর ভুল বুঝতে পেরেছিস তাহলে আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে আল্লাহর রাস্তায় ফিরে আয়। আর যেদিন মনে হবে তুই ফাতেমার যোগ্য সেদিন গিয়ে মেয়েটাকে নিয়ে আসিস।
মাহিন- তোমরা অন্তত আমাকে মাফ করে দাও।আমার সাথে আর রেগে থেকো না।
আরমান- ঠিক আছে আমরা তোকে মাফ করে দিলাম।কিন্তু আল্লাহ কি তোকে এমনি এমনি মাফ করবে???তুই ভাব আল্লাহর কাছে কিভাবে মাফ চাইবি।
মাহিন – ঠিক আছে।আমি আমার প্রাণপন চেষ্টা করবো।
মাহিন নিজের ঘরে ফিরে এলো।আজ ঘরটা বড়ই ফাকা ফাকা লাগছে মাহিনের।
সকাল পর্যন্ত সে খুব খুশি ছিলো ফাতেমা চলে যাওয়াতে ।কিন্তু আল্লাহর কুদরত বুঝা বড়ই কঠিন।এখন সেই মাহিনই ফাতেমাকে মিস করছে।তার রুমটা ফাতেমাকে ছাড়া বড়ই ফাকা ফাকা লাগছে।মাহিনের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।মন চাইছে ফাতেমার সাথে কথা বলতে।আজ সে ফাতেমার সাথে করা ছোট ছোট ঝগড়াগুলো খুব মিস করছে।বার বার ফাতেমার কাছে যেতে ইচ্ছে করছে।কিন্তু সে অপারগ।চাইলেও যেতে পারবে না।নিজের মাথার চুলগুলো টেনে ছিড়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে মাহিনের।খুব কষ্ট হচ্ছে।
ফাতেমার সেই কথাগুলো বার বার মনে পড়ছে “যখন ফাতেমা বলেছিলো যে সে যদি মাহিনের জীবন থেকে চলে যায় তাহলে মাহিন সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাবে।”আজ মাহিন তা হারে হারে টের পাচ্ছে।আজ ফাতেমার সব কথায় আস্তে আস্তে বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।
আরো বাকি কথাগুলোও মাহিন মনে করছে।আজ শুধু ফাতেমার কথাগুলোই মনে আসছে ।কিন্তু সে নেই মাহিনের কাছে।
ওদিকে ফাতেমা বেচারি মাহিনের জন্য কাদে আর আজ এদিকে মাহিন ফাতেমার জন্য কাদছে।
মাহিন আস্তে আস্তে বেলকনিতে গেলো।গিয়ে অনেক্ষন একা একা রকিং চেয়ারটায় বসে রইলো।রাতের খাবার খায় নি মাহিন আজ।ঐ দিন তো ফাতেমাও কষ্ট পেয়ে রাতের খাবার খায় নি।আজ মাহিনের পালা।
অনেকক্ষন বসে থাকার পর মাহিন রুমে গেলো ।হঠাৎ একটা জিনিসের উপর মাহিনের চোখ পড়লো।খুব আগ্রহ নিয়ে মাহিন সেই জিনিসটা দেখতে গেলো।
চলবে ইনশাআল্লাহ……
মাহিন কি দেখেছে কমেন্ট করে জানাবেন।💬