গল্পের_নাম : অভ্রভেদী_প্রণয় পর্ব_ ৩২ ( #crazy_for_you )
লেখনিতে :#মিমি_মুসকান
“নিশান : হয়েছে তো অনেক কিছু কোখান থেকে শুরু করবো বল। ( একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে) সেই দু’বছর আগে, মনে আছে তোর আমি যেদিন প্রথম নিশি কে দেখেছিলাম। সেদিন অনেক বৃষ্টি হয়েছিল। মাত্র’ই থেমেছে বৃষ্টি। প্রকৃতি তখন নতুন সাজে সেজে ওঠেছিল। আমি গাড়ি নিয়ে জ্যাম এ আটকে ছিলাম। গাড়ি’র কাচ খুলে প্রথম আমার চোখ পরল একটা মেয়ের ওপর। তার টানা কাজল দেওয়া চোখ, মুখে স্নিগ্ধ হাসি। সাদা একটা ফ্রক পরা , গলায় একটা পিংক রঙের স্কার্ফ, দু”হাত ভর্তি পিংক চুড়ি, রাস্তায় দাঁড়িয়ে কিছু ফুটপাতে বাচ্চাদের সাথে ফুচকা খাচ্ছিল আর বাচ্চামো করছিলো। আমি গাড়িতে বসে তার সেই বাচ্চামি গুলো হাসছিলাম। হঠাৎ করেই মেয়েটা দুষ্টামি করে কাঁচা মরিচ খেয়ে ফেলল। তারপর ঝালে লাফাতে থাকে। ঝালে তার চোখে কোণে পানি জমে গিয়েছিল যে পুরো মুখ লাল হয়ে গেল। আমি পানির বোতল নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে তার কাছে গেলাম। তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম কিন্তু তাকে পানি দেওয়ার মতো সাধ্য হলো না। সে আমার দিকে ঘুরে পানির বোতল টা আমার হাত থেকে কেড়ে নিয়ে খেতে লাগলো। আমি দাঁড়িয়ে বাচ্চাদের মতো তার পানি খাওয়া দেখছিলাম। মেয়েটা হাইটে আমার চেয়ে অনেক ছোট। দেখতেও বাচ্চা লাগছিলো।
কেন জানি ভালো লেগে যায় সেই বাচ্চা মেয়েটাকে। সে পানি খেয়ে বোতল টা আমার হাতে দিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে চলে গেলো। তার এতো লাফালাফিতে বাতাসে তার ঘন বড়ো চুল গুলো আমার মুখে এসে পরল। যা আমাকে তার প্রতি আরো মোহ করে তুলল। তার চুলের ঘ্রাণে পাগল হয়ে গেলাম আমি। তাকে পাওয়ার নেশা ধরে গেল আমার। ( একটু থেমে আবার বলতে লাগল )
সব কিছু হারিয়ে তাকে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা জেগে ওঠলো। আমি যেকোনো মূল্যে’ই ওকে পেতে চাইতাম। এরপর থেকে প্রতিদিন আমি ওকে দেখতাম। কিন্তু ওর সাথে কথা বলার মতো সাহস ছিলো না আমার। তবুও ওকে একটি বার দেখার জন্য অস্থির হয়ে ওঠতাম। ওর মুখের সেই স্নিগ্ধ হাসি আমায় ব্যাকুল করে তুলতো। খুব কষ্টে ওর অজান্তেই ওর একটা ছবি তুলেছিলাম আমি। এটা আমার নেওয়া ওর প্রথম ছবি ছিলো। সেদিন খুশিতে পাগল হয়ে গেলাম। বাসায় এসে আনমনেই গান গেতে থাকলাম ( মুচকি হেসে )।
কিন্তু তারপর… ( মুখে বিষণ্নতা চাপ ) ভুল টা সেদিন’ই করলাম। জিসান কে দেখিয়ে দিলাম ছবি টা। এতো দিন জিসান আমার মুখের তার বর্ণনা শুনতো সেদিন ওকে তার ছবি দেখিয়ে বলেছিলাম অনেক ভালোবাসি আমি ওকে। জিসান তখন আমার কথায় মুচকি হেসে চলে গেলো। তখন তার সেই হাসির মানে আমি বুঝি না। অনেক ভেবে কয়েকদিন পর ফুল নিয়ে গেলাম ওকে প্রপোজ করবো বলে। কিন্তু তখনও ( একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বলতে লাগল ) আমার ভাগ্য বেইমানি করল আমার সাথে। দেখি আমার ছোট ভাই আমার ভালোবাসা কে ফুল দিয়ে প্রপোজ করছে। আর সে তা গ্রহণ ও করে নিলো। পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেলো আমার। খুব কষ্ট হচ্ছিল আমার। আমার সাথে এমনটা ও করবে আমি ভাবতে পারি নি। জিসান তো জানতো আমি ভালোবাসি ওকে তারপরও এমনটা কিভাবে করতে পারে ও। তখন প্রথম বার নিজের অজান্তেই ওকে আমি জান পাখি বলে ডাক দিলাম। কেন জানি এটাই আমার মুখ দিয়ে কিভাবে যেন চলে আসল।
বাসায় এসে মায়ের কাছে গেলাম। আমার সমস্ত কথা আমি আর মায়ের কাছে বললেও এটা বলার মতো শক্তি আমার কাছে ছিলো না।কি বলতাম আমি, আমার ভালোবাসা’র মানুষ কে আমার জান পাখি’কে আমার ছোট ভাই আমার থেকে কেড়ে নিয়েছে। এতোটাই নিচ আমি। মায়ের কোলে মাথা রেখে অনেক্ষণ কাদলাম। মা জিজ্ঞেস ও করলো অনেক বার কি হয়েছে? আমি বললাম এই দেশে আর থাকতে চাই না আমি। অন্য কোথাও যাবো। থাকবো না আমি এখানে।
মা জিজ্ঞেস করলেন “কোথায় যাবো”? আমি বললাম বিদেশে চলে যাবো। ওখানে গিয়ে পড়ালেখা করবো। তুমি প্লিজ আমাকে আটকিয়ো না। যে করেই হোক আমার বিদেশে যাবার বন্দবস্ত করো। ( বলেই চলে আসলাম )
কিছু দিনের মধ্যেই মা সব কিছু ঠিক করলেন। চলে আসলাম সব কিছু ছেড়ে। ভেবেছিলাম ভুলে যাবো সব কিছু কিন্তু কিছুই হলো না বরং তার বিপরীত ঘটল। ২ বছর পর আবার সব কিছু এক জায়গায়। ভেবেছিলাম ভুলে যাবো তাকে এই ২ বছরে। কিন্তু তার বদলে তাকে আরো ভালোবেসে ফেললাম।তুই সেদিন আমায় ফোন করে যা বললি তাতে আমার মনে জান পাখি কে পাবার জন্য আরো একবার আশা ফুটে ওঠল।
“আরিয়ান : ( দীর্ঘশ্বাস ফেলে ) আমি কখনও ভাবি নি এমন কিছু হবে, তখন প্রথম বার আমি আরিফা’কে দেখেছিলাম। আমাদের ভার্সিটিতে নতুন এসেছিলো সে। ভালো লেগে যায় তাকে আমার। তার খোঁজ খবর নিতে গিয়ে দেখলাম নিশি কে। আরিফা’র কাছে জানি নিশি আর জিসানের মাঝে তেমন কোনো সম্পর্ক নেই শুধু বন্ধুত্ব ছাড়া।
তারপর ও আমি খোঁজ করতে লাগলাম ব্যাপার টা নিয়ে নিশ্চিত হবার জন্য। সেদিন যখন জিসান বারে মদ খেয়ে বলতে লাগল “নিশি’কে শুধু তুই ভালোবাসতি বলে সে নিশি কে চায় তখন খুব খারাপ লাগল। জিসান এর স্বভাব ছিলো তোর জিনিস নিয়ে নেবার কিন্তু সেটা ছোট ভাইয়ের নিছক আবদার ভেবে কিছু বলেনি। কিন্তু এটা তো বাড়াবাড়ি ছিলো। জিসান জানত সেদিন তুই নিশি কে নিজের ভালোবাসার কথা বলতে যাবি তাই সেদিন জিসান ফুল নিয়ে নিশি কে বন্ধুত্বের প্রস্তাব দিয়েছিলো। নিশি সেটাই গ্রহণ করে। আসলেই মানুষের বুঝতে অনেক ভুল হয় কিন্তু সেটা যদি ইচ্ছে করে ভুল বোঝানো হয় তাহলে সেটা বাড়াবাড়ি হয়ে যায়। তাই তোকে আমি ফোন করে বলে এখানে নিয়ে আসি। কারন তুই একটা সুযোগ পেতে পারতি কিন্তু এর মাঝেই জিসান তোকে দেখে প্রোপজ করে ফেলে নিশি কে।
“নিশান : নিশি তো হ্যাঁ বলে দিলো। জানিস সেদিন আরো একবার মন ভেঙে গেলো আমার। আমি ভাবিনি নিশি হ্যাঁ বলবে।
“আরিয়ান : যা হয়েছে ভুলে যা নতুন করে শুরু কর সব।
“নিশান : তবুও নিশি এতে কোনো দোষ নেই। জান পাখি শুধু শুধু ফল ভোগ করছে।
“আরিয়ান : তাহলে তোর কি মনে হয় জিসানের সাথে বিয়ে হলে নিশি ভালো থাকতো!
“নিশান : ভালো তো ওকেই বাসে। ভালো তো থাকার কথাই
“আরিয়ান : তুই পুরোপুরি ভাবে ভুল। জিসানের গার্লফ্রেন্ড এর অভাব নেই সেটা ভুলে গেছিস। ভালোবাসা’র মূল্য কি সেটা ও এখনো বোঝে না। তোর সাথে হিংসা করে শুধু নিশি কে বিয়েই করতো কিন্তু তারপর… সুখে রাখতে পারো ওকে।
“নিশান : ( আকাশের দিকে তাকিয়ে চুপ হয়ে থাকে )
“আরিয়ান : ( নিশানের ঘাড়ে হাত রেখে ) নিশি সত্যি টা জানে না তুই ওকে সব বলে তো দেখ। দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে। এক তরফা ভালোবাসা কখনো সম্পূর্ণ হয় না। এখানে তুই নিশি কে এক তরফা যেমন ভালোবাসিস নিশিও এক তরফা ভালোবেসে জিসান কে। কিন্তু আমার কি মনে হয় জানিস নিশি হয়তো ভালো লাগা আর ভালোবাসা’র পার্থক্য বুঝতে পারে নি।
“নিশান : হয়তোবা! ভালোবাসা সত্যি’ই অদ্ভুত। হুটহাট করেই ভালোবাসা হয় কিন্তু সেটা বোঝানোর ক্ষমতা সবার থাকে না। ( তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে ) নিশি তো ঠিক ও করে নিলো ডির্ভোস দিয়ে দেবে আমাকে!
“আরিয়ান : কি বলছিস!
“নিশান : হ্যাঁ সেদিন ……. ( জিসান আর নিশি’র সমস্ত কথা বলল )।
( নিশি দাঁড়িয়ে এতোক্ষণ সমস্ত কথা শুনলো। জিসান ওকে ধোঁকা দিয়েছে এটা সে মানতেই পারছে না। এরপর আর না দাঁড়িয়ে রুমে চলে আসে সে )
“আরিয়ান : তুই আবারও ভুল করছিস।
“নিশান : মানে…
“আরিয়ান : এখানে নিশি একবার ও বলেছে তোকে ডির্ভোস দিবে সে।
“নিশান : তা হয়তো বলে নি কিন্তু পেপার তো ঠিকই নিয়েছে আর এছাড়া সে বলে দিয়েছে আমাকে ভালোবাসবে না সে।
“আরিয়ান : ভালোবাসা কখনো বলে হয় না নিশান।
“নিশান : হুম…
“আরিয়ান : অনেক রাত হয়েছে ঘুমাতে যা এখন। আর নিশি ও একা ওখানে।
“নিশান : এখন শুধু ওকে হারানোর ভয় করে আমার।
“আরিয়ান : ভালো যখন বাসো হারানোর ভয় তো করবেই!
“নিশান : ( মুচকি হেসে ) হায়রে ভালোবাসা!
( এখন বর্তমানে আসি…..
নিশান এতোক্ষণে বুঝতে পেরেছে নিশি সব জেনে গেছে। কিন্তু এখন কি বলবে তা বুঝে ওঠতে পারছে না সে। নিশি ওর সামনে কোমরে হাত দিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
“নিশি : ( ধমক দিয়ে ) কি হলো কথা বলছেন না কেন?
“নিশান : তুমি আবার ও আমাকে ধমক দিচ্ছো।
“নিশি : কেন ধমক দেওয়া যাবে কেন আপনাকে। ভয় পাই আপনাকে আমি…
“নিশান : ওহ্ আচ্ছা ভয় পাও না আমায় ( নিশি’র সামনে আগাতে আগাতে )
“নিশি : না পাই না ( নিশানেথ আগাতে পিছুতে থাকে ) আ… আপনি আগাচ্ছেন কেন এভাবে…
“নিশান : তুমি কেন পিছাচ্ছো!
“নিশি : ( দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। নিশান ওর সামনে দাঁড়িয়ে এক হাত নিশি’র এক পাশে রাখে )
“নিশান : এখনও ভয় পাও না জান পাখি!
“নিশি : দেখুন আমি চিৎকার করবো।
“নিশান : করো মানা করেছে কে!
“নিশি : ধুর! আপনি কথা ঘুরাচ্ছেন কেন
“নিশান : মানে..
“নিশি : আমি কি নিয়ে কথা বলছিলাম।
“নিশান : কি নিয়ে?
“নিশি : আপনি আমাকে মিথ্যে বলেছেন।
“নিশান : কোন মিথ্যে…
“নিশি : ওয়েট শুধু আপনি না আপনার ভাই ও..
“নিশান : নিশি…
“নিশি : কি?
“নিশান : সত্যি টা তুমি জানো… কিছু বলার নেই আমার।যা হয়েছে তা ভুলে যাও।
“নিশি : এতোই কি সহজ সব ভুলে যাওয়া। আপনার ভাই আপনার আবেগ নিয়ে খেললো আমার ভালোবাসা নিয়ে আর আপনি ( হেসে ) আপনি তো আমার জীবন টা নিয়েই খেললেন।
“নিশান : জান পাখি.. ( গালে হাত দিয়ে ) ট্রাস্ট মি যখন আমি শুনলাম তুমি আমাকে ডির্ভোস দিয়ে দিচ্ছো আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল হারিয়ে ফেলবো তোমাকে। আমার কিছু করার ছিলো না।
“নিশি : তাই বলে আপনি এরকম’টা করবেন আমার সাথে।
“নিশান : জান পাখি প্লিজ ক্ষমা করে দাও আমায়। একটি বার সুযোগ দাও আমায়। সত্যি বলছি বিশ্বাস ভাঙবো না তোমার।
“নিশি : আপনি আর বিশ্বাস… কিন্তু আপনাকে এটা কে বললো আমি আপনাকে ডির্ভোস দিচ্ছি।
“নিশান : তুমি তো পেপার নিয়েছিলে। তার মানে.. তুমি ডির্ভোস দিচ্ছ না আমায়।
“নিশি : আমার জীবনে এভাবেই কি সমস্যা কম যে আপনাকে ডির্ভোস দিয়ে আমি আবার সমস্যায় পরব।
“নিশান : মানে..
“নিশি : আপনি যদি ভেবে থাকেন আপনাকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি that’s wrong. আপনি জানেন একটা ডির্ভোসি মেয়েকে কতোটা বঞ্চনা সইতে হয়, সমাজ তাকে নিয়ে কতো বাজে কথা বলে, তার ফ্যামিলি কে কতো কিছু সইতে হয়। জানেন আপনি! আর আপনি এটা ভাবলেন কি করে আপনকে ডির্ভোস দিয়ে আমি আপনার ছোট বিয়ে করবো, যদি করিও তাহলে অন্যকাউকে…( কিছু বলার আগেই নিশান নিশি’র কোমর জড়িয়ে ধরে নিজের কাছে টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। )
“নিশান : এর বেশি বলার দরকার নেই তোমার। তুমি অন্যের হওয়াতো দূর কখনও ভাববেও না তুমি শুধু আমার বুঝলে তুমি শুধু আমার!
( এমন সময় জিসান রুমের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন সে নিশি কে নিশানের সাথে ওই অবস্থায় দেখে। জিসান এইসব দেখে রেগে সেখান থেকে চলে যায় )
.
“নিশি : ছাড়ুন আমায়!
“নিশান : এতো আনরোমান্টিক কেন তুমি..
“নিশি : কিহ?
“নিশান : তা নয়তো কি। স্বামীর এতো কাছে তুমি তারপরও কোনো ফিলিং আসছে না তোমার।
“নিশি: না আসছে না…
“নিশান : কি মেয়েরা বাবা!
“নিশি : নিশান আপনি আবারও কথা ঘুরাচ্ছেন।
“নিশান : না কিছু ঘুরাচ্ছি না আমি। চলো অনেক ঘুম আসছে আমার।
( বলেই নিশি কে কোলে তুলে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে তাকে নিজের বুকে জরিয়ে নেয়। নিশি কিছু বলতে যাবে তখন নিশান নিশি’র ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে বলে…
“নিশান : জান পাখি আমি কিন্তু রোমান্স করার মুডে আছি যদি আর একটা শুনি তো আমি..
“নিশি : ( মাথা নাড়িয়ে না না বলে মুখে হাত দেয় )
“নিশান : that’s like a good jan pakhi.
“নিশি : girl না হয় ( মুখের থেকে হাত সরিয়ে )
“নিশান : আবার কথা বলছো।
“নিশি : উহু।
“নিশান : ( নিশি’র কপালে আলতো করে ভালোবাসার পরশ দিয়ে) ভালোবাসি জান পাখি!
“নিশি : ঘৃনা করি আপনাকে!
“নিশান : ( মুচকি হেসে নিশি কে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরে ) তুমি ঠিকই ধরেছো জান পাখি। আমি এই ব্যাপার নিয়ে আর কথা বলতে চাই না। যতই অন্যায় করুক না কেন জিসান আমারই ছোট ভাই। একদিন সব ও বুঝতে পারবে। আর যখন তুমি সত্যি টা জেনেছো তাহলে আর কোনো সন্দেহ নেই আমার। তুমি আমাকে ছেড়ে আর যাবে না। শুধু একবার ভালোবাসো আমায় জান পাখি! ( মনে মনে )
“নিশি : ( মনে মনে ) আমি জানি উনি এই ব্যাপার নিয়ে কথা বলতে চান না কিন্তু আমি এতো সহজে সব ছেড়ে দেবো না। আমার ভালোবাসা নিয়ে এতো বড় ধোঁকা আমি কিছুতেই মেনে নেবো না। কিন্তু জিসান এমন কেন। কে বলবে আমায়। মা! হ্যাঁ মা আমাকে সব বলতে পারেন। আমি কালকেই যাবো বাসায়। মায়ের কাছ থেকে সব টা জানবো। কিন্তু….নিশান কে ভালোবাসা কি আসলেই সম্ভব আমার পক্ষে!
চলবে…..
আগের পর্বের লিংক
https://www.facebook.com/groups/371586494563129/permalink/397685851953193/