অব্যক্ত ভালোবাসা
পর্ব :২
মাইজা নিজের ঘরে গিয়ে থম মেরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। তারপর ড্রায়ার থেকে একটা ছবি বের করল। ছবিতে হাস্সোজ্জল দুই কিশোরী। দুইজন এর একই জামা, একই জুতো, একই সাজ। মাইজা ছবিটিতে হাত বুলিয়ে দিল। পরীক্ষনেই দ্রুতগতিতে ছবিটা ড্রায়ারে রেখে দিল। ভিতরে থাকা ক্ষোভ, কষ্ট, অভিমান আর ফুপানো কান্নার সংমিশ্রণে মুখ থেকে অস্পষ্ট স্বরে বলল,,,
-”তোর জন্য সবকিছু হয়েছে, সবকিছুর জন্য তুই ই দায়ি।।।।।
।
।
মেহবিন নিজের ফ্ল্যাটে গিয়ে পা থেকে জুতাটা টেনে খুলে ফেলে দিল। ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানির বোতল নিয়ে এক ঢোকে সব খেয়ে নিল,,, মিসেস রুকাইয়া অস্থির হয়ে বললেন –
-”’কি করছিস মেহবিন, এভাবে ডিরেক্ট ঠান্ডা পানি কেন খেলি? আবার ঠান্ডা লেগে গেলে ঘর থেকে বের করে দিব।।
-ভিতরে আটকানো এতক্ষণের রাগটা অতিমাত্রায় বেরে গিয়ে চিল্লিয়ে বলে মেহবিন –
-”হ্যা দেও বের করে দেও, চলে যাই আমি। তারপর ঐ মাইজাকে নিয়ে এনে রেখে দেও।
বলেই একমূহর্ত না দাঁড়িয়ে হনহনিয়ে নিজের রুমে গিয়ে ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দিল।
মিসেস রুকাইয়া মেয়ের এহেন আচরণে অবাক হয়নি। যতবারই সে মাইজাদের বাসায় ওকে পাঠিয়েছে ততবারই তার মেয়ের আচরণ এমনটা হয়েছে। অথচ আজ থেকে দুই বছর আগে মেয়েকে ঘরে রাখা যেত না ,সবসময়ই শুধু মাইজা আর মাইজা।কিন্তু মেয়ের হঠাৎ পরিবর্তন এর কারণ তার কাছে অজানা।
(আসসালামু আলাইকুম 💜 অব্যক্ত ভালোবাসার দ্বিতীয় পর্ব দিলাম, একটু ছোট হয়েছে। রাতে সবাই চাইলে দ্বিতীয় পর্বের বর্ধিতাংশ দিব। সবাই জানাবেন কেমন হয়েছে। ধন্যবাদ 🌸)