তুমি আমার স্বপ্নচারিণী পর্ব-৫০ ৫১

0
891

তুমি আমার স্বপ্নচারিণী
উম্মে হাবিবা তনু
Part:50

বখশী সাহেব বের হয়ে যেতেই অপলা গেটের সামনে দাঁড়ায়।এইখান থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বিছানায় শুয়ে থাকা মানুষটাকে।মানুষ আর কোথায় কয়েক টুকরো হাড়কে পাতলা কুচকে যাওয়া চামড়া দিয়ে যেনো ডেকে রাখা হয়েছে।মুখের আদল বলতে সবটাই ডাকা পড়েছে তার কুচকানো চামড়ার নিচে।তবে বুঝা যাচ্ছে বয়সকালে বেশ নজরকাড়া সুন্দরি ছিলেন।অপলা অপলক তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ।এইটা ওর মা ওর নিজের মা।ও চাইলেও পারছেনা ছুটে গিয়ে ওর মায়ের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়তে।ওর ভিতরে অনেক জড়তা কাজ করছে।এতগুলো বছর ওর নিজের মা থাকা সত্বেও কেনো তাকে একবার দেখতেও পারলো না।কেনো ও ওর মায়ের থেকে এত দূরে ছিল?তার পিছনের গল্পটা কি?সবটাই ওর অজানা।ওর দুচোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।

অপলাকে অনেকক্ষণ দেখতে না পেয়ে রেহনুমা আহমেদ খুঁজতে খুঁজতে ভিতরে চলে এলো।আসার পথে ম্যানেজারের সাথে দেখা হয়ে গেল।ম্যানেজারের থেকে জানলেন রোমানা মৃত্যুর দোরগোড়ায়।আর স্যার সেখানেই আছেন।রোমানার ঘরটা কোনদিকে জেনে রেহনুমা আহমেদ আর সেখানে দাড়ালেন না।অপলার বাবা যদি সেখানে থাকে তাহলে অপলা কোথায়?তার যে আজ খুব ভয় হচ্ছে।কিসের ভয় সেটা?নিজের জন্য নাকি মেয়ের জন্যে??তিনি যত দ্রুতসম্ভব হাঁটছেন।কাছাকাছি যেতেই রেহনুমা আহমেদ থমকে গেলেন।তিনি আশা করেননি এমন কিছু দেখবেন।তিনি সামনে আগানোর শক্তিও হারিয়ে ফেলছেন।বুকে প্রচন্ড ব্যাথা হচ্ছে।তিনি নিজেকে সামলাতে চাচ্ছেন কিন্তু পারছেন না।কি করে পারবেন অপলা কাদঁছে।কেন কাদবে অপলা,তাও রোমানার দুয়ারে দাঁড়িয়ে?তবে কি সব জেনে গেলো?তিনি সামনে এগুলেন।

মাহিম আর রুদ্র সবার সাথে দাড়িয়ে আছে।ভিতরে একজন অসুস্থ মানুষ অথচ কাওকে তার কাছে যেতে দিবে না।হোমের সবারই ভালো লাগছে না এইসব।বাইরে এসে সবাই একে একে যে যার মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে এদিক সেদিক বসে,দাড়িয়ে,কেউবা হেঁটে হেঁটে এইটা নিয়ে কথা বলছে।কারো ভালো লাগছে না।মাহিম বুদ্ধি করে ডক্টরকে ফোন করেছে।এখন মাহিম আর ওর বন্ধুরা ডক্টরের অপেক্ষা করছে ঠিকই তবে মাহিমের চোখ অপলাকে খুঁজছে।আশেপাশে কোথাওই তো দেখছে না।কে জানে কোথায় আছে।ছটফট করছিল অপলাকে দেখার জন্যে।

কাধে কারো হাতের ছোঁয়া পেতেই চমকে উঠলো অপলা।রেহনুমা আহমেদ এর দিকে তাকিয়ে আবার সামনে তাকিয়ে বলল,মা ওই দেখো আমার মা!রেহনুমা আহমেদ এর সমগ্র শরীর কেপে উঠল,তার ভয়টাই কি সত্যি হলো?অপলার গলার আওয়াজ পেয়ে হিশাম আহমেদও সেদিকে তাকালেন।কারেন্টের শক খেলেও বোধ হয় এতটা বিদ্ধস্ত হতেন না এইমুহুর্তে যতটা হলেন।তিনি এইখানে অপলাকে আশাই করেননি তার উপর অপলার এই কথা।তিনি কী করবেন বুঝতে পারছেন না।স্ত্রীকে ধরবেন নাকি অপলাকে এইখানে আসতে দিবেন?কি করবেন তিনি?এত বড় সত্যিটা কি করে মানবেন তিনি??

অপলা রেহনুমা আহমেদ এর দিকে তাকালো,
– মা আমি সবটা জেনে গেছি মা আমি সবটা জানি।ও মা আমি তোমাদের মেয়ে না,কেনো বলনি এতদিন বলো মা…
– (কথা বলার মত শক্তিটুকুও পাচ্ছেন না।উনার বলতে ইচ্ছা করছে,না তুই আমার মেয়ে শুধুই আমার মেয়ে)
– মা তবে কি বিছানায় যিনি আছেন তিনি আমার মা??বলো না মা।
– (অনেক কষ্টে ভাঙ্গা ভাঙ্গা ভাবে বললেন)আ..মা..র…মে..য়ে..তু…ই..
– কেনো এখনো আড়াল করছো মা!!
– (গলা ধরে আসছে,চোখ ফেটে কান্নারা আজ বাঁধ ভেঙেছে,তিনি স্বামীর দিকে তাকিয়ে আছেন।খুব করে চাইছেন তিনি বুঝাক অপলাকে)
– মা আমি অপলা না আমি রানু!!
– না তুমি অপলা।(হিশাম আহমেদ কঠিন গলায় বললেন।অপলার সাথে তিনি কখনো এই গলায় কথা বলেন না।তবে আজ বললেন)
– বাবা আর লুকিয়ে কি হবে?
– আমরা কিছু লুকাচ্ছি না।
– বাবা আমি তোমার আর ম্যানেজার আংকেলের সব কথা শুনেছি।
– লুকিয়ে লুকিয়ে কথা শুনেছ?তোমাকে আমরা এই শিখিয়েছি?
– না বাবা শিখাওনি।কিন্তু বাবা আমি তো জানি আমার বাবা আমার থেকে কিছু আড়াল করে না তবে আজ কেনো এত বড় সত্যিটা লুকাচ্ছ?
– কোনটা সত্যি?
– আমি তোমাদের মেয়ে না।
– তুই আমাদের মেয়ে,হ্যাঁ,হ্যাঁ তুই আমাদের মেয়ে।জন্ম দেয়নি তাই বলে কি তোকে আমরা কম ভালোবাসি বল?তুইতো আমাদেরই একটা অংশ হয়ে গেছিস।(নিজের অজান্তেই কিসব বলে দিলেন বুঝতে পারছেন না।বড্ড অসহায় লাগছে তার নিজেকে।)
রেহনুমা আহমেদ তাকিয়ে আছেন হিশাম আহমেদ এর দিকে কি বলল এইসব কেনো বলল?এখন অপলা….যদি ভুল বুঝে?ওদের ছেড়ে চলে যায়?কি করবেন তিনি।
অপলা ভাবলেশহীন ভাবে বাবার দিকে তাকিয়ে আছে।
– বাবা আমার মা মারা যাচ্ছে আমি কি একবার যাবো?
রেহনুমা আহমেদ শক্ত করে অপলার হাত ধরলেন।
– না তুই কোথাও যাবি না।
– অপলার মা ওকে আর আটকিও না।যেতে দেও ওকে।
– না ও কোথাও যাবে না।
– (হিশাম আহমেদ স্ত্রীর হাত টা অপলার হাত থেকে ছাড়িয়ে নিলেন।)যা মা তোকে আর কেউ বাঁধা দিবেনা।যা তুই।
অপলা ধীর গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।ওর চোখে মুখে একরাশ ভালো লাগা,একরাশ প্রশ্ন আর বুক ভরা হাহাকার।আস্তে করে খাটের একপাশে বসলো ওর মায়ের দিকে মুখ করে।তার শরীর আরো মিয়ে গেছে।একদম নিস্তেজ অসার হয়ে আছে।অপলা কিছুক্ষণ তাকিয়ে নিজের মাকে,সত্যিকারের মাকে দেখলো।খুব আলতো করে ডাকলো মা…মাগো।রোমানা পিট পিট করে তাকালেন,যেনো তাকানোর শক্তিটুকুও নেই।অপলা আবার ডাকল,মা আমি এসেছি,তোমার মেয়ে দেখো।রেহনুমা আহমেদ কান্নায় ভেংগে পড়ছেন,তাই হিশাম আহমেদ তাকে নিয়ে বের হয়ে এলেন।এই দৃশ্য তিনিও দেখতে পারছেন না।

মা..ও মা একবার দেখো তোমার রানু এসেছে।তুমি কথা বলবেনা?আমার যে তোমার সাথে অনেক কথা বলার আছে মা একবার তাকাও।রোমানা তার সমস্ত শক্তি দিয়ে একটা তুলতে চাইছেন মেয়েকে ছুঁয়ে দেখবেন বলে।অপলা বুঝতে পেরে ওর মায়ের একটা হাত ওর গালের সাথে চেপে ধরলো পরম মমতায়।ওর মা অনেক কষ্ট ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় বললেন,আ…মা…র..মে..য়ে..রা…নু.. অপলা ওর মায়ের মাথা নিজের কোলের মধ্যে নিয়ে ব্যাকুল হয়ে বলছে হ্যাঁ,মা তোমার মেয়ে দেখো মা..ততক্ষণে রোমানার সব বলার,অপেক্ষার শেষ হয়ে গেছে।শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন মেয়ের কোলে,তবুও তার মুখে লেগে আছে এক তৃপ্তির হাসি।অপলা ডাকছে মা ও মা তাকাও না একবার দেখো তোমার রানু এসেছে দেখবেনা মা?আমি আর তোমাকে ছেড়ে যাবো না।ও মা…অপলা তার কাঁধে কারও স্পর্শ পেল।তার হাত চেপে ধরে পাগলের কাদঁছে আর বলছে আমার মা কথা বলছে না কেন!!

চলবে……….

তুমি আমার স্বপ্নচারিণী
উম্মে হাবিবা তনু
Part:51

মাহিমের হাত আকড়ে ধরে অপলা কাদঁছে।ওর মাকে পেয়েও হারিয়ে ফেললো।খুব কাদছে ও।ডক্টর পালস চেক করে রোমানাকে মৃত ঘোষণা করলো।সারাজীবনের জন্য হারিয়ে ফেললো অপলা ওর মাকে।মাহিম ওকে খুব করে বুঝাতে চাইছে যে যাবার সে চলে গেছে,তুমি কাদলে তো আর ফিরে আসবে না,উনার আত্মা কষ্ট পাবে,তুমি কেঁদো না প্লিজ।কিন্তু অপলা কোনো কিছুই বুঝছে না।ওর চোখের পানি আজ আর কোনো বারণ শুনছে না।মাহিম ওকে সেখান থেকে বের করতে চাইছে কিন্তু অপলাকে সরানো যাচ্ছে না।

ততক্ষণে হোমের সবাই জেনে গেছে রোমানার মৃত্যুর খবর।সবাই এসে ভিড় করছে সেখানে।কান্নার রোল উঠেছে চারদিকে।কেউবা হাহাকার করছে,শেষ পর্যন্ত যখন মেয়েটাকে পেলো তখন নিজেই চলে গেল,আল্লাহ এ তোমার কেমন বিচার!!এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে গেলো হোমে।প্রতিটা মানুষ কাদঁছে।মাহিমের মা,বাবা,ভাই,ভাবী,বন্ধুরা কাদঁছে।রিজভী লুবনা সবার চোখেই পানি।রেহনুমা আহমেদ ও হিশাম আহমেদও কাদছেন কিন্তু তারা দুজন সেখানে নেই।কোন মুখে অপলার সামনে যাবেন তাই দূরেই রইলেন।আর নেই সেই ম্যানেজার বখশী সাহেব।তার বিবেক তাকে দগ্ধ করছে,মৃত মানুষের শেষ কথাটা কি তিনি রাখতে পারবেন না??

মাহিম অপলাকে বুঝাচ্ছে যাতে এইখান থেকে খোলা জায়গায় গিয়ে বসে।এইখানে থাকলে ওর কষ্ট আরও বাড়বে।অপলাকে অনেকক্ষণ বলার পর ও উঠে দাড়ালো।কিন্তু পরক্ষণেই ওর মায়ের বুকের উপর আছড়ে পড়ে কাদতে থাকে।মাহিম একপ্রকার টেনে ওকে তুললো।অপলা মাহিমের কাধে মাথা রেখে কাদছে আর বলছে,মা আমাকে এইভাবে রেখে চলে যেতে পারলো,কি করে পারলো মা!!অপলা প্লিজ কেঁদো না,আমরা হাজার চেষ্টা করলেও ওনাকে ফিরিয়ে আনতে পারব না।আমি যে একা হয়ে গেলাম মাহিম,বড্ড একা,আমার যে আর নিজের বলতে কেউ রইলো না!!কি বলছ এইসব?তোমার সবাই আছে,তোমার মা,বাবা,বোন সবাই আছে।যে যাবার সে একা গেছে বাকি সবাই তো আছে তোমার,আমি আছি তোমার সাথে।অপলা মাহিমের হাতটা শক্ত করে আকড়ে ধরলো।

রোমানার দাফন কাফন এর ব্যবস্থা এইখানেই করা হয়েছে।হোমেই তাকে কবর দেয়া হবে।সবাই এখন সে কাজেই ব্যস্ত।অপলা সবার থেকে দূরে একা বসে আছে।সে একটু একা থাকতে চায়।তার যে আজ সব শেষ হয়ে গেল।তার অবচেতন মনের ভাবনা যদি সত্যিই হওয়ারই ছিল তবে আরো আগে কেনো হলো না!!কি এমন অতীত ছিল যার জন্য আমি আমার মায়ের থেকে এত দূরে ছিলাম?কি এমন ঘটেছিল যার জন্য নিজের মা থাকা সত্বেও অন্য কারো কাছে থাকতে হলো!!হাজারো প্রশ্ন ভিড় করছে মাথায়।কে দিবে এইসব প্রশ্নের উত্তর??তখনই ডাইরির কথা মনে পড়লো।বখশী আংকেল এর কাছে আছে সে ডাইরি।উনি কি সত্যিই পুড়িয়ে দিয়েছেন ডাইরিটা?এখনই খুঁজতে হবে ওই ডাইরিটা।দ্রুত ছুটে চলেছে অপলা ম্যানেজারের ঘরের দিকে।তার যে ওই ডাইরিটা চাই।ওর মা ওকে দিতে বলছে।যাই থাকুক ডাইরিতে তবুও তার মায়ের শেষ স্মৃতি এইটা।এটাকেই না হয় আকড়ে ধ
ধরে থাকবে।এইটা দেখেই না হয় ওর মাকে অনুভব করবে।কিছু স্মৃতি থাকা ভালো।খুব কষ্টের সময় স্মৃতিগুলোকে আকড়ে ধরে কষ্ট ভুলে থাকা যায়।

বখশী সাহেব তার ঘরের বারান্দায় আগুন জ্বালিয়ে তার সামনে বসে আছেন।তার মধ্যে একরাশ ভয়,দ্বিধা কাজ করছে।মালিকের কথার অমান্য করে এই বয়সে চাকরি খোয়ানোর ভয় যেমন কাজ করছে তেমনি অনুশোচনায় দগ্ধ হচ্ছেন মৃত ব্যক্তির শেষ ইচ্ছে কি করে ফেলে দিবেন??তিনি একপ্রকার অসস্তিতে পড়েছেন।আগুনের তাপে তিনি ঘেমে নেয়ে একাকার।তবুও তিনি সেখান থেকে উঠছেন।কি করা উচিৎ তাই তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না।তার বিবেক বলছে ডাইরিটা অপলাকে দিয়ে দিতে,মনও সায় দিচ্ছে বিবেককে আর তার বাস্তবতা বলছে ডাইরি পুড়ে ফেলতে না হয় যে না খেয়ে পরিবার নিয়ে মরতে হবে।এই বয়সে এসে কে তাকে চাকরি দিবে?নিজের সাথেই নিজে এক কঠিন বোঝাপড়া করছেন তিনি।আবার এইটাও ঠিক মেয়েটাতো এইটার ব্যাপারে কিছু জানেনই না তাহলে ওকে না জানালেও হবে।কিন্তু বিবেক তাকে দগ্ধ করছে।

ঘরের দরজা হাট করে খোলা।ভিতরে কেউ আছে নাকি নেই বুঝা যাচ্ছে না।অপলা বার কয়েক ডাকলো,ভিতরে কেউ আছেন!কিন্তু কারো কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।ভিতর পোড়া গন্ধ আসছে।অপলা গন্ধ অনুসরণ করে সামনে এগুতে লাগলো।যত সামনে এগুচ্ছে ততই যেনো পোড়া গন্ধ বেড়েই চলছে।সারা ঘরে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে।অপলা ভিতরে যত যাচ্ছে ততই ওর মনে হচ্ছে ডাইরিটা পুড়িয়ে ফেলেনিতো?ওর ভিতরে আশঙ্কা হচ্ছে।আগুনের উৎস খুঁজে পেয়ে তার কাছে যেতেই ওর ভিতরটা কেপে উঠলো।আগুনের সামনে বখশী সাহেব বসে আছেন।তবে কি তিনি ডাইরিটা পুড়িয়ে দিয়েছে??মায়ের শেষ স্মৃতিটুকুও কি ও ধরে রাখতে পারলো না!!ও আর সামনে এগুতে পারলো না সেখানেই পড়ে গেলো।টেবিলের একটা কোনা লেগে প্রচন্ড ব্যাথা পেলো।কাপলের একপাশ ফুলে গেছে।কোনো কিছু পড়ার শব্দ শুনে বখশী সাহেব পিছন ফিরে তাকালেন।অপলাকে পড়ে থাকতে দ্রুত তার কাছে গেলো।

ম্যাডাম!অপলা ম্যাডাম!শুনতে পাচ্ছেন!!বার কয়েক ডাকার পর অপলা চোখ খুলে তাকালো।আচমকাই ও উঠে বসে বখশী সাহেবের হাত ধরে কান্না করতে থাকে।সব কিছু এত দ্রুত হলো যে বখশী সাহেব হকচকিয়ে গেলেন।অপলা অঝোরে কাদঁছে আর বলছে,আংকেল আমার মায়ের শেষ স্মৃতিটুকু পুড়িয়ে ফেলবেন না আংকেল প্লিজ আমাকে ডাইরিটা দিয়ে দিন,ঐটাই আমার মায়ের রেখে যাওয়া একমাত্র স্মৃতি।বখশী সাহেব প্রথমে না বুঝলেও এখন বুঝতে পারছেন,মেয়েটা জেনে গেছে সব।এত বড় সত্যিটা যখন মেনে নিতে পেরেছে তবে ওর মায়ের অতীতটাও মেনে নিতে পারবে।কিন্তু ডাইরিটাতো…..কি করবেন তিনি!!বুঝে উঠতে পারছেন না।

চলবে…………..

সকল পর্বের লিংক
https://m.facebook.com/chayabithi.11/photos/a.158674299705436/158673836372149/?type=3

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here