অতঃপর_প্রেমের_গল্প❤পর্ব -৭+৮

অতঃপর_প্রেমের_গল্প❤পর্ব -৭+৮
#কায়ানাত_আফরিন

শ্রীমঙ্গলের হু হু বাতাসে বারবারই প্রেমের অনুভূতি হয় আফরার। কেমন যেন এক হিমশীতল আবেগে জর্জরিত ওর সমস্ত দেহ। যেদিকে তাকাচ্ছে সেদিকেই বিস্তৃত চা বাগান। কেমন যেন মোহনীয় এ দৃশ্য । সহজেই সবার নজর কেড়ে নিতে পারে। তবুও আফরার অবাধ্য চোখজোড়া বারবার চলে গেলো এই ট্যুরিস্ট স্পটের একেবারে শেষপ্রান্তে। সামনেই রয়েছে বিশাল খাদ। আর সে খাদ পেরোলেই ভারতের সীমান্ত। ইলা জায়গাটি নিয়ে অনেক কথাবার্তাই বলছে যা শুনতে ভালো লাগলেও আফরা মনোযোগ দিতে পারলো না। ওর অবচেতন মন বারবার ফারহান নামক মানুষটির রহস্য উদঘাটন করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

কড়া রৌদ্রের উত্তাপ থাকাতে আফরা আর ইলা দুজনেই এবার চলে গেলো চা বাগানটির শেষ প্রান্তের টি স্টলগুলোর দিকে। এখানে গাছের নিচে বেঞ্চ পেতে রখাখাতে সহজেই ছায়ার অতল স্পর্শ অনুভব করার যায়। চায়ের দোকানটির একটু পাশ ঘেষেই রয়েছে হাসনাহেনা গাছ। ইলার ভাষ্যমতে রাতে নাকি ঘ্রাণে এই জায়গাটি মৌ মৌ করে। কিন্ত কেউই এখানে তা উপভোগ করার সাহস পায়না। কারন হাসনাহেনা ফুলের ঘ্রাণে নাকি সাপ এসে পড়ে। দোকানদার এবার দোকানে বসেই জিজ্ঞেস করলো……….

‘আফা চা দিমু?’

দোকানদারের কথায় ইলা প্রশ্নবিদ্ধ চাহিনী নিয়ে তাকালো আফরার দিকে। তারপর কোমল গলায় বললো,

‘চা খাবে আপু?’

‘না………আমি আসলে চা তেমন একটা খেতে পারিনা। স্মেলটা আমার কাছে কেমন যেন লাগে।’

আফরার কথায় মধ্যবয়স্ক দোকানদার হতবুদ্ধি হারিয়ে বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে রইলো আফরার দিকে। তার ৪৫ বছরের জীবনে এমন বিস্মেয়র কথা সে কখনোই যেন শুনে নি। ইলাও কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো এমন কথায়। চায়ের দেশের মানুষের সামনে যদি চা’ নিয়ে এমন অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে সবাই উদ্ভ্রান্ত হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক। দোকানদার মুখ থেকে পান ফেলে তিক্ত সুরে বললো,

‘কই থেইক্যা আইসেন আপনি?আমাগো চায়ের লেগা লোকজন দ্যাশ বিদ্যাশ থেইক্যা আইয়া পড়ে। আর আপনার ভাল্লাগে না?’

ইলা বুঝলো দোকানদার ক্ষেপেছে। এধরনের নিম্ন আয়ের মানুষরা খুব কম সময়েই ভোক্তাদের সাথে আন্তরিক থাকে না তাই উনার মাথা ঠান্ডা করার জন্য ইলা বললো,

‘আমারে চা দেন মামা।কড়া লিকারের দিবেন।’

মধ্যবয়স্ক দোকানদার এতক্ষণ আফরার কথায় যতটাই না অসন্তুষ্ট ছিলো এবার ইলার কথায় যেন সে নিজের হাসি ফিরে পেয়েছে। আরেকটা পান মুখে ঢুকিয়ে বললো,

‘এহনি দিতাসি আফা।’

আফরা তাই নীরবেই বসে থাকলো ইলার সাথে। চারিদিকে রৌদ্রের ছটাকে কেমন যেন ধূ ধূ করছে। অল্পবিস্তর আবেগময় অনুভূতি। এমন দৃশ্য উপভোগ করার সময় যদি মোবাইলের রিং বেজে ওঠে কেই না বা বিরক্ত হবে? আফরাও হলো। প্রচন্ড রকমের বিরক্ত। কিন্ত সে যেহেতু নিজ দেশের বাইরে আছে তাই হঠাৎ কল আসাতে কৌতুহল জাগলো মনে। স্ক্রীনে স্পষ্ট ফুটে ওঠেছে ইন্টারন্যাশনাল নাম্বার। ভ্রু কুচকে এলো আফরার। চোখের পাতা পড়ছে ঘনঘন। এসময়ে অ্যামেরিকা থেকে ওর মম-ড্যাড ছাড়া তো আর কারও কল দেওয়ার কথা না। তাহলে কে কল দিলো এটা? কপালে পড়ে গেলো চিন্তার সুক্ষ্ন ভাঁজ। আফরা তাই অপ্রস্তুত ভাবে তাকালো ইলার দিকে। চোখের ইশারায় মোবাইল দেখিয়ে বললো,

‘কল এসেছে। কথা বলে আসছি।’

ইলাও সম্মতি জানালো ইশারায়। আফরা তাই এবার মোবাইল নিয়ে একেবারে ঢালে এসে দাঁড়ালো। অবশেষে কল ধরে নিদারুনভাবে বললো,

‘হ্যালো………হু আর ইউ?’

অপরপাশ থেকে শোনা গেলো কারও তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলার শব্দ। আফরা উদগ্রীব হয়ে তাকিয়ে আছে উত্তর শোনার জন্য। মৌনতা কাটিয়ে সে বলে ওঠলো,

‘এরিক।’

কিছুটা নীরব হয়ে গেলো আফরা। মনের ভেতরকার কথাগুলো এরিকের কন্ঠে কেমন যেন দলা পেকে যাচ্ছে। বুকের ধুকধুক শব্দটা ক্রমশই বাড়ছে। এরিক গটগটিয়ে ইংরেজিতে জিজ্ঞেস করলো,

‘কেমন আছো অ্যাফি?’

‘ভালো।’

আফরার সরাসরি উত্তর। এরিক অপরপাশে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলো।

‘অ্যানার কাছে শুনলাম তুমি নাকি বিডিতে গিয়েছো?কবে আসবে?’

‘জানা নেই।’

‘আমায় মিস করো না?’

এরিকের জড়ানো কন্ঠ। আফরা কি বলবে ভেবে পেলো না। কেননা মেয়েটার এরিকের কথা মনে পড়েনাই এমন না কিন্ত ছেলেটার জন্য কখনোই ওর মনে কোনো অনুভূতি কাজ করতো না। আফরা নির্দয়ভাবে বললো,

‘উহু……….আমি এখানে অনেক ভালো আছি।’

এরিক নিস্তব্ধ হয়ে গেলো আফরার কথায়। নিজের ব্যর্থতাকে আগুনে সপে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে তার। স্মিত হেসে তাই সে বললো,

‘ভালো থেকো তাহলে। গড এর কাছে প্রে করবো আমার মতো অবস্থা তোমার যেন না হয়। ওয়ান্স এগেইন………………আই লাভ ইউ অ্যাফি!’

বলেই টুট করে কল কেটে দিলো এরিক। আফরা প্রশ্নবিদ্ধ চাহিনী নিয়ে এরিকের নাম্বারের দিকে তাকিয়ে আছে। বুক চিরে বারবার বেরিয়ে আসছে দীর্ঘশ্বাস। কেনো সে এরিককে ভালোবাসতে পারলো না? আর ভালোবাসলে কি আদৌ ওদের সম্পর্কের কোনো রূপ পেতো? এরিক যে খ্রিস্টান। সে আর যাই হোক…………মম-ড্যাড এর কথা অমাণ্য করে কখনোই এরিককে বিয়ে করতে পারবে না। আফরা ইতিমধ্যে খেয়াল করলো অ্যামেরিকায় থাকা এরিকের দুঃখে শ্রীমঙ্গলের আকাশেও হঠাৎ অন্ধকার ছেয়ে এসেছে। এতক্ষণের নীল আকাশে ঘনীভূত হতে শুরু করেছে অল্পবিস্তর কালো মেঘ।দীর্ঘশ্বাস ফেললো আফরা। অল্প সময় পর ক্লান্তি বেশে জায়গাটি প্রস্থান করে চলে গেলো ইলার কাছে।
ইলা আফরাকে দেখে ব্যতিব্যস্ত হয়ে বলে ওঠলো,

‘আপু ! একটা সমস্যা হয়েছে?’

‘কি সমস্যা ইলা?’

আফরা অবাক হয়ে বললো।

‘আসলে আমায় ইমার্জেন্সি একটু *****বাজারে যেতে হবে। আগামীকাল আমার নোটসগুলো জমা নেয়ার কথা তাই একটু প্রয়োজনে স্টেশনারি যেতে হবে।

‘তো চলে তাহলে আমিও যাই।’

‘তোমায় নিতে পারবো না আপু।’

‘কেনো?’

‘আমার আসতে সময় লাগবে। তাছাড়া ওখানকার রাস্তাঘাট কাদা দিয়ে ভরা । তুমি হাঁটাচলা করতে পারবে না। এক কাজ করো আপু। তুমি এখানেই বসো। তোমায় আমি ফারহান ভাইয়ের নাম্বার দিচ্ছি। সে একটু পরেই তোমায় নিয়ে ‘নেলসন টি এস্টেটে’ চলে যাবে।’

ফারহানের নাম শুনেই মনের সুপ্ত কৌতুহল জেগে ওঠলো আফরার। কালবিলম্ব না করে তাই সে ইলাকে বললো,

‘ঠিক আছে। তুমি যাও। আমি এখানেই আছি।’

‘আচ্ছা আপু আমি গেলাম। আর ভাইকে ম্যানেজ করে নিও প্লিজ…….’

বলেই চলে গেলো ইলা।এতক্ষণের সুমধুর ঠান্ডা বাতাস এবার তীব্রতার সাথে দমকা হাওয়ায় রূপ নিয়েছে। ক্ষণে ক্ষণে বনফুলের ঘ্রাণ ওর নাসিকারন্ধ্র স্পর্শ করছে। আফরার এবার অপেক্ষা করতে লাগলো ফারহানের জন্য।
__________

দ্রুতগতিতে ড্রাইভ করে ট্যুরিস্ট স্পটের দিকে যাচ্ছে ফারহান। ঘন ঘননিঃশ্বাস ফেলছে বারবার। চোখের তীব্র দৃষ্টি একবার শ্রীমঙ্গলের অপরূপ পিচঢালাই রাস্তার দিকে তো একবার হাতঘড়ির দিকে। চিকন ব্ল্যাকবেল্টের স্মার্ট ওয়াচ বারবার স্মরণ করে দিচ্ছে ‘দেরি হয়ে গিয়েছে।’বাইরে চলছে তুমুলধারায় বৃষ্টি। ফলে গাড়ির কাচটি বারবার অস্পষ্ট হয়ে আসছে।জায়গামতো আসতেই গাড়ির ব্রেক কষলো ফারহান। বৃষ্টিতে বেরোনোর আগে কালো রেইনকোর্ট আর মাস্ক পরে নিলো সে। এমনিতেও ওই এলাকার চেয়্যারম্যানের সাথে ঝামেলা হয়ে এসেছে। ফারহান নিশ্চিত এবার ওর দুর্বলতা খোজারঁ জন্য সেই দুর্নীতিবাজ মানুষটা লোক লাগাবে ওর পেছনে। এসব হুমকিতে অভ্যস্ত ফারহান। ওর দূরদর্শীতার জন্য আজ পর্যন্ত একটা ক্ষমতাবান নেতাও এক চুল ক্ষতি করতে পারেনি ওর। তবুও সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। নিজের জন্য না হলেও ,মানুষের জন্য বাঁচতে হবে।

রেইনকোর্ট পড়ে গাড়ির বাইরে বেরোতেই রেইনকোর্টের ওপর টপ টপ করে পড়তে থাকলো বৃষ্টির পানি। দু আড়াই ঘন্টা আগের জনবহুল ট্যুরিস্ট স্পট এবার জনমানবহীন। দূর দূর বৃষ্টির কণায় ত্র্রাস সৃষ্টি করছে। ফারহান দ্রুত পা চালিয়ে আরও ভেতরে ঢুকলো। আশেপাশে নিজের প্রখর চোখজোড়া দ্বারা হন্য হয়ে খোঁজতে থাকলো ইলা আর ওই মেয়েটাকে। ‘ওই মেয়েটা’ মনে বিচরণ করতেই থমকে গেলো ফারহান। ‘আফরা’ নামের মেয়েটার কথা ইলা থেকেও ওকে যেন বেশি ভাবাচ্ছে।কিন্ত কারনটা সে জানে না। ইলা ফারহানের আপন চাচাতো বোন…………কিন্ত আফরা?

এসব ভাবতে ভাবতেই ফারহানের হঠাৎ চোখ গেলো শেষপ্রান্তে থাকা খাদের দিকে। এক রমনী দাঁড়িয়ে আছে। বৃষ্টিবিলাসে যেন ঘোরতর মগ্ন। চোখ ক্রমশ সরু হয়ে এলো ফারহানের। মেয়েটার শারীরিক গঠন দেখে ফারহানের মনে হলো আফরার কথা। দূর থেকে তবুও তেমন একটা বোঝা যাচ্ছে না।

পা চালিয়ে তাই খাদের পাদদেশে গেলো ফারহান। মেয়েটি আফরাই। একধ্যানে খাদের দিকে তাকিয়ে আছে। বৃষ্টির স্পর্শে কেপেঁ ওঠছে বারবার।মাস্কের ভেতরেই বিড়বিড়িয়ে কিছু একটা বললো ফারহান। সপ্রতিভ চাহিনী সে নিক্ষেপ করে রেখেছে অসম্ভব রূপবতী এই আফরার দিকে। অতঃপর আড়ষ্ট কন্ঠে ফারহান বললো,

‘এভাবে বৃষ্টিতে ভিজছেন কেনো আফরা?’

এক শক্ত পুরুষালি কন্ঠ শুনে মুহুর্তেই মাথা সরিয়ে সেই ব্যাক্তিটির দিকে তাকালো। শার্টের ওপর পরনে কালো রেইনকোর্ট , মাথাটা ঢেকে রাখলেও মসৃন চুল বেয়ে কপালে পানি পড়ছে টপ টপ করে। মুখের মাস্ক ইতিমধ্যে নামিয়ে ফেলছে ফারহান। ফলে প্রখর চাহিনীর সাথে টসটসে ঠোঁটজোড়া কেমন যেন নেশা ধরিয়ে দিচ্ছে সর্বাঙ্গে। আফরা বলে ওঠলো,

‘এই খাদে লাফ দিলে কি আমি মরে যাবো নেতাসাহেব?’

আফরার ‘নেতাসাহেব’ ডাকটিতে শরীরের সর্বত্র এক অদ্ভুত শিহরণ বয়ে গেলো ফারহানের। বুকের ঢিপ ঢিপ শব্দটা ক্রমশ যেন বেড়েই চলছে। এই মেয়ে কে? তার সম্পর্কে এতকিছু একদিনের ব্যাবধানে জানলোই বা কিভাবে? ফারহানের হাতের মুঠো শক্ত করে রেখেছে নিজেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। তারপর বলে ওঠলো,

‘কিসব আবোল-তাবোল বলছেন আপনি? আর ইলা কোথায়?’

‘আপনার দরবারে রেখে গিয়েছে।’

আফরার বিক্ষিপ্ত কন্ঠ। ফারহান যা বোঝার বুঝে নিলো। ইলা আফরাকে রেখেই চলে গিয়েছে কোথাও।

‘কি হলো নেতাসাহেব? বলুন ! এখান থেকে লাফ দিলে আমি কি মরে যাবো?’

ফারহান শক্ত হাতে আফরার বাহু চেপে নিয়ে এলো নিজের কাছে। আফরার সিক্ত দেহ ওর উষ্ণ দেহর ওপর রেইনকোর্টের আবরণে মিশে যাচ্ছে।আফরা নির্লিপ্ত চাহিনী নিয়ে তাকালো ফারহানের দিকে। কি মায়া তার মুখে? সৃষ্টিকর্তা এই পাষাণ মানুষটার মুখেই যেন অজস্র মায়া ছাড়িয়ে দিয়েছে।

‘পাগলের মতো বিলাপ করছেন কেনো? এখান থেকে লাফ দিলে মৃত্যুটা কি অনির্বার্য নয়?’

আফরা মলিন হাসে। ওর মরে যেতে ইচ্ছে করছে। অবচেতন মন বারবার বলছে এরিকের সাথে প্রতারণা করেছে সে। এরিকের চাপা অভিমান থেকে কিছুতেই সে হয়তো রেহাই পাবে না। ধুকে ধুকে কষ্টের শিকার হচ্ছে । কিন্ত ফারহান এসে আবারও ওর সবকিছু এলোমেলো করে দিলো। এরিকের কথায় যতটা না মর্মাহত হয়েছিলো……….ফারহানে শীতল রূপে তা যেন ধুলোর ন্যায় উড়ে গেলো হঠাৎ। আফরা কাট কাট গলায় বললো,

‘জানেন ! এতক্ষণ মরতে ইচ্ছে করছিলো আমার। যে অতীত ফেলে এখানে এসেছি তা যেন কোনোক্রমেই ছাড়তে চাইছিলো না। তবে এখন তা আর করবো না। আপনাকে দেখেছি যে……………আপনার সম্পর্কে জানার জন্য কৌতুহলের শেষ প্রান্তে এসে পড়েছিলাম আমি। অবশেষে সক্ষম হলাম আমার চিন্তাশক্তির জন্য। ‘অধিকারের জন্য লড়াই করি’ এটা শুনেই আমার বুঝে ফেলা উচিত ছিলো আপনি একজন নেতা। অন্য চার-পাঁচজনের মতো রাজনৈতিক নেতা না,,,,,,,,,,,,ছাত্রদের নেতা….মানুষের নেতা।অ্যা ট্রু কমরেড।’

বিস্মের চরম শিখায় চলে গেলো ফারহান। বৃষ্টিতে সিক্ত এই মেয়েটার কথাগুলো ঝংকারের ন্যায় কর্ণকুহরে বাজছে। আফরার ঠোঁটে স্মিত হাসি। যেন ফারহানকে অবাক করতে পারাটাই ওর জন্য বড় আনন্দের। আফরার এই হাসিতে ফারহানের মাথায় ঝিম ধরে গেলো। পাগল হয়ে যাবে ফারহান ! এই মেয়ে সত্যিই ওকে পাগল বানিয়ে ছাড়বে।
.
.
.
.
#চলবে………..ইনশাআল্লাহ

২০০০ শব্দের পর্ব দিয়েছি আজ। মাথাটা প্রচুর ব্যাথা করছে। আমি চাই আপনারা প্রত্যেকেই মন্তব্য করুন যাতে একটু হলেও ব্যাথাটা ভুলিয়ে মন ভালো করতে পারি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here