সিনিয়র খালাতো বোন part-20

0
1252

#সিনিয়র_খালাতো_বোন
#part_20
#writer_srabon

নাদিয়া কথা গুলো বলে বেঞ্চ থেকে উঠে ক্যান্টিনের বাইরে চলে যেতে লাগল। আমি তখনই নাদিয়ার হাত ধরে বসলাম।।

— এখানে,, আমার সামনে বসে আমার চোখের দিকে দেখ..!(আমি)

আমার কথা মতো নাদিয়া আমার সামনে বসে পরল। কিন্তু আমার চোখের দিকে তাকাতে পারল না।

— আমি তোকে সবসময় আমার বন্ধুর চোখে দেখেছি। তাছাড়াও তুই আমাকে কোনদিন বলিস নি যে তুই আমাকে অন্য চোখে দেখিস বা ভালোবাসিস। তাহলে আমি কি করে বুঝব বল?? আর তাছাড়াও আমি তখন শিমলা আপুকে আমার দিক দিয়ে ভালোবাসতাম। শিমলা আপু আমাকে পছন্দ করত কি না? তা আমার জানা ছিল না। তখন যদি তুই আমাকে তোর ভালোবাসার কথা বলতি তাহলে হয়তো…… (আমি)

— হুম..! এটাই আমার ভুল ছিল। অনেক বড় ভুল ছিল। (নাদিয়া)

— মন খারাপ করিস না। এর থেকে এটাই ভালো হবে,,আমরা আগে যেমন বেষ্ট ফ্রেন্ড ছিলাম এখনো সেই রকম বেষ্ট ফ্রেন্ড আছি। আর ভবিষ্যতেও থাকব। (আমি)

— হুম..! বন্ধুত্ব শব্দটা অনেক শক্তিশালী। এই লাঞ্চ টাইম ওভার হয়ে যাচ্ছে। চল যাই… (নাদিয়া)

— হুম চল।।(আমি)

এরপর আমি আর নাদিয়া যে যার কাজ করতে চলে গেলাম।
কিন্তু আমি কিছুতেই আমার কাজে মনোযোগ দিতে পারতেছিলাম না। কিছুতেই মাথা থেকে শিমলাকে নামাতে পারতেছি না। আমি কিছুতেই বুঝতেছি না। আমি কি তাহলে শিমলাকে ছেড়ে এসে অনেক বড় ভুল করলাম..?
নিজের ভালোবাসাকে কাছে পেয়েও ছেড়ে দিয়ে এসেছি। এটা কি আসলে ঠিক হয়েছে..?
চিন্তা করতে করতে অফিস টাইম শেষ হয়ে গেল। কিন্তু সেদিকে আমার কোন লক্ষ্য ছিল না।।

হটাৎ করেই নাদিয়ার ডাকে ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে এলাম…

— ওই,,,সেই কখন থেকে ডেকে চলেছি। তুই কোন জগতে আছিস আমায় একটু বল তো..? (নাদিয়া)

— না না কিছু না..!(আমি)

— বাসায় যাবি না..? অফিস তো ছুটি হয়ে গেছে। (নাদিয়া)

— ও হ্যাঁ। আমি খেয়াল করি নাই। চল বাসায় যাই। (আমি)

এরপর নাদিয়াকে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমার বাসার আগেই নাদিয়ার বাসা। নাদিয়াকে ওর বাসায় নামিয়ে দিয়ে এরপর আমি আমার বাসায় যাব। এটাই আমার চিন্তা ভাববা। কিন্তু বাইকে বসে নাদিয়া বলে উঠল…..

— শ্রাবন চল না কোথাও ঘুরে আসি। অনেক দিন তুই আর আমি একসাথে বসে আড্ডা দেই না। (নাদিয়া)

— আজকে না। আমার মনটা ভালো নেই..(আমি)

— না..! আজকেই যেতে হবে।

অবশেষে নাদিয়ার কাছে হার মেনে ওকে নিয়ে রাস্তার পাশের একটা ফুচকার দোকানে গেলাম।
নাদিয়া ফুচকা পছন্দ করত অনেক। তাই আমিও ওকে নিয়ে ফুচকা খেতে গেলাম।

— কি রে..? তুই সেই কখন থেকে অন্যমনস্ক হয়ে আছিস। তোর কিছু হয়েছে.? আমায় খুলে বল। (নাদিয়া)

— না তেমন কিছু হয় নি। (আমি)

— তুই এখন আর আগের মতো আমাকে ফ্রেন্ড ভাবিস না। তা না হলে আমাকে সব খুলে বলতিস। (নাদিয়া)

— তুই ও না.. একটা পেইন কিলার (আমি)

[এরপর নাদিয়াকে সবটা খুলে বললাম ]

— আল্লাহ….! বলিস কি.?? এই সামান্য একটা ব্যাপার নিয়ে লাইফের পুরো বারোটা বাজিয়ে দিলি..?(নাদিয়া)

— কি করব বল.?? তখন যেটা ঠিক মনে হয়েছে সেটাই করেছি। (আমি)

— শিমলা আপুর বিয়ে কবে..? (নাদিয়া)

— আর চার দিন পরে। (আমি)

— তুই কি সত্যিই শিমলা আপিকে আর ভালোবাসিস না..? (নাদিয়া)

— জানি না। আমি কিছুই বুঝতেছি না। (আমি)

— দেখ শ্রাবন তোকে আমি একটা কথা বলি। লাইফে আমি তোকে আমার মনের কথা না বলে যেরকম একটা ভুল করেছি। আমি কখনোই চাইব না যে, তুই আমার মতো এমন কোন ভুল করিস যেটার জন্য ভবিষ্যতে তুই আফসোস করিস। তাই প্লিজ যেটা করবি ভাবনা চিন্তা করে করবি। (নাদিয়া)

— কিছুই মাথায় আসতেছে না আমার। (আমি)

— বাসায় গিয়ে মাথাটা ঠান্ডা করে একটু ভেবে দেখিস। এখনো তোর কাছে চার দিন সময় আছে। কারন এই চার দিন পরেই শিমলা আপু অন্য কারো হয়ে যাবে। (নাদিয়া)

— হুম..!

— চল বাসায় চল। সন্ধ্যা হয়ে গেছে তোর অতীত শুনতে শুনতে।।

এরপর নাদিয়াকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আমার বাসায় চলে এলাম।।।
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে ছাদে বসে শহরের ব্যস্ততা দেখতেছিলাম।
তখনই ফোনে আম্মুর কল এলো.. নিজের অজান্তেই মুখের কোনে একটা হাসির রেখা ফুটে উঠল। কারন বাসা থেকে এসেছি দুই দিন হতে চলল। কিন্তু সেই দিনের পর থেকে বাসা থেকে আর কারো কোন কল আমি পাই নি। এমনকি স্পর্শিরও না।
হয়তো সবাই শিমলার বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত। আমাকে হয়তো ভুলেই গিয়েছে।

এগুলো ভেবে একটা চাপা কষ্ট নিয়ে আম্মুর কলটা রিসিভ করলাম।

— হ্যাঁ আম্মু বলো.?? (আমি)

— আব্বু…(আম্মু)

— হ্যাঁ আম্মু….!(আমি)

— আমি জানি তুই ভালো নেই। তোর গলার আওয়াজ পেয়েই আমি বুঝে গেছি। সময় মতো খাবারও খাস নি হয়তো। (আম্মু)

— আম্মু আমি ঠিক আছি। আর খাবারও সময় মতো খেয়ে নিয়েছি। আমার চিন্তা করার দরকার নেই। তুমি তোমার কথা বলো। কেমন আছ তুমি..?(আমি)

— ভালো নেই। তোকে ছাড়া ভালো নেই। তোকে ছাড়া পুরো বাসাটা খালি খালি লাগতেছে আমার কাছে। (আম্মু)

— আম্মু আর কয়টা দিন অপেক্ষা করো। শিমলার বিয়েটা হয়ে গেলেই আমি ট্রান্সফার হয়ে খুলনা চলে আসব। এরপর সারাক্ষণ তোমার কাছে কাছে থাকব। (আমি)

— সত্যি তো..?(আম্মু)

— হ্যাঁ আম্মু। তোমাকে মিথ্যা বলেছি কখনো..?(আমি)

— আব্বু,,,তোকে একটা কথা জিজ্ঞেস করব..?(আম্মু)

— হুম বলো..!(আমি)

— তুই কি শিমলাকে ছাড়া থাকতে পারবি..?(আম্মু)

—………… (চুপ করে আছি)

— আমি জানি তুই শিমলাকে এখনো ভালোবাসিস। আব্বু তুই আমাকে শুধু একবার বল যে,তুই শিমলাকে বিয়ে করতে চাস। এদিকটা আমি একা সামলে নেব। যেভাবেই হোক আমি বিয়েটা আটকে দিব। (আম্মু)

— আম্মু আম্মু….. এসবের কোন দরকার নেই। আমি পারব,,,, ওকে ছাড়া থাকতে পারব। (আমি)

— আব্বু,,,এটা সম্পূর্ণ তোর সিদ্ধান্ত। তুই ভালো থাকলি আমি ভালো থাকব। তবে,,শিমলার বিয়েটা হয়ে গেলেই আমি কিন্তু তোর বিয়ে দিব। সেটাও আমার পছন্দের মেয়ের সাথে। (আম্মু)

— আম্মু…. ফোন রেখে দিব কিন্তু (আমি)

— আচ্ছা আচ্ছা আর বলব না। (আম্মু)

এরপর আম্মুর সাথে বেশ কিছু সময় কথা বলে ফোন রেখে দিলাম।
আম্মুর সাথে কথা বলে মনটা অনেক ভালো হয়ে গেল।

এইভাবে চার দিন কেটে গেল।
এই কয়দিন শিমলাকে নিয়ে অনেক ভেবেছি। এক মন বলে ওকে নিয়ে নতুন করে সব কিছু শুরু করি। আর এক মন বলে সারা জীবনের জন্য একটা শাস্তি দিয়ে দেই ওকে বিয়েটা না করে। যাই হোক যেটা হচ্ছে হতে দেই।

—————————————–

অফিস শেষ করে বিকালবেলা বাসায় না গিয়ে রাস্তা দিয়ে হেটে বেরাচ্ছি। মনটা ভিষণ খারাপ হয়ে আছে। কি কারনে খারাপ হয়ে আছে সেটা আমার জানা নেই।
তখনই রাস্তার পাশে একটা পার্ক দেখতে পেলাম। পার্কটি বাসার কাছে হলেও কখনো ভিতরে যাওয়া হয় নি।

কিন্তু আজকে হটাৎ ইচ্ছে হলো পার্কটা ঘুরে দেখার। তাই পার্কের ভিতরে প্রবেশ করলাম।
আশেপাশে শুধু গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড। প্রায় সব গুলো বেঞ্চ ব্লক হয়ে আছে। আমি বাদাম কিনে নিয়ে একটা ফাকা জায়গায় গিয়ে বসলাম।
কিছু পুরনো স্মৃতি মনে করতেছি আর বাদাম ছুলে খেয়ে চলেছি। এমন সময়ে সত্যিই পাশে একজন থাকা দরকার।

তখনই আমার চোখ চলে গেল ঠিক আমার সামনে বসে থাকা দুইটা মানুষের দিকে।
দুজনকেই আমি খুব ভালো করে চিনি।
বিশেষ করে শিমলা। আর অন্যজন হচ্ছে শিমলার কাজিন আরোশ।
কিন্তু ওরা এখানে কি করে..? আর একে অপরের এত কাছে বসে আছে কেন..? তার ঠিক কিছু সময় পরে লক্ষ করালাম ওরা একে অপরকে ফুচকা খায়িয়ে দিচ্ছে।

আমার ভিতরটা কেমন করে উঠল। তার মানে কি শিমলার বিয়ে হয়ে গেছে.? কার সাথে.? আরোশ এর সাথে.??
মনের মধ্যে অনেক গুলো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। আর মনের ভিতরে গভীর ভয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। আমি কি তাহলে চিরকালের জন্য শিমলাকে হারিয়ে ফেললাম..?

আর বসে থাকতে পারতেছি না। বসা থেকে উঠে শিমলার কাছে যাব বলে ঠিক করলাম। কিন্তু তখনই শিমলা আর আরোশ একে অপরের একদম কাছে চলে এসেছে। আর মাত্র অল্প একটু ফাকা আছে। ঠিক যেমনটা সিনেমার নায়ক নায়িকা রোমাঞ্চ করার সময় করে।
আমি সঙ্গে সঙ্গে উঠে আরোশ আর শিমলাকে আটকাতে যাব তখনই আমার ফোনের রিংটোন বেজে উঠল।
সাথে সাথেই আমার ঘুমটা ভেঙে গেল।

তারমানে আমি এতক্ষণ ধরে স্বপ্ন দেখতেছিলাম.? ঠান্ডা থাকা সত্ত্বেও আমার পুরো শরীর ঘামে ভিজে গেছে।
মনের ভিতরে একটা ভয় চলে এসেছে। কারন আজকেই শিমলার বিয়ে। এখন আমি বুঝতে পারতেছি শিমলার থেকে আমি দূরে অবশ্যই থাকতে পারব। কিন্তু শিমলার পাশে অন্য কাউকে আমি কখনোই সহ্য করতে পারব না। যে করেই হোক আমাকে এই বিয়েটা আটকাতে হবে।

বিছানায় বসে এগুলো ভাবতে ভাবতে নাদিয়ার কলটা কেটে গেল।
মোবাইলের দিকে তাকিয়ে প্রচুর অবাক হয়ে গেলাম।
সকাল ১১ টা বেজে গেছে। আর এত সময় পর্যন্ত আমি ঘুমিয়ে ছিলাম।

তাড়াতাড়ি করে বিছানা থেকে উঠে আম্মুর নাম্বারে কল করলাম। কারন আমি জানি,, এখন এই বিয়েটা শুধু আম্মুই আটকাতে পারে।
কিন্তু আম্মুর নাম্বারে কিছুতেই কল ঢুকতেছে না।
এরপর বড় ভাইয়াকে কল করলাম। কিন্তু তার ফোনটা সুইচড অফ। অবশেষে স্পর্শিকে কল করলাম। কিন্তু ফলাফল একই।
একে একে বাসার সবাইকে কল করলাম। কারো ফোনেই কল ঢুকতেছে না। ব্যপারটা কিছুতেই মিলাতে পারতেছি না।
আর এদিকে আমার তো কলিজা ঠান্ডা হওয়ার উপক্রম।

সবাইকে বাদ দিয়ে অসীমকে কল করলাম। কল ঢুকেছে,,রিং হচ্ছে। কিন্তু…
অসীম কলটা রিসিভ করতেছে না। ১০ বারের বেশি কল করেছি। কিন্তু ফলাফল একই।

————————————

আজকে শুক্রবার নাদিয়ার অফিস বন্ধ। ছুটির দিন হওয়ায় নাদিয়া ভেবেছিল আজকে সারাদিন শ্রাবনের সাথে ঘুরে বেরাবে। কিন্তু সেই সকাল থেকে ১০০ কল করেছে এই বদটাকে। কোন রিপ্লাই নেই।
তাই বাধ্য হয়ে শ্রাবনের বাসায় চলে এসেছে।
বাসায় এসে কলিং বেল বাজাতে লাগল…..

একের পর এক সবাইকে কল করে যাচ্ছি। কিন্তু কেউ আমার কল রিসিভ করতেছে না। সবাই হয়তো বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে আছে। এখন কি হবে.?? আমি কি করে এই বিয়েটা আটকাব.?
তখনই বাসার কলিং বেল বেযে উঠল। আমি তাড়াতাড়ি গিয়ে দরজাটা খুলে দিলাম।
দরজা খুলে দেখি নাদিয়া।।।

— ওই তোর অবস্থা কি.?? সকাল থেকে একশোর বেশি কল করেছি। কিন্তু তোর কোন রিপ্লাই নেই। সমস্যা কি তোর.???(নাদিয়া জোরে জোরে বলল আমাকে)

আমি কিছু না বলে ছল ছল চোখে তাকিয়ে আছি। এটা দেখে নাদিয়া বলল,,,,

— শ্রাবন কি হয়েছে তোর.? তুই ঠিক আছিস তো..?(নাদিয়া)

— আজকে শিমলার বিয়ে..!(আমি)

— তো কি.? তুই তো ওকে আর ভালোবাসি না। (নাদিয়া)

আমি আর নিজেকে আটকিয়ে রাখতে পারলাম না। সরাসরি চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বললাম,,,

— ভালোবাসি। আমি এখনো ওকেই ভালোবাসি। ওর পাশে আমি অন্য কাউকে দেখতে পারব না। (আমি)

শিমলা কিছু সময় চুপ করে রইল। এরপর শান্ত হয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করল,, ,

— বিয়ে কখন..? মানে কয়টায়..?(নাদিয়া)

— জানি না। আমি কিছু জানি না। বাসার সকলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতেছি। কিন্তু কেউ আমার ফোন রিসিভ করতেছে না। (আমি)

— শ্রাবন তুই তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আয়। আমাদের এখনি খুলনা যেতে হবে তোর বাসায়। দেড়ি করে লাভ নেই। ফাস্ট…(নাদিয়া)

— নাদিয়া,,আমি মনে হয় শিমলালে হারিয়ে ফেললাম আবার… (আমি)

— এখন কান্নাকাটি করে সময় নষ্ট করিস না প্লিজ…! তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আয়। আমাদের তাড়াতাড়ি ওখানে গিয়ে বিয়েটা আটকাতে হবে। (নাদিয়া)

এরপর আমি আর সময় নষ্ট না করে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিলাম। নাদিয়া আমাকে নিয়ে সোজা বাসস্ট্যান্ডে চলে এলো।
একটু আগেই টিকিট কেটেছে। ভাগ্য ভালো ছিল যে দুপুর ১২ টার সময় একটা বাস পাওয়া গেছে।

প্রায় ৬ ঘন্টা জার্নি করার পর খুলনা শহরে এসে পরলাম। নাদিয়া যেহেতু আগে এই শহরে ছিল। তাই ওর আর আমাদের বাসা চিনতে অসুবিধা হলো না।
কিন্তু………………….
.
.
.
.
.
.
#চলবে……?????

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here