ছায়া হয়ে থাকবো পাশে part-11

0
1140

ছায়া হয়ে থাকবো পাশে
part ঃ 11
Writer ঃ humayra khan

চারু ঃ ভাইয়া আমার উপর থেকে উঠেন জলদি করে।(চেচিয়ে)
আহান চারুর কথা শুনে তাড়াতাড়ি করে ওর উপর থেকে উঠে পরে।
আহানঃ সরি সরি।
আহান চারুর উপর থেকে উঠে চারুর দিক এ হাত বারিয়ে দেয়
আহানঃ নাও হাতটা ধরো আর উঠো জলদি করে। কতক্ষন এই ভাবে ফ্লোরে শুয়ে থাকবে (হেসে)
আহানের কথা শুনে চারুর চরম রাগ পায়।
চারু ঃদরকার নেই আপনার হাতের আমি নিজের থেকেই উঠতি পারি।
কথাটি বলে চারু নিজেই ফ্লোর থেকে উঠে পরে।
আহানঃ বাবা গো বাবা কি তেজ এই টুকু মেয়ের।
দিশাঃ ইসস রে আমাদের ঝগড়া থামাতে গিয়ে দেখি তোমরাই ঝগড়া করছ এখন.।
আহানঃ ভাইয়া দয়া করে তাড়াতাড়ি মুখ টা গিয়ে ধুয়ে আসুন।
না হলে যে কেউ তোমার এই ফেস টা দেখে বেহুস হয়ে পরবে(হেসে)।
আবিরঃ বেশি হাসিস না।এক দিন আমারও সময় আসবে আমিও সেই দিন শোধ উঠাব গুনে গুনে।
আহানঃ আচ্ছা ভাইয়া উঠিয়ে নিও।(হেসে)।
আবিরঃ আমার এই সুন্দর ফেস টা কি হয়ে গেল(কান্নার কন্ঠে)
আবিরকে এমন কান্না করতে দেখে আহান দিশা আর চারু হেসে উঠে জোড়ে জোড়ে।
ওদের হাসি দেখে আবির এর মেজাজ বেশ গরম হয়ে পরে।আর সে বিড় বিড় করতে করতে চলে যায় ওয়াসরুমে নিজের মুখ ধুতে।
দুপুরে খাবার এর শেষ এ
আহানঃ ভাইয়া কাল তো আমরা চলে যাব বাসায়।
তাই সবাই মিলে কোথায় গিয়ে ঘুরে আসি কি বল??
আবিরঃ আমার মনের কথা বললি রে ছোট।
আজ তাহলে আমরা সবাই মিলে বাইরে গিয়ে কোন মুভি দেখে আসব নে
আহানঃ গুড আইডিয়া ভাইয়া।
আবিরঃ আচ্ছা তাহলে সবাই জলদি করে রেডি হয়ে নাও।

তারপর সবাই মিলে রেডি হতে শুরু করে যে যার মতো
আহান একটা ব্লাক জিন্স তার সাথে ওয়াইট কালারের একটা শার্ট পরে রেডি হয়ে নেয়।
আহান রেডি হয়ে নিয়ে….
চারুর রুমে পাশ দিয়ে যেতে নিলে চারুর কন্ঠ ওর কানে ভেসে উঠে।
চারু ঃভাবি ভাবি……
আহান চারুর ডাক শুনে থেমে যায়।
রুমের সামনে গিয়ে দেখে চারু রোবট এর মত দাঁড়িয়ে আছে রুমের এক কোনায়।
রুমে ভিতরে প্রবেশ করে…
আহানঃ কিছু লাগবে চারু।ভাবি তো মনে হয় ভাইয়ার সাথে ড্রয়িং রুমে। তুমি আমাকে বল??
চারু ঃ না ভাইয়া লাগবেনা।
আহানঃ তুমি বলবে?? নাকি থাপ্পড় খাবে আমার হাতে(রেগে)
চারু বেশ ভয় পেয়ে যায় আহানের বকা খেয়ে।
আহানঃ ইসস ভয় পেয়ে গেছে আমার পরীটা। আমি তো জাস্ট এমনি ওকে ভয় দেখানোর জন্য বলছি।
আর ও ভাবচ্ছে আমি সত্যি সত্যি ওকে থাপ্পড় দিব
আনমনে।
চারু ঃ আসলে ভাইয়া আমার জামার চেইন টা লাগাতে পারছিনা।তাই ভাবিকে ডাকছিলাম চেইন টা লাগিয়ে দেওয়ার জন্য।
আহানঃ কিন্তু ভাবি তো এখন ব্যস্ত। দাও আমি লাগিয়ে দিচ্ছি।
চারু ঃ কি আপনি ( চমকে)
আহানঃ আরে বাবা আমি চোখ বন্ধ করে লাগাব তুমি টেনশন নিয়ো না।
চারুঃ না লাগবেনা।
আহানঃ আচ্ছা তাহলে আমি চলে যাচ্ছি।
আহান চলে যেতে নিলে-
চারু ঃ আচ্ছা।লাগান (মুখ বাঁকা করে)
আহানঃ পিছনে তো ঘুরো। না ঘুরলে লাগাবো কিভাবে।
চারু আহানের কথা শুনে পিছনে ঘুরে।
চারু পিছনে ঘুরলে আহান চারু কাছে এসে
চোখ বন্ধ করে চেইন টা লাগানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে
চারু ঃ আরে এতো ক্ষন লাগে একটা চেইন লাগাতে।
আহানঃ আরে বাবা বন্ধ চোখ দিয়ে চেইন টা তো খুজেই পাচ্ছিনা আমি।
দাড়াও দাড়াও পেয়েছি।
বহু কষ্টে আহান চেইনটি হাতে নাগালে পেয়ে তাড়াতাড়ি করে লাগিয়ে দেয়।
চারু ঃ হইসে??
আহানঃ হুম বাবা হয়েছে।
চোখ খুলতে পারব এখন???
চারু ঃ হ্যা পারবেন। চোখ খুলে খোলা চোখ দিয়ে এখন বিদায় হন রুম থেকে। আমার আরেকটু সময় লাগবে রেডি হতে।
আহানঃ হায়রে মেয়ে মানুষ এর যে কেন এতো সময় লাগে রেডি হতে আল্লাহই জানে। আচ্ছা তুমি আটা ময়দা মেখে আসো জলদি করে আমি যাচ্ছি।
আহানের কথা শুনে
চারু রেগে গিয়ে বিছানা থেকে বালিশ নিয়ে আহানের উপর ছুড়ে মারে।
কিন্তু আহান বালিশটি সাথে সাথে ধরে ফেলে
আহানঃ আল্লাহ আমার উপর বালিশ ফেলে মেরে ফেলতে চাইছো আমাকে।
এই বালিশ টা আমার উপর পরলে তো আজ আমি মারাই যেতাম(হেসে)
চারু ঃ । হয়েছে আপনার বক বক। এখন বের হন রুম থেকে।।
আহানঃ যাচ্ছি যাচ্ছি।
কথাটি বলে আহান ওর হাতের বালিশটি চারুর উপরে মেরে চলে যায় রুম থেকে।
আহান চারুর উপর বালিশ মারায় বালিশ টা সোজা গিয়ে চারুর মাথা গিয়ে লাগে।
চারু ঃ উফফ রে দিল রে। (মাথায় হাত দিয়ে)
শয়তানটা। দেখতে যতটা সাধু দেখতে ততটা নয়। ভাবি আজিরাই তার সুনাম গাইছিলেন ও দিন।
উফফ চারু তার কথা বাদ দে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে।
দেরি হলে বলবে আটা ময়দা মাখতে গিয়ে লেট করেছি।
তারপর চারু নিল ড্রেস এর সাথে ম্যাচিং করে ইয়ারিং আর হাতে নীল কাচের চুড়ি পরে নেয়।
আর ওর লম্বা লম্বা চুল গুলা ছেরে দেয় কোমড় অবধি।
কিছু ক্ষন পর দিশা রুমে আসলে-
দিশাঃ কি ব্যপার চারু সুন্দরী আজ দেখি আপনাকে অতি মাএায় সুন্দর লাগছে।
যে কেউ দেখলে প্রেমে টেমে পরে যেতে পারে।
যে কেউ কেন আহান…..ভাইয়াই পরতে পারে।
চারু ঃউফ ভাবি নট এগেন। তুমার পাগল দেবর এর সাথে কোন পাগলি মেয়েই মানাবে।তাই কোন পাগলি মেয়ে খুজে বিয়ে দিয়ে দাও তোমার আদরের দেবরকে।
আবির আর আহান রুমে এসে।
আবিরঃ কি গল্প হচ্ছে তোমাদের
মধ্যে??
চারুঃ কিছুনা ভাইয়া। (চেচিয়ে)।
দিশাঃ বলে দিব চারু কি বলছিলে??
চারু ঃচলেন ভাইয়া লেট হয়ে যাচ্ছে তো।(কাঁপা কণ্ঠে)।
আবিরঃ হ্যা চল।
তারপর সবাই মিলে রওনা দেয়।
গাড়িতে উঠতে নিলে দিশা গিয়ে গাড়ির পিছনের সিট এ বসে পরে। সাথে চারু ও পিছনে গিয়ে বসতে নিলে-
আহানঃ এই চারু মিয়া বিবির মধ্যে কাবাব মে হাড্ডি হওয়ার অনেক শখ আছে নাকি।??
চারু গাড়ি দরজা খুলতে যাবে থেমে যায় আহানের কথা শুনে আর অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে আহানের দিক এ।
আহানঃ হায়রে আমার দিক এ এই ভাবে না তাকিয়ে ভাইয়াকে ভাবির সাথে পিছনে বসতে দাও আর তুমি সামনে এসে বস।
আবিরঃ তোর না হাত ব্যথা আহান
পারবি গাড়ি চালাতে।
আহানঃ হ্যা ভাইয়া।এখন ব্যথা নেই। তাই পারব আমি গাড়ি চালাতে তুমি বস গিয়ে দিশা ভাবির সাথে।
আহানের কথা শুনে আবির গিয়ে দিশার পাশে বসে পরে।
আহানঃ এই যে চারু আপনি কি উঠবেন নাকি এই খানে দাড়িয়ে থাকবেন???
চারুঃ উঠছি তো এই ভাবে চিল্লিয়ে বলার কি দরকার।
মাইক এর মতো একটা গলা তার উপর চিল্লিয়ে কথা বলে আমার কানের বাইশ টা বাজিয়ে দিচ্ছে।
আহান চারুর কথা শুনে জোড়ে হেসে উঠে।
বাইশ টা হয়না গো হয় বারো টা।
চারু ঃ আমার ইচ্ছা। আমি বারো টাকে বাইশ বানাই বারোশ বানাই তাতে আপনার মাথা ব্যাথা কেন
আহানঃ না মহারানি আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই।
এখন মেহেরবানি করে ঝগড়া না করে গাড়িতে উঠে আমাকে উদ্ধার করুন।
চারু আহানের কথা শুনে আহানের দিক এ তাকিয়ে একটা ভেংচি কেটে উঠে পরে গাড়িতে।
চারু এমন কান্ড দেখে বেশ হাসি পায় আহানের।
হাসতে হাসতে আহান ও গাড়িতে উঠে পরে।
আহানঃ এই যে আটা ময়দা সুন্দরি সিট বেল্ট টা লাগাও।
চারুঃ কি আমি আটা ময়দা সুন্দরি।(রেগে)
আহানঃ আজ আপনাকে বেশি সুন্দর লাগছে তাই ভাবলাম আটা ময়দার কামাল।
চারু আহানের কথা শুনে রাগে ফোসতে থাকে।
আহানঃ আহহ। ভালোবাসার মানুষ টাকে রাগাতে আর তার রাগানো ফেস দেখতে যে কত ভালো লাগে।
রাগলে আমার পরীটার সৌন্দর্য হাজারো গুন বেড়ে যায়।
তাই তো রাগানোর জন্য এই সব কথা বলি তোমাকে। রাগলে পুরোই চকলেট এর মতো লাগে তখন মন চায় খপ করে খেয়ে ফেলি পরী টাকে।
আনমনে।
আহান খেয়াল করল চারু সিট বেল্ট না লাগিয়ে উল্টা রাগ করে বসে আছে।
আহান নিজেই চারুর কাছে এসে সিট বেল্ট লাগাতে নিলে।
চারু ঃ এই……কি করছেন??
আহানঃ আরে বাবা কি করছি জাস্ট সিট বেল্ট টাই তো লাগাচ্ছি। সিট বেল্ট টা লাগিয়ে আহান সরে বসে চারু কাছ থেকে।
আহানঃ কেন তুমি কি ভাবছিলে। (চোখ টিপ দিয়ে)
চারু ঃ আমি কিছুই ভাবি নি।
উফ সে আমার কাছে আসায় আমার নিশ্বাস যেন বন্ধ হয়ে আসছিল।
আবিরঃ কথা বন্ধ করে তাড়াতাড়ি গাড়ি চালাও।
আমি মুভির একটা সিন ও মিস করতে চাইনা।
আহান আবির এর কথা শুনে তাড়াতাড়ি করে গাড়ি ইস্টাট দিয়ে গাড়ি চালাতে থাকে আপন মনে।
গাড়ির দরজার গ্লাস খোলা থাকায় বাইরে থেকে আসা বাতাসে চারুর চুল গুলো উড়তে থাকে আপন মনে।
আর চুল গুলা উড়ে বার বার বারি খায় আহানের মুখের কাছে এসে
আহান তা বেশ উপভোগ করছে।
কিছুক্ষন পর সিনেমা হলে পৌছালে তাড়াতাড়ি করে টিকেট কেটে পপকন কিনে চলে যায় ওরা হলের দিক এ।
চারু দিশার পাশের সিট এ বসতে নিলে।
আহানঃ ওই তুমি ওখানে বসলা কেন?? আমার পাশে বস
চারু আহানের কথা শুনে অবাক হয়ে চেয়ে থাকে।
আহানঃ আই মিন ভাইয়াকে ভাবির পাশে বসতে দাও।
চারু আহানের কথা শুনে কোন কথা না বাড়িয়ে আহানের সিট এর পাশে গিয়ে বসে পরে।
মুভি শুরু হলে দিশা আবির চারু মুভি দেখার মধ্যেই ডুবে থাকে।
কিন্তু আহান টিভির পর্দায় দিক এ না তাকিয়ে চারুর দিক এ তাকিয়ে আছে পলকহীন চোখে।
বিষয়টি চারু খেয়াল করলে –
চারু ঃ এই আপনি আমার দিক এ এই ভাবে তাকিয়ে আছেন কেন???
আহানঃ কই আমি তো মুভি দেখছিলাম। কথাটি বলে চারুর থেকে চোখ সরিয়ে নেয় আহান
মুভি তে একটা ভয়ানক সিন আসলে চারু ভয়ে আহানের হাত শক্ত করে ধরে বসে।
আহানঃ ইস এই হাতটা যে কবে ধরবে ভালোবেসে।
আনমনে
সিনটা শেষ হলে চারুর হুশ আসে যে সে এতোক্ষন ধরে আহানের হাত ধরে বসেছিল।
তাই তারাতারি করে আহানের থেকে নিজের হাতটা সরিয়ে নেয় চারু।
মুভি শেষ হলে ওরা তাড়াতাড়ি করে হল থেকে বের হয়ে আসে।
সবাই গাড়ি তে উঠে পরলে আহান গাড়ি চালাতে থাকে আপন মনে।
হঠাৎ চারু চেচিয়ে বলে উঠে হাওয়াই মিঠায়।
আহান চারু চিৎকার শুনে গাড়ি ব্রেক করে।
আহানঃ কি।??
চারু ঃ কিছুনা।
আহানঃ বলবে নাকি মাইর খাবে??
চারু ঃ আসলে হাওয়াই মিঠাই ছিল ওখান। (বাইরের দিক এ ইশারা করে)
আমার খেতে ইচ্ছে করছে।
দিশাঃ আরে চারু পরে খেয়ে নিও।
এখন আবার গাড়ি থামালে সম্যসা হবে। দেখো না এইখানে গাড়িগোড়া কত। আমার ভাইটাকে যদি উড়িয়ে নিয়ে যায় ( হেসে)
আবিরঃ সব সময় ফাজলামো করা ভালো না দিশা(রেগে)
দিশা আবিরের কথা শুনে মাথা নিচু করে বসে থাকে।
আহানঃ উফ ভাবিকে বকোনা তো ভাইয়া।
আহানঃ দাড়াও আমি নিয়ে আসি।
কথাটি বলে আহান গাড়ি এক সাইড এ থামিয়ে রাখে আর বের হয়ে পরে হাওয়াই মিঠাই কিনতে।
পাচমিনিট গাড়িতে অপেক্ষা করার পর
চারু ঃহায়। ভাইয়া দেখি তার ওয়ালেট টা গাড়িতেই রেখে গেছে ভুলে। তাহলে সে টাকা কিভাবে দিবে।
চারু ঃ আমি গিয়ে দিয়ে আসি তাকে।
কথাটি বলে গাড়ির দরজা খুলে চারু ওয়ালেট টা হাতে নিয়ে বের হয়ে পরে গাড়ি থেকে।
আবির ওকে থামাতে যাবে সেই সুযোগটাও দেয়নি চারু।
হুট করেই বের হয়ে পরে গাড়ি থেকে।
আবিরঃ ইস দুইজন কি পাগল।এই জায়গা টায় হাটাচলা করা কতো টা রিস্কি। কিন্তু কে শুনে কার কথা।
একটু সামনে গিয়েই চারু আহানকে দেখতে পায়।
চারু ঃ ভাইয়া আমি এ দিক এ। আপনি আপনার ওয়ালেট রেখে গেছেন (নিজের হাত তুলে)
আহান চারুকে দেখতে পেয়ে।
আহানঃ এই তুমি গাড়ি থেকে বের হলে কেন।
ওই খানেই দাড়াও। আমি আসছি তোমার কাছে এক পাও নড়বেনা।
চারু ঃ না ভাইয়া আমিই আসছি।কথাটি বলে চারু আহানের কাছে যেতে নেয়
চারুর সামনে দিয়ে একটা গাড়ি আসতে থাকে দ্রুতগতিতে।
বিষয়টি চারু খেয়াল না করলেও আহান খেয়াল করে।
গাড়ি এসে চারু সাথে ধাক্কা লাগার আগেই আহান দৌড়ে এসে চারুকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়।
যার কারনে গাড়িটির সাথে আহান ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পরে রাস্তার এক পাশে………
চারু দৌড়ে গিয়ে…………

চলবে………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here