ছায়া হয়ে থাকব পাশে
Part ঃ 29
writer ঃ humayra khan
সাবিনাঃ কি রে চারু তুই না বাহিরে গিয়ে দিশার জন্য কিছু কিনতে গিয়েছিলি???? তো খালি হাতে এলি যে…
চারুঃ আসলে কাকিমা দিশা ভাবি যে লিস্ট টা দিয়েছিল আমি মনের ভুলে আমার রুমেই ফেলে চলে গিয়েছিলাম…(মাথা নিচু করে)……..
সাবিনাঃ তোর মন কই থাকে রে???
দিশাঃ কই আবার আপনার ছেলের কাছে(ফিশ ফিশ করে)
সাবিনাঃ কিছু বললে দিশা?????(দিশার দিক এ রাগি দৃশটিতে তাকিয়ে)
দিশাঃ মা বলছিলাম অনেক তো বেলা হয়ে গেল সবার খিদে পেয়েছে তাই তাড়াতাড়ি করে খাবারটা বেরে নেই।। এই চারু তুমি এই খানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি করছো চলো আমাকে হেল্প করবে।।।।।।।।।
চারুর হাতটা টেনে তাড়াতাড়ি করে সেই খান থেকে নিয়ে গেল দিশা……..
রান্নাঘরে……..
চারু ঃ থ্যাংকস ভাবি আমাকে বাঁচানোর জন্য…
(দিশাকে জড়িয়ে ধরে)…..
দিশাঃ এখন কথা বাদ দিয়ে তাড়াতাড়ি চলো না হলে আমাদের শাশুড়ী মা সাবিনা খান থেকে এক লাফ দিয়ে রিনা খান হয়ে যাবে………(হেসে)
চারু ঃ হুম চলো…..
ডায়নিং টেবিলে চারু আর দিশা সবাইকে খাবার বেড়ে
দিয়ে
চারু চেয়ার টেনে ডায়নিং টেবিলে বসতে নিলে-
রিয়াঃ হে ইউ কাজের মেয়ে রহিমা…. তুমি কি আমাদের সাথে বসে খাওয়ার সপ্ন দেখছো নাকি????
মিসেস সাবিনা আর মায়া রিয়ার বলা কথা শুনে মুচকি মুচকি হেসে উঠে……
তাতে বেশ অপমামিতবোধ করে চারু…..
দিশাঃ এইটা কোন ধরনের বেয়াদবি… রিয়া…চারু আমাদের পরিবারে একজন সদ্যস্য তাই তুমি ওর সাথে এমন ভাবে কথা বলতে পারো না….
মায়াঃ আপু দিশার বিয়ের কতো বছর হলো??
কি দিশা এখনো বাচ্চা নিচ্ছোনা যে??? কোন সম্যসা আছে নাকি….. বেচারা আবির বিয়ের এতো বছর পর ও বাবা ডাক শুনতে পেলো না….
মায়ার বলা কথাগুলো দিশার বুকে তীরের মতো গিয়ে লাগে…..
আর সে সইতে না পেরে ডায়নিং টেবিল থেকে উঠে গিয়ে সোজা চলে যায় নিজের রুমে….
চারু ও দিশার পিছনে পিছনে চলে যায় ওর সাথে…..
সাবিনাঃ আমার মনে হয় তুই একটু বেশি বলে ফেলেছিস মায়া…….
মায়াঃ আরে আপু বউ দের এই ভাবে মাঝে মাঝে কথা শুনিয়ে ওদের মনে করিয়ে দেওয়া দরকার ওরা ঘরের বউ শাশুড়ী নয়….এই ভাবে কথা শুনিয়ে রাখলেই দিতৃীয় বার কিছু বলার আগে ভেবে নিবে….
তোমাকে তো আগেও বুঝিয়েছি বউদের এই ভাবে টাইট দিয়ে রাখতে হয়…. না হলে ওরা আমাদের মাথার উপর উঠে নাচতে শুরু করে…
রিয়া ঃ হ্যা খালামনি মা একদম ঠিক কথা বলেছে
রিয়া আর মায়ার বলা কথা শুনে চুপ করে রয় মিসেস সাবিনা………
চারু দিশার রুমে গিয়ে দেখে দিশা ওর কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছে….
চারু দিশার দিক এ অবাক হয়ে তাকালে…
দিশা ওর কানের হেড ফোনটা খুলে—
দিশাঃ কি হলো এই ভাবে অবাক চোখ এ তাকিয়ে আছো কেন আমার দিক এ…….
চারু ঃ তুমি যেই ভাবে ও খান থেকে আসলা আমি তো ভেবেছিলাম….
দিশাঃ কি ভেবেছিলে আমি মায়া খালার কথা শুনে রুমে বসে কান্না করবো….
চারু দিশার বলা কথা শুনে মাথা নেড়ে হ্যা সূচক উত্তর দেয়….
দিশাঃ আমাদের সমাজ টাই এমন চারু……
কেউ মা হতে না পারলে মায়া খালার মতো কিছু কিছু মানুষ রা কেন বাচ্চা হলো না..আহহ রে ছেলে টা এখনো বাবা ডাক শুনতে পারলো না….
এই ধরনের কথা শুনিয়ে অনেক আনন্দ পায়…..
কিন্তু একবার মেয়েটার মনের কষ্ট বুঝার চেষ্টা করেনা। উল্টো তাদের কষ্ট টাকে আরও বাড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ এ থাকে…. তাই আমাদের উচিৎ এই সব মানুষ এর কথা কোন ইম্পরট্যান্ট ই না দেওয়া।।
চারু ঃ হুম ভাবি ঠিক বলেছো…. আর আমার বিশ্বাস আল্লাহ খুব জলদি আমার আপুটার কোলে ছটুসা একটা বেবি পাঠাবে…
দিশাঃ আমি সেই দিন এর অপেক্ষাই আছি চারু।।।।
চারু দিশার কথা শুনে৷ ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে..
রাতে আহান এর বাসায় ফিরে আসতে অনেক লেট হয়ে যায়……
বাসার কলিং বেল বাজালে চারু এসে দরজাটা খুলে দেয়……..
চারু আহানকে দেখে ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলে-
আহানঃ এই করছোটা কি??? কেউ দেখে নিলে তো প্রবলেম হবে…
চারু ঃ কে দেখবে??? সবাই ঘুমিয়ে গিয়েছে…
কাকিমা একটু মাথা ব্যাথা ছিল তাই সেও ঘুমিয়ে পরেছে।।। আপনি আসলে আমাকে খাবার বেরে দিতে বলেছে…….
আহানঃ ওওওও তাহলে তো কোন প্রবলেম নেই…
কথাটি বলে আহান চারুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলে –
চারু নিজেকে আহান থেকে ছাড়িয়ে —
চারু ঃ অনেক লেট হয়ে গেছে চলুন খেতে চলুন…
আমার অনেক খিদে পেয়েছে…
আহানঃ তুমি খাওনি?????
চারু ঃ না খাইনি… এইবার চলুন….
তারপর চারু আহান দুই জনেই এক সাথে বসে ডিনার করে নেয়….
ছাদে দোলনায় বসে…….
চারু ঃ আহান আমার মনে হয়না কাকিমা আমাকে কখনিই মেনে নিবে…
আহানঃ তাই নাকি বাট আমার তো মনে হয় একদিন মা নিজেই তোমাকে ঘরের বউ বানানোর জন্য পাগল হয়ে উঠবে…
কথাটি বলে আহান হো হো করে হেসে উঠে…..
চারু কিছু না বললে আহান চারু দিক এ তাকিয়ে দেখে চারু গভীর ঘুমে….
আহানঃ আল্লাহ এই মেয়ে এমন কেন.,এক সেকেন্ড এর মধ্যেই ঘুমিয়ে যেতে পারে……
তারপর আহান চারুকে কোলে তুলে নিয়ে চারুর রুমে গিয়ে ওকে বিছানায় শুইয়ে দেয়।।
চারু কপালে একটা চুমু দিয়ে লাইট টা অফ করে চলে যায় নিজের রুমে……
সকালে
আহানঃ চারু যাতো তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে……
সাবিনাঃ কেন আহান ও কেন রেডি হবে???
আহানঃ মা চারু অনেক সুন্দর গান গাইতে পারে……
আর আমি চাই ওর এই টেলেনট টা ওয়েস্ট এ না যায়…
রিয়াঃ আরে আহান একটা গান গাইতে পারলেই কেউ সিংগার হতে পারেনা….( হেসে)
আহানঃ থাপ্পড় টা কি ভুলে গেছো রিয়া….
রিয়া আহানের বলা কথা শুনে রেগে মেগে সেই খান থেকে চলে যায়… নিজের মেয়ের পিছনে পিছনে মায়াও চলে যায় রিয়ার সাথে…..
আহানঃ চারু দাড়িয়ে আছিস কেন??
চারু ঃ হ্যা ভাইয়া যাচ্ছি….
সাবিনাঃ যা ইচ্ছা কর তোরা….
কথাটি বলে মিসেস সাবিনাও চলে যায় নিজের রুমে……
চারু রেডি হয়ে আসলে আহান চারুকে নিয়ে বের হয়ে পরে…গাড়ি করে….
গাড়ি টা একটা সংগীত একাডেমির সামনে এসে থামলে চারু বেশ ইতস্ততবোধ করে….
চারু ঃ প্লিজ আহান আমায় বাসায় দিয়ে আসুন…
আহানঃ বেশি কথা না বলে নামো জলদি করে গাড়ি থেকে……
চারু আহানের থমক খেয়ে তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নেমে পরলে আহান ও গাড়ি থেকে নেমে চারু হাত ধরে একাডেমিতে প্রবেশ করে………
একাডেমিতে প্রবেশ করে দেখে একটা বয়স্ক লোক অনেক গুলা ছেলে মেয়েকে গান শিখাচ্ছে……..
লোকটি তার গান বন্ধ করে চারু আর আহানের দিক এ তাকালে —–
আহানঃ আসসালামু আলাকুম স্যার…
লোকটিঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম
আহানঃ স্যার আমি যে কাল এসেছিলাম…..আপনার কাছে……….
লোকটিঃ ওওওও হ্যা.. মনে পরেছে….
তো নিয়ে এসেছো মেয়েটিকে তোমার সাথে করে….
আমি কালই বলেছিলাম তোমায় যদি ভালো গান গাইতে পারে তাহলেই আমার একাডেমিতে নিব…
আহানঃ হ্যা স্যার আমি নিয়ে এসেছি চারুকে….
আর ও অনেক সুন্দর গান গাইতে পারে…….
চারুর দিক এ লোকটি তাকালে চারু ভয়ে ঢোক গিলে–
লোকটিঃ তো তোমার নাম কি???
চারু ঃ চা..চা..
লোকটিঃ এই মেয়ে দেখি নিজের নামটাই বলতে পারছেনা গান কিভাবে গাইবে…..
লোকটির কথা শুনে বাকি সব ছেলে মেয়েরা হো হো করে হেসে উঠে…….
লোকটি ওদের দিক এ রাগি দৃশটিতে তাকালে তাড়াতাড়ি করে হাসি বন্ধ করে নেয় ওরা…..
আহান চারুকে এক সাইডে নিয়ে গিয়ে–
আহানঃ উফফ চারু.. তুমি এতো নার্ভাস কেন হচ্ছো??
চারুঃ আহান প্লিজ আমি পারবনা…
আহানঃ তোমাকে পারতে হবে চারু আমার জন্য…
আমি চাই আমার চড়ই পাখি লাইফে নিজের পরিচয় বানাক…তোমাকে প্রতিষ্ঠিত হতে দেখতে চাই..
প্লিজ তোমার আহানের কথা রাখবেনা????
চারু ঃ হুম রাখব…..
আহানঃ তাহলে চলো সুন্দর করে একটা গান গেয়ে সবার হাসি বন্ধ করে দাও….
তারপর আহান চারু কে লোকটি সামনে নিয়ে গিয়ে–
আহানঃ স্যার ও এখন পারবে গান গাইতে…
লোকটিঃ পারলে তো ভালো… এই মেয়ে তাড়াতারি গাও আমার এতো সময় নেই তোমার জন্য বসে থাকা…( চিল্লান দিয়ে)।।।
চারু তার ধমক শুনে বেশ ভয় পেয়ে যায়।
নিজের চোখ বন্ধ করে একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে—গান গাইতে শুরু করে–
আমারো পরান ও যাহা চায়…….
তুমি তাই…….. তুমি তাই….. গো…..
আমারো পরান ও যাহা চায়…
তোমায় ছাড়া আর এ জগতে
মোর কেহ নাই…… কিছু নাই গো
আমারো পরানও যাহা চায়………
হঠাৎ সকলের তালি বাজানো শব্দ চারু কানে আসলে চারু ওর চোখ খুলে দেখে সবাই ওর দিক এ তাকিয়ে জোড়ে জোড়ে তালি বাজাচ্ছে।।
লোকটিঃ মা শাহ আল্লাহ… অনেক সুন্দর গেয়েছো মা……
আহানঃ তার মানি ও সিলেক্টেড????? আপনি ওকে গান শিখাবেন???
লোকটিঃ ওকে গান শিখাতে পারা তো আমার সৌভাগ্য এর বিষয়……
লোকটির কথা শুনে আহান সাথে সাথে চারুকে সবার সামনে জড়িয়ে ধরে………….
আহানঃ দেখেছো চারু বলেছিলাম না… তোমার গান শুনে আমার মতো সবাই মুগ্ধ হয়ে যাবে(কান্নার কন্ঠে)
চারু ঃ আহান সবাই দেখছে ছাড়ুন আমায়(আস্তে)
চারুর বলা কথা শুনে হুস আসে আহানের।। তাড়াতাড়ি করে ও ছেড়ে দেয় চারুকে…..
আহানঃ সরি….( মাথা নিচু করে)
লোকটিঃ তো আগামী সপ্তাহ থেকে আসতে পারো তোমরা……….
আহানঃ থ্যাংকস স্যার……
লোকটি আহানের খুশি দেখে মুচকি একটা হাসি দেয়…
একাডেমি থেকে বের হয়ে আহান চারুকে বাসায় পৌছে দিয়ে সোজা চলে যায় হসপিটালে…..
বাসায় এসে চারু একাডেমিতে ঘটে যাওয়া সব কিছু খুলে বললে দিশা বেশ খুশি হয় চারুর কথা শুনে……
কিন্তু মায়া সবিনা আর রিয়া চারুর কথা শুনে খুশি না হয়ে বরং রেগে মেগে চলে যায় যে যার রুমে………
সন্ধাবেলা আহান চারুকে কয়েকবার ফোন দেয় কিন্তু ফোন রিসিভ না হলে
আহান বাধ্য হয়ে ল্যান্ড লাইনে ফোন দেয়…..
মিসেস সাবিনা ফোনটা রিসিভ করলে
ফোনে মায়ের কন্ঠ শুনতে পেলে–
আহানঃ হ্যালো মা……আজ আমি বাসায় আসতে পারব না……জরুরি একটু কাজ আছে হসপিটালে….
সাবিনাঃ সে কি???সারা রাত তুই হসপিটালে থাকবি??
আহান……
মিসেস সাবিনা বলা কথা শুনে চারু নিজের কাজ রেখে তার দিক এ কৌতুহুল দৃশটিতে তাকায়….
আহানঃ হ্যা মা…..আজ আসতে পারব না বাসায়..
সাবিনাঃ আচ্ছা……..
কথাটি বলে ফোনটা রেখে দেয় মিসেস সাবিনা….
সাবিনাঃ ইসস আমার ছেলেটা সারা রাত হসপিটালে থাকলে খাবে কি রাতে..
চারু ঃ কাকিমা আমি গিয়ে তাকে খাবার দিয়ে আসি??
রিয়াঃ এই তুমি কেন যাবে???????খালামনি আমিই গিয়ে আহানকে খাবার দিয়ে আসি……..
সাবিনাঃ আচ্ছা রিয়া তুই গিয়ে দিয়ে আয়……
রিয়াঃ আচ্ছা খালামনি আমি তাহলে রেডি হয়ে আসি…
কথাটি বলে সাথে সাথে নিজের রুমে চলে যায় রিয়া রেডি হতে……
চারু রিয়ার রুমে ঠুকে —
চারু ঃ রিয়া তোমার কষ্ট করে যাওয়ার কি দরকার??
আমি গিয়েই দিয়ে আসি…
রিয়াঃ এই ইউ মিডেল ক্লাস মেয়ে তোমাকে কে বলেছে আমাকে জ্ঞান দিতে? আমার রুমে থেকে বের হও না হলে আমি নিজেই তোমাকে ঘাড় থাক্কা দিয়ে বের করে দিব রুম থেকে….
চারুঃ তোকে তোর ভাষাতেই বুঝাতে হবে.(.আনমনে)
চারু রিয়ার চুল টেনে ধরলে —
রিয়া ঃ এই মেয়ে করছো কি? আমার চুল ছাড়ো বলছি..না হলে কিন্তু আমি চিৎকার দিবো….
চারু রিয়ার কথা শুনে এক হাত দিয়ে রিয়ার মুখ চেপে ধরে…
চারু ঃআরও চেচামেচি কর??
রিয়া বেশ চেষ্টা করে নিজেকে ছাড়ার কিন্তু কোন ভাবেই পেরে উঠে না চারুর সাথে…
চারু তাড়াতাড়ি করে রিয়াকে ওয়াসরুমে ভিতর এ থাক্কা দিয়ে দরজাটা লাগিয়ে দেয়…..
রিয়াঃ দরজা খুলো চারু…
চারু ঃ রিয়া ডায়রিয়া ম্যালেরিয়া তুই এই খানে বসে থাক এই টাই তোর পারফেকট জায়গা…
আর যত পারিস চেচামেচি কর
এই বাসার সব রুম সাউন্ড প্রুফ তাই তোর চেচামেচি বাইরে কারো কান পর্যন্ত পৌছাবে না,……
তারপর চারু রিয়ার রুম থেকে বের হয়ে দরজাটা বাইরে থেকে লক করে চলে যায় নিচে…..
চারুঃ কাকিমা.. রিয়া আপু যেতে পারবেনা তার নাকি
.শরীর ভালো না
সাবিনাঃ তোকে কে বললো??? একটু আগেই তো ভালো ছিল
চারু ঃ আমি তার রুমে গিয়েছিলাম… তাকে ডাক দিতে।। তখন সে বললো হঠাৎ তার নাকি পেট ব্যথা করছে।।।। তাই আমাকেই যেতে বলেছে আহান ভাইয়ার কাছে।। খাবার দিয়ে আসতে।।।।।।।
সাবিনাঃ……….
চলবে…….