লাভ রেইন পর্ব-২২

0
1824

#লাভ_রেইন
#তারিন_জান্নাত
#পর্বসংখ্যাঃ২২

৫৬.
ক্রসরোড’ রেসট্রন থেকে লাঞ্চ করার কথা থাকলেও হঠাৎ সেটা ক্যান্সেল করে দিলো তেহভীন। খাবার পার্সেল করে হাতে তুলে বের হয়ে রাস্তায় নামলো দু’জনে। সিলিভিয়ার পেট তখন ক্ষিধেয় ‘যা পাবো তা খাবো’ অবস্থায় ছিলো। ভদ্রতা বা লজ্জায় সিলিভিয়া রেসট্রনে বসে খাবে সে কথা তেহভীন কে বলতে পারে নি। অগত্যা চুপচাপ তেহভীন যা করছে তা শুধু দৃষ্টি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে।

ক্রসরোড থেকে বের হয়ে কিছুটা সামনে এগিয়ে,এরপর বাঁ দিকে রাস্তায় প্রবেশ করলো।কিছুটা পথ হেঁটে কাঙ্খিত স্থানে এসে পৌছালো। সিলিভিয়া হাতের লাগেজ,কাঁধের ব্যাগ শক্ত করে আঁকড়ে ধরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা তেঁতুল বিচির রঙের চারতলা এপার্টম্যান্টটির দিকে চেয়ে থাকলো। এখানে আসার কারণটা বোধগম্য হলেও তেহভীনের বলার অপেক্ষায় ছিলো সে।
অতঃপর তেহভীন এপার্টম্যান্টের ভেতরে
যেতে যেতে বলল,

— আজ থেকে তুমি এখানে থাকছো।
এখান থেকে আর কোথাও যেতে হবে না তোমাকে।

— কোন প্রয়োজন ছিলো না তেহভীন।আমি ভিলেজ
গার্ডেনে ভালো ছিলাম। বাসা একটা অবশ্যই খুঁজে নিতাম, তবে সেটা কিছুদিন পর।

তেহভীন সিলিভিয়া কথা ডান কানে শুনে বাম কান দিয়ে বের করে দিলো। বলল,

— ডাবল বেডরুম, একটা ছোট লিভিংরুম,আর
একটা কিচেন। তুমি নিজ ইচ্ছে খুশী কুক করতে পারো।

সিলিভিয়া কৌতূহলী হয়ে বলল,

— ডাবল বেডরুম কেন? আমি একজন একটা
বেডরুম যথেষ্ট। আর ভাড়া কতো আসবে?

তেহভীন চোখ তুলে দ্বিতীয় তলায় দৃষ্টি রেখে বলল,

— সিলভার,অন্য বেডরুমটা আমার জন্য।
আমি আসলে তুমি কি তোমার রুম অথবা বেড
আমার সাথে শেয়ার করবে? করবে না, আমি জানি
তাই আগে থেকে বন্দোবস্ত করে রাখলাম।

— তোমার এখানে থাকার প্রয়োজন তো
আমি দেখছিনা তেহভীন।

তেহভীন শান্ত চোখে সিলিভিয়ার দিলে
চেয়ে বলল,

— এমনিই নিয়েছি। তুমি অন্যকিছু ভাবতে যেও না।

সিলিভিয়া ঠোঁট চেপে হাসি আঁটকে বলল,

— অন্য কিছু মানে?

— নাথিং, এই দেখো চলে এসেছি আমরা।
লেফট্ সাইডের রুমটা তোমার। যাও ফ্রেস হয়ে নাও।

সিলিভিয়া নিজের মতামত প্রকাশ করাতে ব্যয় করলো না।এখন তার মূল উদ্দেশ্য খাওয়া-দাওয়া করা। তাই সিলিভিয়া চুপচাপ ফ্রেস হতে চলে গেলো।
বেডরুম এবং ওয়াসরুম দু’টোই বেশ পছন্দ হয় সিলিভিয়ার। ফ্রেস হতে এসে সিলিভিয়া একেবারে শাওয়ারটাও নিয়ে ফেললো। শরীরে ম্যাজম্যাজে ভাবটা যাতে দূর হয়।
লিভিংরুমে এসে দেখলো তেহভীন খাবার অত্যন্ত আকর্ষনীয় ভাবে সাজিয়ে রেখেছে। সিলিভিয়া আশপাশ না তাঁকিয়ে বসে খেতে শুরু করে দিলো। তেহভীন সিলিভিয়ার পর পর খাওয়া শুরু করলো। সিলিভিয়া খাওয়ার মাঝখানে বলল,

— খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে আমি একটু
কান্ট্রোললেস,ডোন্ট মাইন্ড।

তেহভীন হেসে ফেললো সিলিভিয়ার কথায়।মাথা নাড়িয়ে পূনরায় খাওয়া মনোনিবেশ করলো। শেষপর্বে এসে হঠাৎ তেহভীনের ফোনটা বেজে উঠলো। সোফা থেকে অভিজাত্য ফোনটা হাতে তুলে স্ক্রিনে দৃষ্টি ছুঁড়লো। ‘ড্যাড’ নামটা দেখে পিটপিট করে তাকালো। এরপর সিলিভিয়ার দিকে দৃষ্টি ছুঁড়লো। সিলিভিয়াও চেয়ে আছে,তেহভীন দৃষ্টিতে দৃষ্টিতে মিলিয়ে হাসলো।বসা উঠে দাঁড়িয়ে বলল,

— এক্সকিউজ মি! আমি কলটা এট্যান্ড
করে ফিরে আসছি।

তেহভীন যেতে যেতে পূনরায় স্ক্রিনের দিকে তাঁকালো। তার ড্যাডের একটা বাজে অভ্যাস। যখনি ফ্রী থাকবে তখনি ভিডিও কল দিয়ে ফেলবেন।আজও তার হেরফের হয়নি। তেহভীন মোক্ষম স্থান খুঁজতে লাগলো। হঠাৎ ওয়াসরুমের কথা মনে পড়লো। তার ড্যাড অতি চালাক মানুষ রুমের ডেকোরেশন দেখে আন্দাজ করে ফেলবেন সে কোথায় আছে। তাই একহাতে ফোন ধরে অন্যহাতে কপালের চুল এলোমেলো করে দিয়ে হাই-কমোডের উপর বসে পড়লো। ফোন রিসিভ করলো যত দ্রুত সম্ভব।
ফোনের স্ক্রিনে ছেলের মুখ দেখতে পেয়ে মি.মেথেউ এর ভেতরটা ক্ষ্যান্ত হয়। তেহভীন হাসিমুখে স্ক্রিনে তাঁকালো। ড্যাডের পাশে তার মম তায়্যিবা কে দেখে নিশ্চিত হলো তার ড্যাড এখন এডিনবার্গে।

— হাই ড্যাড এন্ড মম। হুয়াট’স আপ।

তায়্যিবা জবাবে বললেন,
— উই আর ফাইন তেহভীন। হাউ আর ইউ?

— আম গুড!

মি.মেথেউ পাশ থেকে তেহভীনের
দিকে চেয়ে বললেন,

— কোথায় তুমি এখন?

— আমি লেওভার নিয়েছি ড্যাড।

— ওহ, আমি আর টামান্না পরশু কাজে
ব্যাক করবো। ক্যাথরিনের সাথে কথা হয়েছে?

তেহভীন নিরলস কন্ঠে বলল,

— হয়েছে।

— ঠিক আছে তাহলে,তুমি
বোধহয় রেস্টরুমে?আচ্ছা আমি রেখে
দিচ্ছি তাহলে।টেক খেয়ার।

খাবারের প্লেট,প্যাকেট সব গুছিয়ে একসাইডে রাখা বিনে ফেলে দিলো। টিস্যু দিয়ে হালকা-পাতলা ছিঁটকে পড়া পানির স্তুপ মুছলো। তখনি তেহভীন এসে মুখোমুখি সোফায় বসলো। সিলিভিয়া একটুর জন্য চোখ তুলে চেয়ে, পূনরায় কাজে ধ্যান দিলো।
তেহভীন এলোমেলো চুলে হাত গলিয়ে বলল,

— তোমার ল্যাপটপ আছে?

—- আছে, লাগবে?

—- দাও,তোমাকে একটা জিনিস দেখাই।

সিলিভিয়া হাত সেনিটাইজ করে ব্যাগ খুললো। ল্যাপটপটা বের করে পাসওয়ার্ড খুলে তেহভীনের সামনে রাখলো। তেহভীন পটাপট হাঁটুর উপর ল্যাপটপটা তুলে নিলো। এরপরের সময়টা কাটলো একদম নীরবতায়। এতোটা নীরবতায় থাকলে সিলিভিয়ার চোখে আপনা-আপনি ঘুম চলে আসে। তাই উঠে রুমে যেতে উদ্যত হয়, তৎক্ষণাৎ তেহভীন ল্যাপটপ থেকে চোখ সরিয়ে বলল,

— কোথায় যাচ্ছো? বসো, একটা কথা বলি।

ঘুমে ঢুলুঢুলু অবস্থায় সোফায় আসন গেঁড়ে বসলো সিলিভিয়া। তেহভীন সিলিভিয়ার ঘুম জড়ানো চোখ দেখে স্মিত হাসলো। ল্যাপটপের স্ক্রিনটা জায়গা থেকে ঘুরিয়ে সিলিভিয়ার সামনে রাখলো, ভ্রূ নেড়ে ইশারা করলো স্ক্রিনের দিকে তাঁকাতে। সিলিভিয়া প্রচণ্ড অবাক হয়ে গেলো তেহভীনের ভ্রূদ্বয়ের ইশারা দেখে। পরমুহূর্তে দৃষ্টি সরিয়ে স্ক্রিনে নিবদ্ধ করলো। ইট রঙা গোলক ঘর দেখে সিলিভিয়ার মস্তিষ্ক ফাঁকা হয়ে গেলো।সর্বনাশ! সিলিভিয়া গোপনে ঢোক গিলে না জানার বান করে জিজ্ঞেস করলো,

— এটা কি?

— এটা ল্যাবিরিন্থ হাউজ। নাম শুনেছো কখনো?

— ল্যাবিরিন্থ শুনেছি,এর অর্থ গোলকধাঁধা।
কিন্তু হাউজ দেখিনি কখনো।

— তোমার অন্ধকারে ফোবিয়া আছে?

— ঘুটঘুটে অন্ধকারে।মৃদু আলো থাকলে
আমার সমস্যা হয় না।

— ওকে,তাহলে তোমাকে একটা ছোট্ট মিশন
দিচ্ছি, এই ল্যাবিরিন্থ হাউজে তোমাকে রেখে আমি বাইরে চলে আসবো। তোমাকে সেলফ্ ডিফেন্স হয়ে ল্যাবিরিন্থ হাউজ থেকে বের হতে হবে। বলতে পারো;তোমার সেন্স ওফ হিউমারের একটা টেস্ট এটা।

সিলিভিয়ার ঘুম হাওয়ায় উড়ে গেলো এখন কথাটা শুনে।অস্থির,বিচলিত হয়ে উঠলো ভেতরটা।হাত-দ্বয় কচলাতে শুরু করলো।ভয়টা তেহভীনকে দেখানোর চেষ্টা করলো না সিলিভিয়া,লজ্জায় পড়তে হবে ভেবে।কাঁদোকাঁদো মুখ করে ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে চেয়ে থাকলো। তেহভীনের ঠোঁটের কোণে দাম্ভিক হাসির রেখা ফুটে উঠেছে।সিলিভিয়াকে বশে আনার করার সর্ব প্রথম এবং শেষ একটা ফাঁদ এটা।

৫৭.

‘গ্রিক থেয়াটরের’ পাশে অবস্থিত ‘বোউলেস হলের পাশে নিপুণ কৌশলে তৈরি করা হয়েছে ল্যাবিরিন্থ হাউজটি। ভিজিটরদের টিকেট কেটে ল্যাবিরিন্থ গ্রাউন্ডে প্রবেশ করতে হয়। ল্যাবিরিন্থ হাউজের ভেতরে এন্ট্রি নিতে আলাদা একটা চার্জ প্রযোজ্য। এখন বার্কলের জমকালো একটা সন্ধ্যা। লোকসমাগমে ভরপুর। সিলিভিয়া আশেপাশে চেয়ে দেখলো অনেক কাপল এখানে উপস্থিত। কোনো ফ্যামিলি এখনো অবধি চোখে পড়েনি। সবাই কাপল। এখন সিলিভিয়ার টার্ন। তেহভীন চার্জ পেমেন্ট করে দিয়ে এসে সিলিভিয়ার সামনে দাঁড়ালো। সিলিভিয়া ভয়ার্ত চাদর আঁড়ালে রেখে সাহসী ভাব ফুটে তুলল চেহারায়।তেহভীন প্রশস্ত হেসে বলল,

—- চলো,তোমাকে রেখে আসছি। থার্টি মিনিট টাইম।
তার আগেই বেরিয়ে এসো,অনেক গিফট আছে।
চলো।

কিভাবে,কিভাবে, কোন পথ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেছে সেটা মাথার উপর দিয়ে গেলো সিলিভিয়ার। ‘ফোকাল পয়েন্ট’ এসে তেহভীন আর সিলিভিয়া দাঁড়ালো। মৃদু আলো এবং মৃদু আঁধারিয়া পরিবেশে অদ্ভুত ভাবে শরীর কাঁপছে সিলিভিয়ার। তেহভীন বলল,

— ভয় পেয়ো না। যদি সত্যিই কনফিউজড
হয়ে যাও।তাহলে আমাকে কল দিও।আমি এসে
নিয়ে যাবো। আর তোমার যদি মনে হয় তুমি এই ল্যাবিরন্থ ওয়ার্ল্ড থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে? দ্যান,ইউ ওয়েলকাম,এন্ড আম ওয়েটিং,বাই!

হাবিজাবি কথাগুলো বলে তেহভীন বেরিয়ে গেলো নিঃশব্দে। কিন্তু কোন পথ দিয়ে বেরিয়েছে সেটা সিলিভিয়া বুঝতে পারলো না।কারণ এখানে প্রত্যেটকটা পথের দু’টো করে অপশন রয়েছে। ‘ফোকাল পয়েন্ট’ থেকে মোট চারটি সরু পথ এ.বি.সি.ডি দিয়ে চিহ্নিত করা। সিলিভিয়া প্রথমে সাহস করে এ. অপশনটি চুজ করে সে পথে গমন করলো। ডান,বাম দুই পথ দিয়ে গিয়ে আবারও, ‘ফোকাল পয়েন্টে ফিরে আসলো। এভাবে করে বি.সি.ডি দিয়ে সব পথে প্রবেশ করলো সিলিভিয়া।মৃদু হলুদ আলোর মাঝে অন্ধকারটায় প্রতিয়মান। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে কোন অতৃপ্ত আত্মা এখানে ঘুরাফেরা করছে। সিলিভিয়া গলা উঁচিয়ে হাঁক ছাড়লো। পূনরায় নিজের কন্ঠস্বর শুনতে পেয়ে ভয়ে কুঁকড়ে উঠে। সবগুলো পথে গমন করে পূনরায় ফোকাল পয়েন্টে ফিরে এলো। এবার দিশেহারা হয়ে বের হওয়ার পথটাও হারিয়ে ফেললো সিলিভিয়া। মৃদু, ভয়ংকার পরিস্থিতি তে গলা ছেড়ে কেঁদে ফেললো সিলিভিয়া। জীবনের প্রথম এমন একটা অসহায় অবস্থায় ভাসমান সে। অনেক কঠিন পরিস্থিতিতেও ভেঙে পড়েনি কখনো।অথচ, আজ, এই মুহূর্তে তেহভীনকে ভীষণ পাশে পেতে চায়ছে সিলিভিয়ার মন। কেমন অদ্ভুত ভাবে অস্থির,অবিচলিত অবস্থায় হাত দুটো একসাথে ভাঁজ করে ফেললো। মাথা ঝিমঝিম করে উঠলো,জ্ঞান হারাবার পূর্বমুহূর্ত। আচমকা,একটা বুদ্ধি ভাবনার ঘরে এসে হানা দিলো। তৎক্ষনাৎ ফোনের স্ক্রিনের সময়টা দেখলো, অলরেডি একুশ মিনিট শেষ। বাকি রইলো নয় মিনিট।চোখমুখ শক্তভাবে খিঁচ মেরে
এ. পথটির ভেতরে এগিয়ে গিয়ে প্রত্যাকটি পথের ডানদিকের পথ ধরে দৌড়াতে লাগলো। দৌড়াতে দৌড়াতে অনেকটা সময় অতিক্রম করার পর মূল ফটকের দেখা মিললো। দীর্ঘকায় পুরুষ্টু দেহটি স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে, ঠোঁটের কোণে বিজয়ীসূচক হাসি টেনে রাখা। সিলিভিয়া উইনার রোড দিয়ে আসার সময় একটা সাইনবোর্ডে ইংরেজী শব্দে কয়েকটা বাক্য দেখতে পেলো যাতে লেখা; লাভ ইজ ইমমরটেল,ইউ ডিড নট কাম টু ড্যাই,ইউ কাম টু লিভ।’ সিলিভিয়া আশেপাশে না তাকিয়ে সোজা দৌড়ে তেহভীনের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়লো। শক্তভাবে জড়িয়ে ধরে বলে উঠে,

— আই ওয়ান্ট টু ড্যাই উইথ ইউ!

আশেপাশে ইংরেজি আমেরিকান,স্কটিশ,মাটিশ,আলস্টার স্কট কানাডিয়ান আরো অন্যান্য কাপলেরা উপস্থিত সেখানে।প্রেমিকযুগলের ঘনিষ্ঠতা দেখে তাদের মনও চনমনিয়ে উঠলো। কেউ একজনের হাতে স্নো স্প্রে ছিলো সেটা তেহভীন-সিলিভিয়াকে উদ্দেশ্য করে স্প্রে করতে লাগলো। তেহভীন নিজের হাতজোড়া তুলে আতলোভাবে সিলিভিয়ার পিঠে রাখলো,মৃদু হেসে বলল,

— এন্ড আই ওয়ান্ট টু লিভ উইথ ইউ!!

হঠাৎ যেনো মেঘেদের গম্ভীরতা সরে যায় বিশাল আকাশের বুক থেকে। দুই জন ভালোবাসার মানুষের মেলবন্ধনের দৃশ্য যেনো চোখ জুরিয়ে গেলো।আনন্দে আত্মহারা হয়ে নিঃসৃত হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির। তেহভীন আবচা শীতল কন্ঠে বলে উঠে,

— ইমাজিন সিলভার, ইট’স লাভ রেইন!
ফর আওয়ার লাভ।

(চলবে )

#নোটঃ বোউলেস হলের’ পাশে কোন ল্যাবিরিন্থ হাউজ নেই।সেখানে গাছপালায় ভরপুর জঙ্গল। ল্যাবিরিন্থ হাউজ সম্পূর্ণ কাল্পনিক।তাই আপনারা আবার সেটা খুঁজতে যাবেন না প্লিজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here