লাভ রেইন পর্ব-২৬

0
1828

#লাভ_রেইন
#তারিন_জান্নাত
#পর্বসংখ্যাঃ২৬

৬৭.
ভারী নেত্রপল্লব মেলে তাকালো সিলিভিয়া। চোখে ঘুমকন্যারা তখনো বিরাজমান। হাত আর পা অস্বাভাবিক ভাবে গরম হয়ে আছে সিলিভিয়ার। দৃঢ়তা’হীন মেয়ে সে। কখনো কোন কাজ ধীরেসুস্থে হয় না তার।তাই সে চট করে উঠে বসলো। উঠার পর বুঝতে পারলো সে এতক্ষণ ডিভাইনে শায়িত ছিলো।

সম্মুখে সোফায় বসে থাকা জেরিন্ডেলকে দেখে চমকিত না হয়ে ত্রাসিত হয় সিলিভিয়ার দৃষ্টি। জেরিন্ডেলের ঠোঁটের কোণে ক্রুর হাসি। শিথিল চোখে আপাদমস্তক সিলিভিয়ার মোলায়েম মুখখানায় দৃষ্টি বুলালো। সিলিভিয়া রক্তচক্ষু নিয়ে চেয়ে আছে জেরিন্ডেলের দিকে। যদিওবা তার ধারণায় অন্য কেউ ছিলো। কিন্তু জেরিন্ডেলকে দেখে ভেতরকার চাপা ক্রোধটা তরতর করে বেড়ে উঠলো। সিলিভিয়া উঠে দাঁড়ানোর আগে জেরিন্ডেল উঠে এসে সিলিভিয়ার সম্মুখে দাঁড়ালো। মেয়ে হলেও উচ্চতায় জেরিন্ডেল সিলিভিয়ার চেয়ে এগিয়ে,সিলিভিয়া আগাগোড়া পরখ করে নিলো জেরিন্ডেলকে।মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলো,যদি জেরিন্ডেল কোন অশালীন আচরণ করে তাহলে…

— রিল্যাক্স! বলো কি খাবে?
আমার বাসায় এসেছো,যথাসাধ্য আতিথেয়তা
করার চেষ্টা করবো।

সিলিভিয়া শক্ত কন্ঠে বলল,
— মুখ চেপে ধরে,সেন্সলেন করে বাসায়
এনে বলছো আতিথেয়তা করবে। আমি
মরছিনা তোমার আতিথেয়তার জন্য।

— তুমি মরবে কেন? মারছো তো আমাকে।

সিলিভিয়ার মুখশ্রীতে রক্তিম আভা ফুটে উঠলো
ইতিমধ্যে। হাত নিশপিশ করছে।একটা খুন হয়ে
গেলে কি খুবই ক্ষতি হয়ে যাবে।
— সাট-আপ!

জেরিন্ডেল স্মিত হেসে সোফায় বসলো।
ডানদিকে মাথা ঘুরিয়ে চেয়ে কাউকে ডাকলো।
জেরিন্ডেলের ডাকে তৎক্ষনাৎ ক্যাডি আর আমারা হুড়মুড়িয়ে দৌড়ে লিভিংরুমে আসলো। সিলিভিয়াকে দেখে তারা অপ্রস্তুত ভঙ্গিমায় হাসলো। ক্যাডি সিলিভিয়ার দিকে চেয়ে হালকা হেসে বলল,
— কেমন আছো সিলিইইভিয়া? অনেকদিন পর
দেখা হচ্ছে তোমার সাথে।

রাগে,ঘৃণায় মুখ দিয়ে একটা কথাও ফুটলো না সিলিভিয়ার। দাঁতের সাথে দাঁত রুষ্টভাবে চেপে তাদের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিপাত করতে লাগলো। জেরিন্ডেল বসা অবস্থায় হাসলো। অদ্ভুত ভঙ্গিমায় হেসে ক্যাডি আর আমারাকে কাছে আসার ইশারা করলো। তৎক্ষনাৎ দু’জনে এগিয়ে এসে জেরিন্ডেলের দু’পাশে ঘনিষ্ঠ হয়ে বসলো।জেরিন্ডেল সিলিভিয়াকে দেখিয়ে তাদের দু’জনের শরীরে হাত বুলাতে লাগলো। সিলিভিয়া এসব নোংরামি দেখতে পারলো না,সশরীর ঘুরে অন্যদিকে ফিরে গেলো। এমন ঘৃণ্য দৃশ্য দৃষ্টিগোচর হবে সেটা জীবনেও কল্পনা করেনি সে। জেরিন্ডেল বলতে লাগলো,

— কাম’অন গার্ল! তুমি এমন করছো কেন?
এটা খুবই নরমাল ব্যাপার।তুমি নরমালি নিলেই
তো হচ্ছেই। দেখো তোমার ফ্রেন্ডরাও আমার সাথে এটাচড্। তুমি দূরে থাকছো কেন?

সিলিভিয়া তাদের দিকে ফিরে দাঁড়ালো।আপাদমস্তক চেয়ে বলল,

— তোমরা এসব করে কি পাও?

জেরিন্ডেল কপট স্বরে উত্তর দেয়,

— সুখ!

সিলিভিয়া তেঁজ মাখা স্বরে বলল,

—- তো করো না তোমরা এ’ন’জ’য়!
আমাকে এখানে এনেছো কেন? আমি
তোমাদের মতো মানুষদের সাথে কথা বলতে
আগ্রহী নয়।

জেরিন্ডেল সিলিভিয়ার কথার জবাব না দিয়ে বলল,

— এদের সাথে আমার রিলেশন তিনমাস ধরে।
বিনিময়ে অনেক মানি পাচ্ছে।তুমি বলো,কতো মার্কিন ডলার পেলে তুমি খুশী হবে,আর আমাকেও খুশী করবে।

সিলিভিয়া নিজের গগনচুম্বী রাগ দমন করতে পারলো আর। এগিয়ে এসে পায়ের জুতা খুলে ঠাস করে জেরিন্ডেলের গালে চড় মেরে দিলো। ক্যাডি আর আমারা ভীষণ ভড়কে যায় সিলিভিয়ার কাণ্ডে।এতোটা হাইপার হয়ে যাবে ভাবেনি তারা।ছিটকে দূরে সরে দাঁড়ালো দু’জনে। জেরিন্ডেল নিজেও হতবুদ্ধি হারিয়ে চেয়ে রইলো সিলিভিয়ার মুখপানে।সিলিভিয়া সেখানেই থেমে নেই,জেরিন্ডেলের চুল মুষ্টিবদ্ধ করলো হাতে মুঠোয়। জেরিন্ডেল নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো না। জীবনের প্রথম ভিনদেশী একমেয়ের হাতে জুতা দিয়ে মার খাওয়াটা অভাবনীয় সত্য তার জন্য। নেহাৎ, সে কখনো কারো সাথে ফোর্সলি রিলেশন করেনা।তাই আজও সিলিভিয়াকে ফোর্স করছেনা।
সিলিভিয়া ক্রুধমাখা চোখে ও রোষাহ্নি কন্ঠে বলল,
— জেরিন,ইট’স লাস্ট ওয়ার্নিং ফর ইউ।
ডোন্ট ডিস্টার্ব মি।প্লিজ!
আমার অনুগ্রহে যদি তোমার মন না গলে, দ্যান ফাইট উইথ মি। বিকজ,আই ক্যান ফাইট ভেরী ব্যাডলি।

৬৮.

জেরিন্ডেলকে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে দেখে সিলিভিয়া অবাক হয়ে যায় খুব। তার জানা মতে এই ধরনের মেয়েছেলে ভীষণ ডেস্পারেট হয়।সিলিভিয়া সম্পূর্ণ পরিণতির ব্যাপারে অবগত থেকেই জেরিন্ডেলকে মারার উদ্যোগ নিয়েছে সে। সিলিভিয়া চুল থেকে হাত সরিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ালো। জেরিন্ডেলের মুখ অপমানে নাকি রাগে থমথমে ভাব ফুটে উঠেছে সেটা সিলিভিয়া জানেনা। জেরিন্ডেল চুপচাপ উঠে চলে গেলো,যাওয়ার আগে ক্যাডিকে বলল,সিলিভিয়াকে যেনো তার বাসায় পৌছে দেওয়া হয়। সিলিভিয়া নিজেই আর এমন অসভ্যদের সঙ্গ চায় না।তাই সে দ্রুতপায়ে বেরিয়ে গেলো এই বাসা থেকে। সিলিভিয়া ভেবেছিলো, আজ রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবে।কিন্তু ঘটনা হলে তার উল্টো,কিঞ্চিৎ সমাধান হয়েছে ভেবে ভেতরটায় শান্তিপূর্ণ হয়ে গেলো। সমাধান কি এই পর্যন্ত নাকি সামনে আরো বিপদ আছে কে জানে।
এতসব ভাবনার মাঝে সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় আচমকা সিলিভিয়ার পা মচকে গেলো।তাল সামলাতে না পেরে সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে পড়ে যেতে চাইলো। ভাগ্য ভালো হওয়ায় রেলিঙের ফাঁকে হাত গলিয়ে শক্ত করে রেলিঙ আঁকড়ে ধরলো।ব্যাথায় চোখমুখে রঙ নীলবর্ণ ধারণ করলো সিলিভিয়ার। এতোটাও তাড়াহুড়ো করেনি সে।তারপর ও কিভাবে পা মচকে গেলো সেটাই বুঝতে পারলো না সে। সিঁড়িতে রইলো সিলিভিয়ার, উঠার চেষ্টা করার পরও উঠতে পারলো না।
তন্মধ্যে ধুপধাপ শব্দ তুলে কেউ একজন সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে লাগলো। সিলিভিয়া রক্তশূন্য মুখটা উপরে তুলে তাঁকালো। ব্রাউন হেয়ার ও একজোড়া ডার্ক আইস দৃশ্যমান হলো। সিলিভিয়া ভ্রূ কুঁচকে স্বল্প পরিচিত সৌষ্ঠবপূর্ণ লোকটির পানে চেয়ে রইলো।লোকটিও যেনো একটু নয়,বরঞ্চ বেশি অবাক হলো সিলিভিয়া কে এভাবে দেখে। সিলিভিয়ার সামনে ঝুঁকে এসে খাঁটি বাংলায় বলল,

— আপনি এখানে?

লোকটি পূনরায় আশেপাশে চেয়ে সিলিভিয়ার দিকে দৃষ্টি তাক করে বলল,

— আপনি কি আমার সাথে দেখা করতে এসেছেন।
এটাতো ভি.আই.পি. দের এপার্টম্যান্ট,অন্য কেউ তো আপনার পরিচিত নেই এখানে। স্যরি আমি জানতাম না আপনি আসবেন তা না হলে আমি বাইরে যেতাম না।

সিলিভিয়া হঠাৎ ঠাস করে তানদিজের গালে চড় লাগিয়ে দিলো। চড়টা দেওয়ার পর সে নিজেই অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো। কিছু সময়ের জন্য তানজিদকে তেহভীনের মতো লেগেছিলো সিলিভিয়ার কাছে। এতদিনের রাগটা যেনো ভুল জায়গায় জাহির করে ফেললো। চড় মারার পর সিলিভিয়া বুঝলো সে ভুল করেছে। চেহারার কাঠামো এক হলেও তেহভীনের চুলের রঙ কালো। এটা বুঝার পর আড়ষ্ট জড়তা কাজ করতে লাগলো তার ভেতর। সিলিভিয়া ‘দুঃখীত’ শব্দটি উচ্চারণ করার পূর্বেই তানজিদ বলে উঠলো,

— আশ্চর্য,আমার ভাইয়ের বান্ধবী,আপনি
এতো মারকুটে স্বভাবের কেন? আমার দোষটা কি?

সিলিভিয়া তালগোল পাকিয়ে বলল,
— আমার পা মচকে গেছে,ব্যাথা করছে পায়ে,
সেখানে আপনার কথাগুলো আমাকে রাগিয়ে দিয়েছে। আমি খুবই দুঃখীত!

তানজিদ চিন্তিত হয়ে সিলিভিয়ার পা স্পর্শ করতে চাইলো।সিলিভিয়া পা সরিয়ে বলল,

— আপনি চলে যান,আমাকে
আমার বাসায় যেতে হবে।

— আ’ম সিউর,আপনি যেতে পারবেন
না।আমার সাথে আসুন।আমি ডক্টর আসতে
বলছি।

— দরকার নেই। আপনি চলে যান।

তানজিদ সটান করে দাঁড়িয়ে গেলো। পকেট হাতরিয়ে ফোনটা বের করে সময় দেখলো। এখন রাত আটটা। আর কিছু না ভেবে তেহভীনের ফোনে কল দিলো তানজিদ। ভেবেছিলো তেহভীনকে ফোনে পাবে না। ভাগ্যক্রমে পেয়ে গেলো। তানজিদ যখন দেখলো তেহভীন ভিডিও কল রিসিভ করেছে।তখনি ফোনটা ঘুরিয়ে সিলিভিয়ার দিকে তাক করলে সে। তেহভীন তখন সম্পূর্ণ এয়ারলাইন পাইলট ইউনিফর্ম পরিহিত ছিলো। সিলিভিয়া মাথা তুলে তাঁকালো,বেশভূষায় সরূপময় ও পরিচ্ছদপূর্ণ পুরুষটিকে দেখে হঠাৎ তার অভিমানী দৃষ্টিজোড়া বেসামাল হয়ে যায়।চোখের কোণে মৃদ্যু অস্রুর ধারা এসে উপস্থিত হয়। সিলিভিয়াকে সিঁড়ির উপর এভাবে বিচলিত দৃষ্টিতে চেয়ে তেহভীন উৎকন্ঠিত স্বরে বলল,

— সিলভার! তুমি? তুুমি ওখানে কি করছো?
কি হয়েছে?

সিলিভিয়া জবাব দিতে পারলো না তানজিদের সামনে। অদৃশ্য এক ক্ষমতা কণ্ঠনালী রোধ করে রাখলো। তেহভীন কিভাবে টের পেলো কে জানে,কন্ঠস্বর বাড়িয়ে তানজিদের উদ্দেশ্যে বলল,

— ব্রো,উই নিড প্রাইভেসি!

তানজিদ শুনে ঠোঁট চেপে হাসলো। এরপর সিলিভিয়ার দিকে চেয়ে ফোনটা বাড়িয়ে দিলো। সিলিভিয়া ফোনটা হাতে নিলো,নিশ্চুপ রইলো। তেহভীন হাতে থাকা সাদবর্ণের ডায়াল ঘড়িতে চোখ বুলিয়ে সময় দেখলো,হাতে এখনো সাতাইশ মিনিট সময় আছে। তেহভীন সিলিভিয়ার দিকে দৃষ্টিপাত করে বলল,

— সিলভার চুপ থেকো না কি হয়েছে আমাকে বলো।
তুমি কোথায় এখন? প্লেসটা দেখে মনে হচ্ছে তুমি ব্রাদারের এপার্টম্যান্টে আছো। ওখানে কি করছো?

সিলিভিয়া সংক্ষিপ্তরূপে ইতিপূর্বে ঘটে যাওয়া সব তেহভীনকে বলে দিলো। সিলিভিয়ার খেয়ালে ছিলো না তেহভীন এরেকটু পর ফ্লাইটে উঠবে। আর ফ্লাইটে উঠার আগে একজন পাইলটকে স্ট্রংলি মেন্টালি স্টেবল থাকতে হয়। সম্পূর্ণ দুঃশ্চিন্তাহীন হয়ে। সিলিভিয়ার কথাগুলো তেহভীনের রাগকে ক্রমাগত বাড়িয়ে দিলো। তেহভীন দাম্ভিক চেহারার উপরের আস্তরণে সিলিভিয়াকে নিজের রাগের কিঞ্চিৎ ছটাও দেখালো না। সিলিভিয়া কথা শেষ করে,অন্যদিকে ফিরে রইলো। সেটা দেখে তেহভীন হাসলো। স্মিত হেসে সিলিভিয়ার উদ্দেশ্যে বলল,

— সিলভার, আর কিছুদিন অপেক্ষা করো।
আমি এসে সব খোলাসা করছি। আরেকটা ব্যাপার খেয়াল রেখো তো,ওই মেয়েটি কোন মডেল বা স্টার কি না সেই ইনফরমেশন টা কালেক্ট করে রেখো।নয়তো ব্রাদারকে জানিয়ে দিও। আমি আসি, আই সোয়্যের ওই মেয়ের অস্তিত্ব বিলীন করে দিবো আমি।ভালো থেকো,রাখছি। আর আমার ব্রাদারের সাথে নিশ্চিন্তে যেতে পারো। তোমাকে থাকতে বলতাম না,যদি তোমার বাসার লোকেশনটা কাছাকাছি হতো। এখন তুমি যাও,আমি ব্রাদারকে তার মেয়ে ফ্রেন্ডকে খবর দিতে বলছি, যেনো তোমার সাথে এসে থাকে। টেক কেয়ার সিলভার।বাই…

তেহভীনের কথাগুলো শুনে অদ্ভুত প্রশান্তিতে ছেয়ে গেলো সিলিভিয়ার মন। সিলিভিয়া ফোনটা অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা তানজিদে উদ্দেশ্যে বাড়িয়ে দিলো। তানজিদ ফোন হাতে নিয়ে দেখলো ভিডিওকল কেটে গেছে।তখনি আবার অডিও কল এসে ঢুকলো। দু’ভাই প্রয়োজনীয় কুশলাদি বিনিময় করলো। রাখার আগে তেহভীন তানজিদকে বলল,

— ব্রাদার! ডোন্ট ট্রাই টু ইম্প্রেস হার।সি’ইজ মাইম!

তানজিদ হেসে উঠলো। তেহভীনকে আশ্বাস দিতে বলল,

— রিল্যাক্স! ওইদিন আমি তোমার সাথে মজা করেছিলাম।তোমার ভেতরকার কথাটা জানতে চেয়েছিলাম। আমাকে নিয়ে জেলাসি হওয়ার কিছু নেই।

— তোমার গার্লফ্রেন্ডকে বলো,এসে সিলভারের
সাথে থাকতে। আমি রাখছি,একটু পর আমাকে ফ্লাইটে উঠতে হবে। সিলভারের খেয়াল রেখো।

তানজিদ ভ্রূঁ কুঁচকালো। সিলভার কারো নাম হয়?
তার জানা ছিলো না। যাক গে, তানজিদ অনেক বলেও সিলিভিয়াকে উঠাতে পারলো না। তানজিদের গার্লফ্রেন্ড এলসা আসার পর সিলিভিয়াকে ধরে,তানজিদের বাসায় নিয়ে গেলো।

(চলবে)
সবাই রেসপন্স করুন একটু।
গল্প রি-চ্যাক দেওয়স হয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here