লাভ রেইন পর্ব-৪২

0
1973

#লাভ_রেইন
#তারিন_জান্নাত
#পর্বসংখ্যাঃ৪২

১০৪.

রাত প্রায় দুইটা, দু’জোড়া চোখে ঘুমের ছিঁটেফোঁটাও বিদ্যমান নেই। কোলাহলহীন এক মুহূর্ত, একে অপরের মিষ্টি আলিঙ্গন, বৃষ্টির শীতল প্রবাহ মনকে চাঙা করে তুলছে। সিলিভিয়া তেহভীনের নিকট হতে পাওয়া অল্প মাদকতা মেশানো প্রেমময় প্রহরে আচ্ছন্ন থাকার পর অনুভব করলো তার মনে নতুন এক ফুরফুরে ভাব উদয় হয়েছে। ভালোবাসার সিক্ত একটু স্পর্শে তেহভীন নিজের ভেতরকার চাপা কষ্টটা দূর করলো। দূর দূর করে তাড়ানো পরও,অজানা এক আশঙ্কা তাকে তাড়া করতে লাগলো। পরবর্তী সময়টা না জানে কতো কঠিন হবে তার জন্য। তেহভীন সিলিভিয়াকে নিজের থেকে আলগা করে ললাটে এই মুহূর্তের সর্বশেষ ছোঁয়াটা ছোট,তীক্ষ্ণ, গাঢ় একটা চুমুতে পরিপূর্ণ করে দিলো। এরপর আলতো করে সিলিভিয়ার গালে হাত রেখে বলল,

— ফাইনালি! আমার গ্র্যান্ড’ফা’র আশাটা পূর্ণ হলো।

— কিভাবে,

— তোমাকে বিয়ে করে সিলভার।

— তোমার গ্র্যান্ড’ফা কি চেয়েছিলেন?

— তোমার মতো একটা পিউর এন্ড প্রিটিয়েস্ট মনের লেডি যাতে আমার ওয়াইফ হয়। এন্ড সো আর ইয়্যু!

তেহভীন সিলিভিয়ার গালটা টেনে দিয়ে বললো কথাটা। সিলিভিয়া মৃদু হাসলো, মাথা তুলে তেহভীনের গালে ওষ্ঠ ছুঁয়ে দিলো। এজ এ হাজব্যান্ড,টাচ করার সম্পূর্ণ রাইট এখন তার আছে।
বৃষ্টির শেষ মুহূর্তটা মিঁইয়ে গিয়েছে আরো আধঘন্টা আগে। ভেজা’সিক্ত শরীরদ্বয়ে অদ্ভুত আলসেমি এসে ঝেঁকে ধরেছে। ফলস্বরূপ,দুজনে গাঁট হয়ে এক জায়গায় বসে রইলো। আরো কিছুটা সময় নীরব থাকলো তারা।কিন্তু ভয়ংকর নীরবতা তেহভীনকে শাসাচ্ছে, না না রকম শঙ্কায় ঘিরে ধরছে। সাথে একটা তীক্ষ্ণ অপরাধ বোধ৷ মিনিট দুয়েক হাঁসফাঁস করার পর নিজের স্পষ্টবাদী রূপটাকে আঁকড়ে ধরলো সে।নিঃসংকোচ,জড়তাহীন কন্ঠে সিলিভিয়াকে জিজ্ঞেস করলো,

—- ডোন্ট মাইন্ড সিলভার, ডু ইউ ওয়ান্ট এ ফিজিক্যালি এটা্চমেন্ট রাইট নাউ?

কথাটি শুনে সিলিভিয়া ভ্রূঁ কুঁচকে সুগভীর দৃষ্টিতে তাঁকালো তেহভীনের চোখের দিকে। এই মুহূর্তে কেন যেনো আজ সে তেহভীনের চোখের দৃষ্টি খোলা বইয়ের পৃষ্ঠার মতো পড়তে পারলো। অনেকটা শঙ্কা,দ্বিধা জড়িয়ে আছে দৃষ্টিতে,যেটা অকপটে রেখে সিলিভিয়াকে স্বাভাবিক রূপে এসব জিজ্ঞেস করেছে। এমন কোন হাজব্যান্ড আছে কি-না সন্দেহ আছে সিলিভিয়ার। কিন্তু তার কাছে তেহভীন-ওই সেরা।বেস্ট! বেস্ট! অতঃপর মৃদু হাসলো সিলিভিয়া। মূল কারণটা তার সচেতন মস্তিষ্ক এতোক্ষণে টের পেয়ে গিয়েছে। তাই সে বলল,

— আ’ই উইল ওয়েট ফর দ্যা রাইট টাইম তেহভীন!

আশানুরূপ প্রত্যুত্তর পেয়ে ঈষৎ হাসলো তেহভীন। তার মন মতো একটা মনের মানুষ পেয়ে আজ তৃপ্ত।তবে নিজের দায়বদ্ধতার দেয়ালটাকে আগে ভাঙবে, তারপরে তার সিলভারকে নিয়ে নতুন একটা লাভ জার্নি শুরু করবে।

সিলিভিয়ার শীত লাগায় আর বাইরে বসে থাকতে পারলো না। দ্রুত উঠে দাঁড়ালো,তেহভীনও উঠলো। দু’জনের ক্লথ চেঞ্জ করতে হবে তাই তেহভীন আর সিলিভিয়া নিজেদের কামরায় চলে আসলো। রুমে এসে সিলিভিয়া যখন নিজের ব্যাগটা খুললো,তখন তার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো। ব্যাগ খুলে দেখলো সব জুহানের কাপড়।তার স্পষ্ট মনে আছে জুলিয়াকে তার ব্যাগটা এই রুমে রেখে দিতে বলেছিলো কিন্তু এটা তো তার ব্যাগ নয়।বেখেয়ালিতে ব্যাগ না দেখেই খুলছিলো।কিন্তু খুলার পর নিজের ব্যাগে এই কাপড় দেখে প্রচণ্ড অবাক এবং হতাশ হয় সে।এটা ভুলবশত বা কাকতালীয় নয়,ইচ্ছেকৃতভাবে করা কাজ।যেটি জুলিয়া করেছে। ভাবি হিসেবে এতটুক মশকরা আশা করা যায়। কিন্তু সিলিভিয়া এই সময়টায় কি পড়বে নিয়ে ভীষণ চিন্তায় পড়ে গেলো। ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে সিলিভিয়াকে আগে ন্যায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এগিয়ে আসলো তেহভীন।সিলিভিয়ার মুখভঙ্গি লক্ষ করে ব্যাগের দিকে তাঁকালো। অকস্মাৎ, হো হো করে উচ্চ শব্দে হেসে উঠলো তেহভীন। সিলিভিয়া চমকে গিয়ে তীর্যকচোখে তাকালো। তেহভীন হাসি থামালো না,বরং টিটকারি মারা স্বরে বললো,

— এখন তোমার বেবিদের ক্লথ পড়তে মন চাইছে সিলভার? যেখানে আমাদের বেবিরা এসব ক্লথ পড়বে।

— মজা করবে না একদম।এগুলো জুহানের ক্লথ।

তেহভীন হাসতে হাসতে বিছানায় বসলো। ব্যাপারটা অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও সে ভীষণ মজা পেয়েছে সিলিভিয়ার মুখ দেখে। তাই বললো,

— আমি হেল্প করি? তোমার ব্যাগ কোন রুমে আছে বলো।আমি নিয়ে আসছি।

সিলিভিয়া জবাব দিলো ন গম্ভীর মুখো হয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকলো। তেহভীন হাসি থামিয়ে নিজের ব্যাগটা খুললো,ঘটনা আকস্মিক ভাবে হলেও তার কাছে একটা সলিউশন আছে। এয়ারপোর্টে সিলিভিয়ার কুঁচকে ফেলা সেই শার্টটা বের করলো। ভাঁজ মেলে দেখলো বোতামের দিকে সিলিভিয়ার ঠোঁটের নূড কালারের লিপগ্লসের দাগ লেগে আছে। সেটা সিলিভিয়ার দিকে ঠোঁট চেপে হাসি আঁটকে শার্টটা তার দিকে বাড়িয়ে দিলো। বলল,

— এতো দ্রুত শার্টটা তোমার প্রয়োজনে পড়বে ভাবিনি। যাও এটা পড়ে নাও, এন্ড আ’ই এ’ম এ ইনোস্যান্ট এন্ড গুড বয়।ট্রাস্ট মি,তোমার এপেয়ালিং লুক দেখে তোমাকে ইরিটেড করবো না।প্রমিস!

সিলিভিয়ার লজ্জা লাগলো খুব,তারপরও সেটাকে প্রকাশ করলো না। চোখমুখ শক্ত করে তেহভীনের হাত থেকে শার্টটা কেড়ে নিয়ে ওয়াসরুমে চলে গেলো। চেঞ্জ করে এসে ধুপধাপ শব্দ করে বিছানায় এসে চাদর জড়িয়ে শুয়ে পড়লো উলটো দিক ফিরে। তেহভীনের হাসি এবার দ্বিগুন রূপ ধারণ করলো। এই প্রথম সিলিভিয়া তার কাছে এতোটা লজ্জা পেয়েছে,যেটা সে প্রকাশ না করলেও সে ভালোই বুঝতে পেরেছে।

১০৫.

বাড়ির বাকি সদস্যদের এবং তেহভীনকে নিয়ে সায়মন-সিলিভিয়া বেরিয়ে পড়লো কিছু পরিচিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রদর্শনের উদ্দেশ্য। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা সদরে একটি ঐতিহাসিক ডাকবাংলো রয়েছে।দেখতে অনেকটা ভ্যাক্টেরিয়ান ধাঁচের। ডাকবাংলোর পাশে উপজেলা পরিষদে খুব সুন্দর একটা পিকনিক স্পট রয়েছে। স্থান দুটি পাশাপাশি হওয়ায় সৌন্দর্যের ভূমিকা বেশিই পালন করছে।সুউচ্চ গড়ের ওপর সাধারন ভূমি থেকে প্রায় পনেরো থেকে বিশ মিটার উঁচুতে অবস্থিত এ স্থান’দুটি। ডাকবাংলোর বারান্দায় দাঁড়ালে হিমালয়কন্যার সবচেয়ে সুন্দর ও নজরকাঁড়া সৌন্দর্যের শ্বেতপাথরের পাহারটিকে দেখা যায়। হেমন্ত ও শীতকালে মেঘমুক্ত আকাশে তুষারশুভ্র পাহাড়ের মোহনীয় রূপ উপভোগ করা গেলেও,এই ভর গ্রীষ্মের সময়ে রূপটা ফিকে হয়ো যায়নি।বরং সূর্য উদয়ের সময়ে যখন সূর্যের তীক্ষ্ণ রশ্মি পাহাড়টির উপর তাক করছিলো,তখন অপরূপ সৌন্দর্যের লালিমায় প্রলুদ্ধ হয়ে যায় দৃষ্টি। সিলিভিয়া আঙুল তাক করে পাহাড়টি তেহভীনকে দেখাতেই সে স্তব্ধ হয়ে পলকহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো অনেকটা সময়। কন্ঠে একরাশ মুগ্ধতা ঢেলে বলল,

— ও মাই গড! সিলভার,এটা কি দেখছি আমি?
এই পাহাড় তো আমি চিনি? কিন্তু বেংলাডেশ থেকে এই পাহাড়টিকে দেখতে পাওয়া যায় আমি জানতাম না।

সিলিভিয়া মৃদু হেসে বললো,

— আচ্ছা, পাহাড়টির নাম কী? কোথায় অবস্থিত?

— নাম মনে পড়ছে না,কিন্তু এটা জানি পাহাড়টি ইন্ডিয়া এন্ড নেপাল জুড়ে অবস্থিত।

— জানো তাহলে।

— হ্যাঁ, এ পাহাড় দেখার জন্য তামান্না সিস বেশি এক্সাইটেড ছিলো।তার ইন্ডিয়ান একজন ক্লাসমেত থেকে জানতে পেরেছিলো।সময় সুযোগের অভাবে যাওয়া হয়নি। হলিডে তে বেংলাডেশে আসা হলেও ওই অপরিচিত কান্ট্রিতে যাওয়া হয়না। সিস দেখলে খুবই খুশী হতো আজকের মোমেন্টের সিনটা।

— সিস’কে দেখার সুযোগ আসলে অবশ্যই আমরা আবার এখানে চলে আসবো। আমার জন্মস্থান তো এখানে তেহভীন। আমার মা ঢাকার, বাবা ওখানে ছোটখাটো জব করে থেকে গেলেন।আমরা যে বাড়িতে থাকি বাড়িটি আমার মায়ের।

— অহ,তাহলে তো তোমরা তোমাদের
মায়ের বাড়িতে থাকছো।

— ইয়েস!

আশেরপাশে আরো অনেক সুন্দর স্থানগুলো ঘুরাঘুরি করলো তারা।এ জেলার নয়নাভিরাম সৌন্দর্য,প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ঘিরে ছোট-বড় অনেক চা-বাগান, ও পিকনিক কর্নার।প্রকৃতির প্রেমিরা অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়গুলোতে ভীড় জমায় এই পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে।শুধুমাত্র তুষাশুভ্র পর্বতে দেখার উদ্দেশ্য, সাথে অন্যান্য দর্শনীয় স্থানতো রয়োছেই।

১০৬

হঠাৎ সিলিভিয়াকে এগিয়ে আসতে দেখে পিঠ বাঁচাতে রুজিনার পাশে যেতে ছুটলো জুলিয়া।শেষ রক্ষা হলে না।তার আগে সিলিভিয়া চলে আসলো। পথরোধ বা উচ্চবাচ্য না করে সরাসরি জিজ্ঞেস করলো,

— ভাবি কালরাতে তুমি ইচ্ছে করে আমার ব্যাগটা সরিয়েছো তাই না?

জুলিয়া অপ্রস্তুত ভঙ্গিমায় হাসলে,এরপর বললো,

— হ্যাঁ,মানে ওই আরকি,একটু মজা করেছি।

সিলিভিয়া চাপা শ্বাস ফেললে জুলিয়ার দিকে চেয়ে।সম্পর্কের ধরনটা এমন রূপেরও হবে তাদের সেটা তার কল্পনার বাইরে ছিলো। কে বলবে এই জুলিয়াই একদিন মা-বোনের কথায় নেচে-কুঁদে তাকে যা নয় তা বলে অপমান করতো।শক্ত,কঠিন কিছু বলতে মন চাইলে না আর সিলিভিয়ার।কিন্তু নিজেকে আঁটকালো, শান্ত স্বরে বললো,

— তুমি জানোনা কতো লজ্জায় পড়েছিলাম আমি কাল।এভাবে হুট করে এমন কিছু হবে জানলে তোমাকে ব্যাগ রাখার কথা বলতাম না।

জুলিয়া বড়সড় হাসি দিলো,

— তোমরা নতুন কাপল,তোমাদের তো মাখোমাখো সম্পর্ক থাকবে এখন। এখানে লজ্জার কি আছে। তাছাড়া…

সিলিভিয়া কান গরম হয়ে উঠলে জুলিয়ার কথায়।মাখোমাখো সম্পর্ক? নির্বোধের মতে কথা।কালকের আকস্মিক বিয়েতে তারা কেউ এমন কিছুতে প্রস্তুত ছিলো না।তারপর তেহভীনের স্বচ্ছ চাওয়াকে সিলিভিয়া মন থেকে সম্মান করে। তেহভীনের ড্যাড যতদিন না তাকে স্বীকার করবে ততদিন না-হয় থাকুক আরো কিছুটা দূরত্ব তাদের মধ্যে। তাতে কোন আপত্তি নেই সিলিভিয়ার।

— থাক ভাবি,আর কিছু বলিও না এখন।

জুলিয়া হাসতে হাসতে বলল,

— নিশ্চয় তোমার এখন আবার প্রেম প্রেম পাচ্ছে।
ডাকবো ভাইয়াকে।

— তোমার পাচ্ছে ভাবি,আমিই ডেকে দিচ্ছি ভাইয়াকে।

সিলিভিয়া আর দাঁড়ালো না।যত দ্রুত সম্ভব জুলিয়ার সামনে থেকে পালালো।জুলিয়া ঠোঁটকাটা স্বভাবের জানতো,এতোটাও ঠোঁটকাটা জানা ছিলো না তার।

পিকনিক স্পটের সুন্দর পরিপাটি জায়গায় পরিচ্ছন্ন চেয়ারে বসে আছেন আকবর হাসান।তার সামনেই সায়মন আর তেহভীন কিসের আলাপচারিতা করছে। মনে মনে প্রচণ্ড বিরক্ত হলেন তিনি।কেথায় একমাত্র জামাতা হিসেবে মন খুলে আড্ডাবাজি করবেন তা নয়,এখানে চুপচাপ বসে থাকতে হচ্ছে। অবশ্যই মুমিন হলে এতক্ষণে এতো কথা বলতো কি না সন্দেহ আছে।সারাদিন জমিজমা, বিষয়সম্পত্তি নিয়ে তার আলোচনা শুরু এবং শেষ হয়। সরল মন এতোদিন এসব না বুঝলও,সিলিভিয়া এসে সব খুটিনাটি বুঝিয়ে দিলেন তাকে।ব্যস,এরপর থেকে তাদের কথা ভাবার আগ্রহটায় হারিয়ে ফেললেন।ভাবনার মাঝে তেহভীন আকবর হাসানকে অস্পষ্ট বাংলায় ভাষায় কিছু কথাবার্তা বলতে লাগলো। মুখের গম্ভীর্য ভাবটা হঠাৎ গায়েব হয়ে গেলো উনার।এমন ভাষায় কথা বলার পর হালকা-পাতলা প্রতুত্যর পেয়ে বেশ মজা পেলেন,অবশেষে উনিও মিশে গেলেন তাদের আড্ডার মাঝে।

সুন্দর দিনের,সুন্দর মুহূর্তগুলোকে স্মৃতির কোটরে আঁটকে রেখে সকলে সেদিন রাতের ট্রেনে করে পঞ্চগড় থেকে ঢাকা ফেরার পথে রওনা দিলো। পরেরদিন ঢাকা ফিরে তেহভীন হোটেলে ফিরতে চাইলে সিলিভিয়ার মা-বাবা, ভাই-ভাবি যেতে দিলো না। তেহভীনকে সহ সাথে নিয়ে তারা নিজেদের নীড়ে ফিরে আসলো। তেহভীন সিলিভিয়াদের এলাকায় আসার পর পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেলো তার। সেদিন সিলিভিয়ার অসুস্থতার জন্য এখানেই নামিয়ে গিয়েছিলো সে যাওয়ার পথে অদ্ভুত টানটা আজও রয়েছে তার। পুরনো কথা মনে পড়তেই সিলিভিয়ার হাতটা শক্তভাবে চেপে ধরে রাখলো তেহভীন। সিলিভিয়া যেতে মৃদু হাসলো। আশেপাশের অনেক প্রতিবেশি তাদের দিকে বিমূঢ় দৃষ্টি নিক্ষিপ্ত রেখেছে সেটা সে বুঝতে পেরে শ্লেষাত্মক হাসলো। তেহভীন আশেপাশে না চেয়ে চট করে সিলিভিয়ার হাতটা তুলে ছোট করে চুমু দিয়ে ফেললো সকলের অগোচরে।

(চলবে)

এডিট করা হয়নি,টাইপ মিস্টেক থাকলে ক্ষমা করবেন।
সবাই মন্তব্য করে পাশে থাকুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here