#অনুভূতিতে_তুমি 💖
#মিমি_মুসকান
#পর্ব_২৩
“আমার মনে হয় না কাজ টা তুই ঠিক করেছিস! চৌধুরী কোম্পানিকে ৪০% শেয়ার দিয়ে আমাদের কোম্পানির আসলেই কোন লাভ হবে বলে আমার মনে হচ্ছে না।
মেহেরিন শান্ত ভাবেই নিরবের প্রত্যেকটা কথা শুনছে। নিরব দাঁড়ানো শেষে এবার তার সামনে বসে বলে,
“কি ভাবছিস এতো!
“না কিছু না, তুই বল।
“এতোক্ষণ ধরে তো বলেই যাচ্ছি আমি, কিছুই কি শুনতে পাস নি।
“পেয়েছি, তবে এটা আমার পার্সোনাল প্রোফিট ছিল।
“মেহেরিন বর্ষা খান পার্সোনাল আর প্রোফেশনাল এক করে নিচ্ছে তাহলে…
মেহেরিন তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করল নিরবের দিকে। নিরব সেই দৃষ্টি উপেক্ষা করে ফাইলের দিকে চোখ বুলাল। বলে উঠে,
“চৌধুরীদের শেয়ার দেবার পর কোম্পানিতে তাদের কোন অগ্রগতি আমার চোখে পড়ছে না।
“ক্ষতিও তো আমার চোখে পড়ছে না নিরব।
নিরব ফাইল টা নিচে রেখে মেহেরিন’র দিকে তাকিয়ে বলে উঠে,
“তোর এডভাইসার আমি! তোকে সঠিক রাস্তা দেখানো আমার দায়িত্ব।
মেহেরিন পানির গ্লাস টা উঠিয়ে নিরবের হাতে দিয়ে হেসে বলে,
“আমি জানি, নে পানি খেয়ে মাথা ঠান্ডা কর!
পানির গ্লাস টা হাতে নিয়ে ঢক ঢক করে পানি খেল নিরব। অতঃপর খালি গ্লাস টা রাখতেই মেহেরিন বলল,
“তুই আমার কলেজ লাইফের ফ্রেন্ড। আমার কোন কিছুই অজানা নয় তোর সব জানিস। বলছি না তুই ভুল বলছিস কিন্তু আমি বলবো আমি ভুল সিদ্ধান্ত নেই নি।
“নির্ঝর তোর জন্য ঠিক না।
“অর্ণবের জন্য ঠিক! নিজের টা নিয়ে এইবার নাহলে নাই ভাবলাম নিরব।
নিরব আর কিছু বলার প্রয়াস করল না। মুখটা ঘুরিয়ে নিল শুধু। দরজায় নক পড়ল। মেহেরিন অনুমতি দিতেই নির্ঝর উঁকি দিল তার কেবিনে। নিরবের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকাল। বির বির করে বলল,
“এই তো দেখছি আঠার মতো লেগেই আছে, যেখানেই যাই তখনই দেখি সাথে সাথে ঘুরে!
মেহেরিন’র ডাকে মুখ ফেরাল তার দিকে। নির্ঝর হেসে ভেতরে প্রবেশ করল। নিরবের পাশের চেয়ারে বসে বলল,
“লাঞ্চ’র টাইম হয়ে গেছে!
“আমি লাঞ্চ করে ফেলুন আমার লেট হবে
নির্ঝর ঠোঁট ভিজিয়ে বলল,
“লাঞ্চ এখানে করব না। মা ফোন করেছে, তিনি লাঞ্চ তৈরি করেছেন আমাদের জন্য। অর্ণব অপেক্ষা করছে!
মেহেরিন এবার না বলল না। কিঞ্চিত হেসে নিরবের দিকে তাকিয়ে বলল,
“যাবি আমাদের সাথে,আমার শাশুড়ি কিন্তু খুব ভালো রাঁধুনি!
নিরব উঠে চলে গেল বাইরে। নির্ঝর অবাক কন্ঠে বলে উঠে,
“কাহিনী কি হলো? যাবে ও!
“হুম যাবে..
“তাহলে এভাবে চলে গেল কেন?
মেহেরিন উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
“রেগে আছে আমার উপর তাই, চলুন!
——
নির্ঝর আজ বেশ কয়েকদিন পর নিজের আড্ডায় এসেছে। টেবিলের চারদিকে চারজন বন্ধু আজ একসাথে পুল গেইম খেলছে। নির্ঝর বিয়ারের বোতল টা মুখে দিয়ে লাঠি হাতে স্ট্রাইকে আঘাত করে যেই না বলে মা/র/তে যাবে অমনি হঠাৎ করেই একটা মেয়ে নির্ঝরের ঘাড়ে হাত রাখল। নির্ঝর সেই হাত অনুসরণ করে মেয়েটার মুখের দিকে তাকাল। নির্ঝর হেসে বলল,
“দিশা!
দিশা নির্ঝরের ঘাড়ে হাত রেখে বলল,
“হাই হ্যান্ডসাম!
পাশ থেকে হাসির শব্দ ভেসে আসছিল নির্ঝরের কানে। তাকিয়ে দেখে ফরহাদ, আরিফ আর ঈশান মুখ টিপে হাসছে। নির্ঝর তাদের দিকে রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে দিশা’র হাত সরিয়ে বলে,
“কেমন আছো?
দিশা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নির্ঝরের হাত থেকে লাঠি টা নিয়ে স্ট্রাইকে আঘাত করে বল মেরে পকেটে ফেলল। অতঃপর নির্ঝরের দিকে তাকিয়ে হেসে বলল,
“কিভাবে ভালো থাকি বলো, এতোবার মেসেজ করলাম তোমায় অথচ তুমি আমাকে রিপ্লাই দিলে না। ইগনোর করলে। Avoid করে দিলে আমাকে!
নির্ঝর হাসল কিছু বলল না। পাশ থেকে ফরহাদ বলে উঠে,
“দিশা নির্ঝর এখন মেরিড!
দিশা ভ্রু কুঁচকে নির্ঝরের দিকে তাকিয়ে বলে,
“তাতে কি? নিজের বউ কি এতো ভয় পাও তুমি যে বাকি মেয়েদের সাথে কথা বলাই অফ করে দিলে। উফ নির্ঝর কাম অন এটা তোমাকেই মানায় না!
নির্ঝর শব্দ করে হেসে শ্বাস ফেলে বলল,
“নির্ঝর এখনো বদলায় নি দিশা, ও আগে যেমন ছিল এখন’ই তাই আছে। কারো সাধ্য নেই আমাকে বদলানোর!
দিশা হেসে নির্ঝরের খুব কাছে এসে তার হাত দুটো নির্ঝরের ঘাড়ে রেখে বলল,
“আচ্ছা কথা বাড়ালাম না, চলো ডান্স করা যাক
নির্ঝর কিছু বলতে যাবে তখন’ই হুট করে ফোনটা বেজে উঠল তার। নির্ঝর ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখল অর্ণবের কল। দিশার হাত সরিয়ে নিয়ে বলল,
“আজ না দিশা আরেকদিন, আমাকে এখন যেতে হবে! ( ফরহাদ দের দিকে তাকিয়ে) বাই গাইস!
অতঃপর যেই না নির্ঝর বের হতে যাবে ওমনিই দিশা তার হাত খানা ধরে ফেলল। নির্ঝর ভ্রু কুঁচকে দিশার দিকে তাকাল। দিশা মুচকি হেসে হাত খানা বাড়িয়ে নির্ঝর কে হাগ করতে চাইলো। নির্ঝর মুচকি হেসে এক হাত দিয়ে হাগ করে বলল,
“বাই!
দিশা নির্ঝরের ঘাড়ের কাছে মুখটা নিয়ে সাদা শার্টের উপর নিজের দু খানা ঠোঁটের চুমু খেয়ে নিল নির্ঝরের অজান্তেই। অতঃপর বলে উঠল,
“বাই!
নির্ঝর চেয়ার থেকে গায়ের স্যুট টা হাতে নিয়ে ফোন টিপতে টিপতে গাড়ির কাছে চলে গেল। নির্ঝর যেতেই দিশা বাঁকা হাসি দিল।
বাড়ির কাছে গাড়ি থামিয়ে বের হতেই নিরবের গাড়ি চোখে পড়ল। নির্ঝর ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখে রাত কম হয় নি। এই ছেলেটা এখনো এখানে! নির্ঝর মুখ ভেংচি কেটে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করল। কলিং বেল বাজতেই অর্ণব বুঝতে পারল ড্যাডি এসেছে। নির্ঝর স্যুট টা সার্ভেন্ট’র হাতে দিয়ে অর্ণব কে জড়িয়ে ধরল। মেহেরিন আর নিরব বসা থেকে দাঁড়িয়ে গেল। গাঢ় লাল ঠোঁটের ছাপ আড়াল হলো না তাদের চোখ থেকে। নিরব বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে আছে সেই ঠোঁটের দিকে। সেই একই চাহনিতে মেহেরিন’র দিকে তাকাল সে। মেহেরিন’র মুখে তেমন কোন প্রভাব নেই। কিঞ্চিত হাসি রেখে নির্ঝর কে বলে উঠে,
“আগে ফ্রেশ হয়ে আসুন, ডিনার করবেন।
নির্ঝর “আচ্ছা” বলে অর্ণব কে নামিয়ে রেখে ঘরের দিকে পা বাড়াল। নিরব মেহেরিন কে কিছু বলবে তার আগেই মেহেরিন ও নির্ঝরের ঘড়ের দিকে পা বাড়াল। নির্ঝর ঘরে এসে বিছানায় বসে গায়ের শার্ট টা কয়েকটা বোতাম সবে খুলল। এর মাঝেই প্রবেশ ঘটল মেহেরিন’র। সে দাঁড়িয়ে গেল। মেহেরিন হেসে নির্ঝরের সামনে এসে দাঁড়াল। বলে উঠে,
“পরের বার থেকে এসব খেয়াল রাখবেন নির্ঝর।
নির্ঝর মেহেরিন’র কথার কিছুই বুঝতে পারল না। ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করল,
“কোনসব?
মেহেরিন নির্ঝরের হাত ধরে আয়নার সামনে দাড় করিয়ে তার ঘাড়ের শার্ট টা মুঠে করে আয়নায় দেখাল। নির্ঝর চমকে উঠল। মেহেরিন হেসে বলল,
“মনে রাখবেন, বাসায় আমার ছোট একটা ছেলে আছে। আরো অনেক সার্ভেন্ট আছে কোন ভাবে কি চাইবেন তাদের কাছে ছোট হতে।
নির্ঝর থতমত খেয়ে বলল,
“মেহু আমি সত্যি’ই জানি না এসব কিভাবে মানে..
মেহেরিন নির্ঝরের শার্ট টা ছেড়ে দিল। নির্ঝর কে থামিয়ে দিয়ে বলল,
“থামুন নির্ঝর! আমি এক্সকিউজ চাই নি। শুধু বলছি পরেরবার থেকে দেখেট শুনে আসবেন। স্বাধীনতা পেয়েছেন ঠিক, আমার পার্সোনাল লাইফে আমি আসবো না কিন্তু সেখানে আমার অর্ণব কে টেনে আনবেন না। ও ছোট, এসব বুঝবে না কিন্তু তাই বলে তার মাথা থেকে এসব নেমে যাবে না। খুব ভালোবাসে আপনাকে, ওর ছোট মনে কষ্ট দিবেন না।
বলেই হন হন করে বেরিয়ে গেল মেহেরিন। নির্ঝর রেগে মাথার চুল হাত দিয়ে এলোমেলো করে ধপাস করে নিচে বসে পড়ল। তার নিজের ও জানা নেই এটা কিভাবে হলো আর কখন হলো। রাগে শরীর কাঁপতে লাগলো তার। কিছু না করেও এসব অপবাদ মাখতে হচ্ছে। সহ্যের বাইরে হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব!
—–
খাবার শেষে নিরব কে বিদায় দিয়ে মেহেরিন অর্ণব কে নিয়ে ঘরে চলে গেল। নির্ঝরের সাথে একটা কথা অবদি বলল না সে। এদিকে নির্ঝরের খাওয়া বলতে কিছুই হয় নি। নিরব চেয়ার থেকে উঠে নির্ঝর কে বলল,
“কথা আছে তোমার সাথে, বাইরে আসো!
বলেই উঠে বাড়ির বাইরে চলে গেল। নির্ঝরও উঠে দাঁড়াল। দুই হাত প্যান্টের প্যাকেটে দিয়ে বাইরে এসে দাঁড়াল সে। নিরব গাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে আছে। নির্ঝর তার কাছে যেতেই নিরব নির্ঝরের কলার চেপে ধরে গাড়ির সাথে ঠেকাল। হুট করে এমনটা হওয়ায় নির্ঝর পিছের কাছে বেশ ব্যাথা পেল। নিরব কঠিন গলায় বলে উঠে,
“সাহস হয় কি করে তোমার এমনটা করার!
নির্ঝর একটু জোরেই হাসল। বলে উঠল,
“আমার সাহস কিন্তু মারাত্মক!
নিরব কলার আরো জোড়ে চেপে ধরে বলল,
“কি করেছ জানো? কিভাবে পারো এমন নোংরা কাজ করতে। একটুও লজ্জা করলো না তোমার!
নির্ঝর কলার থেকে নিরবের হাত সরিয়ে বলল,
“তুমি কে আমাকে বলার,কি করবো আর কি করবো না!
নিরব রেগে তাকিয়ে আছে নির্ঝরের দিকে। রাগে তার ঠোঁট দুটো কাঁপছে। দাঁতে দাঁত চেপে সজোরে একটা ঘুসি মারল নির্ঝরের মুখে। নির্ঝর সামলাতে না পেরে হুমড়ি খেয়ে নিচে লুটিয়ে পড়ল। নিরব বলে উঠে,
“বলেছিলাম তোমাকে আমি, মেহেরিন’র কে কষ্ট দিলে আমি ছেড়ে দিবো না তোমায়!
নির্ঝর নিরবের দিকে তাকাল। উঠে বসল। গালে হাত দিয়ে নিরবের দিকে তাকিয়ে বলল,
“এতো টুকু’ই জোর আছে তোমার!
নিরব রেগে নির্ঝরের কলার ধরে বলে,
“you bas/tard!
নির্ঝর হেসে বলল,
“আমি আসলেই অনেক বড় বা/স্টার্ড! পেছনে তাকিয়ে দেখো!
নিরব ভ্রু কুঁচকে পেছনে তাকিয়ে দেখল বেলকনিতে মেহেরিন দাঁড়ানো। তাকে দেখে নির্ঝরের কলার ছেড়ে দিল সে। অবাক চোখে তাকিয়ে রইল তার দিকে। নির্ঝর নিরবের কলার ধরে কানে ফিসফিসিয়ে বলল,
“বললাম না অনেক বড় বা/স্টার্ড আমি…
দাঁত বের করে হেসে দিল। মেহেরিন চলে গেল বেলকনি ছেড়ে!
নির্ঝরের ঘরে…
মেহেরিন আইস ব্যাগ নির্ঝরের গালে ধরেছে। ব্যাথাটা খুব লেগেছে। গালের একপাশ লাল হয়ে গেছে। মেহেরিন আইস ব্যাগ ছেড়ে দিতেই নির্ঝর তা নিজের গালে ধরল। মেহেরিন নির্ঝরের সামনে ঔষধ রেখে বলল,
“খেয়ে নিবেন ব্যাথা সেরে যাবে।
বলেই উঠতে যাবে তখন নির্ঝর হেসে বলল,
“তোমার বন্ধু অনেক ভালোবাসে তোমায়..
মেহেরিন শান্ত গলায় বলল,
“ভালোবাসে বলেই সে বন্ধু!
নির্ঝর মেহেরিন’র দিকে তাকিয়ে বলল,
“একটু বেশিই ভালোবাসে তোমায় নাহলে আমাকে যেভাবে শাসাল!
মেহেরিন হেসে বলল,
“তবুও যা করেছে মন থেকেই করেছে। অন্যদের মতো আমাকে দেখানোর জন্য কিছুই করে নি।
বলেই মেহেরিন বেরিয়ে যেতে নিল। দরজার কাছে আসতেই নির্ঝর বলে উঠল,
“কি বলতে চাও তুমি!
মেহেরিন নিঃশ্বাস ফেলে বলল,
“এই যে, আমাকে দেখানোর জন্য আত্নরক্ষা না করে সিমপ্যাথি পাওয়ার আশা তো করে নি।
নির্ঝর একটু জোরেই বলল,
“মেহু!
মেহেরিন মুচকি হেসে বলল,
“ভুল বলিনি, নিরব কে যেমন বুঝি আপনাকেও তেমন বুঝি!
বলেই মেহেরিন চলে গেল। রাগে নির্ঝরের শরীর জ্বলতে লাগল। হাতের আইস ব্যাগ মেঝেতে ছুড়ে ফেলে বাইরে চলে এলো সে। মেহেরিন নিজের ঘরের কাছে আসতেই নির্ঝর তার হাত টেনে ধরে দেওয়ালের সাথে মিশিয়ে নিল। হুট করেই এমন কিছু হওয়ায় মেহেরিন চমকে উঠলো। নির্ঝর রেগে তার বাহু দু খানা চেপে ধরল। মেহেরিন ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে তার দিকে। নির্ঝর তার দিকে ঝুঁকে এসে কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলল,
“এটা বলছো আমি সিমপ্যাথি পাওয়ার জন্য মার খেয়েছি, না বলতেই এসব বুঝে গেছ। অথচ আমি যে বলে যাচ্ছি সেই লিপস্টিক এর দাগ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না তা কেন বিশ্বাস করছ না।
মেহেরিন হেসে বলল,
“আমার বিশ্বাস করা না করাতে কি যায় আসে নির্ঝর! আমি বিশ্বাস করা কি খুব জরুরী?
নির্ঝরের মুখটা মলিন হয়ে গেল। ছেড়ে দিল মেহেরিন কে। মেহেরিন বলে উঠল,
“আমি সেই সম্পর্কে কোন অভিযোগ নেই। আমি আগেও বলেছি আপনার পার্সোনাল লাইফে আমি আসছি না। কিন্তু অর্ণব কে তাতে টানবেন না। যার সাথে যা ইচ্ছা করুন কিছু বলার নেই। তবে এটা খেয়াল রাখুন একজন ভালো বাবা থেকে নিজের নামটা যেনো সরাতে না হয়। আর কিছু না হোক একজন ভালো বাবা হিসেবে থাকুন। গুড নাইট! ঘুমাতে যান!
বলেই মেহেরিন চলে গেল ঘরের ভিতর। নির্ঝর সেখানে দাঁড়িয়ে রইল। মেহেরিন’র দরজা লক করার শব্দ টা তার কানে বাড়ি গেল। মাথায় অদ্ভুত রকমের যন্ত্রণা হতে লাগালো। নির্ঝর এক হাত মাথায় দিয়ে অন্যহাত দেওয়ালে আকড়ে ধরল। ঘন ঘন শ্বাস নিচ্ছে সে..
#চলবে….