শেষ রাত পর্ব-১১

0
1786

#শেষ_রাত
#পর্বঃ১১
#সাইয়ারা_হোসাইন_কায়ানাত

বিষাক্ত ভালোবাসায় নিজেকে আক্রান্ত করেছি বিগত সাড়ে তিন বছর যাবত। ধীরে ধীরে সাদাফ নামক ভালোবাসার বিষ এরকম ভয়ংকর রূপ নিবে তার ধারণা ছিল না। গল্পের এক অসহায়, আঘাতে জর্জরিত চরিত্র আমি। আর সাদাফ সেই গল্পের অদ্ভুত, ভীষণ অদ্ভুত এক উদাসীন চরিত্র। আমার প্রতিটি বিষয়ে হিমালয় সমান তার উদাসীনতা। যখন দেখতে চেয়েছি তখন দূরে সরে গেছে। যখন কথা বলতে চেয়েছি তখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। ভালোবাসতে চেয়েছি সে এক আকাশ অভিমান ফিরিয়ে দিয়েছে। মানুষ ভালোবেসে কাছে আসতে চায়। অথচ সাদাফ দূর থেকে ভালোবাসা অনুভব করতে চায়। দূর থেকেই ভালোবাসার গভীরতা বাড়াতে চায়। ভালোবাসা হয় আনন্দ আর সুখের এক রঙিন অনুভূতি। তবে সাদাফের ভালোবাসা কষ্টের, অপেক্ষার, অভিমানের ধূসর রঙের অনুভূতি। এটা কি আধো ভালোবাসা ছিল? নাকি ভালোবাসা নামক বিষ ছিল। যে বিষ গ্রহণে শুধু এবং শুধুই যন্ত্রণা হয়। মরণ যন্ত্রণা। মনের অসুখ আর ক্ষত বিক্ষত হৃদয়ের মতোই দূর্বল হয়ে পরেছে আমার বলহীন দেহ। পালা দিয়ে বেড়েই চলছে দেহের তাপমাত্রা। চোখ দুটো জ্বলন্ত লাভার রূপ নিলো। ঠোঁট শুকিয়ে কাঠ হলো। জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে হাত কপালে রাখলাম। বুঝলাম জ্বর খুব ভালো গতিতে বেড়ে যাচ্ছে।

‘সরি সরি একটু দেরি হয়ে গেল। আব্বুর সাথে অফিসের কাজ নিয়ে কথা বলছিলাম। সময়ের খেয়াল করিনি।’

আমি দাঁড়িয়ে থেকেই পিটপিট করে ধ্রুব দিকে চাইলাম। তিনি একনাগাড়ে কথা গুলো বলেই বিছানায় গাঁ এলিয়ে দিলেন। আমার দিকে তাকিয়ে অনুরোধের ভঙ্গিতে বললেন-

‘আমার ফোনটা দেখেছেন তুলতুলের আম্মু? কোথায় যেন রেখেছি মনে নেই। একটু কষ্ট করে খুঁজে দিবেন প্লিজ! আমার শরীর খুব ক্লান্ত লাগছে তাই আপনাকে বলছি।’

শুকিয়ে কাঠ কাঠ হয়ে যাওয়া গলা দিয়ে আমি ক্ষীন স্বরে বললাম-

‘হুম দিচ্ছি।’

ধ্রুব খুশি হলেন। ঠোঁটের কোণে তৃপ্তিময় হাসির রেখা আরেকটু প্রসারিত হলো৷ খানিকক্ষণের জন্য শারীরিক যন্ত্রণা ভুলে বলহীন শরীর নিয়েই এগিয়ে গেলাম ড্রেসিং টেবিলের দিকে। অফিস থেকে এসেই এখানে ফোন রেখেছেন। আর এখনই না-কি ভুলে গেছেন। কি অদ্ভুত! চোখের সামনেই তো ফোন। তবুই পাচ্ছে না এটা কেমন কথা! আমি ফোন নিয়ে ধ্রুরব কাছে আসতেই মাথা ঘুরে উঠলো। ঝিম ধরে গেল মাথা। চোখের সামনের পুরো দুনিয়াটাই যেন অন্ধকার হয়ে গেল। দাঁড়িয়ে থাকার আর কোনো শক্তি পেলাম না। তাল হারিয়ে ঢলে পরলাম ধ্রুব উপর। মিনিট খানেক ধ্রুবর বুকে ঝিম মে’রে পরে রইলাম। খানিকক্ষণ পর ধ্রুবর বুকে হাতের ভর দিয়ে মাথা তুলে তাকাই। ধ্রুবর ঝাপসা মুখের দিকে স্থির চেয়ে রইলাম। চোখদুটো ভয়ংকর রকম জ্বালা করছে। জ্বরে তীব্র উত্তাপ যেন চোখ দিয়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে।

”Is it comfortable lying there?

ধ্রুবর কথায় আমার উত্তপ্ত চোখজোড়া বিস্ময়ে গোলাকৃতি হলো। ড্যাবড্যাব করেই চেয়ে রইলাম ধ্রুবর ভ্রু কুচকানো মুখের দিকে। আমাকে নড়তে না দেখে ধ্রুব তার আঙুল দিয়ে আমার ডান গালে পর পর দু’বার গুতো দিলেন। হাহাকার ধ্বনিতে বললেন-

‘আমার পারসোনাল বুক থেকে উঠুন না প্লিজ!’

আমি ফুস করেই তপ্ত শ্বাস ফেললাম। ওনার বুকে দু’হাতের ভর দিয়ে উঠে যেতে চাইলাম। তার আগেই ধ্রুব তার দু’হাতে আমার গাল চেপে ধরে বাধা দিলেন। ওনার বুকের উপর থেকে আমার ডান হাত নিয়ে নিজের গালে রাখলেন। সাথে সাথেই চমকে উঠলেন তিনি। অবাক কন্ঠে বললেন-

‘আপনার হাত এত গরম কেন? দেখি তো কপাল দেখি।’

ধ্রুব উত্তেজিত হয়েই আমার কপালে হাত রাখলেন। ধ্রুব চমকালেন আমার শরীরের তাপমাত্রা দেখে। আর আমি শিউরে উঠলাম ওনার ঠান্ডা হাতের স্পর্শ পেয়ে। ধ্রুব দ্রুত আমাকে তার জায়গায় শুয়িয়ে দিয়ে তিনি আমার নিচ থেকে উঠে বসলেন। অস্থির হয়ে বললেন-

‘আপনার এত জ্বর আর আপনি চুপচাপ বসে আছেন কেন? আমাকে বলেন নি কেন?

আমি কোনো জবাব দিতে পারলাম না। তার আগেই ধ্রুব অপরাধীর ন্যায় গলারস্বর নামিয়ে বললেন-

‘আমার ভুলের জন্যই এমন হয়েছে। আমি আপনাকে নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজেছি বলেই এমনটা হলো।’

আমি নেড়েচেড়ে উঠে বসতে চাইলাম। কিন্তু শরীরে সেই শক্তিটুকু পেলাম না। ক্লান্ত শরীরের পুরোপুরি ভর ছেড়ে দিলাম বিছানায়। অস্ফুটস্বরে বললাম-

‘আপনার কোনো দোষ নেই। বাসায় ফিরে একটু বেশি সময় নিয়ে গোসল করেছিলাম। এই জন্যই হয়তো জ্বর এসেছে।’

আমার কথা শুনে ধ্রুব তীক্ষ্ণ চোখে কিছুক্ষন চেয়ে রইলেন আমার দিকে। ফুস করে একটা শ্বাস ফেলে বিছানা থেকে উঠতে উঠতে কড়া গলায় বললেন-

‘ইচ্ছে করছে এক চড় দিয়ে মাথা থেকে সব ভূত বের করি। কিন্তু আফসোস সব ইচ্ছে পূরণ করতে নেই।’

আমি চেতন আর অচেতনের মাঝামাঝি অবস্থান নিয়ে শুয়ে রইলাম। আশেপাশে কি হচ্ছে না হচ্ছে কিছুই চোখ মেলে দেখার সুযোগ হলো না। মুখ ফুটে কিছু বলার শক্তি বোধ হলো না। তবে ধ্রুবর কথা গুলো শুনতে পেলাম স্পষ্ট। শেষ রাতে কেউ তো একজন বুঝতে পারলো আমার পরিস্থিতি। আমার কষ্ট, বিচ্ছেদের ব্যথা। অবশেষে কেউ তো একজন শাসন করছে আমার পাগলামিতে। কেন এতদিন কেউ খেয়াল করলো না আমাকে? কেন কেউ বুঝতে পারলো আমার ভালোবাসা হারানোর কষ্ট? কেন সবার সামনে আমাকে ভালো থাকার অভিনয় করে যেতে হলো? অবচেতন মনে আরও কত কত প্রশ্ন উঁকি দিল। মনে মনেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে আওড়াতে লাগলাম। কিন্তু কোনো জবাব পেলাম না। মিনিট খানেক পরেই কপালে ঠান্ডা কিছু অনুভব করলাম। ধ্রুব জলপট্টি দিয়ে দিচ্ছেন। আমার উত্তপ্ত মাথায় চলছে তার শীতল হাতের বিচরণ। মনে মনে কিছুটা অপরাধবোধ কাজ করলো। একটু আগেই ধ্রুব বললেন তার ক্লান্ত লাগছে। এখন আবার আমার জন্য এতটা অস্থির হয়ে পরেছেন।

তীব্র শীতল বাতাসের স্পর্শে ঘুমের মধ্যেই কেঁপে উঠছে আমার শরীর। কপাল কুচকে পিটপিট করে চোখ মেলে তাকাই। চোখ খোলা মাত্রই জানালার দিকে নজর গেল। বাতাসের ঝাপটায় জানালার পর্দা গুলো হেলেদুলে উড়ছে। ঘুম জড়ানো ঝাপসা চোখে দেয়ালের ঘড়িটা স্পষ্ট দেখা হলো না। শরীর থেকে কম্বল সড়ে গেছে বলেই শীত করছে। ঘাড় বাঁকিয়ে পাশে তাকাতেই ধ্রুবর ঘুমন্ত মুখে দৃষ্টি আটকালো। আমার মাথার নিচেই তার বা হাত বন্দী। আমার ক্লান্ত মস্তিষ্কে কিছুই ডুকলো না। জ্বরের ঘোরে কখন ওনার হাতে মাথা রেখে শুয়েছি তার বিন্দুমাত্র হদিস পেলাম না। আমি খুব সাবধানে ওনার হাত থেকে মাথা সরিয়ে নিতে চাইলাম। তার আগেই ধ্রুব নেড়েচেড়ে উঠলো। চোখ বন্ধ রেখেই ডান হাত দিয়ে কম্বল টেনে আমার গলা পর্যন্ত ঢেকে দিলো। কম্বলের উপরে আমার পেটের উপরে হাত রেখে ঘুম পারানোর মতো করে ওঠানামা করতে লাগলেন। আমি ঘুম জড়ানো চোখে স্থির তাকিয়ে রইলাম। ওনার কর্মকাণ্ড বোঝার চেষ্টা করলাম। উনি কি আমাকে তুলতুল মনে করছেন? তুলতুলকে ঘুম পাড়াতে পাড়াতেই কি তার এমন অভ্যাস হয়েছে? আরও নানান কথা ভাবতে ভাবতেই আবারও গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম।

‘তুলতুল পাখি মাম্মা অসুস্থ। মাম্মাকে কষ্ট দেয় না ঠিক আছে!’

ধ্রুবর কন্ঠস্বর আর তুলতুলের স্পর্শে আমার ঘুম ভাঙলো। সেই সাথে তুলতুলের মাথাটাও বুঝি আমার গলার দিকে আসলো। মোচড়ামুচড়ি করছে আমার গাঁয়ে গাঁ মিলিয়ে। খুব সম্ভবত মেয়েটা চাইছে আমি তাকে জড়িয়ে ধরি।

‘চুপচাপ শুয়ে থাকো তুলতুল পাখি। তুমি না ভালো মেয়ে একদম তোমার মাম্মার মতো! তাহলে পঁচা কাজ কেন করছো! নাড়াচাড়া করে না তুলতুল। তোমার মাম্মা ব্যাথা পেলে তোমাকে কিন্তু আর তার কাছে আসতে দিবো না।’

আমি এবার চোখ মেললাম। তুলতুলকে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে মাথা হাত বুলিয়ে দিলাম। তুলতুল খুশি হয়ে আমার বুকে মুখ গুজিয়ে চুপচাপ শুয়ে রইলো। আমি ধ্রুবর দিকে চোখে ছোট ছোট করে সরু দৃষ্টিতে চাইলাম। ক্লান্ত গলায় বললাম-

‘মেয়েকে বকা দিচ্ছেন কেন?’

আমার কথায় ধ্রুব ভীষণ অবাক হয়ে বললেন-

‘বকা কখন দিলাম? আমি ওকে বুঝিয়ে বলছিলাম।’

‘এইটুকু বয়সে মেয়েটা কি বুঝবে আপনার কথা? আর আপনি আমার কাছে ওকে আসতে দিবেন না বলেই তো হুমকি দিলেন। আবার বলছেন বকা দেননি।’

আমি ওনার দিকে ভ্রু জোড়া ঈষৎ উঁচু তাকাতেই ধ্রুব হতাশ নিঃশ্বাস ফেললেন। কন্ঠে উদাসীন ভাব এনে বললেন-

‘মা-মেয়ে মিলে আমার বিরুদ্ধে দল বানিয়েছেন তাই তো! সমস্যা নেই সবাই-ই তো আপনার দলেই আরেকটা বাবু হলে ওকে আমার পক্ষে করে নিব। তখন আমার দলও ভারি…’

ধ্রুব কথার মাঝেই থেমে গেলেন। আমি বিস্মিত হয়ে ওনার কথার ভাবার্থ বোঝার চেষ্টা করলাম। ধ্রুব থতমত খেয়ে অপ্রস্তুত গলায় বললেন-

‘আমি অফিস যাচ্ছি। আম্মুকে বলে রেখেছি আপনার খেয়াল রাখবে। আর হ্যাঁ আগামী দু’দিন আপনার ভার্সিটিতে যাওয়া নিষেধ।’

ধ্রুব হড়বড়িয়ে আলমারি থেকে জামা কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলেন। ভীষণ হাতাশায় আমার মুখ চিমসে গেল। সামান্য জ্বরের জন্য দু’দিন ভার্সিটিতে যাওয়া নিষেধ এটা কেমন কথা! আহামরি কিছু তো আর হয় নি। সামান্য একটু জ্বর।

‘ভাবি! আবারও আসলাম ডাকপিয়নের দায়িত্ব পালন করতে। কি খবর আপনার ভাবি? কেমন আছেন?’

রাফিন ভাইয়ের কথা শুনে বিরক্তিতে ভাঁজ পরলো দুই ভ্রুর সংযোগ স্থলে। গম্ভীরমুখে কিছুক্ষণ চেয়ে থাকলাম জানালার অপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা রাফিন ভাইয়ের দিকে। মুখ ঘুরিয়ে পাশে বসে থাকা সানির দিকে চেয়ে ভারি কণ্ঠে বললাম-

‘সানি তুই ক্লাস কর। আমি এখন যাই। একটু পরেই তোর দুলাভাই আমাকে নিতে আসবে।’

সানির প্রতিত্তোরে অপেক্ষা না করেই আমি গাম্ভীর্যের সঙ্গে পা ফেলে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেলাম। দরজার কাছে আসতেই রাফিন ভাই অবাক হয়ে বললেন-

‘দুলাভাই নিতে আসবে মানে কি ভাবি? আপনি কিভাবে জানলেন?’

‘কি জানার কথা বলছেন?’

আমার পালটা প্রশ্নে রাফিন ভাই মিইয়ে গেলেন। আমি বিরক্তি ভাব নিয়েই ঘড়িতে টাইম দেখলাম। একদিন পর ভার্সিটিতে এসেছি। কিছুদিন পরেই এক্সাম তাই ক্লাস মিস দিতে চাইনি। ধ্রুবকে খুব করে রিকুয়েষ্ট করার পর তিনি রাজি হয়েছেন। তবে তার একটাই শর্ত। অসুস্থ শরীর নিয়ে আজ সব ক্লাস করা যাবে না। তিনটা ক্লাস করেই ওনার সাথে বাসায় ফিরতে হবে। বাধ্য হয়েই ওনার শর্ত মেনে নিয়েছিলাম।

‘ভাবি এই যে এটা আপনার জন্য। সাদাফ পাঠিয়েছে।’

আবারও চিঠি তবে এবার নীল রঙের। আমি হাত বাড়িয়ে চিঠিটা নিতেই রাফিন ভাই তাড়াহুড়ো করে বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। আমি ভাবলেশহীন ভঙ্গিতে মাঠের অন্য পাশে এশে একটু বসলাম। ধ্রুবর আসতে আরও অনেকটা সময় আছে৷ তাই দীর্ঘশ্বাস ফেলে চিঠি খুললাম।

অনুপাখি,

তোমার বাউন্ডুলে প্রেমিকের উড়নচণ্ডী স্বভাবকে পরিবর্তন করার সময় এসেছে অনুপাখি। আমার ভালোবাসায় তোমার অভিমানকে ভেঙে গুরিয়ে দেওয়ার সুযোগ এসেছে। সময় এসেছে তোমার চোখের জল শুষে নেওয়ার। ভালোবাসা এবার রঙিন হবে। তোমার অপেক্ষার আবাসন ঘটবে। সকল দূরত্ব ঘুচে যাবে। আমার তৃষ্ণার্ত চোখ দুটো এবার তোমাকে বউ সাজে দেখে নিজের তৃষ্ণা মেটাবে। মুছে দিবো আমি তোমার মনে থাকা সকল কষ্ট। তৈরি তো তুমি তোমার ইচ্ছে আর চাওয়া-পাওয়া পূরণ করতে?

ইতি,
তোমার বাউন্ডুলে প্রেমিক

চিঠি পড়া শেষ হতেই ফুস করে একটা তপ্ত শ্বাস ফেললাম। অলস ভঙ্গিতে চিঠি ভাঁজ করে ব্যাগে রেখে দিলাম। খুব করে চেষ্টা করলাম এসব নিয়ে না ভাবতে। চিঠির কথা গুলো মস্তিষ্ক থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করলাম। মন খারাপ করবো না। কিছুতেই না। কান্নাও করবো না আমি। ব্যাগ থেকে ফোন বের করে তুলতুলের ছবি দেখতে লাগলাম। মেয়েটার মুখ দেখেই মনে প্রশান্তির হাওয়া বয়ে গেল। বিচ্ছেদের দাহনে পুড়তে থাকা হৃদয়টা হঠাৎ করে শীতল হয়ে গেল। ভালো লাগায় ছেয়ে গেল চারপাশ।

‘অনুপাখি!!’

চিরচেনা সেই পুরনো কন্ঠস্বর শুনেই বুকটা ধক করে উঠলো। হাতুড়ি পেটার মতো ধুপধাপ করে লাফাতে লাগলো হৃদয়। ফোন থেকে দৃষ্টি তুলে সামনে তাকাতেই থমকে গেলাম আমি।

চলবে…

[ঈদের দিনে অনেকেই ব্যস্ত ছিল তাই গতকাল গল দেইনি। তবে আজ অনেক বড় পর্ব দিয়ে দিলাম। সবাই রেসপন্স করবেন আর কেমন হয়েছে তা জানাবেন। ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা।❤️❤️]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here