শেষ রাত পর্ব-১২

0
1901

#শেষ_রাত
#পর্বঃ১২
#সাইয়ারা_হোসাইন_কায়ানাত

‘অনুপাখি শুনছো! ভালোবাসি।’

অসময়ে কাঙ্ক্ষিত এই কথাটা শোনা মাত্রই খাঁ খাঁ করে উঠলো কান দুটো। যেন জ্বলন্তআগুনের শিখা ঢেলে দিয়েছে কান দু’টোতে। মূর্তির ন্যায় স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। নোনাজলের স্রোতে ঝাপসা হয়ে আসা দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম সামনের মানুষটার দিকে। ঠোঁটের কোণে মনকাড়া হাসির রেখা টেনে দাঁড়িয়ে আছে সাদাফ। চোখদুটোতে তার অসীম মুগ্ধতা। হাসি মুখে এগিয়ে এলো সে। আমাকে নিরুত্তর নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে খানিকটা ঝুঁকে মুখোমুখি হলো। আমার ডান গালে হাল্কা টান দিয়ে অত্যন্ত নরম গলায় বলল-

‘কি হলো অনুপাখি? বিশ্বাস হচ্ছে না আমি এসেছি!’

সাদাফের স্পর্শে পুরো শরীর অস্বাভাবিক ভাবে কেঁপে উঠলো। তার ছোঁয়া কাঁটার মতো বিঁধলো গায়ে। মস্তিষ্কের পুরোটা জায়গায় এলোমেলো হয়ে ছুটতে লাগলো একটাই কথা। আমাকে স্পর্শ করা তার উচিত হয়নি। মোটেও উচিত হয়নি। অনুচিত ভীষণ অনুচিত এই স্পর্শ। আমি ধ্রুব স্ত্রী। ধ্রুব হাসানের স্ত্রী আমি। আমাকে স্পর্শ করার অধিকার সাদাফের নেই। একদমই নেই।

‘এই যে কোথায় হারিয়ে গেলে?’

সাদাফ আবারও গালে টান দিয়ে ভ্রু নাচিয়ে প্রশ্ন করে। সাদাফের কন্ঠে আমার হুশ ফিরলো। সচল হলো আমার মস্তিষ্ক। তৎক্ষনাৎ সাদাফের হাত এক ঝাটকায় সরিয়ে দিয়ে দু এক পা পিছিয়ে গেলাম। তীক্ষ্ণ চোখে তাকালাম তার দিকে। আকাশসম অভিমান আর রাগের নিচে চাপা পরে গেল আমার কন্ঠস্বর। এতদিন ধরে জমিয়ে রাখা সকল কথা হঠাৎ করেই যেন স্মৃতির পাতা থেকে মুছে গেল৷ ভুলে গেলাম আমি সব কিছু।
সাদাফ দু’হাত উঁচু করে রসিকতার ভঙ্গিতে বলল-

‘ওকে ধরবো না তোমার গাল৷ রাগে তো দেখছি একদম আইটেম বোম হয়েছে আছো। একটা প্রবাদ শুনেছো নিশ্চয়ই- যাহার মস্তিষ্কে রাগের পাহাড়, তাহার মস্তিষ্কে’ই ভালোবাসার শৃঙ্গ। তবে যাইহোক রাগলে তোমাকে ভীষণ কিউট লাগে। বিশেষ করে তোমার টমেটোর মতো গাল গুলো।’

আমি এবারও চুপ করে রইলাম। সাদাফকে বলার মতো কোনো কথা খুঁজে পেলাম না। মস্তিষ্কে ঘুরছে হাজারো কথা তবে সব কিছুই এলোমেলো। দলা পাকানো।
সাদাফ হাত নামিয়ে পকেটে গুঁজে দিলো। নিখুঁত চোখে আমার দিকে চেয়ে রইলো কিছুক্ষন। কন্ঠে কিঞ্চিৎ বিস্ময় নিয়ে বলল-

‘কি ব্যাপার! তোমাকে আজ একটু ভিন্ন লাগছে। একটু ভিন্নরকম সুন্দর লাগছে। আগের থেকেও যেন দ্বিগুণ সুন্দর হয়ে গেছো। তবে শুকিয়ে গেছো অনেকটা। চোখের নিচে কালিও পরেছে। আচ্ছা তুমি কি অসুস্থ! ঠোঁট গুলো কেমন ফ্যাকাসে শুকনো লাগছে। তোমাকে দেখেই কেমন জ্বর জ্বর ভাব লাগছে। জ্বর এসেছিলো না-কি? আমি কি তোমার কপালে হাত রাখতে পারি অনুপাখি!’

সাদাফের কথায় তিক্ততায় থিতিয়ে গেল মন। বিস্মিত হলাম বেশ খানিকটা। সামান্য একটু সময়েই সব কিছু এতটা নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ কীভাবে করলো সাদাফ! আগেও কি এভাবেই সব কিছু খেয়াল করেছিলো? মনে পরছে না। হাতে চেপে রাখা ফোনটা তীক্ষ্ণ সুরে বেজে উঠল। ব্যাঘাত ঘটালো আমার ভাবনায়। ফোনটা চোখের সামনে তুলে আনতেই কিছুক্ষনের জন্য থমকে গেলাম। চোখজোড়া স্থির হলো ফোনের স্কিনে ভেসে ওঠা ‘তুলতুলের আব্বু’ লেখাটার দিকে। নির্জীবের মতোই আমি ফোন রিসিভ করে কানের কাছে ধরলাম। সঙ্গে সঙ্গেই ধ্রুবর নির্লিপ্ত কন্ঠেস্বর শোনা গেল।

‘তুলতুলের আম্মু! আমি গেইটের কাছে গাড়িতে আপনার জন্য অপেক্ষা করছি। তাড়াতাড়ি চলে আসুন।’

আমার গলার স্বর ফুটলো। অস্ফুটস্বরে ছোট্ট করে বললাম-

‘হুম আমি আসছি।’

ফোনে রেখে দেওয়া মাত্রই সাদাফ মন খারাপ করে উদাসীন গলায় বলল-

‘চলে যাবে? আর কিছুক্ষণ থাকলে হয়না আনুপাখি? আমার সাথে তো একটুও কথা বললে না। ভালোবাসি বললাম তা-ও কিছু বললে না। এত অভিমান কেন তোমার? আরও সময় লাগবে অভিমান ভাঙতে!’

আমি নিজেকে যথাসাধ্য গম্ভীর করে নিলাম। ফোনটা ব্যাগে রেখে ভারি কন্ঠে বললাম-

‘আমি তোমাকে জাস্ট একটা কথাই বলবো সাদাফ। আমার বিয়ে হয়ে গেছে। তুমি আর আমার কাছে আর এসো না।’

কথাটা বলে আর এক মুহুর্ত অপেক্ষা করলাম। বোঝার চেষ্টা করলাম না সাদাফের ভাবভঙ্গি। আশেপাশের সব কিছু উপক্ষা করে নির্বিকার ভঙ্গিতে হেঁটে চললাম আমার সঠিক গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। ভার্সিটি থেকে বের হতেই রাস্তায় ডান পাশে গাড়ি দাঁড় করানো দেখলাম। ধ্রুব আমাকে দেখামাত্রই জানালা দিয়ে হাত বের করে নাড়লেন। আমি এগিয়ে গেলাম। গাড়ির কাছে এসেই নিঃশব্দে সামনের সিটে বসলাম। ধ্রুব আমার দিকে ঝুঁকে এলেন। ব্যস্ত ভঙ্গিতে আমার কপালে হাত রেখে জিজ্ঞেস করলেন-

‘জ্বর আছে এখনো!’

আমি বরাবরের মতোই তার স্পর্শ পেয়ে স্তব্ধ হয়ে রইলাম। পরমুহূর্তেই নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে ইতস্তত করে বললাম-

‘আমি ঠিক আছি। এখন জ্বর নেই।’

‘জ্বর নেই তাহলে মুখ এমন ফ্যাকাসে বিবর্ণ হয়ে আছে কেন?’

ধ্রুবর প্রশ্নে আমি নিরুত্তর হতাশ মুখ নিয়ে বসে রইলাম। আমার মনে হলো ধ্রুব বুঝবে আমার পরিস্থিতি। আমার নিশ্চুপ থাকার কারণ। ঠিক তাই হলো। ধ্রুব আর কোনো কথা বাড়ালো না। সে হয়তো বুঝেছে এই নিয়ে কোনো প্রশ্ন করা ঠিক হবে না। আমাকে চুপ থাকতে দেওয়াই এখন শ্রেয়। মানুষটা সব কিছুই বুঝতে পারে। সব কিছুরই খেয়াল রাখে সে।

বাসার সামনে এসে গাড়ি থেকে নামতেই ধ্রুব গম্ভীর কণ্ঠে বললেন-

‘জ্বর কমেছে। আবার যেন ঘাড়ে ভূত চেপে না বসে। তাহলে এবার সত্যি সত্যিই চড় দিয়ে সেই ভূত নামাবো।’

ধ্রুব আমার কোনো কথার অপেক্ষা না করেই গাড়ি নিয়ে চলে গেলেন। আমি স্থির চেয়ে রইলাম তার যাওয়ার পথে। ওনার কথার মানে কি হুমকি ছিল না-কি কেয়ার! ঠিক বুঝতে পারলাম না। ছোট্ট করে একটা তপ্ত শ্বাস ফেলে বাসায় চলে আসলাম। রুমে ব্যাগ রেখেই চলে গেলাম মনি মা’র রুমে। মাত্রই ওয়াশরুম থেকে বের হলেন তুলতুলকে কোলে নিয়ে। আমাকে দেখেই মনি মা ক্লান্তিমাখা স্বরে বললেন-

‘অনু তুই কি কাল আমার সাথে একটু মার্কেটে যেতে পারবি? ইদানিং প্রচন্ড গরম পরেছে তুলতুলের জন্য হাল্কা পাতলা কিছু জামা কিনতে হবে। ওরা বাপ ছেলে নাকি কাল অফিসের কাজে খুব বিজি থাকবে। সময় হবে না ওনাদের।’

আমি বিছানায় বসে তুলতুলের ভেজা শরীর মুছতে মুছতে বললাম-

‘এ নিয়ে তুমি চিন্তা করো না মনি মা। কাল কখন যাবে আমাকে বলে দিও আমি রেডি হয়ে থাকবো।’

রাত প্রায় দশটা। বারান্দার আবছায়া আলোয় দাঁড়িয়ে আছি। এলোমেলো একটা মস্তিষ্ক আর বিষন্নতায় ঘেরা মন নিয়ে। ধ্রুব রুমে ল্যাপটপ নিয়ে ব্যস্ত। তুলতুল মেয়েটাও ঘুমিয়ে পরেছে। মেয়েটা ঘুমিয়ে থাকলেই সব ফাঁকা ফাঁকা লাগে। মস্তিষ্কে তখন হানা দেয় পুরনো সব কথা। বিষাদে ছেয়ে যায় চারপাশ। সব কিছুতেই তখন থাকে বিষন্নতা।

‘নিন’

আমি ঘাড় বাঁকিয়ে পাশে তাকাতেই ধ্রুব আমার দিকে কফির মগ বাড়িয়ে দিলেন। আমি মলিন হেসে কফির মগ হাতে নিলাম। আবারও দৃষ্টি দিলাম অন্ধকারাচ্ছন্ন আকাশের দিকে। নিরবতায় কেটে গেল মিনিট পাঁচেক সময়। নিস্তব্ধতা ভেঙে ধ্রুব স্বাভাবিক ভাবে বললেন-

‘আপনাকে একটা প্রশ্ন করেছিলাম কিন্তু সেদিন উত্তর পাইনি।’

আমি জিজ্ঞাসুক দৃষ্টি ধ্রুবর দিকে চাইলাম। ধ্রুব বুঝলেন আমার দৃষ্টির মানে আমার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে বললেন-

‘আপনার প্রাক্তন এসে সব কিছু ঠিক করে দিলে কি আপনি তার কাছে ফিরে যাবেন?’

তপ্ত শ্বাস ফেললাম। কফির মগে শেষ চুমুক দিয়ে বাকিটুকু রেখে দিলাম টেবিলের উপরে। আবারও বারান্দার রেলিঙের হাত দিয়ে দাঁড়ালাম। ডান পাশের বেলি গাছটায় দৃষ্টি স্থির করে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম-

‘আপনার এই বেলি গাছ গুলোতে একদিনও ফুল ফুটতে দেখলাম না। কিন্তু কেন?’

ধ্রুব আমার দিকে ঘুরে দাঁড়ালেন। হাল্কা হেসে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলল-

‘যত্ন করা হয়নি তাই। এবাসায় শিফট করার পর নানান কাজ আর বিয়ে নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম সবাই। একারণেই আর গাছের সঠিক যত্ন নেওয়া হয়নি। তবে এখন যেহেতু আপনি আছেন তাই আমার বেলি গাছের দায়িত্ব এখন থেকে আপনার।’

আমি ধ্রুব কথার প্রতিত্তোরে মৃদু হাসলাম। আবারও দু’জনই ডুব দিলাম নিরবতার অতলে গহ্বরে। এভাবেই হয়তো শেষ হবে আমাদের রাত। অনুভূতিহীন, ভালোবাসাহীন রাত।

মার্কেটে মানুষের ভীড় আর হৈচৈয়ে অস্থির হয়ে তুলতুল কেঁদেকেটে অস্থির করে ফেলছে। হেঁচকি তুলে দম আটকানো কান্না। কোনো কিছুতেই তার কান্না থামানো যাচ্ছে না। মনি মা এক পর্যায়ে হাল ছেড়ে দিলেন। তুলতুলকে আমার কোলে দিয়ে ক্লান্ত ভঙ্গিতে বললেন-

‘মা তুই যা তো ওকে নিয়ে একটু বাইরে থেকে ঘুরে আয়। আমি কেনাকাটা শেষ করে তোকে ফোন দিবো।’

আমি মাথা নাড়িয়ে বেরিয়ে আসলাম। মার্কেটের বাহিরের ফাঁকা জায়গা তুলতুলকে নিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতেই তুলতুল থেমে গেল। ক্লান্ত হয়ে ঘাড় কাঁত করে শুইয়ে রইলো আমার কোলে। একটু পর পর বড় বড় শ্বাস নিচ্ছে। আমি ওর পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে পায়চারি করছি। সূর্য ঢলে পরছে পশ্চিম আকাশে। রক্তিম বর্ণে রঙিন হচ্ছে পশ্চিমাকাশ।

‘এখানে কি করছো অনুপাখি?’

সাদাফের কন্ঠ শুন্স চমকে পাশ ফিরে চাইলাম। আশ্চর্য যার মুখোমুখি হতে চাচ্ছি না বার বার তার কাছে এসেই কেন ধরা দিতে হয়! এসব কি কাকতালীয় ব্যাপার? নাকি অন্য কিছু!

‘কি হলো এভাবে ভূত দেখার মতো চোখ বড় বড় তাকিয়ে আছো কেন?’

আমি অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বললাম-

‘তুমি এখানে কি করছো?’

‘একটু কেনাকাটা করতে এসেছিলাম। এই কিউটিপাই-টা কে?’

সাদাফ আমার দিকে এগিয়ে এসেই তুলতুলের গালে টান দিল। তুলতুল মাথা তুলে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে রইলো সাদাফের দিকে। সাদাফ মুখের নানান রকম ভঙ্গিমা করে তুলতুলকে হাসানোর চেষ্টা করছে। তার চেষ্টা সফল হলো। তুলতুল খিলখিল করে হেসে উঠলো সাদাফের দিকে চেয়ে। সাদাফ আমার দিকে চেয়ে মিষ্টি করে বলল-

‘বিয়ের পর আমাদের বাবুও এমন হবে দেখে নিও। একদম তোমার মতো কিউটিপাই।’

আমি চোখমুখ কঠিন করে শক্ত গলায় বললাম-

‘আমাদের বিয়ে হবে না সাদাফ। আমার বিয়ে হয়ে গেছে। আর তুলতুল আমার মেয়ে।’

সাদাফ ঝংকার তুলে হেসে উঠলো। হাসতে হাসতে তার মুখ আর কান দুটো লাল হয়ে আসলো। কোনো রকম হাসি থামিয়ে এক প্রকার জোর করেই তুলতুলকে আমার কাছ থেকে নিয়ে নেয়। তুলতুলের গালে শব্দ করে কয়েকটা চুমু খেয়ে বলল-

‘এই কিউটিপাইয়ের নাম তাহলে তুলতুল? নামটাও একদম ওর মতোই কিউট। আর হ্যাঁ কি যেন বললে ও তোমার মেয়ে? যদিও তোমার মতোই দেখা যায় তবে এটা আরেকটু বিশ্বাসযোগ্য মনে হতো যদি আমি কয়েক বছরের জন্য বিদেশ যাত্রা করে ফিরতাম তাহলে।’

‘আমার বিয়ে হয়ে গেছে সাদাফ। কেন বিশ্বাস করছো না?’

আমি দাঁতে দাঁত চেপে শক্ত গলায় বললাম। সাদাফ ঠোঁট চেপে হাসি থামানোর চেষ্টা করছে। আমার রাগ দেখে যেন ভীষণ মজা পাচ্ছে সে। সাদাফের হাসি থেকে তরতর করেই আমার মাথায় রাগ উঠে গেল। আমি আবারও রাগান্বিত কন্ঠে বললাম-

‘হাসি বন্ধ করো সাদাফ। আমার কথা তোমার হাসির মনে হচ্ছে? আমি কি কৌতুক করছি তোমার সাথে?’

সাদাফ হাসি থামলো। ঠোঁটে চাপা হাসি নিয়ে বলল-

‘আচ্ছা আচ্ছা মানলাম তোমার বিয়ে হয়েছে। এটা তোমার মেয়ে। আর তোমার স্বামী। চলো এবার বাসায় যাই।’

কথাটা বলেই সাদাফ আবারও হাসা শুরু করলো। আমি জ্বলন্ত চোখে সাদাফের হাসি মুখের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলাম। আচমকাই আমার ফোন ভেজে উঠলো। আমি তুলতুলকে সাদাফের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে হাঁটা শুরু করলাম। পেছন থেকে সাদাফ হাসতে হাসতে বলল-

‘আমি, তুমি আর তুলতুলকে নিয়ে আমাদেরও সুখের সংসার হবে অনুপাখি। খুব শীগ্রই হবে।’

চলবে…

[বিঃদ্রঃ আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত এবারের গল্পে এত অনিয়ম করার জন্য। ভেবেছিলাম রোজা শেষ হলে নিয়মিত গল্প দিবো। কিন্তু ঈদের সাথে সাথেই বাসায় প্রতিদিন মেহমানদের আগমন হচ্ছে। বাচ্চাকাচ্চার হৈচৈ আর বাকি সব ব্যস্ততা নিয়ে মোটেও গল্প লেখা হচ্ছে না। আমি নিজেও এ নিয়ে কিছুটা বিষন্ন। তবে আশাকরি আপনারা আমার সিচুয়েশন বোঝার চেষ্টা করবেন। সকল ঝামেলা শেষ হলেই আমি নিয়মিত গল্প দেওয়া শুরু করবো। সবাইকে আবারও সরি। ভালোবাসা।❤️]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here