ধর্ষণের মিথ্যা অপবাদ পর্ব-১৯

0
1969

#ধর্ষণের_মিথ্যা_অপবাদ
✍লেখক✍কালো ভূত
🌺১৯তম পর্ব
#MD_Fahim_Ahmed
Page All Story Link


শিখা রাসেলের কপালে হাত রেখেই বুঝতে পারে রাসেলের শরীর অনেক গরম, জ্বরে শরীর পুড়ে যাচ্ছে,রাসেলের এই অবস্থা দেখে শিখার চোখে পানি চলে আসে, এক পর্যায়ে কান্না করেই ফেলে, কি করবে বুঝতে পারেনা,
শিখা গিয়ে ওর শশুর শাশুড়ি কে তারাতাড়ি ডেকে আনে,

শিখা:-আম্মু আম্মু তারাতাড়ি ওঠো,
কান্না কান্না করতে করতে,

রাসেলের মা শিখার ডাক শুনে শারা দেয়,
আম্মু:-শিখা মামুনি এতো রাতে কেনো ডাকিস কি হয়েছে,আর কান্নাই বা কেন করতেছিস,
শিখা:-আম্মু কথা বলার সময় নেই তারাতাড়ি আমার সাথে আসো,

তখন রাসেলের মা আর কথা না বাড়িয়ে শিখার সাথে চলে যায়, এইদিকে রাসেলের বাবা ও বোন ও জাগনা পেয়ে চলে আসে,
শিখা:-আম্মু দেখো জ্বরে শরীর পুড়ে যাচ্ছে,
কিছু একটা করো প্লিজ,

তখন রাসেলের মা শিখার কথা শুনে রাসেলের কপালে হাত দিয়েই চমকে ওঠে,
এতো জ্বর, কান্না করে ফেলে,
সবার চোখেই পানি,
শিখা:-আম্মু ওর কিছু হবেনা তো,
বলো কেদেঁ কেদেঁ
আম্মু:-আরে মামুনি কিছু হবেনা তুই এতো চিন্তা করিসনা, যা ওয়াশরুম থেকে বালটি করে পানি এনে ওর মাথায় দিতে হবে তাহলে জ্বর কমবে,
শিখা:-আচ্ছা আম্মু আমি এখনি নিয়ে আসতাছি
তোমরি এখানে থাকো,

বলেই শিখা পানি আনতে চলে যায়,
সাথে সাহায্য করার জন্য জুঁই ও চলে যায়,
আব্বু:-রাসেলের আম্মু তুমি থাকো আমি রুম থেকে ওষুধ নিয়ে আসি,
আম্মু:-আচ্ছা যাও,

একটু পরে শিখা পানি নিয়ে চলে আসে,রাসেলের মাথায় পানি দিতে শুরু করে,
পানি দিচ্ছে তো দিচ্ছেই তবুও যেন জ্বর কমছেই না, এক পর্যায়ে জ্বর একটু কমে আসে,
আম্মু:-শিখা এই ওষুধ টা ওকে খাইয়ে দে,
শিখা:-আম্মু ওষুধ খাওয়ানোর সময় যদি জাগনা পেয়ে যায় তাহলে কি করবে আল্লাহ জানে,
আম্মু:-আরে মা কিছু করবে না তোর স্বামী তো তাইনা,
শিখা:-হুম

তারপর শিখা এক মন ভয় নিয়ে আস্তে আস্তে রাসেলের মুখে ওষুধ দিয়ে পানি দেয়,
রাসেল কিছুই বুঝতে না পেয়ে খেয়ে ফেলে,
আম্মু:-এখন কাপড় ভিজিয়ে ওর কপালে জল পট্টি দিতে থাক এতে জ্বর কমে আসবে,
শিখা:-আচ্ছা আম্মু আমি সব করতেছি অনেক রাত হয়েছে তোমরা গিয়ে ঘুমিয়ে পড় যাও,
জুঁই:-আমি ভাইয়ার এমন অবস্থা রেখে কি করে ঘুমাতে যাবো বলো,
আম্মু:-হ্যা জুঁই ঠিকই বলেছে এই অবস্থায় কি ভাবে ঘুমাব বল,

শিখা:-আম্মু আমি তো ওর সেবা করতেছি,
তোমরা গিয়ে শুয়ে পরো যাও,

তখন আর কেউ কোনো কথা না বাড়িয়ে শিখা কে রেখে ঘুমাতে চলে যায়,
এইদিকে শিখা রাসেলের কপালে জলপট্টি দিচ্ছে আর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে,
আর চোখের পানি তো মনে হয় বৃষ্টির মতো পরতেছে,এই যেনো থামার কোনো নাম গন্ধ নেই,
অনেক সময় পরে শিখা রাসেলের কপালে হাত দিয়ে দেখতে পারে এখন আর তেমন জ্বর নেই,
হালকা হালকা জ্বর,
তার চোখে ঘুম ও এসে ভর করেছে,
কখন যে রাসেলের মাথায় হাত দিয়ে বুকের উপরে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরে সেই দিখে কোনো খেয়াল নেই,সকালে আযানের শব্দে রাসেলের ঘুম ভাঙ্গে,
মাথাটা ঝিমঝিম করতেছে,
বুঝতে পারে বুকের উপরে কিছু একটা আছে,
তাই দেখার জন্য তাকায়,

রাসেল:-এ কি ও আমার রুমে এলো কিভাবে আর আর বুকের উপরে মাথা রেখে ঘুমানোর সাহস পেলো কোথায়,

যেনো রাগটা চরম পর্যায়ে উঠে গেছে,
শিখাকে দেখে, কিন্তু লক্ষ্য করে এই অবস্থায় শিখাকে অনেক সুইট লাগতেছে,
চুল গুলো মুখের উপরে এসে পরে আছে,
ঘুমান্ত অবস্থায় কোনো মেয়ে কে যে এতো সুন্দর লাগে সেটা শিখাকে না দেখলে বুঝতেই পারতো রাসেল,
মনে হচ্ছে চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে ওর কপালে আলতো করে একটা ভালোবাসার পরস এঁকে দেই,কিন্তু রাগ তো কন্ট্রোল হচ্ছে না,দেখে,

রাসেল:-এই তুই ওঠ,
তোর সাহস কি করে হয় আমার রুমে আসার,

অনেক জোরে চিল্লিয়ে বলার কারণে শিখা চমকে উঠে পরে,
সামনে তাকিয়ে দেখতে পাই রাসেল জেগে আছে,
আর সে ওর বুকে সুয়ে আছে,
ভয়ে তো কলিজা শুকিয়ে যায় আবার লজ্জায় মুখটা লাল বর্ণ ধারণ করে,

রাসেল:-তোর সাহস হয় কি করে আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমানোর বল,
শিখা:-এই তোমার জ্বর কমেছে তো নাকি,
দেখি দেখি,
রাসেলের কপালে হাত দিয়ে দেখতে দেখতে বলে,
অমনি রাসেল ঠাসসস করে একটা থাপ্পড় লাগিয়ে দেই,
রাসেল:-তোর সাহস দেখলে বাঁচিনা,
আবার এখন আমার শরীরে হাত দিচ্ছিস,
ধমকের শুরে,

শিখা কান্না করে দেয় এমনিতেই সারারাত কান্না করে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে,
শিখা:-তোমার বুকে মাথা রাখার পুরো অধিকার আমার আছে,
সেইটা ভুলে যাইয়ো না,
কান্না মাখা কণ্ঠে,

রাসেল:-কি বললি অধিকার,
তোর অধিকারের মাইরে বাপ এখান থেকে যা নাহলে মেরে বালি চাপা দিয়ে দিবো,

এতটাই ভয়ংকর লাগছে রাসেল কে যে শিখা ভয়ে চুপসে যায় আর কান্নার বেগ বেড়ে যায়,
শিখা উঠে কান্না করেতে করতে বাইরে চলে যায়,
তখনই রাসেলের আম্মু এসে রাসেলের গালে ঠাসসসস ঠাসসসস করে দুইটা থাপ্পড় লাগিয়ে দেয়,

আম্মু:-তুই আমার ছেলে ভাবতেও ঘৃণা লাগে,
যেই মেয়েটা সারারাত না ঘুমিয়ে তোর সেবা করেছে,কান্না করতে করতে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছে, আর তুই তাকেই কষ্ট দিচ্ছিস,
যানিস রাতে তোর এতো পরিমাণে জ্বর উঠেছিলো যে তোর কোনো জ্ঞান ছিলোনা,
আর শিখা তোর মাথায় পানি সাথে জলপট্টি দিয়ে সারারাত সেবা করেছে,
তোর সাত জন্মের কপাল ভালো যে এমন একটা লক্ষ্যি বউ পেয়েছিস, যা কোনো এ্যাস্কিডেন্টের মাধ্যমে হলেও,

রাসেলের আম্মুর কথা শুনে রাসেল অনেক টাই অবাক হয়ে যায়,
শিখা তার জন্য এতো কিছু করেছে,
আর সে তাকে এতো কষ্ট দিলো কোনো কিছু না বুজেই,

আব্বু:-বাবা তোর রাগ অভিমান থাকাটা সাভাবিক আমাদের উপরে যা আমরা তোর সাথে করেছি,
তাই বলে এতোটা রাগ ভালো না,
জানি মেয়েটা এই কয়েক বছরে একটি রাত ও মনে হয় না ঠিক মতো ঘুমিয়েছে,
শুধু তোর জন্য কান্না করেই রাত পার করেছে,
বুঝিস এইসব একটা মেয়ে কেন করে,যখন তার স্বামীর প্রতি সত্যিকারের ভালোবাসা থাকে,

রাসেলের মুখে কোনো কথা নেই,
কি বলবে সে তার বাবা তো সব কিছু ঠিকই বলেছে,,

আম্মু:-সুয়ে থাক তোর শরীর ভালো না,
আমি খাবার পাঠিয়ে দিচ্ছি,
রাসেল:-আমি এই বাড়ির কিছুই খাবোনা,
আম্মু:-চুপ একটা কথাও বলবিনা,
লক্ষি ছেলের মতো শুয়ে থাক বলে দিলাম,

রাসেল কিছুই বললনা কারণ এখন ওর আম্মুর চোখ দিয়ে মনে হচ্ছে আগুন বের হবে এতো পরিমাণে রাগ,
সবাই নিচে চলে যায় আর রাসেল ভাবতে থাকে,
না যে আমার জন্য এতো কষ্ট করলো আর তাকে এইভাবে কষ্ট দিলাম,
না তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে,

আম্মু:-জুঁই এই খাবার রাসেল কে খাইয়ে আই,
জুঁই:-আম্মু ভাইয়া খাবেতো,
আম্মু:-না খেলে ওর হাত পা বেধে খাওয়াবো,
শিখা:-আম্মু আমি নিয়ে যায়,

শিখার কথা শুনে সবাই অবাক এতো অপমান করার পরে ও বলছে সে যাবে খাবার নিয়ে,

আম্মু:-এই তোর সাথে কি করলো মনে নেই,
ভুলে গেছিস যে এখন আবার যেতে চাচ্ছিস,
শিখা:-আম্মু সে আমার স্বামী,
তার ইচ্ছা হলে আমাকে মারতেও পারে কাটতেও পারে এতো আমার কষ্ট হয়না,

চোখের কোণে স্পষ্ট জল বোঝাই যাচ্ছে,
আম্মু:-তোর যখন মাইর খাবার এতোই সখ তো যা এই নে খাবার,
শিখা:- ধন্যবাদ,
বলেই শিখা রাসেলের রুমের দিকে চলে যায়,
দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ভয়ে ভয়ে,
শিখা:-আসতে পারি,

রাসেল চোখ বন্ধ করে কিছু একটা ভাবতেছিলো,
শিখার কথা শুনে সামনে তাকিয়ে দেখে খাবার নিয়ে এসেছে,

শিখা:- কি হলো কিছু বলছোনা কেনো,
রাসেল:-ওহহহ হ্যা আসেক,
কেন এসেছিস,
শিখা:-আম্মু তোমাকে এইসবগুলো খেয়ে নিতে বলল, না খেলে হাত পা বেধে খাওয়াবো হুম,

খাবার গুলো টেবিলে রেখে শাড়ির আঁচল কোমরে গুজে বলল,
দেখেই মনে হচ্ছে একজন বাঙ্গালী বধূ,

রাসেল:-আমি খেতে পারবো না,
হাতে ব্যাথা করতেছে,
শিখা:-এহহ বললেই পারে আমার হাতে খাবার খেতে চাই,
আর ন্যাকা করতেছে আমার হাতে ব্যাথা,
আমাকে মারার সময় তো হাতে ব্যাথা ছিলোনা মনে মনে,
নাও হা করো,

রাসেলের মুখের সামনে এক টুকরো রুটি দিয়ে বলল,রাসেল তো অবাক যে শিখা এতো কিছুর পরেও তাকে খাবার তুলে খাওয়াচ্ছে,

শিখা:-কি হলো খাচ্ছোনা কেনো,
নাও খেয়ে নাও,

তখন রাসেল একটু একটু করে খেয়ে নেয় ,
দরজার পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রাসেল কি করে সবাই দেখছে আর হাসতেছে,

রাসেল:-আমি না অনেক অনেক সরি,
আসলে তখন না বুঝে অমনটা করা ঠিক হয়নি,
শিখা:-আরে ক্ষমা চাচ্ছ কেনো,
তুমি আমার স্বামী আমার সাথে যা খুসি সব কিছু করার অধিকার তোমার আছে,
তাই আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে আমাকে ছোট করিও না,
রাসেল:-কি মেয়েরে বাবা এই কি সেই শিখা যাকে একটা কথা বললে রাগের সাথে থাপ্পড় দিয়ে দশটা কথা বলতো,আর আজকে কিছুই বলে না,মনে মনে,
রাসেল ছোট বাচ্চাদের মতো খাচ্ছে আর শিখার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে,
অনেক সময় পরে খাবার খাওয়া শেষ করে ওষুধ খাইয়ে দিয়ে শিখা নিচে চলে যায়,

আম্মু:-বাহ শিখা তোর হাতে তো জাদু আছে,
রাসেল সব খাবার খেয়ে নিলো,
শিখা:-হাহাহা দেখতে হবেনা স্বামী টা আমার আর ছেলেটা তোমাদের বলে কথা,
আম্মু:-সেইটা যা বলেছিস,দেখবি ধিরে ধিরে ওর রাগ কমে যাবে তুই কষ্ট পাসনা তুই লেগে থাক,
কামিয়াবি হতে পারবি,
শিখা:-দোয়া করিও আমার জন্য,

দেখতে দেখতে বিয়ের দিন ঘোনিয়ে আসে,
আগামীকাল বিয়ে,

আম্মু:-রাসেলের বাবা রাসেল তো আমাদের সাথে কথা বলতেই চাইনা শুধু জুঁই ছাড়া,
আব্বু:-হুম ওকে বিয়েতে থাকতে বলতে হবে যে করেই হোকনা কেনো,
চলো আমরা সবাই মিলে অনুরোধ করলে ও আমাদের কথা ফেলতে পারবেনা,

তারপর সবাই রাসেলের রুমে চলে আসে,
আব্বু:-বাবা রাসেল তোর সাথে কিছু কথা আছে,
যদি তুই একটু শুনতি,

রাসেল বসে বসে কাজ করতেছিলো,
তখনই উপরের কথাগুলো শুনতে পায়,
রাসেল:-হ্যা বলেন,
আমি শুনবো না কেনো আমি এখন আপনাদের বাড়িতে থাকি আপনাদের কথাতো শুনতেই হবে,
আব্বু:-আমার মেয়ের তো আগামীকাল বিয়ে,
আমরা চাই তুই বিয়েতে উপস্থিত থেকে সব কাজ কর,
জুঁই:-হ্যা ভাইয়া আমি কিন্তু কোনো বাহানা শুনতে চাইনা,তোকে থাকতেই হবে,
রাসেল:-আমি থাকতাম কিন্তু আগামীকাল যে আমার একমাত্র বন্ধুর বিয়ে,
আমি না গেলে বিয়েই করবেনা,
এমনিতেই কাবিন করার সময় থাকতে পারিনি,

জুঁই:-তোর কোনো কথা আমি শুনতে রাজিনা,
তোকে থাকতে হবে এটাই শেষ কথা নাহলে আমি বিয়েই করবো না,
আব্বু আম্মু তোমরা সবাই চলো,

বলেই রাসেল কে কোনো কথা বলতে না দিয়ে নিচে চলে যায়,

শিখা:-দেখো তোমার বোনের বিয়ে তুমি যতই রাগ করো কিন্তু সেইটা আমাদের সাথে,
তার জন্য কিন্তু তোমার বোন কে কষ্ট দিতে পারোনা, যেইটা করোনা কেনো একটু ভেবে চিন্তে করিও,

বলেই শিখাও নিচে চলে যায়,

তখনই রাসেলের ফোনে নীলের কল আসে,
রাসেল কলটা রিসিভ করে,
রাসেল:-হ্যা নীল বল,
নীল:-তুই এখনো আসতাছিস না কেনো,
মনে আছেতো তুই ছাড়া আমি বিয়ে করবো না,
রাসেল:- বন্ধু দেখ আমি আসতে চাইছিলাম কিন্তু একটা বিপদে আটকে গেছি,
তখন নীল কে বলে,

নীল:-আমি কোনো কথা শুনবো না,তোকে আসতি হবে তো হবেই,
রাসেল-আচ্ছা একটা কাজ করলে কি হয়,
যেইটা করলে তোর কাছে ও থাকতে পারবো আর এই বাড়িতে ও,
নীল:-কি বলতে চাচ্ছিস খুলে বল,
রাসেল:-আমি বলি কি,,,,,,

❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣❣
আজকের বারে এখানেই রেখে দিলাম,
।।।।।।।।।।বাই বাই টা টা।।।।।।।।।।।।
ফের দেখা হবে কথা হবে আগামী পর্বে সেই পযর্ন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন,
।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
।।।।।।।।।।
।।।।।
……….চলবে……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here