পার্থক্য পর্ব-১৭

0
818

পার্থক্য

১৭ পর্ব।

#রিফাত_হোসেন।

রিফাত সিড়ি দিয়ে কিছুটা নামার সময় সামনে তাকিয়ে দেখে তারিন আরিফ সাহেবের মায়ের সাথে কথা বলছে। আর নিচে না নেমে এক দৃষ্টিতে তারিনের দিকে তাকিয়ে রইলো । তারিন প্রথমে দেখেনি রিফাত সিড়ি তে দাঁড়িয়ে ওকে দেখছে। তাই নিঃসঙ্কোচে আরিফ সাহেবের মায়ের কথা বলে যাচ্ছে। রিফাত দাঁড়িয়ে দেখছে তারিনের কথা বলার স্টাইল, সুন্দর দু’টো চোখ, মায়াবী চেহারা আর গোলাপি রঙের ঠোঁট দু’টো। ইচ্ছে করছে এখনই গিয়ে গোলাপি রঙের ঠোঁট দু’টোতে ভালোবাসার স্পর্শ এঁকে দেই। ইচ্ছে করছে দু’জনে খোলা আকাশের নিচে বসে বসে গল্প করতে। সারারাত তারিনের কোলে মাথা রেখে আকাশে থাকা নক্ষত্রগুলো গুনতে ইচ্ছে করছে।

রিফাতের ভাবনার মধ্যেই তারিন যে কখন সামনে চলে এসেছে খেয়াল করেনি। শুধু তারিনের দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। যেন এতদিনের অনুভূতি, ভালোবাসা, কাউকে না দেখতে পাওয়ার কষ্টের অবসান ঘটবে সামনে থাকা মায়াবী মুখটার দিকে তাকিয়ে থাকলে।
তারিন সামনে এসে কয়েকবার ডেকেছে রিফাত কে। কিন্তু রিফাত কোন সারা দেয়নি। এক দৃষ্টিতে তারিনের দিকে তাকিয়ে আছে। আরিয়ান গ্লাস থেকে হাতে একটু পানি নিয়ে রিফাতের মুখের দিকে ছুড়ে মারলো। রিফাত চমকে উঠলো। পিছনে তাকিয়ে রাগি মুড নিয়ে আরিয়ান কে জিজ্ঞেস করলো – ‘আমার মুখে পানি ছিটিয়ে দিলি কেন?’
– ‘তোর ঘুম ভাঙ্গালাম।’
– ‘দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মানুষ ঘুমায় নাকি।’
– ‘আর কে ঘুমায় সেটা জানিনা তবে তোকে দেখে যে কেউ বলবে তুই তারিন কে দেখলেই ঘুমিয়ে যাস।’
– ‘দেখ একদম বাজে কথা বলবি না। সব সময় শুধু আবোল তাবোল বকবক করা ছাড়া কোন কাজ নেই।’
– ‘এটা শুধু আমার কথা নয়, আশেপাশে ভালো করে তাকিয়ে দেখলেই সব বুঝতে পারবি।’

আরিয়ানের কথা শুনে রিফাত উল্টো দিকে ঘুরলো। আর সামনে তাকিয়ে একটা টাস্কি খেলো। কারণ ওর সামনে অনেকটা লাজুক ভঙ্গিতে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে তারিন। যা এতক্ষন খেয়াল করেনি রিফাত। আর আশেপাশে সবাই রিফাতের দিকে তাকিয়ে হাসছে। বিয়ে বাড়িতে এত লোকজনের সামনে লজ্জায় পরতে হবে ভাবেনি রিফাত। লজ্জায় রিফাত ও নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো। নিজেই নিজের মাথায় একটা টোকা মেরে মনে মনে বলল – ‘তারিনের দিকে এতটাই মগ্ন ছিলাম যে আশেপাশে মানুষ আছে বুঝতেই পারিনি। আর তারিন যে কখন সামনে এসে গেছে খেয়াল করিনি। নিজের বোকামির জন্য এখন সবার সামনে লজ্জায় পরতে হলো।’

আরিফ সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলো, রিফাত আর তারিনের অবস্থা বুঝতে পেরে দু’জনকে বলল – ‘তোমরা এখনে দাঁড়িয়ে না থেকে আমার সাথে এসো, তোমাদের একটা কাজ করতে হবে।’

আরিফ এর কথা শেষ হওয়ার আগেই রিফাত তাড়াতাড়ি করে বাহিরে চলে এলো। যেন এখান থেকে পালাতে পারলেই বেঁচে যায়। তারিন মাথা নিচু করে বাহিরে চলে এলো।

বাহিরে এসে দু’জন দু’জনের দিকে তাকিয়ে আছে৷ তবে দু’জনের দৃষ্টি ভঙ্গি আলাদা। রিফাত তাকিয়ে আছে রোমান্টিক দৃষ্টিতে আর তারিন তাকিয়ে আছে রাগি দৃষ্টিতে। রিফাতের ইচ্ছে করছে এখনই বলে দেই “অনেকটা ভালোবাসি তোমায়” কিন্তু মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছে না। এমনিতে কত কথা বলতে পারে, আর তারিনের সামনে আসলে মুখ দিয়ে কোন কথা বের হয় না। যেন কেউ হাত দিয়ে মুখ চেপে রেখেছে।
অবশ্য সব ছেলেরাই মেয়েদের কাছে পরাজিত। তবে সব ক্ষেত্রে নয়, কিছু কিছু সময় ছেলেরা শত চেষ্টা করেও নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না। যেমনঃ “একটা ছেলে সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি দেখে আয়নার সামনে বসে এক সুন্দর রমনী চুল আচড়াচ্ছে, তাহলে তার দিক থেকে কোন ছেলে চোখ সরাতে পারবে না। আর তাকে জড়িয়ে ধরার সুযোগ তো হাতছাড়া করবেই না।” (অবশ্যই বৈধ সম্পর্ক)

“একটা মেয়ে রান্নাঘরে শাড়ির আঁচল কোমরে বেধে রান্না করার সময় একটা ছেলে রান্নঘরে প্রবেশ করার সাথে সাথে আগে মেয়েটির পেটের দিকে চোখ যাবে। তার ইচ্ছে করবে আলতো করে মেয়েটির পেটটা ছুঁয়ে দিতে” (অবশ্যই বৈধ সম্পর্ক )

“এর থেকে বেশি বললে পাঠকগন আবার কূ-দৃষ্টিতে দেখবে।”

রিফাতের অবস্থা দেখে তারিনের মাথা গরম হয়ে গেল। চোখ যেন অন্য দিকে সরতেই চায় না। আর দেরি না করে নাক বরাবর নিজের নরম, কোমল হাতটা চালিয়ে দিলো তারিন । রিফাত নাকে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।

তারিন হাসতে হাসতে বলল – ‘আজকে নাকে হাত দিলেন কেন?’ এবার কী বুকে প্রেমের ঘন্টা বাজেনি।’
– ‘প্রেমের ঘন্টা তো সেই কবেই বেজে গেছে, এখন শুধু উপভোগ করছি।’
– ‘তাহলে আরেকটা দিবো নাকি।’

রিফাত নাকে হাত দিয়ে বলল – ‘
– ‘না থাক। আজকে মনে হয় বেশি খেয়েছেন, তাই হাতের জোর বেড়ে গেছে।’

তারিন আর কিছু বলতে পারলো না। তার আগেই আরিফ চলে এসেছে।

তিনি এসে দু’জনে সামনে দাঁড়িয়ে বলল – ‘শোন, তোমাদের খুব বড় একটা দ্বায়িত্ব নিতে হবে।’
– ‘কী দ্বায়িত্ব?’
– ‘যেহেতু তিশাদের বাড়ি আর আমাদের বাড়ি একসাথেই। তাই দু’বাড়ির বিয়ের প্যান্ডেল এই মাঠে হবে। তাই তোমাদের দ্বায়িত্ব পুরো প্যান্ডেল কীভাবে সাজানো হবে, কোথায় কী রাখতে হবে, সব দেখাশোনা করবে।’

আরিফ এর কথা শুনে রিফাত খুশি হয়ে বলল – ‘ থ্যাংকু ভাই।’

রিফাতের খুশি দেখে তারিন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো – ‘ আপনি এত খুশি হলেন কেন ?’
– ‘সেটা আপনি বুঝবেন না।’
– ‘হু, ধান্দা খারাপ।’

পাশ থেকে আরিফ বলল – ‘আরে এখন কথা বলার সময় নেই। সবাই খাবার টেবিলে অপেক্ষা করছে, তাড়াতাড়ি চলো।

তারিন বলল – ‘ভাইয়া আমি বাড়িতে গিয়ে খেয়ে নিবো।’
– ‘না সেটা হবে না। তুমি এখন আমাদের সাথে বসে খাবে।’

তারিন কয়েকবার তাকে অনুরোধ করলো। কিন্তু তিনি কোন কিছুতেই মানছে না তাই তারিন আর না করলো না। ভিতরে গিয়ে খাবার টেবিলে বসলো।

খাওয়ার মাঝে আরিফ সাহেবের মা রিফাত কে জিজ্ঞেস করলো – ‘তোমার নাকটা ওভাবে ফুলে গেছে কীভাবে ?’

ওনার হঠাৎ করে এইরকম প্রশ্ন শুনে রিফার চমকে উঠলো। কী উত্তর দিবে কিছুই বুঝতে পারছে না।
তিনি আবার বললেন – ‘কী হলো বাবা, কিছু বলছো না যে?’

রিফাত আমতা আমতা করে বলল – ‘আসলে আন্টি ফ্রেশ হওয়ার সময় পা পিছলে পড়ে গেছিলাম।’
– ‘কিন্তু একটু আগেও তো এখানে ছিলে, তখন তো দেখালাম না।’
– ‘হয়তো ভালো করে খেয়াল করেননি।’
– ‘হু, তাই হবে হয়তো।

রিফাত সামনের দিকে তাকিয়ে দেখে তারিন মাথা নিচু করে মিটমিট করে হাসছে। এমনিতেই রাগে রিফাতের শরীর জ্বলে যাচ্ছে, তার উপর আবার উনি হাসছে। তবে তারিনের হাসিটা খুব সুন্দর, তাই রাগটা আর বেশিক্ষন থাকলো না। খাওয়া শেষ করে দু’জনে প্যান্ডেলের কাছে চলে গেল। তারিন প্যান্ডেল সাজাতে সাহায্য করছে আর রিফাত তারিনের দিকে তাকিয়ে আছে। তারিন এটা অনেকক্ষন ধরে খেয়াল করেছে। কিন্তু কিছু বলেনি। তারিন যেদিকে যেদিকে যাচ্ছে রিফাত ও তারিনের পিছু পিছু সেদিকে যাচ্ছে। আশেপাশে অনেকে ওদের দেখে হাসাহাসি করছে। অবশ্য কে কী ভাবলো, কে কী বলল, এইসব নিয়ে রিফাতের কোন মাথা ব্যাথা নেই।
কিন্তু কেন জানি তারিনের এটা ভালো লাগছে না। তাই তারিন দাঁড়িয়ে গেল। পিছনে ফিরে রিফাত কে জিজ্ঞেস করলো – ‘আপনি এভাবে আমার পিছু পিছু হাঁটছেন কেন?’
– ‘আরিফ সাহেব তো বলল, আপনার সাথে থাকতে।’
– ‘তিনি বলেছেন এই প্যান্ডেলের লোকদের দেখিয়ে দিতে কীভাবে প্যান্ডেল সাজাবে।’
– ‘তার জন্য আপনি তো আছেনই।’
– ‘তাহলে আপনি এখানে কেন আছেন?’
– ‘হি হি হি, আপনার পিছু পিছু হাঁটার জন্য।’

তারিন রাগ দেখিয়ে বলল – ‘আপনাকে না এবার আমি শেষ করে দিবো।’

তারিনের কথা শেষ হওয়ার আগেই রিফাত নাকে হাত দিলো। রিফাতের এইরকম কাজ দেখে তারিন মৃদু হাসি দিলো। তারপর বলল – ‘নাকে হাত দিয়ে রেখেছেন কেন?’
– ‘ভেবেছিলাম আরেকটা মারবেন। আগেরটা খুব লেগেছে।’

তারিন একটু আহ্লাদি সুরে বলল – ওমা তাই। দেখি তো কেমন লেগেছে।’

তারিন রিফাতের নাক স্পর্শ করার সাথে সাথে রিফাত শিউরে উঠলো। পুরো শরীরটা কাঁপুনি দিয়ে উঠলো।

তারিন জিজ্ঞেস করলো – ‘কী হলো আপনি এইরকম করলেন কেন?’
– ‘আপনার স্পর্শ পেয়ে শরীরটা কেমন শিউরে উঠলো।’
– ‘মানে?’
– ‘আরেকবার স্পর্শ করুন না প্লিজ।’

তারিন রিফাতের হাত ধরে জনশূন্য স্থানে নিয়ে আসলো। দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে রাগি একটা লুক নিয়ে রিফাতের চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো। আস্তে আস্তে রিফাতের মুখের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো । রিফাত কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল – ‘প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন, আমার খুব ভয় করছে।’
– ‘কেন আরেকবার স্পর্শ করতে বললেন না।’
– ‘আমি মজা করে বলেছিলাম।’
– ‘এখন আর কোন কিছু বলে লাভ হবে না।’

রিফাত ভয়ে ভয়ে বলল – ‘কী করবেন আপনি?’

রিফাতের এইরকম বলদ মার্কা চেহারা দেখে তারিনের খুব হাসি পাচ্ছে। রিফাত ভয়ে একদম চুপসে গেছে। ঘামে পুরো শরীর ভিজে গেছে। তারিনের এইরকম রূপ আগে দেখেনি রিফাত। রিফাত মনে মনে ভাবছে এ কোন মেয়েকে ভালো বাসলাম। এই মেয়ে তো আমাকে দু’দিনেই মেরে ফেলবে।
রিফাতের অবস্থা দেখে তারিন মনে মনে হাসছে। আর ভাবছে রিফাত এত বোকা কেন? ও ইচ্ছে করলেই নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আমাকে ওর জায়গায় বন্দী করতে পারে। কিন্তু সে তা না করে ভয় পেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একটা ছেলে এতটাও ভালো হতে পারে। সবাই তো মানুষ। তাহলে কেন এত “পার্থক্য”। আজ যদি রিফাতের জায়গায় আশিকের মতো হিংস্র পশু থাকতো। তাহলে কী এভাবে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতো। নাকি খারাপ কিছু করার চেষ্টা করতো। যেমনটা সেদিন রাতে করতে চেয়েছিলো। সেদিন রাতের কথা মনে পড়তেই তারিন কেঁপে উঠলো। রিফাত কে ছেড়ে দিয়ে প্যান্ডেলের কাছে চলে এলো। সব ভাবনা চিন্তা বাদ দিয়ে আবার কাজে মন দিলো। রিফাত ও প্যান্ডেলের কাছে চলে এলো। এক পাশে দাঁড়িয়ে ভাবছে তারিনের হঠাৎ করে কী হলো। কেমন মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে।
নিজের কাছে কেমন অপরাধী মনে হচ্ছে রিফাতের। যদি তখন মজা করে ওই কথাটা না বলতাম, তাহলে হয়তো তারিনের মনটা খারাপ হতো না।

বিকেলের দিকে প্যান্ডেলের কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এখন তারিন বাড়িতে চলে যাবে। চলে যাওয়ার সময় রিফাত তারিন কে একটু দাঁড়াতে বলল। রিফাত তারিনের সামনে গিয়ে বলল – ‘ স্যরি।’

তারিন অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো – ‘কেন?’
– ‘আসলে তখন ওই কথাটা বলা আমার ঠিক হয়নি। তখন ওটা না বললে হয়তো আপনার হাসিখুশি মুখটা মুহূর্তের মধ্যেই এইরকম মলিন হয়ে যেতো না।’

রিফাতের কথা শুনে তারিন মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেল। আর যাওয়ার আগে রিফাত কে ইশারা করে বলল রাতে ফোন দিতে।

রিফাত ও মৃদু হাসি দিয়ে সেখান থেকে চলে আসলো। আর নিজের মনকে এটা ভেবে শান্ত করলো যে তারিন ওই কথাতে কিছু মনে করেনি।

চলবে……….।

বিঃদ্রঃ ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

শব্দ সংখ্যা:- ১৪০০+।
গল্প তো দু’টো পর্বেই শেষ করা যায়। কিন্তু সেই গল্পে না থাকবে রোমান্টিকতা, না থাকবে কোন ভালোবাসা, ভালোলাগা, আর না থাকবে লেখাটা পড়ার রুচি। অনেকদিন পরে ভালোবাসার মানুষকে দেখালাম আর চলে আসলাম। কিন্তু এই দেখার মাঝে যে কতটা ভালোবাসা, কতটা রোমান্টিক মুহূর্ত আছে। সেটা যদি আমি প্রকাশ না করি, তাহলে কী গল্প পড়তে আপনাদের ভালো লাগবে। একটা ধারাবাহিক গল্পে যদি রোমান্টিক, ভালোবাসা, দুঃখ-কষ্ট, না থাকে তাহলে সেটা কী কোন ধারাবাহিক গল্প হয়। সবাই দেখে পর্বে মুহূর্ত কয়টা। কিন্তু এটা দেখে না পর্বে লেখা আছে কতটুকু বা কী আছে। প্রতিদিন ১৪০০, ১৫০০ শব্দ সংখ্যা এর উপরে লেখা কী দু’মিনিটের ব্যাপার। আমিও জানি রোমান্টিক মুহুর্তে গল্পটা থেমে গেলে কতটা খারাপ লাগে। তখন আমিও বলি আরেকটু লিখলে কী হতো। কিন্তু কী করবো বলুন। এটা দু-তিন মিনিটের ব্যাপার নয়। প্রতিদিন এক দৃষ্টিতে ৩-৪ ঘন্টা ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকা যে কতটা কষ্ট। সেটা যে লিখে সেই ভালো জানে।

ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here