তুমি_অন্য_কারো_সঙ্গে_বেঁধো_ঘর (৪১)

#তুমি_অন্য_কারো_সঙ্গে_বেঁধো_ঘর (৪১)
শেষ পর্ব (প্রথম অংশ)

অফিসে যাওয়া নিয়ে নবনীর মনে যে সংকোচ ছিলো তা এক নিমিষেই দূর হয়ে গেলো। অফিসে মেঘ যেনো অন্য এক মানুষ। শুধুমাত্র নবনীর বস সেখানে।নবনীর মনে হয় যেনো মেঘ তাকে চিনেই না অফিসে গেলে।
নবনীর ভালো ও লাগলো ব্যাপারটা। অফিসে গিয়ে ও যদি মেঘ এরকম ভালোবাসা দেখায় তবে সবাই হাসাহাসি করবে আড়ালে। নবনী বলার আগেই দেখে মেঘ সতর্ক হয়ে গেছে অফিসে চলাফেরা, কথাবার্তায়।

নবনীর ব্যবসায় ভীষণ ভালো যাচ্ছে। তার পেইজে বেশ ভালো রেসপন্স পাচ্ছে। গ্রাহকের রেসপন্স দেখে নবনী আরো কয়েকটা প্রডাক্ট সংযোজন করেছে পেইজে।নবনী মনে মনে একটা সিদ্ধান্ত নিলো পেইজে এক লক্ষ ফলোয়ার হলে চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি ব্যবসায়ে মনোনিবেশ করবে।দুচোখ ভরা স্বপ্ন নবনীর নিজের ব্যবসায় একদিন অনেক বড় হবে,একটা আলাদা ব্রান্ড হবে।শুধুমাত্র দেশীয় পণ্যের একটা আলাদা ব্রান্ড।
গ্রামীণ বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে নবনী আবারও সবার সামনে তুলে ধরতে চায়।

রুমের চারদিকে ছড়িয়ে থাকা পণ্যের দিকে তাকালে নবনীর বুক ভরে যায় আনন্দে। এদেরকে নিজের সন্তানের মতো মনে হয় তার।
মেঘ মাঝেমাঝে নবনীকে এটা নিয়ে খেপিয়ে বলে, “আমার সন্তানের কপালে চরম অবহেলা রয়েছে নবনী।তুমি তো আমার দিকেও এরকম মুগ্ধ হয়ে তাকাও না তোমার সব পন্যের দিকে যেভাবে তাকাও।”

নবনী হাসে মেঘের কথা শুনে। মেঘ মুগ্ধ হয়ে নবনীর হাসি দেখে।কি ভীষণ নিষ্পাপ হাসি।হাসলে যেনো মুক্ত ঝরে পড়ে।
মেঘের মাঝেমাঝে মনে হয় সবচেয়ে সুন্দর হাসির জন্য যদি কেউ এওয়ার্ড পায় তবে সেটা শুধু মাত্র তার নবনীতা পাবে।

নবনী বেশিরভাগ সময় বাবার বাসায় থাকে।মেঘদের বাসায় যেদিন যায় সেদিন যেনো উৎসব শুরু হয় তাদের বাসায়।মেঘলা ও চলে আসে শৈবালকে নিয়ে।সবাই মিলে সারারাত গল্পগুজব, হাসি তামাশায় রাত কেটে যায়।

নবনীর অবাক লাগে মাঝেমাঝে মেঘের পরিবারের এরকম ব্যবহার দেখলে।শ্বশুর বাড়ি নিয়ে নবনীর মনে যে ধারণা ছিলো তা বদলে যেতে লাগলো দিনে দিনে।
ওনাদের কাছে থাকলে নবনীর মনে হয় যেনো সে কোনো বিশেষ অতিথি।
সবাই মিলে কি আদর যত্ন ভালোবাসা দিয়ে তাকে মুড়িয়ে রাখে।
কে বলে সব শ্বশুর শাশুড়ি খারাপ হয়?সবাই খারাপ হলে কি হাজার হাজার সংসার টিকে থাকতো?

কুরবানির ঈদের দুই মাস পর…..

বিকেল বেলা চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে এসে নিতু বাসায় এসে সবেমাত্র চেয়ারে বসেছে।এক গ্লাস পানি ঢেলে নিলো খাওয়ার জন্য। তেষ্টায় বুক শুকিয়ে মরুভূমি হয়ে গেছে।
এই সময় এমনিতেই তো বেশি বেশি পানি খাওয়া দরকার। অথচ নিতু এক ফোঁটা পানি ও খায় নি।পানি কেনো,কিছুই খায়নি।
টাকা পয়সা খুব মেপে মেপে খরচ করতে হচ্ছে।বাবা মায়ের কাছে তো চাইতে লজ্জা লাগে।

রেবেকা বেগম শীতল কণ্ঠে বললেন, “এভাবে আর কতোদিন? তুই কি তোর সিদ্ধান্তেই অনড় থাকবি না-কি?, এতো দেমাগ কিসের?স্বামীর কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়?তোর চিন্তায় তোর বাবার অবস্থা কেমন হচ্ছে দেখছিস তুই একবার?নিজের স্বার্থ নিয়েই ভাবিস শুধু।তোর বাবা এই কয়দিনেই তোর চিন্তা করতে করতে কেমন বুড়িয়ে গেছে তা তো তোর নজর এড়ায় না।
আমি তো তোর মা না,আমার কথা তোকে ভাবতে বলি না।আমাকে তো খারাপ ভাবিস কিছু বললেই।”

বরকত সাহেব নিজের রুম থেকে বের হয়ে এসে স্ত্রীকে ধমক দিয়ে বললেন,”মেয়েটা সবেমাত্র এসেছে বাসায়।এখনই এসব বলা শুরু করে দিলে তুমি?আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি।এসব আজেবাজে কথা বলে আমার মেয়ের মন দুর্বল করে দিও না।”

নিতুর আর পানি খাওয়া হলো না।

বরকত সাহেব নিতুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন,”,এতো দৌড়াদৌড়ি কিসের তোর?এতো ইন্টারভিউ দিচ্ছিস কেনো এখনই? এই শরীরে এতো দৌড়ঝাঁপ ভালো না।হাতে তোর টাকা পয়সা আছে?
বাবাকে বল।লজ্জা পাবি না।”

রেবেকা বেগম রেগে গিয়ে বললেন,”হাতেম তাই হয়েছে যেনো উনি।তুমি কোন কোম্পানির ম্যানেজার হ্যাঁ?
তোমার হাতে টাকা আছে না-কি?
রিতু যে কয় টাকা দেয় তাতে চলতেই তো হিমশিম খেতে হয় আমাদের। ”

নিতু উঠে দাঁড়িয়ে বললো, “আমার টাকা লাগবে না বাবা।আমাকে নিয়ে চিন্তা করো না।”

ক্লান্ত, অবসন্ন,অভুক্ত দেহটাকে কোনমতে টেনে নিজের রুমের দিকে চলে গেলো।

রেবেকা বেগম নিজের চোখের অশ্রু লুকিয়ে বরকত সাহেবের পায়ের পাশে বসে পড়ে বললেন,”আমার মেয়েটা এতো অভিমানী কেনো?মায়ের মনের কথা কেনো ও বুঝতে পারে না ও।আমি তো শুধু এটাই চাই মেয়েটা আবারও সংসার করুক।”

বরকত সাহেব মাথা নিচু করে বসে রইলেন।

রুমে গিয়ে নিতু নামাজ পড়তে দাঁড়ালো। দুচোখ বেয়ে অঝোরে জল গড়িয়ে পড়ছে।সিজদায় গিয়ে নিতু ব্যাকুল হয়ে কেঁদে উঠলো। নিজের সব কথা আল্লাহকে খুলে বললো। আল্লাহ ছাড়া কেউ পারবে না নিতুকে বিপদ মুক্ত করতে।

কান্না করতে করতে নিতুর চোখমুখ ফুলে গেলো। সর্দি লেগে গেলো। পরদিন সকালেই নিতু মেইল পেলো তার চাকরি হয়ে গেছে। একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে এপ্লাই করেছে নিতু।পোস্টিং ঢাকার বাহিরে একটা জেলা শহরে।

আগামী সপ্তাহ থেকে জয়েনিং। হাতে আর ৪ দিন সময় আছে। ধীরেসুস্থে নিতু নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিলো।আগামীকালই সে চলে যেতে চায়।

বরকত সাহেব সকাল হতেই মেয়েকে ডাকাডাকি শুরু করলেন।চোখমুখ স্বাভাবিক করে নিতু রুম থেকে বের হলো।

বরকত সাহেব মেয়েকে টেনে নিয়ে এনে চেয়ারে বসালেন।তারপর রুটি ছিড়ে মেয়ের মুখে তুলে দিলেন।রেবেকা বেগম দূর থেকে একবার তাকিয়ে রুমের দিকে চলে গেলেন।নিতু পিছন থেকে তাকিয়ে মায়ের চলে যাওয়া দেখলো।

রেবেকা বেগম খাটের উপর বসে শাড়ির আঁচলে মুখ মুছলেন।মেয়েটার সাথে কেমন একটা দূরত্ব হয়ে গেছে। মেয়েটা পারে না তাকে বুঝতে নাকি তিনি মেয়েকে বুঝেন না?
তিনি তো শুধু এটুকুই চান মেয়েটা যাতে সংসারী হয়।সংসারে ফিরে যায় আবারও। এটুকুর জন্যই তো তিনি মেয়েকে কপট রাগ দেখান।মেয়ে তার বাহিরের কঠোরতা দেখলো,ভেতরের মমতা দেখলো না।

রেবেকা বেগম ভুলে গেলেন যে কিছু সময় মানুষের মন অত্যন্ত বিক্ষিপ্ত থাকে,মন কোনো যুক্তি মানতে চায় না।মনটা যখন আঘাত পেয়ে পেয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তখন কি আর কারো যুক্তি মানতে চায়?
রেবেকা বেগম যদি মেয়ের সাথে সহজভাবে মিশতেন তবে তিনি জানতে পারতেন দশদিন আগেও নিতু তামিমের কাছে কল দিয়েছে। একটা বার দেখা করার জন্য কতো আকুলিবিকুলি করেছে।
নিজের সন্তানের দোহাই দিয়েছে। কিন্তু তামিম কিছুতেই কথা বলতে রাজি হয় নি উল্টো নিতুকে অকথ্য ভাষায় নানান কথা বলেছে।
নিজের জন্য নিতু কিছু চায় নি,শুধু মাত্র নিজের বাচ্চাটা যেনো বাবার আদর পেয়ে বড় হয় এটুকুর জন্যই তামিমের কাছে বারবার মাথা নত করেছে।তামিম তবুও ফিরে তাকায় নি।নিতুর এই অনুরোধকে তামিম নিতুর দুর্বলতা ভেবেছে।নবনীর কাছে পাত্তা না পেলেও নিতুর কাছে যে সে ঠিকই সুপার হিরো। এজন্যই তো নিতু বারবার তার কাছে ফিরে আসার জন্য এরকম করছে।এসব ভেবে তামিমের নিজেকে বিশেষ কেউ বলে মনে হয়।

নিতু আজ আর কোনো কথা বললো না।উঠে গিয়ে রেবেকা বেগমকে ডাকলো। রেবেকা বেগম থ মেরে বসে থেকে বললো, “আমাকে নিয়ে এতো আদিখ্যেতা দেখাতে হবে না।যা এখান থেকে।আমাকে বিরক্ত করিস না তুই।”

নিতু আর কথা বাড়ালো না। নিতু এসে বাবাকে বললো, “আমি আগামীকাল চলে যাচ্ছি বাবা।আমার চাকরি হয়েছে। মা’কে বলে দিও আমি আর বেশিদিন ওনার ঘাড়ে বোঝা হয়ে থাকবো না বাবা।”

বরকত সাহেব মেয়ের দিকে তাকালেন।মেয়েটা কেমন নিরব নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। কোনো তর্ক নেই,কোনো তেজ নেই,একেবারে শান্ত হয়ে গেছে। বিধ্বংসকারী ভালোবাসা বুঝি তাকে একেবারে শান্ত করে দিলো।

নিতু শান্ত স্বরে বললো, “বাবা,আমি আমার সিম কার্ড চেঞ্জ করে ফেলেছি।আমি নতুন নাম্বার থেকে তোমাকে কল দিবো।তোমার কাছে আমার একটাই অনুরোধ থাকবে আমার এই নাম্বার তুমি কাউকে দিবে না।মা,আপা কে ও না।তামিম যদি কোনো দিন আসে তবে তাকেও না।আমি আমার ঠিকানা কাউকে দিবো না।আমার সন্তানকে নিয়ে এ আমার একার যুদ্ধ। এতোদিনে ও যখন তামিম আমাকে নিতে চায় নি তবে এই চ্যাপ্টার এখানেই সমাপ্ত। আমি ওকে ডিভোর্স দিবো না।তবে ও দিলে দিতে পারে। যদি কখনো নিজ চেষ্টায় তামিম আমাকে খুঁজে বের করতে পারে তবে সেদিনই আমি ওর কাছে ফিরে যাবো বাবা।নয়তো আমার এই একা জীবন সংগ্রাম আজীবন চলবে।আমি তামিমকে সত্যিই ভালোবেসেছি,তার সেই জায়গা অন্য কাউকে আমি বেঁচে থাকতে আর দিতে পারবো না।”

পরদিন সকালে নিতু রেডি হয়ে নিজের ব্যাগ নিয়ে বের হলো। বাবা মা’কে সালাম করে বের হয়ে গেলো। বরকত সাহেব হাজারো প্রশ্ন করে ও মেয়ের থেকে জানতে পারলেন না কোথায় তার পোস্টিং হয়েছে।

পাথরের মূর্তির মতো রেবেকা দাঁড়িয়ে রইলেন।

ইদানীং তামিম কোথাও স্বস্তি পায় না। জীবনটা তার কেমন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। নিজেকে পাগল পাগল লাগে তার কাছে।বাঁধনহারা পুরুষের মতো অসহায় আর কে আছে?
স্ত্রী থাকার পরেও যাকে একা থাকতে হয়,দিনশেষে বাসায় ফিরলে একটা হাসিমুখ দেখতে পায় না।তামিম খেয়াল করেছে তার রুমটা ভীষণ নোংরা হয়ে আছে।মনে হচ্ছে বহু বছর ধরে কেউ এই রুম পরিষ্কার করে নি।

অথচ নিতু থাকতে এই রুমে সবসময় একটা মিষ্টি সুগন্ধি ভেসে বেড়াতো। কোনো এয়ার ফ্রেশনারের নয়।নিতু একটা তেল দিতো চুলে।হোমমেড তেল একটা পেইজ থেকে নিতো। সেই তেলের একটা মিষ্টি ঘ্রাণ নিতুর থেকে পেতো তামিম।তামিমের মনে হয় তা যেনো নিতুরই ঘ্রাণ। নিতুর আলাদা একটা সুগন্ধ।কয়েকদিন ধরে নিতু কল করছে না।তামিমের একবার মনে হলো একবার নিতুকে কল দিবে।তার পরেই তার ভিতরের অহংবোধ জেগে উঠলো।
কেনো সে নিতুর কাছে নত হবে?
সে হচ্ছে পুরুষ সিংহ,তাকে কি নত’তে মানায়?

নিজের মিথ্যে অহংকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য ইচ্ছে থাকা স্বত্তেও আর কল দিলো না।

লুবনা ব্যাগ গুছিয়ে বাবার বাসায় চলে এসেছে।তামিম লুবনাকে দেখে হতভম্ব। কঙ্কালসার চেহারা,মুখের হাসি যেনো হারিয়ে গেছে। চোখ বসে গেছে,শুষ্ক ঠোঁট, এলোমেলো চুল।সারা শরীরে কালসিটে দাগ।

তামিম হতবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, “এরকম অবস্থা কেনো তোর?”

লুবনা কোমল গলায় বললো, “পাপের প্রায়শ্চিত্ত ভাইয়া।নবনী আর নিতু ভাবীর সাথে তো অন্যায় কম করি নি।সেসব এখন আবার ফিরে পাচ্ছি।”

লুবনা বেশিদিন থাকতে পারলো না। লুবনার শাশুড়ী এসে লুবনাকে নিয়ে গেলেন।যাবার সময় বলে গেলেন,”বড় ঘরের ছেলেদের মাথা একটু আধটু গরম হয়।সেসব নিয়ে পড়ে থাকলে চলে না।যদি আসতে হয় তবে একেবারে চলে আসে যেনো। আর তা না হলে পান থেকে চুন খসলেই বাবার বাড়ি আসা যাবে না।এবার তিনি নিতে এসেছেন এর পর আর কেউ আসবে না।”

তামিমের বুকে ভীষণ আঘাত লাগলো এসব কথা শুনে।একবার লুবনাকে আড়ালে বললো,”যাবি না তুই,দরকার হলে ডিভোর্স হয়ে যাক।”

লুবনা মুচকি হেসে জবাব দিলো, “তা সম্ভব না ভাইয়া।আমি একটা অশিক্ষিত মেয়ে,ও বাড়ি থেকে চলে এলে এখানে তোমাদের ঘাড়ে বসে কতোদিন খাবো?নিজের যদি লেখাপড়া জানা থাকতো,তাহলে একটা ভরসা ছিলো। একটা সাপোর্ট পেতাম।এখন আমাকে লাথি গুতা খেয়েও থাকতে হবে।তাছাড়া ভাইয়া,তুমি মামা হবে।কে জানে,সন্তানের দিকে তাকিয়ে মুহিত ভালো হতেও পারে। একটা সন্তান অনেক সময় সব সমস্যার সমাধান হয়ে ও আসে।”

লুবনা চলে যাবার এক সপ্তাহ পর দিশা পালিয়ে গেলো একটা ছেলের সাথে। সামিমকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে গেলো।সামিম যেনো নিশ্চিন্ত,নির্ভার হলো অনেক দিন পরে। দিশাকে সে নিজেই ডিভোর্স দিতো,কিন্তু লুবনার বিয়ে হওয়ায় আর সে পথে এগুতে চায় নি।পাছে দিশাকে ডিভোর্স দেয়ায় লুবনার সংসারে অশান্তি হয়।

জলের মতো নিশ্চুপ হয়ে গেলেন তাহেরা বেগম। যেনো এই পৃথিবীতে নেই তিনি।এই কয়েকদিনেই যেনো তার বয়স বেড়ে গেছে ১০ বছর।অপরাধবোধ তাকে তিলে তিলে কষ্ট দিচ্ছে।ভালো করে বুঝতে পারছেন যে আল্লাহ ছাড় দিয়েছে এতোদিন তবে ছেড়ে দেয় নি।

চলবে….

রাজিয়া রহমান

(বাকি অংশ রাতে পাবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here